#রাজনীতির_রংমহল
#সিমরান_মিমি
#পর্বসংখ্যা_১৮
থমথমে সরদার বাড়ি।মুহূর্তে’র মধ্যেই সবাই স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে ফ্লোরের দিকে।চারদিকে ভেঙে যাওয়া জিনিসপত্রের ছড়াছড়ি।বাড়ির প্রতিটি মহিলা আতংকে নীল হয়ে তাকিয়ে আছে।শামসুল সরদার হতাশ হয়ে দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন।তারপর ত্রস্ত পায়ে চলে গেলেন নিজের রুমে।স্পর্শীকে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই করুন স্বরে আর্শির মা বলেছিলো-
আহারে,মেয়েটা কত খুশি হয়ে আমাদের সাথে পিঠা বানাচ্ছিলো।আর ওর ভাগ্যেই রইলো না ।এই পিঠা কি আমাদের গলা দিয়ে নামবে?
মুহুর্তেই ছুটে রান্নাঘরে গেল সোভাম।পিঠার হাড়ি সুদ্ধ টেনে ফ্লোরে ছূড়ে মারলো। মুখ দিয়ে অজস্র বিচ্ছিরি গালমন্দ করতে লাগলো।নিরব বাধা দিতে গেলে বসার ঘরের পুরনো আমলের বড় বক্স টিভিটা ছুড়ে ফেললো ফ্লোরে।মুহুর্তে’ই ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেল।
আর্শি রুমের দরজা সামান্য ফাক করে তাকিয়ে আছে বাইরে।ভয়ের চোটে থরথর করে কাপছে সে।টিভিটা যে বাবার বড্ড প্রিয়।রোজ নিজ হাতে ওই টিভিটা মোছে সে।আর সেটাই ভেঙে ফেললো।এই মুহুর্তে কেন আগামী কয়েক দিনে আর সে ভাইয়ের সামনে যাবে না।তাকে দেখলেই যদি রেগে মেগে বলে বসে-
বড় টার মতো হওয়ার চেষ্টাও করবি না।তাহলে কেটে টুকরো টুকরো করে বস্তায় ভরে বিষখালী নদীতে ফেলে দিব।
*******
দরজা ঠেলে প্লেট হাতে রুমে ঢুকলেন পিয়াশা।ভেতরে খাটের উপর শুয়ে ফোন স্ক্রল করছে স্পর্শী। আর পাশেই প্রেমা টেবিলে বসে পড়ছে।টেবিলের উপর খাবারের প্লেট রেখে প্রেমা কে তাড়া দিলেন নিচে খেতে যাওয়ার জন্য।চুপচাপ কোনো বাক্যব্যয় না করেই বই বন্ধ করে নিচে চলে গেল প্রেমা।শাশুড়ীর কথা শুনতেই ফোন রেখে নড়েচড়ে বসলো।পিয়াশা পাশেই বসলেন।তারপর গভীর দৃষ্টি দিয়ে দেখলেন স্পর্শীকে।
মেয়েটার গায়ের রঙ টা একদম লা-জবাব।ফর্সার মধ্যেও একটা তফাৎ থাকে।কারো রঙ ফ্যাকাশে হয়,কারো রঙ ধবধবে সাদা হয়।কিন্তু মেয়েটার গায়ের রঙটা যেন চেহারার মাধুর্য আরো বাড়িয়ে তুলেছে।মাশাল্লাহ পুরো শরীরটা যেন কোনো মায়ার রাজ্য।পিয়াশা স্পর্শীর মুখের দিকে তাকালেন।কোনো সাজসজ্জার ছিটেফোঁটাও নেই।গায়ের কালো রঙের টপস টা যেন সৌন্দর্যকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে।দুহাত দিয়ে স্পর্শীর গাল আকড়ে ধরলেন। মুখ দিয়ে ছোট্ট সুরে বের করলেন-
মাশাল্লাহ!
তারপর হাতের চিকন চুড়ি জোড়া খুলে পড়িয়ে দিলেন স্পর্শীর হাতে।স্পর্শীর ভীষণ অসস্তি হচ্ছে।তার ঠিক কি বলা উচিত সেটাই ভেবে পাচ্ছে না।আচ্ছা,এই চুড়ি দিলো, এখন সে কি ধন্যবাদ বলবে নাকি চুড়ি খুলে তার হাতে দিয়ে বলবে নানা শাশুড়ীমা, আমার এসব কিচ্ছু লাগবে না।
তোমার নাম কি আম্মু?
পিয়াশার কথায় চমকে উঠলো স্পর্শী।নিজেকে ধাতস্থ করে ধীর কন্ঠে বললো-
স্পর্শীয়া সরদার।
কি করো তুমি?মানে লেখাপড়া করছো কিসে?
–জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ল’ ডিপার্টমেন্টে।থার্ড ইয়ার চলছে।
বাহ!তা আমার ওই বাদর ছেলেটা তোমাকে কিভাবে ফাসালো?
মুহুর্তেই হেসে দিল স্পর্শী।পিয়াশাও হাসলো।তারপর প্লেট দেখিয়ে বললো-
কালকে তোমাদের আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে হবে। তার আগে এখানেই থাকবে।একদম পরশের সাথে দেখা করবে না।বুঝেছো। এখন খেয়ে নাও।আমি নিচে যাই,দেখি কার কি লাগে।
স্পর্শী মাথা নুইয়ে সাড়া দিলো।পিয়াশা রুম থেকে বেরিয়ে নিচে তাকিয়ে পরশকে একবার দেখলো।তার পাভেল ফর্সা হলেও প্রেমা আর পরশ হয়েছে শ্যামলা।এর মধ্যে প্রেমা আবার উজ্জ্বল শ্যামলা কিন্তু পরশ একটু চাপা।মুখ ঘুরিয়ে পুনরায় রুমের দিকে চাইলো।স্পর্শীকে দেখতেই মনে হলো রুমের মধ্যে কোনো এক পরী বসে আছে।মনে ভয় জমে গেল,তার এই শ্যাম বরণ ছেলের সংসার করবে তো এই মেয়ে।নাকি দুদিন যেতেই মোহ কেটে গেলে চলে যাবে বাপের বাড়িতে।মুহুর্তে’ই মন গর্ব নিয়ে বললো-
কেন?তার ছেলে ও বা কম কিসে?একজন সাংসদ সদস্য সে।আচার-আচরণ, আদব-কায়দা,লেখাপড়া সব কিছুতেই এগিয়ে।আর দেখতেও বা খারাপ কোথায়?ছেলেদের ফর্সা রঙ একদমই মানায় না।তার পরশ তো মূল্যবান কোনো পাথরের চাইতে কম না।গাল ভর্তি হেসে দিয়ে নিচে নামলেন পিয়াশা।
*********
রাত সাড়ে বারোটা।দূর থেকে কুকুরের ঘেই ঘেউ শব্দ ভেসে আসছে।চারদিক নিস্তব্ধ, অন্ধকার বিরাজমান।খাটের উপর শুয়ে এপাশ-ওপাশ করছে পরশ।আজকে ঘুমেরাও তাকে নিয়ে মজা নিচ্ছে।আশ্চর্য ব্যাপার স্যাপার!সে যে একজন এমপি, তার দাম কেউই দিচ্ছে না।এইতো দু টো রুম পরেই স্পর্শী আছে।তার বউ,অথচ সে দেখা করতে পারবে না।অদ্ভুত সব নিয়ম কানুন।কাত ফিরতেই মেসেজের টুং শব্দ কানে এলো পরশের । বালিশের পাশ হাতড়ে ফোন হাতে নিতেই দ্রুতবেগে উঠে বসলো।স্পর্শীর নাম্বার থেকে মেসেজ এসেছে।সেখানে স্পষ্ট লেখা রয়েছে-
নেতামশাই,খুব মিস করছি আপনাকে। একদম ঘুম আসছে না।চলুন না,লুকিয়ে লুকিয়ে ছাদে যাই। আজকের রাত’টা চন্দ্রবিলাস করে কাটাই। হিসেব বরাবর, আজকেই তো আমাদের মধু চন্দ্রিমা।
পরশের গলা শুকিয়ে গেল।হার্ট দ্রুত চলছে।এই মেয়েটা তাকে না মেরে শান্তি পাবে না।দ্রুত পায়ে ফোন রেখে অন্ধকার হাতড়ে স্যান্ডেল পড়লো।ঘরের লাইট অন না করেই দরজা দিয়ে বাইরে বের হলো।পা টিপে টিপে সবার দৃষ্টির অগোচরে প্রেমার রুমের সামনে এলো।একি দরজা তো ভেতর থেকে বন্ধ।ফোন ও আনেনি।পরশ নিজেকে ধাতস্থ করে কিছুক্ষণ পায়েচারি করলো।তারপর আঙুল দিয়ে দরজার উপর আলতো টোকা দিলো। কিন্তু ওপাশ থেকে নিরুত্তর। পরবর্তীতে আবারো টোকা দিল সাথে স্পর্শীয়া বলে নিচু স্বরে কয়েকবার ডাক দিল।
দুম করে উঠে বসলো স্পর্শী।দুহাত দিয়ে দিয়ে মুখ চেপে ধরে কোনোমতে নিজের হাসিকে থামালো। তারপর চেহারাকে ভয়কাতুরে করে প্রেমা ঠেলে উঠালো।ঘুমন্ত প্রেমা কে উঠাতে বেশ বেগ পেতে হলো স্পর্শীর।পরবর্তীতে কানের কাছে গিয়ে ছোট্ট করে বলল-
এই প্রেমা ওঠো, তোমার রুমে চোর ঢুকেছে।
ধড়ফড় করে উঠে বসলো প্রেমা।অন্ধকারের মধ্যে স্পর্শীকে নিজের দিকে ঝুকে থাকতে দেখে আরো ভয় পেয়ে গেলে।সব সময়ের গম্ভীর থাকতে চাওয়া মেয়েটা ঘুমের ঘোরে ভুলে গেল নিজের অভ্যাসকে।নিজ সত্তাকে বাইরে বের করে বাচ্চাদের মতো ঝাপটে ধরলো স্পর্শীকে।কাপা কাপা কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো-
চোর কখন এসেছে ভা’বী?
আহাম্মক বনে গেল স্পর্শী।ইচ্ছে করছে হাত পা ছুড়ে বিছানায় গড়াগড়ি খেয়ে হাসতে।কিন্তু আফসোস পারছে না।পুনরায় নিজেকে গম্ভীর করে প্রেমার উদ্দেশ্যে বললো-
এইতো মিনিট পাচে’ক আগে এসেছে।আমি মেসেজ দিয়েছিলাম তো তাই।
অন্ধকারের মধ্যেই ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে রইলো প্রেমা।মেসেজ দেওয়ার পর চোর এসেছে মানে কি?মস্তিষ্কে প্রখর চাপ দিয়েও এর উত্তর বের করতে পারলো না প্রেমা।সে কি ভাবীকে একবার জিজ্ঞেস করবে?না না,তাহলে যে তাকে বোকা ভাববে। নিজেকে বুদ্ধিমতী প্রকাশ করতে স্পর্শীকে ঝাপটে ধরেই চিৎকার শুরু করে দিলো-
আম্মুউউউউউউ চোর!আব্বুউউউউউ চোর!আমার রুমে চোর!!!
ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল পরশ।সে তো ওদের রুমের সামনেই আছে তাহলে চোর ঢুকলো কোথা থেকে?পাভেলের রুমে বসেই মহীউদ্দীন শিকদার, পিয়াশা আর পাভেল বিয়ের লিস্ট করছিলো। এরইমধ্যে প্রেমার চেচামেচির আওয়াজ পেতেই দ্রুত ছুটলো পাশের রুমে।পরশকে দেখেই পিয়াশা ভ্রু কুচকে ফেললো।তারপর কিছু না বলেই দরজা ধাক্কিয়ে বলল-
আম্মু,দরজা খোল।মা এই তো।কোথায় চোর?
প্রেমার রুম এখনো অন্ধকার। ভয়ের চোটে লাইট জালানোর সাহস টুকুও সে হারিয়ে ফেলেছে।এদিকে স্পর্শীকে এমন ভাবে ঝাপটে ধরে আছে যে তার দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।শেষে বাধ্য হয়ে প্রেমাকে ছেড়ে দ্রুত লাইট জালিয়ে দরজা খুললো।হুড়মুড় করে ঘরে ঢুকলো সবাই।পরশ ও সবার পেছনে চোরের মতো মুখ করে এগিয়ে এলো।
পাভেল-কই চোর?এমন রাক্ষসীর মতো চিৎকার করছিলি কেন?একটুর জন্য অ্যাটাক করি নি।
প্রেমা কাদো কাদো কন্ঠে বললো-
ছিল তো এখানে।দরজা টোকা দিচ্ছিলো।আর ভাবী নিজেও শুনেছে ওই চোর ডাকছিলো তো।
মুহুর্তেই পিয়াশার ভ্রু টান টান হয়ে গেল।পরশ অসস্তিতে হাস ফাস করছে আর চারদিকে তাকাচ্ছে।স্পর্শীর দিকে তাকাতেই দেখলো সে ঠোট কামড়ে হাসছে।
তুই এখানে এতো রাতে কি করছিলি?
পিয়াশা পরশের উদ্দেশ্যে বললো।চমকে উঠলো পরশ।বললো-
আ আমি ওই..আমি তো ওই, প্রেমার চিৎকার শুনে আসলাম।চোর চোর বলে চেচাচ্ছিলো খুব।
স্পর্শীর পেট ফেটে আসছে হাসিতে।আফসোস পারছে না। মহীউদ্দীন শিকদার কিছু একটা ভেবে মাথা নিচু করে হাসতে হাসতে বেরিয়ে গেল রুম থেকে।
এতো সব রুম রেখে চোর তোর রুম টাকেই বেছে নিল।আর বাছবে নাই বা কেন?চোর তো নতুন বউয়ের গন্ধ পেয়েছে।
মুহুর্তে’ই দুম করে পিঠের উপর কিল মারলো পরশ।তারপর বললো-
তুই কি ইনডিরেক্টলি আমাকে চোর বললি?বললাম না,আমি আসি নি। চোর এসেছে শুনে আসলাম।
পাভেল ছিটকে মায়ের পেছনে গেল।তারপর রশিয়ে রশিয়ে বললো-
আজব তো, আমি কি বলেছি নাকি তুই এসেছিলি।এটা তো ওরকম হয়ে গেল না”ঠাকুর ঘরে কে?আমি তো কলা খাই নি।
পিয়াশা আর কিচ্ছু বললেন না।পরশকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে বেচারা ভীষণ অসস্তিতে পড়ে গেছে।পাভেলকে বললেন-
তুই রুমে আয়।আরো অনেক লিস্ট বাকি আছে।ঘুমাতে যাব।
পাভেল ও আর কিচ্ছু বললো না।মায়ের পিছু পিছু চলে গেল ঘর থেকে।
সবাই যাওয়ার সাথে সাথেই স্পর্শী দম ফাটানো হাসিতে মেতে উঠলো।পরশের কাছে এসে হাসতে হাসতে বললো-
সরি সরি নেতামশাই।আমি সত্যিই বুঝতে পারি নি এতোকিছু হয়ে যাবে।বাট,আমি কিন্তু দারুন এনজয় করেছি।
প্রেমা স্পর্শীর কথার আগামাথাও বুজতে পারছে না।নিরব হয়ে তাকিয়ে আছে এ দিকে।পরশ দাতে দাত চেপে বললো-
হেসে নাও,হেসে নাও।তোমার দৌড় ওই কাল রাত পর্যন্তই।এরমধ্যে যত পারো মজা করে নাও।তবে মনে রেখো,পরশ শিকদার সবকিছু সুদ সমেত ফিরিয়ে দিবে।
মুহুর্তে’ই হাসি বন্ধ হয়ে গেল স্পর্শীর।শিরদাঁড়া বেয়ে ঠান্ডা স্রোত বয়ে যাচ্ছে। হাত পা শিরশির করছে।উফফস দাঁড়িয়ে থাকা থাকা যাচ্ছে না।দ্রুতপায়ে খাটের দিকে এগিয়ে গেল। প্রেমার উদ্দেশ্যে বললো-
দ্রুত দরজা আটকে লাইট নিভিয়ে শুতে আসো।
পরশ ও আর দাড়ালো না।চঞ্চল পায়ে চলে আসলো নিজের রুমে।ফোন টা ধরতেই স্পর্শীর মেসেজের দিকে চাইল। সাথে সাথে রেগে বন্ধ করে দিল মোবাইল।দাতে দাত চেপে বললো-
চন্দ্রাবিলাস করতে ডেকেছিলো।চোরের বিলাস করিয়ে ছাড়লো।অসভ্য মেয়ে,আমাকে নিয়ে মজা করে।আমার ফিলিংস কে নিয়ে মজা করে।আবার মনে করিয়ে দেয় আজ নাকি মধুচন্দ্রিমা।চোরের চন্দ্রিমা আমার।
********
সকাল আট টা।সরদার বাড়ির বসার ঘরে বসে আছে মহীউদ্দীন শিকদার এবং তার ভাই।কিছু মিষ্টি নিয়েই এই প্রথম বার আত্নীয়তার খাতিরে ছুটেছেন সে বাড়িতে।সামনেই থমথমে মুখে শামসুল সরদার বসা।
মহীউদ্দীন শিকদার -দেখুন ভাই সাহেব,ছেলেমেয়ে দুটো নিজেদের ইচ্ছায় দুজন দুজনকে বিয়ে করেছে।এটা আপনি কেন আমরাও জানতাম না।যাই হোক,পরিস্থিতির চাপে কালকে মেয়েটাকে নিয়েও গেছে।আমি জানি আপনার খারাপ লেগেছে।কিন্তু তাই বলে তো মেয়েকে অস্বীকার করা যায় না।আমরা আজকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ওদের বিয়েটা পড়াতে চেয়েছিলাম।বাবা হিসেবে আপনার তো থাকা উচিত স্পর্শীমার কাছে।ওর তো মাও নেই যে বলবো।মেয়েটা হয়তো এতোদিন কষ্ট পায় নি কিন্তু আজ বিয়ের দিনে একদম একা থাকবে এতে ভীষণ খারাপ লাগবে ওর।আপনাদের দাওয়াত দিয়ে গেলাম। অবশ্যই আসবেন।
–যখন একা একা নাচতে নাচতে বিয়ে করতে পেরেছে তখন আমাদের প্রয়োজন কি?ও এ বাড়ির কেউ না।স্যার,আপনাকে আমি সম্মান করি।দয়া করে সম্মান টা নষ্ট করবেন না।এবার আসতে পারেন।যা বলতে এসেছিলেন শুনে নিয়েছি।
সোভাম রুম থেকে বের হতে বের হতে বললো। হতাশ হলেন মহীউদ্দীন শিকদার। শামসুল সরদারকে নিরব দেখে আর কিছু বলতে পারলেন না।চুপচাপ বেরিয়ে এলেন সেখান থেকে।
চলবে?