#শান্তি_সমাবেশ
#সাইয়্যারা_খান
#পর্বঃ১২
বৃষ্টি বৃষ্টি ভাব থাকলেও বৃষ্টি’র দেখা নেই সারাদিন। মৃত্তিকা আলসেমি ঝেড়ে বারান্দায় গেলো। সেখানে ছোট বড় কিছু গাছের চারা আছে। তাতেই কয়েকটা ফুল ফুটেছে। সদ্য ফুটা ফুলগুলোকে বেশ যত্ন করছে মৃত্তিকা। হাতে তার পানি’র পাইপ। সেটা দিয়েই পানি দিচ্ছে। এই কাজ করতে গিয়ে নিজেকে ভিজিয়ে অনেকখানি। বুঝা দায় সে গাছে পানি দিয়েছে নাকি নিজেকে। বেশ আনন্দ সহিত কাজটা করছে সেটা স্পষ্ট। মনটা ও ফুরফুরা অনেক। ঐ দিন পূর্ণ’র ঐসব কথায় বেশ ভয় এবং অসস্তি’তে পরেছিলো ও। আজ পূর্ণ স্বাভাবিক ছিলো। তার স্বাভাবিক হওয়া মানে ঐ যে আগের পূর্ণ। মৃত্তিকা’র সাথে গম্ভীর অথচ ভালোবাসাময় আচরণ। কিছু কথায় দুষ্টামী যা ধরা দায়। কখনো বা কথার মাঝে লুকায়িত হাসি সেটাও বুঝা কষ্ট সাধ্য। মোট কথা চমৎকার ছিলো আজ দেড় ঘন্টা। এই সময়গুলোতে ও ছিলো পূর্ণ’র সাথে।
তাদের প্রেম চলে। অঘোষিত প্রেম। বুঝা যায় না। প্রেমময় আলাপ হয় না। হাত ধরাধরি হয় না। কাঁধে মাথা রাখা হয় না। কখনো হয়তো ভালোবেসে বুকে নেয়া হয় না। তবুও প্রেমটা কিন্তু চলছে। বেশ ডুবাডুবা প্রেম। অতলে হারিয়ে গেলেও পূর্ণ টেনে তুলে তাকে গম্ভীর স্বরে। অনুভূতি’র পাচার ঘটায় তারা কিন্তু খুবই সুক্ষ্ম ভাবে। মৃত্তিকা এখন কারো কথার ধার ধারে না। সিনিয়র কেউ ওকে জ্বালাতনও করে না। ইশিতার ব্যাপারটা পরে হিমু’র কাছে জানতে পেরেছিলো মৃত্তিকা। ইশিতার রিলেশন ছিলো কোন এক ছেলের সাথে। ঐ ছেলে ছিলো পূর্ণ’র দলের একজন। তাদের ই কিছু অতি গোপনীয় ছবি ভাইরাল হয়েছিলো ভার্সিটির বিভিন্ন গ্রুপে। সবসময় দাপটে চলা মেয়েটা হয়তো সহ্য করতে পারে নি নিজের এমন অপদস্ত হওয়া তাই বেঁছে নিয়েছিলো সহজ কিন্তু নিকৃষ্ট উপায়। ভাগ্যের জোরে বেঁচে এখন বাসায়ই আছে।
মৃত্তিকা’র শুনে আফসোস হয়েছিলো। পরক্ষণেই মনে পরেছিলো পূর্ণ’র বলা কথাটা, “খারাপের সাথে খারাপ ই হবে”।
দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিজে পরে থাকা একটা অলকানন্দা কুড়িয়ে নিলো। পুরো তাজা ফুলটা কিভাবে যেন পরে গিয়েছে। হঠাৎ খেয়াল হলো আজ পূর্ণ’র বড় কোন কাজ আছে। সিটি’র মেয়রে’র সাথে কোন সেবামূলক কার্যক্রমে কথাবার্তা হবে। মৃত্তিকা মাঝেমধ্যে অবাক হয়। পূর্ণ নিজের অভ্যন্তরীণ সকল খুঁটিনাটি কাজের কথা সব জানায় মৃত্তিকা’কে। আসলে ওদের কথাবার্তা হয়ই এসব নিয়ে। পূর্ণ নিজের দলের কথা, কোথায় কি হবে, কবে হবে এসবই বলতে থাকে। মৃত্তিকা মনোযোগ দিয়ে তা শুনে। কেন না না বুঝা সেইসব বিষয় তার কাছে প্রচুর আকর্ষণীয় মনে হয়। আসলে মানুষটাই আকর্ষণীয় তার কাছে।
.
— আম্মা? কোথায় আপনি? মা বাবা খুঁজছি না? বেরিয়ে আসুন।
বারান্দা থেকেই গলা উঁচিয়ে জবাব দিলো মৃত্তিকা,
— আব্বু। এখানে আমি। বারান্দায়। আসো তুমি।
প্রায় মিনিটের ব্যবধানে ওর বাবা হাজির হলেন। হাতে একটা ছোট্ট ট্রে। সেটা বারান্দার টেবিলে রেখে মেয়ের হাত থেকে পানির পাইপ’টা নিয়ে সাইডে রাখতে রাখতে বললেন,
— কতক্ষণ ধরে ডেকে যাচ্ছি আপনাকে বাচ্চা। বাবা ভয় পাই তো।
— আমি তো এখানেই ছিলাম।
কথাটা বলতে বলতে বলতে গাছ থেকে একটা অলকানন্দা ছিঁড়ে বাবা’র কানে গুজে দিয়ে আহ্লাদী কন্ঠে বললো,
— দেখো আমরা সেইম সেইম।
মৃত্তিকা’র বাবা হাসলেন। চমৎকার হাসি তার। মেয়ের ডান হাতটা নিজের হাতে নিয়ে চুমু খেয়ে বললেন,
— ধন্যবাদ প্রিন্সেস।
মেয়ের মুখের হাসির দিকে কিছুক্ষণ অনির্মেষ তাকিয়ে রয়ে আদুরে গলায় বললেন,
— পুরো ভিজিয়ে ফেলেছেন নিজেকে আম্মা। বাবা অপেক্ষা করছি এখানে। যান চেঞ্জ করে আসুন।
মৃত্তিকা বাবা’র চোখের সামনে দুই আঙুল দেখিয়ে বললো,
— দুই মিনিটে আসছি আমি।
বলেই দৌড়ে। পেছনে বাবা’র কন্ঠের চমৎকার হাসিটা ও অগচড়ে শুনে নিলো।
ওর বাবা এক নজর বাইরে দিলেন পরপর ফুলের চাড়াগুলোতে। প্রত্যেকটা চাড়ায় তার মৃত্তিকা’র ছোঁয়া আছে। ছোট থেকেই মেয়েটা বাবা পাগল। একা পালার দরুন পেলেছেন ও ঠিক বুকে রেখে। চোখে’র পাতায় পাতায় রেখে। ক্লাস টেইন পর্যন্ত তো মৃত্তিকা ঠিক মতো নিজ হাতে খেতেও পারত না। অফিস থেকে দুপুরে এসে মেয়ে খায়িয়ে আবার যেতেন। কখনো কারো ভরসায় মেয়েকে ছেড়ে দেন নি। স্বার্থ, ক্ষমতা দুটোই ছিলো। ছিলো ভরা যৌবন। চাইলেই নারী সুখ বেছে নিতে পারতেন। তিনি বেছে ও নিয়েছেন। তার একান্ত নারী। তার মা। তার প্রিন্সেস। তার ছোট্ট রাজ্যের রাণী। তার বোকারাণী। মেয়েটা এখন পর্যন্ত চালাক হলো না। তিনি হতে দেন নি। থাক না রাবণ ভর্তি দুনিয়ায় কিছু রাম। বাজপাখির ভিরে থাকুক একটা বোকাপাখি। বাবা’র বাবুই পাখি।
এতসব ভাবনার মাঝেই মৃত্তিকা হাজির। একটা গোল গোল ছাপার ঢোলা প্যান্ট সাথে বড় সূর্য আঁকা একটা টিশার্ট পড়ে হেলেদুলে বাবা’র কাছে এসে একদম গা ঘেঁষে। মাথাটা রাখলো ঠিক বাবা’র বুকের কাছে। লম্বা লম্বা শ্বাস টেনে বললো,
— তোমার ঘ্রাণ আমার খুব ভালোলাগে আব্বু।
ওর বাবা মেয়ে’র মাথায় তখন হাত বুলাতে ব্যাস্ত। মৃত্তিকা অল্প মাথা তুলে আবারও বললো,
— আচ্ছা আব্বু তুমি বুড়ো না কেন? এত হ্যান্ডসাম আব্বু হয় কারো? তুমি কত সুন্দর।
মেয়ের মাথায় থাকা এবড়োখেবড়ো সিঁথিতে একটা চুমু খেয়ে উত্তরে বলে উঠলেন,
— আমার আম্মা যে সুন্দর তাই তার বাবা ও সুন্দর।
ট্রে তে থাকা কাপে চা ঢেলে বাপ-বেটি মজা করে খেলো। বিকেল। সুন্দর একটা বিকেল বিলাস একেই বলে। রং তুলির আঁচড়ে আঁকা সুন্দর একটা মিঠা মিঠা অনুভূতি জড়িত তাদের এই সময়।
হঠাৎ বাবার গলায় চমকালো মৃত্তিকা। বাবা শুধু মিঠি’র মাকে ডেকে বলেছেন তেল এনে দিতে। এতেই মৃত্তিকা লাফিয়ে কুদিয়ে উঠেছে। ওর হাতের কবজি বাবা’র বড় হাতের মাঝে আটকানো। নরম কন্ঠে অনুরোধ করে উঠলো মৃত্তিকা,
— আজকে তেল দিব না আব্বু।
— উহু কোন কথা নেই। আমার এত সুন্দর চুলগুলো কি করেছেন দেখেছেন?
— তোমার চুল এগুলো?
— হ্যাঁ।
মৃত্তিকা গাল দুটো ফুলিয়ে চুপ করে বসলো। ওর বাবা তখন ঠোঁট টিপে হাসছেন। আল্লাহ জানে কি সমস্যা এই মেয়ের। তেল দেখলেই লাফাবে। আবার চুল ঝড়া ধরলেই কাঁদো কাঁদো গলায় বাবা’কে বলবে,”আব্বু আমার চুল পড়ে যাচ্ছে”।
মেয়ের মাথায় তেল লাগিয়ে আঁচড়ে সুন্দর মোটা একটা বেণী করছেন তিনি। মিঠি’র মা মন ভরে দেখছেন সেই দৃশ্য। বাবা-মে একজন ছাড়া একজন থাকতে পারে না। মৃত্তিকা ফুলের দিকে তাকিয়ে আচমকা বলে উঠলো,
— আব্বু দেখো আমার ফুলগুলো দিন দিন সুন্দর হচ্ছে না?
— আপনার ফুল? কয়বেলা পানি দেন?
— এই যে আজ দিলাম।
বেশ গর্বের সহিত বললো মৃত্তিকা। ওর বাবা আনমনেই বলে উঠলেন,
— আপনিও আমার অনেক যত্নে ফুটানো একটা ফুল আম্মা যাকে একদিন অন্য কেউ এসে নিজের দাবি করে নিয়ে যাবে যদিও সে আপনার মতো এই একদিন গাছে পানি দেয়া মালি।
_____________________
— নিজেকে ঠিক করো। এভাবে তোমার সাথে বেড় হতে লজ্জা লাগে আমার।
হিমু মাথা নামিয়ে রেখেছে। রুপা রুষ্ট কন্ঠে আবারও বলে উঠলো,
— গত কাল না বললাম আমার সিমে টাকা পাঠাতে? পাঠাও নি কেন? এতটুকু ও করা যায় না?
— টাকা ছিলো না সাথে।
— বেতন পাও নি?
এবার কিছুটা নরম কন্ঠে বললো রুপা। হিমু সস্তির শ্বাস ফেলে বললো,
— কত তারাতাড়ি রেগে যাও তুমি।
— কিছুটা।
— অনেকটা।
দুজনই হেসে ফেললো হঠাৎ। রুপা চিন্তিত হয়ে জিজ্ঞেস করলো,
— পড়াশোনা কেমন চলে?
— এই তো ভালোই।
— হুম। আচ্ছা গত মাসের টাকাটা কি করেছো?
— উজ্জ্বল থেকে হাওলাদ নিয়েছিলাম। ওর টাকা ফরত দিলাম।
রুপা’র চোখে তখন ক্রোধ দেখা দিলো। উজ্জ্বল ছেলেটা অতিরিক্ত বাদর। ফাঁতরা স্বভাবের। রুপা’কে দেখলেই কেমন শয়তান শয়তান লুক দেয়। রুপা কিছুটা বিরক্ত হওয়া স্বরে বললো,
— ওর থেকে দূরে থাকবে একদম। সহ্য হয় না আমার ওকে একদম।
হিমু চুপ রইলো। চাইলেই কি এমন বন্ধুত্ব নষ্ট করা যায়? আবার রুপা ও কেন জানি উজ্জ্বল কে সহ্য করতে পারে না। উজ্জ্বল’টা রাগ চটা তবে নরম সত্তা’র। ওর ভাবনার মাঝেই রুপা বলে উঠলো,
— আমার একটা কাজ করতে পারবে হিমু?
হাতে চাঁদ পাওয়ার ন্যায় হাসলো হিমু। দুরবোধ্য হাসলো রুপা।
____________________
দলের কিছু কাজ শেষে বাড়ি ফিরবে পূর্ণ। আজ মেয়রের সাথে মিটিং ছিলো। এগুলো হলো ছোট ছোট ধাপ যা পার করছে পূর্ণ তার রাজনৈতিক জীবনটা শক্ত করতে। ঐ দিনের ঐ বো*মা হামলার কারণেই আজ সে মন্ত্রীদের নজরে নজরে। অবশ্য আগে থেকেই সে যথেষ্ট চর্চিত ছাত্রনেতা হিসেবে। এখন হয়তো একটু বেশি। এখন সন্ধ্যা। তার যেতে হবে কোচিং এ। মাসের টাকা তুলা হবে আজ। আগে কোচিং এ পড়াতো। ভালোই ইনকাম হতো। বছর দুই হতে চলছে সে নিজের কোচিং সেন্টার খুলেছে। সেখানে স্টুডেন্ট ও অনেক। সাইড ইনকাম থেকে এখন মেইন ইনকাম সেটা। বাইকে উঠতেই নীল তাদের দলের একজন ছেলে বলে উঠলো,
— ভাই সাফারাত মির্জা আসছে এ দিকে।
প্রচন্ড বিরক্তিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠলো পূর্ণ। এমনিতেই আজ মৃত্তটার সাথে বেশি সময় কাটাতে হয় নি৷ মেজাজ তাই বেজায় খারাপ। এখন আবার কি না এই উটকো ঝামেলা। পাঞ্জাবীর হাতাটা গুটাতে গুটাতে বাইকে চাবি ঘুরাতেই তার দলের ছেলে পুলেরাও নিজেদের বাইকে উঠে পরলো। পূর্ণ গম্ভীর কণ্ঠে বলে উঠলো,
— আমি কোচিং এ যাচ্ছি। তোরা যা এখন।
পূর্ণ ভক্ত ছেলেপুলে’রা গেলো না। তাদের ভাই আগে থাকে তারা থাকে পেছনে। সেখানে ভাইকে রেখে একা যাবে না তাও কি না সামনে আসছে সাফারাত মির্জা। পূর্ণ ওদের যেতে না দেখে কিছুটা চাপা ধমক দিতেই তারা বাইকে ঘুরালো। পূর্ণ জানে সবগুলো অলি গলি তেই থাকবে। পূর্ণ’র যথেষ্ট বাধ্য বলে কথা মানতে সরেছে শুধু।
সাফারাত এগিয়ে একদম পূর্ণ’র সামনে দাঁড়িয়ে হাসি মুখে সালাম দিয়ে বললো,
— কোথায় যাচ্ছিস পূর্ণ?
— তোর কবর খুঁড়তে।
বেশ শান্ত স্বরে বলে উঠলেও সাফারাত গায়ে মাখলো না। ও জানে পূর্ণ কেমন। কিছু না বলে সোজা পূর্ণ’র বাইকের পেছনে বসতেই পূর্ণ থমকে গেলো। সাফারাতও নাছোরবান্দা। ও জানে পূর্ণ বাইক চালাবে না তাই পেছন থেকে কোমড় আঁকড়ে ধরে বসে রইলো। এবার যেন পূর্ণ হতভম্ব হয়ে গেল সাফারাতের এহেন আচরণে। দাঁত চেপে শাসিয়ে উঠলো,
— নাম আমার বাইক থেকে। নাম বলছি। আর ছাড় আমাকে।
সাফারাত নামবে তো দূর উল্টো জড়িয়ে ধরলো পেছন থেকে। দুষ্টামীর স্বরে বললো,
— দোস্তানা…..
— জাস্ট স্যাট আপ রাত…
সাফারাত’কে থামিয়ে কথাটা বলতে গিয়েও থেমে গেলো পূর্ণ। মুখ ফসকে রাত নামটা বেরিয়ে গিয়েছে। সাফারাতের চোখ ভিজে উঠলো যেন। হোক না মুখ ফুসকে তবুও তো আজ এত বছর পূর্ণ রাত নামে ডাকলো ওকে। নিজেকে সামলে সাফারাত বলে উঠলো,
— সামনে গিয়ে বামে। এরপরই চাচার টঙ। চল চা খাই।
বিনিময়ে গালির দুইটা অক্ষর উচ্চারণ করেও থেমে গেলো পূর্ণ। বাইক ঘুরিয়ে টানলো টঙের দোকানে।
.
সামনা সামনি বসে আছে দুইজন। দু’জনের হাতেই চায়ের কাপ। পূর্ণ নিজের মতো চুমুক বাসাচ্ছে। সাফারাত হঠাৎ ই বলে উঠলো,
— কি লাভ হলো ঐদিন বো*মা মেরে?
পূর্ণ চমকালো না। ও জানতো সাফারাত বুঝে যাবে যে এই কাজ পূর্ণ’ই করেছে। পূর্ণ’র নির্লিপ্ততা দেখে সাফারাত যথেষ্ট গম্ভীর কণ্ঠে বললো,
— তোর ও তো ক্ষতি হতে পারত পূর্ণ। কেন করেছিলো এমন? নামটা আমার পরলো। কতটা হ্যাসেল পোহালাম। মানুষ মা*রা যেতে পারত পূর্ণ।
— মরে নি কেউ।
— যদি মরতো?
— সেই সুযোগ রাখিনি।
বলেই পন্চাশ টাকা টঙে’র দোকানে’র চাচাকে দিয়ে চলে গেল। সাফারাত দীর্ঘ শ্বাস ফেলে দোকানের চাচা’র দিকে তাকিয়ে বললো,
— চাচা চা দুই কাপ বিশ টাকা। আমার বন্ধু তো দিলো পন্চাশ টাকা। বাকি ত্রিশ টাকা ফেরত দিন।
দোকানী মুখটা ভার করে টাকা ফেরত দিলেন। সাফারাত পকেটে টাকা ভরে সামনে চললো৷ দোকানদার বেশ অবাক এমন আচরণে। দেখে তো কত বড়লোক মনে হয় অথচ ত্রিশ টাকা ছাড়লো না।
#চলবে….