রিক্ত শহরে আমার তুমি পর্ব-১২

0
88

#রিক্ত_শহরে_আমার_তুমি
ফাহমিদা তানিশা
পর্ব ১২

আস্সালামু আলাইকুম।কে বলছেন?
_আমি এএসপি আরদিদ আয়ান বলছি। কেমন আছেন?
এএসপি আয়ানের ফোন পেয়ে সে সামান্য ঢোক গিললো। বাড়িতে যতোই তার বিপক্ষে বলুক মনের মধ্যে একটা ভয় কাজ করে তাকে দেখলে। মনে মনে ভাবছে তার আপু কি এসব বলে দিয়েছে নাকি?তা না হলে এএসপি আয়ান কেন ফোন দিতে যাবে এতো রাতে? ভেবেচিন্তে ছোট গলায় জবাব দিলো: ভালো। আপনি?
_হুম ভালো।ফ্রি আছেন? কিছু কথা বলতে চাই।
_জি বলুন।
_ভাইয়া আর ভাবির মাঝখানে ঝামেলা বাধালেন কেন? এমনে তো দেখে মনে হয় ভাজা মাছটাও উল্টে খেতে জানেন না।এতো কমনসেন্সের অভাব আপনার?
অরুনিমা চুপ করে আছে।
_এখন কোনো কথা বলছেন না কেন?
_কি বলবো?
_কেন বিয়েটা হচ্ছে না শুনি?
_আমার আপনাকে পারফেক্ট মনে হয়নি তাই বিয়েটা না করতে বলেছি আপুকে।
কথাটা শুনে আয়ানের রাগ চরম পর্যায়ে চলে গেল। সামনে থাকলে হয়তো অরুনিমার গালে একটা পড়ে যেতো কিন্তু ফোনে হ‌ওয়ায় সেই সুযোগটা পাচ্ছে না সে। রাগী গলায় বললো: বাহ্! আপনার কথায় আপনার বোন সাথে সাথে রাজি হয়ে গেল? জীবনে কি কখনো প্রেম করেছেন কারো সাথে? তাছাড়া আমি পারফেক্ট না হলে তাতে কি? আমার ভাইতো পারফেক্ট ‌আছে।
_না। প্রেম কেন করবো?
_প্রেম করেন নাই বলেই তো ভালোবাসার মানে বোঝেন না। কাউকে মন থেকে ভালোবাসলে তাকে ছেড়ে থাকাটা কতো কষ্টের তা আপনার মতো মাথামোটার পক্ষে তো আর বোঝা সম্ভব নয়।
শ্রেয়া আয়ানকে থামাতে চাচ্ছে কিন্তু সে থামছে না। শ্রেয়া এবার ফোনটা আয়ানের হাত থেকে নিয়ে নিলো।সে জানে আয়ানের রাগ উঠলে সে কি বলতে কি বলে ফেলে।তাই তাকে আর কথা বলতে দেওয়া যাবে না। আপাতত সেই অরুনিমার সাথে কথা বলুক।
_হ্যালো অরুনিমা। আমি শ্রেয়া বলছি। আদনান ভাইয়ের চাচাতো বোন।
_হাই আপু।
_কেমন আছো?
_ভালো। আপনি?
_আমিও ভালো আছি। তুমি আয়ানের কথায় কিছু মনে করো না।দেখো, আদনান ভাইয়ের অবস্থা দেখে ওর মাথা ঠিক নেই আসলে। তুমি আমাকে শুনতে পাচ্ছো?
_জি শুনছি।
_তোমার আপু মানে তামিমা ভাবি আর আদনান ভাই দুজন দুজনকে অনেক ভালোবাসে। তোমার সাথে আয়ানের সাথে যা হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা ব্যাপার।যদি বিয়েটা না হয় তাহলে দুজনেই অনেক কষ্ট পাবে। তুমি বোঝার চেষ্টা করো।তামিমা ভাবিকে গিয়ে বলো নতুন করে ঝামেলা না করতে ‌আর তুমিও নতুন করে কোনো ঝামেলা সৃষ্টি করো না।জাস্ট একবার ভাবো সব। প্লিজ,ইটস মাই রিকোয়েস্ট।

আয়ান শ্রেয়ার কথাগুলো শুনে বললো:”এতো তেল মেজে মেজে কথা বলছিস কেন? অকাজের মেয়ে তুই একটা। আমাকে দে ফোনটা ”
এই বলেই সে ফোনটা নিয়ে নিলো। অরুনিমাকে উদ্দেশ্য করে বললো:এই যে শুনো, তোমাকে আমি শ্রেয়ার মতো রিকোয়েস্ট করতে পারবো না। সোজা সাপ্টা কথা আমার।যদি বিয়েতে তোমার পরিবার রাজি না হয় তাহলে ভাবিকে সোজা তুলে নিয়ে আসবো।
অরুনিমা এবার ভয় পেয়ে গেলো।এই ব্যাটার বিশ্বাস নেই।যা মন চায় তাই করতে পারে সে।সে নিরবে ভাবছে কি করা যায়। আয়ান আবার বলে বসলো:কাল যেন হ্যাঁ শুনি ভাবির মুখ থেকে।না শুনলে তোমার খবর আছে। ভাবিকে বলে দিবে।
অরুনিমা “ওকে ঠিক আছে।রাখছি এখন।” বলে ফোনটা রেখে দিতে গেলে আয়ান হেসে বললো:দেখা হচ্ছে তাহলে কালকে।মিস ইউ।ভালো থেকো।
অরুনিমা আয়ানের শেষের কথায় বেশ অবাক হলো।প্রথম কথাগুলো বেশ রেগে বললেও তার মুখ ওকে শুনার পর আয়ানের কথাগুলো খুব শান্ত হয়ে গেলো।যেন আজীবন এভাবে কথাগুলো শুনিয়ে কাটিয়ে দেওয়া যায়।সে কথাগুলো ভালোভাবে শুনলেও এইবারও হাসিটা আবিস্কার করতে ব্যর্থ হলো।
ফোন কেটে দেওয়ার পর শ্রেয়া আয়ানকে বলছে,”দেখ ভাই, এভাবে কথা বললে আরো উল্টে যাবে। তখন একদমি রাজি হবে না তারা।”
শ্রেয়ার কথায় আয়ান হাসলো কিছুক্ষণ। তারপর বললো: সত্যি বলতে কি জানিস? আদনান ভাইয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকদের একটু মাথামোটা স্বভাব আছে। বিশেষ করে এই অরুনিমা। মেয়েটা একদম বোকা আর ভীতু। ওকে ভালোবেসে বলার চেয়ে ভয় দেখিয়ে বললে ও কাজটা তাড়াতাড়ি করে।আমি ওকে খুব ভালো করে চিনি।
শ্রেয়া আয়ানের কথায় একটু কেঁশে বললো: খুব ভালো করে চেনো?এতো ভালো করে চিনলে কি করে?
_আরে মেয়েটার চোখ দেখলে বোঝা যায়।আমি আবার চোখ দেখে কাছের মানুষের মন পড়তে পারি।
শ্রেয়া এবার আয়ানকে পেলো। আসল কথায় এসেছে শেষমেষ।”বাহ্! অরুনিমা আপনার কাছের মানুষ হয়ে গেলো তাহলে?কিছুর আভাস তো পাচ্ছি আমি ব্রো।”
শ্রেয়ার কথায় আয়ান আরেকটু হাসলো। তারপর বললো:”বয়সের সাথে সাথে মানুষ ম্যাচিউর হলেও সে বেশ বোকা। কেমনে যে ক্যাডার হলো আমার জানা নেই। ওকে আমি বেশ ভালোভাবে ইনভেস্টিগেশন করেছি।”
_তোর কথায় মনে হচ্ছে তুই প্রেমে পড়ে গেছিস। আমি বুঝতে পেরেছি মামা। তুই ফাইনালি এই বোকা মেয়েটার প্রেমে পড়লি।
_চালাক মানুষ তো বোকা মানুষের প্রেমে পড়ে যায়।এই ধর ওর বোকার মতো কথা,কাজ আমাকে ইমপ্রেস করবে। আর আমি অবাক হয়ে বলবো মানুষ এতো বোকা‌ও হয় তাহলে।
_ভাই তোর প্রেমের লিলাখেলা শুনতে শুনতে আমার ঘুম আমাকে ডাকাডাকি শুরু করে দিয়েছে।আমি এখন যায়।

শ্রেয়াকে বিদায় দিয়ে আয়ান আদনানের রুমে গেল।সে এখনো শুয়ে আছে আগের মতো করে। আয়ান মনে মনে ভাবছে এই অরুনিমা মেয়েটার জন্য তার ভাই এতো কষ্ট পাচ্ছে। তাকে একটা শিক্ষা দিতেই হবে। আদনানকে গিয়ে বললো: ভাইয়া, ঘুমাবে না?
_আমার ঘুম আসছে না। তুই ঘুমা।
_আরে বলো কি?ঘুমাবে না কেন? কালকে তোমার গায়ে হলুদ না? তাড়াতাড়ি উঠতে হবে তো। সকালে উঠে তোমার শ্বশুরকে একটা ফোন দিতে হবে।
_কেন?
_উনাকে একটু সাইজ করবো বলে ফোন দিবো। এখন তোমার শালিকে সাইজ করে আসলাম মাত্র।
আদনান আয়ানের কথায় রেগে গিয়ে বললো:এই এমনে টেনশনে মরেই যাচ্ছি।তার মধ্যে তুই আরেক টেনশন দিচ্ছিস আমাকে?কাকে সাইজ করেছিস? দেখ ভাই আমার শ্বশুর মানে তোর শ্বশুর। ধুর কি বলতে কি বলি!তোর মুরুব্বি। উনার সাথে সুন্দর করে কথা বলবি। সম্মান করবি।ব্যাস।
আয়ান হেসে বললো:এতো দরদ এখন থেকে? তোমার শ্বশুর আমার শ্বশুর হলে বেশ ভালো হয় ।তাই না ভাইয়া? এখন অরুনিমাকে একটু সাইজ করলাম আরকি।
আদনান কথাটা শুনে আয়ানের পিঠে একটা বসিয়ে দিল। তারপর বললো: অরুনিমা কতো ভালো একটা মেয়ে।ওর সাথে কেন খারাপ ব্যবহার করতে গেলি তুই?
_আরে ওই সব সমস্যার মূল। এখন তো শুধু একটু ঝাড়ি দিলাম,কাল ওকে পুরো শিক্ষা দিবো।
_ও খুব ভালো মেয়ে। আমাদের বিয়ের জন্য সবাইকে রাজি করিয়েছিল সে।আর তুই তাকে সন্দেহ করছিস?
আয়ান এবার আদনানকে সব খুলে বললো। কথাগুলো শুনে আদনান আয়ানকে বললো: “এখানে অরুনিমার দোষ নেই ‌‌।কারণ সে তামিমাকে অনেক ভালোবাসে।তার চেয়েও বড় কথা সে সবাইকে বুঝিয়ে বিয়েটাতে রাজি করিয়েছে। এখন যদি আমি খারাপ হ‌ই বা আমাদের সংসারে কোনো সমস্যা হয় তাহলে সব দোষ তার ঘাড়ে গিয়ে পড়বে।সে তো আমাকে খুব একটা চিনে না। তোকে দিয়ে তাই আমাকে জাজ করতে চাইছে।বাদ দে।সবার মনে একটা ভয় থাকে নতুন আত্নীয়তা করতে। ওর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। ঘটনার উপরটা না দেখে গভীরতা বোঝার চেষ্টা করবি। তাহলে সব বোঝা যায়।”

আয়ান তার ভাইয়ের কথায় অবাক হলো।সে যতোটা সহজে রেগে যায় তার ভাই ততোটা সহজে কোনো বিষয়ের খোলাসা বের করে দেয়। ঠান্ডা মাথায় সব গুছিয়ে নেয়।সে হেসে বললো:তামিমা ভাবি আসলেই লাকি।
আদনান তার কথায় হাসলো। তারপর বললো:যা ঘুমিয়ে পড়।

সকালে তামিমা ঘুম থেকে উঠে দেখছে অরুনিমা তার পাশে বসে আছে। তার চোখেমুখে ঘুমের ছাপ। বসে বসে ঝিমুচ্ছে সে।তামিমা বেশ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো:কি হয়েছে তোর?না ঘুমিয়ে ঝিমাচ্ছিস কেন?
_তোমার জন্য আরকি।
_আমি আবার কি করলাম?
_রাতে তোমার দেবর ফোন দিয়েছিল আমাকে।জানো ও আমাকে হুমকি দিয়েছে।বলেছে বিয়েটা না হলে ও তোমাকে তুলে নিয়ে যাবে। তুমি প্লিজ রাজি হয়ে যাও।
অরুনিমার কথার ভঙ্গিতে তামিমা হেসে দিয়ে বললো:আরে বোকা,ও মজা করেছে।
_না,উনি সিরিয়াস।
_আচ্ছা এখন তুই বল বিয়েটা করবো কিনা?
_ভাই তোমার লাইফ তোমার ডিসিশন।আমি ভুল করেছি এসবে কথা বলে। তোমার দেবর যা বদমাইশ, আমাকে পেলে নিকুচি করবে।আমি আর এসবে নেই।বাই দা ওয়ে, আমার বাবা-মাকেও এসবে জড়াবে না। তোমার দেবরের বিশ্বাস নেই।

সকালে তামিমার বাবা নিচে গেলো।নিচে তাদের দাদা-দাদি থাকে। তাদের সাথে একবার কথা বলতে হবে। তারপর বিয়েটা হবে কিনা এই বিষয়ে ফাইনাল সিদ্ধান্ত নিবেন তিনি। কথাগুলো বলতেই তামিমার দাদি রেগে গেলেন।রেগে গিয়ে বললেন: “বিয়ের সকল আয়োজন শেষ।যদি বিয়েটা না হয় তাহলে তোর মেয়ের জীবন এখানেই শেষ। তাছাড়া আমাদের একটা সম্মান আছে। আমরা সমাজে মুখ দেখাবো কি করে?এই ছেলে খারাপ হলেও তাকে বিয়ে করতে হবে।আর কোনো কথা নেই ‌”
তামিমার দাদির আদেশ অমান্য করার সাধ্য তার বাবার নেই। ‌তিনি তাই চুপচাপ চলে আসলেন।মানে বিয়েটা হতেই হবে।আর কোনো উপায় নেই।

তিনি এসে তামিমাকে আর তার মাকে জানিয়ে দিলেন বিয়েটা হচ্ছে।তার মায়ের আদেশ বলে কথা।তামিমা মনে মনে তার দাদিকে ধন্যবাদ দিলো।এই বুড়ি ফাইনালি একটা কাজের কাজ করেছে।

সন্ধ্যা গড়িয়ে পড়তেই সব আত্মীয় স্বজন এসেছে তাদের বাসায়। ছোট-বড় সবাই সাজগোজ নিয়ে ব্যস্ত। আদনানদের বাসায়ও এক‌ই অবস্থা। গায়ে হলুদ একসাথেই হবে ক্লাবে। বেশ কয়েকটি গাড়ি দিয়েছে।তার দাদির আদেশ রাত নয়টায় ফাংশন শুরু করতে হবে।কারণ বেশি রাত করা যাবে না।তাই সবাই রেডি হতে ব্যস্ত। অরুনিমা আজ শাড়ি পড়েছে। শুধু অরুনিমা নয়।বাড়ির সবাই এক‌ই রকম শাড়ি পড়েছে। হালকা সাজ।তার উপর একটা মিষ্টি কালারের হিজাব বাঁধলো সে। সাজ হালকা হ‌ওয়ায় দারুন লাগছে তাকে। তবে বাঁধ সাধলো তার শাড়িতে।শাড়ি পড়ে সে হাঁটতে পারে না। মনে হয় এই বুঝি শাড়িটা খুলে যাচ্ছে। পার্লার থেকে বের হয়ে ক্লাবে আসতেই অরুনিমার অবস্থা নাজেহাল।

বরপক্ষের সবাই ক্লাবে চলে এসেছে আগেই। আয়ান, রাতুল আর সায়ান আরো আগে চলে এসেছে। সাথে ইমন‌ও কাজ করতে চাইছে। কিন্তু আয়ান তাকে করতে দিচ্ছে না।সোর্স হলেও তো সে একজন মেহমান। তাকে দিয়ে তো কাজ করানো যায় না আর।ক্লাবের সব আয়োজন দেখতে হচ্ছে তাদের।তাই তারা এদিক-সেদিক ছুটাছুটি করছে। হঠাৎ আয়ানের চোখ আটকালো চেয়ারে বসে থাকা মেয়েটার দিকে। খুব শান্তভাবে বসে আছে সে। তবে মনে বিষন্নতার ছাপ।তবু বেশ পরিপাটি লাগছে তাকে। একদম মনের মতো একটা মেয়ে। আয়ান এক পলক তাকিয়ে ভাবলো গতকালের আচরণে কি তার এখনো মন খারাপ। এভাবে বিষন্ন হয়ে আছে কেন?
আস্তে আস্তে সে অরুনিমার পাশে এসে দাঁড়ালো।অরুনিমার সেদিকে হুঁশ নেই।সে চুপচাপ বসে আছে মুখটাকে বাংলার পাঁচ করে। আয়ান তার অবস্থা দেখে তার সামনে একটা তুড়ি বাজালো। সাথে সাথে অরুনিমা তার দিকে অবাক হয়ে তাকালো।
_কি ম্যাডাম, এভাবে মন খারাপ করে বসে আছো কেন?বিয়েটা হচ্ছে বলেই কি এতো হতাশা?
_না এমনে বসে আছি।
মনে মনে বলছে,ব্যাটা তোকে কীভাবে বলি আমার সমস্যা?ছেলে মানুষ শাড়ির কষ্ট কি বুঝবে? আমি শাড়িটার জন্য হাঁটতে না পেরে বসে আছি।
_”বললেই হলো। বোনের বিয়েতে কেউ এভাবে বসে থাকে নাকি?সবাই কতো আনন্দ করছে আর তুমি এখানে এককোণে চোরের মতো বসে আছো। তাহলে নিশ্চয় তুমি খুশি ন‌ও।এমনেও তো তুমি বিয়েটা হোক চাওনি।বিয়েটা যখন হচ্ছে তাই সবকিছু বাদ দিয়ে আনন্দ করো।মন ভালো হবে।”

অরুনিমা আয়ানের কথায় বেশ অবাক হলো।সে তুমি করে কথা বলছে এখন। আগে তো আপনি বলে সম্বোধন করতো। তাকে আরো অবাক করিয়ে দিয়ে আয়ান তার হাত ধরে “চলো,চলো,স্টেজে চলো” বলে টেনে সামনের দিকে নিয়ে যেতে থাকলো।

চলবে….