রিক্ত শহরে আমার তুমি পর্ব-১৩

0
96

#রিক্ত_শহরে_আমার_তুমি
ফাহমিদা তানিশা
পর্ব ১৩

“চলো,চলো,স্টেজে বলে টেনে সামনের দিকে নিয়ে যেতে থাকলো।”
অরুনিমা বাধ্য হয়ে তার সাথে স্টেজে গেলো। সেখানে সবাই ছবি তুলতে ব্যস্ত।তামিমা আর আদনানের জুটিটা বেশি মানিয়েছে। মিষ্টি তামিমার পাশে বসে বসে ক্যামেরাম্যানকে এভাবে ওভাবে ছবি তুলতে অর্ডার দিচ্ছে। বেচারা ক্যামেরাম্যানকে সে এককথায় জ্বালিয়ে -পুড়িয়ে খাচ্ছে। স্টেজে আয়ানকে দেখে সে একেবারে লাফ মেরে উঠে বসলো। “আরে ভাইয়া,আসো আসো। তোমাকে অনেক খুঁজছি। কোথায় ছিলে তুমি?”
_ছিলাম এখানে।
_আসো ছবি তুলবো।
_ওকে চলো।এই যে অরুনিমা আসো।
কথাটা শুনে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলো মিষ্টি।অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো:”তুমি আবার ওকে ডাকছো কেন?
_তাতে কি হয়েছে?
_আমরা চারজন ছবি তুলবো।মানে তুমি,আমি আর ভাইয়া-ভাবি। তাহলে আমাদের মাঝে ও কাবাবের হাড্ডি হবে কেন?
_ও আমাদের সাথে থাকলে সমস্যা কি?
_সমস্যা আছে। তুমি এসব বুঝবে না।
এই অরুনিমা তুমি এক সাইডে দাঁড়াও। আমরা ছবি তুলবো। ডিস্টার্ব হবে।

অরুনিমা মিষ্টির কথায় হা করে তাকিয়ে আছে। একটা মেয়ে কতোটা বেয়াদব হলে এতোটা খারাপ আচরণ করতে পারে। তাদের ডিস্টার্ব হবে সেটা সুন্দর করে বলতে পারতো সে।ভাই টেনে টেনে ছবি তুলতে নিয়ে আসছে আর বোন অপমান করছে।সে কি নিজে নিজে এসেছে নাকি? ইচ্ছে করছে দুজনের গালে দুটো চড় লাগিয়ে দিতে। আয়ান কয়েক বার অরুনিমার দিকে তাকালো। তারপর মিষ্টিকে উদ্দেশ্য করে বললো: আমার কাজ আছে। তুমি একা ছবি তুলো।
বলেই সে হনহন করে চলে গেল। অরুনিমা আর মিষ্টি তার যাওয়ার পানে তাকিয়ে আছে।

আয়ান বিশাল জ্বালায় আছে। মিষ্টির কর্মকাণ্ড সে সহ্য‌ও করতে পারে না আবার কিছু বলতেও পারে না। মিষ্টিকে কিছু বললে তার মা রেগে যায়।তাই সে চুপচাপ তামাশা দেখে।আর মিষ্টি সেই সুযোগটা সবসময় কাজে লাগায়।কি আর করবে বেচারা?

অরুনিমাকে আদনান আর তামিমা ডাকলো ছবি তোলার জন্য কিন্তু সে বললো: ভাইয়া আমি একটু পর তুলবো।সবাই আসুক।
এই বলে সে নেমে গেল স্টেজ থেকে। আবার একপাশে গিয়ে একটা চেয়ারে বসলো। বাড়ির সবাই কোথায় চলে গেছে তার জানা নেই। এমনকি তার ছোট বোন মহিমাও তাকে রেখে চলে গেছে।সে অনেক একা হয়ে বসে আছে। তবে আয়ান বারবার তার আশেপাশে ঘুরঘুর করছে এটা ওটা বাহানা দিয়ে।সেও মনে করছে হয়তো আয়ান ছুটাছুটি করে কাজ করছে। কিন্তু কে জানে তার ভেতরের খবর শুধুমাত্র শ্রেয়া ছাড়া। হঠাৎ তার ফোন আসলো। স্ক্রিনের নামটা দেখে সে মুচকি হাসলো। তাড়াতাড়ি ফোনটা রিসিভ করতে ওপাশ থেকে আওয়াজ আসলো:”আমি এসেছি।নিতে আয়।”
অরুনিমা খুশি হয়ে বললো:”আমি এক্ষুনি আসছি।”
ফোনটা কেটে সে এক প্রকার দৌড়ে নিচে যাচ্ছে।তার সবচেয়ে কাছের মানুষটা আসছে।তার প্রিয় বান্ধবী রিশা।ক্লাস নাইন থেকে তাদের সম্পর্ক।রিশাকে ছাড়া সে সম্পূর্ণ অচল। তাকে সে অনায়াসে সব কথা শেয়ার করতে পারে। বন্ধুত্বের সম্পর্কে বিশ্বাস আর ভরসা খুব প্রয়োজন। মনের অগোছালো কথাগুলো যাকে অনায়াসে বলা যায় সে হলো প্রকৃত অর্থে বান্ধবী। শুধু বন্ধুত্বের সম্পর্কে নয় সব সম্পর্কের মূলমন্ত্র হলো বিশ্বাস আর ভরসা। অরুনিমা হঠাৎ শাড়ি পেঁচিয়ে পড়ে যেতে কেউ তাকে শক্ত করে ধরে ফেললো। এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনায় সে ভয়ে চোখ দুটি বন্ধ করলো। “এখন আর পরে যাওয়ার চান্স নেই। সুতরাং ভয় না পেয়ে উঠে দাঁড়াতে পারো।”
অরুনিমা কথাটা শুনে চোখ খুলতেই সামনের মানুষটাকে দেখে চোখ বড় বড় করে তার দিকে তাকিয়ে আছে। সে আর কেউ নয় এএসপি আরদিদ আয়ান। তাকে দেখে অরুনিমা দ্রুত সরে দাঁড়ালো। মিষ্টি দূর থেকে থেকে সব দেখছে আর তেলেবেগুনে জ্বলছে।রিশা দাঁড়িয়ে আছে সেটা মাথায় আসতেই অরুনিমা আবার দৌড় দিতে যাচ্ছিল। তখনি আয়ান বললো:”আস্তে হাটো।না হয় আবার পড়ে গিয়ে সেদিনের ফাটা মাথাটা আবার ফাটবে।”অরুনিমা কথাটা শুনে পেছনে ফিরে একবার আয়ানের দিকে তাকালো। তারপর আস্তে আস্তে হাঁটা শুরু করলো।আয়ান তার যাওয়ার পানে তাকিয়ে একবার মুচকি হাসলো। তারপর ভাবছে এতো দৌড়ে দৌড়ে যাচ্ছে কোথায় অরুনিমা? দেখতে হবে। এই বলে সে অরুনিমার পেছন পেছন যাওয়া শুরু করলো।

অরুনিমা ক্লাব থেকে নেমে নিচে আসতেই রিশাকে পেয়ে হেঁসে জড়িয়ে ধরলো। তারপর দুজনে ক্লাবের ভেতর গেল।এবারো আয়ান তার পেছনে পেছনে গেল।

অরুনিমা রিশাকে নিয়ে স্টেজের দিকে যাচ্ছে। মিষ্টির পাশ দিয়ে যেতেই সে তার হাতে থাকা জুসের গ্লাসটা ফেলে দিলো।ঠিক তখনি সেখানে পা ফেললো অরুনিমা। টাইলসের মধ্যে পানি পড়ায় টাইলস অনেক পিচ্ছিল হয়ে আছে আর এদিকে সে শাড়ি পড়ে আছে বলে নিজেকে সামলাতে না পেরে অরুনিমা পিছলে পড়ে গেল। সাথে সাথে ভাঙা গ্লাসের টুকরো তার হাতে আর পায়ে ঢুকে গেল। এবার আয়ান পেছনে থাকলেও আকস্মিকভাবে পড়ে যাওয়াটা সে আটকাতে পারলো না। তবে মিষ্টি ইচ্ছাকৃত গ্লাসটা ফেলেছে তা আয়ানের নজরে খুব ভালোভাবে পড়েছে। রিশা বেশ চঞ্চল মেয়ে।তার সামনে অরুনিমার এভাবে পড়ে যাওয়াটা সে মানতে পারছে না।তার মধ্যে মিষ্টির জুসের গ্লাসের কারণে পড়ায় রিশা সাথে সাথে মিষ্টিকে চিল্লিয়ে বলে বসলো:এই মেয়ে, তোমার কি বিন্দুমাত্র কমনসেন্স নাই?
মিষ্টি তাচ্ছিল্যের স্বরে বললো:হো আর ইউ রাবিশ? তুমি কেন এসবে নাক গলাচ্ছো।
রিশা মিষ্টির কথায় আরো রেগে গেল। দুজনেই তুমুল ঝগড়া শুরু করে দিলো।কারো মাথায় নেই অরুনিমাকে তুলতে হবে। অরুনিমা ফ্লোরে বসে বসে রিশাকে ডাকছে আর সে মিষ্টির সাথে কথা কাটাকাটি করতে আছে। অরুনিমার ডাক তার কানে যাচ্ছে না।

আয়ান গিয়ে অরুনিমাকে তুললো।আরো কয়েকজন আত্মীয় আসলো।অরুনিমাকে তারা একটি চেয়ারে বসালো।তার হাত-পায়ের অনেকটা অংশ ছিঁড়ে কাঁচ ঢুকে গেছে।তামিমা আর স্টেজে বসে থাকতে পারলো না। মিষ্টির কাণ্ডটা তার চোখ এড়ায়নি। হয়তো আদনান‌ও দেখেছে কিন্তু তার কোনো প্রতিক্রিয়া নেই।সে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।মনে মনে রাগ হচ্ছে তামিমার।কোনো কারণ ছাড়া মিষ্টি এমন করছে কেন তা তামিমা বুঝতে পারছে না। আয়ান আর রিশা চেষ্টা করছে অরুনিমার হাত-পা থেকে কাঁচের টুকরোগুলো বের করতে আর অরুনিমা ব্যথায় শিউরে উঠছে বারবার।তামিমা এসে অরুনিমাকে জড়িয়ে ধরে আছে।

ক্লাবের পাশে ফুলের বাগান আর সুইমিং পুল।অরুনিমার কাজিনরা আর মহিমা সেই দিকটায় গিয়েছিল ছবি তুলতে ‌।অরুনিমাকে নিয়ে যায়নি সে শাড়ি পরে হাঁটতে পারে না আর রিশা আসলে সে ছবি না তুলে তার সাথে আড্ডা দিবে।কেউ একজন তাদের গিয়ে বলে অরুনিমার অবস্থা।তা শুনে মহিমাসহ সবাই দৌড়ে আসে।এসেই দেখে অরুনিমার হাত-পা থেকে রক্ত পড়ছে। আয়ান আর রিশা চেষ্টা করেও খুব একটা বের করতে পারছে না।
মহিমা দ্রুত আসলো।সে পেশায় একজন ডাক্তার।সদ্য এমবিবিএস শেষ করেছে সে।তাই আয়ান আর রিশা একপাশে সরে গিয়ে মহিমাকে দেখার সুযোগ করে দিলো।

অরুনিমা ব্যথায় আর নিজেকে আটকিয়ে রাখতে পারছে না।চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে।তামিমাও কান্না করছে।শত হলেও বড় বোন মায়ের মতো।মা যেমন সন্তানের কষ্ট সহ্য করতে পারে না তেমনি বড় বোনেরাও ছোটদের কষ্ট সহ্য করতে পারে না। চারপাশের পরিবেশটা থমথমে হয়ে আছে।মনেই হচ্ছে না একটা গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান।অরুনিমার আব্বু আসলো একটু পর।তিনি এতোক্ষণ ছিলেন না। খানিকক্ষণ মেয়ের অবস্থা দেখলেন। তারপর বললেন:” চলো ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। মহিমাকে দিয়ে হবে না”
এই বলে তিনি মেয়েকে ধরে ধরে নিয়ে চলে গেলেন। যাওয়ার আগে বললেন:”তোমরা থাকো।আমি আর মহিমা যাচ্ছি ওর সাথে।সবাই এনজয় করো।টেনশন করতে হবে না।”
রিশা তবু জোর করে তাদের সাথে গেল। আয়ানের সাথে যেতে ইচ্ছে করছিল কিন্তু সে লোকলজ্জার ভয়ে মুখ ফুটে বলতে পারেনি সে কথা।

অরুনিমাকে নিয়ে চলে যাওয়ার পর সবাই মজা করছে। কিন্তু তামিমার মুখে হাঁসি নেই।সে এক প্রকার বাধ্য হয়ে স্টেজে বসে আছে।তামিমার দিকে তাকিয়ে আদনানের বুঝতে পারছে তা।তার‌ও মন খারাপ আছে। এদিকে আয়ান তখন থেকেই বসে আছে এক জায়গায়।তার বেশ কষ্ট হচ্ছে। ইচ্ছে করছে মিষ্টিকে কিছু বলতে কিন্তু মায়ের ভয়ে বলতে পারছে না। অনেক ইচ্ছা ছিল ভাইয়ের বিয়েতে মজা করবে কিন্তু সব ভেস্তে গেল।

খাওয়া-দাওয়ার পর্ব শেষ হয়েছে। গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান প্রায় শেষের দিকে। অনেকেই চলে গেছে। দুই পক্ষের সবাই নাচবে বলে তামিমা-আদনানকে নিচে নামিয়ে দিল। আদনান এসে আয়ানের পাশে বসলো।তামিমাও তার আরেক পাশে আছে। আদনান বসতেই আয়ানকে বললো:কি হয়েছে তোর? এভাবে এক জায়গায় বসে আছিস কেন?
_মিষ্টিকে ইচ্ছে করছে ধরে দুইটা থাপ্পড় দিতে।অরুনিমার সামনে মিষ্টি ইচ্ছাকৃত জুসের গ্লাসটা ফেলেছে যাতে অরুনিমা পড়ে গিয়ে ব্যথা পায়।
আদনান চুপচাপ শুনছে।তার কোনো প্রতিক্রিয়া নেই।তা দেখে আয়ান অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো:”ভাইয়া তুমি কিছু বলছো না কেন?
_আমি দেখেছি সব।
_তুমি দেখেছো?
_হুম।তামিমা জানলে মন খারাপ করবে তাই কিছু বলিনি।
_বাহ্! এভাবে মিষ্টিকে ছেড়ে দিলে সে আরো বেড়ে যাবে? আম্মু বোঝে না কেন মিষ্টির বেয়াদবিগুলো?
_আরে বোঝে তবু চুপ থাকে।
_এতোই যদি বোঝে তাহলে আমি মিষ্টিকে কিছু বললে আম্মু রেগে যায় কেন?
_তখন খালামনি কষ্ট পাবে তাই।

আয়ান আর কিছু বললো না। চুপচাপ বসে বসে ডান্স পারফরম্যান্স দেখছে।তামিমাও দেখছে কিন্তু তার এসবে আগ্রহ নেই।মন খারাপ করে বসে আছে। শ্রেয়া এসে আয়ানকে ডাকলো:”চল আয়ান,ছবি তুলবো সবাই।”
শ্রেয়ার পেছন পেছন মিষ্টি আসলো।সেও এসে ডাকছে আয়ানকে। কিন্তু সে শ্রেয়াকে জবাব দিলেও মিষ্টির কোনো কথার জবাব দিলো না।তা দেখে মিষ্টি জ্বলে আগুন হয়ে বললো:”ভাইয়া, তুমি আমার কথার রিপ্লাই দিলে না কেন?”
এবারো কোনো জবাব না পেয়ে মিষ্টি আবার জিজ্ঞেস করলো। আয়ান জানে কোনো কথার জবাব না দেওয়া পর্যন্ত মিষ্টি তাকে ছাড়বে না।তাই সে উঠে চলে গেল।মিষ্টিও তাকে ছাড়ার মেয়ে নয়।সেও পেছন পেছন যাচ্ছে আর প্রশ্ন করতেই আছে।
আয়ান কতটুকু গিয়ে থামলো। ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো:কি সমস্যা তোমার?
মিষ্টি কিঞ্চিত হাঁসার চেষ্টা করে বললো:আমি আবার কি করলাম?
_তুমি অরুনিমার সাথে এমন করলে কেন?
_কি করেছি আমি?
_আমি সব দেখেছি।তুমি ইচ্ছাকৃত জুসের গ্লাসটা ফেলেছো যাতে অরুনিমা পড়ে গিয়ে ব্যথা পায়।
_না আমি এসব করিনি।
_মিথ্যা কথা একদম বলবে না।
_মিথ্যা বলবো কেন?আমি কিছুই করিনি।
_কষিয়ে একটা চড় দেবো বেয়াদব মেয়ে।যদি আরেকবার মিথ্যা কথা বলো তাহলে এখানের সিসিটিভি ফুটেজ বের করে সবাইকে দেখাবো।বুঝলে?
_তুমি এই সামান্য মেয়েটার জন্য আমার সাথে এভাবে কথা বলছো?এতো দরদ তোমার ওর জন্য?
_হ্যাঁ। তোমাকে বলছি আর তাও অরুনিমার জন্য বলছি।নেক্সট টাইম কিছু করার আগে ভেবেচিন্তে করবে। এইবার ছেড়ে দিলেও তোমাকে আর ছাড়বো না। কথাটা যেন মাথায় থাকে।
কথাটা বলেই আয়ান হনহন করে চলে গেল আর মিষ্টি আয়ানের চলে যাওয়া দেখে বাঁকা হাঁসি দিলো।অরুনিমার জন্য তার এতো কথা শুনতে হলো।সে কিছুতেই অরুনিমাকে ছাড়বে না।”দেখে নিবো আমি অরুনিমাকে” এই বলে সেও হনহন করে চলে গেল ‌।

গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শেষে সবাই বাড়ি চলে গেল।আয়ান বাড়ি গিয়ে তার মাকে আর মিষ্টির মাকে সব বলেছে। আয়ানের মা শুনে চুপ করে আছেন।কোনো প্রতিক্রিয়া করেননি। কিন্তু মিষ্টির মা উল্টা কথা বললেন।” মিষ্টি করেছে ওর ইচ্ছে হয়েছে তাই । তোমার এতো জ্বলছে কেন।তুমি আপন মানুষের পক্ষে না নিয়ে উল্টা বিচার করতে আসছো?”
_হ্যাঁ করছি আর সামনেও করবো।অন্যায় দেখলে সবসময় করবো।সেটা কাছের মানুষ হোক আর দূরের মানুষ হোক।
কথাটা শুনে মিষ্টির মা আয়ানের মাকে উদ্দেশ্য করে বললো:আপা, এই ছেলেকে দেখে রাখিও।ওর ভাবসাব আমার ভালো লাগছে না। নিশ্চয় ওই মেয়ের পাল্লায় পড়েছে তাই সেই মেয়ের পক্ষ নিতে এসেছে।
আয়ানের মা হেঁসে বললো:কোন মেয়ে?
_আরে আদনানের শালী অরুনিমা আরকি।

আয়ানের মা হেঁসে বললো:মেঝো ছেলের জন্য ও বাড়ি থেকে ব‌উ আনতে পারলে ছোট ছেলের জন্য কেন আনতে পারবো না।তাছাড়া শিক্ষিত মেয়ে। সমস্যা কোথায়?আর সবচেয়ে বড়ো কথা আমার ছেলে পছন্দ করলে আমি আমি অবশ্যই মেনে নিবো।
আয়ান তার কথা শুনে মনে মনে হাসলো।সে একপ্রকার তার মায়ের কাছ থেকে লাইসেন্স পেয়ে গেছে।এবার অরুনিমার কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হবে।

চলবে….