#রাখিব_তোমায়_যতনে
#সাদিয়া_জাহান_উম্মি
#পর্বঃ২৩
শুদ্ধতাকে একহাতে জড়িয়ে ধরে আছে নীবদ্ধ।মেয়েটাকে এইভাবে কাঁদতে দেখে বুক ফেটে যাচ্ছিলো নীবদ্ধ’র।অনেক বলে কয়ে কান্না থামাতে পেরেছে ওর।এখনও হেঁচকি তুলছে মেয়েটা।এদিকে সামনে বসা জুনায়িদ শেখ এখনো নির্বাক হয়ে বসে আছে।সে ঠিক কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না যার জন্যে এতো কিছু করলো।এতো কষ্ট সহ্য করলো।আর আজ এখানে এসে শুনলো কিনা।সেই এই পৃথিবীতে আর নেই।পুরাই অনুভূতি শূন্য হয়ে পরেছেন তিনি।নীবদ্ধ’র মুখে সব শুনে জুনায়িদের ভীতরটায় আগুন জ্বলছে ধাউধাউ করে।ভালোবাসার মানুষটা আর নেই জেনে বুকটা ফেটে যাচ্ছে।মন খুলে আর্তনাদ করতে ইচ্ছে করছে।কিন্তু ও যে ছেলে। ছেলেরা চাইলেও যে নিজেদের দূর্বলতা প্রকাশ করতে পারেনা।চোখের কোণে চিকচিক করা মুক্তদানাগুলো হাতের উলটো পিঠ দিয়ে মুছে নিলেন জুনায়িদ।ভীতরের অসহনীয় যন্ত্রনাগুলোকে কাউকে বুঝতে না দেওয়ার প্রয়াস চালালো।কান্নারত শুদ্ধতার উদ্দেশ্যে বলল,
-‘ কাদবেন নাহ শুদ্ধতা।আল্লাহ্ যা করেন ভালোর জন্যেই করেন।আপনি কাঁদবেন নাহ।নিজেকে শক্ত রাখুন।যেটা এতোদিন আপনি করে এসেছেন।’
নীবদ্ধ শুদ্ধতার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলো।শুদ্ধতা এইবার নীবদ্ধ’র বক্ষ হতে সরে গিয়ে চোখ মুছলো।নীবদ্ধ ওকে এক গ্লাস পানি দিলো খেতে।পানি পান করে শুদ্ধতা বলে,
-‘ আমার বুবু যা করেছে তার জন্যে আমি ক্ষমা চাইছি স্যার।আপনার সাথে করা অন্যায়ের শাস্তি আমার বুবু পেয়ে গিয়েছে স্যার।’
-‘ স্যার না ডেকে ভাইয়া ডাকলে খুশি হবো আর নীবদ্ধ আপনিও ভাইয়া ডাকবেন।’
জুনায়িদ শেখের কথায় নীবদ্ধ বলে,
-‘ আপনি আমায় আপনি ডাকা আগে বন্ধ করুন।’
জুনায়িদ শেখ মাথা দুলালেন।হাতের মুঠোয় থাকা মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে হাস্যজ্জ্বল শুভ্রতার ছবিটার দিকে তাকালো।মেয়েটা কি তাকে দেখছে অপার থেকে।তার হৃদয়ের যন্ত্রনাগুলো কি বুঝতে পারছে? ঢোকের উপর ঢোক গিললো জুনায়িদ শেখ।ধরা গলায় নীবদ্ধ আর শুদ্ধতাদের উদ্দেশ্যে বলল,
-‘ আমি একটু ওয়াশরুম থেকে আসছি।’
শুদ্ধতা আর নীবদ্ধকে কিছু বলতে না দিয়ে তিনি দ্রুত প্রস্থান নিলেন।নীবদ্ধ একটু হলেও ব্যাপারটা আঁচ করতে পারলো।দৃষ্টি রাখলো শুদ্ধতার দিকে।যে আপাততো চুপচাপ বসে।নীবদ্ধ বলে,
-‘ এইভাবে কাঁদলে হবে? তুমি যেই কাজে নেমেছো তোমাকে তো অনেক স্ট্রোং থাকতে হবে।কান্নাকাটি আর করো না শুদ্ধতা।যা হবার হয়ে গিয়েছে।’
শুদ্ধতা নিজেকে সামলে নিলো।চোখ মুছে নিজেকে স্বাভাবিক করে বলে,
-‘ ভাইয়া অনেক কষ্ট পেয়েছে বুবুর মৃত্যুর কথা শুনে।’
-‘ হুম তা তো পাবেই।লোকটার প্রতিটি কথাতেই বুঝা গিয়েছে যে সে আপাকে কতো ভালোবাসে।’
শুদ্ধতা চুপ করে যায়।আশেপাশে তাকায় প্রায় অনেকেই এখনও ওর দিকে একটু পর পর তাকাচ্ছে।বেশ লজ্জা পেলো শুদ্ধতা।ও কি-না এইভাবে সবার সামনে বাচ্চাদের মতো কাঁদল।নীবদ্ধ’র দিকে করুন চোখে তাকালো শুদ্ধতা।নীবদ্ধ আলতো হেসে শুদ্ধতার চুলে হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে,
-‘ এমন করার কি হয়েছে? মানুষ কাঁদতেই পারে।লজ্জা কেন পাচ্ছো?’
-‘ কিন্তু এইভাবে সবার সামনে কেঁদে ফেলেছি।’
-‘ ইস, তো কি হয়েছে? বেশি ভেবো না তো।কেঁদেছো ভালো হয়েছে।মনটা পাতলা হয়েছে।’
নীবদ্ধ আর শুদ্ধতার কথার মাঝেই এসে উপস্থিত হয় জুনায়িদ শেখ।জুনায়িদ শেখের চোখ মুখ লাল হয়ে আছে।দেখেই বুঝা যাচ্ছে প্রচুর কেঁদেছে লোকটা।তবে আর বেশি কিছু জিজ্ঞেস করলো না তারা জুনায়িদ শেখকে।জুনায়িদ শেখ হালকা হাসার চেষ্টা করল।ভাঙ্গা গলায় বলে,
-‘ তো এখন বলুন।কি প্লান আপনাদের?শুদ্ধতা নাকি একটা প্লান বানিয়েছে।’
নীবদ্ধ মাথা নাড়ালো।তারপর আস্তে আস্তে শুদ্ধতা যা যা করতে বলেছে সব বলল।সব শুনে জুনায়িদ শেখ বলে,
-‘ আমি শুদ্ধতার সাহসীকতার তারিফ করব।এমন মেয়ে খুব কমই পাওয়া যায়।প্রাউড ওফ ইউ শুদ্ধতা।তবে কাজটায় শুদ্ধতার লাইফ রিস্ক হয়ে যায়।’
নীবদ্ধ লাস্ট কথাটা শুনে হতাশ নিশ্বাস ছাড়ে।কারন শুদ্ধতাকে হাজার বার বুঝিয়েছে কিন্তু শুনলে তো।এদিকে শুদ্ধতা বলে,
-‘ জি আমি জানি ভাইয়া।জেনেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
-‘ আচ্ছা ঠিক আছে।আমরা তাহলে আগামী পরশু দিনই মিশনে যাবো তাহলে কি বলেন?’
নীবদ্ধ বলল,
-‘ আপনি যা ভালো মনে করেন।এইবার তো এই সন্ত্রাসীগুলোকে ধরতেই হবে।যে করেই হোক।’
এইভাবে আরো কিছু টুকাটুকি কথা বলে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে আসে।শুদ্ধতা ভার্সিটি যাবে না জানালো।নীবদ্ধ শুদ্ধতাকে বাড়ি পৌছে দেওয়ার কথা বললে শুদ্ধতা জানায় যে পারবে যেতে চিন্তা না করতে।অতঃপর নীবদ্ধ তার কাজে চলে যায়।আর শুদ্ধতাকে এক সিএনজি ভাড়া করে দেয় বাড়ি পৌছে দেওয়ার জন্যে।বাড়িতে পৌছাতেই শুদ্ধতা আগে অনলাইনে বিভিন্ন জিনিস অর্ডার করল।আজ নীবদ্ধকে আপন করে নিবে ও।এটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।অনেক তো হলো? লোকটা ওর স্বামি।কতোদিন এইভাবে দূরে দূরে থাকা যায়? আর এখন তো লোকটাকে ভালোবেসে ফেলেছে।আর আগামী পরশুদিন শুদ্ধতা যেই কাজে যাবে ও বেঁচে নাও ফিরতে পারে।কোন গ্যারান্টি নেই।তাই যেটুকু সময় আছে হাতে নীবদ্ধকে ওর ভালোবাসার কথা বলবে শুদ্ধতা।সময়টুকু নিজেকে নীবদ্ধ’র মাঝে বিলীন করে দিবে।সন্ধ্যা হতেই শুদ্ধতা শুদ্ধতার অর্ডারকৃত জিনিস চলে আসে।আর্টিফিসিয়াল ফুল দিয়ে ঘরটা ভীষন সুন্দরভাবে সাজায় শুদ্ধতা।তবে বিছানা সাজায় তাজা ফুল দিয়ে।সারাঘরে মোমবাতি জ্বালিয়ে দেয়। ফ্লোরে গোলাপের পাপড়ির ছড়াছড়ি সাথে সাদা বেলুন।জানালার পর্দা হতে বিছানার চাদর সবকিছু সাদায় মুরিয়ে নেয় শুদ্ধতা।অতঃপর চলে যায় নিজে তৈরি হতে।আলমারি খুলে একটা প্যাকেট হাতে নেয় শুদ্ধতা।শাড়িটা নীবদ্ধই ওকে দিয়েছিলো।বলেছিলো যেদিন শুদ্ধতা ওকে ভালোবেসে ফেলবে।সেদিন যেন শুদ্ধতা নিজেকে এই শাড়িতে মুরিয়ে নেয়।নীবদ্ধ তাহলে ওকেই দেখেই বুঝে যাবে শুদ্ধতা ওকে ভালোবাসে।মুখে আর বলা লাগবে না।মুচঁকি হাসলো শুদ্ধতা।ঝটপট শাড়িটা পরে নিলো।পুরো শাড়িটা টকটকে লাল। পাতলা ফিনফিনে কাপড়ের শাড়িটা হওয়ায় শুদ্ধতার শরীরের বেশকিছু অংশ দৃশ্যমান। শাড়িটার সাথে স্লিভলেস ব্লাউজ পরেছে শুদ্ধতা।চোখে গাঢ়ো করে কাজল টেনেছে,সাথে লাল টকটকে লিপস্টিক।কানে ছোট্ট সাদা স্টোনের দুল আর গলায় লকেট।হাতে লাল রঙের রেশমি চুরি।আয়নায় নিজেকে দেখে নিজেই হতবাক শুদ্ধতা।লজ্জায় গালগুলো হলো লাল টুকটুকে।ঘড়ির দিকে তাকালো শুদ্ধতা দশটা বেজে গিয়েছে।নীবদ্ধ’র আসার সময় হয়ে গিয়েছে।শুদ্ধতা আলতো পায়ে হেটে বারান্দায় চলে যায়।বুকটা এতো ধুকপুক করছে কেন?ঘামছে সারা শরীর।প্রচন্ড নার্ভাস লাগছে।
__________
কাজ থেকে মাত্রই ফিরেছে নীবদ্ধ।সবাইকে খাবার খেতে দেখে সেখানে এগিয়ে যায় নীবদ্ধ।আয়েশা একগ্লাস পানি দিতেই ঢকঢক করে খেয়ে ফেলে।নীবদ্ধ প্রশ্ন করল,
-‘ শুদ্ধতা কই?সে কেন খেতে আসেনি?’
-‘ মেয়েটা কে ডেকেছি।বলল খাবে না।সন্ধ্যা থেকে রুমের মধ্যে কিযে গুটুরগুটুর করছে কে জানে।বেরই হয়নি রুম থেকে। তুই খাবি না বাবা?’
-‘ আমি তো শুদ্ধতাকে জানিয়ে দিয়েছি। আজ একটা মিটিং ছিলো।সেখানে তাদের সাথে ডিনার করতে হয়েছে।ওকে খেয়ে নিতে বলেছিলাম।’
-‘ কি জানি বাবা।তুই এক কাজ কর আমি শুদ্ধতার জন্যে খাবার দিচ্ছি তুই উপরেই তো যাচ্ছিস। নিয়ে যা।আর নিচে আসা লাগবে না।’
-‘ আচ্ছা দেও।’
খাবার হাতে নিয়ে নীবদ্ধ উপরে চলে আসলো।রুমের দরজা খুলে ভীতরে প্রবেশ করে দরজা আটকে আবার সামনে তাকাতেই হা হয়ে যায় নীবদ্ধ’র মুখ।দরজা খুলার সময় খেয়াল করেনি।এসব কি দেখছে নীবদ্ধ?চারদিকে চোখ বুলিয়ে বিষ্ময়ে নীবদ্ধ’র মাথা কাজ করা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।হাতের খাবারটা টেবিলে রাখলো নীবদ্ধ।রুমের ভীতর এতো সাজসজ্জা দেখে এলোমেলো অনুভূতি হচ্ছে নীবদ্ধ’র মনে।কিন্তু যখন রুমের কোথাও কাঙ্খিত মানুষটাকে দেখতে পেলোনা।ভ্রু-কুচকালো নীবদ্ধ।অস্থির হয়ে বারান্দার দিকে পা বাড়ালো।কিন্তু সেখানে গিয়ে যে এমন একটা দৃশ্য দেখবে কল্পনাও করেনি নীবদ্ধ।এ কাকে দেখছে ও।ওর শুদ্ধতা কিনা আজ এইভাবে? শুদ্ধতার দিকে গভীর দৃষ্টিতে তাকালো নীবদ্ধ।শুদ্ধতার গায়ে জড়ানো শাড়িটা দেখে আনন্দের বন্যা বয়ে গেলো মনে।তবে কি সত্যি শুদ্ধতা ওকে ভালোবাসে?ভালোবাসতে শিখাতে পেরেছে নীবদ্ধ ওকে?শুদ্ধতার এমন ঘায়েল করা রূপ দেখে নীবদ্ধ সারাশরীর অসম্ভব কাঁপছে।শ্বাস নিতেও যেন ওর কষ্ট হচ্ছে। টেনে টেনে নীবদ্ধ বলল,
-‘ এটা কি করেছো তুমি শুদ্ধতা? এ কোন রূপে হাজির হলে আমার সামনে বলো?আমি নিজেকে এইবার সামলাবো কিভাবে?’
লজ্জায় নতমস্তকে দাঁড়িয়েছিলো শুদ্ধতা।নীবদ্ধ’র কথা শুনে একপা দুপা করে এগিয়ে আসলো ও নীবদ্ধ’র দিকে।শুদ্ধতা নিজের নরম হাত ছোয়ালো নীবদ্ধ’র বুকের বা পাশে।নীবদ্ধ চোখ বন্ধ করে আবার খুললো।শুদ্ধতার সেই হাতের উপর হাত রাখলো ও।নীবদ্ধ’র ওই চোখেমুখে এক আকাশসম মুগ্ধতা বিরাজবান।শুদ্ধতা মুচকি হেসে নীবদ্ধ’র বুকে মাথা রাখলো।নিজেই নীবদ্ধ’র হাতদুটো নিয়ে ওর কোমড়ে রাখলো।নীবদ্ধ আকড়ে ধরলো নারিময়ী সেই মসৃণ কোমড়।অনাবৃত কোমড়ের ভাঁজে নীবদ্ধ’র শীতল হাতের স্পর্শ পেয়ে ভূমিকম্পের মতো কেঁপে উঠলো শুদ্ধতা।তবুও একটুও নড়লো না।চোখ বন্ধ করে কাঁপা গলায় বলল,
-‘ আ…আই… আই লা..লাভ ইউ নীবদ্ধ।’
এই একটা বাক্যই যথেষ্ট ছিলো নীবদ্ধ’কে পুরোদমে এলোমেলো করার জন্যে।একঝটকায় শুদ্ধতা ছেড়ে ওকে দেয়ালের সাথে ঠেসে ধরলো নীবদ্ধ। আর একমুহূর্ত অপেক্ষা না করে শুদ্ধতার ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো।কেঁপে উঠে শুদ্ধতা নীবদ্ধকে দুহাতে খামছে ধরে।ধারালো নখ বিধে যায় নীবদ্ধ’র পিঠে। তবে সেদিকে বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ নেই নীবদ্ধ’র। সে তো ব্যস্ত প্রেয়সীর ঠোঁটের সুধা পাণ করতে।প্রায় অনেকক্ষন হয়ে যায় শ্বাস নিতে না পেরে এইবার শুদ্ধতা নড়েচড়ে উঠে।ঠেলে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে নীবদ্ধকে।নিজ থেকেই সরে আসলো নীবদ্ধ।শুদ্ধতা লজ্জায় মুখ লুকালো নীবদ্ধ’র বুকে।দুহাতে জড়িয়ে নেয় নীবদ্ধ শুদ্ধতাকে।ফিসফিস করে ওর কানে কানে বলে,
-‘ আমার কোন দোষ নেই।তুমি নিজেই তো আমাকে এলোমেলো করে দিলে।এখন চাইলেই আজ তোমাকে ছাড়ছি না সুন্দরী।’
শুদ্ধতার সারাশরীর কাঁপছে।কাঁপা গলাই বলল,
-‘ আমি তো আপনারই।আপন করে নিন আজ আমায়।’
এক ঝটকায় শুদ্ধতাকে কোলে তুলে নেয় নীবদ্ধ।ফুলে সজ্জিত শুভ্র বিছানায় সুইয়ে দেয় প্রিয়তমাকে।গভীর মুগ্ধতাময় দৃষ্টিতে দেখতে থাকে প্রেয়সীকে।নীবদ্ধ চুমু খেলো শুদ্ধতার কপালে।তারপর চোখের পাতায়,গালে,নাকের আগায়,থুতনীতে।শুদ্ধতা নিভু নিভু চোখে নীবদ্ধকে দেখছে।নীবদ্ধ এইবার শুদ্ধতার শাড়ির আচঁলে হাত দিলো।একঝটকায় সরিয়ে ফেললো।শুদ্ধতা লজ্জায় গলা জড়িয়ে ধরে নীবদ্ধ’র বক্ষে মুখ গুজলো।নীবদ্ধ হাত গলিয়ে দিলো শুদ্ধতার অনাবৃত ফর্সা উদরে।এলোমেলো হাতের স্পর্শ বুলিয়ে পাগল করে তুললো শুদ্ধতাকে।শুদ্ধতাকে বালিশে সুইয়ে দিলো আবার।শুদ্ধতার চোখজোড়া বন্ধ।লজ্জায় যেন মরে যাচ্ছে শুদ্ধতা।নীবদ্ধ শুদ্ধতার সেই লজ্জামিশ্রিত চেহারা দেখে হাসে।মাদকতা ভড়পুর কন্ঠে বলে,
-‘ আজ লজ্জাবতীর লজ্জাহরণ করবো আমি।ভালোবাসায় ভড়িয়ে দিবো তার প্রতিটি দেহের ভাঁজ।আমার উষ্ণতায় আবৃত করবো আজ তোমায় জান।ভালোবাসি জান।আজ তোমায় পৃথিবীর সর্বসুখ দিবো আমি।তুমি আমার শুদ্ধতম ভালোবাসা শুদ্ধতা।জান আমার।’
এতো আবেগঘন কথায় শুদ্ধতা চোখ মেলে তাকালো।ছলছল করে উঠলো ওর চোখজোড়া।নীবদ্ধ চুমু খেলো ওই অশ্রুসিক্ত চোখের মাঝে। নীবদ্ধ সরে আসতেই শুদ্ধতা এইবার নিজেই নীবদ্ধ’র অধরেত মাঝে অধর মিলিয়ে দিলো।ভালোবাসায় একাকার হয়ে গেলো আজ দুটি শরীর। একে-অপরের মাঝে বিলীন হয়ে গেলো।নিস্তব্ধ কক্ষে বাতাসের শনশন আওয়াজ।সাথে দুটো মানুষের ঘনঘন নিশ্বাসের আনাঘোনা।জানান দিচ্ছে আজ তারা চরম ভালোবাসায় নিজেদের সিক্ত করছে। দুটি শরীর নয় আজ দুটি মন এক হচ্ছে।
#চলবে________
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।