যে থাকে আঁখি পল্লবে পর্ব-১০

0
23

#যে_থাকে_আঁখি_পল্লবে
#পর্ব-১০

দশমিনিট বিরতি নিয়ে সকালের কেসের শুনানিতে এলো রুজাইফ। সকালের দিকে তাকিয়ে জানতে চাইলো-“আপনার পরিবার থেকে কেউ এসেছে?”
সকাল মাথা দুলিয়ে বললো-“আমার আব্বা আসছে স্যার।”
মাজেদকে হতবিহ্বল দেখালো। সে হা করে রুজাইফের দিকে তাকিয়ে আছে। যেন রুজাইফ কি বলছে তার কিছুই তার মাথায় ঢুকছে না। রুজাইফ বিচারক এ কথা সাজেদ বলেছিল বটে কিন্তু তার নিজের মেয়ের কেসের বিচারক সেটা তো কস্মিনকালেও ভাবেনি। এসব কি হচ্ছে তাদের সাথে? মাজেদের অবস্থা দেখে রুজাইফ মনে মনে হাসলো। অপরিচিত ভাব করে দেখিয়ে মাজেদকে বললো-“আপনি বাদীর বাবা? মেয়েকে জোর করে বিয়ে দিয়েছেন কেন? জানতেন না মেয়ে পালিয়ে বিয়ে করেছে?”
মাজেদ বোকা মানুষের মতো মাথা নাড়ে-“জানতাম না। জানলে কি কেউ দুইবার বিয়ে দেয় মেয়ের?”
বাবার মিথ্যে শুনে সকাল চমকে উঠলো। রুজাইফ গম্ভীর মুখ বললো-“মিথ্যে বলছেন কেন? আদালতে দাঁড়িয়ে মিথ্যে বলার পরিনাম জানেন?”
মাজেদ প্রতিবাদ করলো-“আমি মিথ্যে…”
“আপনার কি মনেহয়, মিথ্যে বলে আপনি বেঁচে যাবেন? উল্টো আপনার জেল হয়ে যাবে বিচারককে মিথ্যে বলার দায়ে।”
“আমি কেন মিথ্যা বলবো? আমি তো…”
মাজেদ নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলো কিন্তু রুজাইফ শুনলো না। সে গাম্ভীর্যের সাথে মাথা নাড়ে-“আজকে আপনার মেয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার কথা। আপনার বোঝা উচিত ছিলো এখানে এমনি এমনি বসিনি আমি। গত কয়েকদিন যথেষ্ট খোঁজ খবর নিয়েছি। কাজেই মিথ্যে বলে আদালতের সময় নষ্ট করলে সেজন্য কঠোর শাস্তি পাবেন আপনি।”
মাজেদের চেহারা রক্তশুন্য হলো। পরিস্থিতি উল্টে যাবে সেটা হয়তো ভাবেনি সে। তার আগেই বোঝা উচিত ছিলো এই ছেলে তাদের নিচু করার একটা সুযোগও হাতছাড়া করবে না। সে আমতা আমতা করলো। রুজাইফ কঠোর গলায় বললো-“শুনুন, আপনার মেয়ে যখন পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিল তখন কি সে প্রাপ্তবয়স্ক ছিলো?”
“হ্যা।”
“তাহলে তাকে ধরে বেঁধে দ্বিতীয়বার বিয়ে দেওয়া কি উচিত হয়েছে? আর প্রথম স্বামীর সাথে তালাক না নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে দেওয়ার হেতু কি বলুন তো? সব জায়গায় তো গায়ের জোর চলে না। আইন আদালত বলে কিছু আছে তো নাকি?”
মাজেদ চুপ করে রইলো। মেয়ের দিকে ভস্ম করে দেওয়া দৃষ্টি দিলো। রুজাইফ সবটা দেখলো তারপর বললো-“স্বামী থাকার পরেও আবার বিয়ে কি বৈধ না অবৈধ? কি মনেহয় আপনার? বলুন। আপনি একজন শিক্ষক হয়ে এমন ভুল কি করে করলেন?”
মাজেদ মুখে কলুপ এটে রইলো। পাশ থেকে তার উকিল এগিয়ে এলো-“স্যার, আমার মক্কেল আবেগের বশে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সে অনুতপ্ত হয়েছে। এরজন্য যে কমপেনসেশন দিতে হবে সে তা দিতে রাজি আছে।”
পাশ থেকে নাদের চেচিয়ে উঠলো-“এইসব আমি মানি না স্যার। সমাজে আমার মান সন্মান নষ্ট হইছে। এখন বউ পাওয়া ছাড়া অন্য কোন সিদ্ধান্ত মানবো না।”
মাজেদের সাথে নাদেরের তর্ক লেগে গেলো। সবাই চেচামেচি শুরু করলে হট্টগোল শুরু হলো। রুজাইফ বিরক্ত হলো। সবাইকে শান্ত হতে বললো। কিছুটা সময় নিয়ে কাগজে কিছু লিখলো খসখস করে। তারপর বললো-“মিস্টার নাদের, সকাল প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে। স্বইচ্ছায় বিয়ে করেছে মিস্টার সোহাগকে৷ তাদের বিয়ের উপযুক্ত প্রমান এখানে জমা আছে। চারজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে ওরা বিয়ে করেছে। সোহাগ শিক্ষিত কৃষক ছেলে। মা আর বোন ছাড়া কেউ নেই। পারিবারিক অবস্থা তেমন ভালো না। তাই জনাব মাজেদ রাগে জেদে মেয়েকে ঘরবন্দী করে সোহাগকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে পুনরায় আপনার সাথে বিয়ে করতে বাধ্য করে। কিন্তু দ্বিতীয় বার বিয়ে কোন মেয়ের ক্ষেত্রে কোনভাবেই সম্ভব না। তাই আদালত আপনার এবং সকালের বিয়ে বাতিল ঘোষণা করলো। তবে বাদী সকালের মানসিক অবস্থা বিবেচনা করে আদালত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সকালকে মানসিক দ্বিধা দ্বন্দ্ব থেকে মুক্তি দিতে এই আদালতেই আপনারা ডিভোর্স পেপারে সিগনেচার করবেন। ভবিষ্যতে তার উপর আপনার কিংবা আপনার উপর তার কোন ধরনের অধিকার থাকবে না। এর সুষ্ঠু সমাধানের জন্য আপনারা চাইলে আদালতের বাইরে মিউচুয়াল করে নিতে পারেন নিজেদের সুবিধা মতো। যেহেতু এই অপ্রিতিকর ঘটনার জন্য মিস্টার মাজেদ দায়ী তাই সব মিমাংসার দায় তার উপর বর্তায়। এখন আপনি তার সাথে কিভাবে মিটমাট করবেন সেটা একান্তই তার এবং আপনার ব্যাপার। আদালত এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে না। ক্লিয়ার?”
মাজেদ উচ্চস্বরে প্রতিবাদ করলো-“এইটা আপনে কি বললেন জজ সাহেব? এখন ও যদি কোন অন্যায় দাবি করে তাও কি আমার পূরণ করাই লাগবে?”
“দরকার হলে করবেন আফটারঅল ঝামেলা আপনি তৈরি করেছেন। আর হ্যা, সকাল আর সোহাগের জীবনে যে পীড়াদায়ক পরিস্থিতি তৈরি করেছেন তার ক্ষতিপূরন হিসেবে আপনি নিজে তাদের বিবাহ পরবর্তী অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন। গ্রামের গম্যমান্য মানুষদের উপস্থিতিতে কণে বিদায় দেবেন। এজন্য এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হলো আপনাকে।”
মাজেদের চেহারা হলো দেখার মতো। সে সাথে সাথে প্রতিবাদ করলো-“ওর সাথে কোন সম্পর্ক নাই আমার। ওরে ত্যাজ্য করছি। যে মাইয়া বাপ মায়ের সন্মান নিয়া ভাবে না তার প্রতি কোন দায় নাই আমার।”
সকাল সাথে সাথে বলে উঠলো-“আমার কিছু চাই না জজ সাহেব। সোহাগের সাথে শান্তিতে সংসার করতে পারলেই আমি খুশি। কারো কাছ থিকা জোর কইরা কিছু নিতে চাইনা আমি।”
রুজাইফ হাত দেখিয়ে থামালো সকালকে-“এটা তোমার অধিকার মেয়ে। নিজের অধিকার কখনো ছেড়ে দিতে নেই। আর আদালতের রায়ের বিপক্ষে কোন কথা বলবে না।”
তারপর মাজেদের দিকে তাকিয়ে বললো-“আদালত মান অভিমান দেখানোর জায়গা না মিস্টার মাজেদ। আপনি কি ওকে ত্যাজ্য করার বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন? যদি না নিয়ে থাকেন তাহলে মৌখিক ভাবে ত্যাজ্য করায় কোন কিছু বদলে যাবে না। আর তাছাড়া ইসলামে সন্তানকে ত্যাজ্য করার নিয়ম নেই। সন্তান ভুল করলে তাকে শুধরে দিতে পারেন কিন্তু আপনি তা না করে উল্টো নিজে ভুলের পর ভুল করেছেন। সন্তানের সাথে রেষারেষি করা গুড প্যারেন্টিং হতে পারে না। আদালত আপনাকে ভুল সংশোধনের সুযোগ দিয়েছে এবং আপনার উপর আদেশ বাস্তবায়নের হুকুম করেছে। যত দ্রুত তা করবেন ততই মঙ্গল হবে সবার জন্য। আদালত অবমাননা হলে সেটা আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য ভালো হবে না। আপনি বুঝদার মানুষ আশাকরি এর বেশি কিছু বলার প্রয়োজন হবে না।”
পুরো রুম জুড়ে পিনপতন নীরবতা। মাজেদকে অসন্তুষ্ট দেখালো। রুজাইফ কাগজে সব লিখে উকিলদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে পরবর্তী কেসের জন্য দশ মিনিট বিরতি নিয়ে নিজের কেবিনে ফিরে এলো। কিছুক্ষণ পর মতিন এলো-“স্যার।”
“আর পাঁচ মিনিট মতিন। হাতের কাজ শেষ করে আসছি।”
“স্যার, একজন দেখা করতে চায়।”
রুজাইফ লেখা বাদ দিয়ে তাকালো-“কে?”
“আমি। একটু ব্যক্তিগত দরকার ছিল।”
মাজেদকে দেখা গেলো উঁকি দিতে। রুজাইফের মেজার চড়ে গেলো। মতিনের দিকে তাকাতেই সে কাচুমাচু হয়ে দুই হাত কচলালো-“স্যর, আমার কোন দোষ নাই। উনি জোর করতেছিলেন।”
মাজেদ ভেতরে ঢুকে গেলো-“পাঁচ মিনিট সময় নিব।”
মতিনকে ইশারা করতেই সে দরজা চাপিয়ে চলে গেলো। রুজাইফ চেয়ারে হেলান দিলো-“বলেন কি বলবেন।”
মাজেদ ব্যাগ এগিয়ে দিয়ে বললো-“দুই লাখ টাকা।”
রুজাইফের ভ্রু কুঁচকে গেলো। কিছু সময় পরে মুচকি হেসে বললো-“ঘর বাহির মিলায় ফেলতেছেন আপনি। এইটা আমার অফিস। এইখানে ঘরের ব্যাপার টেনে আনা ঠিক না।”
মাজেদ না বুঝে তাকিয়ে আছে। রুজাইফ বললো-“ব্যাগটা তুলেন। সন্ধ্যা বাসায় যাই। ঘরের ব্যাপার ঘরে মিটমাট হলেই ভালো না? উহু, উল্টাপাল্টা বুঝ দিয়েন না। তাড়াতাড়ি ব্যাগ নিয়ে বিদায় নেন হাতে অনেক কাজ আমার। ঝামেলা করতে চাইলে করাই যায় কিন্তু করবো না। সময়ের দাম আছে আমার।”
অগত্যা মাজেদ হার মানলো। সেই সাথে এটাও বুঝলো রুজাইফ বুদ্ধিতে তার থেকে দুই কদম এগিয়ে। তাকে ফাঁসিয়ে দেওয়া এতো সহজ হবে না। সে দুমদাম পা ফেলে বেরিয়ে গেলো।

★★★

সন্ধ্যায় অফিস থেকে বেরুতে গিয়ে আরেক ঝামেলায় পড়লো রুজাইফ। সকাল আর সোহাগ বসে আছে তার কেবিনের সামনে। তাকে দেখেই দৌড়ে এলো মেয়েটা-“স্যার।”
“কি হয়েছে?”
“আমার আব্বা আমাকে নেয় নাই। কয়, আমারে নিতো না তার বাড়িতে।”
“আপনি চলে যান। নিজের বাড়িতে একা গেলে কি সমস্যা?”
সোহান বললো-“আমার ভয় লাগে স্যার। আগের বার জোর কইরে বিয়া দিছে এইবার যদি অন্য কিছু করে? আব্বা আর চাচা অনেক রাগী। ওদের বিশ্বাস করি না স্যার।”
কিঞ্চিৎ বিরক্ত হলো রুজাইফ। এখন সে ফার্নিচারের দোকানে যাবে ভেবেছিল। এই ঝামেলা কি করে সামলাবে? খানিকক্ষণ ভেবে নিয়ে বললো-“আমার সাথে চলুন। আপনাকে আপনার বাড়িতে নামিয়ে দেব। আর আপনি নিজের সাধ্যমতো বিয়ের প্রস্তুুতি নিন।”
সোহাগকে উদ্দেশ্য করে বললো রুজাইফ-“আগামী শুক্রবার আপনি ওকে তুলে আনবেন। এরমধ্যে যা করার আমি সব ঠিকঠাক করে ফেলবো। ঠিক আছে?”
সোহাগের চেহারায় দ্বিধা ভাব স্পষ্ট। রুজাইফের কথা অমান্য করতেও পারছে না আমার বিশ্বাস করতেও কষ্ট হচ্ছে। তবুও বিচারক বলেই হয়তো বেশি কিছু বলার সাহস করলো না।
“আপনে তাইলে ওরে নিয়া যান। এইখানে কাজ আছে আমার। কাজ সাইরা বাড়ি যামু। তুমি যাও স্যারের লগে। সমস্যা মনে করলে ফোন দিয় আমারে।”
সকাল মাথা দুলায়। যদিও তার ভয় করছে। এই স্যারকে দুইদিন দেইখা ভালো মানুষ মনে হইছে। স্যারের সাথে গেলে আব্বা নিশ্চয়ই তারে ফেলে দিবে না। অনেকদিন হইলো মাকে দেখে না ছোট বোনটাকে দেখে না। ওই বাড়িটাকেও খুব মিস করে। দাদাজান মারা গেলো তাকে দেখতে যাইতে পারে নাই৷ বড়ভাইটা খুব ভালো বাসতো তাকে। সবাইকে দেখার বড় হচ্ছে হয় তার। রুজাইফের গাড়িতে যেতে যেতে ভাবনার অতলে হারিয়ে যায় সকাল।

রুজাইফের গাড়িটা তাদের বাড়ির সামনে থামলো। সকাল অবাক হলো বেশ৷ এই স্যার এক বারের জন্যও তার বাড়ির ঠিকানা জানতে চায় নাই অথচ একদম ঠিক জায়গায় চলে এলো কি করে? রুজাইফ তাকে নামতে ইশারা করলো। সে আগেই প্রধান ফটক পার হয়ে গেছে। সকাল ভয়ে ভয়ে তার পিছু পিছু গেলো।

সেঁজুতি দোতলায় দাঁড়িয়ে থেকে দেখলো রুজাইফকে। তার পেছনে ওই একই গাড়ি থেকে সকালকে নামতে দেখে তার চোখ দুটো কোটড় থেকে বেড়িয়ে আসবে যেন। দীর্ঘ দিন পরে নিজের বড় বোনকে দেখে সে দিগবিদিক শুন্য হয়ে ছুটলো। তাকে ওভাবে দৌড়াতে দেখে কেয়া আর নীলাও বেরিয়েছে। শ্যামলী ডাকলো-“ওমন কইরা কই যাস? কি হইছে সেঁজু?”
“বুবু আইছে মা।”
“সকাল!”
শ্যামলীর বুক কাঁপছে। সে মেয়ের পিছু পিছু বেরিয়ে এলো। শামসুন্নাহার নামাজে ছিলো, কিন্তু নাম শুনে সে সেজদা দিতে ভুলে গেলো। গুটিগুটি পায়ে বাইরে এসে দাঁড়ালো।
সেঁজুতি আজ রুজাইফকে দেখেও দেখলো না। সে ছুটে যেয়ে সকালের বুকে আছড়ে পড়লো-“বুবু! তুমি আইছো? সত্যই তুমি আইছো?”
“হুমম সেঁজু, আমি আইছি।”
“আমার বিশ্বাস হইতেছে না বুবু। একখান চিমটি কাটো তো।”
সকাল খিলখিল করে হেসে জোরসে একটা চিমটি কাটলো। সেঁজুতি “আউউ” বলে হাত মালিশ করে। দুই বোন একে অপরকে জড়িয়ে ধরে। রুজাইফ দৃশ্যটা দেখলো চুপচাপ। গমগমে আওয়াজে উঠনে জড়ো হওয়া সকলের উদ্দেশ্যে বললো-“মাজেদ সাহেব কই?”
“সে স্কুল থিকা আসে নাই তো?” শ্যামলী মিনমিন করলো।
“সে তার মেয়েকে কোর্টে ফেলেই চলে এসেছে। তাই আমি সাথে করে নিয়ে এলাম। সে আসলে তাকে বলবেন কথাটা।”
সবাই মুখ চাওয়া চাওয়ি করলো। কেউ কিছু বুঝতে পারছে না। জাহাঙ্গীর মুখ খিচিয়ে বললো-“ও কেন এই বাড়িতে আসছে? এই বাড়িতে ওর কোন জায়গা নাই।”
রুজাইফ কথা বাড়ালো না। গম্ভীর গলায় বললো-“সে আপনার ভাই এলে কথা বলে নেবেন। আপাতত নিজে মাতব্বরি করে কিছু করতে যাবেন না। এই মেয়ে আপাতত এ বাড়িতে থাকবে এটা কোর্টের সিদ্ধান্ত। বোঝা গেছে?”
সকালকে নির্দেশ দিলো-“আপনি ঘরে যান। কোন সমস্যা বোধ করলে আমাকে জানাবেন। এই যে আমার কার্ড। এখানে মোবাইল নাম্বার দেওয়া আছে।”
পকেট থেকে একটা কার্ড বের করে দিলো। তারপর নিজের বাড়িতে ঢুকে গেলো। সকাল হা করে তাকিয়ে থেকে বললো-“স্যার, আমাগো বাড়িতে ঢুকলো কেন সেঁজু?”
সেঁজুতি সকালের কানে কানে ফিসফিস করলো-“কারণ তোমার স্যার আমাগো বাড়িতেই থাকে।”

চলবে—
©Farhana_Yesmin