#ম্যারেজ_প্রোপজাল
#অরিত্রা_অর্নি
#২৪
“আজ অফিস বন্ধ। তূর্য সকাল থেকে বাড়িতেই ছিলো। সায়রা কাজে বিজি। ঠিক করেছে আজ স্পেশাল কিছু রান্না করবে। সামর্থ্য বেগম এর কাছে জিজ্ঞেস করলে তিনি মোরক পোলাও রান্না করতো বললেন। সাথে রেসিপি ও বলে দিলেন। সায়রা জিজ্ঞেস করলো ”
_আপনার মোরগ পোলাও বুঝি অনেক পছন্দ ?
“সামর্থ্য বেগম হালকা হেঁসে বললো ”
_আমার না। তূর্যর অনেক পছন্দ ছিলো।
“সায়রা বুঝলো না কথাটার মানে। পছন্দ ছিলো। তারমানে এখন নেই। সায়রা জিজ্ঞেস করলো ”
_পছন্দ ছিলো। এখন নেই ?
_আছে কিনা জানিনা। ওর মায়ের মৃত্যুর পর আর কখনো খেতে দেখিনি। বাড়িতে রান্না ও হয় না।
_ওনার মা রান্না করতেন। এই রেসেপিতে ?
_হু। বৃষ্টির খুব রান্নার সখ ছিলো। সব রান্না একটু আলাদাভাবে করতো। তূর্য যখন ছোট তখন ওকে যদি বলতো কি খাবে ? তূর্য সঙ্গে সঙ্গে বলতো মোরগ পোলাও। ছেলেটা এখন সে সব মুখে ও তুলে না।
“শেষের কথাটা ভারি আফসোস নিয়ে বললো সামর্থ্য বেগম। সায়রার ও কেমন যেনো লাগলো। সায়রার নিজের মায়ের কথা মনে পড়লো। সায়রা ঠিক করলো আজ এই রেসপিতেই সে রান্না করবে। আর যে করোই হোক তূর্যকে তা খাওয়াবেই। সায়রা চলে গেলো রান্না ঘরে। রেসিপিটা মাথায় রাখলো। রান্না ঘরে এসে সব কিছু ই পেলো। কিন্তু আলু বোখারা নেই। যেটা সায়রার খুব পছন্দ। তবে দেওয়াটা বাধ্যতামূলক নয়। কোথাও আলু বোখারা নেই। সায়রা চুমকিকে ও ডাকলো না। চুমকির আজ তূর্যর জামা কাপর ধোয়ার দায়িত্ব পড়েছে। সে সেসব করছে। সায়রা কিছু একটা ভাবলো। তূর্য বাইরে গেছে। এই যাওয়াটাকে একটু কাজে লাগানো যেতেই পারে। সায়রা সামর্থ্য বেগম এর ঘরে গেলো। সামর্থ্য বেগম তখন শুয়ে ছিলো। সায়রা সামর্থ্য বেগম এর ফোনটা নিয়ে এসে তূর্যকে কল করলো। দুইবার রিং হতেই কলটা রিসিভ হলো ”
_হে দাদী বলো।
_আমি দাদী না। আমি সায়রা বলছি৷
“তূর্যর এক বন্ধ দেশের বাহির থেকে এসছে। তূর্য তার সাথেই দেখা করতে এসেছে। তূর্য বললো ”
_বলো। কিছু হয়েছে ?
_নাহ্ কিছু হয়নি৷ আপনি কোথায় আছেন ?
_কেনো?
_এতো কেনো বলতে পারবো না৷ কোথায় আছেন সেইটা বলুন?
_উওরাতে আছি। কি হয়েছে বলবে এবার।
_আসবেন কখন?
“সায়রা তূর্যর কথার উওর না দিয়ে নিজের মতো বলে যাচ্ছে শুধু। তূর্য বললো ”
_কেনো ? একটা থাকতে কষ্ট হচ্ছে। মিস করছো আমায় ?
“তূর্যর মুখে এমন কথা শুনে সায়রা একটু অবাক হলেও এই মুহুর্তে তার আলু বোখারা দরকার। তাই বললো ”
_জি না। আপনাকে আমি কেনো৷ কেউ মিস করছে না। আমি কল করেছি আমার আলু বোখারা লাগবে। আসার সময় নিয়ে আসবেন। আর তাড়াতাড়ি আসবেন।
“তূর্য কি বলবে বুঝতে পারলো না। এই মেয়ে তাকে আলু বোখারার জন্য করেছে। তূর্য বললো ”
_পারবো না। ফোন রাখো।
_মনে করে আনবেন,,,,,,।
“সায়রা আর বলতে পারলো না। তূর্য কল কেটে দিলো। সায়রা সামর্থ্য বেগম এর ঘরে ফোনটা রেখে এসে আবার রান্নার সব গুছগাচ করতে লাগলো।
সায়রা রান্না বসিয়ে দিলো। যেভাবে সামর্থ্য বেগম বলেছেন সে ভাবেই। সায়রা বেশি আগ্রহ হচ্ছে এটা সে তূর্যকে খাওয়াবেই।
রান্না প্রায় আধা হয়ে এসেছে এমন সময় মেইন দরজার কলিং বেল বেজে উঠলো। সায়রা জানে এমন সময় তূর্য ই এসেছে। অন্য কেউ দরজা খুলার আগেই সায়রা গিয়ে দরজা খুলে দিলো। তূর্য ই এসেছে। সায়রা তূর্যকে দেখেই সায়রা হাত পেতে দিলো ”
_দিন জলদি আমার জিনিস দিন। রান্না চুলায় রেখে এসেছি।
“তূর্য শুধু সায়রার কনফিডেন্স টা দেখলো। এই সিউর যে তূর্য তার বলা জিনিস নিয়ে ই এসেছে। তূর্য অনেক খুজে এই আলু বোখারা এনেছে। সেটা সায়রার হাতে দিয়ে বললো ”
_এতো কনফিডেন্স কোথায় পাও ? যদি না নিয়ে আসতাম।
“সায়রার হাতে খুন্তি ছিলো। কোমরে আচল গুজে গিন্নি সেজে রান্না করছে। তূর্য চেয়ে রইলো ওর দিকে। সায়রা চেক করে আগে দেখলো সঠিক জিনিস এনেছে নাকি৷ নাহ্ এনেছে। সায়রা রান্না ঘরের দিকে যেতে যেতে বললো ”
_না নিয়ে আসলে আবার পাঠাতাম। স্পেশাল রান্না হচ্ছে বুঝলেন।
“তূর্য ভেতরে ঢুকলো। এই মেয়ের কাল এক্সাম আর এখন সে রান্না করছে৷ তূর্য কিছু বললো না। সে সোজা রুমে চলে গেলো। রুমে এসে তূর্য আরেকটা ধাক্কা খেলো। রুম আজ একেবারে পরিপাটি করা।
তূর্য এই দুপুরের সময় শোয় না৷ তবে কয়েক রাত না ঘুমানোর কারনে ক্লান্ত লাগছে। তূর্য দরজাটা হালকা চাপিয়ে দিলো। গায়ের শার্ট টা খুলে রেখে বিছানায় শুয়ে পড়লো। তারই বিছানা অথচ তাকে ভাগাভাগি করে শুতে হয়। তূর্য কয়েক মুহুর্তের মধ্যে ই ঘুমিয়ে পড়লো ”
“সায়রার রান্না শেষ হলো দুপুর দেড়টায়। রান্না শেষ করে সায়রা সব গুছিয়ে রেখে উপরে এলো। গোসল করবে এরপর খাবে। সায়রা রুমে এসে দেখলো দরজা চাপানো। রুম পুরো হিমঘর হয়ে আছে। সায়রা আস্তে করে রুমে ঢুকলো।চোখ গেলো বিছানায়। তূর্য উপুর হয়ে শুয়ে ঘুমিয়ে আছে। খালি গায়ে। অর্ধেক পিঠ পর্যন্ত চাদর টানা। সায়রা একটু ভালো করো দেখলো। নাহ্ তূর্য ঘুমিয়ে ই আছে। সায়রা আসার পর লোকটার প্রাইভেসি নষ্ট হয়েছে। ঘুমাতে ও পারে না। এখন ঘুমাক। সায়রা ধিরে ধিরে গিয়ে শাড়ি নিলো। পা টিপে টিপে হাটছে। এরপর ওয়াসরুমে চলে গেলো। বেশ অনেকটা সময় নিয়ে গোসল করলো। আর তাতে সময় অপচয় করেছে বেশি তূর্যর ওয়াসরুমে থাকা বডি ওয়াস থেকে শুরু করে সব কিছুর দাম দেখে। সায়রা বের হলো একটা বালতি হাতে। যাতে সায়রার জামাকাপড়। এটা এখন ছাদে রোদ দিতে যাবে। সায়রা সব কাজ এমনভাবে করছে যাতে কোনো শব্দ না হয়ে তূর্যর ঘুম ভেঙে যায়।
সায়রা গেলো ছাদে। ছাদে আজ সব তূর্যর কাপড় রোদে দেওয়া। সায়রা একটু জায়গা করে সেখানে নিজের জামাকাপড় রোদে দিলো। সায়রা খেয়াল করে দেখলো তূর্যর এখানে যে কাপড় আছে তাতে প্রায় ষোলো টা সাদা রঙের শার্ট আছে৷ কালো শার্ট সাতটা। সাদা টি শার্ট আছে চারটা। সাদা কালো ছাড়া এই লোক বোধ হয় আর কোনো রঙ সম্পর্কে জানে ই না ”
“সায়রা নিচে নেমে এলো। দু’টোর বেশি বাজে। সামর্থ্য বেগম আজ রুম থেকে বের হয়নি৷ সায়রা একটা প্লেট এ খাবার বেরে সামর্থ্য বেগম এর ঘরে নিয়ে গেলো। সামর্থ্য বেগম এর পায়ের ব্যথা বেড়েছে। সায়রাকে দেখে বললো ”
_রান্না শেষ ?
_হু। এবার খেয়ে বলুন তো দাদী বৃষ্টি মায়ের মতো হয়েছে নাকি ।
_হবে হবে। তোর উনি কই ?
“সায়রা সামান্য হাসলো কথাটায়। এরপর বললো ”
_ঘুমাচ্ছে ।
_এই দুপুর সময় ঘুমালো যে। জ্বর এসেছি কিনা দেকিস তো।
“সায়রা কিছু বললো না। সামর্থ্য বেগম একটু মুখে দিলেন মোরগ পোলাও। যেমন আশা করেছিলেন তেমন ই হয়েছে। সায়রা আগ্রহ নিয়ে চেয়ে আছে। সামর্থ্য বেগম বললেন ”
_খুব ভালো হয়েছে৷
_সত্যি দাদী।
_হু।
_আমি ভাবছি আপনার নাতীকে ও খাওয়াবো।
“সামর্থ্য বেগম অবাক হয়ে চেয়ে বললেন ”
_কি বলিস। সত্যি ই যদি খাওয়াতে পারিস তোকে আমি উপহার দেবো।
_ইস, উপহার লাগবে না। দোয়া লাগবে দোয়া।
“সামর্থ্য বেগম হেসে সায়রার মাথায় হাত রেখে বললো ”
_দোয়া করে দিলাম। ডজনখানেক সন্তানের মা হও।
“সায়রা এমন দোয়া শুনে হতাশ। এতো দোয়া থাকতে এই দোয়া। সায়রা চলে এলো। চুমিকে ও খেতে দিলো। নিজে ও চুমকির সাথে বসে খেলো। মজা হয়েছে সবাই বললো। সায়রা এবার যার জন্য রান্না করলো তার জন্য সুন্দর করে প্লেট সাজালো। ট্রেতে করে পানি আর মোরগ পোলাও নিয়ে। রুমে এসে দেখে তূর্য এখনো ঘুমাচ্ছে। অথচ তিনটা বাজতে চললো। তূর্যকে এমন বেঘোরে ঘুমাতে দেখে সায়রা একটু অবাক হলো। সামর্থ্য বেগম তো বললো জ্বর এসেছে কিনা দেখতে। সায়রা কি দেখবে একবার৷ সায়রা ট্রে টা টেবিলের উপর রেখে। ধিরে ধিরে সায়রা বিছানার দিকে এগিয়ে গেলো। তূর্য ঠিক বিছানার মাঝখানে শুয়ে আছে৷ সায়রা উঠে বসলো বিছানায়। এখনো দ্বিধা লাগছে। কিন্তু সত্যি ই যদি জ্বর বা অসুস্থ হয়ে থাকে। সায়রা অনেকটা সাহস জুগিয়ে তূর্যর ঝুঁকে বসলো। হাত বাড়িয়ে তূর্যর মাথায় হাত রাখতেই তূর্য হুট করে তাকালো। সায়রার হাতটা ধরে টান দিয়ে সায়রাকে বিছানায় ফেলে সায়রার দু হাত বিছানায় সঙ্গে চেপে ধরলো। সায়রার উপরে এখন তূর্য। সায়রা নিজে ও হতবাক। সব কিছু এতো দ্রুত ঘটলো সায়রা চেয়ে রইলো তূর্যর চোখের দিকে। বুকটা মধ্যে বোধহয় ড্রাম বাজছে। সায়রার দিকে ঝুঁকে ভ্রু কুঁচকে চেয়ে তূর্য জিজ্ঞেস করলো”
_কি করতে চায়ছিলে তুৃমি ?
“সায়রা রীতিমতো কাঁপছে। তূর্য এতোটা কাছে। তার উপর অর্ধ নগ্ন অবস্থায়। সায়রা তুতলে গেলো কথা বলতে গিয়ে ”
_কি,,,কিছু না ।
_সত্যি করে বলো। কি করছিলে ?
“সায়রা কথা কি বলবে৷ এখন জ্ঞান হয়ে যাবে। তূর্যকে সায়রা ধাক্কা ও দিতে পারছে না। হাত দুটো পিসে ফেলছে একেবারে। সায়রা আবার ও বললো ”
_দাদী,, মানে,, দাদী বলেছিলো আপনার জ্বর এসেছে কিনা দেখতে,,,,।
“সায়রা কথা বলছে তবে তা তূর্যর কান পর্যন্ত যাচ্ছে কিনা কে জানে। তূর্য চেয়ে আছে সায়রার মুখের দিকে। এখনো চুলগুলো ভেজা। তাতে আবার তোয়ালে পেঁচানো। লাল রঙের শাড়ি। মলিন একখানা মুখ। তূর্য বোধহয় হারিয়ে যাচ্ছে কোনো অতল গহব্বরে। সায়রা তূর্যকে এভাবে চেয়ে থাকতে দেখে ধাক্কা দিয়ে বললো ”
_সরুন। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে,,।
“তূর্য এই পর্যায় এমনভাবে ঢোক গিললো যেনো সে তৃষ্ণারত কিন্তু তা মেটাতে অসক্ষম। তূর্য ছেড়ে দিলো সায়রাকে। উঠে এলো সায়রার উপর থেকে। সায়রা জোরে জোড়ে আগে নিঃশ্বাস নিলো । তূর্য ততক্ষণে ওয়াসরুমে চলে গেছে। সায়রা উঠে বসে ওর হাতের দিকে তাকালো। লাল হয়ে গেছে৷ সায়রা মনে মনে বকলো তূর্যকে। তূর্য তখন চোখে মুখে পানি দিয়ে ওয়াসরুমে থেকে বের হয়েছে। সায়রা তূর্যকে দেখেই ওর হাত দেখিয়ে বললো
_দেখুন৷ কি করেছেন আমার হাত। লাল হয়ে গেছে। এমন দানবের মতো কেউ ধরে।
” তূর্য তখন টি শার্ট পড়ছিলো। সায়রার কথা শুনে তূর্য সায়রার দিকে এগিয়ে এসে বললো ”
_তুমি যে এখনো আস্ত আছো এটাই বেশি না৷
_ইস, আমার কি দোষ আমি জ্বর,,,,,,,,,, ।
“সায়রা কথা শেষ করার আগেই তূর্য বললো ”
_চুপ।
“সায়রা চুপ হয়ে গেলো। এদিকে তূর্যর জন্য গরম গরম মোরগ পোলাও নিয়ে এসেছিলো সেটা বোধহয় ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। তূর্য এসির পাওয়ার কমিয়ে দিলো। রুমের পর্দাগুলো ও সরিয়ে দিলো। সায়রা বললো ”
_আপনার জন্য খাবার এনেছি। দুপুরের খাবার বিকেলে খাচ্ছেন।
“তূর্যর ও খিদে পেয়েছিলো। তূর্য রুমের সব ঠিকঠাক করে। টেবিলে এসে বসলো। সায়রা দাঁড়িয়ে আছে। তূর্য বসতে সায়রা মোরগ পোলাওর ওরপ থেকে ডাকনাটা সরিয়ে দিলো। তূর্য একবার মোরগ পোলাও এর দিকে তাকাচ্ছে তো একবার সায়রার দিকে। সায়রা জানে তূর্য বলবে সে এসব খাবে না। তাই আগেই বললো ”
_আজ আর কিছু রান্না হয়নি। এটা আমি একটা স্পেশাল মানুষের রেসেপি ফলো করে রান্না করেছি। না খেলে কিন্তু মিস করবেন।
“কথাটা বলে সায়রা ড্রেসিং টেবিলের সামনে গিয়ে দাড়ালো। চুলে পেঁচানো তোয়ালেটা খুলে চুল মুছতে লাগলো। আর আড় চোখে তূর্যর দিকে তাকাচ্ছে বারবার। একটু হলেও যেনো তূর্য খায়।
তূর্য মোরগ পোলাওর দিকে চেয়ে আছে। লাস্ট কবে তার এই পছন্দের খাবার সে খেয়েছে মনে পড়ছে না।
তূর্য কিছু সময় থ মেরে বসে রইলো। সায়রা এদিকে অধির আগ্রহ নিয়ে চেয়ে আছে৷ তূর্য একটা সময় চামচ তুলে নিলো। একটু মুখে দিলো৷ তূর্য কতো বছর পরে সেই স্বাদের মোরগ পোলাও খেলো। তূর্য আরো কয়েক চামচ খেলো। সায়রা দেখেই যাচ্ছে। যদিও তূর্য উল্টো দিখে ফিরে আছে। ও যে খাচ্ছে এটা বোঝা যাচ্ছে। হুট করেই তূর্য বলে উঠলো ”
_ওইভাবে না চেয়ে থেকে সামনে এসো।
“সায়রা চেয়ে ই ছিলো। তূর্যর কথা শুনে ভরকে গেলো। হাতে চিরুনি ছিলো সেটা নিয়ে ধিরে ধিরে এগিয়ে এলো। তূর্য ওর মুখের দিকে চেয়ে বললো ”
_স্পেশাল মানুষের রেসেপিতে রান্না করেছো। তা স্পেশাল মানুষটা কে শুনি ?
“সায়রা আস্তে করে বললো ”
_আপনার মা ।
“তূর্য মুচকি হাসলো। যদিও সেটা সায়রার চোখে পরলো না। তূর্য বললো ”
_এবার একটু বেশিই বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে না,,, ।
“তূর্যর কথা শুনে সায়রার খুশি খুশি মনটা মুহুর্তে ই বদলে গেলো। নিজের উপর নিজের ই রাগ হলো। কেনো সে আগ বাড়িয়ে এসব করতে গেলো। তূর্য আরো দু চামচ খেয়ে উঠে দাড়ালো। সায়রার পাশ দিয়ে যেতে যেতে বললো ”
_তবে মাঝে মাঝে তুমি এমন একটু বেশি বাড়াবাড়ি করতেই পারো। আমার ভালো লাগবে,,,,।
“তূর্য কথাট বলে চলে গেলো রুম থেকে। সায়রার অন্ধকার মন আবার খুশি হয়ে গেলো। লোকটা ভারি শয়তান। খেয়েছে ঠিকই আবার ঢং করে ”
“তূর্য গেলো সামর্থ্য বেগম এর ঘরে। সামর্থ্য বেগম বসে ছিলেন। তূর্যকে দেখেই জিজ্ঞেস করলো ”
_তুই নাকি ভরদুপুর সময় ঘুমিয়ে ছিলি। শরীর খারাপ তোর ?
“তূর্য একটা চেয়ার টেনে বসলো। বসে বললো ”
_নাহ্ বুড়ি। শরীর খারাপ নাহ্।
“সামর্থ্য বেগম তূর্যর গালে হাত রেখে বললো ”
_তাহলে ভালো। আমি আরো,,,,,।
“সামর্থ্য বেগম কথাটা শেষ ও করতে পারলো না। তূর্য বললো ”
_তুমি তো আমাকে ফাঁদে ফেলার জন্য একেবারে উঠে পড়ে লেগেছো বুড়ি। এগুলো ঠিক না৷
“সামর্থ্য বেগম বুঝে ফেললো তূর্য কি বলতে চায়ছে। সামর্থ্য বেগম হেসে বললো ”
_তুই এখনো ফাঁদে পরিসনি তাহলে ?
“তূর্য একটু হতাশ কন্ঠে বিড়বিড় করে বললো ”
_ফাঁদে পরিনি আবার। তোমার কথায় বিয়ে করে একটা হাঁসের বাচ্চা ঘরে এনে তুলেছি। সারাদিন এদিক থেকে ওদিক পেক পেক করে ঘুরে বেড়ায়। জীবনে আর কি বাকি আছে আমার।
“তূর্য যখন ফের রুমে এসেছে সায়রা তখন নিচে চলে গিয়েছিলো। সন্ধার সময় সায়রা নিজের জামাকাপড় আনার জন্য ছাদে গেলো৷ কিন্তু ছাদে কোনো জামাকাপড় ই নেই। তারগুলো ও নেই তূর্যর গুলো ও নেই। সায়রা নিচে এসে দেখলো চুমকি বসে বসে রসুন ছিলছে আর নাটক দেখছে। সায়রা গিয়ে বললো ”
_চুমকি। ছাদে আমার জামাকাপড় ছিলো,,,, ।
_ওহ্। ওইগুলা তো আমি ভাইজানের কাপড়ের লগে আপনাগো ঘরে রাইসা আসছি।
“চুমকির কথা শুনে সায়রা হা করে চেয়ে আছে৷ আবার জিজ্ঞেস করলো ”
_সব রেখে এসেছো ?
_হ, এক সঙ্গে ই তো রাইখা আসলাম।
“সায়রার মাথায় হাত। তূর্য ঘরে। আবার না মানসম্মান যায়। সায়রা ছুটলো ঘরের দিকে। তূর্যর হাতে যেনো এসব না পড়ে এই দোয়া করতে করতে। একবার দেখে ফেলেছে তাতেই যে লজ্জা পেয়েছে।
সায়রা ঘরে ঢুকে দেখলো তূর্যকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। জামাকাপড় সবগুলো একসাথে জড়ো করে টেবিলের চেয়ারের উপর রাখা। সায়রা একটা সস্তির নিঃশ্বাস ছাড়লো। পা টিপে টিপে রুমে ঢুকলো।
আগে ভাগে নিজের কাপড়গুলো সরিয়ে ফেলতে পারলেই বাঁচে।
তূর্য বারান্দায় ই ছিলো। তবে এক কোনায় থাকায়,সায়রা খেয়াল করেনি। তূর্য দেখলো সায়রা পা টিপে টিপে চোরের মতো কি যেনো করছে। জামাকাপড়ের মধ্যে। তূর্য ও ধির পায়ে এগিয়ে এলো।সায়রার পেছনে এসে দাড়ালো। সায়রা এতোগুলো জামা থেকে আর কাঙ্ক্ষিত জিনিটা ই পাচ্ছে না। তূর্য
বিছানায় বসলো আস্তে করে। দেখবে সায়রা আসলে কি করে। সায়রা নিজের জিনিস খুজেই পাচ্ছে না। এতোগুলো শার্ট টি শার্ট এর মধ্যে।যখন সেটা পেলো সায়রার একটু শান্তি হলো। আর লজ্জায় পরতে হবে না। তখনই তূর্য কেশে উঠলো। সায়রার মনে এমনিই ভয় ছিলো। হুট করে এভাবে কেশে উঠায় সায়রা আরো ভরকে গেলো। পেছন ফিরে চেয়ে তূর্যকে দেখে
সায়রা বুঝাতে যাবে যে কি করছিলো৷ এক কদম এগুতে নিলেই সায়রা নিজের শাড়ির সঙ্গে পেচিয়ে গিয়ে পড়লো তূর্যর উপর। তূর্য ও তাল সামলাতে পারলো না। দু’জনেই বিছানায়। সায়রার হাতে সায়রার ইনারটা গিয়ে পরলো তূর্যর ঘারের কাছে। দুজনেই অপ্রস্তুত হয়ে পড়লো। এদিকে তূর্যর উপর সায়রা এমন ভাবে পড়েছে। সায়রার আচল সরে গিয়েছে। ব্লাব্লাউজ ও ঢিলে থাকায় কাধ থেকে সরে গিয়েছে। তূর্যর নজর সেখানে গিয়ে পড়লো। তূর্যর অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তূর্য নিজেকে শক্ত করে ফেললো।মনে মনে বলতে লাগলো। কনট্রোল তূর্য কনট্রোল। তূর্যর শরীর কেমন শক্ত হয়ে যাচ্ছে। সায়রা বুঝতে পেরে বলে উঠলো ”
_আপনার শরীর এমন শক্ত হয়ে যাচ্ছে কেনো ?
“তূর্য দাঁতে দাঁত চেপে বললো ”
_তুমি আর কিছুক্ষন এভাবে আমার উপরে থাকলে শুধু শরীর না৷ আরো অনেক কিছু শক্ত হয়ে যাবে। এক্ষনি সরো।
_কি হয়ে যাবে ?
_চুপপপপপপপ,,,,,,,।
“সায়রার তূর্যর কথা বুঝে এলো না৷ কি বললো। কি হয়ে যাবে। পর মুহুর্তে যখন তূর্যর কথা বুঝলো। সায়রা হতবাক হয়ে গেলো। সায়রা তাড়াহুড়ো করে তূর্যর উপর থেকে উঠতে নিলো। এবার আরেক বিপদ হলো সায়রার হাতের ইনারটা তূর্যর ঘারের কাছে পড়েছিলো তূর্য সেটা ও দেখে ফেললো। সায়রা সঙ্গে ইনারটা সঙ্গে হাতের মুঠোয় নিয়ে ফেললো। তূর্য চোখ বন্ধ করে মৃদু আর্তনাদ করে সায়রাকে ওর কোমর চেপে ধরে নিজের উপর থেকে সরিয়ে দিয়ে উঠে যেতে যেতে বললো ”
_যেটা দেখেই ফেলেছি সেটা লুকিয়ে আর লাভ কি। ইডিয়েট।
“তূর্য রুম থেকে বের হয়ে গেলো। এই মেয়ে তাকে মেরে শান্ত হবে। পেয়েছেটা কি। তূর্য একজন পুরুষ সেটা কি এই মেয়ে দেখতে পায় না। তূর্য কি ওর মস্তিস্ক দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখবে।
আরেকদিকে সায়রা বিছানায় গড়াগড়ি খাচ্ছে। এই ইনার তার দুশমন হয়ে দাড়িয়েছে। আর কতোবার লজ্জায় পড়তে হবে। আর কতো। যতোই নিজেকে বাঁচিয়ে চলতে চাচ্ছে। লজ্জা সায়রাকে বলছে। তোর সব কিছু আমি তূর্যর সামনে নিয়ে ই ফেলবো। যাতে তুই এই লজ্জার কথা আর না ভুলিস ”
চলবে,,,
#ম্যারেজ_প্রোপজাল
#অরিত্রা_অর্নি
#বোনাস_পর্ব
“কাল রাতের ওমন লজ্জাজনক ঘটনার পর তূর্য বেশ দেড়ি করেই রুমে এসেছে। সায়রার আজ এক্সাম সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে বই নিয়ে বসেছে। একদিনেই দুটো পরিক্ষা। তূর্য রুমে নেই৷ কাল রাতে এসে শুধু ঘুমিয়েছে বোধহয়। সায়রা গায়ে চাদর জড়িয়ে বসে বসে পড়ছে। এখন বাজে আটটা। দশটায় এক্সাম শুরু হবে। একটু পরেই তূর্য রুমে এলো। সায়রা বুঝতে পেরে ও তাকালো না সরাসরি। আড় চোখে ঠিক ই দেখছে। তূর্য ওর জামাকাপড় নিয়ে ওয়াসরুমে চলে গেলো। সায়রা কাল থেকে সমান তালে তূর্যকে বকে যাচ্ছে।
সায়রা আবার পড়ায় মন দিলো। তূর্য বের হলে সে ফ্রেশ হতে যাবে। তূর্য আজ তাড়াতাড়ি ই বের হয়ে এলো। সায়রা এবার ও সরাসরি না চেয়ে আড় চোখে তাকালো। শুধু ট্রাউজার পড়ে বের হয়েছে। কাঁধে তোয়ালে ঝুলিয়ে রেখেছে। সায়রা সঙ্গে সঙ্গে চোখ ফিরিয়ে নিয়ে বই বন্ধ করে বিছানা থেকে নামলো। তূর্য আয়নার সামনে দাড়ানো। সে সব ই দেখছে। সায়রা ওর জামা নেওয়ার জন্য তূর্যর পেছন দিয়ে ওয়ারড্রপ এর কাছে গিয়ে বিড়বিড় করে বলতে লাগলো ”
_নিজে নিজের বডি দেখিয়ে দেখিয়ে ঘুরে বেড়াবে। আর দোষ দেবে মানুষের।
“কথাটা সায়রা বিড়বিড় করে বললেও তূর্যর কানে তা পৌঁছালো। সায়রা আবার তূর্যর পেছন দিয়ে যাওয়ার সময় তূর্য সায়রার আঁচল টেনে ধরলো।সায়রা আর তূর্যর মধ্যে একটু দূরত্ব। সায়রা ঘুরে তাকাতেই তূর্য বললো ”
_কি বললে ?
“সায়রা ভ্রু কুঁচকে বললো ”
_আমি আবার কি বললাম।
“তূর্য একটু একটু করে আরো কাছে এগিয়ে এলো সায়রার। সায়রা ও একটু পিছিয়ে গেলো। তূর্য একেবারে সায়রার দিকে ঝুকে দাড়িয়ে বললো ”
_আমি আমার বডি দেখিয়ে বেড়াই হু ?
“সায়রা ভরকে গেলো। এই লোক এই কথা ও শুনে নিয়েছে। সায়রা আমতাআমতা করতে বললো ”
_হে। অবশ্যই। বডি দেখিয়ে বেড়ান। আবার দোষ ও দিতে ভুলেন না।
“তূর্য হালকা হেসে। সায়রার কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বললো ”
_আমার বডি আছে তাই আমি দেখিয়ে বেড়াই। তুমি চাইলে তুমি ও দেখাতে পারো। প্রমিস। আমি একটু ও মাইন্ড করবো না।
“কথাটা সায়রার কর্নপাত হতেই সায়রা ধাক্কা দিয়ে তূর্যকে সরিয়ে দিলো ”
_ছিহ্। অসভ্য ঠোঁট কাটা লোক।
_তুমি বললে ঠিক। আমি বললেই অসভ্য।
_চুপ করুন। ছিহ্ ছিহ্।
“সায়রা রাগে গটগট করতে করতে চলে গেলো। তূর্য হেঁসে ফেললো। সায়রাকে রাগাতে বেশ লাগে। আজকে তূর্যর আর এতো বোরিং লাগছে না সব কিছু । একটার পর একটা কিছু ঘটিয়ে ই যাচ্ছে এই মেয়ে তার জীবনে। তূর্য নিজেও রেডি হয়ে নিলো। সায়রা যখন বের হলো তূর্য তখন জুতোর ফিতা বাঁধছে। সায়রা আজ তূর্যর আনা ড্রেস থেকে একটা ড্রেস পড়েছে। ড্রেস টা গোল ফ্রক এর মতো। সাদা রঙের। সাথে লাল রঙের ওরনা। সায়রার অনেক পছন্দ হয়েছে ড্রেসটা। তূর্য সায়রাকে দেখে চেয়ে রইলো। সায়রা চুলে বেনী করছে। তূর্য আগেই নিচে চলে গেলো।
সামর্থ্য বেগম খাবার টেবিলে বসে৷ তূর্য গিয়ে বসলো। সামর্থ্য বেগম বললেন ”
_সায়রা এলে না। ওর না আজ পরিক্ষা আছে।
“তূর্য নিজের খাবার খাচ্ছে। সায়রা তখনই একেবারে রেডি হয়ে নিচে নেমে। এলো। সামর্থ্য বেগম সায়রাকে দেখেই বললেন”
_তোকে তো এই ড্রেসে অনেক সুন্দর লাগছে রে। তূর্য এনে দিয়েছে বুঝি৷
“সায়রা তূর্যর দিকপ তাকালো। এখানে যে আরো দুটো মানুষ আছে। কতা বলছে তূর্য সেসব শুনছেই না মনে হচ্ছে। সায়রা আর কিছু না বলে নিজের খাওয়া শেষ করলো। তূর্য যখন বের হলো সায়রা ও সামর্থ্য বেগম এর কাছে থেকে বিদায় নিয়ে বের হলো। তূর্য গাড়ির সামনে দাড়ানো। সায়রা ওকে পাশ কাটিয়ে গেটের সামনে গিয়ে দাড়ালো৷ তূর্য গাড়ি নিয়ে গেটের সামনে এসে থামালো। সায়রা তাকাচ্ছে না তূর্যর দিকে। তূর্য বললো ”
_চলো নামিয়ে দেই।
_লাগবে না। আমি একাই চলে যেতে পারবো।
_ওকে।
“তূর্য গাড়ি টান দিয়ে চলে গেলো। এদিকে সায়রা অসহায়ের মতো চেয়ে রইলো। আরেকবার তো বলাই যেতো। আরেকবার বললেই সায়রা যেতো। হু বজ্জাত লোক। সায়রা রিকশা নিয়ে চলে গেলো ভার্সিটি ”
“নাফিস আজ অফিসে তাড়াতাড়ি এসেছে । মাথার মধ্যে শুধু জেরিন জেরিন করছে৷ ব্লক করেছে দুইদিন হয়ে গেলো। নাফিস আজ ভেবেই এসেছে৷ জেরিনকে তুলে আছার মারবে। মানুষের ইমোশন নিয়ে খেলা।
অফিসে ঢুকতেই ভাগ্যক্রমে জেরিন ই সামনে পরলো। জেরিন নাপিসকে দেখেই ছুটে পালাতে চাইলে নাফিস জপরিনের হাত চেপে ধরে এক কোনায় নিয়ে গেলো। জেরিন ছুটাছুটি করছে নাফিস হাত ছাড়ছে না ”
_হাত ছারুন আমার৷ কি করছেন কি।
_চুপ। আগে আমাকে ব্লক করার রিজন বলবা এরপর ছাড়াছাড়ি।
“জেরিনকে টেনে এমন জায়গায় নাফিস নিয়ে এলো। জায়গাটা এক তো ফাকা তার মধ্যে কোনো রেলিং ও নেই৷ নাফিস জেরিনকে একেবারে কোনায় নিয়ে হাত চেপে ধরে রেখে দাড়ালো। হাত ছেড়ে দিলে জেরিন নিচে পড়ে যেতে পারে। জেরিন ভয়ে শেষ। নাফিস ভ্রু নাচিয়ে বললো ”
_কি কেমন লাগছে এখন,,, ।
“জেরিন ভয়ে চুপসে আছে ”
_দেখুন। এখান থেকে পড়ে গেলে আমি মরেই যাবো।
_কিচ্ছু করবো না। শুধু ফোন নাম্বারটা দাও৷
“জেরিন বলে উঠলো ”
_জীবনে ও না।
_ফেলে দিবো কিন্তু ।
_না না। দিচ্ছি ।
“জেরিন গড়গড় করে ফোন নাম্বারটা বললো। এরপর বললো ”
_এবার যেতে দিন৷
_যেতে দিবো। কিন্তু একটা শর্তে।
_আবার কি শর্ত ?
_ব্লক খুলবে তারপর ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাবে। দশ,মিনিটের মধ্যে। বলো রাজি।
“জেরিন পড়েছে চিপা কলে। রাজি না হয়ে উপায় আছে। জেরিম বললো ”
_রাজি রাজি।
“নাফিস জেরিনের হাত টান দিলেই জেরিন নাফিসের বুকের সঙ্গে এসে বারি খেলো। নাফিস জেরিনের মাথায় হাত দিয়ে চুলগুলো একটু এলোমেলো করে দিয়ে বললো”
_এই তো গুড গার্ল। যাও কাজে যাও কটকটি।
” নাফিস হেসে চলে গেলো। এমনভাবে গেলো যেনো এতক্ষন এখানে কিছু ই হয়নি। অথচ সে জেরিনকে এই নয় তালা থেকে ফেলে দিতে চায়ছিলো। জেরিন ওর ডেস্কে এসে বসতে না বসতেই ওর ফোন বেজে উঠলো। জেরিন কল ধরতেই ওপাশ থেকে বললো ”
_এখনো আনব্লক হয়নি কেনো ?
“জেরিন দাঁতে দাঁত চেপে বললো ”
_করছি। ইতর লোক একটা৷
_ওকে সুইটু বায়।
“নাফিস কল কেটে দিলো। জেরিন ভাবছে সুইটু৷ এটা আবার কি। এই দামড়া বেটা সুইটু বললে কেমন শোনায় ”
“তূর্যর আজও মিটিং ছিলো। সঙ্গে নাফিস গিয়েছ। মিটিং শেষ করে বের হয়ে দুজনে গাড়িতে উঠলো। নাফিস বললো ”
_অফিসে যাবো ?
“তূর্য ঘড়িতে সময় দেখলো।দেড়টা বাজে। নাফিসকে বললো ”
_নাহ্। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চলো।
“নাফিস অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো ”
_ওখানে কেনো স্যার ?
_তুমি কি যাবে নাফিস।
“নাফিস আর কিছু বললো না। দুটোর সময়ি ওরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে আসলো। গারি থামতেই তূর্য আশেপাশে তাকালো। এতো মানুষ। এদিকে নাফিস বুঝতেই পারছে না কি হচ্ছে। ভার্সিটির সামনে এসে মেয়ে দেখার মতো অরুচি তূর্যর মতো মানুষের হবে না।
তূর্যর হুট করেই চোখ পড়লো সায়রা গেট থেকে একটু দূরে একটা ছেলের সঙ্গে দাড়িয়ে খুব হেসে হেঁসে কথা বলছে। দেখে মনে হচ্ছে খুব রসালো কথা হচ্ছে। তূর্য এই দৃশ্য দেখে কেনো যেনো সয্য করতে পারছে না। হাতের রগ ফুলে উঠেছে তূর্যর। ইচ্ছে করছে গিয়ে টেনে নিয়ে আসতে। তূর্য আর সয্য করতে পারছে না। শত হলেই সায়রা তার বউ। তূর্য গাড়ি থেকে নেমে গেলো। নাফিস চেয়ে রইলো। তূর্য কোথায় যাচ্ছে।
তূর্য হেঁটে সোজা সায়রা যেখানে দাড়ানো তার থেকে দু কদম পিছে দাঁড়িয়ে বললো ”
_সায়রা আজমীর ।
“সায়রা চেয়ে দেখলো সয়ং তূর্য দাঁড়িয়ে আছে। সায়রার হাসি উবে গেলো। সায়রার সাথে থাকা ছেলেটা ও অবাক হয়ে চেয়ে আছে। তূর্য হুট করে এগিয়ে এসে সায়রার হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে যেতে লাগলো গাড়ির দিকে। সায়রা বারবার হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করেও পাড়লো না ”
_কি করছেন কি আপনি। হাত ছাড়ুন৷
“তূর্য ছাড়লো না। একেবারে গাড়ির সামনে এসে পেছনের সিটে সায়রাকে বসিয়ে দিলো। নাফিস শুধু বসে বসে সিনারি দেখছে। তাহলেই বউয়ের জন্য ই এখানে এসেছে তূর্য ।
এদিকে সায়রার হাত তূর্য এমনভাবে চেপে ধরেছে সায়রা বললো ”
_হাতটা ছাড়ুন। ব্যথা লাগছে তো।
“তূর্য ছেড়ে দিয়ে সায়রার দিকে বাঘের ন্যায় তাকালো । সায়রা বললো ”
_আমি তো,,,,।
_সাট আপ। চুপ করে বসে থাকো।
“সায়রা আর কিছু বলতে পাড়লো না। যেভাবে তাকাচ্ছে। নাফিস গাড়ি চালাচ্ছে আর মিটমিট করে হাসছে। সাদমান শাহারিয়ার তুর্য জেলাস। বউ অন্য ছেলের সাথে কথা বলেছে বলে। এমন দিন ও দেখার ছিলো।
সায়রা চুপ করে বসে আছে। গাড়ির মধ্যে নিরবতা। নাফিস অফিসের এসে নেমে গেলো। তূর্য গিয়ে বসলো ড্রাইভিং সিটে। সায়রা এখনো পিছেই বসে আছে। তূর্য কিছু সময় চুপ করে থেকে বললো ”
_সামনে কি নিজেই আসবে। না কোলে করে আনবো।
“সায়রা রেগে আছে তবুও সামনে এসে বসলো। দুজনে দুজনের দিকে তাকাচ্ছে ও না। সায়রা একাই বিড়বিড় করছে। তূর্য সেসব কানে ও নিচ্ছে না।
বাসার সামনে এসে গাড়ি থামলো। সায়রা নেমেই যাচ্ছিলো তূর্য ওর ওরনা টেনে ধরে বললো ”
_আরেকবার অন্য ছেলের সাথে হেসে কথা বললে তোমাকে ওখানেই পুতে রেখে আসবো। যাও।
“কথাটা বলে ওরনাটা ছেড়ে দিলো। সায়রা ও কম নাকি৷ এক তো ওমন করে সবাট সামনে দিয়ে টেনে আনলো। এখন আবার হুমকি দিচ্ছে। সায়রা বললো ”
_দেখুন আপনি,,,,,,,,,,।
“সায়রা কথাটা শেষ ও করতে পারলো না। তূর্য বললো ”
_রাতে দেখবো। এখন যাও,,, ।
“তূর্যর কথা শুনে সায়রার চোখ বড় বড় হয়ে গেলো। ছিহ্। কি নেগেটিভ মাইন্ড এই লোকের। দেখলে বোঝার উপায় নেই। সায়রা এই কথার উওরে কিছু বললো না। হুট করেই তূর্যর হাতে নিজের নখগুলো দিয়ে আচর দিয়ে দিলো দৌড়।
তূর্য ওর হাতের দিকে চেয়ে রইলো। চারটা নখের দাগ বসে গেছে। এটা মেয়ে নাকি রে বাবা। তূর্য হেসে ফেললো। হাতের দাগগুলোর দিকে চেয়ে ।
তূর্য আবার গেছে অফিসে ”
“সন্ধার একটু আগ দিয়ে সায়রা বসার ঘরে বসে ছিলো। সদর দরজা খোলা। সায়রা দেখলো ছোট্ট একটা বিড়ালের বাচ্চা। একেবারে ধবধবে সাদা রঙের। সায়রা সঙ্গে সঙ্গে উঠো দৌড় দিলো বাইরে। বাইরে অনেক গাছ লাগানো৷ বিশেষ করে ফুলের গাছে। সায়রাকে দেখে বিড়ালের বাচ্চাটা একটা ঝোপের মধ্যে গিয়ে লুকিয়েছে। সায়রা সেখান থেকে বিড়ালের বাচ্চাটা ধরে কোলে করে বাড়ির ভেতরে নিয়ে এলো। চুমকি সায়রাকে বিড়ালের বাচ্চা কোলে নিয়ে ঘুরতে দেখে বললো ”
_আয় হায়, ভাবী এইটারে কই পাইলেন ?
“সায়রা বিড়ালের বাচ্চাটার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দওতে বললো ”
_বাগানে। দেখো কি কিউট না।
_হ, মেলা কিউট। কিন্তু ভাবী ও তো এহন ও অনেক ছোট খাওয়াইবেন কি ?
“সায়রা একটু ভাবলো। আসলেই তো। কি খাওয়াবে। পর মুহূর্তে সায়রার মনে পরলো যে বাসায় সায়রা টিউশন পড়াতে যেতো। তারা এমন বিড়াল পালতো। আর মাঝে মাঝে দেখতো পাউডার দুধ বা গরুর দুধ খাওয়াতে। সায়রা বললো ”
_গরুর দুধ আছে ?
_হ, আছে তো।
_একটা ছোট্ট বাটিতে করে নিয়ে এসো। দেখি খায় কিনা।
“চুমকি গেলো দুধ আনতে। সায়রা বিড়ালটাকে নিয়ে ফ্লোরেই বসলো। কি কিউট দেখতে বিড়ালটা। সায়রা ওর একটা নাম ও ঠিক করে ফেললো। ওর নাম টুকটুকি। বিড়ালটা সায়রা কোলে ই বসে আছে চুপ করে। চুমকি দুধ আনলো। সায়রা বাটিটা বিড়ালটার সামনে দিতেই একাই দুধ খেতে লাগলো। সায়রা আর চুমকি মনে মনে বেশ খুশি। সারা বিকেল ওদের এই বিড়াল নিয়ে ই কাটলো ”
“তূর্যর সারাদিন কাজের চাপের মধ্যে গিয়েছে৷ রাত আটটায়,অপিস থেকে বের হতে হয়েছে। বাড়ি ফিরেই সোজা নিজের ঘরে গেলো। সাওয়ার নিতে হবে। শরীর কেমন চিটচিটে হয়ে আছে। রুমে ঢুকেি দেখলো সায়রা বই নিয়ে পড়ছে বিছানায় বসে। তূর্যর হাতে ব্লেজার ছিলো সেটা বিছানায়৷ এক প্রকার ছুড়েই মারলো। কোনো দিকে না চেয়ে সোজা ওয়াসরুমে ঢুকলো। জামাকাপড় ও যে নেয়নি সঙ্গে তা ও মনে নেই। সায়রা শুধু দেখলো চেয়ে চেয়ে। ওর পাশেই টুকটুকি বসে আছে চুপটি করে।
তূর্য সাওয়ার অন করে দাড়ালো৷ পড়নে শুধু পেন্ট। সারাদিনের ক্লান্তি মনে হচ্ছে পানির সাথে ধুয়ে গড়িয়ে পড়ছে৷ তূর্য নিজের হাতের দিকে তাকালো। সায়রার দেওয়া নখের আচর এখনো দেখা যাচ্ছে কিছুটা।
তূর্য সেই আচরের উপর হাত বুলালো।
তূর্য সাওয়ার শেষ করে দেখলো ও কোনো জামাকাপড় ই আনেনি৷ শুধু একটা তোয়ালে আচে ওয়াসরুমে। তূর্য সেটা কোমরে পেচিয়ে বের হলো। যেই ওয়াসরুমের বাইরে পা রেখেছে ওমনেই মনে হলো ওর পায়ের নিচে কিছু পড়েছে। যেটা মিউ মিু করে উঠলো। তূর্য সঙ্গে সঙ্গে লাফিয়ে কয়েক কদম দূরে সরে গেলো। সায়রা এ কান্ড দেখে দৌড়ে এসে টুকটুকিকে তুললো। ভাগ্য ভালো লেজের মধ্যে পাড়া লেগেছে। তূর্য বিড়ালের বাচ্চা দেখে হা করে চেয়ে রইলো।সায়রা তূর্যর দিকে না চেয়েি বললো ”
_এখনি ই তো মরে যেতো আমার টুকটুকি। দানব লোক একটা। দেখে চলতে পারেন না।
_এটাকে কে এনেছে এখানে। আমার ঘরে বিড়ালের বাচ্চা কে এনেছে ?
_ওকে বিড়ালের বলবেন না৷ ওর নাম টুকটুকি।
_টুকটুকি মাই ফুট। ওকে ফেলে এসো এক্ষনি।
“সায়রা তূর্যর দিকে চেয়ে দেখলো তূর্য কেমন ভয়,পাচ্ছে। সায়রা বুঝলো তূর্য হয়তো বিড়ালের বাচ্চা ভয় পায়। সায়রার মাথায় হুট করে একটা বুদ্ধি এলো ”
_আপনি কি বিড়ালের বাচ্চা দেখে ভয় পান ?
“তূর্য আসলেই ভয় পায়। কিন্তু সায়রার সামনে তা প্রকাশ করতে চায়ছে না। তাই বললো ”
_নাহ্। আমি ভয় পাই না। তুমি এটা ফেলে এসো বাইরে।
“সায়রা ঠোঁট চেপে হাসলো। এবার খেলা জমবে। তূর্যকে একটু ভয়,দেখানো যাবে। সায়রা টুকটুকিকে তূর্যর দিকে এগিয়ে ধরলো। টুকটুকি মিউ মিউ করছে ”
_আরে একটু কোলে নিয়ে দেখুন না। কিচ্ছু বলবে না।
_তুমি এটা সরাও বলছি। সরাও প্লিজ ।
“সায়রার পেট ফেটে হাসি পাচ্ছে। সায়রা আরো একটু এগিয়ে গেলো। তূর্য পিছিয়ে যাচ্ছে। বিড়ালে তার ফোবিয়া আছে। সায়রা আরো একটু এগিয়ে যেতে যেতে বললো ”
_আরেহ্ কিচ্ছু হবে না। ও তো ছোট। ধরুন।
“তূর্য এবার দূরে সরে যেতে নিলে সায়রা হুট করে তূর্যকে আটকাতে গিয়ে তূর্যর তোয়ালের মধ্যে হাত দিয়ে টেনে ধরলো। তোয়ালে সঙ্গে সঙ্গে ঢিলে হয়ে গেলো। তোয়ালের গিটটাই খুলে যাচ্ছিলো।সায়রা বুঝে উঠার আগেই তূর্য সায়রার হাত ধরে টান দিলো। সায়রা গিয়ে তূর্যর বুকের উপর পরলো। এদিকে তূর্যর তোয়ালে কোমর থেকে খুলে যায় যায় অবস্থা। সায়রার হাত থেকে টুকটুকি নিচে পড়ে বেডের কোনায় গিয়ে লুকালো। এগিয়ে তূর্য সায়রাকে নিজের সঙ্গে আরো জোড়ে চেপে ধরলো দেখে সায়রা তূর্যর বুকে উপর হাত রেখে ধাক্কা দিতে লাগলো ”
_কি করছেন সরুন।
_ডোন্ট মুভ। তোয়ালে খুলে যাবে ইডিয়েট।
“সায়রা আবারো ধাক্কা দিলো। মূলত তোয়ালেটা যেখানে প্যাচ দিয়ে আটকে ছিলো। সেখান থেকেই টান খেয়ে ঢিলে হয়ে গেছে। সায়রাকে তূর্য নিজের সঙ্গে চেপে না ধরে রাখলে তোয়ালে একেবারে ই খুলে যাবে । সায়রা বারবার ধাক্কা দিচ্ছে তূর্যকে। তূর্যর দুই হাত ই সায়রার কোমরে। সায়রা ফের বললো ”
_ছাড়ুন আমাকে।
“তূর্য সায়রার দিকে চেয়ে বললো ”
_তোমাকে ছাড়লেই তোয়ালেটা খুলে যাবে ইডিয়েট। চুপ থাকো।
_খুলে যাক। তাতে আমার কি।
“তূর্য সায়রাকে নিজের সঙ্গে আরো জোড়ে চেপে ধরে বললো ”
_কেনো ? আমাকে নেকড দেখার অনেক শখ। তো চলো দেখাই ।
“কথাটা বলেই তূর্য চোখ মারলো। সায়রা কড়া চোখে চেয়ে বললো ”
_ছিহ্, অশ্লীল। সরুন।
“কথাটা বলে সায়রা মুখ অন্য দিকে ফিরিয়ে নিলো। বুকের ভেতর এখনো ধুকপুক করছে। তূর্য এদিকে সায়রার কানের কাছে মুখ নিয়ে কেমন করে যেনো বললো ”
_তোয়ালের গিটটা হাত দিয়ে চেপে ধরো। ছেড়ে দেবো তোমাকে।
“কথাটা সায়রার কানে যেতেই বুকটা আরো দ্রুত কাঁপতে শুরু করলো। হাত দিয়ে ধরবে মানে।।সায়রা চেয়ে দেখলো তোয়ালে অলরেডি বিপদসীমার মুখোমুখি। সায়রা মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে বললো ”
_আ,,আমি পারবো না।
_অঘটনটা তুমি ঘটিয়েছো। হয়তো ধরো। নয়তো,,,,,, ।
“সায়রা বুঝে গেলো তূর্য কি বলতে চায়ছে। এতো লজ্জা নেওয়া যাবে না। সায়রার হাত কাঁপছে রীতিমতো। সায়রা অন্যদিকে ফিরে তোয়ালে ধরতে হাত বাড়ালো। এখানে তূর্য আজ ইচ্ছে করে সায়রাকে এমন পরিস্থিতিতে ফেললো। তূর্য চায়লে হয়তো সব ঠিক করতে পারতো৷ কিন্তু সায়রাকে লজ্জায় ফেলতে ইচ্ছে হলো বিধায় ইচ্ছে করে এটা করলো। যেটা সায়রার ছোট্ট মস্তিস্কে এলো না। সায়রার হাতটা তোয়ালের কাছাকাছি নিতেই তূর্য বিড়বিড় করে বললো ”
_আবার অন্য কিছু চেপে ধরো না কিন্তু,,,, ।
“সায়রা কানে কথাটা যেতেই ওর ইচ্ছে করলো তূর্যকে খুন করে ফেলতে। এতো অশ্লীল কথা এই লোক বলতে পারে। সায়রা তোয়ালের গিটের জায়গাটা চেপে ধরেতেি তূর্য সায়রার কোমর ছেড়ে দিলো। সায়রা একটু সরে এলো। তূর্যর দিকে তাকাচ্ছে ও না।
তূর্য তোয়ালে ফোর কোমরের সাথে বেঁধে দাড়ালো। সায়রা তূর্যকে উদ্দেশ্য করে বললো ”
_আপনি কি জানেন ?
“তূর্য সায়রার দিকে একটু ঝুকে বললো ”
_কিহ্।
_একটা চরম লেভেলের ঠোঁট কাটা লোক। কিন্তু দেখে অতি ভদ্র মনে হয়।
“সায়রার কথা শুনে তূর্য হেসে ফেললো। হুট করেই সায়রার নাক টেনে নিয়ে বললো ”
_হিসেবে তুমি কিন্তু আমার বউ। আর বউয়ের সামনে ঠোঁট কাটা হওয়া জায়েজ।
_ইস,,,,,, । শয়তান লোক।
_এখন ইস ইস না করে। তুমি আর তোমার বিড়াল দুটোই আমার ঘর থেকে বের হও। গেট আউট।
“তূর্য জামাকাপড় নিয়ে ফের ওয়াসরুমে চলে গেলো। সায়রা কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে শুধু দেখলো। কিছু বললো না। সে কিছুতেই বের হবে না এই ঘর থেকে। আর টুকটুকি কে ও বের করবে না ”
চলবে,,,