শত ঘৃণার পরেও ভালোবাসি পর্ব-১৩

0
1182

#শত_ঘৃণার_পরেও_ভালোবাসি (এক ভালোবাসার গল্প)
#Maishara_Jahan
Part………..13

আহান,,,,,,,,(ইয়াসের কথা বিশ্বাস করার মতো ভুল আমি কি করে করলাম।রিমান হয়তো ঠিকি বলেছে, ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে গেছিলাম। তার মানে দিয়া শুধু আমার, আমি যেমন ভাবতাম তেমন কিছুই হয়নি, দিয়া ইয়াসকে ভালোবাসে না।) মুশকি মুশকি হেঁসে। (কিন্তু ঐ ইয়াসকে আমি ছাড়বো না, ওকে এমন ভাবে মারবো যে বুঝতে পারবে এ আহান কে।)

রিমান বাসায় পৌঁছে মোবাইলটা বের করে রুহিকে ফোন দিতে গিয়েও দেয়নি। মোবাইলটা সাইডে রেখে দেয়। রিমান সাওয়ার নিয়ে এসে দেখে রুহির অনেক গুলো মিসকল ভেসে রয়েছে। রিমান মোবাইল হাতে নিয়ে ভাবে কিছু ক্ষন, তারপর আবার টেবিলে রেখে শুয়ে পড়ে।

সকালে,,,,,,,,,,,

রুহি সকাল সকাল রিমানের বাসায় চলে আসে। এসে জোরে জোরে বেল বাজাতে থাকে, রিমান দৌড়ে আসে। এসে দরজা খুলে দেখে রুহি দাঁড়িয়ে আছে।

রিমান,,,,,,,,, কি হয়ছে তোর, এতো বার কেনো বেল বাজাচ্ছিস।(রাগে)

,,,,,,,,আরে আমার কথা ছাড়েন, আপনার কি হয়ছে এটা বলেন।

,,,,,,,,,, মানে, আমার আবার কি হবে,,, আমার কি বিয়ে হয়েছে নাকি।

,,,,,,,,, বিয়ে মানেহহ,,,,ওও বিয়ে হলে বুঝি আপনার বেবি হতো।

,,,,,,,,,, না আমার বউয়ের হতো।

,,,,,,,,, আমি এতো তাড়াতাড়ি বেবি নিবো না, আগে পড়াশোনা শেষ করে ডক্টর হয়ে তারপর বেবি নিবো, আর তুমি চাইলে বিয়েটা আমরা এখন করতে পারি।

,,,,,,,,,,, চুপ,,মাথায় বিয়ে ছাড়া আর কিছু ঘুরে না। কিসের জন্য এসেছিস আগে সেটা বল।

,,,,,,,,, তোমার প্রজেক্ট এর কি হলো, কাল আমার ফোন ধরলে না কেনো। (একটু ভয়ে)

,,,,,,,,,, প্রজেক্ট সফল হয়েছে (শক্ত গলায়)

,,,,,,,,,, সত্যি,,,, আমার যে কি খুশি লাগছে বলে বুঝাতে পারবো না। ওয়াও আল্লাহকে অসংখ্য শুকরিয়া। (খুশিতে লাফাতে লাফাতে)

রিমান রুহির দিকে তাকিয়ে আছে।

রুহি,,,,,,,,,, আচ্ছা তুমি আমাকে বললে না কেনো ফোন করে তাহলে, আমি কতো টেনশনে ছিলাম।

,,,,,,,ভুলে গেছিলাম।

,,,,,,,, ভুলে গেছিলে। (মন খারাপ করে)

,,,,,,হুমম

,,,,,,,, আচ্ছা বাদ দাও, এখন তো তোমার সব প্রবলেম শেষ হয়ে যাবে তাই না।

,,,,,,,,হুমম।

,,,,,,,,, দেখো এখন তোমার সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে, তো এখন তো বিয়ে করতে কোনো সমস্যা নেয়,, বা আমার সাথে প্রেম করতেও কোনো সমস্যা নেয় তাই না।

,,,,,,,,, আমার আগেও সমস্যা ছিলো এখনো আছে।

,,,,,,,,, আরে কেনো,, আমাকে যে কারনে বিয়ে করতে রাজি ছিলে না সেটা তো মিটে গেছে নাকি।

,,,,,,,,, আমি ঠিক কোন কারনে আমি তোকে বিয়ে করতে চাইতাম না,,শুনি।

,,,,,,,,,,তোমার আর্থিক অবস্থা ভালো ছিলো না, তাই তো তুমি আমাকে কোনো কষ্ট দিতে চাওনি, কিন্তু এখন তো তুমি অনেক টাকার মালিক।

,,,,,,,,,,, হুমম তো,, আমার টাকা দেখে বিয়ে করতে চাস।

এটা শুনে রুহির অনেক খারাপ লাগে, সে মন খারাপ করে বলে,,,,,,, আমি তোমার জন্য পাগল তোমার টাকার জন্য না৷ আর টাকা তো আমিও কামাতে পারবো। পিল্জ এই কথা আর কোনো দিন বলো না কষ্ট হয়। তোমার যদি কিছু না থাকতো তাও আমি তোমাকেই ভালোবাসতাম।

,,,,,,,,,কিন্তু আমি বাসি না।

,,,,,,,,,,,এখন কেনো মিথ্যা বলছো, আমি জানি তুমি আমাকে ভালোবাসো।

,,,,,,,,, কতো বার বলবো ভালোবাসি না, এক বার বললে কথা কানে যায় না (রাগে, জোরে বলে)

রুহি ভয় পেয়ে যায়, সে চমকে বলে,,,,,,,,তুমি আমার সাথে এভাবে কেনো কথা বলছো।

,,,,,,,,,, তোর সাথে ভালো ভাবে কথা বলার নাটক করতে করতে হয়রান হয়ে গেছি আমি তাই (ধমক দিয়ে)

,,,,,,,,,,(জোর করে হাসি দিয়ে) মজা করছো আমার সাথে তাই না।

,,,,,,,,,, আমাকে দেখে মনে হচ্ছে, আমি মজা করছি। (রাগে)

,,,,,,,,,,, আচ্ছা আমি কি কিছু করেছি।

,,,,,,,,সেটাই তো সমস্যা তুই জানিসি না তুই কি করেছিস,, জাস্ট গেট লস।

,,,,,,,,,আচ্ছা তুমি বলে দাও আমি কি করেছি।

,,,,,,,,,দেখ রুহি তুই আমার মাথা গরম করবি না,, যা এখান থেকে আর এদিকে আসার চেষ্টা করিস না।

,,,,,,,,,,, বেস, রিমান অনেক হয়েছে, মজা করারও একটা লিমিট থাকে,, আমি জানি তুমি আমাকে ভালবাসো।আর আমাকেই বিয়ে করবে।

,,,,,,,,,, না আমি তোকে ভালোবাসি না আমি তোকে বিয়ে করবো (রুহির দু বাহু শক্ত করে ধরে বলে)

,,,,,,,,,,,,, আচ্ছা তাহলে অন্য কাওকে ভালোবাসো নাকি, আমি জানি আমি ছাড়া তুমি কোনো মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে না। (রাগে)

,,,,,,,,, আচ্ছা তোর এটা মনে হয়, জাস্ট ওয়েট।

রিমান ফোন বের করে কাকে একটা ফোন করে বলে,,,,,,,,, হ্যালো মেরিন।

মেরিন,,,,,,,,, হ্যাঁ রিমান বলো।

রিমান,,,,,,,, ডু ইউ মেরি মি। (সোজা জিজ্ঞেস করে)

রুহি আর মেরিন দুজনে অভাক হয়ে যায়।

মেরিন,,,,,,,,,, তুমি আমাকে সোজা বিয়ের জন্য প্রপোজ করছো।

রিমান,,,,,,,,, হুমম,,তুমি ঐদিন বলেছিলে না, তুমি নাকি আমাকে পছন্দ করো, আমিও তোমাকে অনেক পছন্দ করি, সো আমাকে বিয়ে করবে।

মেরিন,,,,,,,,, ওহহ ইয়েস,,,, হ্যাঁ করবো।

রিমান,,,,,,,, ওকে তুমি তোমার বাবাকে বলে রেখো, আমি তোমার সাথে পড়ে কথা বলছি।

রিমান ফোন রেখে রুহির দিকে তাকায়। রুহির চোখ দিয়ে পানি পড়ছে, গাল দুটো লাল হয়ে গেছে। রিমান রুহির দিকে তাকিয়ে আর কিছু বলতে পারছে না।

রুহি,,,,,,,, তুমি এসব আমাকে জেলাস ফিল করানোর জন্য বলছো তাই না।

,,,,,,,,,,, পর্শু যখন পার্টি রাখবো আমার সফলতার জন্য, তখন সবার সামনে বলবো তখন বিশ্বাস করে নিস।

,,,,,,,,,, রুহি আমিও দেখবো তুমি অন্য কাওকে কিভাবে বিয়ে করো।

রুহির চোখ দিয়ে টলটল করে পানি পড়ছে, কান্না করে বলে,,,,,,,, রিমান আজ কষ্টের ডোসটা বেশি হয়ে গেলো। অন্য সময় কষ্ট হতো কিন্তু আজ একটু বেশি কষ্ট দিয়ে ফেলেছো।(বলে রুহি দৌড়ে কান্না করতে করতে চলে যায়।)

রিমান দাঁড়িয়ে রুহির যাওয়া দেখছে, রিমানের চোখে পানি চলে আসে। তারপর রিমান তার চোখ ফিরিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। রিমান সোফায় বসে রুহির কান্না করা মুখটা বার বার চোখে ভাসছে৷

,,,,,,,,,,,
আহান ঘুম থেকে উঠে দেখে দিয়া রুমে নেয়। আহান ভয় পেয়ে যায়, কারন সে কালকে দরজাও লক করে নি। দিয়া তাকে ছেড়ে চলে যায়নি তো, এ কথা ভাবতেই তার বুকে চাপ দিয়ে উঠে। তাড়াতাড়ি সে নিচে দৌড়ে যায়।

এক দৌড়ে মেইন দরজার কাছে গিয়ে, দরজা খুলতে লাগে, আগেই ভিতরে না দেখে। দিয়া পিছন থেকে আহানকে ডাক দেয়।

দিয়া,,,,,,,,, আহান কি করছেন।

আহান তাকিয়ে দেখে দিয়া রান্না ঘরে বই নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দিয়াকে দেখে আহান সস্থির নিশ্বাস ফেলে।

দিয়া,,,,,,,,, এভাবে দৌড়া দৌড়ি করছেন কেনো, কি হয়েছে।

,,,,,,,,কিছু না, জাস্ট জ জ জগিং করছিলাম।

,,,,,,,,,,এভাবে।

,,,,,,,,,,, হ্যাঁ,, সকালে জগিং করা অনেক ভালো জানিস।

,,,,,,,,,মনে হয় কালকের নেশা এখনো আপনার নামে নি,, আমি লেবু পানি করে দিচ্ছি, খেলে ঠিক হয়ে যাবে।

,,,,,,,,হুমম

আহান সোফায় এসে বসে, ওর বুক এখনো ধুকপুক ধুকপুক করছে। দিয়া লেবু পানি এনে সামনে ধরে।

আহান লেবু পানিটা এক ধমে খেয়ে ফেলে।

দিয়া,,,,,,,, আপনি ফ্রেশ হয়ে আসেন আমি নাস্তা লাগাচ্ছি,,, আমাকে আবার হসপিটালে যেতে হবে।

,,,,,,,,,, হুমম।

আহান উপরে যায়। ফ্রেশ হয়ে নিচে আসে। দুজনে নাস্তা করে, বেরিয়ে পড়ে। আহান লুকিয়ে লুকিয়ে দিয়াকে দেখছে। কিছু ক্ষন পরে তারা এসে পড়ে। আহান দিয়াকে হসপিটালে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়।

দিয়া ভিতরে যায়, গিয়ে রুহিকে কোথাও খুঁজে পায় না। পরে বাগানে গিয়ে দেখে সেখনে রুহি একা একা বসে আছে। দিয়া গিয়ে রুহির পাশে বসে। রুহি অন্য দিক করে ঘুরিয়ে বসে আছে।

দিয়া রুহির মুখটা নিজের দিকে ঘুরিয়ে অভাক হয়ে যায়। কারন রুহি কান্না করছিলো।

দিয়া,,,,,,,,, কি হয়েছে তোর, কান্না করছিস কেনো, আর চোখ মুখ ফুলে কি করছে। কি হয়েছে বল আমাকে।

রুহি কান্না করতে করতে দিয়াকে সব বলে। দিয়া কি বলে সান্ত্বনা দিবে বুঝে পাচ্ছে না।

দিয়া,,,,,,,, আরে রিমান হয়তো এটা ইচ্ছে করে করছে,,দেখিস ও মেরিনকে বিয়ে করবে না। আমার মনে হয় ও তোকে সারপ্রাইজ দিবে, তাই এমন করছে। তুইও না এটার জন্য এতো কান্না করছিস।

,,,,,,,,সত্যি।

,,,,,,,,হুমম,, এখন ক্লাসে চল ইস্টুপিট।

,,,,,,,আমিও সেটাই বলছি, মেরিনকে বিয়ে করার ইচ্ছে থাকলে যখন মেরিন প্রপোজ করেছিলো তখনি রাজি হয়ে যেতো, এখন হঠাৎ করে কেনো করবে। সত্যি তেমন কিছু ওদের মধ্যে নেয় তাই না।

,,,,,,,হুমম,,আরে আমি রিমানের চোখে তোর জন্য ভালোবাসা দেখেছি। আর এই তিন বছরে তোর জন্য কি কি না করেছে।

,,,,,,,হুমম ঠিক,, আমি শুধু শুধু চিন্তা করছিলাম।

,,,,,,,, হুমম এখন ক্লাসে চল।

রুহি আর দিয়া ক্লাসে যায়। সেখানে দিয়া তার বাবাকে দেখতে পেয়ে দৌড়ে যায়।

দিয়া,,,,,,,, বাবা তুমি এখানে।

বাবা,,,,,,,,, ওহহ দিয়া,,কেমন আছিস।

দিয়া,,,,,,,, ভালো,, কিন্তু তুমি হসপিটালে কেনো, তোমার কি হয়েছে।

বাবা,,,,,,,আমার কিছু হয়নি, তোর ছোট মাকে নিয়ে এসেছি,,

দিয়া,,,,,,,, কি হয়েছে ওনার।

বাবা,,,,,,,,,, ডায়বেটিস এর সমস্যা।

দিয়া,,,,,,, ওহহ,,তুমি আমার ফোন ধরছো না কেনো। অনেক বছর হয়েছে তোমার সাথে কোনো যোগাযোগ নেয়, আর তুমি গ্রাম ছেড়ে এখানে।

বাবা,,,,,,,, আমরা ঢাকা চলে এসেছি, তোর ভাই নিয়ে এসেছে।

দিয়া,,,,,,,, তাহলে আমার সাথে যোগাযোগ করোনি কেনো।

সৎ মা এসে বলে,,,,,,,,, যোগাযোগ করলেই তো টাকা চাইতি তাই করি নি।

দিয়া,,,,,,, কেমন আছেন।

মা,,,,,, ভালোই তো ছিলাম এতো ক্ষন। তা তুই এই হসপিটালে কি করিস।

দিয়া,,,,,, আমি এই হসপিটালে পড়াশোনা করি। বাবা তো প্রতি মাসে টাকা পাঠাতো কিন্তু হঠাৎ দুমাস কি হলো বাবা।

মা,,,,,,,কিহহ,,,তুমি ওকে টাকা পাঠাতে,,আমি না মানা করেছিলাম, তারপরেও ওকে টাকা পাঠিয়েছো।

বাবা,,,,,,,, না আমি তো দিয়াকে কোনো টাকা পাঠায় নি।

দিয়া,,,,,,,, তুমি পাঠাও নি।

বাবা,,,,,,, না মা, আমি টাকা পাঠায় নি,, এক মাস শুধু পাঠিয়েছিলাম। তারপর থেকে তো কোনো টাকা পাঠায় নি।

দিয়া,,,,,,, তাহলে তোমার নামে আমাকে কে লক্ষ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছে। রুহি সত্যি বল খালামনি।

রুহি,,,,,,, না,, কারন তুই বলেছিলি তোর বাবা পাঠাবে তাই তো বাবা পাঠায় নি।

দিয়া,,,,,,,, আমি মনে হয় জানি কে পাঠিয়েছে। রুহি সত্যি করে বল। (চোখে পানি নিয়ে)

রুহি,,,,,,, আমি কি করে বলবো অদ্ভুত।

,,,,,,তোকে রিমানের কছম।

,,,,,,,,, আরে,, এটা কোনো কথা।

,,,,,,,বল।

,,,,,,,,,ভাইয়া পাঠিয়েছে।

,,,,,,,আমি জানতাম,, তুই থাক আমি একটু আসছি।

বলে দিয়া দৌড়ে চলে যায়।

রুহি,,,,,,, লজ্জা করে না আপনার, এতো টাকা থাকতেও বলেন টাকা নেয় টাকা নেয়।

মা,,,,,,,এই মেয়ে মুখ সামলে কথা বলো।

রুহি,,,,,,, বলবো না কি করবেন,,একদিন দেখবেন আপনার ছেলে থেকে দিয়া বেশি কামাচ্ছে, আর আপনার মেয়ে থেকে দিয়া বেশি ভালো ছেলে পেয়েছে হুহহহ। (রুহি কাউন্টারের লোককে উদ্দেশ্যে করে বলে,,,,, পারলে এদের থেকে কয়েক টাকা বেশি রাখবেন। ডাইনি কথাকার।

বলে চলে যেতে থাকে।

মা,,,,,,,দেখলে ও আমাকে কি বললো।

বাবা,,,,,,,তুমি একটু চুপ থাকতে পারো না।

,,,,,,,,,
দিয়া হসপিটাল থেকে বের হয়ে টেক্সি করে চলে যায়,বডিগার্ডরা তার পিছনে পিছনে যায়। দিয়া আহানের আফিসের সামনে নেমে দৌড়ে ভিতরে যায়। দৌড়ে উপরে উঠে সবাই যে তার উপর তাকিয়ে আছে সেই দিকে কোনো খেয়াল নেয়।

আহান দাঁড়িয়ে সবার সাথে কথা বলছিলো, দিয়া হাঁপাতে হাঁপাতে আসে। আহান দিয়ার দিকে তাকিয়ে রেগে যায়।

আহান,,,,,,, তুই এখানে, তোকে না বলেছি আমি ছাড়া কোনো জায়গায় না যেতে, এখন যদি কিছু হয়ে যেতো।

আহান কথা শেষ করতে না করতে দিয়া দৌড়ে এসে আহানকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে। আহান দিয়া থেকে অনেক লম্বা, তাই দিয়ার পা মাটিতে নেয়। দিয়া শক্ত করে আহানকে জরিয়ে ধরে আছে।

আহান আভাক হয়ে হা করে আছে,, অফিসের সবাই তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আহান সবার দিকে তাকালে সবাই তাদের চোখ ফিরে নেয়।

আহান,,,,,,,দিয়া ছাড় আমাকে, সবাই দেখছে।

দিয়া আরো শক্ত করে ধরেছে, আহানের কোনো কথা কানে যাচ্ছে না তার। চোখ দিয়ে পানি বের হচ্ছে।

আহান দুহাত দিয়ে দিয়াকে জরিয়ে ধরে, এভাবেই কেবিনের ভিতরে নিয়ে যায়। সবাই কেবিনে উঁকি ঝুঁকি মারছে। আহান পা দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়।

দুজন দুজনকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে আছে।

চলবে,,,,,,,