রিক্ত শহরে আমার তুমি পর্ব-১৬

0
95

#রিক্ত_শহরে_আমার_তুমি
ফাহমিদা তানিশা
পর্ব ১৬

তিনি এসে সোজা বাংলায় ছেলেকে আদেশ দিলেন:তোর‌ খালামনির বাসায় গিয়ে মিষ্টিকে আর
তোর খালামনিকে নিয়ে আয়।
আয়ান তার মায়ের কথায় কিঞ্চিত হাসলো। তারপর বললো: আমি আপনার বোনের বাসায় যাবো তাও আবার তাকে আনতে? আ’ম সিউর,আপনার মাথার বুদ্ধি দিন দিন লোপ পাচ্ছে।
_তাহলে কে যাবে?
_সেটা আমি কি জানি?
_যা একটু নিয়ে আয়। একটু গেলে তো সমস্যা নাই? বাসায় অনেক কাজ আছে।আমি যেতে পারবো না।তোর আব্বুও ব্যস্ত আছে।
_ওকে যাচ্ছি।রেডি থাকতে বলো।জাস্ট যাবো আর আসবো।তবে বাসায় যাবো না। গেইটে দাঁড়াতে বলো। আমি গেইট থেকে চলে আসবো।
আয়ান সম্মতি পেয়ে তার মা খুশিতে গদগদ করে চলে গেলেন বোনকে ফোন দিতে।
আয়ান রেডি হয়ে গেলো তার খালামনির বাসায় যাওয়ার জন্য। দূরত্ব বেশি নয়। দ্রুত চলে আসার জন্য তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বেটার।এই ভেবে দ্রুত চলে গেলো সে।

অরুনিমারা সবাই পৌঁছেছে একটু আগে।তামিমা সবাইকে দেখে বেশ খুশি। আয়ানের মাকে দেখার খুব ইচ্ছে ছিল অরুনিমার। পাশাপাশি আয়ানকেও দেখতে পাচ্ছে না। মনে মনে খুঁজছে সে আয়ানকে। আবার ভাবছে এতো বড় বাড়িতে তাকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল।তাকে পেলে রিশার হাসবেন্ডের এড্রেসটাও দেওয়া হতো। গতকাল কাজের চাপে আর দেওয়া হয়নি।সবাই বসে গল্প করছে। শ্রেয়াও আছে তাদের সাথে।

একটু পর আয়ান আসলো। সাথে মিষ্টি এসেছে।তার মা আসেননি। অরুনিমা তাকে দেখতে পেয়ে একটু হাসলো।সেও এসে একটা হাঁসি দিয়ে বললো: এসেছেন? কেমন আছেন?
_জি ভালো। আপনি?
_আমিও ভালো আছি।
শ্রেয়া আয়ানকে দেখে বললো: এখানে বয় আমাদের সাথে।
আয়ান ওকে বলে বসে পড়লো। মিষ্টি আজ তাদের দিকে আর আসেনি। হয়তো তাকে কেউ নিষেধ করেছে। একটু পর আয়ানের মা আসলেন।অরুনিমাকে তিনি বারবার খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছেন আর অরুনিমাও তাকে দেখছে‌।অরুনিমার এই মহিলাকে বেশ ভালো মনে হয়েছে।খুব মার্জিত ভাষায় কথা বলেন তিনি।বেশ গোছানো মানুষ‌ও বটে।অরুনিমার সাথে তিনি বেশ জমিয়ে আড্ডা দিলেন।তার সম্পর্কে সবকিছু জিজ্ঞেস করলেন। কিন্তু অরুনিমা বুঝতে পারলো না তার সম্পর্কে এতো জানার আগ্রহ কেন আয়ানের মায়ের?

প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেছে।তাই অরুনিমাদের এখন র‌ওনা দিতে হবে। সবাই চলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তখনি অরুনিমার মনে পড়লো আয়ানকে তার এড্রেসটা দেওয়া হয়নি।সে সাথে সাথে স্যার বলে ডাক দিলো। আয়ান ফিরলো না।এ না ফেরায় অরুনিমা আবার ডাক দিলো। তারপর আয়ান ফিরলো। ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো: আমাকে ডাকছো?
_জি।
_তাহলে স্যার বলছো কেন?আমরা এখন বেয়াই -বেয়াইন।
_কি বলে ডাকবো?
আয়ান একটু ভাবলো। তারপর বললো: আমার নাম আছে তো ।নাম ধরে ডাকতে পারো
অরুনিমা হেঁসে বললো: আপনি আমার সিনিয়র। তাইলে ভাইয়া বলে ডাকবো।
আয়ানের ভাইয়া কথাটা শুনে মনে মনে রাগ হলো। কিন্তু কিছুই না বলে আচ্ছা বললো।
অরুনিমা আয়ানকে বললো:রিশার হাসবেন্ডের এড্রেস এনেছি। এখন দিবো?
_হুম দাও।
অরুনিমা তাকে এড্রেসটা পাঠালো। তারপর সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলো।

মাঝে দুদিন কেটে গেল। আয়ান আর অরুনিমার কয়েকবার ফোনে কথা হয়েছে রিশার বিষয়গুলো নিয়ে। তবে দেখা হয়নি আর। আজ অরুনিমার মনটা খুব খারাপ।সে আজ কলেজে চলে যাবে।তার ছুটি শেষ হয়েছে। কালকে থেকে ক্লাস আছে। ব্যাগপত্র গুছিয়ে নিয়েছে সে।একদমি যেতে ইচ্ছে করছে না তার। কিন্তু সময় আর সুযোগ নেই থেকে যাওয়ার। একটা সময় পর মানুষের জীবনে প্রিয় মানুষের সাথে সময় কাটাতে খুব ইচ্ছে করে। কিন্তু বাস্তবতার কাছে হেরে গিয়ে তাকে একা পাড়ি দিতে হয়। ব্যস্ততার মাঝে শত অজুহাত হার মেনে যায়।অরুনিমার ক্ষেত্রেও ঠিক তেমন।সব অজুহাত বাদ দিয়ে তাকে চলে যেতে হচ্ছে অচেনা শহরে। যেখানে নেই কোনো আপনজন।রিক্ততার মাঝে ডুবে যাওয়া এক শহরে সে একা। হাজার বার থেকেও যাওয়ার ইচ্ছেগুলো চাঁপা দিয়ে সে গাড়িতে উঠে বসলো।

গাড়ি ছুটছে প্রবল বেগে।মাথাটা সিটে এলিয়ে দিতে তার চোখদুটো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু একা একজন মানুষ হ‌ওয়ায় গাড়িতে ঘুমানোর সাহস সে পাচ্ছে না।মাথাটা তুলে সোজা হয়ে বসলো। তবু ঝিমুনি আসছে তার।তাই সে ফোনটা হাতে নিলো। ফোনটা হাতে নিতেই তার এএসপি আয়ানের কথা মনে পড়েছে।সে কি এখনো বাড়িতে নাকি অফিসের ছুটি শেষ? ভেবেচিন্তে আয়ানকে ফোন দিলো অরুনিমা। কয়েকটি রিং পড়তেই সে রিসিভ করলো। অরুনিমা সালাম দিয়ে কেমন আছে জিজ্ঞেস করে বললো: আপনার ছুটি শেষ?এখন কোথায়?রুপলালে চলে এসেছেন?
_না।ছুটি এখনো শেষ হয়নি।আরো দুই দিন আছে। আমি এখনো যায়নি তবে ইমন চলে গেছে। তুমি কোথায়?
_আমি চলে যাচ্ছি আজ।গাড়িতে এখন।
_ওহ্ আচ্ছা।রুপলালে গেলে দেখা হবে তাহলে।
_ওকে।
এই বলে অরুনিমা ফোন কেটে দিলো‌। আয়ানের প্রতি তার হিংসা হচ্ছে।তার এখনো ছুটি শেষ হয়নি কিন্তু অরুনিমার চলে যেতে হচ্ছে।সেও আর দুটো দিন বাড়িতে থাকতে পারলে কতোই মজো হতো।

প্রায় তিন ঘন্টা পর রুপলালে পৌঁছালো অরুনিমা। বাসায় গিয়ে দেখলো তরী রান্না করে রেখেছে।তাই আর তাকে রান্নার চাপটা নিতে হয়নি।খেয়ে মাত্র ঘুমিয়ে পড়বে ভেবে তাড়াতাড়ি খেয়ে নিলো। কিন্তু মাঝে বাঁধ সাধলো তরী।তাকে অরুনিমার তার আপুর বিয়ের ছবি দেখাতে হবে তারপর ঘুমাতে পারবে।অরুনিমাও রাজি হলো তার কথায়।দুজনে মিলে শুয়ে শুয়ে ছবি দেখছে। হঠাৎ একটা ছবি দেখে তরী অবাক হয়ে গেলো। জোর গলায় বললো:এই দাঁড়াও দাঁড়াও
অরুনিমা হেঁসে ফেললো।সে বুঝতে পেরেছে তরী কেন এভাবে লাফাচ্ছে তার কারণ।ছবিতে আয়ানকে দেখা যাচ্ছে।তাই তরী বেশ অবাক হয় জিজ্ঞেস করলো:এই এটা এএসপি আয়ান না?
_হুম।
_ও তোমার আপুর বিয়েতে কি করছে?
_বিয়ে খেতে আসছে।
_তুমি দাওয়াত দিয়েছো বুঝি?
_আরে না।উনি আমার আপুর দেবর। ভাইয়ের বিয়েতে গেছে।
_কি বলো? তোমার আপুর হাসবেন্ডের আপন ভাই?
_হুম। আপুর হাসবেন্ড মেঝো আর উনি ছোট।
_সত্যি বলছো?
_হুম।মিথ্যা বলবো কেন?
তরী বেশ অবাক হয়ে অরুনিমার দিকে তাকিয়ে আছে। অরুনিমা চুপচাপ তার আপুর বিয়ের ছবিগুলো দেখালো। তারপর সে লাইট অফ করে দিয়ে শুয়ে পড়লো।তরী এখনো বোবা হয়ে আছে। তাকে একেবারে চমকে দেওয়ার জন্য অরুনিমার ফোনটা বেজে উঠলো।তরী আর অরুনিমা দুজনেই ফোনের স্ক্রিনে তাকালো। স্ক্রিনে লিখা আছে আয়ান।তরীর চোখ তো ছানা বড়া হয়ে গেল আর অরুনিমা ফোনটা রিসিভ করলো।
_হ্যা বলুন।
_পৌঁছাইছো?
_জি।
_কখন পৌঁছালে?
_ঘন্টাখানেক হয়েছে।
_ওহ্ আচ্ছা।রেস্ট নাও।রাখি তাহলে।
_আচ্ছা রাখেন।
আয়ান মূলত অরুনিমা রুপলালে পৌঁছিয়েছে কিনা জানার জন্য ফোন দিয়েছিল।তা দেখে তরী আরো টাস্কি খেয়ে গেলো। চুপচাপ ঘুমিয়ে পড়লো। অরুনিমাও তার মতো করে শুয়ে পড়লো।

সকালে ঘুম থেকে উঠে রেডি হয়ে অরুনিমা কলেজে চলে গেলো। সেখানে গিয়ে সে কলেজটাকে নতুন করে আবিষ্কার করলো। মামলার তদন্তের পর সে আর কলেজে আসেনি।এই ক’দিনে কলেজের সিকিউরিটি অনেক কড়া হয়েছে। কলেজের গেইটে পুলিশের একটা টিম কড়া
পাহারা দিচ্ছে।সব সাইডে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।বেশ পরিপাটি লাগছে। কিন্তু অরুনিমার বেশ খারাপ লাগছে মেয়েগুলোর জন্য।কতো সুন্দর জীবন অনায়াস ঝরে গেলো। প্রথমেই যদি সুন্দর করে কোনো অফিসার তদন্ত করতো, সিকিউরিটি মজবুত করতো তাহলে হয়তো এতো মেয়ে মারা যেতো না।মনে মনে এএসপি আয়ানকে একটা ধন্যবাদ দিলো।তিনি যদি সুন্দরভাবে দায়িত্ব নিয়ে মামলাটা সমাধান না করতো তাহলে আজ আরো অনেক কিছু ঘটে যেতো। আসলেই এএসপি আয়ানের মতো সৎ ও দক্ষ পুলিশ অফিসার সব জায়গায় প্রয়োজন।অরুনিমার মনে আগে একটা ঘৃণা থাকলেও এই কদিনে সব ঘৃণা দ্বিগুণ হয়ে সম্মানে রুপান্তরিত হলো। লোকটাকে উপরে দেখে খারাপ মনে হলেও বেশ ভালো।

কলেজ শেষে সে বাড়ি চলে আসলো।আজ রিশা তার স্বামীর নামে মামলা করতে যাবে। আয়ানের একজন বন্ধু সেই থানায় আছে। আয়ান তাকে সব বলে দিয়েছে।আর সে সব করে দিবে।রিশাকে কোনো কষ্ট করতে হবে।অরুনিমাও টেনশন মুক্ত হলো।রিশার টেনশন মানে তো তার‌ও টেনশন।

এভাবে চোখের পলকে দুদিন কেটে গেল। আয়ানের ছুটি আজ শেষ।তাই সে রুপলালে চলে আসবে আজ।মনটা খারাপ আবার সেই সাথে ভালোও।রুপলালে কেউ না থাকলেও তো অরুনিমা আছে। এতো দিন তো কেউ ছিল না। এখন তার কাছে অরুনিমা আছে আর অরুনিমার পাশে সে আছে। দুজনেই কাছাকাছি থাকায় কোনো সমস্যা হলেও সমাধান করতে পারবে।

আয়ান রুপলালে পৌঁছেছে দুপুর বারোটার দিকে।একটু রেস্ট নিলো সে।তার কালকে থেকে ডিউটি শুরু হবে। আজকের দিনটা ফ্রি আছে সে।অযথা বাসায় বসে থাকার চেয়ে কোথাও ঘুরতে গেলে মনটা ফুরফুরে হবে।এই ভেবে সে অরুনিমাকে ফোন দিলো। কিন্তু অরুনিমা রিসিভ করেনি।

অরুনিমা দুপুরে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল। চারটার দিকে সে উঠলো ঘুম থেকে।উঠেই দেখে আয়ান ফোন দিয়েছে।সে ঘুমিয়ে ছিল বলে রিসিভ করতে পারেনি।দেখে আয়ানকে ফোন দিলো সে।
আয়ান সাথে সাথে রিসিভ করেছে।যেন সে অরুনিমার ফোনের জন্য অপেক্ষা করে আছে।
রিসিভ করতেই অরুনিমা বললো:আসলে আমি ঘুমিয়ে ছিলাম তাই ফোন দিয়েছেন জানতাম না।সরি।
_ইটস ওকে। এখন কি করছো?ফ্রি আছো?
_হুম এখন ফ্রি আছি।
_চলো কোথাও ঘুরতে যায়?একা একা বাসায় বসে থাকতে ভালো লাগছে না।
আয়ানের কথায় অরুনিমা বেশ অবাক হলো। এএসপি আয়ান তাকে ঘুরতে যেতে বলছে তা তো বেশ অবাক হ‌ওয়ার বিষয়। একটু ভেবে বললো: কোথায় যাবেন?
_যেখানে যেতে চাও সেখানে যাবো।
_আমি এদিকের কিছু চিনি না।তাই কোথায় যাবো বুঝতে পারছি না। আপনি বলুন।
_ওকে তাহলে তুমি রেডি হ‌ও।আমি আসছি।
_আচ্ছা।

অরুনিমা ফোনটা কেটে দিয়ে একটু ভাবলো।একা একা একটা মেয়ে সে। আয়ানের সাথে যাওয়াটা কি ঠিক হবে?ভেবে পাচ্ছে না সে‌। আবার ভাবছে এমনেও তার ভালো লাগছে না।ঘুরে আসলে একটু মনটা ভালো হবে। ভেবেচিন্তে সে রেডি হয়ে গেল।তখনি তরী আসলো। অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো: কোথায় যাচ্ছো অরুনিমা?
_এইতো একটু বের হবো।
_একা একা বের হবে?তুমি তো এই শহরের কিছু খুব একটা চিনো না।
_না, একা যাচ্ছি না।
_তাহলে কার সাথে যাচ্ছো?
_আয়ান ভাইয়া যাবে।
তরী ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো: তুমি আর এএসপি আয়ান যাবে শুধু?
_হুম।আর কেউ তো নাই।
_চলো আমিও যায়।
তরীর কথায় অরুনিমা থমকে গেল।তরীকে নিয়ে গেলে যদি আয়ান কিছু মনে করে? আবার তরীকে নিয়ে যাবে না তাও কিভাবে বলবে?সে নিজ থেকে রিকোয়েস্ট করছে যখন তাকে তো নিয়ে যেতে হবে।না, তুমি যাবে না তা কি বলা যায়? একটু ভাবলো সে। তারপর বললো আমি একবার আয়ান ভাইয়া থেকে জিজ্ঞেস করে নিই তারপর তোমাকে জানাবো।এই বলে সে ফোনটা হাতে নিয়ে বেলকনিতে চলে গেল। সেখানে গিয়ে আয়ানকে ফোন দিলো।সে রিসিভ করলে তাকে সব খুলে বললো।অরুনিমার কথায় আয়ানের রাগ হচ্ছে। তবু ভদ্রতা বজায় রাখতে তরীকেও সাথে আনতে বললো সে। অরুনিমা ফোন কেটে দিয়ে রুমে এসে তরীকে বললো:তুমি কি ফ্রি আছো এখন?
_হুম আমি একদম ফ্রি।
_আচ্ছা রেডি হয়ে নাও।
তরী বেশ খুশি হয়েছে। লাফিয়ে উঠে সে অরুনিমাকে জড়িয়ে ধরলো। দৌড়ে চলে গেল রেডি হতে‌।

অরুনিমা আর তরী দুজনেই রেডি হয়ে আয়ানের জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু সে ফোন দিচ্ছে না।প্রায় ঘন্টাখানেক হয়ে গেল তারা রেডি হয়ে বসে আছে। কিন্তু আয়ান আসছে না। অরুনিমা বারবার ফোনের দিকে তাকাচ্ছে কিন্তু আয়ানের ফোন পাচ্ছে না।শেষ পর্যন্ত অরুনিমা নিজেই ফোন দিলো আয়ানকে। কিন্তু অরুনিমার ফোন‌ও সে রিসিভ করলো না। অরুনিমা ভাবছে:কি হয়েছে আয়ানের?সে কি তরী যাওয়ার কারণে আর রাগ করে আসছে না?

চলবে…..