রহস্যে ঘেরা ভালবাসা পর্ব-১৭

0
689

#রহস্যে_ঘেরা_ভালবাসা
#পর্ব_১৭
#M_Sonali

প্রায় 10 থেকে 15 মিনিট হলো এ দিক সে দিক সব জায়গায় খুঁজে চলেছি মীরকে। কিন্তু রুমের মাঝে কোথাও তাকে খুঁজে পাচ্ছিনা। আয়নার সামনে দাঁড়িয়েও বেশ কয়েকবার তাকে ডেকেছি। অথচ মহাশয় এর কোন খবরই নেই। এবার ভীষণ রাগ হচ্ছে। সেইসাথে চিন্তাও হচ্ছে বেশ। ওনার আবার কিছু হয়নি তো? কোন বিপদ-আপদ! কারণ এতদিনে যতটুকু বুঝতে পেরেছি তাতে উনি জ্বীন হলেও উনার বিপদের শেষ নেই। তাই টেনশন টা ভীষণভাবে হচ্ছে। কি করবো বুঝতে পারছি না। একবার চিন্তা করছি সায়েম ভাইয়াকে গিয়ে জিজ্ঞেস করবো। কিন্তু পরক্ষনেই ভাবছি সায়েম ভাই যদি ওনার আসল রূপটা না জানে? আর সায়েম ভাই যদি জ্বীন না হয়ে থাকে তাহলে এভাবে জিজ্ঞেস করা ঠিক হবে না। নাহ, এখন কি করা উচিত কিছুতেই যেন মাথায় আসছে না। শেষে ডিসিশন নিলাম সায়েম ভাইয়াকে গিয়ে জিজ্ঞেস’ই করবো। তারপর যা হয় দেখা যাবে। এটা ভেবেই যেখনই দরজার কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম। তখনই হায়া হাসতে হাসতে এসে আমাকে ডেকে বলল,

–” কি রে আব্রু, আমি তোকেই ডাকতে আসছিলাম। তাড়াতাড়ি চল মীর ভাইয়া এসেছেন। বাইরের রুমে বসে আছেন।”

হায়ার কথায় যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো। বলে কি ও? মীর এসেছে মানে? ও তো গতকাল রাত থেকেই আমার সাথে ছিলো। তাহলে এখন আবার নতুন করে আসার কি দরকার? তখনই মনে পরলো। মীর আমার রুমে ছিলো এটা কেউ জানে না শুধুমাত্র আমি ছাড়া। তারমানে ও আবার নতুন করে অন্যদিক দিয়ে ঘুরে এসেছে! কথাটা ভাবতেই মনে মনে একটা হাসি দিলাম। তারপর হায়ার সাথে বেরিয়ে গেলাম।

বাইরের রুমে যেতেই দেখি মহাশয় আরামে বসে জামাই আদর খাচ্ছেন। আহা কি তার স্টাইল। সোফায় বসে হেসে হেসে শাশুড়ির সাথে কথা বলছেন আর মিষ্টি খাচ্ছেন। উনাকে দেখে মনে মনে ভীষণ হিংসা হতে লাগলো। সাথে রাগও হচ্ছে প্রচুর। আমাকে টেনশনে ফেলে এদিকে কি সুন্দর জামাই আদর খাচ্ছেন। কথাগুলো ভাবতে ভাবতেই ওনার দিকে তাকিয়ে সামনে এগোচ্ছি। হঠাৎ করে উনি আমার দিকে তাকিয়ে চোখ মেরে বসলেন। আর দুর্ভাগ্যবশত সেটা আমার সাথে সাথে হায়াও দেখে ফেলল। ঘটনার আকর্ষিকতায় বেচারী এতটাই লজ্জা পেল যে, জিব্বায় কামড় দিয়ে দ্রুত সেখান থেকে কেটে পরল।

মীরের সেটা খেয়াল হতেই খাওয়া বাদ দিয়ে কাশতে শুরু করল। ও বেচারাও হয়তো ভীষণভাবে লজ্জা পেয়েছে। তাইতো এভাবে বেষম খেলো। মীর তো মেয়েদের সাথে কথাই বলেন না। এমনকি নিজের ভাবি হায়ার সাথে ও না। কিন্তু আচমকা এমন একটা ঘটনা ঘটবে সেটা হয়তো কল্পনাও করেনি সে।

ওদের দুজনের অবস্থা দেখে ভীষণ মজা লাগছে আমার। মনে মনে অসম্ভব হাসি পাচ্ছে। মুখে যে হাসছি না, সেটা কিন্তু নয়। মুখেও দুস্টুমির হাসি হাসছি। হাসতে হাসতে গিয়ে আম্মুর পাশে বসলাম। আম্মু উঠে গিয়ে ওনার মাথায় ফুক দিচ্ছে আর বারবার বলছে হঠাৎ এভাবে কাশি ওঠার কারণ কি? কিন্তু বেচারা উত্তর দেওয়ার অবস্থায় নেই। কাশতে কাশতে মুখটা লাল হয়ে যাচ্ছে ওনার। আমি আম্মুকে ডেকে বললাম,

–” আম্মু তুমি ওনাকে নিয়ে ভেবোনা। নিজের কাজে যাও, আমি ওনাকে দেখছি। ”

আমার কথা শুনে কোন উত্তর দিলেন না আম্মু। চুপচাপ সেখান থেকে সরে গেলেন। আমি গিয়ে ওনার পাশে বসলাম। তারপর দুষ্টু হেসে ওনাকে চিমটি কেটে বলে উঠলাম,

–” কেমন লাগলো আপনার! নিজের একমাত্র ভাবিকে চোখ টিপ মেরে?”

আমার প্রশ্নে যেন মুহূর্তেই কাশি থেমে গেল ওনার। অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললেন,

–“আব্রু প্লিজ এই বিষয়টা নিয়ে মজা করো না। আমি সত্যিই ভীষণ ভাবে লজ্জা পাচ্ছি। ভাবতেও পারিনি এমন কিছু ঘটে যাবে। আসলে তোমার পিছন পিছন যে হায়া ভাবিও আসছে, সেটা আমি খেয়ালই করিনি। নইলে এটা কখনই করতাম না।”

উনার কথার উত্তরে কিছু না বলে হাসতে হাসতে কুটি-কুটি হয়ে যেতে লাগলাম। আর উনি অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন আমার দিকে। সেদিকে আমার কোন খেয়াল নেই। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ হেসে নিয়ে বলে উঠলাম,

–” আপনার সাথে এমনি হওয়ার ছিল মিস্টার জ্বীন স্বামী। আপনি আমাকে না জানিয়ে কোথায় গিয়ে ছিলেন? আপনি জানেন আপনাকে আমি কখন থেকে খুঁজছি!”

আমার কথায় মুচকি হেসে উনি আমার ডান হাতটা নিজের দুই হাতের মুঠোয় নিলেন। তারপর চোখে চোখ রেখে বললেন,

–” আমি জানি আরুপাখি। তুমি আমাকে অনেক খুঁজছিলে। কিন্তু এখন দিনের বেলা, তাই ভাবলাম ডাইরেক্ট সবার সামনে দিয়েই তোমার কাছে আসি। কারণ লুকিয়ে তোমার রুমের মধ্যে কথা বললে কেউ শুনলে অন্য কিছু ভাবতে পারত। সাথে তোমাকে হয়তো বার বার ডেকে ডিস্টার্বও করতো।”

–” হুম তা অবশ্য আপনি ঠিকই বলেছেন। আচ্ছা এখন তাড়াতাড়ি চলুন আপনার কাছ থেকে আমার অনেক কিছু জানার আছে।”

কথাটি বলেই উঠে দাঁড়ালাম। তারপর ওনার হাতটি ধরে নিয়ে সোজা আমার রুমে চলে আসলাম। রুমে ঢুকে দরজাটা ঠাস করে লাগিয়ে দিয়ে ওনাকে নিয়ে বিছানার ওপর গিয়ে বসে প্রশ্ন করে বললাম,

–” আচ্ছা মীর, আপনার মত কি আপনার ফ্যামিলির সবাইও জ্বীন? মানে সায়েম ভাইয়া, আপনার আম্মু আব্বু উনারা সকলেই কি জ্বীন?”

প্রশ্নটা করে ওনার দিকে ফিরে তাকালাম। তাকিয়ে দেখি উনি একনজরে আমার দিকেই তাকিয়ে আছেন। ওনাকে এভাবে তাকাতে দেখে ভীষণ লজ্জা পেলাম। তারপর হালকা গলা খাকারি দিয়ে বললাম,

–” আমি আপনাকে কিছু জিজ্ঞেস করেছি মীর। প্লিজ আমার প্রশ্নের উত্তর দিন। আমি এসব কিছু না জানা পর্যন্ত শান্তি পাচ্ছিনা। তাই আমাকে সবকিছু জানতে দিন। তারপর যতখুশি দেখবেন। আমি তো আপনারই বউ।”

আমার প্রশ্নের উত্তরে উনি আমাকে আলতো করে নিজের কাছে টেনে নিলেন। তারপর পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে চুলের মধ্যে মুখ গুঁজে বললেন,

–“নাহ আরু পাখি, তারা কেউই আমার মত জ্বীন নয়। তারা সবাই সাধারন মানুষ।”

উনার কথায় ভ্রু কুঁচকে তাকালাম। তারপর প্রশ্ন করার জন্যে উনার থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করতেই উনি আবার ও আমাকে কাছে টেনে নিয়ে বললেন,

–” প্লিজ আরুপাখি আমার থেকে দূরে যেও না। আমি হয়তো আর কিছুক্ষণের অতিথি মাত্র তোমার কাছে। তোমাকে এটুকু সময় নিজের কাছে চাই। অনেকটা কাছে। আমার থেকে দূরে যেওনা।”

ওনার কথা শুনতেই যেন বুকটা কেঁপে উঠলো। উনি আমার কাছে কিছুক্ষণের অতিথি মানে? আমি উত্তেজিত কণ্ঠে প্রশ্ন করলাম,

–” এটা আপনি কি বলছেন মীর? আপনি কিছুক্ষণের অতিথি মানে? কোথায় যাবেন আপনি আমাকে ছেড়ে?”

–” তোমাকে সব কিছু বলে দেওয়ার পর আমি আর তোমার কাছে থাকতে পারবো না আব্রু। তোমার সামনেও আসতে পারবো না। তবে হ্যাঁ তোমাকে যতটা সম্ভব সাহায্য করব। কিন্তু সেটা অদৃশ্য হয়ে। তোমার সামনে আসার, তোমাকে স্পর্শ করার ক্ষমতা আর আমার থাকবে না।”

–” তাহলে আমি আর কোন কিছু জানতে চাই না মীর। আপনি আমার সামনে থাকুন, কাছে থাকুন। আমার আর কোন কিছু জানতে হবে না। আপনি যেমন আছেন তেমনই থাকুন। কিন্তু আমি আপনাকে হারাতে পারবো না মীর। আমি কিছুই জানতে চাই না।”

কথাটি বলেই ওনাকে জড়িয়ে ধরলাম। ওনাকে হাড়ানোর ভয়টা ভিষন ভাবে নাড়া দিতে লাগলো মনে। আমি যে বড্ড বেশি ভালোবাসি তাকে। কিছুদিনের জন্য জ্বীন বলে ভয় পেলেও এখন তো আর ভয় করিনা। উনি মানুষ হোক বা জ্বীন, ওনাকে কোন ভাবেই নিজের থেকে দূরে সরাতে পারবোনা। কথাগুলো মনে মনে ভেবেই কান্না করার মত অবস্থা হলো আমার। উনি আমার মাথায় আলতো করে হাত বুলিয়ে শান্ত গলায় বললেন,

–” এভাবে উত্তেজিত হয়ো না আব্রু। আমাকে চিরদিনের মতো কাছে পেতে হলে তোমাকে সবকিছু জানতে হবে। আর একাই পথ চলতে হবে। তোমার সামনে অনেক বিপদ, অনেক বাধা। তোমাকে সেসব একাই অতিক্রম করতে হবে। আমাকে তোমার নিজের কাছে নিয়ে আসতে হবে। তারপরেই তো তোমার আর আমার সুখের জীবন শুরু হবে। তুমি ফিরে পাবে নিজের আসল পরিচয়।”

উনার কথার কোন কিছু না বুঝলেও শেষের কথাটা শুনে ভীষণ অবাক হলাম। ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করলাম,

–” আমার আসল পরিচয় মানে? কি বলতে চাইছেন আপনি মীর? আমি তো কিছুই বুঝতে পারছিনা!”

–” হ্যাঁ আব্রু আমি ঠিকই বলছি। তুমি নিজের পরিচয় বলতে যা জানো সেটা তোমার আসল পরিচয় নয়। তোমার অন্য একটা পরিচয় আছে। যেটা তুমি কেন, তোমার পরিবারের কেউ ও জানে না।”

এবার যেন মাথা ঘুরতে শুরু করলো। মীরের কোন কথাই যেনো কিছুতেই বুঝতে পারছিনা। ভীষণভাবে ঘামতে শুরু করলাম। উনার দিকে তাকিয়ে উত্তেজিত কন্ঠে বললাম,

–” এসব আপনি কি বলছেন মীর? আমার মাথা ঘুরছে, আমি কোন কিছুই বুঝতে পারছিনা। আমার আসল পরিচয় বলতে কি বোঝাতে চাচ্ছেন আপনি? আমি আব্রু, এই খান পরিবারের ছোট মেয়ে। তাছাড়া তার কোন পরিচয় নাই। আর হ্যা আমি আপনার বউ। চৌধুরী পরিবারের বউ। এটাও আমার পরিচয়।তাছাড়া আর কোনো পরিচয় নেই।”

উনি আমাকে উত্তেজিত হতে দেখে শান্ত করার জন্য নিজের বুকে টেনে নিলেন। মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন,

–” শান্ত হও আব্রু। এত উত্তেজিত হলে আমি তোমাকে সব কিছু বলতে পারব না। নিজেকে শান্ত করো। মনে সাহস যোগাও। এখন তোমাকে আমি এমন কিছু কথা বলবো,যেটা শুনতে হলে তোমার অনেক সাহসের দরকার। উত্তেজিত হলে চলবে না।”

উনি বললেও নিজেকে শান্ত রাখা কোনভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। আমি বুঝতেই পারছি না আমার আর কি পরিচয় থাকতে পারে! কিন্তু তবুও সব জানতে হলে নিজেকে শান্ত রাখতে হবে। তাই চুপ করে কিছুক্ষণ ওনার বুকে পড়ে রইলাম। উনি আলতো করে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলেন। আমিও যতটা সম্ভব নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করলাম। এভাবে বেশ কিছুক্ষন কেটে যেতেই যখন বেশ শান্ত লাগছে নিজেকে! তখন আবার উনার বুক থেকে মাথা তুলে বললাম,

–” আমি সবকিছু শুনতে প্রস্তুত। আমাকে সব কিছু বলুন মীর।”

আমার প্রশ্নে উনি শান্ত হয়ে বসে চোখে চোখ রেখে শান্ত গলায় বলতে শুরু করলেন,

–” আমি চৌধুরী পরিবারের কোন ছেলে নই। তাদের সাথে আমার রক্তের কোন সম্পর্ক নেই। তারা সবাই সাধারণ মানুষ। কিন্তু আমি একজন জ্বীন। তবে তারা সবাই জানে যে আমি জ্বীন। আর সবকিছু জেনেশুনে তারা আমাকে নিজের ছেলের মতো ভালোবাসে। নিজেদের ছেলের পরিচয়ও দিয়েছে। আমিও তাদের নিজের পরিবার মনে করি। কখনো তাদের কোনো ক্ষতি হতে দেয়নি। 22 বছর আগে অনেক বড় একটি বিপদের হাত থেকে আমি ওনাদের একমাত্র ছেলে সায়েম ভাইয়াকে বাঁচিয়ে ছিলাম। তারা প্রথম দিকে আমায় ভয় পেলেও পরে মেনে নেন। আর আমি তোমার আমার বিষয়ে সকল কথা সায়েম ভাইয়া আর আম্মুকে বলি। সে জন্যেই আজ ডাইনিং টেবিলে সায়েম ভাইয়া তোমায় প্রশ্ন করেছিলো। আমার পৃথিবীতে মানুষের সাথে থাকার খুবই দরকার ছিলো। আর থাকার জন্যে আমি চৌধুরী পরিবারকেই বেছে নেই। কারণ তারা ছিলো খান পরিবারের খুব কাছের। আর খান পরিবারেই ছিলে তুমি।আমার দ্বায়ীত্ব ছিলো তোমার ওপর নজর রাখা। সব বিপদ থেকে তোমাকে প্রটেক্ট করা।”

এতোটুকু বলতেই ওনাকে থামিয়ে দিয়ে প্রশ্ন করে উঠলাম,

–” কিন্তু তখন আমার কি এমন বিপদ হতে পারতো মীর? তখনতো আমি খুবই ছোট ছিলাম। একদম শিশু। আর আপনার সাথে তখন আমার কোন সম্পর্কও ছিল না। তাহলে তখন কিসের বিপদ হতো?এখন না হয় আমি আপনার বউ। সেই জন্য আমার বিপদ হচ্ছে। কিন্তু তখন তো আপনার সাথে কোনো সম্পর্ক ছিলো না। যে আপনার আমাকে প্রটেক্ট করতে হয়েছে! আমার জন্য মানুষের মধ্যে এসে থাকতে হয়েছে?”

আমার প্রশ্নের উত্তরে মৃদু হাসলেন উনি। আমাকে আবারো কাছে টেনে নিয়ে আলতো করে জড়িয়ে ধরে বললেন,

–“তুমি ভীষণ কৌতুহলী আব্রু। আমি তো বললাম তোমাকে সবকিছু বলব। সব প্রশ্নের উত্তর দিব। তবে আমাকে একটু বুঝিয়ে বলতে দাও। এভাবে প্রশ্ন করতে থাকলে আমি তোমাকে কিছুই বুঝিয়ে বলতে পারবোনা।”

ওনার কথায় মাথা নেড়ে সায় দিলাম। একটু থেমে উনি আবার বলতে শুরু করলেন,

–” তোমাকে প্রোটেক্ট করতে হতো, কারণ তোমার সাথে জড়িয়ে আছে পুরো ইদ্রিস জ্বীন রাজ্যের ভবিষ্যৎ।”

ওনার কথায় যেন অবাক এর শীর্ষে পৌঁছে গেলাম। কি সব বলছে উনি এসব? আমার সাথে কেন জ্বীন রাজ্যের ভবিষ্যৎ জড়িয়ে থাকবে? আমি ওনার থেকে কিছুটা দূরে সরে গিয়ে বেশ ঝাঁঝালো গলায় প্রশ্ন করলাম,

–” আপনি কি আমাকে পাগল বানাতে চাইছেন মীর? এসব কি বলছেন আবোল-তাবোল? আমি আপনার কথা কিছুই বুঝতে পারছিনা। মাথা ঘুরতে শুরু করে দিয়েছে আমার। আমার সাথে কেন জ্বীন রাজ্যের ভবিষ্যৎ জড়িয়ে থাকবে? আমি তো একজন সাধারণ মানুষ। তাহলে আমার সাথে এসব এর সম্পর্ক কি?”

–” তুমি কোন সাধারণ মানুষ নও আব্রু। তুমি ইদ্রিস জ্বীন রাজ্যের রাজা আয়াজ এবং মানব কন্যা সোনালীর একমাত্র মেয়ে। তুমি একজন জ্বীন কন্যা।কোনো সাধারণ মানবী নও।” (“গুপ্তধন” গল্পের আয়াজ ও সোনালীর মেয়ে আব্রু। যারা “গুপ্তধন” গল্পটা পড়েছেন তারা বুঝতে পাড়বেন।)

চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,