#লেবু
৮
লেখা : অতন্দ্রিলা আইচ
অরুণ আর শামা নিজেদের মধ্যে আড্ডা দিচ্ছে। সেই আড্ডা থেকে নিজেকে সরিয়ে বসার ঘরে চুপচাপ বসে আছে সাবা। আজ থেকে কয়েক বছর আগে এই দৃশ্যটা দেখলে যে কারোরই মনে হতো নেহায়েত স্বপ্নদৃশ্য। আড্ডাপাগল সাবা কিনা আড্ডা থেকে সরে আছে।
সাবার মাথা একেবারেই কাজ করছে না এ মুহূর্তে। কেউ যে তার ক্ষতি করার জন্যে এতটা ব্যস্ত হয়ে উঠতে পারে কে জানত? সাবা তো অসাধারণ কেউ নয়। নিতান্ত সাধারণ একজন ক্রাইম জার্নালিস্ট মাত্র। মানুষের সামনে সত্য তুলে ধরা যার কাজ। তবে কি সত্য বলাটাই কাল হলো তার? এমন কিছু মানুষের ভয়ে সত্যটা তাহলে চেপে রাখতে হবে আজীবন?
নিজের পেশা নিয়ে ধাঁধায় পড়ে গেছে সাবা। যে পেশা তার এত স্বপ্নের, এত ভালোবাসার সেই পেশায় আতঙ্ক ধরে গেছে। কাল আবারও অফিসে যেতে হবে ভেবেই গা শিউরে উঠছে। সাবা জানতো, সাংবাদিকতা ঝুঁকিপূর্ণ একটি পেশা। এই পেশায় সর্বক্ষণ ভয় লেগেই থাকে। তবুও সাংবাদিক হওয়ার স্বপ্ন দেখার সাহস করেছে। সাংবাদিক হয়েও উঠেছে। তবে তখনো বুঝতে পারেনি, সেই ভয় কতটা তীব্র। আজ পারছে।
এনজাইটি ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে সাবার। তার মনের যে অবস্থা, কোনপ্রকার মানসিক চাপ তার নেওয়া উচিত নয়। তবুও মানসিক চাপে নিজেকে জর্জরিত করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এভাবেই কি একদিন পাগল হয়ে যাবে সাবা?
নিজের অজান্তেই উঠে দাঁড়ালো সোফার ওপর থেকে। গুলিবিদ্ধ সেই গাড়িটার চিত্র মস্তিষ্কে বিঁধে রেখেই সিঁড়ির দিকে পা বাড়ালো সাবা। দোতলা থেকে ছাদের সিঁড়ির দিকে গেল।
এ বাড়ির ছাদটা অপূর্ব সুন্দর। দেশী-বিদেশী নানা ফুলের গাছের টব সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা চারিদিকে। ছাদের একপাশ জুড়ে রয়েছে বিশাল ইনফিনিটি সুইমিং পুল। আরেক পাশে আড্ডা দেওয়ার জন্যে সাজিয়ে রাখা কতগুলো নিচু কাঠের সোফা।
ছাদে পা রাখতেই সাবা দেখলো সুইমিং পুলে ডুবিয়ে বসে আছে শাফকাত। তার গম্ভীর দৃষ্টি আবদ্ধ কোলের ওপর থাকা ল্যাপটপের দিকে।
এই ছেলেটা কি কাজ ছাড়া কিছুই বোঝে না?
শাফকাতের সুদর্শন পুরুষালি মুখটার মাঝে সর্বক্ষণ অন্ধকারাচ্ছন্ন একটা গাম্ভীর্য লেগে থাকে। অদ্ভুত ব্যাপার, আজ তা নেই। শাফকাতের পরনে আকাশি রঙের একটা টি-শার্ট আর কালো হাফ কোয়াটার প্যান্ট। চুলগুলো ভেজা। হয়তো কিছুক্ষণ আগেই গোসল করেছে। সাবা অন্যমনস্ক ভঙ্গিতে তাকিয়েই আছে তার দিকে। পুরুষমানুষকে এতটা স্নিগ্ধ লাগলে তো মুশকিল!
সংবিৎ ফিরে পেয়ে মুহূর্তেই দৃষ্টি সরিয়ে নিলো সাবা। এই ছেলেটাকে তো সে সহ্য করতে পারে না। তাহলে আজ কেন এমন বেহায়া দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার দিকে? শাফকাত তাকে বাঁচিয়েছে বলে? ধুর! বেশিকিছু তার ভাবতে পারলো না সাবার মস্তিষ্ক।
সাবা ছোট ছোট পা ফেলে এগিয়ে গিয়ে দাঁড়ালো শাফকাতের পাশে। শাফকাত তার উপস্থিতি টের পেয়েছে ঠিকই। তবে চোখ তুলে তাকাচ্ছে না। গম্ভীর ভঙ্গিতে কী যেন টাইপ করে যাচ্ছে ল্যাপটপে।
সাবা শুকনো গলায় বলল, “বসি?”
শাফকাত ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে থেকেই কঠোর গলায় বলল, “না। যা বলার তাড়াতাড়ি বলে বিদায় হও।”
অন্য সময় হলে রাগে গা জ্বলে যেত সাবার। নিজেও দুয়েকটা তীক্ষ্ণ কথা শুনিয়ে চলে যেত শাফকাতকে। তবে আজ সেসবের কিছুই করলো না। শাফকাত বারণ করা সত্ত্বেও ধীরস্থির ভঙ্গিতে বসলো তার পাশে। তার মতো করেই পা ডুবিয়ে দিলো সুইমিং পুলের জলে। সাবার স্কার্ট ভিজে একাকার হয়ে গেল। তবুও কোনো ভ্রুক্ষেপ রইলো না তার।
সাবা হঠাৎ কী যেন মনে করে বলল, “আপনি কীভাবে জানলেন?”
শাফকাত ব্যস্ত গলায় বলল, “কী জানবো?”
সাবা ইতস্তত করে বলল, “ওই যে, আমার ওপরে অ্যাটাক হবে।”
শাফকাত তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে বলল, “তুমি আমার ক্ষমতাকে আন্ডারএস্টিমেট করো, তাই বলে সত্যিই আমার ক্ষমতা কম নয়। এসব খবর এমনিতেই চলে আসে আমার কাছে।”
শাফকাতের এমন তীক্ষ্ণ তাচ্ছিল্যের স্বর বরাবরই গায়ের আগুন ধরিয়ে দেয় সাবার সমস্ত শরীরে। তবে আজ অবাক হয়ে নিজেই লক্ষ্য করলো, সে শান্ত আছে। রেগে যাচ্ছে না।
শাফকাত আবারও একই স্বরে বলল, “আমি কিছু একটা বললেই তোমার কাছে পাগলের প্রলাপ মনে হয়। কতবার বলেছিলাম বডিগার্ড নিয়ে বের হবে? একবারও শুনেছিলে আমার কথা? তোমার প্রফেশনে হাই রিস্ক আছে। তার ওপরে তোমার রিপোর্টগুলোতে থাকে ব্রুটাল রিয়েলিটি। তোমার রিস্ক আরও বেশি। সাহস দেখিয়ে বডিগার্ড ছাড়া বের হওয়ার প্রয়োজনটা কী?”
সাবা কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলল, “আবারও কি আমার ওপরে অ্যাটাক হতে পারে?”
শাফকাত নির্বিকার ভঙ্গিতে বলল, “হতেই পারে। এরা না করলে অন্য কেউ অ্যাটাক করবে।”
“তাহলে?”
শাফকাত বিরক্ত গলায় বলল, “কী তাহলে? হাত গুটিয়ে ঘরে বসে থাকতে চাও?”
সাবা চুপ করে রইলো।
তাকে নিশ্চুপ দেখে শাফকাত আবারও বলল,
“কাজটা করে যাও সাবা। তোমার কাজ মানুষের কাছে সত্য পৌঁছে যাওয়া। এদেশের মানুষ এমনিতেই সত্য সহ্য করতে পারে না। এজন্যেই বেশির ভাগ মানুষ দেখবে হয় চুপ করে থাকে, না হয় মিথ্যা বলে। তুমি চুপ করে থাকলে খারাপ মানুষগুলো তোমার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে যাবে।”
মনে মনে অবাক হয়ে গেল সাবা। তার হারিয়ে যাওয়া মনের জোড় ফিরে আসছে একটু একটু করে শাফকাতের কথায়। এভাবে তো কেউ তার মনটাকে শক্ত করার চেষ্টা করে না। অথচ এই জিনিসটারই তীব্র প্রয়োজনীয়তা সাবার।
সাবা শুকনো গলায় বলল, “আমার জন্যে বডিগার্ড হিসেবে কাকে অ্যাসাইন করা হয়েছে?”
“জামশেদকে। আজ ও-ই তোমাকে পিক করেছিল না?”
“হুঁ।”
শাফকাত নির্দেশের সুরে বলল, “তোমার গাড়িটা তো শেষ! গ্যারেজে তোমার জন্য যে গাড়িটা আছে, সেটা ব্যবহার করবে এখন থেকে। আর বাহাদুরি করে কয়েকটা দিন নিজে ড্রাইভ করতে যাবে না। অ্যাটাকাররা জানে তুমি নিজেই ড্রাইভ করো। তাই ওই সিটটাই ওদের টার্গেট থাকবে।”
সাবার বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে আজ তার রাগ হচ্ছে না শাফকাতের ওপর। রাগ না হওয়ার কারণ কী? শাফকাতের তাকে বিপদ থেকে রক্ষা করা? না-কি তখন অরুণের বলা ওই কথাগুলো? সাবা এতদিন মনে মনে দৃঢ় বিশ্বাস করে এসেছে, শাফকাত আলমকে সে সহ্য করতে পারে না। তবে সহ্য করার চেষ্টা সে কখনো করেনি। আজ কি তবে মনের অজান্তেই সেই চেষ্টায় হারিয়ে গেল সাবা?
সাবা কম্পিত স্বরে বলল, “Thank you.”
ধন্যবাদে বিগলিত না হয়ে শাফকাত থমথমে গলায় বলল, “অনেক বিরক্ত করেছো, এখন যাও তো।”
সাবা দ্রুত পায়ে উঠে বেরিয়ে গেল ছাদ থেকে।সে হয়তো এই ছেলেটাকে সহ্য করার চেষ্টা করছে। কিন্তু সত্যি হলো, এই ছেলে নিজেই সহ্য করতে পারে না তাকে। এ কারণেই তো তাদের সম্পর্কটা এত তিক্ত।
স্কার্টের সাথে তার জামাটাও খানিক ভিজে গেছে। ভেজা কাপড় বদলে হালকা সবুজ রঙের নাইটস্যুট পরে নিলো সাবা। ভেবেছিল, অরুণ আর শামার কাছে গিয়ে খানিকক্ষণ বসবে, কিন্তু ততক্ষণে তারা ঘুমিয়ে পড়েছে।
বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে সাবা এলার্ম সেট করলো সকাল সাতটার। যদিও এলার্মের কোনো প্রয়োজন নেই। প্রকৃতি আজকাল দীর্ঘক্ষণ ঘুমাতে দেয় না তাকে। চার-পাঁচ ঘন্টার ঘুম পূর্ণ হলেও জেগে ওঠে সাবা।
শাফকাত একটা কথা ঠিকই বলেছে। এসব মানুষের ভয়ে তো আর কাজটা থামিয়ে রাখা যায় না। চুনোপুটি থেকে রাঘববোয়াল, সবাই এই সমাজে সত্যর বিরুদ্ধে। একটা মানুষ সত্য কথা বললে, সত্যকে সকলের কাছে পৌঁছে দিলে চুনোপুটিরা তার নামে দুর্নাম রটাবে। তাকে কটাক্ষ করে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করবে। আর রাঘববোয়ালরা ভয়ানক কোনো ক্ষতি করার চেষ্টা করবে। তাই বলে সত্যটাকে তো আর ধামাচাপা দিয়ে রাখা যায় না। সত্য আজীবন নিজ স্থানেই স্থির থাকবে।
অফিস থেকে আজ অগণিত ফোন কল আর ম্যাসেজ এসেছে। সেসবের কিছুরই উত্তর দেওয়া হয়নি। কাল সকালে উঠে একেবারে না হয় এগুলোর মুখোমুখি হওয়া যাবে। ফোনটা রেখে ঘুমাতে যাবে, কিন্তু হঠাৎই আঙুল গিয়ে পড়লো ফেসবুকের ওপর। এই অ্যাপটাই সর্বনাশ ডেকে আনবে একদিন! ঘুম ছেড়ে ফেসবুকে ঘোরাঘুরি করে কী পাবে সাবা? অযথা সময়ের অপচয়!
নিজের ওপর বিরক্ত হয়ে ফেসবুক থেকে বের হতে যাবে তার আগেই নিউজ ফিডের শীর্ষে থাকা ভিডিওটা দেখে এক লাফে উঠে বসলো সাবা। রাতের অন্ধকারে সরকার দলীয় নেতা শামীম ইকরামের বাড়িতে হামলা চালিয়ে অজ্ঞাত কিছু ব্যক্তি। তার বাড়ির সবগুলো কাঁচে ভেঙে গুঁড়িয়ে গেছে গুলির কারণে।
গুলিবিদ্ধ হয়েছে বাড়ির ভেতরের দিকের দেয়ালগুলোও। বাড়ির গ্যারেজে শামীম ইকরামের দুটো গাড়ি ছিল। দুটোতেই আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। সেই আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বাড়ির ভেতরের দিকেও।
কেউ আহত না হলেও, শামীম ইকরামসহ তার পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে জড়ো হয়েছে বাড়ির সামনে। একরাশ সাংবাদিক তাদের দিকে ক্যামেরা ধরে রেখেছে। সকলের চোখেমুখে প্রবল আতঙ্কের ছাপ।
সাবার রিপোর্টে প্রভাবশালী এই লোকটার নামই উঠে এসেছিল। খুব স্বাভাবিকভাবেই সে নিশ্চিত ছিল, তার ওপরে হামলা শামীম ইকরামই করিয়েছে। কিন্তু এই লোকের ওপর পাল্টা আক্রমণ করলো কে?
প্রশ্নটা মস্তিষ্কে ভেসে উঠেতেই ভেসে উঠলো উত্তরটাও। হাত-পা থরথর করে কাঁপছে সাবার। তবুও দ্রুত পায়ে উঠে দাঁড়ালো। ঘরের দরজাটা খুলে এক দৌড়ে আবারও চলে গেল ছাদে। তবে তার কাঙ্ক্ষিত মানুষটা নেই এখানে।
আবারও দৌড়ে ফিরে এলো দোতলায়। তার লক্ষ্য তার ঘরের পাশের ঘরটা। সশব্দে সাবা ধাক্কা দিচ্ছে শাফকাতের ঘরের দরজায়। অপরপ্রান্ত থেকে কোনো সাড়াশব্দ নেই। সবার ধৈর্য যেন এবার বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। ধাক্কাগুলো
তীব্রতর হচ্ছে।
এতক্ষণে দরজা খোলার দয়া হলো শাফকাতের!
হাই তুলতে তুলতে দরজাটা খুলেই ভ্রু কুঁচকে বলল, “এই মেয়ে! কী সমস্যা তোমার?”
শাফকাতের বিরক্তিতে ঘাবড়ে না গিয়ে সাবা কাঁপা কাঁপা বলল, “এটা আপনি করেছেন। তাই না?”
তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন শাফকাতের বুঝতে মোটেও অসুবিধা হলো না কীসের কথা বলছে সাবা।
তাই সোজাসাপ্টা উত্তরে বলল, “হ্যাঁ।”
অজানা এক ভয় ধরে গেল সাবার মাঝে। সে জানতো শাফকাত আলম ভয়ঙ্কর একটা মানুষ। তাই বলে এতটা ভয়ঙ্কর?
সাবা ভীত গলায় বলল, “কেন?”
তৎক্ষণাৎ উত্তর দিলো না শাফকাত। ঘোরলাগা দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো সাবার দিকে। নাইটস্যুটে আর এলোমেলো চুলে কি একটা মেয়েকে এতটা আবেদনময়ী লাগতে পারে? না পারে না। সাবা বলেই লাগছে। তার চোখেমুখে ভয়ের ছটা। হাঁপাতে হাঁপাতে লম্বা লম্বা শ্বাস নিচ্ছে। নাকের অগ্রভাগ লাল হয়ে আছে।
শাফকাত কী যেন মনে করে এক পা এগিয়ে গেল সাবার দিকে। সাবা পিছিয়ে যেতেও ভুলে গেল। বিস্ময়ে তার পাদুটো যেন জমে গেছে। নিজের অজান্তেই শাফকাত তার বলিষ্ঠ হাত ডুবিয়ে দিলো সাবার খোলা চুলের মাঝে। তীব্রভাবে কেঁপে উঠলো সাবা।
তার এমন কেঁপে ওঠা দেখে নিজেকে সামলে রাখা আর সম্ভব হলো না শাফকাতের পক্ষে। আরেক হাতে তার একটা হাত ধরে এক টানে তাকে এনে ফেলল নিজের বুকের ওপরে। আরেকদফা কেঁপে উঠলো সাবা। কোনো পুরুষমানুষের এতটা কাছাকাছি সে যায়নি কখনো। কোনো পুরুষমানুষ এমন গাঢ় স্পর্শে এলোমেলো করে দেয়নি তাকে। সাবা সরে যাওয়ার জন্যে ছটফট করছে, কিন্তু শাফকাতের পুরুষালি বাঁধন থেকে তার মুক্তি নেই।
শাফকাত তার কানের সঙ্গে ঠোঁট মিশিয়ে বলল, “কারণ তুমি আমার সাবা। যে তোমার দিকে চোখ তুলে তাকানোর সাহস করবে, তাকে আমি শেষ করে ফেলবো।”
চোখদুটো খিঁচে দাঁড়িয়ে রইলো সাবা। অনুভূতিরাও যেন আর কাজ করছে ঠিকঠাক। এতক্ষণে শাফকাতের হুশ ফিরলো। নিজের ওপরে আবারও বিরক্ত হয়ে উঠলো শাফকাত। একটা মেয়ের কারণে তার মতো শক্ত পুরুষ বারবার নিয়ন্ত্রণহারা হচ্ছে?
এক নিমিষে ছেড়ে দিলো শাফকাত সাবা। সাবা দ্রুত পায়ে সরে দাঁড়ালো।
শাফকাত গম্ভীর গলায় বলল, “ঘরে যাও!”
সাবা ঘরে যাওয়ার আগেই শাফকাত নিজের ঘরের ভেতরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিলো। একই জায়গায় জমে দাঁড়িয়ে রইলো সাবা কতক্ষণ সে নিজেও জানে না।
(চলবে)