#_লাল_নীল_সংসার_
#_মারিয়া_রশিদ_
#_পর্ব_১১_
শিশির অফিসের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেছে। সকাল বেলা ঘুম থেকে সব সময় একটু তাড়াহুড়োর মাঝে থাকতে হয় তাকে। কেননা, অফিসে লেট হলে চাকরি চলে যেতে পারে। আর এই চাকরি টাহ চলে গেলে তার পরিবার পানিতে ভেসে যাবে। বাস আসতেই শিশির বাসে উঠে যায়। একটা জানালার পাশে বসেছে সে। বাইরে টাহ দেখছে। হঠাৎ মনে পড়লো ছোয়ার আইডি রিকোয়েস্টের কথায়। তাড়াতাড়ি ফোন ওপেন করে ডাটা অন করে শিশির।
থম ধরে বসে আছে শিশির। চমকে তাকিয়ে আছে ফোনের দিকে। অনেক আনন্দও লাগছে। ছোয়া তার রিকোয়েস্ট এক্সেপ্ট করেছে। কেমন খুশি খুশি লাগছে শিশিরের। শিশির ছোয়ার আইডির ভেতর গিয়ে ফটো অপশনে যায়। ছোয়া নিজের প্রোফাইল পিকচার ছাড়া আর কোনো ফটো নাই। ফটোটাহ সেভ করে নেয় শিশির। কেন করলো নিজেও জানে নাহ। কিন্তু, ইচ্ছে করলো তাই করেছে। ভালোভাবে ফটো টাহ দেখতে থাকে।
অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে ছোয়াকে। সবুজ শাড়িতে আচ্ছাদিত পাশেই সূর্যমূখী ফুল থাকায় ছোয়ার শাড়ি আরও ফুটে উঠেছে। চোখে কাজল আর ঠোঁট হালকা লিপস্টিক ছাড়া কিছুই দেওয়া নেই হয়তো মেয়েটার। হালকা হাসি হাসি মুখ করে আছে ছোয়া। ছোয়ার ফটো দেখতে দেখতে শিশিরের ওষ্ঠেও হাসি ফুটে উঠে, হয়তো নিজের অজান্তেই।
শিশির একধ্যানে তাকিয়ে আছে ছোয়ার ফটোর দিকে। হঠাৎ কন্ডাকটরের আওয়াজে ধ্যান ভাঙে শিশিরের। তারপর বাইরে তাকিয়ে দেখে তার গন্তব্য স্থলে চলে এসেছে। কিভাবে সময় কেটে গেল টেরই পেলো নাহ শিশির। এ কোন মায়ায় জড়িয়ে যাচ্ছে সে? কি করছে সে এইসব? সব সময় এগুলো থেকে নিজেকে দুরেই রেখেছে। কিন্তু, এই মেয়েটার সাথে দেখা হওয়ার পর যেন সব এলোমেলো হয়ে গেছে। সে জানে নাহ কি করছে, কিন্তু সে নিজেকে সামলাতে পারছে নাহ। কন্ডাক্টরের আওয়াজ আবার কানে আসতেই ফোন অফ করে বাস থেকে নেমে যায় শিশির। তারপর অফিসের উদ্দেশ্যে হাঁটা শুরু করে।
★
আদনান রাস্তার পাশে একটা টং দোকানে বসে বসে চা খাচ্ছে। দিনকাল ভালো যাচ্ছে নাহ তার। সেইদিন স্নেহার সাথে কথা হওয়ার পর আর কথা হয় নি তার। আদনানের মন মানছে নাহ। জোর করে শুধু পড়া টাহ চালিয়ে যাচ্ছে। কিছু ভালো লাগছে নাহ তার।
আদনান তার ফোন টাহ বের করে কল লগে গিয়ে স্নেহার নাম্বারের দিকে তাকিয়ে থাকে কিছু সময়। তারপর আবার ফোন অফ করে। আবার ফোন অন করে স্নেহাকে কল দিতে গিয়েও দেয় নাহ। আবার ফোন অফ করে পকেটে রেখে দেয় আদনান।
এমন সময় ফোন বেজে উঠে আদনানের। আদনান তাড়াতাড়ি ফোন টাহ সামনে এনে দেখে রিয়াদ ফোন দিছে। রিয়াদের কল দেখে কিছুটাহ বিরক্ত হয় আদনান। সে তো অন্য একজন মানুষের ফোন কলের আশায় বসে ছিলো। ফোন কেটে দিতে গিয়েও আবার কি মনে করে রিসিভ করে। তারপর বলে ওঠে,
–” হ্যা! রিয়াদ বল।”
ফোনের ওপাশ থেকে রিয়াদ বলে ওঠে,
–” কই তুই?”
–” এইতো একটা টিউশনিতে যাবো।”
–” ওহ! বিকালে ফ্রি আছিস?”
–” কেন?”
–” আর বলিস নাহ, সবাই পড়তে পড়তে বোরিং হয়ে গেছে। একটু কিছু সময় আড্ডা দিতাম।”
আদনানের এইসব কিছু এখন ভালো লাগছে নাহ। অন্য সময় হলে হয়তো রাজি হয়ে যেতো। কিন্তু, এখন এইসব কিছুই যেন তার ভালো লাগছে নাহ। ওপাশ থেকে রিয়াদ আবার বলে ওঠে,
–” কি হলো কথা বলছিস নাহ কেন?”
–” আসলে রিয়াদ, কয়েকদিন পর সাঝের এক্সাম ওকেও পড়া দেখিয়ে দিচ্ছি একটু। আর নিজেকেও পড়তে হচ্ছে। আমার হয়ে উঠবে নাহ।”
–” একটুও কি সময় হবে নাহ?”
–” নাহ রে! হলে কি আর যেতাম নাহ বল?”
রিয়াদ কিছুটা হতাশ সুরে বলে ওঠে,
–” ওকে! নাহ, পারলে আর কি করার? আচ্ছা! টিউশনিতে যা তুই।”
–” হুম! বাই।”
–” হুম!”
আদনান কল কেটে দেয়। ফোন টাহ পকেটে রেখে চারিদিকে চোখ বুলিয়ে নেয় একবার। বড্ড বিরক্ত হয়ে আছে মন টাহ। তারপর টিউশনি করার উদ্দেশ্যে হাটা শুরু করে।
★
স্নেহা বই হাতে বিছানার উপর বসে আছে। কিন্তু, পড়ায় মন বসছে নাহ। বসবে কিভাবে? মন যে পড়ে আছে আদনানের কাছে। আদনান যে কষ্ট পেয়ে তাকে এভোয়েড করছে। কিন্তু, এতে তার দোষ টাহ কোথায়? এইটা কি আদননান বুঝছে নাহ?
এমন সময় সাইফ ( স্নেহার বড় ভাই ) স্নেহার রুমে আসে। সাইফ স্নেহার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে। কি হয়েছে তার বোনের? কয়েকদিন ধরেই দেখছে মেয়েটাহ সব সময় কেমন চুপচাপ মন মরা হয়ে থাকে। সাইফের এই ব্যাপার টাহ ভালো লাগে নাহ।
সাইফ ছোটবেলা থেকেই স্নেহাকে খুব আগলে আগলে রাখে। মায়ের বকুনি নিজে খেয়েছে কিন্তু, ছোট বোন কে কখনো বকা খেতে দেয় নি। নিজের হাতে বড় করেছে নিজের বোন কে। একটা ফুলের টোকাও গায়ে পড়তে দেয় নি সাইফ। স্নেহার জ্বর হলে সাইফ সারা রাত বসে বসে বোনের সেবা করেছে, তার উপর রাগ করলে যতো সময় বোনের রাগ নাহ ভাঙছে ততো সময় পেছন পেছন ঘুরেছে, নিজ হাতে খাইয়ে দিয়েছে, বোনের পড়া শেষ নাহ হওয়া পর্যন্ত ঘুমন্ত চোখ নিয়ে পাশে বসে থেকেছে, যখন যেই আবদার রেখেছে তখন সেইটা পুরন করেছে, কিন্তু, সেই বোনের এমন মন মরা রুপ দেখতে কিভাবে ভালো লাগবে তার?
সাইফ এক দৃষ্টিতে স্নেহার দিকে তাকিয়ে আছে। স্নেহা এতোটাই অন্যমনস্ক হয়ে আছে যে সাইফ যে তার রুমে এসেছে এইটাও টের পায় নি। স্নেহা এক দৃষ্টিতে বন্ধ বইয়ের মলাটের দিকে তাকিয়ে আছে। সাইফ বোনের কাছে এগিয়ে এসে বলে ওঠে,
–” বোন!”
সাইফের ডাকে ধ্যান ভাঙে স্নেহার। স্নেহা সাইফের দিকে তাকিয়ে দেখে সাইফ তার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে। স্নেহা মলিন হেসে বলে ওঠে,
–” ভাইয়ু তুই? অফিস থেকে এতো তাড়াতাড়ি চলে এলি যে?”
সাইফ স্নেহার সামনে বসে বলে ওঠে,
–” আজ অফিসে চাপ কম তাই চলে এলাম।”
–” ওহ! ভালো করেছিস।”
সাইফ সরু দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে ওঠে,
–” তোর কি হয়েছে বোন?”
সাইফের কথায় আদনানের মুখ টাহ আবার ভেসে উঠে স্নেহার সামনে। তাও স্নেহা নিজেকে সামলিয়ে বলে ওঠে,
–” আমার? কই? কিছু না তো।”
সাইফ স্নেহার দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বলে ওঠে,
–” তাহলে সব সময় এমন অন্যমনস্ক হয়ে থাকিস কেন? তুই এতোটাই অন্যমনস্ক হয়ে থাকিস যে, তোর রুমে আমি এসেছি, এইটাও তুই টেরই পাস নি।”
স্নেহা কিছু নাহ বলে মাথা নিচু করে চুপচাপ হয়ে থাকে। সাইফ স্নেহার মাথায় হাত দিয়ে বলে ওঠে,
–” বোন! লক্ষিটি! বল নাহ কি হয়েছে তোর? তুই কেন বুঝছিস নাহ, তোর মন খারাপ থাকলে, তুই মন মরা হয়ে থাকলে, তোর মন খারাপ দেখলে আমার কষ্ট হয়। তুই জানিস নাহ? তোর ভাই তোকে কতটা ভালোবাসে। বল, জানিস নাহ?”
স্নেহা ছলছল চোখে সাইফের দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে,
–” ভাইয়ু কি বলছিস তুই এইসব? আমি তো জানি আমার ভাইয়ু দুনিয়ার সব থেকে বেস্ট ভাইয়ু! প্লিজ ভাইয়ু, তুই এমন ভাবে বলিস নাহ। সত্যি বলছি, আমার কিছু হয় নি।”
–” তাহলে এমন হয়ে আছিস কেন?”
–” আসলে ভাইয়ু, সামনে ফাইনাল এক্সাম কিন্তু আমার প্রিপারেশন একদমই ভালো নাহ। তাই…”
সাইফ স্নেহার মাথায় হাত বুলিয়ে বলে ওঠে,
–” ধুর পাগলী! তুই এই নিয়ে চিন্তা করছিস? তোকে এই নিয়ে এতো চিন্তা করতে হবে নাহ। যা হবে হোক, শুধু তোর মুখে হাসি দেখতে চাই আমি, বুঝেছিস?”
স্নেহা সম্মতিসূচক মাথা নাড়ে। সাইফ মুচকি হেসে স্নেহার কপালে একটা ভালোবাসার পরশ একে দিয়ে বলে ওঠে,
–” বইয়ের মলাটের দিকে নাহ তাকিয়ে থেকে পড়, দেখবি সব পড়া কমপ্লিট হয়ে যাবে।”
স্নেহা মুচকি হেসে আবার মাথা নাড়ায়। সাইফও মুচকি হেসে বলে ওঠে,
–” তাহলে তুই পড়, আমি গেলাম। অফিসের কিছু কাজ করবো।”
–” ঠিক আছে!”
সাইফ চলে যায়। স্নেহা সাইফের চলে যাওয়ার দিকে ছলছল চোখে তাকিয়ে মনে মনে বলে ওঠে,
–” আই এ্যাম সরি ভাইয়ু! আমি এই প্রথম তোকে একটা মিথ্যা কথা বললাম। কিন্তু, কি করতাম? কিভাবে বলতাম আদনানের কথা? মায়ের ব্যবহারের কথা? আমাকে মাফ করে দিস ভাইয়ু!”
★
শিশির মাত্র রাতের খাবার খেয়ে বিছানায় আধশোয়া হয়। তারপর ফেসবুকে লগ ইন করে দেখে ছোয়া এক্টিভ। শিশির ভাবতে থাকে ছোয়াকে ম্যাসেজ পাঠাবে কি নাহ। সে কি ছোয়া কে ম্যাসেজ পাঠালে ছোয়া কি রাগ করবে তার উপর?
শিশির আড়চোখে আদনানের দিকে তাকায়। আদনান পড়ছে। আজকাল ছেলে টাহ কে ভালো দেখায় নাহ। কেমন যেন মনমরা হয়ে থাকে। কি হয়েছে ছেলেটার? শিশির কয়েকবার জিজ্ঞেস করেছে, আদনান জানিয়েছে পরীক্ষা নিয়ে চিন্তিত। শিশির মেনে নিয়েছে, কেননা এইটা স্বাভাবিক। পরীক্ষা নিয়ে সবারই চিন্তা হয়। কিন্তু, শিশির আদনানকে মানসিক শক্তি দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
শিশির আবার ফোনের দিকে তাকায়। আজকাল মন টাহ বড্ড বেহাইয়া হয়ে গেছে, কোনো কথা শুনতে চাচ্ছে নাহ। নিজেকে কতো করে বোঝাচ্ছে সে যে, ছোয়ার থেকে দুরে দুরে থাকতে হবে, তার প্রতি নিজেকে বেশি দূর্বল করা যাবে নাহ, আলাদা তৈরি অনুভূতি কে প্রোশ্রয় দেওয়া যাবে নাহ। কিন্তু, কোথায় কি? উল্টো ছোয়াকে দেখে কথা বলতে এগিয়ে গেলো, ছোয়ার আইডিতে রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে দিলো। আর এখন মন কি চাচ্ছে? এখন আবার মন টাহ চাচ্ছে ছোয়াকে ম্যাসেজ দিতে। এ কেমন হয়ে যাচ্ছে সে? নিজেই যেন নিজেকে বুঝতে পারছে নাহ সে। অবশেষে সব মনোভাব বাদ দিয়ে ম্যাসেজ দিয়েই ফেললো শিশির।
শিশির = Assalamualaykum….
এইদিকে….
ছোয়া ফেসবুক স্ক্রল করছে। এমন সময় সামনে ম্যাসেনজার আইকন থেকে আসা একটা ম্যাসেজ দেখে স্থির হয়ে যায়। শিশির তাকে ম্যাসেজ পাঠিয়েছে। কি করবে সে? সিন করবে? নাকি করবে নাহ? ছোয়ার হাত কাপছে। ছোয়া একভাবে ছোট্ট গোলাকার শিশিরের আইডির দিকে তাকিয়ে আছে।
যেদিন থেকে শিশির তার ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টে এসেছে, সেইদিন থেকে মন টাহ চাচ্ছে শিশিরকে একটা ম্যাসেজ দিতে। কিন্তু, নিজের অতীতের ভয়ে দুরে রেখেছে সমস্ত ইচ্ছে কে। আজ তো শিশির নিজে ম্যাসেজ পাঠিয়েছে, আজ কি করবে সে?
ছোয়ার বুকের ভেতরটাহ বড্ড ধুকপুক করছে। মনে হচ্ছে সাগরের উথাল-পাথাল ঢেউ মনে হয় তার বুকের মাঝে বয়ে যাচ্ছে। এ কেমন অনুভূতি? একটা ছোট্ট ম্যাসেজও এমন অস্থিরতা বয়ে আনতে পারে? যদি তাই হয়, তাহলে সেইটা ছোয়ার জানা ছিলো নাহ।
ওপেন করেই ফেলে ম্যাসেজ টাহ। ম্যাসেজ সিন করে দেখে শিশির তাকে সালাম জানিয়েছে। ছোয়া রিপলাই করে।
ছোয়া = Walaykum assalam!
ছোয়ার রিপ্লাই পেয়ে শিশিরের ওষ্ঠে হাসি ফুটে উঠে।
শিশির = Kmn achen???
ছোয়া = Alhamdulillah valo…apni??
শিশির = Alhamdulillah…..ki koren??
ছোয়া = Kichu nah….Apni???
শিশির = Shuye achi…choto vai porche…tai dekhchi…..
ছোয়া = Oh….apnar choto vai er name jno ki? Ami vule gechi….
শিশির = Adnan…..
এইভাবে বেশ অনেক সময়ই কথা চলতে থাকে তাদের। আদনান পড়া শেষ করে পাশে এসে উল্টো দিকে ফিরে শুয়ে পড়ে। শিশির একবার আদনানকে দেখে আবার ফোনের দিকে তাকায়।
ছোয়া = Ghumaben nah??
শিশির = Ji…ghumate hbe…shokale office ache…
ছোয়া = Tahole ghumiye poren…amio ghumay…shokale varsity te jete hbe…
শিশির = Hmmm…ghuman tahole…
ছোয়া = Hmm..Allah hafiz…
শিশির = Allah hafiz…..
ছোয়া অফলাইন হয়ে যায়। শিশির কিছু সময় ম্যাসেজের দিকে তাকিয়ে ডাটা অফ করে দেয়। কোলবালিশ জড়িয়ে ধরে মুচকি হেসে ঘুমানোর চেষ্টা করে। আর সাথে সাথেই চোখের সামনে ভেসে উঠে ছোয়ার মায়া ভরা মুখ। চোখ খুলে নাহ শিশির। চোখ খুললেই যে, মায়াবী মুখ টাহ সরে যাবে। সেইভাবেই ঘুমিয়ে যায় শিশির।
এইদিকে….
ফোন পাশে রেখে উঠে বসে ছোয়া। কিছু সময়ের জন্য ভুলে গিয়েছিলো তার অতীত, হারিয়ে গিয়েছিলো এক সপ্নীল দুনিয়ায়। তাহলে, সেকি শিশিরের মায়ায় জড়িয়ে যাচ্ছে? কিন্তু, সে যে এই মায়ায় জড়াতে চাই নাহ। শিশিরকে নিয়ে বুনতে চাই নাহ নীল আকাশের রংধনু। কারন, তার নীল আকাশে তিন বছর আগেই কালো মেঘে ছেয়ে গেছে। বালিশে মুখ গুজে কান্না করতে থাকে ছোয়া।
#_চলবে………..🌹
{{ ভুল, ত্রুটি সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন বলে জানা করি!!! 😇 }}