#যেখানে_দিগন্ত_হারায়
#পার্ট_৫১
জাওয়াদ জামী জামী
আকাশে ঘনকালো মেঘের ঘনঘটা। থেকে থেকেই বিজলীর আলোয় ধরনীর অন্ধকার দূরীভূত হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু পরক্ষনেই আবার আঁধারে ছেয়ে যাচ্ছে ধরিত্রী। দুনিয়া কাঁপিয়ে বাজ পড়ছে দূরে কোথাও। এবার কাছেপিঠে কোথাও বাজ পরল। বাজের বিকট শব্দে আরমান ধড়ফড়িয়ে উঠে বসল। পুরো ঘর অন্ধকারে ছেয়ে গেছে। বিছানা হাতড়ে ফোন নিয়ে টর্চ অন করল। ফোনের আলোয় পাশে তাকিয়ে দেখল দুই মেয়ে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। মুহূর্মুহূ বজ্রপাত ওদের ঘুমে একটুও ব্যাঘাত ঘটাতে পারছেনা। তবে বিছানায় মাশিয়াকে না দেখে চমকায় সে। বিকেলের সেই ঘটনার পর মাশিয়ার সাথে অনেকবার কথা বলতে চেয়েছে, কিন্তু মেয়েটা প্রতিবারই ওকে পাশ কাটিয়েছে কাজের অযুহাতে। মেয়েটার অভিমান ভাঙ্গাবে কিভাবে সেই চিন্তায় সারাটা সময় অস্থির থাকে সে। বরপক্ষ বিদায় নিতেই শুরু হয় ওদের বাড়ির মূল অনুষ্ঠান। যেহেতু বরপক্ষরা ঢাকা থেকে এসেছে, সেহেতু ওরা এখানে তিন ঘন্টা কাটিয়েই সন্ধ্যার আগেই ঢাকার পথে রওনা দেয়। ওদের বাড়ির অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত বারোটা বেজে যায়। সারাদিনের পরিশ্রমে ক্লান্ত আরমান মেয়েদের ঘুমিয়ে দিয়েই নিজেও ঘুমিয়ে পরেছিল তাও সাড়ে এগারোটার দিকে। মাশিয়া যে ঘরে আসেনি সেটা ও ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি।
ফোনের স্ক্রীনে তাকিয়ে দেখল রাত দুইটা বাজে। দুশ্চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়ল আরমানের। এত রাত হয়েছে অথচ মেয়েটা এখনও ঘরে আসেনি। মেয়েটা যে ঝড়বৃষ্টি ভয় পায়। আরমান দ্রুত পায়ে বিছানা ছাড়ল।
নিকষ কালো আঁধারের বুকে দামিনী ঘাপটি মেরে বসে আছে। আঁধারের কালো আঁচলের ফাঁক দিয়ে মাঝেমধ্যেই অন্তরীক্ষের আলোআঁধারির খেলা দেখছে। দামিনীর সাথে আজ সন্ধি করেছে এক বিরহিণী। সে-ও এই আঁধারে আজ নিজেকে বিলিয়ে দিতে চায়। প্রভঞ্জনের কাছে নিজেকে সঁপে দিয়েছে। মাতাল হাওয়ায় এলোমেলো তার কেশরাশি। আঁচলখানি অবহেলায় দোল খাচ্ছে দেহের দু’ধারে। সে বারান্দার খুঁটিতে হেলান দিয়ে তাকিয়ে আছে সূদুর পানে। যেন এক তৃষার্ত রমনী এক বুক তৃষ্ণা নিয়ে নিজের আকুতিভরা চোখে অন্ধকারে নিজের অভিযোগের খাতা খুলে বসেছে।
বিজলির ক্ষনস্থায়ী আলোয় পশ্চিমের বারান্দায় দাঁড়ানো নারীকে দেখে আরমানের বুকের ভেতর তোলপাড় শুরু হয়। দেড় বছর আগে যে মেয়ে বজ্রপাতের শব্দে চিৎকার করে কেঁদে উঠত, আজ সেই মেয়ে কি অবলিয়ায় এই দুর্যোগের রাতে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে! ঝড়ে, বজ্রপাতে দুনিয়া লণ্ডভণ্ড হয়ে যাচ্ছে সেদিকে কোন খেয়ালই নেই সেই নারীর। দ্রুতগতিতে আরমান ছুটে যায় তার রমনীর নিকটে।
” মাশিয়া, তুমি এখানে দাঁড়িয়ে আছ কেন? এত ঝড়বৃষ্টির মাঝে কেউ এভাবে দাঁড়িয়ে থাকে! চল, ভেতরে চল। ” আরমান মাশিয়ার হাত ধরল।
” আমি চিরতরে আপনার জীবন থেকে চলে যাব। আমি আপনার যোগ্য ছিলামনা কখনোই, আর না কোনদিন হতে পারব। আমি আরও ভালো কাউকে, যোগ্য কাউকে ডিজার্ভ করেন। অনেক ক্ষতি করেছি আপনার। পদে পদে অপমান করেছি। আমার কারনে আপনি আম্মাকে হারিয়েছেন। আজকের পর থেকে আমার জন্য কারো কাছে আপনাকে ছোট হতে হবেনা। ” মাশিয়া এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বলল।
মাশিয়ার কথায় যারপরনাই বিস্মিত আরমান। ও বুঝতে পেরেছিল বিকেলের ঘটনায় মেয়েটার অভিমান হয়েছে, কিন্তু সেই অভিমান যে এত গাঢ় সেটা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি আরমান। মাশিয়ার মুখে ছেড়ে যাবার কথা শুনে ওর বুকের ভেতর দুমড়েমুচড়ে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে নিশ্চুপ থাকা মানেই মাশিয়ার কথায় সম্মতি দেয়া। সেটা হতে দিতে চায়না আরমান।
” আমি বাচ্চাদের ছাড়া থাকতে পারবনা। কিন্তু এখন এসব কথা বলার সময় নয়। বৃষ্টি পরছে। তুমি ঘরে চল। ” আরমানের কথার মাঝেই বৃষ্টিরা ঝাঁপিয়ে পরল মাশিয়ার ওপর। বিজে চুপচুপে হয়ে গেল মেয়েটা। তবুও তার কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই।
” চিন্তা করবেননা, আমি ওদের আপনার কাছেই রেখে যাব। শুধু মাঝেমধ্যে ওদের দেখার সুযোগ দেবেন, আর কিছুই চাইনা আপনার কাছে।”
এবার আরমানের দম বন্ধ হয়ে আসছে। রাগ মাথাচাড়া দিচ্ছে বুঝতে পেরেই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টা করল। ও বেশ বুঝতে পারছে এবার রাগ করা মানেই খারাপ কিছু ঘটবে। যেটা ও চায়না। জোড়ে শ্বাস নিয়ে এক ঝটকায় মাশিয়াকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিল। জড়িয়ে নিল বুকের সাথে। মাশিয়ার ভেজা শরীরের স্পর্শ পেয়েই আরমানও ভিজে গেল। ঠিক সেই সময় বাজ পরল দূরে কোথাও। আরমানকে অবাক করে দিয়ে মাশিয়া স্থির থাকল আরমানের বুকে।
” কি আশ্চর্য ব্যাপার, বাঘিনী দেখছি বজ্রপাত ভয় পাচ্ছেনা মোটেও! অথচ এর আগেও সে ভয়ে কাঁদত! এর গোপন রহস্য কি এই অধম জানতে পারে? ”
” আপনাকে রহস্য জানানোর মানুষের অভাব নেই। সেই সাথে অফুরন্ত ভালোবাসা পাওয়ারও সুযোগ আছে। যেটা মাশিয়া কখনোই দিতে পারেনি। ” মাশিয়ার গলা কাঁপছে।
” মানুষের যেটার অভাব আছে, সে সেটাই বেশি বেশি চায়। আমি মাশিয়ার ভালোবাসার অভাববোধ করি দিনরাত, তাই মাশিয়ার ভালোবাসাই আমি চাই, অন্য কারও নয়। ”
এবার মাশিয়া ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠল। ও কিছু একটা বলতে চাচ্ছে, কিন্তু কান্নার দমকে কণ্ঠায় এসে আটকে যাচ্ছে কথারা। সেই সাথে মোচড়ামুচড়ি করছে আরমানের কাছ থেকে ছাড়া পেতে। আরমান বিষয়টা বুঝতে পেরেই মাশিয়াকে চেপে ধরল বারান্দার কাঠের খুঁটিতে। দু-হাত মাশিয়ার পেছনে নিয়ে নিজের ডান হাতের মুঠোয় নিল। বাম হাতে চেপে ধরল মেয়েটার কোমড়। বেকায়দায় পরে মাশিয়া অসহায় চোখে তাকালো আরমানের দিকে। কিন্তু অন্ধকারে কিছুই দেখতে পেলোনা। কয়েক মুহুর্ত পরেই অনুভব করল আরমানের ঠোঁটের উষ্ণ পরশ। কেঁপে উঠল মাশিয়া। শান্ত হয়ে গেছে নিমেষেই। আবেশে চোখ বন্ধ করল। এই ক্ষণ কিছুতেই নষ্ট করতে চায়না। ভালোবাসার পুরুষের কাঙ্ক্ষিত পরশ সে পেয়েছে। দীর্ঘসময় পর মুক্তি পায় আরমানের বাঁধন থেকে। লজ্জায় মুখ নিচু করল মেয়েটা। আর তখনই আরমান ওকে কোলে তুলে নেয়।
” চেঞ্জ করে নাও। নাকি আমি চেঞ্জ করিয়ে দেব? ” ঘরে এসে মাশিয়াকে কোল থেকে নামিয়ে দুষ্টুমি করে বলল আরমান।
” আমি নিজেই করতে পারব। ” মাশিয়া তখনো মাথা নিচু করে রেখেছে। সত্যিই ও আজ ভিষণ লজ্জা পেয়েছে।
মাশিয়াকে মুখ লুকাতে দেখে আরমান আনমনে হেসে কাপড় পাল্টাতে শুরু করল। কিন্তু মাশিয়া ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে।
” কি ব্যাপার দাঁড়িয়ে আছ কেন! অসুখ বাঁধাতে ইচ্ছে করছে? ”
” আপনি বাইরে গিয়ে দাঁড়ান। আমার চেঞ্জ করা হলে আপনি আসবেন। ”
” সরি, এই ঝড়ের রাতে বাহিরে যেতে পারবনা। আমি বিছানায় গেলাম। ” আরমান মাশিয়াকে অবাক করে দিয়ে মাশিয়ার দিকে পেছন ফিরে শোয়।
মাশিয়া ধীরেসুস্থে কাপড় পাল্টাতে শুরু করল।
কাপড় পাল্টে মাশিয়া বিছানায় উঠতে গেলেই নিষেধ করল আরমান।
” চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাক। আমি বললেই তবে বিছানায় আসবে। ”
মাশিয়া অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকল।
ততক্ষণে আরমান মেয়েদের বিছানার একপাশে শুইয়ে দিয়েছে। ওদের চারপাশে কোলবালিশ দিয়ে ভালোভাবে প্রটেকশন দিয়েছে। মাশিয়ার বালিশ ঠিক ওর বালিশের পাশে রেখে মাশিয়াকে ডাকল,
” এবার আসতে পার। ”
মাশিয়া কম্পমান পায়ে বিছানায় উঠল। গুটিসুটি মেরে বালিশে মাথা রাখতেই আরমান ওকে হ্যাঁচকা টানে নিজের সাথে মিশিয়ে নিল। মাশিয়া কিছুক্ষণ আরমানের বুকের সাথে মিশে রইল। কোন কথা বললনা। কিছুক্ষণ পর আবারও আরমান কথা বলল,
” এবার শুনি তোমার অভিযোগ। কেন এত অভিমান বল? আর এক বছরের ব্যাবধানে কি করে এত সাহসী হয়ে উঠলে? মন খুলে আজ সবকিছু বলতে পার। ”
” এমনভাবে কথা বলছে যেন কিছুই বোঝেনা! মেয়ে মানুষ দেখলে যে কিনা ছোঁকছোঁক করতে থাকে, সেই নাকি শুনবে আমার অভিযোগ! ”
” আমি মেয়েদের দেখলে ছোঁকছোঁক করি! বেয়াদব মেয়ে, দিলেতো মুডের বারোটা বাজিয়ে? ”
” নিকুচি করেছি আপনার মুডের। সত্যি কথা বললে মুডের বারোটা কেন চৌদ্দটাও বাজতে পারে। অসভ্য মাস্টার, আমাকে জ্বালিয়ে মারল। যেই দেখেছে সুন্দরী মেয়ে, আর তখনই তার শুরু হয়ে গেছে। সেলফি তোলার সময় এমন ভাব করছিল যেন, জীবনে কখনো বিয়েই করেনি, তার কোন সন্তানও নেই। ”
মাশিয়ার অভিযোগ শুনে আরমান মিটিমিটি হাসছে।
” বউ পাত্তা না দিলে অন্যের সাথেই সেলফি তুলতে হবে এটাই স্বাভাবিক। একটু সিঙ্গেল সিঙ্গেল ভাব না নিলে মেয়েরা পটবে? তা-ও সে যেনতেন মেয়ে নয়। ঢাবিতে পড়ুয়া মেয়ে। সেক্ষেত্রে ভাব তো বেশি নিতেই হবে। ” আরমান কথা শেষ করতে পারলনা, তার আগেই ও আর্তনাদ করে উঠল। মাশিয়া ওর বুকে কা’ম’ড় দিয়েছে।
” আউচ্। এই মেয়ে তুমি কি রাক্ষসী নাকি! ”
” হুম আমি রাক্ষসী। আপনার কোন সমস্যা? এরপর থেকে একটা অন্যায় করবেন, সাথে সাথেই একটা কা’ম’ড় আপনার পাওনা হয়ে যাবে। আমি নিশ্চিত কালকে আবারও ঐ মেয়ে আসবে। যদি দেখি আপনি ওর আশেপাশে গেছেন, তবে সবার সামনে আমি আপনাকে কা’ম’ড়ে দেব। ”
” আর কিছু? ” আরমান স্তিমিত গলায বলল।
” শুধু ঐ মেয়ে কেন, অন্য কোনও মেয়ের দিকে তাকাবেননা। ”
” তারপর? আরও কিছু আছে? ”
মাশিয়া মাথা নাড়ায়।
” তো বাঘিনী, খুব তো ঝড়ের মধ্যে বাহিরে দাঁড়িয়ে ছিলে, ভয় করলোনা? ”
” উহু। ”
” এত পরিবর্তন কিভাবে সম্ভব! ”
” আপনার ভালোবাসা আমাকে বদলে দিয়েছে। যখন আপনাকে ছেড়ে গেলাম, ভেবেছিলাম ভালোই থাকব। আপনি নামক মানুষটার ধরাছোঁয়ার বাইরে গেলে আমার জীবনটা আগের মত হবে। কিন্তু হয়ে গেল তার উল্টোটা। এই মাটির ঘরটাকে প্রচন্ড রকমের মিস করতে থাকলাম। মিস করতাম এই ঘরের মানুষটাকে। আম্মার মুখ বারবার মনে পরত। সুধা,শশীর সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো ভুলতে পারলামনা। ঝুম বৃষ্টিতে ছাদে গিয়ে ভিজতাম। খুব করে চাইতাম, আপনি সুপারম্যানের মত আমার সামনে গিয়ে হাজির হন। আমাকে ধমক দিন। কিন্তু আপনি সেই কঠোর মানব থেকে গেলেন, সুপারম্যান আর হলেন কই! আকাশে মেঘ করলে দৌড়ে ছাদে যেতাম। একরাতে পুরো ঝড়ের সময়টুকু ছাদে কাটিয়েছি। বিজলির চমকে একটুও ভয় লাগতোনা। বাজ পরত কত। কিন্তু সেগুলো দেখার সময় কই আমার! আমিতো ব্যস্ত আমার অসভ্য মাস্টারের স্মৃতিচারণ করতে। মনে মনে কত চাইতাম, আপনি একবার আমার কাছে আসুন। কিন্তু আপনি আমার মনের কথা শুনতেই পাননি। ” মাশিয়া কাঁদছে। কাঁদছে আরমানও।
” তুমি আমাকে ডাকলেনা কেন? একটাবার ডেকে দেখতে। ”
” ভয় হতো। যদি প্রত্যাখ্যান করতেন। আমার বদলকে যদি আপনার কাছে মেকি মনে হত। আপনার প্রত্যাখ্যান সহ্য করার ক্ষমতা অর্জন করতে পারিনি আমি। আর কোনদিন পারবওনা। তাই কষ্ট পেলেও সহ্য করতে শিখে গেছিলাম। ”
” আর কষ্ট পেতে দেবোনা তোমাকে। আর কোন ভুল করবনা আমি। এবার যদি যাওয়ার কথা বল, তবে পা ভেঙ্গে ঘরে বসিয়ে রাখব। ”
” কে যেতে চাইছে! আমিতো আপনার লুচুগিরি দেখে রেগে গেছিলাম। ”
” কিহ! আমি লুচু! ”
” হুম, মহালুচু। ”
” পিহু বোধহয় আমাকে বুঝতে পারে, যেটা তুমি বোঝনা। ও আমার কি সুন্দর করে কথা বলল। ও তোমার মত নয় মোটেও। ” মাশিয়াকে রাগিয়ে দেয়ার সুযোগ ছাড়লনা আরমান।
আরমান পিহুর কথা যেই বলেছে, মাশিয়া ওর বুকে আবারও কা’ম’ড় বসিয়েছে।
” কালকে বরপক্ষরা আসলেই আমার পাশে পাশে থাকবেন আপনি। ঐ মেয়ের অবস্থা খারাপ করে ছাড়ব আমি। এই মাস্টারের চরিত্রে এমনিতেই সমস্যা আছে। তারওপর ঐ মেয়ের রংঢং দেখে এর মাথা আরও ঘুরে গেছে। দেখি কালকে আপনি কি করেন। ”
” এত কা’ম’ড়া’লে যদি জলাতঙ্ক হয়! ও বউ, তোমার একটামাত্র বর তখন পানির অভাবে হাহাকার করবে। তুমি কেমন করে সহ্য করবে তার কষ্ট? ”
ব্যাস আরেকটা কা’ম’ড় খেয়ে থামতে হয় আরমানকে।
” জলাতঙ্ক হবে মানে? আমার কা’ম’ড়ে বি’ষ আছে? আমি কুকুর? ” মাশিয়া রাগে গজগজ করছে।
” উহু, তোমার ভালোবাসায় বি’ষ আছে। যেই বি’ষে দেড় বছর আগেই আমি কুপোকাত হয়েছিলাম। আজও সেখান থেকে বোরোতে পারিনি। সেই রাতের স্মৃতি কিভাবে ভুলি বল। ” আরমান মাশিয়ার রাগ, অভিমান ভাঙ্গানোর অস্ত্র পেয়ে গেছে।
মাশিয়া চোখ বন্ধ করে আরমানের বুকে মিশে রইল।
চলবে…