যেখানে দিগন্ত হারায় পর্ব-৫২

0
277

#যেখানে_দিগন্ত_হারায়
#পার্ট_৫২
জাওয়াদ জামী জামী

” কতক্ষণ ধরে কেঁদেছ বলতো? চোখমুখ ফুলে গেছে। ” আরমান মাশিয়ার কপালে চুমু দিয়ে বলল।

” আপনার মত জামাই যার কপালে আছে, তার সময়ে-অসময়ে কাঁদতে হবে এটাই স্বাভাবিক। দুই বাচ্চার বাপ হয়েও যে মেয়েদের দেখলে বউকে দূরে ঠেলে দেয়, সেই বউ কি না কেঁদে থাকতে পারে? ” মাশিয়া আরমানের টি-শার্টে নাক মুছে বলল।

মাশিয়ার কথা শুনে আরমান হাসবে না কাঁদবে ভেবে পায়না। মেয়েটাকে শান্তনা দেয়া দরকার। তাই ওর মাথায় হাত রেখে কোমল গলায় বলল,

” আর কখনোই এমন হবেনা আমার, রাক্ষসী বউ। এখন থেকে মেয়েদের দেখলেই দশ হাত দূর দিয়ে হাঁটব। ” আরমান কথা শেষ করার সাথে সাথেই ওর বুকে আরেকটা কা’ম’ড় দিল মাশিয়া।

মাশিয়ার এমন কাজে আরমান চমকে যায়। সেই সাথে ভয়ও পায়। ভীতু গলায় জিজ্ঞেস করল,

” আবার কি ভুল করলাম! ”

” আপনি এইমাত্র স্বীকার করলেন, আপনি মেয়েদের দেখলে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারেননা। এখন আমার ভয়ে মেয়েদের থেকে দূরে থাকতে চাচ্ছেন। ”

মাশিয়ার কথা শুনে আরমান কপাল চাপড়ায়।

” ও আল্লাহ, এ কোন বিপদে পরলাম। সত্যি বললেও কা’ম’ড় খেতে হচ্ছে। যদি অস্বীকার করতাম তার অভিযোগ, আমি নিশ্চিত তখনও কা’ম’ড় খেতে হত। আমি আর কোন কথাই বলবনা। এই তুমিও ঘুমাও, আমাকেও ঘুমাতে দাও। ”

” উহু, আজতো ঘুমাবোনা। আজ গত দেড় বছরের সব কিছুর শোধ তুলব। ”

” সে হিসেব করতে গেলে, শোধ আমারও তোলার কথা। বউ থাকতে আমি সিঙ্গেল জীবনযাপন করেছি। এর থেকে বড় কষ্ট কোন পুরুষের হয় বলে আমার জানা নেই। আর আমার শোধ মানে অন্যরকম কিছুই হবে। যেটা তোমার সহ্য সীমার বাইরে। আর শোন বউ, ঘুমাতে আমারও ইচ্ছে করছেনা। গত দেড় বছরের অপ্রাপ্তিগুলো সুদেআসলে তুলতে মন চাইছে। কিন্তু আমি নিরুপায়। কাল সকাল থেকেই ব্যস্ত থাকতে হবে দু’জনকেই। আর তাছাড়া বাড়ির আত্নীয়স্বজনরা যখন জানবে আরমানের বউ স্বামীর আদর পেয়ে বিছানা থেকে উঠতে পারছেনা, সেটা কি ভালো দেখাবে? ”

আরমানের এহেন কথায় মাশিয়া লজ্জায় আরমানের বুকেই মুখ লুকায়। ওর বুক ধুকপুক করছে। সেই রাতের অনুভূতি ফিরে এসেছে যেন আরেকবার। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে বেগ পেতে পেতে হচ্ছে ওকে।

” ঠিক আছে ঘুমান। তবে আমি এভাবেই ঘুমাব বলে দিলাম। ” আরমানের বুক থেকে মুখ না তুলেই বলল মাশিয়া। আরমানও ওর কথায় সায় দিয়ে জড়িয়ে ধরল তার রমনীকে।

পরদিন দুপুরের পরপরই বরযাত্রী হাজির হয়। তাদের স্বাগত জানাতে সবাই ব্যস্ত হয়ে গেছে। শশীর দেখা নেই। সে বন্ধুদের সাথে নিয়ে জামাইকে নাকানিচুাবানী খাওয়ার প্ল্যান করেছে। কিন্তু কিছুতেই সফল হতে পারছেনা। অনিকের এক কাজিন ওর সব পরিকল্পনায় জল ঢালছে।

অনেকক্ষণ থেকেই শশী ও তার দল জামাইয়ের জুতা চুরি করার চেষ্টায় আছে। সুযোগ মিলতেই ওরা অনিকের কাছে যায়। অনিক স্টেজে ওর বন্ধুদের সাথে গল্পে মশগুল। তন্নতন্ন করে খুঁজেও শশী ও তার বাহিনীরা জুতার হদিস পেলোনা। রাগে, দুঃখে ওদের চোখে পানি এসে গেছে।

” এক্সকিউজ মি, আপনিই বোধহয় ফুলন দেবী? ” শশীর রাগে-দুঃখ আরও একটু উস্কে দিল বরপক্ষের একজন। তার কারনেই শশীর সব পরিকল্পনা মাঠে মা রা যাচ্ছে। মাঝারি উচ্চতার ছেলেটির গায়ের রঙ বেশ উজ্জ্বল। মাথা ভর্তি সিল্কি চুল। সে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছে শশীর সামনে। তার মুখের ভেতরের দুইপাশের গজ দাঁতদুটি যেন একটু বেশিই চোখে পরছে। যে কেউ একবার তার দিকে তাকালে এককাক্যে বলতে বাধ্য হবে, ছেলেটি নিঃসন্দেহে সুদর্শন।

” কে বলছে আমি ফুলন দেবী? আইছে কোথাকার কোন উজবুক। এমনভাবে হাঁসছে, যেন টুথপেষ্টের বিজ্ঞাপন করছে। আরে বাবা, আমরা তো জানিই প্রয়োজনের থেকে আপনার দুইটা দাঁত বেশি আছে। তাই বলে সব সময় এটা প্রচার করে বেড়াবেন? ”

শশীর কথা শুনে ছেলেটার মুখ চুপসে গেছে। সেই সাথে অটোমেটিক তার মুখও বন্ধ হয়ে গেছে। সে বুঝতে পারছে মেয়েটা ওকে ইচ্ছে করেই খোঁচা দিয়েছে। এতক্ষণের রাগ ওর ওপর ঝারছে। তাই শশীর সাথে আরেকটু মজা করার সিদ্ধান্ত নেয় ছেলেটা।

” ঠিক ধরেছেন, ফুলন দেবী। আমার দুইটা দাঁত বেশিই আছে। চাইলে ঐ দুটোর ব্যবস্থাও করতে পারতাম। কিন্তু কখন, কার প্রয়োজনে লাগে ভেবে সেটা করিনি। এখন দেখছি দাঁত দুটো আপনারই লাগবে। আপনার চাপায় বোধহয় দুইটা দাঁত কম আছে। সেজন্যই চাপা দুটো এত শুকনো শুকনো লাগছে। এক কাজ করুন, আমার সাথে ঢাকা চলুন, ডেন্টিস্টটের কাছে গিয়ে দাঁত দুটো আপনাকে দান করে দেই। ”

শশী কিছু বলতে মুখ খোলা মাত্রই ও দেখল আরমান এদিকে আসছে, আর সাথে সাথেই ওর রাগও ফুঁসসস। ও কোন ছেলের সাথে ঝগড়া করছে এটা দেখলে আরমান নিশ্চিত ওকে এখান থেকে কান ধরে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে যাবে।

” বেঁচে গেলেন। নেহাৎ ভাইয়া আসছে, নয়তো আজ আপনাকে পুকুরে নাকানিচুাবানী খাওয়াতাম। ” শশী রাগে দুপদাপ পা ফেলে বাড়ির দিকে হাঁটতে শুরু করল।

” আরে, আপনার সাথে পরিচিত হলামনা এখনো। যাচ্ছেন কেন? দাঁড়ান একটু গল্প করি। আমি তনয়, অনিকের চাচাতো ভাই। ” ছেলেটা একটু জোড়েই বলল। তার কথাগুলো শশীও শুনতে পেয়েছে ঠিকই, কিন্তু কোন প্রতিক্রিয়া দেখায়না।

তনয় নামের ছেলেটি শশীর দিকে তাকিয়ে থাকল মুগ্ধ চোখে। চঞ্চলা এই তরুণীটিকে ওর ভিষণই মনে ধরেছে। চব্বিশ বছরের জীবনে এই প্রথমবার কেউ ওর মনের ঘরে পা রেখেছে। ওর হৃদয়ের আরশিতে কারও অবয়ব স্পষ্ট হয়েছে। এই চঞ্চলা হরিণীকে ওর চাই -ই চাই।

মাশিয়া অনেকক্ষণ ধরে লক্ষ্য করছে পিহু আরমানের সাথে কথা বলার চেষ্টা করছে, ওর আশেপাশে ঘুরঘুর করছে। কিন্তু আরমান ওকে পাত্তা দিচ্ছেনা। কোন কাজ না ও কখনো সুধার কাছে আবার কখনো বাহিরে হাঁটছে। ওর মেয়েরা তৃষা, মিতুলের কাছে আছে। সুধাকে খাইয়ে দিয়ে বারান্দায় আসতেই মাশিয়া দেখল পিহু আরমানকে কিছু একটা বলছে। এক পর্যায়ে সে আরমানের হাত ধরে বাহিরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। মাশিয়া আর দেরি না করে এগিয়ে যায় আরমানের দিকে।

” এই যে শুনছেন? একটু ভেতরে আসবেন আমার সাথে? ” মাশিয়া আরমানের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়েছে।

মাশিয়াকে দেখে পিহু আরমানের হাত ছেড়ে দেয়।

” কোন দরকার আছে, বউ? কিছু বলবে? ” আরমান মিটিমিটি হাসছে।

” এগারো ঘন্টা পঁচিশ মিনিট হয়ে গেছে আমাকে চুমু দেননি। এক্ষুনি ঘরে গিয়ে আমাকে চুমু দিবেন। আপনি ভালো করেই জানেন আপনার চুমু না পেলে আমার ডিহাইড্রেশন হয়ে যায়। দম বন্ধ হয়ে আসে। এই দীর্ঘ এগারো ঘন্টা পঁচিশ মিনিট আপনার চুমু না পেয়ে আমার কি হচ্ছে সেটা কি আপনি বুঝতে পারছেন? ” মাশিয়ার কথা শুনে আরমানের দমফাটা হাসি পাচ্ছে। কিন্তু বউ রাগ করবে ভেবে অনেক চেষ্টা করে হাসি আটকে রাখল।

” চল, বউ। আমি থাকতে আমার একটামাত্র বউয়ের চুমুর অভাবে ডিহাইড্রেশন আর দম বন্ধ হবে এটা কি আমি হতে দিতে পারি! ”

” এক্সকিউজ মি, আপু। ” মাশিয়া পিহুর দিকে তাকিয়ে গা জ্বালানো হাসি দিয়ে আরমানের হাত ধরে ভেতরে নিয়ে যায়।

” এই যে অসভ্য মাস্টার, এতক্ষণ কি হচ্ছিল বাইরে? ঐ মেয়ের সাথে এত কথা কিসের? ” ঘরে এসে মাশিয়া আরমানের পাঞ্জাবীর বোতাম খুলতে খুলতে দাঁতে দাঁত পিষে জিজ্ঞেস করল।

আরমান বুঝতে পারল এরপরে হতে চলেছে মাশিয়ার স্পেশাল ট্রিটমেন্ট। তবুও সে নিজের পক্ষে সাফাই দেয়ার চেষ্টা করল।

” আমি তার সাথে কথা বলছিলামনা, বউ। সে আমার সাথে ঘুরতে যেতে চাচ্ছিল, কিন্তু আমি তাকে নিষেধ করেছি। এতটুকুই কথা হয়েছে তার সাথে। আমি একমাত্র বউয়ের অনুগত জামাই। বউ নিষেধ করার পরও কি আমি বেগানা নারীদের সাথে কথা বলতে পারি! ” কথার মাঝেই নিজের বুকে কা ম ড় অনুভব করল আরমান। সাথে সাথেই ওর ঠোঁটের কোনে ফুটল প্রশান্তির হাসি।

” আমি আপনাকে বলেছিলামনা, আমার আশেপাশে থাকবেন? তারপরও আমার ভালোবাসার আঁচল ছেড়ে কেন ঐ মেয়ের ওড়নার ছায়া পেতে তার সাথে কথা বলতে গেলেন? ”

” হুঁশশ, পাগলী মেয়ে, বউয়ের অফুরন্ত ভালোবাসা রেখে আমি অন্য মেয়ের কাছে যাব কেন! বউয়ের জন্য এই বান্দা জান কুরবান করতে দুইবারও ভাববেনা। এখন এসব কথা বাদ দিয়ে আসল কথায় এস। অলরেডি এগারো ঘন্টা পঁয়ত্রিশ মিনিট হয়ে গেছে। আর এই দীর্ঘ সময় তোমাকে চুমু না দিয়ে আমি হাঁসফাঁস করছি, এটা কি বুঝতে পারছ? এবার কাছে এসোতো। ” কথার মাঝেই আরমান মাশিয়াকে কাছে টেনে নিয়ে ওর ঠোঁটে ঠোঁট ডুবায়।

তনয় এদিকসেদিক ঘুরছিল। এই গ্রামটা ওর বেশ পছন্দ হয়েছে। ঘুরতে ঘুরতে ও এসেছে আরমানের বাড়ির পেছনের বাগানে। বাগানে এসে মুগ্ধ হয়ে গেছে ছেলেটা। চারপাশে তাকিয়ে দেখছে বিভিন্ন ধরনের গাছ। অসময়েও কয়েকটা গাছে আম ধরে থাকতে দেখল। এছাড়াও কয়েকটা গাছে ফল ধরে থাকতে দেখল। বাগানের একপাশে পুকুর। পুকুরের ধারে নানানরকম ফুলগাছ, সবজিগাছ। পুরো বাগান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। পুকুরের পাশে বড় আমড়াগাছের নিচে একটা বাঁশের মাচা দেখতে পেল তনয়। ও হাসিমুখে এগিয়ে যায় মাচার দিকে। মৃদুমন্দ বাতাসে ওর শরীর ঠান্ডা হয়ে গেছে। ও সটান হয়ে শুয়ে পরল মাচার ওপর। আরামে দু চোখের পাতা কখন লেগে গেছে সেটা বুঝতেও পারেনি তনয়। ডালপালার খসখস আওয়াজে তন্দ্রা ছেটে গেছে তার। আড়মোড়া ভেঙ্গে উঠে বসতেই দেখল শশী উত্তর পাশের আমগাছ থেকে আম ছিঁড়ছে। শশীকে দেখে না চাইতেও চাঁদ হাতে পাবার অনুভূতি হয় তনয়ের। ও হেসে পা বাড়ায় শশীর দিকে।

” ফুলন দেবী, কার জন্য আম ছিঁড়ছ? দেবে নাকি একটা আমাকে? যার হাত এত সুন্দর, তার হাতের আম যেন কত মজার হবে! ” নিজের পেছনে হঠাৎই তনয়ের গলার আওয়াজ পেয়ে চমকে উঠল শশী। ও ঘুরে তাকাল।

” এমন ভূতের মত কই থেকে হাজির হলেন! আরেকটু হলে পৈত্রিক সম্পত্তি এই প্রানটাই টুপ করে গলা দিয়ে বেরিয়ে আসত। ” শশীর গলায় রাগের আভাস পেয়ে তনয় উচ্চস্বরে হেসে উঠল।

” তুমি যদি আমার পেত্নী হও, তবে আমি ভূত হতে এক পায়ে রাজি আছি। হবে নাকি আমার পেত্নী? ”

” আচ্ছা ফাজিল ছেলেতো আপনি! আমার সাথে ফ্লার্ট করছেন? আমি ভাইয়াকে এখুনই জানাচ্ছি। ভাইয়া আপনার ভীমরতি ছুটিয়ে দেবে। ”

” আমি ফ্লার্ট করতে জানিনা। যা বলেছি সত্যি বলেছি। তোমার ভাইয়াকে বললে আমারই উপকার হবে। যাও তারাতারি তোমার ভাইয়াকে গিয়ে বিচার দাও। ”

” বিরক্তিকর লোক একটা। অসহ্য। ” শশী রাগে গজগজ করছে।

” এই বিরক্তিকর লোকই একদিন তোমার প্রনয়ের সাথী হবে দেখে নিও। যার প্রনয়ীনি হয়ে গর্ব হবে তোমার। যার প্রনয়ের দোলায় আজীবন গরবিনী তুমি ভাসবে সুখের ভেলায়। ”

তনয়ের মুখে এমন কথা শুনে শশীর বুক ধুকপুক করছে। আজ-অব্দি কেউ ওকে এভাবে বলেনি। তবুও মেয়েটা নত হবার নয়।

” আসছে কবি-সাহিত্যিক। ফ্ল্যার্টের পাশাপাশি কাব্য করতেও জানে দেখছি! তবে এসব কথা আমাকে শুনিয়ে লাভ নেই। আপনি বরং ঐ যে ঐ বাড়ির মেয়েদের পাশে বসে কাব্য রচনা করুন গিয়ে। ” তনয়কে একটা বাড়ির দিকে ইশারা করে বলল শশী। সেই সাথে তনয়কে ধাক্কা দিয়ে চলে যেতে চাইল। কিন্তু ব্যর্থ হয় সে। তনয় ওর হাত ধরে ফেলেছে আচমকাই। এক টানে শশীকে সামনে এনে গাছের সাথে চেপে ধরল। শশীর কানের কাছে মুখ এনে ফিসফিসিয়ে বলল,

” আমি কাব্য যে কারও জন্য রচনা করিনা। আমার মতই আমার কাব্যও রুচিশীল। তারা সব সময়ই বিশেষ কারও জন্য অপেক্ষা করে। গত চব্বিশ বছর পর সেই বিশেষ কাউকে পেয়েই তবে তারা নিজেদের প্রকাশ করেছে। ”

তনয়ের ফিসফিসানি আওয়াজে শশীর শরীরে কাঁটা দেয়। ওর শরীর অবসন্ন হয়ে আসছে। অনেক চেষ্টার পর তনয়কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে দৌড় দেয় বাড়ির দিকে।

চলবে…