#যাতনা_আমার
#সানজিদা_ইসলাম_সূচনা
#পর্ব :৪২
টরোন্টো শহরে নাভান গত চার দিন আগে। এসেছিল বিজনেসের খাতিরেই আসা। আজ শেষ দিন ঘনিয়ে এসেএখানেছে। তড়িঘড়ি করে হোটেল থেকে রেডি হয়ে বের হয়েছে নাভান। সন্ধ্যা হয়ে আসছে। শীগ্রই অটোয়া পৌঁছাতে হবে। মনে মনে ভাবনায় আছে হাতের কাজ শেষ করে বাংলাদেশে যাবে। নাহিদ মির্জার শরীরটা আজকাল ভালো যাচ্ছে না। টরেন্টো কানাডার এক বৃহত্তম শহর। এখানে বিজনেসের কাজে বেশিরভাগ থাকতেন নাভানের নানু। বলতে গেলে নাভানের বেশির ভাগ সময় এখনেই কেটেছে। নাভান বাইরে বের হয়ে কিছুক্ষণ এদিক ওদিকে তাকালো। এতোক্ষণে গাড়ি চলে আসার কথা। কিন্তু কই? নাভানের রাগ হলো প্রচুর। ফোন বের করে ড্রাইভার কে কল করে। কিন্তু অপর পাশ থেকে ফোন রিসিভ হলোনা। আচমকাই নাভান যেন পেছনে কারো পায়ের শব্দ শুনতে পেলো। ঘাড় ঘুরানো আগেই পেছন থেকে কেউ রিভলবার চেপে ধরে। রক্ত হিম করা শ্রোত বয়ে গেলো যেনো নাভানের মেরুদণ্ড বেয়ে। কিছুক্ষন চুপ থেকে নাভান হঠাৎ করেই হাত ঘুরিয়ে রিভলবারটা নিজের বগলদাবা করে পেছনে ঘুরে তাক করে, পেছনের লোকটার উদ্দেশ্যে। কিন্তু মুহূর্তেই নাভান হতভম্ব হয়ে যায়। কালো পোশাকধারী সাত আটজন লোক। রিভলবার তাক করে নাভান কে মুহূর্তেই ঘেরাও করে। নাভান বিষ্ময়কর দৃষ্টিতে তাকিয়ে লোকগুলোর দিকে। এদের হাতে ধারালো সব অস্ত্র। নাভান নিজের গান নামিয়ে শান্ত গলায় জিজ্ঞেস করলো,
-” হোয়াট ইজ হ্যাপেনিং? হোয়াট ডু ইউ ওয়ান্ট? ”
এদের মধ্যে একজন নাভানের সামনে এসে তিরিক্ষি মেজাজে ফেসফেস গলায় বললো,
– ” কাম উইথ অ্যাস ”
-” বাট হোয়াই? ”
জবাব দিলো না কেউ। একপ্রকার জিম্মি করে নাভান কে তারা গাড়িতে উঠালো। নাভানের কাছ থেকে সকল প্রকারের ডিভাইস যন্ত্র সড়িয়ে নেওয়া হয়েছে। হতবাক নাভান বুঝতে পারছে না। এরা কি চাইছে তার কাছে? মাথা ধরে আসলো তার। প্রায় একঘন্টার পর একটা জায়গায় এসে থামে গাড়িটা। রাত হয়ে যাওয়াতে নাভান টরেন্টোর এই জায়গা টা ঠাওর করতে পারলো না। নির্জন জায়গায় বিশাল বড়ো একটা গোডাউন। নাভান গাড়ি থেকে নেমে ভ্রু কুঁচকালো। অতঃপর পাশের লোক গুলোকে লক্ষ্য করে ভিতরে যায় নাভান। গোডাউনের শেষ প্রান্তে ঢুকে একটা রুমে নাভানকে বসিয়ে দিয়ে লোক গুলো চলে যায়। সাদা প্রিন্ট করা পুরো গোডাউন। নাভান যে রুমে বসা তার এক পাশটা কাচের৷ তার অপর পাশ টাতে পর্দা টাঙানো। গোডাউনের পেছনে এমন কাজ দেখে এতে অবাক হলো নাভান ক্ষানিকটা সময় অতিবাহিত হতেই কোনো মেয়ের আওয়াজে নাভান চমকালো। মেয়েটির চিৎকারের আওয়াজ প্রখর থেকে প্রখর হতে লাগলো। নাভান পা চালিয়ে দরজার কাছেই আসতেই দেখতে পেলো, সেটা বাইরে থেকে লক করা। চিৎকারের আওয়াজ কিছুটা চেনা লাগছে নাভানের। হতভম্ব হয়ে কিছুক্ষণ ঘুরলো রুমটাতে। কিন্তু কারো কোনো আভাস পেলো না। কিন্তু চিৎকারের আওয়াজটা এখন অনেকটা ক্ষিণ হয়ে গেছে। নাভান বুঝতে পারছে না। কোন গোলকধাঁধা পার করছে এখন। ক্লান্ত ভঙ্গিতে চেয়ারটা টেনে বসে পরলো নাভান। চোখ জোড়া বন্ধ করে মাথা এলিয়ে দেয়। হঠাৎ দরজার শব্দে নাভানের কান সজাগ হলো। ভ্রুকুটি কুঞ্চিত করে সামনে তাকাতেই বিষ্ময় হলো। অদিতি দাঁড়ানো তার সামনে। অবাকের সাথে সাথে বিরক্ত হলোও খুব। নাভান দাঁত কিড়মিড়িয়ে খিটখিটে মেজাজে বলে উঠলো,
-” ফাজলামো করছো? আমাকে এখানে কেনো এনেছো?
অদিতি হাসলো। কালো খোলামেলা ড্রেসে আবদ্ধ অদিতি কে খুবই সুন্দর লাগছে। কিন্তু এমুহূর্তে অদিতির দিকে তীব্র ঘৃণা নিয়ে তাকিয়ে আছে নাভান। রুমে আরও একজন প্রবেশ করে। নাভান আর অদিতি দুজনেই পিছনের লোকটাকে লক্ষ্য করলো। সাদা স্যুট পরা সুদর্শন পুরুষটাকে দেখে নাভান ভ্রু কুঁচকালো। বিরবির করে নাভান বলে উঠলো,
-” আন্দ্রে রওয়ান? সে এখানে কেন? ”
অদিতি হাসিমুখে ছেলেটিকে জড়িয়ে ধরে। আন্দ্রে বাঁকা হেসে নাভানের দিকে তাকিয়ে আছে। অদিতি নাভানের উদ্দেশ্যে বলে উঠলো,
-” মাই বয়ফ্রেন্ড, আন্দ্রে রওয়ান। ”
নাভান আন্দ্রে রওয়ান কে দেখে প্রথমেই অবাক হয়েছে। সে বাংলাদেশের বংশদ্ভূত কানাডার এক টপ লেবেলের মাফিয়া। বাংলাদেশেও তার অনেক আসা যাওয়া আছে। কিছু ঘটনার কথা মুহূর্তেই মনে হয় নাভানের। কিন্তু অদিতির আন্দ্রের মতো লোক পর্যন্ত যাওয়া টা খুব অবাক লাগছে নাভানের কাছে। তবুও মুখে বিরক্তি নিয়ে অদিতির লেন্স লাগানো নীলাভ চোখের দিকে তাকালো। মেজাজ তুঙ্গে তুলে বলে উঠলো,
-” সো হোয়াট? আমাকে এখানে এনে এসব দেখানোর মানে কি? ”
অদিতি কোনো উত্তর দিলোনা। আন্দ্রে বাঁকা হেসে নাভানের পানে তাকিয়ে শক্ত গলায় বলে ওঠে,
-” এতো সহজে ভুলে গেলে নাভান? বিশ্বাস হচ্ছে না একদম। ”
কথাটা বলে আন্দ্রে নাভানের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বিরবির করে বলে উঠলো,
-” করিম ভিলার একটাকেও ছাড়বো না। তার সাক্ষী রাখবো তোমাকে। ”
নাভান বাঁধ এবার ভাঙলো। হুংকার ছেড়ে জিজ্ঞেস করে উঠে,
-” তাহলে দুজন মিলে এক হয়েছো, এসব করতে? সো স্যাড, তোমরা তাদের কিছুই করতে পারবে না। ”
তোমার মনে নেই আন্দ্রে? ফাহাদ আর জায়ানের ক্ষতি তুমি কখনোই করে পারোনি। আর পারবেও না। ”
আন্দ্রে আর অদিতি দুজনেই হেসে উঠলো। নাভান বিরক্তিকর মুখের আদল ভাঙে। অদিতি ক্রুর হেসে নাভানের সামনে আসে অতি নিকট গিয়ে দাঁড়ায়। মুখ বাড়িয়ে কানেকানে ফিসফিস করে বলে ওঠে,
-” জায়ান আমার সাথে যা করেছে, তার পইপই করে হিসাব নেবো আমি। আন্দ্রে তো আমার একটা হাতিয়ার মাত্র। তোমার জীবনে, তুমি আমাকে না চাইলেও আমি তোমার হবো। ”
কথাটা বলে অদিতি নাভান থেকে সরে আসে। উচ্চ স্বরে হেসে বলে উঠে,
-” চলো, এর শুরুটা কি করে করেছি, তোমাকে দেখাই। ”
বলেই অদিতি রিমোট টিপে কাচের দেয়ালটার পর্দাটা সড়িয়ে দেয়। নাভানের চোখ আশ্চর্য হলো। কয়েক কদম এগিয়ে গেলো সামনে। চোখের দৃষ্টি স্থির হলো অনেক। চিরচেনা সেই সুন্দর মায়াবী মুখখানা। চোখ দুটি বন্ধ আছে। গোলাপি ঠোঁটের কোনে জমানো কালশিটে রক্ত। নিথর দেহটা মেঝেতে। নাভানের ভিতর কাঁপলো। নাভান বসলো গিয়ে ইনায়ার সামনে। রক্ত চোখে অদিতির দিকে তীব্র ঘৃণা নিয়ে তাকালো।
-” ইনায়া কে এখানে কেনো এনেছো? জায়ান জানে তো তোমার খবর? ”
অদিতি মুখের আদল ভয়ংকর করে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে নাভানের উদ্দেশ্যে জিজ্ঞেস করে,
-” বলো ওকে এখন কি করবো? আন্দ্রের মাফিয়া ক্লাবের স্লাট বানিয়ে দেই? ”
-” ও তোমার মতো এতো সস্তা নয় অদিতি। যেটা বলেছো, সেটা ভুলেও করতে যেও না। ”
নাভান পিছু ফিরে ইনায়ার গাল ধরে ডাকলো। চোখ নিভু নিভু ইনায়ার। তাকাতে গিয়েও চোখ বুঝে আসলো। অদিতি ফের পেছন থেকে কুটিল হেসে বলে উঠলো,
-” পিছুটানের সেই একই মূহুর্ত। এবার জয় আমার হবে, শুধু আমার। ”
আন্দ্রের হাতে থাতে ইনজেকশন সিরিজ লক্ষ্য করলো নাভান। অদিতি ইশারা করতেই আন্দ্রে বাকা হেসে ইনায়ার দিকে অগ্রসর হয়। অদিতি গলা উঁচু করে গার্ড ডাকে। ছয়জন আসতেই নাভনকে ধরে ফেলে তাঁরা। নাভান চিৎকার করে বলে উঠলো,
-” কি করতে চাইছো তোমারা? ”
উত্তর দিলো না কেউ। আন্দ্রে ইনায়ার ঘাড়ের রগে ইনজেকশনটা পুশ করে দিলো। মুহূর্তে ইনায়ার নিথর দেহটা কেঁপে উঠলো। শিরা গুলো নীল হতে লাগলো তন্মধ্যে। নাভান অসহায় গলায় বললো,
-” ওর সাথে কেনো এমন করছো তোমারা? ইনায়ার কি দোষ? ”
অদিতি প্রচুর রাগমুখ করে চিৎকার করে বলে উঠলো,
-” ওর সাথে আমার কোনো শত্রুতা আপাতত ছিলো না নাভান। জায়ান যেচে আমাকে তার শত্রু বানিয়েছে। কিন্তু ওর ভেতর জায়ানের জান রয়েছে। আমার সাথে যা হয়েছে তার শোধ আমি ওকে দিয়ে তুলবো। শেষ করে দিবো জায়ান করিম কে। ”
অদিতির কথায় আন্দ্রে ভয়ংকর রকম হাসলো। মনেমনে বিরবির করে ওঠে,
-” জে, এভাবে তোকে নিঃশেষ করবো ভাবতে পারিনি। আফসোস, খুব আফসোস। ”
নাভান দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল। কি হতে যাচ্ছে সামনে? চোরা চোখে নিজের হাতে লাগানো ঘড়ির দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো। অনেক সময় অপেক্ষা করতে হবে যে।
,
,
রাত বারোটা বেজে ঘড়ির কাটা বিশ। লাউঞ্জ এরিয়ায় গম্ভীর মুখে জায়ান। অনেকটাই বিধ্বস্ত অবস্থা তার। রক্তাক্ত লাল চোখের মনি জোড়া ভিষণ ক্রোধ নিয়ে এখনো জেগে রয়েছে। ভেতর থেকে ফুসফুস করে শব্দ বের হচ্ছে। পাশেই ফাহাদ বসা। সে-ও চিন্তিত প্রচুর। জায়ান কয়েক পলক ফেলে হাতের মুঠোয় থাকা কাগজটা আবার খুলে। বিরবির করে পরলো জায়ান। চোখ বন্ধ করে আবার ডুব দিলো দুইদিনের আগের স্মৃতিতে। বিশাল বড়ো বাড়ির সম্পূর্ণটা খুঁজে তছনছ করেছিলো জায়ান। ইনায়ার নাম গন্ধ ও খুঁজে পেলো না। শুধু দেখেছিলো তার বিশাল দেহের বডিগার্ড গুলোর মৃত দেহ গুলো। বৃষ্টি ভেজা বাড়ির উঠোন টা রক্তের বন্যায় ভেসে গেছিলো। জায়ান চোখ খুলে ফাহাদের দিকে তাকালো। ক্রুর হেসে বলে উঠলো,
-” শিকারী বাঘের থেকে নিরীহ হরিণীকে ছিনিয়ে নেওয়া, এটাকি ভালো হলো ভাই? ওর কলিজাটা খুবলে খাবো আমি। ”
ফাহাদ চমকালো জায়ানের পানে হতাশ দৃষ্টিতে তাকিয়ে সজাগ মস্তিষ্কে দৃঢ় কঠিন গলায় বলে,
-” তুই যা সন্দেহ করছিস তা ভুলও হতে পারে জায়ান। এতোদিন পরে আবার কেনো? ”
– ” প্রতিহিংসার রাজনীতিতে আগে পরে কি? বেঁচে থাকার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত প্রতিশোধ মাথায় চড়বড় করে উঠে। ”
ফাহাদ হতাশ হলো। মাথা যেন ধরে গেছে। অতীতের কালো ছায়া যেন আবার মাথায় জেঁকে বসে আছে।
জায়ানের কথার আসল মানে খুজতে অক্ষম। আচমকা ফোনের শব্দে দু-ভাইয়ের ধ্যান ভাঙলো। ফাহাদ আর জায়ান দুজনেই টেবিলের উপর রাখা ফোনে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো। জায়ান হন্তদন্ত হয়ে ফোন রিসিভ করলো। কানে ফোন রেখে সজাগ মস্তিষ্কে অপর পাশের কথা গুলো শুনলো জায়ান। মুখে ক্রুর হাসি ভেসে উঠে তৎক্ষনাৎ। অতঃপর দাঁতে দাঁত পিশে গম্ভীর গলায় বলে ওঠে,
-” গেট ফর রেডি আন্দ্রে। দেখা হবে শীগ্রই। ”
ফাহাদ চমকালো। আগ্রহ নিয়ে শুধালো,
-” সিরিয়াসলি? আন্দ্রে? ও আবার কি করে? মাথায় ঢুকছে না কিছুই। ”
জায়ান উওর দিলো না। চোখ বন্ধ করে গা এলিয়ে দেয় চেয়ারে। বিরবির করে বলতে থাকে,
-” আমার প্রিয় হরিণী, আর মাত্র তোমার প্রতীক্ষার কিছু সময়। ”
ফাহাদ চিন্তিত মুখে ভেতরে চলে গেলো। কিছু সময় অতিবাহিত হয় এমনিতেই। জায়ানের বন্ধ চোখজোড়া দিয়ে গড়িয়ে পরলো অশ্রু। যেটা দেখলো না কেউ। জায়ান আবার বিড়বিড় করলো,
-” আমি আমার মন বাগানের মালী। যার বাগিচায় জীবন নামের ফুল চুরি হয়েছে। এই পাপী মালী তা টেরও পায়নি। শুধুই আফসোস! জায়ান করিম। ”
,
,
,
কানাডার এয়ারপোর্টে এসে পৌঁছেছে জায়ানদের প্রাইভেট জেট। সবকিছু ঠিকঠাক করে বাইরে এসেছে তারা। সময় কিছুক্ষন অতিবাহিত হলো। রাত আটটা বাজে, ঠান্ডা বাতাস আসছে চারদিকে থেকে। বাইরে গাড়ির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে জায়ানরা। মুটামুটি কিছু মানুষের ভিড় কোলাহল আপাতত রয়েছে। গাড়ি আসতেই ফাহাদ আর জায়ান উঠে বসলো। পেছনে গার্ডরা আছে। গাড়ি ধীরে ধীরে চলতেই ফাহাদ শীতল কন্ঠে জিজ্ঞেস করে উঠলো,
-” এরপর কি হবে? খবর টা সত্যি তো? ”
-” এটা বিশ্বাস করা ছাড়া আমার কাছে দ্বিতীয় কোনো অপশন নেই। ”
ফাহাদ চোখমুখ কুঁচকে দীর্ঘশ্বাস ফেললো। আগ্রহ নিয়ে জানতে চাইলো জায়ানের কাছে।
-” জানালো কে এই খবর টা? ”
জায়ান গাড়ির কাচ ভেদ করে কানাডার ব্যস্ত শহর টাকে দেখতে লাগলো। চোখ বন্ধ করে হতাশ মুখে বলে ওঠে,
-” আন্দ্রের আমার সাথে ঝগড়ার পর ওর খলিলের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কানাডার বড়ো বড়ো মাফিয়াদের সাথে চলাফেরা করে আজ তার এই পজিশন। ধারণা করছি, অদিতিও ওর সাথে আছে। ”
ফাহাদ দীর্ঘশ্বাস ফেলে মাথা ঝাকালো। আন্দ্রের সাথে তাদের রাজনৈতিক ঝামেলা হয়েছিল বহু বছর আগে। জায়ান আন্দ্রে কে জেলেও ঢুকিয়ে ছিলো। এতো বছর পর আন্দ্রের হঠাৎ আগমন আবার কি তুফান আনবে তাদের জন্য?
দীর্ঘ পথ পারি দিয়ে অটোয়ায় পৌঁছেছে জায়ানরা।
গাড়ি থেকে নেমে একটা বাড়ির কাছে আসতেই, একটা লোককে দেখতে পেলো তারা। জায়ান কদম বাড়িয়ে তার কাছে যায়। গমগমে গলায় বলে ওঠে,
-” হ্যালো লিও, আই এম জায়ান করিম। ”
,
চলবে…..
,
( ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)