রিক্ত শহরে আমার তুমি পর্ব-০৫

0
104

#রিক্ত_শহরে_আমার_তুমি
ফাহমিদা তানিশা
পর্ব ০৫

হুট করে সে দেখলো তার শার্টে রক্ত যা অনেকটা
শুকিয়ে গেছে। অরুনিমাকে কোলে নিয়েছিল তখন
তার মাথা থেকে রক্ত লেগেছে।সে কিছুক্ষণ রক্তের
দিকে তাকিয়ে থাকলো। তারপর কি ভেবে ইমন বলে
হাঁক ছাড়লো।

ইমন দ্রুত এসেছে এএসপি আয়ানের ডাক শুনে। আমাদের ফরেনসিক বিভাগের অধ্যাপক জনাব রহমান সাহেবকে বলুন হাসপাতালে আসার জন্য। একজন স্পেশাল প্যাশেন্ট আছে তাকে এক্সট্রা কেয়ার করতে হবে। ইমন একটু অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো:স্যার, স্পেশাল প্যাশেন্ট কে?
_মিস অরুনিমা। দেখছেন তো তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাহলে তো তার জন্য একজন ভালো ডক্টর প্রয়োজন।আর থানায় যখন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তাই তার সকল দায়িত্ব এখন আমাদের।
_ওকে স্যার ফোন করছি।
ইমন ফোন হাতে নিয়ে এক পাশে নিরিবিলি পরিবেশে গেলো।আর এদিকে এএসপি সাহেব রুমে পায়চারি করছেন। হঠাৎ ডাক্তার ইমারজেন্সি রুম থেকে বের হলো। এএসপি আয়ান দ্রুত তার কাছে গেলেন।
_কি অবস্থা উনার?
_স্যার অনেকটা বেটার আগের চেয়ে। মাথায় আঘাত পাওয়ায় একটু সময় লাগবে সুস্থ হতে। তাছাড়া খাওয়া দাওয়া ঠিক মতো না করায় তিনি অনেকটা দূর্বল বলে জ্ঞান ফিরতে একটু সময় লাগবে। চিন্তার কোনো কারণ নেই। জ্ঞান ফিরলে আমরা উনাকে কেবিনে শিফট করবো।
_ওকে,থ্যাংকস ডক্টর।
ডক্টর মুচকি হেঁসে প্রস্থান করলো।

একটু পর এএসপি আয়ান আবার ইমনকে ডাক দিলো।ইমন আবারো দৌড়ে আসলো।
_স্যার কিছু বলবেন?
_উনার জন্য কিছু ফলমূল আর জুস নিয়ে আসুন।দুজন মহিলা পুলিশকে সাথে থাকতে বলুন।

এমন সময় এএসপি আয়ানের ফোন আসে।সে কিছুটা বিরক্ত হয়ে ফোনটা রিসিভ করে।রাগে কপাল কুঁচকে আছে তার। ইচ্ছে করছে কয়েক দফা গালি দিতে।তবু নিজেকে কন্ট্রোল করলো সে। রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে মেয়েলি কণ্ঠ ভেসে আসে।
_কোথায় তুমি?
_জাহান্নামে। তুমি আসবে?
_আরে না না।আমি ওখানে গিয়ে কি করবো? তুমি বরং দ্রুত চলে আসো জাহান্নাম থেকে বাসায়।আমি আর আম্মু আব্বু আগামী কাল র‌ওনা হচ্ছি।
এএসপি আয়ান অনেকটা মুখ ফসকে বলে ফেললো:এতো তাড়াতাড়ি?
_আরে আমার খালাতো ভাইয়ের বিয়ে বলে কথা!এক সপ্তাহ আগে না গেলে চলে নাকি?
_ওকে আসিও। আমার বাপের কি? আমাকে পাচ্ছে কে!
_কেন তুমি আসবে না? আমার শাড়ি চয়েস করে দিবে কে?
_যার বিয়ে তারে বলো শাড়ি ঠিক করে দিতে। আমি অনেক ব্যস্ত আছি। বিরক্ত করো না। ফোন রাখছি।
_সারাদিন তো ব্যস্ত থাকো। এভাবে কি জীবন শেষ করে দিবে? একটু প্রেম ট্রেম করতে হয়। তাহলে রিল্যাক্সড থাকবে।
_ওকে করবো শীঘ্রই।

মেয়েটা কিছু বলতে যাওয়ার আগেই ফোন কেটে দিলো এএসপি আয়ান।ইমন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সব কথা শুনছিল এতোক্ষণ। এএসপি আয়ান ফোন কেটে দেওয়ার পর সে বললো:স্যার, আপনি বাড়ি কবে যাবেন?
_আগে কেসটা সলভ করি তারপর যাবো।দেখা যাক। তোমার এসব লাগবে না।কাজে মন দাও।বাই দ্যা ওয়ে তোমাকে নিয়ে যাবো।রেডি থাকিও।
_ওকে স্যার।স্যার আরেকটা কথা বলা হয়নি।
_কি কথা?
_ অরুনিমা ম্যাডামের কলিগ তরী আমাকে ফোন দিয়েছিল।উনার কি অবস্থা জানতে চেয়েছিলেন।আর জিজ্ঞেস করলেন কোন হাসপাতালে আছেন।
_কি জবাব দিলে?
_বলেছি সিটি হাসপাতালে ইমারজেন্সিতে আছে। অবস্থা মুটামুটি আগের চেয়ে ভালো।
_গুড বয়। খুব ভালো কাজ করেছো। তোমাকে কতো বোঝাবো আর আমাকে বলো তো?
_কি হয়েছে স্যার?
_দেখতেই তো পেলে মিস তরী অরুনিমার পেছনে লেগে আছে। নিশ্চয়ই দেখতে পেরে খবর নিচ্ছে না।কোনো সমস্যা করতে চাইছে সে। আমার আসলে এখন এই তরীকেই সন্দেহ হচ্ছে।
_স্যার আমি ভেবেছি অরুনিমা ম্যাডামকে দেখতে আসার জন্য জিজ্ঞেস করছে।
_তুমি তো সবসময় উল্টা ভাবো।এটা তোমার অভ্যাসগত কর্ম।যাই হোক পুলিশ ফোর্স রাখো।আর তুমি এখানে থাকবে।কোনো প্রয়োজনে আমাকে ফোন দিবে।রাত প্রায় একটা বেজেছে। আমি এখন আসি।
_ওকে স্যার।

ইমন এএসপি আয়ানকে স্যালুট জানালো আর এএসপি আয়ান গাড়িতে উঠে চলে গেলো। বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে লান্স করে ঘুমিয়ে পড়লো।

রাত প্রায় চারটা ছুঁই ছুঁই। হঠাৎ ফোনের বিকট শব্দে আয়ানের ঘুম ভেঙে যায়। ফোনের স্ক্রিনে ভেসে উঠছে ইমনের নাম। নামটা দেখে অনেকটা ধড়পড়িয়ে ওঠে সে।কোনো এক অজানা আশঙ্কায় হাত -পা কাঁপছে তার। সাথে হৃদস্পন্দন উঠানামা করছে।এরি মাঝে ফোনের লাইন কেটে গেলো। আয়ান ব্যাক করতে যাবে তখনি ইমন আবার ফোন করে। আয়ান সাথে সাথে রিসিভ করে।
_হ্যালো
_স্যার ঘুমাচ্ছেন? এখানে একটা অঘটন হয়েছে।
_কি হয়েছে আবার?
_স্যার কেউ একজন অরুনিমা ম্যাডামের অক্সিজেন মাস্ক খুলে দিয়েছে।
_কি বলছো এসব? কোথায় ছিলে তোমরা? এতোটা দায়িত্ব-জ্ঞানহীন কেন তোমরা?
এএসপি আরদিদ আয়ান অনেকটা চিল্লিয়ে বলছে কথাগুলো।রাগে তার মাথা ফেটে যাচ্ছে। ইমন একটু ভয় পেয়ে ছোট গলায় বললো:স্যার আমাদের টিম দরজায় ছিল। ডাক্তার আর নার্স ছাড়া কেউ রুমে প্রবেশ করেনি। সত্যি বলছি স্যার। আমাদের বিশ্বাস করুন।
_এখন কি অবস্থা অরুনিমার?
_স্যার পালস রেট কমে গেছে অনেক।
_ডক্টর রহমানকে ডাকো দ্রুত।যেন ট্রিটমেন্টের কোনো কমতি না হয় তার।আমি আসছি।

এই বলে ফোন কেটে দিলো এএসপি আয়ান। তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে গেল। এইবার আর ড্রাইভারকে ডাকলো না সে।নিজেই গাড়ি ড্রাইভ করে যাত্রা শুরু করলো হাসপাতালের উদ্দেশ্যে। ড্রাইভ করতে করতে সে ভাবছে কেসটা আসলে জটিল হয়ে যাচ্ছে। যাকে আসামি সন্দেহে এতো জিজ্ঞাসাবাদ করলো সে নিজেই এখন ভিকটিম। তাহলে নিশ্চয় খুনি অন্য কেউ? অরুনিমা নির্দোষ আর সহজ-সরল মেয়ে কিন্তু কেউ তার সরলতার সুযোগ নিয়ে এসব জঘন্য কাজ করছে।আর কষ্ট পাচ্ছে নির্দোষ মেয়েটা।আসলে এএসপি আয়ান নিজেই জানতো না অরুনিমার হাঁপানির টান আছে। হয়তো তখন একটু রেস্ট নেওয়ার জন্য স্পেস দিতো।তার একটু ভুল সিদ্ধান্তে মেয়েটা আজ হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছে। নিজের উপর নিজেরই রাগ হচ্ছে এএসপি আয়ানের। অরুনিমার এলাকায় পুলিশের একটা টিম তদন্ত করছে। সকালে রিপোর্ট দিবে তারা।এর আগ পর্যন্ত চুপচাপ থাকাটা এএসপি আয়ানের জন্য শ্রেয়।

এসব ভাবতে ভাবতে এএসপি আয়ান হাসপাতালে এসে পৌঁছালো। ইমন আর অন্য পুলিশ সদস্যরা অরুনিমার কেবিনের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। এএসপি আয়ান আসতেই সবাই দাঁড়িয়ে স্যালুট জানালো।
_কি হয়েছে?অরুনিমার এখন কি অবস্থা?
_অনেকটা ভালো স্যার।
_জ্ঞান ফিরেছে উনার?
_জি স্যার ফিরেছে।
_কেবিনের ভেতর কারা আছেন?
_সারা আপু আর রুবিনা আপু।
_আমি ভেতরে যেতে পারবো কিনা জিজ্ঞেস করো।ইমন তুমি গিয়ে হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজটা নিয়ে আসো।সেই সাথে তরীর ফোন রেকর্ড বের করে আমাকে দিবে।
ইমন ওকে স্যার বলে চলে গেল সিসিটিভি ফুটেজ আনতে। আরেকজন কেবিনের ভিতরে গিয়ে খোঁজ নিয়ে আসলো।
_স্যার আপনি যেতে পারেন তবে অরুনিমা ম্যাম ঘুমাচ্ছেন।
_তাহলে আমি গিয়ে কি করবো আর।তোমরা কয়েকজন আমার সাথে আসো এখন।কলেজ ক্যাম্পাসে যাবো তার আগে কলেজের অধ্যক্ষের বাসায় যাবো। অধ্যক্ষ সাহেবকে ফোন দিলাম। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি।কয়েকজন এখানে থাকো।অরুনিমার জ্ঞান ফিরলে আমাকে জানাবে।
সবাই ওকে স্যার বলে আয়ানের কথামতো ব্যস্ত হয়ে পড়লো।

এএসপি আয়ান দুজন কর্মী নিয়ে অধ্যক্ষের বাড়ি গেলেন।অধ্যক্ষ স্যার এখনো ঘুমাচ্ছেন। কিন্তু এএসপি আয়ানের সময় কম।তার দ্রুত কেসটা সলভ করতে হবে আর বাড়ি যেতে হবে।তার চেয়েও বড়ো কথা অরুনিমাকে এই মামলা থেকে মুক্তি দিতে হবে। সমাজের চোখে সে আজ বড়ো অপরাধী ।আর অরুনিমার চোখে এএসপি আয়ান বড়ো অপরাধী।না চাইতেও সে দোষ করে ফেলেছে নির্দোষকে শান্তি দিয়ে।

অধ্যক্ষ স্যার ঘুম থেকে উঠে আসলেন।সালাম দিয়ে বললেন:কি অবস্থা মামলার?
_আমি আপনার বাসায় আসার পর খবর নিচ্ছেন? আপনার কলেজে এতো বড় একটা ঘটনা ঘটলো আর আপনি নাক ডেকে ডেকে ঘুমাচ্ছেন।এখন আমাকে জিজ্ঞেস করছেন মামলার কি অবস্থা। বাহ্ আপনি খুব দায়িত্ববান মানুষ। আপনাকে কতোবার ফোন দিয়েছি আমি?
_আসলে স্যার আমি রাতে ঘুমাতে পারিনি।অরুনিমার বাবা বারবার ফোন দিয়ে বিরক্ত করছিল। অরুনিমা নাকি ফোন রিসিভ করছে না তাই তারা আমাকে বিরক্ত করছে। শেষমেষ ফোনটা সাইলেন্ট করে ঘুমিয়ে পড়েছি।

অধ্যক্ষের কথাগুলো শুনে এএসপি আয়ানের মেজাজ চরম পর্যায়ে খারাপ হয়ে গেল। শান্ত গলায় বললো তবু: আপনার মেয়ে আছে?
_জি স্যার আছে।
_সে কোনো বড় বিপদে পড়লে কি করেন? ফোন সাইলেন্ট করে ঘুমিয়ে পড়েন নাকি একটু খোঁজ খবর নেন?
_স্যার আমার মেয়ে বিপদে পড়লে কি আমি খোঁজ খবর নিবো না?তা কি করে হয়।
_তাহলে এখন বুঝুন। অরুনিমা একা একজন মেয়ে এই শহরে আছে।তার কোনো আত্মীয়-স্বজন এই শহরে নেই।তার মধ্যে সে একটা জটিল কেসে ফেঁসে যাচ্ছে। মা-বাবার টেনশন হ‌ওয়াকা স্বাভাবিক নয় কি? আপনি কলেজের অধ্যক্ষ বলে আপনাকে ফোন দিয়ে জানতে চেয়েছে।আর আপনি তার ফোনটা রিসিভ না করার জন্য সাইলেন্ট করে দিলেন।
_স্যার আমি বলেছি অরুনিমা থানায় আছে তবু তারা বারবার ফোন দিচ্ছিল।তাই বাধ্য হয়ে করেছি এমন।
_অরুনিমা থানায় নয় হাসপাতালে।
_কি বলছেন স্যার?কি হয়েছে অরুনিমার?
_সেটা আপনি জেনে নিয়েন। এখন আপাতত আপনার কলেজের সকল শিক্ষকদের পার্সোনাল ফাইল এবং লকারগুলোর চাবি আমাদের দিয়ে যান। আমরা চেক করতে চাই।
_স্যার সবারটা কেন?অরুনিমারটা দিলে তো হয়?
_না সবারটা দিবেন।সেই সাথে আপনারটাও দিবেন ‌।সেই কথা আবার কাউকে বলবেন না। কথা এবং কাজের হেরফের যেন না হয় সেটা মাথায় রাখবেন।
_স্যার কোনো জটিল কিছু পেলেন নাকি?
_জটিল কিছু পায়নি বলেই শুরু থেকে নতুন করে শুরু করবো।আস্তে আস্তে পেয়ে যাবো। অপেক্ষা করুন।

হঠাৎ আয়ানের ফোন আসলো। ইন্সপেক্টর রাফিদ ফোন করেছে। আয়ান রিসিভ করতেই সে বললো:
_স্যার একটু থানায় আসতে হচ্ছে। একজন আপনার সাথে দেখা করতে চাই।
_ওকে আমি আসছি।

আয়ান ফোন কেটে দিয়ে অধ্যক্ষের উদ্দেশ্যে বললো: আপনি রেডি হয়ে ক্যাম্পাসে আসুন। আমার থানায় একটু কাজ আছে।আমি কাজ সেরে ক্যাম্পাসে আসবো।ফাইল সব রেডি রাখবেন। কাউকে কিছু বলবেন না।
_ওকে স্যার।
আয়ান বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো। দ্রুত পায়ে হেঁটে গাড়িতে বসলো সে। গন্তব্য তার থানার দিকে। হাসপাতালে একটা ফোন দিয়ে অরুনিমার অবস্থা জেনে নেওয়া প্রয়োজন ।এই ভেবে সে ফোন দিলো ইমনকে। কয়েকবার রিং হতে রিসিভ করলো ইমন।
_স্যার বলুন।
_কোথায় আছো?
_হাসপাতালে আছি স্যার।
_অরুনিমার কি অবস্থা এখন?
_স্যার সুস্থ আছেন অনেকটা।
_সিসিটিভি ফুটেজ নিয়েছো?
_জি স্যার।
_আমাকে সেন্ড করে দাও ভিডিওটা।
_ওকে স্যার।

ভোরের আলো ফুটেছে কিছুক্ষণ হলো।আবছা আবছা রোদ উঠছে।খালি রাস্তা বলে গাড়ি থানায় এসে পৌঁছাতে বেশি সময় লাগেনি। এএসপি আয়ান গাড়ি থেকে এসে তার রুমে গিয়ে গিয়ে বসলো। একজন কর্মীকে ইন্সপেক্টর রাফিদের রুমে পাঠালো।সে বলেছি কেউ তার সাথে দেখা করতে এসেছেন। এএসপি আয়ান ভাবছে কে হতে পারে এতো সকাল সকাল তার সাথে দেখা করতে আসবে । হঠাৎ তার চোখ পড়লো অরুনিমা যেদিকে বসে ছিল সেদিকে।অরুনিমার ব্যাগ আর মোবাইল সেখানে পড়ে আছে এখনো।কেউ নিয়ে যাওয়ার মতো নেই এই রুম থেকে। এএসপি আয়ান উঠে এসে মোবাইলটা আর ব্যাগটা হাতে নিলো।ব্যাগটা টেবিলের উপর রাখলো।আর মোবাইলটা হাতে নিলো। স্ক্রিনে দেখা যায় ৪৭টা মিসড কল লিখা আছে। বাড়ি থেকে ফোন করেছে কিন্তু কেউ রিসিভ করেনি। হয়তো তারা অনেক চিন্তিত হয়ে আছে।তখনি রাফিদ আসলো।তার সাথে একজন মাঝ বয়সী মানুষ।
_স্যার আসতে পারি?
আয়ান লোকটাকে দেখে একটু অবাক হলো। কোথায় যেন তাকে দেখেছে কিন্তু মনে করতে পারছে না সে।

চলবে…