(কঠোরভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য উন্মুক্ত)
#ম্যারেজ_প্রোপজাল
#অরিত্রা_অর্নি
#৩৩
“সায়রার রাতে ঘুম হয়নি। ভোরের দিকে সায়রা তূর্যর হাত নিজের উপর সরাতে নিতেই দেখলো তূর্যর হাত আগুনের মতো গরম হয়ে আছে। সায়রা সঙ্গে সঙ্গে উঠে বসলো। তূর্যর কপালে হাত রাখলো। তূর্য তখন মাথা যন্ত্রনায় ছটফট করছে। এদিকে জ্বরে তূর্যর শরীর পুড়ে যাচ্ছে। সায়রা বারবার কপালে হাত রাখায় তূর্য হালকা চোখ খুলে তাকালো। চোখ দুটো লাল হয়ে আছে। চোখে পানি ও টলটল করছে। সায়রা তূর্যর বুকের কাছে হাত নিতে গেলে তূর্য সায়রার হাত চেপে ধরল”
_কি করছো।
“তূর্যর কথা সায়রা শুনলো না। তূর্যর দিকে ঝুকে তূর্যর কপালে হাত রেখে বললো ”
_আপনার এতো জ্বর এলো কি করে। শরীর জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে।
“তূর্য কিছু বললো না৷ আধা রাত গাড়ি চালিয়েছে। এখন এই জ্বর। তূর্য তাকাতেই পারছে না ভালো করে। সায়রা উঠে গেলো। আগে রুমের লাইট জ্বালিয়ে দিয়ে। একটা বাটিতে করে পানি আনলো। তূর্যর রুমাল নিয়ে আবার বিছানায় এলো। তূর্য মাথা চেপে ধরে শুয়ে আছে। সায়রা এসে তূর্যর মাথার কাছে বসলো। রুমালটা পানিতে ভিজিয়ে সেটা তূর্যর কপালে দিলো ”
_চুপ করে শুয়ে থাকুন প্লিজ। আপনার অনেক জ্বর শরীরে। আমি ঔষধ আনছি।
“তূর্যর ঘরে সব ই রাখা থাকে। সায়রা খুজে খুজে ঔষধ এর বক্স বের করলো। আপাতত নাপা দিয়ে ই কাজ চালাতে হবে। সায়রা একটা নাপা নিয়ে এক গ্লাস পানি নিয়ে ফের বিছানায় এলো। তূর্য চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে। সায়রা এসে কপাল থেকে রুমালটা উঠিয়ে দেখলো একেবারে গরম হয়ে আছে। সায়রা আবার রুমাল ভিজিয়ে তূর্যর দিকে ঝুকে কপালে দিতে গেলেই তূর্য চোখ খুলে তাকালো। সায়রা রুমালটা আর দিলো না। তূর্যর দিকে চেয়ে বললো ”
_অনেক বেশি কষ্ট হচ্ছে ? ঔষধ এনেছি। একটু খেয়ে নিন কষ্ট করে জ্বর ছেড়ে দেবে।
“তূর্য আস্তে করে উঠে বিছানার সঙ্গে হেলে বসলো। চোখে মুখে অন্ধকার দেখছে। সায়রা তূর্যর কাছে এসে বসলো। ঔষধটা তূর্যর দিকে এগিয়ে দিলে তূর্য ঔষধ নিতে গিয়ে সায়রার দিকে তাকালো। সায়রার তূর্যর একেবারে কাছে। এদিকে সায়রার শরীরে ওরনা নেই। তূর্যর চোখ সায়রার শরীরের দিক গেলো।
নরীর শরীরের প্রতিটা ভাজ বোঝা যাচ্ছে। বিশেষ করে বুকের দিকটায়। তূর্য চোখ সরিয়ে নিলো। ওইদিন রাতের পর থেকে তূর্য এমনিই নিজের সমস্ত ধৈর্য হারিয়েছে। ওইভাবে নিজের বউকে দেখা পর। কাছে পাওয়ার পর যে তূর্য সায়রাকে ছেড়ে দিয়েছিলো এই ভেবে যে তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক নয়৷ সায়রা তাকে ভুল বুঝবে। ওই অবস্থায় তূর্য নিজেকে কি করে সামলে ছিলো তূর্য জানে। এতো যন্ত্রনা। তূর্য ফের সেসবের মুখোমুখি হতে চায় না৷ সায়রাকে তূর্য ছাড়ছে না এটা তূর্য নিশ্চিত। কিন্তু এখনো যে সায়রা তা বুঝেনি৷
তূর্য সায়রার দিক থেকে চোখ সরিয়ে নিয়ে ঔষধটা খেয়ে নিলো। পানির গ্লাসটা সায়রার,দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো ”
_সরে বসো।
“সায়রা অবাক হয়ে গেলো। এমনভাবে বলছে যেনো সায়রা তূর্যর কোলে উঠে বসেছে। সায়রা ও ঘাড়ত্যাড়া। সে সরলো না ”
_কেনো ? কি সমস্যা ?
_আমার সমস্যা। অনেক সমস্যা। সরে বসো।
_কি সমস্যা শুনি ?
“তূর্য এবার সায়রার দিকে তাকালো। দাঁতে দাঁত চেপে বললো ”
_আমার সমস্যা বললে তুমি বুঝবে ? বুঝলে আমার এতো কষ্ট করতে হতো।
“সায়রা কথাগুলো শুনে মনে মনে বকলো। সায়রা এসেছে একটু সাহায্য করতে। সায়রা একটু সরে বসলো৷ তূর্য ওইভাবেই বসে রইলো। ঘড়িতে দেখলো সারে চারটা বাজে। তূর্য বসে আছে তাই সায়রা ও বসে রইলো। তূর্য চোখ বন্ধ করে বসে আছে।
ঔষধ খাওয়ার দরুন একটু পড়েই তূর্যর জ্বর ছাড়তে শুরু করেছে। শরূর ঘেমে যাচ্ছে। তূর্য হাসফাস করতে লাগলো। কপাল ভিজে উঠেছে । সায়রা তূর্যর দিকে চেয়ে দেখলো তূর্য কেমন যেনো করছে৷ সায়রা এগিয়ে গেলো আবার তূর্যর কাছে। তূর্য কপাল মুছছে
সায়রা এগিয়ে গিয়ে তূর্যর কপালে হাত রাখলো। জ্বর ছেড়েছে “.
_জ্বর ছেড়েছে। একটু শান্ত হয়ে বসুন। বেশি খারাপ লাগলে টি শার্ট টা খুলে ফেলুন ।
” তূর্য টি শার্ট খুলে ফেললো। রুমে এসি চলছে তবুও গরম লাগছে। সায়রা তূর্যর দিকে তাকালো। খালি গায়ে। তার মধ্যে পুরো শরীর ঘেমে ভিজে উঠছে৷ সায়রা তূর্য টি শার্ট দিয়ে তূর্য একেবারে সঙ্গে ঘেসে বসে শরীর মুছতে লাগলো। ঘাম শরীরেই শুখিয়ে গেলে আবার জ্বর আসতে পারে। সায়রা তূর্যর শরীরে হাত দিতেই তূর্য যেনো একটা সক খেলো। শরীরটা তার কেঁপে উঠলো। সায়রা সেসব বুঝলো না। তূর্য সায়রার দিকে তাকালো। মুখ থেকে গলা। এরপর তূর্যর চোখ যেখানে পড়লো। সায়রা যতোবারই তূর্যর দিকপ ঝুকেছে তূর্যর চোখ এমন জায়গায় পড়েছে। তূর্য চেয়ে ও চোখ সরাতে পারেনি। তূর্য আর নিজেকে ধরে রাখতে পারছে না। সায়রার হাত ধরো টান দিয়ে তূর্য সায়রাকে নিজের বুকের উপর ফেলে দিলো।
সায়রা চমকে গেলো। তূর্যর চোখের দিকে তাকালো মাথা তুলে। তূর্যর চোখে কেমন ঘোর লাগা দৃষ্টি। জ্বরের ঘোরে নাকি অন্য কিছু। তূর্য সায়রার দিকে চেয়ে। অস্পষ্ট স্বরে বললো ”
_ওরনা কোথায় তোমার ? ড্রেস এর গলা এতো বড় কেন ? উফ। কেন এভাবে আসো আমার সামনে। কেন?
“তূর্য কেমন অস্থির অস্থির করছে। সায়রার এবার খেয়াল হলো সে এতোটা সময় ওরনা ছাড়া ছিলো।
সায়রা তূর্যকে সরিয়ে দিয়ে উঠতে চাইলো। তূর্য সরলো না৷ উল্টো বলে উঠলো ”
_ড্রেসর গলা ছোট করবে। নাহলে ভেতরের সুন্দর জিনিস চোখে পড়ে আমার৷ উফ, মাথা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আমার৷ কালো রঙে এতো সুন্দর লাগছে। ইস, এতো সুন্দর কেন তুমি ?
“সায়রা রীতিমতো ভয়ে কাঁপছে। সাথে লজ্জা লাগছে। ইস তূর্য কি দেখে নিয়েছে।
তূর্য এবার সায়রার কোমরে হাত রেখে আরো শক্ত করে চেপে ধরলো। সায়রা পারছে না চিৎকার করতে। তূর্য তাকে এভাবে দেখছে কেন। তূর্য ধিরে ধিরে সায়রার কোমর স্লাইড করতে লাগলো। সায়রা কেঁপে ই যাচ্ছে। তূর্য জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভেজালো। সায়রা চোখ নামিয়ে নিলো। তূর্য যেনো নিজের মধ্যে নেই। থাকার কথা ও নয়। অনাকাঙ্ক্ষিত জিনিস এর স্বাদ একবার পেতে শুরু করলে সেটার উপর সবার আগ্রহ বেড়ে যায়। তূর্য তো পুরুষ মানুষ। প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ সে। নিজেকে ধরে রাখা সব থেলে কঠিন মনে হয় তূর্যর এখন।
সায়রা তূর্যকে হালকা করে ধাক্কা দিলো ”
_ছাড়ুন আমাকে।
“তূর্য ছাড়লো না। উল্টো সায়রাকে নিয়ে শুইয়ে পড়লো। সায়রা নিচে। তূর্য সায়রার দিকে ঝুকে। সায়রা বুঝতে পারছে না কি হচ্ছে। সেদিন সায়রা হুসে ছিলো না। আজ সায়রা তূর্যকে এমন উওলা হতে দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছে। সায়রা কয়েকবার তূর্যকে নিজের উপর থেকে সরাতে চাইলো। তূর্য সায়রার হাত দু’টো এক সঙ্গে করে বিছানার সঙ্গে চেপে ধরলো। এই জ্বরের শরীরে ও এতো শক্তি। সায়রার দিকে তাকালো তূর্য। দুজনেই দু’জনের দিকে চেয়ে আছে। তূর্য হুট করেই একটা চুমু খেয়ে বসলো সায়রার ঠোঁটে। সায়রা নিজের সব শক্তি হারিয়ে ফেলছে। তূর্য ফের ঠোঁট নামাতে লাগলো সায়রার দিকে। সায়রা মুখ ফিরে অন্যদিকে ঘরে গেলো। তূর্য হাসলো একটু। সায়রার গাল চেপে ধরলো এক হাত দিয়ে। ঘোর লাগা কন্ঠে বললো ”
_বাঁধা দিও না প্লিজ । মরে যাবো আমি।
“তূর্য অধৈর্য হয়ে উঠলো। আঁকড়ে ধরলো সায়রার নরম ঠোঁট জোড়া। পাগলের মতো চুমু খেতে লাগলো। তূর্য যতো গভীরে যেতে লাগলো সায়রা ততো ছটফট করতে শুরু করলো। সায়রার নিচের ঠোঁট জোড়া বোধহয় তূর্য আজ ক্ষতবিক্ষত করে তবেই ছাড়বে৷ সায়রা হাত তূর্যর হাতে বাঁধা। সায়রা বুঝতে পারছে না তূর্যর এমন পাগলামি কেনো? অথচ তূর্য তার কাজে চলমান। সায়রাকে নিঃশ্বাস নেওয়ার সময়টুকু দিচ্ছে না। অনেকটা সময়ের পর তূর্য একটু ছাড়লো সায়রার ঠোঁট। ততক্ষণে সায়রার ঠোঁট রক্তিম হয়ে উঠেছে। তূর্য একটু ছাড় দিতে ই সায়রা তূর্যকে ফের বাঁধা দিতে চায়লো ”
_তূর্য এটা,,, আপনি,,,,।
“তূর্য অশান্ত। বড্ড অশান্ত সে৷ সায়রাকে কাছে পাওয়ার নেশা চরে বসেছে। তূর্য সায়রার ঠোঁটে সঙ্গে সঙ্গে চুমু খেলো। আবার ছাড়লো। সায়রা ফের কিছু বলতে নিলে আবার আঁকড়ে ধরলো তূর্য সায়রার ঠোঁট। সায়রা আর পারছে না৷ তূর্য এর থেকে বেশি কিছু করার আগে তূর্যকে থামাতে হবে৷ এই লোক সব ভুলে বসেছে। তাদের কি সম্পর্ক সব ভুলে গেছে। সায়রা কি করে এসব সইবে। তূর্য আবার সায়রার ঠোঁট ছাড়লো। সায়রা এবার তূর্যর দিকে চেয়ে বললো”
_কেন এমন করছেন আপনি। আপনি ভুল,,,,।
“তূর্য বলতে দিলো না পুরো কথা। তার আগেই বললো ”
_হুস, কোনো ভুল করছি না আমি। তুমি আমার ধৈর্য ভেঙে দিয়েছো। তুমি এভাবে আমার সামনে আসবে। আমি কি আমার মস্তিস্ক দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখবো।
_তূর্য আমাদের সম্পর্ক,,,,, ।
_সব ঠিক আছে৷ প্লিজ বাঁধা দিও না। চুমু খেতে দাও। ওই ঠোঁটের স্বাদ আমায় উন্মাদ করে দিয়েছে।
“তূর্যর ঘোরের মাঝে বলা প্রতিটা বাক্য সায়রাকে দু টানায় ফেলে দিচ্ছে। তূর্যর এবার সায়রার গলায় মুখ ডুবালো। সায়রা তূর্যর চুলগুলো আঁকড়ে ধরলো। কি হচ্ছে তার সাথে এসব। তূর্য কেন তাকে দূর্বল করে দিচ্ছে। সায়রা মায়ায় পড়ে যাচ্ছে তূর্যর।
তূর্য সায়রার গলায় ঘারে অসংখ্য চুমু খেয়ে যাচ্ছে।সায়রা যতো তূর্যর চুল আকড়ে ধরছে তূর্য ততো গভীরভাবে চুমু খাচ্ছে। গলায় লিক করতে শুরু করলো একটা সময় তূর্য। সায়রা ছটফটিয়ে উঠলো। এসব কি করে সইবে মেয়েটা। এদিকে শারীরের সব ভার সায়রার উপর ছেড়ে দিয়েছে। সময় গেলো। ধিরে ধিরে তূর্য কেমন শান্ত হয়ে এলো। সায়রা একটু সময় পর অনুভব করলো তূর্য আর নড়ছে না। সায়রাকে জরিয়ে ধরে রেখে ওভাবেই ঘুমিয়ে পড়েছে। সায়রা হয়তো ভাবলো তূর্য ঘুমিয়ে গেছে। কিন্তু সায়রা বুঝলো না তূর্য ইচ্ছে করে থেমে গেলো। এই সময়ে না থামলে তূর্য আরো বেশি করে ফেলতো। যেটা করলে সায়রার চোখে তূর্য অপরাধী হয়ে থাকতো। তূর্য ওইভাবেই ঘুমিয়ে রইলো সায়রার গলায় মুখ গুজে।
কিন্তু সায়রা। বুকটা ফেটে যাচ্ছে তার। তূর্য এভাবে কাছে আসায় নয়। তূর্যকে নিজের করে না পাওয়ায়।
তূর্যকে সায়রা কখনোই পাবে না। পাওয়া সম্ভব নয়৷ এভাবে সায়রা যতোদিন থাকবে। ততোদিন তূর্যর জন্য তার ভেতরে মায়া বাড়তে থাকবে৷ আজ সায়রা কতোভাবে বাঁধা দিতে চাইলো তূর্যকে। তাদের সম্পর্কটা যদি আর সবার মতো হতো। ওই ডিল নামক কাগজখানা না থাকতো। সায়রা পারতো তূর্যকে বাঁধা দিতে।
সায়রার ঘুম হলো না। কখন ভোর হবে ? সূর্য কেন এখনো উঠছে না ”
“সকালে তূর্যর ঘুম ভাঙলো দেড়ি করে। ঘুম থেকে উঠেই ভেবেছিলো সায়রাকে দেখবে৷ কিন্তু রুমে কোথাও সায়রা নেই। কাল রাতের কথা মনে হলো। তূর্য বিছানা থেকে নেমে টি শার্ট পড়ে নিয়ে ওয়াসরুমে গেলো। জ্বর এখন নেই বললেই চলে। কিন্তু মনটা অস্থির। তূর্য সাওয়ার নিলো। সায়রার কথা শুধু মাথায় ঘুরছে। ইদানীং তূর্যর মনে হচ্ছে ওর জীবন সায়রা ময় হয়ে উঠেছে। তূর্য সাওয়ার নিয়ে বের হয়ে একেবারে রেডি হয়ে নিচে গেলো। সায়রা হয়তো নিচেই হবে। কিন্তু নিচে নেমে ও দেখলো সায়রা নেই। সামর্থ্য বেগম কে ও দেখলো না। চুমকি শুধু টুকটুকি নিয়ে বসে আছে। তূর্যকে দেকে চুমকি দাড়িয়ে গেলো
তূর্য বললো ”
_তোর ভাবীকে দেখেছিস ?
_ভাবী তো সেই কোন সকালে বাইর হইয়া গেছে। কইলো কি নাকি কাজ আছে।
“কথাটা শুনে তূর্য ভ্রু কুঁচকে ফেললো। কাজ আছে বলে বেরিয়েছে। আজ অফিস খুলেছে। সায়রার এমন কি কাজ পড়ে গেলো । তূর্য বেরিয়ে গেলো নাস্তা না করেই। গাড়ি চালাতে চালাতেই কয়েকবার সায়রার ফোনে কল করলো। রিং হচ্ছে কিন্তু সায়রা কল ধরছে না। এদিকে তূর্যর জান বেরিয়ে যাচ্ছে। অফিসে পৌছানোর আগেই নাফিসকে কল করলো
সায়রা অফিস গিয়েছে কিনা জিজ্ঞেস করতে। নাফিস জানালো সায়রা অফিসে যায়নি। এবার তূর্য আরো অস্থির হচ্ছে। এই মেয়ে তাকে একটু ও শান্তি দিবে না নাকি। তূর্য দ্রুত গাড়ি চালাচ্ছে আরেক হাতে সায়রার ফোনের লোকেশন ট্র্যাকিং করলো। সায়রার ফোনের লোকেশন অনুযায়ী সায়রা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছুটা সামনে কোনো এক জায়গায়। তূর্য দ্রুত গাড়ি চালাচ্ছে। আজ একবার ওই মেয়েকে হাতের পাক।
সায়রার লোকেশন তুরাগ নদীর আশেপাশে দেখাচ্ছে। এখন। তূর্য রাগে শুধু ফুসছে। এই অসুস্থ শরীর নিয়ে এই মেয়ের পেছনে দৌড়াতে হচ্ছে।
তূর্য তুরাগ নদীর ওখানে এসে ও সায়রাকে দেখলো না। আরো একটু সামনে গেলো। একটা বড় ব্রিজ আছে। মানুষের যাতায়াত কম। তূর্য সেখানে যেতেই দেখলো সায়রাকে। ব্রিজ এর রেলিং এর উপর বসে আছে পা ঝুলিয়ে। তূর্যর এতো রাগ হচ্ছে। এই সকালে এই মেয়ে এই নদীর পারে কি সিনেমা করতে এসেছে৷
নাকি কাল রাতে চুমু খাওয়ায় এখানে শোক প্রকাশ করতে এসেছে। তূর্য গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে এসে সায়রার ঠিক পেছনে দাঁড়ালো। সায়রা নদীর দিকে চেয়ে আছে। তূর্য বলে উঠে বললো ”
_এখানে কি মরতে এসেছো ?
“তূর্যর কন্ঠ শুনে সায়রা চমকে উঠলো। পেছন ফিরে চেয়ে দেখলো তূর্য দাঁড়িয়ে আছে। সায়রার দিকে রাগী রাগী দৃষ্টিতে চেয়ে। সায়রা বললো ”
_আপনি এখানে ? আপনি এখানে কেনো এসেছেন ?
“তূর্য কিছু না বলে এগিয়ে এলো। সায়রা ব্রিজ এর উপর বসে। তূর্য সাইডে দাড়ালো। নিচে দিকে চেয়ে দেখলো পানি আছে ভালোই। সায়রা চুপ করে আছে। তূর্য বললো ”
_এখান থেকে পড়লে মরবে না। আর একটু উঁচু থেকে পড়লে নিশ্চিত মরবে।
“সায়রা তূর্যর দিকে তাকালো। লোকটার এমন ভাব যেনো তার কিছুই মনে নেই। মাথায় নেই। সায়রা বললো ”
_আপনি জানলেন কি করে আমি এখানে ?
“তূর্য সামনের দিকে চেয়েই বললো ”
_সব ঠিকঠাক ই করেছিলে। ফোনটা হয়তো বন্ধ করতে ভুলে গিয়েছিলে।
“পরপর সায়রার দিকে শান্ত দৃষ্টি রেখে বললো ”
_নামো এখান থেকে।
_নাহ্। আপনি যান। আমার ভালো লাগছে না।
“তূর্য সায়রার কথা শুনলো না। সায়রাকে ওই বসা অবস্থায় ই কোলে নিয়ে নিলো। এরপর নামিয়ে দিয়ে সামনে দাড় করিয়ে দিলো। সায়রার এবার কান্না পাচ্ছে। তূর্য কেন তাকে বুঝতে পারছে না। সায়রা বললো ”
_ছাড়ুন আমাকে।
“তূর্যর রাগ বাড়লো। এই মেয়ে এতোটা সময় তাকে অস্থির করে রেখে এখন এমন করছে। তূর্য সায়রার গাল চেপে ধরলো ”
_কেন এমন করছো তুমি ? তোমার কোনো আইডিয়া আছে এতক্ষন আমি কি অবস্থায় ছিলাম। বাড়িতে নেই। অফিসে যাওনি। কোথায় খুঁজতাম আমি তোমায় ? হু। বলো কোথায়?
“সায়রা তূর্যকে ধাক্কা দিলো। তূর্য একটু ও সরলো না। সায়রা কেঁদে ফেললো। গালে এতো জোড়ে তূর্য চেপে ধরেছে। সায়রা বলতে লাগলো ”
_কেনো খুজেছেন আমায় ? খুজবেন না আর আমাকে। আমি করবো না আর আপনার চাকরি। আর না থাকবো কোনো ডিলে। আপনার টাকা আমি ফিরিয়ে দেবো যেভাবে পারি। থাকবো না আমি আপনার সঙ্গে। আমাকে পুতুল মনে হয় আপনার৷ মানুষ নই আমি। আমার মন নেই। চলে যান আপনি।
” তূর্য অবাক হয়ে শুনছে কথাগুলো। সায়রার হাত চেপে ধরলো তূর্য ”
_কি বলতে চাইছো তুমি ? আমাকে পাগল মনে হয় তোমার ইডিয়েট।
_নাহ্ আমার নিজেকে পাগল মনে হয় তূর্য। দূর্বল হয়ে যাচ্ছি আমি আপনার উপর বুঝতে পারছেন না আপনি। আরো দূর্বল হয়ে যাবো। আপনার কি। আপনার কাছে এই সম্পর্ক শুধু মাএ একটা ডিল। ডিল শেষ। আপনি ও আর থাকবেন না।
আমি ভেবেছিলাম কিচ্ছু হবে না। চাকরির মতো ই তো ডিল টা। কিন্তু আমি ভুল। এটা আর ডিলের মধ্যে আমি রাখতে পারছি না। আপনি আমার কাছে এলে আমি অস্থির হই তূর্য। আপনার সাথে থাকলে ভুল হবে। সব ভুল হয়ে যাবে। আপনি একদিন সব ভুলে যাবে,,,,,।
“তূর্য আর বলতে দিলো না সায়রাকে। তার আগেই সায়রার ঠোঁট নিজের আয়ওে করে নিলো। সায়রার চোখ বন্ধ করে ফেললো। সঙ্গে সঙ্গে গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়লো পানি। তূর্য গভীর এক চুমু খেলো সায়রার ঠোঁটে। পরপর সায়রার ঠোঁট ছেড়ে সায়রার কপালে চুমু খেলো। সায়রার গালে দুই হাত রেখে অস্থির কন্ঠে বললো ”
_এদিকে আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারছি না৷ আর তুমি আমাকে রেখে যাওয়ার ফন্দি করছো মেয়ে। আজ থেকে মনে রাখবে তুমি আমার। শুধু আমার। কোনো ডিল নেই। কিচ্ছু নেই।
কোথাও যেতে দেবো না তোমাকে।
“সায়রা নিজে এবার আরো অবাক হচ্ছে। এই লোক ও তার জন্য পাগল হয়ে বসে আছে। তূর্য এই মুহুর্তে একটা কাজ করে বসলো। সায়রার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে পড়লো। কোনো রিং নেই। একটা ফুল ও নেই। তাতে কি। হাত আছে তো। তূর্য সায়রার দিকে নিজের হাতটা বাড়িয়ে দিলো। আকুল কন্ঠে বলে উঠলো ”
_ আমি জানিনা কিভাবে ম্যারেজ প্রপোজাল দিতে হয়। এটাই ফাস্ট এন্ড এটাই লাস্ট। ডিল করলে ও বিয়ে কিন্তু করেছি। আমার বিয়ে করা বউ। এবার কি এই অধমকে তিন কবুল বলে বিয়ে করবেন ? কথা দিচ্ছি আদর করা ছাড়া আর কখনো কাঁদাবো না। সব সময় নিজের সঙ্গে মিশিয়ে রাখনো। বুকের মধ্যে রাখবো।
প্লিজ ম্যাডাম একটা সুযোগ দিন এই অধমকে।
“পরপর তূর্য বলে উঠলো ”
_উইল ইউ মেরি মি, সায়রা আজমীর? উইল ইউ স্টে বাই মাই সাইড আনটিল মাই লাস্ট ব্রেথ? আই ওয়ান্ট টু সি মাই ফিউচার উইথ ইউ।
“সায়রা হা করে চেয়ে আছে। তূর্য এমন করবে সে কখনো ভাবেনি। আসলেই তূর্য এসব বলছে। সায়রা এবার কি বলবে। সে তো মায়া যাতে না বাড়ে তাই চলে এসেছিলো। এখন তো জীবন এক সঙ্গে বাঁধার
সায়রা কিছু বলছে না দেখে তূর্য হাত বাড়িয়ে ই বসে আছে। সায়রা এবার তূর্যর হাতে হাত রাখলো। চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। ভাঙা কন্ঠে বললো ”
_ইয়েস আই উইল।
“তূর্য সায়রার হাতে একটা চুমু খেলো। সায়রার কাছে মনে হচ্ছে কোনো সিনেমা। এসব সে সিনেমায় দেখেছে। তূর্য উঠে দাড়িয়ে ই সায়রার হাত চেপে ধরে নিয়ে যেতে লাগলো। সঙ্গে ফোন বের করে নাফিসকে কল দিলো। সায়রা বললো ”
_কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন ?
_বউকে পারমানেন্টলি নিজের করে নিতে। ধৈর্য নেই আর।
“তূর্য সায়রাকে নিয়ে গেলো সোজা কাজি অফিসে। যেখানে আগে থেকেি নাফিস ছিলো। সব ঠিক করাই ছিলো। অবশেষে কাজি দিয়ে তূর্য সায়রাকে পনেরো লক্ষ একশত এক টাকা কাবিনে তিন কবুলে বাঁধলো।
তূর্যর মতে কাবিন কম হয়ে গেছে। কিন্তু নাফিস বললো এটা যথেষ্ট।
সায়রা শুধু তূর্যর কান্ড দেখে যাচ্ছে। এক সেকেন্ড এর জন্য ও সায়রার হাত ছাড়ছে না৷ সায়রা বারবার হাত ছাড়াতে চেষ্টা করছে। তূর্য ছাড়ছে না। নাফিস তূর্যর সামনে গিয়ে বললো ”
_এবার কোথায় যাবেন স্যার ?
_অফিসে যাবো।
“নাফিস আবুলের মতো চেয়ে থেকে বললো ”
_বিয়ে করে,, সোজা অফিস৷
“তূর্য নাফিসের ঘারে হাত দিয়ে কানে কানে বললো ”
_বাসর রাতে হয়। দিনে গিয়ে কাজ কি৷ অফিসে চলো।
“নাফিস চোখ বড় বড় করে চেয়ে আছে। তূর্য এমন কথা বলছে। তূর্য। এটাও সম্ভব । তূর্য গাড়িতে গিয়ে উঠলো। সায়রা ও গিয়ে উঠলো। তূর্যর মনটা হালকা লাগছে। সেদিনের সে দোকানদার লোকটার কথা মনে পড়ছে। এখন নিশ্চয়ই আর সায়রা হারিয়ে যাবে না। তূর্য এক হাত দিয়ে ড্রাইভ করছে আরেক হাত দিয়ে সায়রার হাত ধরে রেখেছে।
সায়রার কাছে সব কেমন অবিশ্বাস্য লাগছে। আজ থেকে তাদের মধ্যে আর কোনো ডিল নেই। সত্যি তূর্য তার বর ”
“অফিসে এসে তূর্য নিজের কেবিনে চলে গেলো। সায়রা নিজের ডেস্কে। এদিকে জেরিন তিনদিন পর বান্ধুবিকে পেয়ে খুশিতে এসে জড়িয়ে ধরলো ”
_তুই এতো স্বার্থপর কেন রে সায়রা। তিনদিন তোকে কতোগুলো মেসেজ দিয়েছি। একটা ও দেখিসনি।
_আমি বিজি ছিলাম রে।
_সে যাই হোক। তোকে না আনার একটা কথা বলার আছে।
“সায়রা নিজে ও চায়ছে আজকের ঘটনা জেরিনকে বলতে। এনার তো আর লুকিয়ে রাখার কিছু নেই। সায়রা বললো ”
_তোকে ও আমার কিছু বলার আছে।
_কি বলিস। তুই তাহলে আগে বল।
_নাহ্। তুই আগে বল।
“জেরিন বলতে নিবে ওর কথা তখনই ম্যানেজার রকিব এসে দিলো ধমক জেরিনকে। কাজ রেখে গল্প করছে। হেরিন বললো পড়ে বলবে। সায়রা ও ঠিক করলো সময় ৃতো বলে দিবে ”
“এদিকে তূর্য কেবিনে এসে কাজ রেখে ডায়মন্ড এর রিং দেখছে অনলাইনে। একমাত্র বউ তার। রিং দিয়ে ও প্রোপজ করতে পারেনি৷ এতো টাকা রেখে হলো কি। নাফিসকে ও দেখাচ্ছে। এমন সময় হুট করে কেবিনে রুহানি ঢুকলো। তখন ফোন নাফিসের হাতে ছিলো। রুহানি এসেছিলো তূর্যর সঙ্গে দেখা করতে।
নাফিসের হতের ফোনের দিকে চোখ যেতেই দেখলো একটা সুন্দর ডায়মন্ড এর রিং এর ছবি। রুহানি অবাক হয়ে বললো ”
_রিং কার জন্য দেখছিস ?
“তূর্য কিছু বলার আগেই নাফিস বলে উঠলো ”
_স্যার এর বউয়ের জন্য ।
“কথাটা শুনে রুহানি চোখ ছোট ছোট করে নাফিসের দিকে তাকালো ”
_বউয়ের জন্য ?
_নাহ্ মানে। হবু বউয়ের জন্য। যখন বিয়ে করবে তখন দেবে।
“রুহানি এবার হেসে দিলো ”
_ও আচ্ছা। তাই বলো। আমি দেখি কোনটা পছন্দ হচ্ছে।
“নাফিস রুহানিকে রিংটা দেখালো। তূর্য বিরক্ত হচ্ছে। এই মেয়েটা তার কাটা হচ্ছে। রিংটা দেখে রুহানি ও বললো এই রিংটা ই সিলেক্ট করতে। রিংটার দাম অনেক বেশি। তবুও। রুহানি মনে মনে বেশ খুশি। বিয়ে তো সে তূর্যকেই করবে। এই রিংটা ও একদিন তার ই হবে। তাই তো কৌশলে নিজেই পছন্দ করে নিলো। রুহানি খুশি মনে বেরিয়ে গেলো কেবিন থেকে। তূর্য এবার বলে উঠলো ”
_আমি রুহানিকে বিষয়টা জানাতে চাইছি। ও শুধু শুধু সপ্ন দেখে যাচ্ছে ।
_এখনই জানানোর দরকার নেই স্যার। জানেন ই তো আধা পাগল। আপনি মন দিয়ে সংসার শুরু করুন। ও এতো ইম্পরট্যান্ট কিছু তো না।
“তূর্য কিছু বললো না। নাফিস ফের বললো ”
_কিন্তু স্যার আমার মনে একটা আফসোস রয়ে গেলো ।
_কিসের ?
_আপনার বিয়েটা আমি খেতে পারলাম না। শালার দুইবার বিয়ে করলেন। সাক্ষী ও রইলাম। মিষ্টি ও পেলাম না।
“তূর্য হেসে ফেললো। নাফিস তার সব সময় সঙ্গ দিয়েছে। তূর্য যখন যেখানে বলেছে ছুটে গেছে। একা হাতে সব করেছে। তূর্য বললো ”
_আমার বিয়েতে দুইবার সাক্ষাী হয়ে থাকার জন্য তোমাকে আমি তিনগুণ বেতন বাড়িয়ে দিলাম নাফিস। একগুন বোনাস।
“নাফিস খুশি হয়ে গেলো। সামনে বিয়ে করতে হবে। অনেক কিছু লাগবে সংসার এ। তার যেই খান্নাস মার্কা বউ। তাতে সংসার না উল্টে আবার ফের বাধে। নাফিস বেরিয়ে গেলো। তূর্য রিংটা অডার করে দিলো। সন্ধার আগেই দিয়ে যাবে। তার একমাত্র বউয়ের জন্য আজ রাতের এটাই উপহার। তা ছাড়া তূর্য নিজেই তো একটা উপহার। নিজেকেই না-হয় সঁপে দেবে বউয়ের কাছে। কথাটা ভেবেি তূর্য বাইরের দিকে তাকালো। সায়রা কাজ করছে। খুব মনোযোগ দিয়ে। তূর্য চেয়ে রইলো। সেই ঝগরুটে সায়রা আজমীর আজ তার অর্ধাঙ্গিনী। তার বউ। তূর্য চেয়েই রইলো। চোখ সরানো দায় যেনো ”
চলবে,,,
(কঠোরভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য উন্মুক্ত এই পর্ব)
#ম্যারেজ_প্রোপজাল
#অরিত্রা_অর্নি
#৩৪
“অফিস ছুটি হলে তূর্য সায়রার জন্য কেবিনে ওয়েট করছে। এদিকে সায়রা জেরিনের সঙ্গে চলে গেছে লিফট এর সামনে। অফিস ছুটি হলে এতো মানুষ থাকে যে সবার শেষ এ উঠতে হয়। সায়রা গিয়ে লিফট এর সামনে দাড়িয়ে আছে। তূর্য কেবিন থেকে বের হয়ে দেখলো সায়রা নেই। নাফিস ও তখন বের হয়েছে। তূর্য আর নাফিস এক সঙ্গে লিফট এর ওখানে যেতেই দেখলো দুই বান্ধুবি মিলে দাড়িয়ে আছে। তূর্য আর নাফিস গিয়ে দাড়ালো ওখানে। আরো কয়েকজন ও আছে। সায়রা ভুলে ও কেন যেনো তূর্যর দিকে তাকাচ্ছে না৷ এদিকে তূর্য চোখ ই সরাচ্ছে না। আড় চোখে চেয়ে আছে৷ বিষয়টা চোখে পরলো জেরিনের। জেরিন একবার সায়রাকে দেখছে আরেকবার তূর্যকে। কাহিনী কি ? এর মধ্যে লিফট এলো। মানুষ ছিলো আট জনের মতো। তার মধ্যে দুজন ছেলে।
সায়রা আর জেরিন আগে ঢুকলো। ওই ছেলে দুটো ঢোকার আগেই তূর্য আর নাফিস ঢুকলো৷ সায়রা এবার একেবারে পেছনে। ওর সামনে তূর্য তার সামনে ছেলে দুটো। তূর্য দাঁড়িয়ে ই পেছনে হাত বাড়িয়ে সায়রার হাতের মধ্যে হাত রাখলো।
একটু ছোঁয়া লাগতেই সায়রা হাত সরিয়ে নিলো সঙ্গে সঙ্গে। তূর্য এবার একটু পিছিয়ে গেলো। বউ তার হাত সরিয়ে দিচ্ছে। তূর্য এবার সায়রার পাশে গিয়ে দাড়ালো। সায়রার ওরনা হাতে চেপে ধরে দাড়িয়ে রইলো। সায়রা হাসলো।
লিফট এসে নিচে থামলো। সকলে একে একে নেমে গেলো। জেরিন বের হতেই নাফিস ওকে ইশারা করলো দাড়াতে এক সঙ্গে যাবে। জেরিন দাড়ালো। কিন্তু সায়রা এগিয়ে গেলো গেটের কাছে। তূর্য গাড়ি নিয়ে বের হলে সায়রা একটু সামনে থেকে উঠলো গাড়িতে।
সায়রা বসে আছে তূর্য গাড়ি ড্রাইভ করছে। দু’জনেই চুপচাপ। কেউ ই কোনো কথা বলছে না।
গাড়ি এসে বাড়ির সামনে থামলো। সায়রার আজ কেমন যেনো একটু অন্য রকম লাগছে। সায়রা গাড়ি থেকে নামলো। কিন্তু তূর্য নামছে না। সায়রা বললো ”
_নামছেন না কেনো ?
_তুমি যাও। আমি একটু পড়ে আসছি ।
“কথাটা বলে তূর্য গাড়ি টান দিলো। সায়রা বাড়ির ভেতরে ঢুকলো। আজ সকালে ও যখন বেরিয়ে গেছিলো সায়রা ভাবেনি আবার এই বাড়িতেই ফিরবে। তাও পারমানেন্ট বউ হয়ে। সেদিন এই বাড়িতে প্রবেশ ছিলো অন্য রকম। আজ অন্য রকম। সায়রা বাড়িতে ঢুকেই দেখলো বসার ঘরে সামর্থ্য বেগম আর চুমকি বসে বসে মোট র ছিলছে । এটা চুমকি ওর গ্রামের বাড়িতে থেকে নিয়ে এসেছে। সায়রাকে দেখে সামর্থ্য বেগম হেসে বললেন”
_ওই যে আমার ঘরের লক্ষী চলে এসেছে। আয় আয়।
“সায়রা হেসে এগিয়ে গেলো। সামর্থ্য বেগম এর সামনে দাড়ালো। সামর্থ্য বেগম হেসে বললো ”
_মুখটা দেখি একেবারে শুখিয়ে গেছে আজ তোর। দুপুরে খাসনি। আমার নাতী কই ?
_তোমার নাতীর আরো কি যেনো কাজ আছে। সে পড়ে আসবে।
_ওহ্। যাহ্ তুই যা। আগে গোসল নিয়ে নে। সারাদিন এর ক্লান্তি দূর হবে।
“সায়রা চললো উপরে। রুমে এসে সায়রা ব্যাগ রেখে পুরো রুমটা একবার দেখলো। তূর্য বোধহয় সকালে গুছিয়ে রেখে ও বের হয়নি। অন্য কেউ তূর্যর রুম গুছাতে ও পারবে না। এখনো এলো-মেলো হয়ে৷ সায়রা ভাবলো আগে রুমটা গুছিয়ে এরপর সাওয়ার নেবে। সায়রা ওরনা কোমরে বেধে কাজে লাগলো। সুন্দর করে রুমটা গুছিয়ে ফেললো৷ ভাবলো গতো দেড় মাসের কথা। এখানেই সায়রা তূর্য এক সাথে থাকলো। অথচ আজ সায়রার অধিকার আছে এই রুমের উপর। এটা তার আর তূর্যর রুম৷ সায়রা সব গুছিয়ে নিয়ে ওয়ার ড্রপ থেকে কাপর নিতে গিয়ে ড্রেস নিলো না। আজ শাড়ি পড়তে ইচ্ছে করছে৷ সায়রা একটা নীল রঙের শাড়ি বের করলো। একেবারে গাড়ো নীল যাকে বলে। শাড়ি নিয়ে সায়রা সাওয়ার নিতে চলে গেলো ”
“তূর্য এসেছিলো রিং এর ডেলিভারি নিতে৷ কিন্তু এখন জ্যামে আটকে আছে। তূর্য গাড়িতে বসে বসে ভাবছে সায়রাকে কি করে রিং টা দেবে৷ ইস তূর্য এসব করছে। ভাবা যায়। তূর্য নিজেও ভাবতে পারছে না। হুট করে তখন ই একটা অল্প বয়সি ছেলে তূর্যর গাড়ির জানালার কাছে এলো৷ ডাকতে লাগলো তূর্যকে। তূর্য গাড়ির কাচটা নামিয়ে দিলো। ছেলেটার হাতে অনেকগুলো গাজরা। তূর্যকে একটা নিতে বললো। তূর্য অন্য সময় হলে কখনোই নিতো না৷ তবে টাকা দিয়ে দিতো। কিন্তু আজ ইচ্ছে করছে নিতে। সায়রার খোপায় নিশ্চয়ই অনেক মানাবে। তূর্য আজ একটা গাজরা নিলো। ছেলেটাকে হাজার টাকার একটা নোট দিলো। খুশি হয়ে ছেলেটা চলে গেলে তূর্য গাজরাটার দিকে তাকালো। সায়রার খোপায় এই গাজরা৷ তূর্য নিজে নিজেই হেসে ফেললো ”
“সায়রা সাওয়ার নিয়ে বের হয়ে ওইভাবেই নিচে চলে এসেছে। মাথায় তোয়ালে পেচিয়ে। আজ আবার হুট করে সায়রাকে শাড়ি পড়তে দেখে সামর্থ্য বেগম বেশ হাসি ঠাট্টা করতে শুরু করলো সায়রা পাশে বসতেই
_কিরে আজ আমার নাতীর মাথাটা নষ্ট করার বুদ্ধি কি আগেই করে ফেললি নাকি।
” সায়রা কথার মানে বুঝতে পেরে বললো ”
_ছিহ্। কিসব বলে।
_কি সব বলে কি রে৷ আজ হুট করে শাড়ী পড়লি। আমার নাতীর বুঝি জামা খুলতে বেশি সময় লেগে যায়।
“কথাটা বলেই সামর্থ্য বেগম শব্দ করে হেসে ফেললো। চুমকি ও পাশে বসে মিটমিট করে হাসছে। সায়রা বুঝলো তার এখানে আসা ঘাট হয়েছে৷ সামর্থ্য বেগম এর যেই মুখ। সায়রাকে লজ্জা পেতে দেখে সামর্থ্য বেগম বললো ”
_এতো লজ্জা পাইতে হয়। কয় মাস হইলো৷ এহন ও তোর লজ্জা কাটে নাই।
“চুমকি পাশ থেকে বললো ”
_ভাবী কি আর আমাগো সামনে সব দেখাইবো নাকি দাদী।
_থাক আমার নাতীর সামনে লজ্জা না দেখাইলেই হইবো।
“সায়রা কিছু বলছে না৷ তার মাথায় কাল রাতের কথা ঘুরছে। তূর্য যখন সায়রার কাছে এসেছিলো। সায়রা শুধু দূরে সরিয়ে দিতে চেয়েছে৷ তবুও তো ওই লোকটা সায়রাকে ছাড়েনি। ঠোঁট জোড়া এমনভাবে আকড়ে ধরে ছিলো যেনো নিজের সম্পত্তি তে দখলদারি করছে। সামর্থ্য বেগম আরো টুকটাক কথা বললো। এমন সময় সদর দরজায় বেল বাজলো। সায়রা গেলো না দরজা খুলে দিতে। চুমকি গিয়ে দরজা খুলে দিলো। তূর্য এসেছে৷ সায়রা তখন সামর্থ্য বেগম এর পায়ের কাছে বসে চুপচাপ। তূর্য বাড়িতে ঢুকেই আগে চোখ পড়লো সামর্থ্য বেগম এর দিকে। সোফায় বসে তিনি। সোফা সামনের দিকে তূর্য পেছন দিকে হওয়ায় তূর্য সায়রার মাথা দেখতে পেলো শুধু। তূর্য দেরি করে এসেছে তাই সোজা রুমের দিকে চলে গেলো।
এদিকে সায়রার কেনো যেনো সব হাসফাস লাগছে।
তূর্যর সামনে যাবে কি করে। কাল রাতের যদি। সায়রা আর ভাবতে পারছে না। এদিকে সামর্থ্য বেগম সায়রাকে বললো ”
_তুই এখনো বসে আছিস কেনো ? যা উপরে যা। খাবার নিয়ে যাস। আর নিচে আসার দরকার নেই।
“সায়রা ধিরে ধিরে গেলো খাবার নিতে। তূর্যর জন্য আর নিজের জন্য খাবার নিয়ে সায়রা উপরে গেলো।
আজ সব এমন লাগছে কেন। সারাদিন ও এমন লাগেনি। সায়রা রুমে ঢোকার আগে একবার উঁকি দিলো। নাহ্ তূর্য নেই। মনে হচ্ছে সাওয়ার নিতে গেছে৷ সায়রা রুমে ঢুকে টেবিলের উপর ট্রে টা রেখে। আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো । চুলে তোয়ালে পেঁচানো ছিলো সেটা খুলে চুল মুছতে গিয়ে চোখে পড়লো ড্রেসিং টেবিলের উপর গাজরা রাখা। সায়রা অবাক হলো। এটা কোথা থেকে এলো ? তূর্য এনেছে ? সায়রার জন্য কি৷ সায়রা গাজরা টা হাতে নিলো। এটা তো খোঁপায় পড়তে হয়৷ কিন্তু সায়রার এখন চুল ভেজা। কি করে পড়বে। সায়রা গাজরাটা হাতে সুন্দর করে পেচিয়ে নিলো।
নিজে নিজেই দেখতে লাগলো। এমন সময় তূর্য ওয়াসরুমে থেকে বের হলো। সায়রা তাকালো তূর্যর দিকে। তূর্য একই সময় তাকালো সায়রার দিকে। থমকে গেলো তূর্য। নীল শাড়ি পড়েছে সায়রা। জামদানি শাড়ি। সব ই নীল রঙের। ফর্সা শরীরে নীল রঙের শাড়ী। নাহ্ তূর্য আজ খুন হয়ে যাবে। পরপর তূর্য সায়রার হাতের দিকে তাকালো৷ বউ তার মাথার ফুল হাতে পেচিয়ে ঘুরছে। তূর্য চোখ সরিয়ে নিয়ে বিছানার পাশে গিয়ে দাড়ালো। সায়রা বললো ”
_আপনার খাবার নিয়ে এসেছি। খাবেন না ?
“তূর্য ল্যাবটব নিলো হাতে। সায়রার দিকে না চেয়েই বললো ”
_একটু পড়ে খাবো।
“তূর্য সোজা বারান্দায় চলে গেলো। সায়রা চেয়ে রইলো। সায়রার তো ভীষণ খিদে পেয়েছে৷ ভাবলো একবার খেয়ে নিবে। পর মুহুর্তে ই ভাবলো একা খাওয়া ঠিক হবে না৷ তূর্যর সঙ্গে ই খাবে।
তূর্য গিয়ে বসলো বারান্দায়। সায়রা ভাবলো তূর্যকে এক কাপ কফি করে এনে দিক। সায়রা সোজা নিচে গিয়ে কফি বানিয়ে আবার উপরে এলো। তূর্য হয়তো তখন অনলাইন মিটিং করছে। ইংরেজিতে কথা বলে যাচ্ছে। সায়রা গিয়ে কফিটা আস্তে করে টেবিলের উপর রাখলো। তূর্য একবার শুধু চোখ তুলে তাকালো। সায়রা ফের রুমে চলে এলো। এবার কি করবে। এভাবে বসে থাকবে। সায়রার মাথায় এলো ড্রেসিং টেবিলটা একটু নতুন করে সাজানো যাক। ওই যে কথায় বলে নেই কাজ তো খই ভাজ। সায়রা নিজের কাজে লেগে পড়লো। এদিকে তূর্য একটএ পর পর সায়রার দিকে তাকাচ্ছে। সায়রা ঝুকে যখন এটা ওটা রাখছে সায়রার কোমর দৃশ্যমান হচ্ছে। তূর্যর চোখ বারবার সেখানে যাচ্ছে । মেয়েটা আজকাল তাকে একটু শান্তি দিচ্ছে না৷ আগে তূর্য জীবনে এতো অধৈর্য ছিলো না৷ কতো পার্টি তে যেতে হয়েছে তাকে। বিদেশে হোটেলে। তূর্য এসবে গলেনি কখনো। তারা তো আরো খারাপ অবস্থায় থাকতো। তবু তূর্যর কখনো ইচ্ছে হয়নি কারো সঙ্গে একটু সময় কাটাতে। আর এই মেয়ে। সামনে থাকলেই তূর্য এখন অধৈর্য হয়ে উঠে ”
“তূর্য অনেকটা সময় সায়রাকে দেখলো। এরপর উঠে গিয়ে ধির পায়ে এগিয়ে গেলো সায়রার দিকে। সায়রার কাজ প্রায় তখন শেষ। তূর্য সায়রার পেছনে এসে দাঁড়ালো। সায়রা আয়নায় তূর্যকে দেখলো। বুকটা কাঁপছে সায়রার। সায়রা সোজা হয়ে দাঁড়ালো। তূর্য হুট করেই সায়রাকে পেছন থেকে জরিয়ে ধরলো।
সায়রা এবার শেষ। তূর্য সায়রাকে একেবারে নিজের সঙ্গে মিশিয়ে ফেলছে। সায়রার হাত পা ঘামতে শুরু করে দিয়েছে। তূর্য সায়রার হাত ধরলো এক হাত দিয়ে। বললো ”
_এই ফুলতো খোঁপায় পড়তে হয়।
“সায়রা রীতিমতো কাঁপছে। তবুও বললো ”
_চু,,,চুল ভেজা।
“সায়রা তুতলে যাচ্ছে কথা বলতে গিয়ে। তূর্য এবার সায়রার চুলে হাত দিলো। এখনো ভেজা। তূর্য সায়রার চুলের মাঝে মুখ ডুবিয়ে দিলো। সায়রা কেঁপে উঠলো। সরে যেতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু পারছে না। তূর্য করলো কি। সায়রার ঘারের দিক থেকে চুলগুলো ধিরে ধিরে সরিয়ে দিলো। সায়রার মন চাইলো চিৎকার করতে। এমন করছে কেন তূর্য। তূর্য আয়নার দিকে তাকালো। সায়রা চোখ বন্ধ করে নিয়েছে ততক্ষণে। তূর্য সামান্য হাসলো। এরপর সায়রার ঘারে আলতো করে একটা চুমু খেলো। সায়রা আরো নিজেকে শক্ত করে ফেললো। তূর্য থামলো না। আরো একবার চুমু খেলো। পরপর কানের লতীতে চুমু খেলো। সায়রা আর পারলো না। সে সঙ্গে সঙ্গে তূর্যর দিকে ঘুরে তূর্যকে জরিয়ে ধরলো। ইস,এভাবে থাকা যায়। তূর্য হেঁসে ফেললো। বউ তার ভীষণ লজ্জাবতী। তূর্য সায়রার কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বললো ”
_আজ আর তোমার রক্ষা নেই মায়াবতী । আজ এই আমাতে ধরা দিতেই হবে। সইতে আমার আদর। গেট রেডি হানি।
“কথাটা শুনে সায়রার হার্ডবিট বেড়ে গেলো। তূর্য সায়রাকে এবার পাজা কোলে তুলে নিলো। সায়রা তূর্যর গলা জরিয়ে ধরে তাকালো তূর্যর দিকে। তূর্য এগিয়ে গেলো বিছানার দিকে। সায়রার ইচ্ছে করছে একটু ছাড় পেলেই দৌড়ে পালিয়ে যেতে। তূর্য সায়রাকে বিছানায় এনে আলতো করে শুইয়ে দিলো। নিজে ও সায়রার দিকে ঝুকে শুয়ে চোখে চোখ রাখলো সায়রার। সায়রা চোখ সরিয়ে নিলো। কি করে চেয়ে থাকবে ওই চোখের দিকে। যে চোখ আজ তাকে ধংসের আগাম বার্তা দিচ্ছে। তূর্য সায়রার কপালে চুমু খেলো। সায়রা শুধু বড় বড় নিঃশ্বাস ফেলছে। শরীরটা যেনো তার নিয়ন্ত্রণে নেই। এতো কাঁপছে কেন শরীরটা। তূর্য সায়রার গালে হাত রেখে নিজের দিকে ফিরালো। সায়রা তাকালো তূর্যর দিকে।
তূর্য নিজেই কেমন অশান্ত হয়ে আছে।সায়রা তূর্যর
দিকে ধিরে ধিরে এগিয়ে আসছে। সায়রা এবার তূর্যকে বাঁধা দিলো। তূর্য ভীষণ অধৈর্য হয়ে আছে। সে মানবে কেন আজ বাঁধা। তূর্য সায়রার চোখে চোখ রেখে বললো ”
_আজ ও বাঁধা দেবে। আজ কি বলে বাঁধা দেবে। বউ তুমি আমার। আমি বাঁধা মানবো কেন ?
“কথাটা বলেই তূর্য সায়রার হাত চেপে ধরে ঠোঁটে ঠোঁট মিশিয়ে দিলো। সায়রা পারলো না বাঁধা দিতে। কি করে দেবে৷ আজ তো আর ডিল নেই। আজ অধিকার এটা তূর্যর।
তূর্য আজ শুরুতেই আক্রমন করলো না। আজ কেমন শান্ত লাগলো। ধিরে ধিরে চুমু খেতে লাগলো। সায়রা চোখ বন্ধ করে তূর্যর গলা জরিয়ে ধরে নিজেও তাল মেলালো। সায়রা নিজেও হারিয়ে যাচ্ছে। তূর্য ধিরে ধিরে কেমন আক্রমন করে বসলো। এবার আর ধিরে চুমু খাচ্ছে না। সায়রার নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরছে। সায়রা ব্যথায় কুঁকড়ে উঠছে। তূর্য এবার সায়রার কোমরে হাত রাখলো। চুমু খাওয়া ছাড়লো না তবু ও।
সায়রার নিচের ঠোঁট কে একেবারে চু*ষে খেয়ে যাচ্ছে। সায়রা সয্য করতে পারছে। একটু পর পর তূর্যর দেওয়া বাইট। নাহ্। সায়রা পারছে না সইতে। সায়রা তূর্যকে থামাতে বারবার ধাক্কা দিতে লাগলো। তূর্য যেনো নিজের মধ্যে নেই। একটা পর্যায় সায়রার এমন ছটফট দেখে তূর্য ছাড়লো সায়রার ঠোঁট। সায়রা যেনো হাফ ছেড়ে বাচলো। কিন্তু তূর্য আবার সায়রার ঠোঁটের দিকে এগিয়ে গেলে সায়রা বাঁধা দিয়ে বললো ”
_থামুন৷ আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না।
“তূর্য সায়রার হাত বিছানার সঙ্গে চেপে ধরে বললো ”
_ বাট আই ক্যান্ট স্টপ মাইসেলফ। আই ওয়ান্ট টু ইট ইয়োর লিপস বেইবি ।
“কথাটা বলে তূর্য আবার সায়রার ঠোঁট আকড়ে ধরলো। এবার শুধু ঠোঁটে ই রইলো না। এবার তূর্য নিজের এক হাত সায়রার সারা শরীরে বিচরন করলো। সায়রা যেনো দম আঁটকে মরেই যাবে এবার৷
তূর্য এবার একটু থামলো। সায়রার দিকে তাকালো। সায়রা চোখ বন্ধ করে পড়ে আছে। তূর্য সায়রার শাড়ির আচলটা এবার বুক থেকে সরিয়ে দিলো। সায়রা বুঝলো তূর্য কি করছে। কিন্তু চোখ খুললো না। সায়রা এভাবে তূর্যর দিকে তাকাতে পারবে না। মরেই যাবে। এদিকে সায়রার ভারী নিঃশ্বাসে ওর বুকের দ্রুত উঠানামা। ব্লাউজের উপর দিয়ে সায়রা এই বুকের নমনীয় অংশ তূর্যকে ভীষণ টানছে। তূর্যর গলা শুখিয়ে আসছে। তূর্য ফের এগিয়ে গেলো সায়রার দিকে। সায়রার গলায় মুখ ডুবিয়ে দিলো এবার। চুমু খেলো। বিট করলো। সঙ্গে কামড়ে দিলো। সায়রা আর কতো সইবে। এভাবে। তূর্যর চুল আকড়ে ধরলো সায়রা। সায়রার এভাবে ধরায় তূর্য যেনো আরো শক্তি পেলো। তূর্য এবার সায়রার পিঠের নিচে হাত রেখে ব্লাউজের ফিতা খুলে ফেললো। ব্লাউজ ঢিলে হয়ে গেলো। তূর্য এবার সায়রার কানের কাছে মুখ নিয়ে অধৈর্য কন্ঠে বলে উঠলো ”
_আই অ্যাম ভেরি ওয়াইল্ড বেইবি। আই ওয়ান্ট টু মেক ইউ মাইন। অল অব ইউ। আই উইল ইট ইউ মাই হানি।
“তূর্য এই মুহুর্তে পাগলামি করে বসলো।সায়রার শাড়ীর কুঁচিতে হাত রাখলো। সেটা এক টানে খুলে ফেললো। সায়রা অসহায় দৃষ্টিতে চেয়ে রইলো তূর্যর দিকে। তূর্য পুরো শাড়িটা খুলে ছুড়ে ফেললো কোথাও। রুমে লাইট জ্বলছে। সায়রা এবার বলে উঠলো ”
_লাইটটা বন্ধ করুন। তূর্য । প্লিজ।
“তূর্য সায়রার দিকে চেয়ে ঠোঁট কামড়ে হেসে বললো ”
_লাইট বন্ধ করে দিলে আপনার এই সৌন্দর্য দেখবো কি করে।
_বন্ধ করুন।
“তূর্য একটু সরে গিয়ে লাইটটা বন্ধ করে ড্রিম লাইট অন করে দিলো। সায়রা এই সুযোগে একটু সরতে চাইলে তূর্য এসে ফের বিছানায় ফেলে দিলো। তূর্য এবার নিজের গায়ের টি শার্ট খুলে ফেললো। সায়রা চোখ সরিয়ে নিলো। তূর্য সায়রার গাল চেপে ধরে বললো ”
_সেদিন রাতে বলেছিলে আমায় শার্টলেস ভীষণ হট লাগে। এখন চোখ ফিরিয়ে নিচ্ছো কেন বউ৷ দেখো।
তুমি চাইলে পুরো নেকড,,,,,।
“তূর্য কথাটা শেষ ও করগে পারলো না। সায়রা মুখ চেপে ধরলো তূর্যর। লোকটার কি একটু ও লজ্জা নেই। সায়রা নিজের লাজে ই মরে যাচ্ছে । তারউপর আবার এই লোকের এই অসভ্য কথা। তূর্য নিজের মুখে থেকে সায়রার হাতটা সরিয়ে নিয়ে সায়রার বুকে মুখ গুজলো। সেদিন ওইভাবে সায়রাকে ছেড়ে দিতে হয়েছিলো। সারারাত তূর্য ঘুমাতে পারেনি। আজ আর ছাড়ছে না তূর্য। তূর্য সায়রার বুকে চুমু খেতে শুরু করছে। ধিরে ধিরে নিচে নামছে। পেটে চুমু খেতেই সায়রা পাগল হয়ে উঠলো। ইস, এই লোকটা আজ তাকে এভাবে কেন খুন করছে। তূর্য আরো নিচে নামলো। এবার সায়রা তূর্যর চুল নিজের সমস্ত শক্তি দিয়ে চেপে ধরলো। তূর্য থেকে গেলো। সায়রা ভাবলো তূর্য হয়তো তাকে ছাড় দিলো। কিন্তু সায়রা বুঝলো তখন যখন তূর্য সায়রার ব্লাউজ এর হুকে হাত দিলো।
সায়রা বোধহয় এবার চিৎকার করবে। কি করছে তূর্য। কিন্তু তূর্য সেস মানবে কেন। একটু পরেই ব্লাউজটা গিয়ে পড়লো রুমের কোনো এক কোনায়। তূর্য উন্মাদ। সে পাগল হয়ে যাচ্ছে এই মেয়ের সৌন্দর্যে। এবার তূর্য এক অনাকাঙ্ক্ষিত কাজ করে বসলো। মুখ ডুবিয়ে দিলো সায়রার বক্ষদেশে। সায়রা বারবার বাঁধা দিতে চাইছে। তূর্য একটা পর্যায় আকুল কন্ঠে বলে উঠলো ”
_ফুল মুডে আছি৷ এখন বাঁধা দিও না বউ। প্লিজ খেতে দাও ।
“সায়রা আর পারলো না বাঁধা দিতে। তূর্য মানতো ও না তার বাঁধা। সায়রা সবটা চুপচাপ সয়ে নিলো। কিন্তু তূর্য তাকে এতটুকুতেই ছেড়ে দেবে তা কি করে হয়। তূর্যর যে আজ সায়রাকে পুরোপুরি চাই। এদিকে বক্ষদেশের পীড়ায় সায়রার জান যায় যায় অবস্থা। এই লোক এমন হিংস্র কেন। মেরেই ফেলবে আজ সায়রাকে। তূর্য একটু থামলো। সায়রার চোখে চোখ রাখলো। কিন্তু হাত অন্য কাজ করছে। সায়রা তূর্যের চোখের ভাষা বুঝে ফেললো। সায়রা বললো ”
_তূর্য। কি,, কি করছেন ? প্লিজ না। আমার ভয় করছে।
“তূর্য সায়ার ঠোঁটে গভীরভাবে স্পর্শ করলো। তূর্যর নিঃশ্বাস ভারী। সায়রার চোখে চোখ রেখে বললো ”
_ভয় কিসের। আমি আছি তো বেইবি। সবটা সামলে নেবো।
_তূর্য,, না,, প্লিজ,,, ।
“সায়রার এই কথা তূর্য শুনলো না। পর মুহুর্তে তূর্য সায়রাকে নিজের সঙ্গে মিশিয়ে নিলো। সায়রা ভয়ে নিজেকে শক্ত করে রেখেছে। তূর্য সায়রার কানের কাছে মুখ নিয়ে বললো ”
_বি সফট হানি। আই নো দিস ইজ ইয়োর ফাস্ট টাইম। বাট আই নেভার বি আ জেন্টেল। নরম আদরে আমার পোষাবে না।
“সায়রা ভয় পাচ্ছে তা ওর চোখে মুখে স্পষ্ট। কিন্তু তূর্য ছাড়লো না। নিজের সঙ্গে মিশিয়ে নিলো৷ পর মুহুর্তে সায়রা আর্তনাদ করে উঠলো। তূর্য সায়রার ঠোঁট আকড়ে ধরে রাখলো। সায়রা ছটফট করলো। তূর্য সদয় হলো না। সায়রার ঠোঁট ছাড়লো তূর্য। সায়রা কাঁদছে।গাল বেয়ে পানি পড়ছে। তূর্য বুঝলো এটা তীব্র ব্যথার কান্না। নিজেকে তূর্যর কাছে আজীবনের জন্য সঁপে দেওয়ার কান্না। তূর্য সায়রার গালে চুমু খেলো। কানের কাছে মুখ নিয়ে বললো ”
_বলেছিলাম আদর করা ছাড়া কখনো কাঁদাবো না৷ কাঁদো বউ। যতো ইচ্ছা কেঁদে নাও।
“তূর্য সায়রাকে আজ নিজের করে পেলো। সম্পূর্ণ। সায়রা কাঁদছে। কামরে ও দিয়েছে তূর্যকে। বাঁধা দিচ্ছে। তাতে তূর্যকে থামানো গেলো না। উল্টো সায়রার কানের কাছে মুখ নিয়ে বললো ”
_কাঁদো, মারো,কামড়ে দাও, তবুও থামতে বলো না বউ। মরে যাবো আমি।
“সায়রা পারলো না এই উন্মাদ লোকের সঙ্গে। তূর্য নিজের মতো করে ছুয়ে দিতে লাগলো তার মায়াবতীকে। সায়রার ছোট্ট দেহো চাপা পড়ে রইলো তূর্যর ওই প্রস্তুর দেহের নিচে। তূর্য আজ নিজেকে ভেঙে চুরে উপস্থাপন করলো তার মায়াবতীর কাছে।
মাঝরাতে সায়রা যখন প্রায় পাগল প্রায় তূর্য তখন ছাড়লো সায়রাকে। সায়রার শরীরে শক্তি অবশিষ্ট নেই আর। কিছুক্ষন পর হয়তো জ্ঞান হারাতো । সায়রার পুরো শরীর জ্বলছে। তূর্য তাকালো সায়রার দিকে। মেয়েটার নাজুক শরীর এর অবস্থা খারাপ। তূর্য সায়রাকে বুকে নিয়ে শুয়ে পড়লো। সায়রা তূর্যর বুকে বিড়ালের বাচ্চার মতো শুয়ে রইলো।
তূর্য মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। সায়রা একটু পরপর কেঁপে উঠছে। তূর্য বললো ”
_বেশি কষ্ট হচ্ছে পাখি। ডক্টর ডাকবো ?
“এমনিতেই সায়রার শরীর খারাপ লাগছে। তার মধ্যে তূর্যর এমন কথা। ইচ্ছে করছে তূর্যর মাথা ফাটিয়ে দিতে। সায়রা তূর্যর বুকের মধ্যে কামর দিলো একটা। তূর্য কিছু বললো না। এমনিতেই সারারাত তার বউ তাকে কামড়েছে। পিঠের অবস্থা বোধহয় বারোটা বেজে গেছে। সায়রা দাঁতে দাত চেপে বললো ”
_অসভ্য লোক। আপনি যান ডক্টর এর কাছে।
_কিন্তু সমস্যা তো তোমার হচ্ছে। আমি তো পুরো ফিট আছি।
“সায়রা তূর্যকে ধাক্কা দিলো এবার ”
_সরুন তো আপনি।
“তূর্য বুঝলো বউ তার আগুন হয়ে আছে। তূর্য আরো শক্ত করে সায়রাকে নিজের বুকের সঙ্গে জরিয়ে ধরো বললো ”
_এখন থেকে এসব ই সইতে হবে জান। অভ্যেস করে নাও।
“তূর্য পরপর সায়রার কপালে চুমু খেলো। সায়রা চুপ করে শুয়ে রইলো। জীবনটা কি থেকে কি হয়ে যাচ্ছে।
এক সময় এসব সায়রা কল্পনা ও করতো না। আজ তার সংসার হয়েছে। তূর্যর মতো স্বামী পেয়েছে। আজ সে পুরিপূর্ন হয়েছে। সায়রা চুপটি করে শুয়ে রইলো। তূর্য সায়রার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো ”
“সকাল সাত টায় সায়রার ঘুম ভাঙলো। উঠে দেখলো এখনো তূর্যর বুকে সে। তূর্য ঘুমে। সায়রা চেয়ে রইলো তূর্যর ঘুমন্ত মুখের দিকে। কি সুন্দর করে ঘুমিয়ে আছে। সায়রা তূর্যর গালে আলতো করে হাত রাখলো
তূর্যর গালের খোঁচা খোঁচা দাড়িতে হাত বুলালো। এখন কি শান্ত হয়ে ঘুমিয়ে আছে দেখো। আর কাল রাতে তান্ডব চালিয়েছে এই লোকটা সায়রার উপর।
সায়রা যখনই বাঁধা দিতে গেছে। এই মানুষটা বাচ্চাদের মতো আকুতি করেছে একটা সময়। কথায় বলে পুরুষ উওেজিত হলে নাকি তার আকুতির দেখা মিলে। সায়রা ও কাল দেখেছে এই মানুষটার আকুতি। পাগলামি। কতোটা অধৈর্য একটা মানুষ হতে পারে তা দেখেছে।
সায়রা এবার ঘুমন্ত তূর্যর গালে চুমু খেলো। শরীর চিটচিটে হয়ে আছে। সাওয়ার নিতে হবে। সায়রা নিজেকে তূর্যর কাছে থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে উঠে বসলো। শরীরের দেখলো তূর্যর টি শার্ট। কখন পরিয়েছে এটা। সায়রা তো বেহুস ছিলো। মনে ও নেই। শুধু এই টি শার্ট পড়ে কি করে নামবে বিছানা থেকে। শাড়ি কোথায় ফেলেছে কে জানে। সায়রা দেখলো বিছানার পাশেই কাল রাখা তোয়ালেটা। সায়রা বিছানা থেকে নামলো। পুরো শরীর ব্যথায় কুঁকড়ে উঠলো। তল পেটে মনে হলো কেউ চেপে ধরে রেখেছে। সায়রা কোনো রকমে উঠে গিয়ে শাড়ি নিয়ে ওয়াসরুমে চলে গেলো ”
“সায়রা লম্বা সময় নিয়ে সাওয়ার নিলো। শাড়ি পড়ে বের হলো। আয়নার সামনে গিয়ে চুল মুছতে লাগলো। গলায় এখনো লাল লাল দাগ হয়ে আছে।
এদিকে তূর্যর সবে ঘুম ভেঙেছে। চোখ খুলে চেয়ে দেখলো পাশে সায়রা নেই। সামনে তাকাতেই দেখলো আয়নার সামনে দাড়িয়ে চুল মুছছে। এই দৃশ্য তূর্য শুয়ে শুয়ে দেখতে লাগলো। ইস, তার বউ তার ই আদর সোহাগ নিয়ে আজ সকাল সকাল সাওয়ার নিয়ে ভেজা চুলে। প্রেমে পড়ে যাচ্ছে। তূর্য। তখনই মনে পড়লো এতো কিছুর চক্করে সায়রার জন্য আনা রিংটাই সায়রাকে দেওয়া হয়নি৷ তূর্য বিছানা থেকে উঠে রিংটা নিয়ে সায়রার পেছনে গিয়ে দাড়ালো। সায়রাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে ঘারে একটা গভীর চুমু খেলো। সায়রা চোখ জোড়া আবেশে বন্ধ করে নিলো। তূর্য ঘুম জড়ানো কন্ঠে বলে উঠলো ”
_আমাকে ছেড়েই সাওয়ার নিয়ে নিলে বউ। দিস ইজ নট ফেয়ার। আমি আরো ভেবেছিলাম একসাথে সাওয়ার নেবো৷ আবার একটু,,,,,।
“সায়রা তূর্যকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে বললো ”
_সরুন। মাথাটা একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে আপনার৷
“সায়রা সরে যেতে নিলে তূর্য সায়রার হাত ধরে টেনে এনে সামনে দাড় করিয়ে দিলো। পরপর সায়রার সামনে হাটু গেড়ে বসে পড়লো। সায়রা অবাক হয়ে চেয়ে আছে৷ তূর্য রিং এর বক্সটা খুলে সায়রার সামনে ধরলো। সায়রা হা করে চেয়ে আছে। এই লোক কি পাগল হয়ে গেলো। তূর্য বললো ”
_আই লাভ ইউ ওয়াইফি। প্লিজ একসেপ্ট মাই লাভ।
“সায়রা হতবাক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। পরপর হাতটা এগিয়ে দিলো তূর্যর দিকে। তূর্য হেসে রিংটা পড়িয়ে দিলো। সঙ্গে একটা চুমু একে দিলো হাতে।
” তূর্য দাড়ালো সায়রার কোমর জরিয়ে ধরে। সায়রার কপালে চুমু খেলো। সায়রা শুধু ভাবছে এই লোকটা আজ পাগল হয়ে গেছে। তূর্য আবার কি মনে করে বললো ”
_ওয়েট। আসল জিনিস ই দেওয়া হয়নি৷
“তূর্য ওয়ার ড্রপ এর দিকে চলে গেলো। সায়রা ওর হাতের দিকে তাকালো। ডায়মন্ড এর রিং। জ্বল জ্বল করছে। এতো দামি রিং সায়রার জন্য কখন নিলো। এমনিই সামর্থ্য বেগম যে গয়না দিয়েছিলো তাতে সোনার রিং আছে অনেকগুলো। সায়রা কখনোই তেমন পড়েনি সেগুলো। যদি হারিয়ে যায়।
সায়রার ভাবনার মাঝেই তূর্য এলো। হাতে ছোট্ট একটা ব্রিফকেস। সেটা সায়রার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো ”
_কাল মোহরানা দিতেই ভুলে গেছিলাম পাখি। এটা তোমার।
“সায়রা অবাকের উপর অবাক হচ্ছে। সায়রা দেখলো এটার মধ্যে অনেকগুলো টাকা। সায়রা বললো ”
_এতো টাকা দিয়ে আমি কি করবো ? এটা আপনার কাছে রেখে দিন।
_এটা তোমার হক বউ। এটা আমি আমার কাছে রাখতে পারবো না।
“সায়রা নিলো সেটা। নিয়ে আবার ওয়ার ড্রপ এ রেখে দিয়ে এলো। তূর্য দাড়িয়ে রইলো। সায়রা ফের আসতেই সায়রা তূর্যকে জরিয়ে ধরলো। সায়রা এবার রেখে যাচ্ছে। এমনিই মেয়েটার শরীরে শক্তি নেই। তূর্য সায়রার কপালে, গালে চুমু খেতে লাগলো। সায়রা বাঁধা দিয়ে বললো ”
_সরুন। আবার শুরু করেছে। যান সাওয়ার নিয়ে আসুন। খচ্চর ব্যাটা।
“তূর্য সায়রার কোমর আরো জোরে চেপে ধরে সায়রাকে একেবারে নিজের সঙ্গে মিশিয়ে ফেললো ”
_আবার একটু পর সাওয়ার নিতেই হবে। তাই ভাবছি একেবারেই নেবো। এতো কষ্ট করতে ইচ্ছে করছে না।
“কথাটা বলেই চোখ মারলো তূর্য। সায়রা সরিয়ে দিতে নিলো। এই লোকের মতলব ভালো ঠেকছে না। কিন্তু তূর্য কি আর ছাড়বে। তূর্য সায়রাকে কোলে তুলে নিলো। সায়রা তূর্যকে রীতিমতো মারতে লাগলো। এমনিই তূর্যর ঘারে পিঠে অসংখ্য আচরের দাগ। তূর্য সায়রাকে নিয়ে বিছানায় ছুড়ে ফেললো। নিজেও সায়রার উপরে এসে শুয়ে পড়লো। কাল রাতের ধকলেই সায়রার শেষ আবার এই লোক সায়রার উপরে এসে শোয়। তূর্য সায়রার চোখের দিকে চেয়ে বললো ”
_বেশি কষ্ট হচ্ছে বউ। ব্যথা করছে ? আমি আগেই বলেছি রয়ে সয়ে করার ব্যপারটা আমার মধ্যে নেই।
“সায়রা পারছে না কেদে ফেলতে। তূর্য সায়রার গলায় মুখ গুঁজে দিলো। হাত চলে গেলো শাড়ির নিচে পেটের কাছে। তূর্য সায়রার কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বললো ”
_ব্যথার মাঝে ব্যথা দিলে। ওটা আর ব্যথা মনে হয় না
জান। সয়ে যায়। তোমার ও সয়ে যাবে হানি।
” তূর্য সায়রার আরো কাছে এলো। সায়রা অসহায় কন্ঠে বললো ”
_তূর্য,, না,,প্লিজ,, এখন না।
“তূর্য সায়রার ঠোঁট জোড়া আঁকড়ে ধরার আগে। অধৈর্য কন্ঠে বললো ”
_আর একবার বউ। আর একবার প্লিজ ।
“সায়রা পারলো না তূর্যকে বাঁধা দিতে। তূর্য আবার ভালোবাসতে শুরু করলো তার মায়াবতীকে। সায়রা আবার দেখবে এক উন্মাদ তূর্যকে। যে পাগলামির সক সীমা ছাড়িয়ে যাবে। সায়রাকে নিজের আদরে কাবু
করবে। সায়রা আঁকড়ে ধরলো তূর্যকে। স্বামীর ভালোবাসায় আবার পাগল হলো সায়রা। চলতে লাগলো তাদের জীবনের সব থেকে সুখময় মুহূর্ত ”
চলবে,,