#শত_ঘৃণার_পরেও_ভালোবাসি (এক ভালোবাসার গল্প)
#Maishara_Jahan
Part………..22
,,,,,,,,অবশ্যই,,, শুধু তোকে কেনো আমাকে লাথি মারলেও আমি থাকতাম।
,,,,,,,,,হাড়ামি।
,,,,,,আচ্ছা, থাক তুই আমি দেখি আমার তোতা পাখি কই।
,,,,,,,,, তোর তোতা পাখি মনে হয় আমার ময়না পাখির সাথে।
,,,,,,,,,, ওকে আমি দেখে আসি।
রিমান রুহির রুমে যায় সেখানে দিয়া ছাড়া আর কেও নেয়।
দিয়া,,,,,,,, রুহিকে খুজছো, আমি এসে রুহিকে দেখিনি।
রিমান,,,,,,,,,, পা ঠিক হতেই লাফালাফি শুরু করে দিয়েছে। আচ্ছা আমি দেখি কোথায় আছে।
রিমান খুঁজতে খুঁজতে ছাদে চলে যায়, সেখানে গিয়ে দেখে রুহি দুলনায় বসে আছে মন খারাপ করে।রিমান পিছন দিক দিয়ে গিয়ে দুলনা দুলাতে থাকে। হঠাৎ করে
দুলনা নড়ে উঠায় রুহি ভয়ে পেয়ে বলে,,,,,,,,কেহহহ
রিমান,,,,,,,, আমি।
রুহি পিছনে ফিরে রিমানকে দেখে বলে,,,,,,, দুলনা থামান।
রিমান দুলনা ধরে রুহি দুলনা থেকে নেমে আসে। রিমানের সামনে দাঁড়িয়ে বলে,,,,,,,,,, আপনি এখানে কেনো।
,,,,,,,আগে তুই বল এই রাতে তুই এখানে কেনো।
,,,,,,,,, আমার মন চেয়েছে আমি সেখনে খুশি সেখনে থাকবো, যখন খুশি তখন থাকবো,আপনার বাবার কি।
,,,,,,,,, আমার বাবার না তবে আমার অনেক কিছু,,, তুই এই রাতে চুল ছেড়ে এভাবে ছাদে বসে থাকলে যদি কোনো জ্বীন-ভূতের নজর পড়ে যায় তোর উপর তখন আমার তো সারা জীবন জ্বীন-ভূতের সাথে কাটাতে হবে, আবার বলে আমার কি।
,,,,,,,,,,, পাগল হয়ে গেলেন নাকি। আর আপনি এখানে কেনো।
,,,,,,,,,,, আরে আস্তে বললেও আমি শুনতো পাবো, আমার কান ঠিক আছে। আর আজকে কেনো আমি কিছু দিন এখানেই থাকবো সারাদিন রাত।
,,,,,,,,হেহহহ কোন দুঃখ এখানে থাকবেন।
,,,,,,,,,, তোর বিয়ের দুঃখে।
,,,,,,,,,, এটা তো আপনার জন্য অনেক খুশির খবর।
,,,,,,,,,,, হতো, যদি বিয়েটা আমার সাথে হতো।
,,,,,,,,,, কিন্তু আমার মতো মেয়ে তো আপনার পছন্দ না,, ওহহ সরি আমার মতো না আমাকে আপনার পছন্দ না।
,,,,,,,,,,, কে বলছে।
এটা শুনে রুহির মন কেমন জানি করে উঠে, সে নিজেকে সামলে নিয়ে বলে,,,,,,, কে বলেছে মানে, আপনি তো বলেছেন।
,,,,,,,,,,, আরে এমনি বলেছি।
,,,,,,,, এমনি বলেছেন মানে,, তাহলে কি পছন্দ করেন আমাকে।(রেগে)
,,,,,,,,,,,, না।
,,,,,, হুহহ জানতাম।
বলে যেতে নেয় তখন রিমান বলে উঠে,,,,,,,, ভালোবাসি তোকে।
রুহি দাঁড়িয়ে যায়, ওর হার্ট বিড বেড়ে যায়। নিজের অজান্তেই মুখে হাসি ফুটে উঠে, নিজেকে সামলে নিয়ে রিমানের দিকে ফিরে।
রুহি,,,,,,,,,আচ্ছা এতো বছর পরে হঠাৎ একদিনেই ভালোবাসা জেগে উঠলো। এখন আমি আপনাকে ভালোবাসি না। আপনি কি মনে করেন কি নিজেকে হুম।
রিমান রুহির কোমর ধরে টান দিয়ে নিজের দিকে আনে, রুহির মুখ বন্ধ হয়ে যায় চোখ বড়ো বড়ো হয়ে যায়।
রিমান,,,,,,,, সুসস,, তোর এই আপনি বলা আমার বুকে তীরের মতো লাগে। তুমি বলে ডাকবি।
রুহি,,,,,,,, আগে তো তুমি বললে লাগতো খুব।
রিমান,,,,,,,, কারন আগে তুই আমাকে তুমি করেই ডাকতি, তাই আপনি বললে কেমন লাগতো বুঝি নি। আমাকে তুমি করে ডাকবি, আপনি বললে খবর আছে।
,,,,,,,,,ডাকবো, আপনি আপনি আপনি।
,,,,,,,,, ওও এবার বুঝেছি, তুই আমাকে আপনি করে কেনো ডাকছিস।
,,,,,,কেনো ডাকছি।
,,,,,,, তুমি করে ডাকলে যদি তোর পুরোনো ভালোবাসা জেগে উঠে তাই।
,,,,,,,,,, জীবনেও না।
,,,,,,,,, এটাই কারন।
,,,,,,,,,,, না এটা কারন না।
,,,,,,,,,,, তুই সত্যিটা না বললেও আমি বুঝে গেছি, এখন আপনি করে ডাকলে তো আমি এটাই মনে করবো।
,,,,,,,,আচ্ছা আমি আপনাকে তুমি করেই ডাকবো, আর আমার ভালোবাসা জাগবে না, দেখে নিয়ো।
,,,,,,,,,,,, একটা জিনিস বুঝে নিলাম।
,,,,,,,,কিহহ
,,,,,,,,এটাই, আমার কাছে থাকতে তোর খারাপ লাগে না।
,,,,,,,,হেহহ কে বলেছে।
,,,,,,,,, তুইয়ি দেখ, এতো ক্ষন ধরে তোকে এভাবে আঁকড়ে ধরে আছি অথচ তুই কিছু বলছিস না। তার মানে ভালো লাগছে।
এটা বলার সাথে সাথে রুহি রিমানকে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে চলে যায়।
রিমান,,,,,,,, আরে আস্তে দৌড় দে, আজি পা ভালো হয়েছে।
বলে কয়েকটা টানা দিয়ে আশেপাশে তাকিয়ে ভয়ে বলে,,,,,,, রিমান তুই এখানে একা, এখন যদি তোকে কোনো পরী ধরে,তখন তুই কি করবি। আল্লাহ বাঁচাও।
বলে রিমান ও দৌড় দেয়। দৌড়ে রুমে আসে, আহান রিমানের দিকে তাকিয়ে আছে।
আহান,,,,,,,কিরে এভাবে দৌড়ে আসলি কেনো, কি হয়েছে।
,,,,,,,,,,,, আরে কিছু না জগিং করছিলাম (হাঁপাতে হাঁপাতে)
,,,,,,,,,, এতো রাতে জগিং তাও আবার বাড়ির ভিতরে।
,,,,,,,,,, রাতে জগিং করা মানা আছে নাকি, আর বাড়িটা তো অনেক বড়ো তাই,,, সর তুই আমি সাওয়ার নিয়ে আসি। আর হ্যাঁ আগের পোশাকে তোকে আগের মতো বাচ্চা লাগছে।
,,,,,, বাচ্চা,, এটা আমার বাচ্চা কালের পোশাক না।
,,,,,,,,, আচ্ছা যেমন কালের পোশাক তেমন কালের লাগছে, হেপি। আজ কাল কারো তারিফ ও করতে নেয়।
বলে ওয়াশ রুমে চলে যায়। কিছু ক্ষন পর বেরিয়ে আসে। বেরিয়ে এসে দেখে আহান কি যেনো খুঁজছে।
রিমান,,,,,,, কি খুজছিস।
আহান,,,,,,,,, আমার ফেবারিট পেনটা খুঁজছি।
,,,,,,,,,, আরে এখানে কোথাও রেখেছিস হয়তো, কিছু ক্ষনের মধ্যে কোথায় চলে যাবে। (মাথা মুছতে মুছতে)
,,,,,,,,,,, তিন বছর আগে তো এখানেই রেখেছিলাম।
এটা শুনে রিমান মাথা মুছা থামিয়ে, টাওয়ালটা চেয়ারে রেখে আহানের দিকে অদ্ভুত একটা মুখ করে তাকিয়ে আছে।
,,,,,,,, তুই এমন অদ্ভুত ফানি মুখ করে তাকিয়ে আছিস কেনো।
,,,,,,,, না মানে আমি বুঝতে পারছি না, তোর কথা শুনে কি আমি রাগ করবো না হাসবো নাকি অভাক হবো তাই সব মিলিয়ে এই এক্সপ্রেশন দিচ্ছি।
,,,,,,,,কেনো আমি আবার কি করলাম।
,,,,,,,,,,, মানুষ আজকে আন্ডারওয়ার রেখে আজকেই খুঁজে পায় না,,, না এক মিনিট কথাটা ফানি লাগছে না,, মানুষ আজকে জাইঙ্গা রেখে আজকেই খুঁজে পায় না, আর তুই তিন বছর আগে রেখে যাওয়া কলম খুঁজছিস।
,,,,,,,,,,আরে এটা কোনো নরমাল পেন ছিলো না।
,,,,,,,,, কেনো এতে কি কোনো জাদু ছিলো নাকি যে, খাতাতে যা আঁকবি তাই আসল হয়ে যাবে।
,,,,,,,,,, আরে ঐ পেন এ কথা রেকর্ড করা যেতো আর শুনাও যেতো৷
,,,,,,,, আচ্ছাআআ এই জন্য বলি তুই আমার সাথে থেকেও এতো ভালো রেজাল্ট করতি কিভাবে। তাহলে এই ব্যাপার।
,,,,,,,,,তোর মতো জালবাজ না আমি। চল এখন নিচে যায়।
,,,,,,,,,, হুমম চল যায়, অনেক ক্ষুধা লাগছে, দুপুরে কিছু খায়নি৷
,,,,,,,হুমম চল।
দুজনে নিচে যায় রুহি রিমানের দিকে কটমট করে তাকিয়ে আছে। রিমান সেদিকে খেয়াল না করে খেতে বসে, সবাই খেতে বসে।
রুহি,,,,,,,, বাসায় অতিরিক্ত মানুষ হয়ে গেছে। বাড়তি মানুষ ভালো লাগে না। (রিমানের দিকে তাকিয়ে)
বাবা,,,,,,,,ঠিক অতিরিক্ত মানুষ ভালো লাগে না (আহানের দিকে তাকিয়ে)
চাচি,,,,,,,,সত্যি এতো মানুষ ভালো লাগে না।
আহান,,,,,,,,, আসলেও ভালো লাগে না, মনে হয় কিছু মানুষ কম করার দিন এসে গেছে। (খেতে খেতে)
রিমান,,,,,,,,, আমি একটা কথা স্পষ্ট বলে দিয়, এখানে যে যাবে বলবে নাম ব্যবহার করে বলবা পিল্জ, না হলে বুঝতে সমস্যা হয়। নাম মনে না পড়লে আমি মনে করিয়ে দিয়।
মা,,,,,,,, রিমান চুপচাপ খা না হলে তোকে কান টেনে বের করে দিবো বলে দিলাম।
রিমান,,,,,,,, আন্টি বুকে হাত রেখে বলো আমাকে তুমি বের করতে পারবা, নিষ্পাপ, অবলা, মাছুম চেহেরা ওয়ালা একটা ছেলেকে তুমি এই রাতে বের করতে পারবা।
মা,,,,,,,, আল্লাহ আমি ও কি এই ছেলের সাথে কথা বলছি। চুপচাপ এখানে সবাই খাবে, একটা কথা জেনো না বের হয়।
সবাই চুপচাপ খেয়ে উঠে। সবাই খেয়ে যেতে নেয় আর রিমান বলে,,,, শরীরটা মেচ মেচ করছে ইশশ যদি একটা বউ থাকতো তাহলে তো টিপে দিতো। (রুহির দিকে তাকিয়ে)
রুহি,,,,,,, ইশশ শরীর টিপানোর জন্য বউ দরকার ওনার।
,,,,,,,,,, হ আরো অনেক কিছু করার জন্য দরকার। তোর কোনো প্রবলেম।
,,,,,,,,, আমার কেনো প্রবলেম থাকবে।
,,,,৷ , থাকার কথাও না, আমার বউকে দিয়ে আমার হাত পা, পিঠ টিপাবো।
,,,,,,,,,, ভালো ভালো
,,,,,,, বাসি বাসি।
বলে চলে যায়। রুহি এখানে বেক্কেল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। একটু পরে সবাই গিয়ে শুয়ে পড়ে।
সকালে,,,,,,,,,
দিয়া গুন গুন করে হাঁটছে ছাদে যাবে তাই,, মানিকের রুমের সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে, গানের আওয়াজ শুনে মানিক ডাক দেয়,,,,,,,, কে ওখানে রুমের ভিতরে আসো তো।
মানিকের রুমের দরজা খুলা। দিয়া দরজার সামনে গিয়ে বলে,,,,,, ভাইয়া আমি।
মানিক উপর হয়ে শুয়ে আছে,, দিয়ার কথা শুনে চোখ খুলে তাকায়, দিয়াকে দেখে আবার চোখ বন্ধ করে বলে,,,,,,ওহহ তুই,,, হুমম আয় ভিতরে এসে আমাকে এক গ্লাস পানি দে।
দিয়া আশেপাশে দেখে একটু ভয়ে ভিতরে যায় গিয়ে গ্লাসে পানি ভরতে থাকে।
মানিক,,,,,,,,, তুই কখন আসলি দেখলাম না যে।
দিয়া,,,,,,,,, রাতে এসেছি, আপনি তো অনেক লেইট করে ফিরেছেন তাই হয়তো দেখেননি।
মানিক,,,,,,,,, রাতে এসেছিস, কেনো আহান ভাইয়া কি তোকে বের করে দিয়েছে নাকি।
দিয়া,,,,,,,,,,,,, মানে
মানিক,,,,,,,,,, মানে হলো,, তুই তো আহানের সাথে থাকিস, তার ইচ্ছে মতো তোকে রেখেছে আবার ইচ্ছে হলেই বের করে দিবে এটাই তো।
দিয়া,,,,,,,,,,, এমন কিছুই না, এই নেন আপনার পানি। (কিছুটা রাগে)
মানিক উঠে বসে বলে,,,,,,,,,, ঠিক কোন কারনে ভাইয়ার সাথে থাকিস বলতে পারিস,,, ভয়ে। ভাইয়া কি তোর সাথে জোরাজোরি করেছে।
দিয়া,,,,,,,, না।
মানিক,,,,,,,,,, ওহহ তাহলে টাকার কারনে থাকিস,, দেহ ব্যবসায় নেমে গেছিস তাহলে
দিয়া,,,,,,,, মানিক ভাইয়া (ধমক দিয়ে)
মানিক,,,,,,,,,,, চিৎকার করে লাভ নেয়,, যা সত্যি তাই বলছি, তাহলে আমার মা তোর সম্পর্কে একদম ঠিক কথা বলে, তুই টাকার জন্য যা খুশি করতে পারিস।
দিয়া কান্না করতে করতে রুম থেকে বেরিয়ে যায়, আহাম আর রিমান দিয়াকে কান্না করে মানিকের রুম থেকে বের হতে দেখে ওর কাছে যায়। আহান দিয়ার দুবাহুতে ধরে বলে,,,,,,,, কি হয়েছে তুই কান্না করছিস কেনো।
দিয়া,,,,,,,, কিছু না, (চোখের পানি মুছতে মুছতে)
রিমান,,,,,,,,, মানিক কিছু করেনি তো দিয়া।
দিয়া,,,,,, না।
আহান রাগে দিয়াকে ছেড়ে মানিকের রুমে যায়,, গিয়ে মানিকের গেনজি ধরে বিছানা থেকে তুলে।
মানিক,,,,,,,, কি হয়েছেটা কি,, ছাড়ো আমাকে।
আহান,,,,,,,,কি করেছিস দিয়ার সাথে, ও কান্না করছে কেনো।
মানিক,,,,,,,,, কি করেছি মানে।
আহান,,,,,,, নেশার এতোটাই অন্ধ হয়ে গেছিস যে বুঝতে পারছিস না কার সাথে কি করছিস, ও তোর বোনের মতো। কি করেছিস।
মানিক,,,,,,,,, এক্সকিউজ মি,, এসব কথা না তোমার মুখে মানায় না,,, আর আমি যতোই নেশায় থাকি না কেনো আমি আমার লিমিট ভালো করে জানি। আমি তো শুধু সত্যিটা বলেছি।
আহান,,,,,,,,, কি বলেছিস।
দিয়া,,,,,,,, এটাই এতো কিছু হওয়ার পরেও ও তোমার সাথে কেনো থাকে, কোন অধিকারে থাকে,,টাকা দিয়ে রেখেছো তাই তো, আর এসব মেয়েকে কি বলে জানো।
আহান মানিককে একটা ঘুষি মেরে বলে,,,,,,,, তিন বছরে এতো পরিবর্তন কিভাবে হলো তোর।
মানিক,,,,,,,,,, ভাই আমি তো তিন বছরে পরিবর্তন হয়েছি তুমি তো একদিনে পরিবর্তন হয়ে গেছিলে। আর সত্যি কথা বললেই দোষ।ভাই এখানে শুধু আমি না, সবাই দিয়াকে এই কথাই বলে। আমার মুখ বন্ধ হয়ে গেলেও সবার মুখ কিভাবে বন্ধ করবে।
আহান,,,,,,,,, সবার মুখ বন্ধ করবো,, আয় তুই।
বলে দিয়ার হাত ধরে নিচে নিয়ে যায়, তাদের পিছনে পিছনে মানিক আর রিমান ও আসে, রুহি হায় তুলতে তুলতে বের হয়। ওদের এভাবে যেতে দেখে হা করে তাকিয়ে থাকে।
রিমান রুহির হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে যেতে বলে,,,,,,,, এখানে এতো কান্ড হয়ে গেলো আর তুই হায় তুলছিস লজ্জা করে না।
রুহি,,,,,,,,, মানে কি আমার হাত ছাড়ো।
রিমান,,,,,,,,,এখানে এখন এলাহি কান্ড হতে চলেছে আর তুই আছিস হাত নিয়ে। চল চল (রুহির হাত ধরে টানতে টানতে)
সবাই নিচে যায়, আহান সবাইকে জোরে জোরে ডাকে, সবাই আহানের ডাক শুনে নিচে চলে আসে। সবাইকে দেখে রিমান রুহির হাত ছেড়ে দেয়।
রুহি,,,,,,,,,ভিতু কোথাকার।
রিমান,,,,,,,, তোর এতো সাহস থাকলে তুই আমার হাত ধরে দেখা।
রুহি,,,,,,, আমার এতো শক নাই।
রিমান,,,,,,,,, শখ নাই না কি নাই সেটা আমি জানি চুপচাপ সামনে সিনেমা চলছে সেটা দেখ।
মা,,,,,,,,,,কি হয়েছে সকাল সকাল এতো রেগে আছিস কেনো, কে কি বললো আবার। (বাবার দিকে তাকিয়ে)
বাবা,,,,,,,আমার দিকে কেনো তাকাচ্ছো, আমি তো রুমেই ছিলাম।
চাচি,,,,,,,,, আরে অন্য কিছু হয়েছে, দেখো সবার সামনে হাত ধরে আছে।
আহান,,,,,,,,, হুমম ধরে আছি,, আর সারা জীবন ধরে থাকবো। একটা কথা ভালো করে শুনে নাও তোমরা আমি আজি দিয়াকে বিয়ে করছি।
দিয়া সহ সবাই অভাক।
রিমান,,,,,,,,,, আমি কি কাজি ডাকবো।
আহান,,,,,,,,আমি এখনি যাবো, আর দিয়াকে বিয়ে করবো। কারো কোনো সমস্যা থাকলে আমার কিছু করার নাই।
দিয়া,,,,,,,, আরে আমার বিয়ে আমাকে কেও জিজ্ঞেস করছে না।
আহান,,,,,,,,, ঠিক আছে আমি জিজ্ঞেস করছি, তোর কোনো সমস্যা আছে (রাগী ভাবে তাকিয়ে)
দিয়া,,,,,,,(এভাবে ধমক দিয়ে কে প্রপোজ করে) না না কোনো সমস্যা নেয়। (ভয়ে)
মানিক,,,,,,,,,,এভাবে কোর্টে কতো বিয়ে হয় আবার ভেঙে ও যায়,এই বিয়ের কোনো মানে নেয়,, তোমরা জানবা তোমাদের বিয়ে হয়ে গেছে বাকিরা কি ভাববে।কোর্টে তো মানুষ চুক্তি করেও বিয়ে করে।
আহান,,,,,,,,, ঠিক আছে, আমি পুরো অনুষ্ঠান করেই বিয়ে করবো, আমার বাড়িতে। চল দিয়া। (যেতে নিয়ে)
রিমান,,,,,,,,, আরে দাঁড়া, তুই গেলে আমার বিয়ের কি হবে, এখানে আমার বিয়ে করাতে এসছে নাকি নিজে বিয়ে করতে কে জানে।
রিমান গিয়ে আহানের হাতে ধরে বলে,,,,,,,, আংকেল আন্টি আপনারা ভাবেন, আপনারা বেঁচে থাকতে যদি ও বিয়ে অন্য কোথাও করে তাহলে কার বদনাম হবে। মানুষ নানা ধরনের কথা শুনাবে।
মানিক,,,,,,,, তাছাড়া সেখানে বিয়ে করলে সেটা কি আসল নাকি সাজানো সেটা কে দেখবে।
মা,,,,,,,, সবাই চুপ,,, দিয়া এদিকে আয় তো।
দিয়া যেতে নিয়েও পারে না আহান দিয়ার হাত শক্ত করে ধরে আছে।
রিমান আহানের হাত ধরে থাপ্পড়াতে থাকে আর বলতে থাকে,,,,,,আরে ছাড়,,, ছাড় না হলে কিন্তু কামড় দিমু।
মা,,,,,,,,,,, আমি কিন্তু এখানে আসতে বলছি আমার রাগ উঠার আগে এখানে চলে আয় (রাগে)
আহান হাত ছেড়ে দেয়, দিয়া আসে। খালা তার হাত ধরে বলে,,,,,,,, আহান কি তোকে বিয়ের জন্য জোরাজোরি করছে।
দিয়া,,,,,,, না খালামনি।
মা,,,,,,,,,, ওকে তুই মাফ করে দিয়েছিস।
দিয়া,,,,,, হুমম
মা,,,,,,,এতো সহজে কেনো।
দিয়া,,,,,,,,, কারন,, খালা মনি,, কারন,,,,,, কারন আমি ওকে ভালোবাসি।
সবাই তার মুখের দিকেই তাকিয়ে আছে, কেও কিছু আর বলছে না, দিয়া নিচের দিকে মুখ করে আছে।
মা,,,,,,,,, বিয়ে যখন করবেই,, তখন বিয়েটা এখানেই হবে, আর রুহির বিয়ের দিন হবে। দুই বিয়ে একে দিনে হবে। এখানে আমি আর কোনো কথা শুনতে চাই না।
আহান,,,,,,,,,,আর হ্যাঁ এখন থেকে দিয়াকে কিছু বলার আগে আমার সাথে কথা বলতে হবে।
মা,,,,,,,,,অনেক কাজ আছে সবাই ফ্রেশ হয়ে খেয়ে কাজে লেগে যাও।
মানিক হায় তুলতে তুলতে বলে,,,,,,,,, আমার অনেক ঘুম পাচ্ছে, আমি ঘুমাতে গেলাম, আর কারো ডাকার দরকার নেয়, আমি নিজ দায়িত্বে উঠে নিবো, আমার ভাগের কাজ গুলো রেখে দিয়ো উঠে করে নিবো,, গুড নাইট মানে মনিং, যাই হোক,, আমি গেলাম আর হ্যাঁ বিয়ের জন্য কংগ্রাচুলেশনস।
বলে হায় তুলতে তুলতে চলে যায়। সবাই ওর দিকেই তাকিয়ে থাকে।
রিমান,,,,,,,,, যার জন্য এতো কিছু তার কোনো রিয়াকশনি নাই,, একদম স্বাভাবিক।
মানিক রুমে যেতে নেয় তার মা তাকে ডাক দিয়ে বলে,,,,,তোকে বলেছিলাম এমন কিছু করতে যেনো ওরা আর এই বাড়িতে না থাকে, আর ওরা দুজন আলাদা হয়ে যায়,তুই তো ওদের বিয়ে সহ এই বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করে দিলি।
মানিক,,,,,,,,, ওদের আলাদা করে আমার কোনো লাভ নেয় কিন্তু ওদের বিয়ের মধ্যে আমার অনেক লাভ আছে।
,,,,,,,,, কি লাভ।
,,,,,,,,,,আরে বিয়ের পরে তো আমার পালা তাই,, তুমি বুঝবা না,, আর বিয়েতে অনেক মেয়েরাও আসবে বুঝলে।এখন আমাকে ঘুমাতে দাও পিল্জ টাটা পরে কথা হবে।(বলে দরজা বন্ধ করে দেয়)
,,,,,,,,,,,
রিমান,,,,,,,, দেখ না সবাই বিয়ে করছে।
রুহি,,,,,,,, হুমম আমিও করছি।
রিমান,,,,,,,,, তুই করলে তো আমিও করবো।
,,,,,,করবেই তো মেরিন এর সাথে।
,,,,,,,, ওকে তো মানা করে দিছি,, মানা করাটা ঠিক হয়নি তাই না।
,,,,,,,তাহলে কেনে করলে মানা।
,,,,,,,,,তোকে বিয়ে করবো বলে। এখন এক সাথে তো দুটো করতে পারবো না, অবশ্য তোরা দুজন রাজি থাকলে আমার কোনো সমস্যা নেয়।
,,,,,,,,,,আরে কি শখ,,, আমি বিয়ে করবো না তোমাকে।
,,,,,,,,,,তোর করা লাগবে না, আমি করবো তোকে বিয়ে।
,,,,,,হেহহ আমি রাজি না থাকলে কিভাবে করবে।
,,,,,,,,,,, উঠিয়ে নিয়ে যাবো।
,,,,,,,,,,, সাহস আছে।
,,,,,,,,,অনেক।
,,,,,,,,,,, দেখা যাবে।
,,,,,,,,,ছিঃ এখনো বিয়েই হলো না আর কিসব দেখা দেখির কথা বলছে লুচু কোথাকার।
বলে চলে যায়। রুহি বেক্কেল এর মতো দাঁড়িয়ে বলছে,,,,,ঐ কি বলছো,, আমি কি বললাম আর ও কি মনে বের করলো শয়তান ছিঃ।
চলবে,,,,,,