শান্তি সমাবেশ পর্ব-২৫

0
786

#শান্তি_সমাবেশ
#সাইয়্যারা_খান
#পর্বঃ২৫

পূর্ণ বেশ অবাক হলো নতুন ভাবে মৃত্তিকা’কে দেখে। সে আগেই জানত মৃত্তিকা ওর বাবা’র অনেকটা ক্লোজ তাই বলে এতটা পাগল ধারণা ছিলো না। খাওয়া দাওয়া শেষ করে যখন পূর্ণ যাওয়ার নাম নিলো তখন বেঁকে বসেছে মৃত্তিকা। পূর্ণ চোখের ইশারায় বুঝাতে চাইলেও বুঝে না মৃত্তিকা। বুঝতে চায় না মূলত তাই তো পূর্ণ’র চোখের দিকে তাকালোই না। এদিকে অসহায়, অস্থির পূর্ণ। বউ ছাড়া সে থাকতে পারবে না। দেখা গেলো বউয়ের শোকে নির্বাচনের আগেই না পাগল হয়ে গেল। মৃত্তিকা ওর বাবা’কে ছাড়েই নি আসার পর থেকে। দুইটি রাত একটা দিন মোটেও কম কথা নয়। মৃন্ময় হাওলাদার নিজেও নিজেকে সামলাতে পারছেন না৷ পূর্ণ’র দিকে তাকিয়ে নরম গলায় বললেন,

— আজ থাকুক আমার কাছে। থেকে যাও।

কথাটা শুনেই মৃত্তিকা’র ঠোঁটে হাসি ফুটলো। পূর্ণ লক্ষ্য করলো সেই হাসি। না চাইতেও সায় দিলো,

— আমার একটু কাজ আছে আব্বু। এখন বের হব।

— রাতে সোজা এখানে এসে পরো কিন্তু নাহলে এই পাগল যাবে না।

কথাটা একটু ধীর স্বরেই বললেন তিনি। পূর্ণ খুবই সুক্ষ্ম হাসি দিয়ে বললো,

— উনি বাধ্য আমার কাছে আসতে। একদিন না পেলে নিজেই ছটফট করবে।

মৃন্ময় হাওলাদার জানেন একথা। পূর্ণ’র পিঠ চাপড়ে ভরসা দিলেন। একপলক মৃত্তিকা’র পানে তাকিয়ে চলে গেল পূর্ণ। তার গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ আছে।

এদিকে মৃত্তিকা যেন হাতে চাঁদ পেয়ে বসলো। বাবা’র গলা জড়িয়ে ই প্রথম আবদার,

— আজকে অফিস যাবে না।

— যথা হুকুম রাণী সাহেবা।

— আমি তো রাজকন্যা।

— আগে ছিলেন এখন আপনি রাণী আম্মা। গোটা রাজ্যের রাণী আপনি।

অবুঝ চোখে কিছুক্ষণ তাকালো মৃত্তিকা। পরপর মাথা রাখলো বাবা’র হাঁটুর উপর। গল্প জুড়লো নিজের শশুর বাড়ী নিয়ে। মৃন্ময় হাওলাদার শুনলেন মেয়ের সকল কথা। মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে মিঠি’র মা গরম তেলের বাটি নিয়ে হাজির৷ ঘুমন্ত মেয়ের চুলে সুন্দর করে তেল দিলেন মৃন্ময় হাওলাদার। না জানি সুযোগটা আসে আবার।

_____________________

নির্বাচন অতি নিকট। আজ পূর্ণ’কে দল থেকে ডাকা হয়েছে। বর্তমান সময়ের গরম গরম বেশ খবর তাকে নিয়ে। অল্প বয়সী তরুণ তরুণীদের মাঝে বেশ রেশ তাকে নিয়ে এমনকি প্রবীণ’রা ও অনেকেই তার পক্ষে। এমন যুবই তাদের দরকার। এই বয়সী ছেলে-মেয়ে’রা থাকে দামাল। তাদের নখদর্পনে থাকে ভীতিহীনতা। দেশে ও এর জণগণের জন্য তো এমনি নেতা দরকার।
তাছাড়া পূর্ণ’র পক্ষ নিয়ে এবার কথা উঠেছে দলের মধ্যে। মন্ত্রী’রা যেখানে তাকে নিয়ে কথা তুলেছে সেখানে আর অবকাশ রইলো না পূর্ণ’কে নিয়ে। এবার নির্বাচনে তাকে দলের হয়ে দাঁড়া করাতে ইচ্ছুক তারা। কিন্তু সমস্যা হলো পূর্ণ নিজে। নিজের দল ছেড়ে সে কোন মতেই অন্য দলের প্রতিনিধিত্ব করতে চায় না। তার এককথা, “গাছ যতই বড় হোক না কেন নিজের শিকড় ভুলে না”। পূর্ণ ও ছাত্র রাজনীতি ছাড়তে নারাজ। যেই রাজনীতি ধরে আজ এতদূর কোনমতেই সেটা সে ছাড়বে না। এর আগে যখন তাকে ডাকা হলো এটাই ছিলো তার কথা। যথেষ্ট বিচক্ষণতার সাথে উত্তর দিয়েছে সে।

এই দফা মিটিং এ এই বিষয়েই কথা উঠলো। এমপি পদ’টা পূর্ণ চায়। মন্ত্রী শাজাহান খান বেশ বিচক্ষণ পুরুষ। আজকে ডেকেছেন পূর্ণ’কে। এই ছেলেকে দিয়ে দলের লাভ বৈ ক্ষতি হবে না।
পূর্ণ যথাসময়ে উপস্থিত হলো। সভার এক পর্যায়ে শাজাহান খান বললেন,

— প্রস্তাবটা তাহলে গ্রহণ করলে না।

মৃদু হাসলো হয়তো পূর্ণ। বাচনকৌশলে জানালো,

— সেটা তো আগের বার জানালাম আঙ্কেল।

মাঝেমধ্য অবাক হন শাজাহান খান। ছেলেটা বয়স অনুযায়ী যথেষ্ট গম্ভীর। কন্ঠে যেন তেজ সর্বদা ঠালা থাকে৷ অল্প হেসে প্রস্তাব দিলেন,

— আমি তোমার সিদ্ধান্তকে সম্মান করলাম পূর্ণ। আশা করি আমার সিদ্ধান্ত ফেলে দিবে না। আমি চাইছি তুমি আমাদের দলের হয়ে এবারের এমপি নির্বাচনে দাঁড়াও। আর হ্যাঁ অবশ্যই তুমি পূর্বে যেখানে ছাত্র রাজনীতি করেছো সেটা বহাল থাকবে। তুমি তোমার দলের উন্নয়ন করো। আমার কিংবা দলের তাতে সমস্যা নেই।

পূর্ণ মনে মনে হাসলো। মাথা তুলে গম্ভীর কণ্ঠেই জানালো,

— আমিও আপনার মতামতকে সম্মান করলাম আঙ্কেল। আশা করি ভালো হবে পথ চলা।

শাজাহান খান’কে বেশ উৎফুল্ল লাগলো। তিনি বেশ ভালো করেই জানেন পূর্ণ’কে দিয়ে তাদের দল আগাতে উদ্যম গতিতে। ছেলেটা যথেষ্ট কাজের কি না।
নির্বাচন যেহেতু সামনে তাই বেশ জোড়সড় করেই এখন থেকে কাজ শুরু হয়ে যাচ্ছে দলের। পূর্ণ’র সাথে জরুরি কিছু বিষয়ে কথা বলে সভা ত্যাগ করলেন তারা।
.
বাসায় যেতে নিতেই পূর্ণ’র মনে পরলো বউ তো বাসায় নেই। ফোনটা হাতে নিয়ে মা’কে জানিয়ে সোজা রওনা দিলো শশুর বাড়ী। বউ ছাড়া থাকা সম্ভব না তার৷ একদমই না।
রাত প্রায় দশটার দিকে শশুর বাড়ী পৌছালো পূর্ণ। দরজা খুলেই হাসি মুখে সালাম জানালো মিঠি। পূর্ণ উত্তর দিয়েই ভেতরে ঢুকলো। ড্রয়িং রুম একদমই ফাঁকা। মিঠি ততক্ষণে দৌড়ে রুমে ঢুকে মৃন্ময় হাওলাদারকে খবর জানিয়েছে যে পূর্ণ ভাই এসেছে। ঘুমন্ত মেয়ের কপালে চুমু খেয়ে উঠে দাঁড়ালেন মৃন্ময় হাওলাদার। পা বাড়ালেন বাইরের দিকে।
পূর্ণ’র বরাবর সামনে বসা মৃন্ময় হাওলাদার। শুরুতেই পূর্ণ জানালো,

— শাজাহান খানের সাথে মিটিং ছিলো। প্রস্তাব দিয়েছে এবারের এমপি পদের জন্য।

মৃন্ময় হাওলাদার ঠান্ডা স্বরে জিজ্ঞেস করলেন,

— রাজি হওয়াটা তোমার রাজনীতিক ক্যারিয়ার গঠনের মূল মই।

— মই আজ দাঁড় করালাম আব্বু।

হাসলেন মৃন্ময় হাওলাদার। ছেলেটার বুদ্ধি প্রশংসনীয়।
পূর্ণ’র সাথে বেশ আলাপ আলোচনা হলো রাজনীতি নিয়ে। এরমধ্য অবশ্য মিঠি’র মা তাদের হালকা নাস্তা ও দিয়েছেন।
বেশ সময় পর মৃন্ময় হাওলাদার পূর্ণ’কে বললেন,

— আম্মার খেয়াল তুমি রাখবে পূর্ণ সেটা আমার জানা। তবুও বলছি। জানোই তো এত তারাতাড়ি কেন তোমার কাছে দিলাম। আশা করি তার অযত্ন হবে না।আমার দেয়া আমানত উনি পূর্ণ। খেয়ানত করো না।

বেশ সরস গলায় পূর্ণ জানালো,

— আপনার আমানত এখন আমার আব্বু। খেয়ানতের প্রশ্ন কেন উঠছে?

মৃদু হাসলেন মৃন্ময় হাওলাদার। তিনি জানেন পূর্ণ কথা রাখবে। হালকা স্বরে বললেন,

— অনেকক্ষণ হলো এসেছো। আম্মার রুমে যাও। ফ্রেশ হও।

— মৃত্ত কোথায়?

— আমার কাছেই ছিলো। ঘুমিয়ে আছে।

পূর্ণ উঠে দাঁড়ালো। উদ্দেশ্যে ফ্রেশ হওয়া।
পূর্ণ’র যাওয়ার পানে তাকিয়ে শুকরিয়া আদায় করলেন মৃন্ময় হাওলাদার। তার কলিজার টুকরো সঠিক হাতে আছেন এটা তিনি জানেন।
.
ফোনের শব্দে ঘুম ভেঙে গেলো মৃত্তিকা’র। উজ্জ্বল নামটা জ্বলজ্বল করে উঠছে। হাত বাড়িয়ে সেটা নিয়ে কানে ধরতেই চটপটে গলার স্বরে কানে বাজলো,

— কিরে তোর খবর কি বিয়াইত্তা মাইয়া? তুই তো মাম্মা আমাবস্যা’র চাঁদ হইলা গেলি মনু। জামাই বউ মিল্লা যে ভার্সিটি ত্যাগ করলি একসাথে বিয়া করে কোন খবর রাখস কি হয় এদিকে।

একদমে এতকথা বলে দম নিলো উজ্জ্বল। মৃত্তিকা হঠাৎ এত কথা শুনে একটু চমকালো। সবে দুই দিন ও ভার্সিটি যাচ্ছে না। ঘুম জড়ানো কন্ঠেই জিজ্ঞেস করলো,

— কি হয়েছে উজ্জ্বল? তুই কি হিমু’র সাথে ঝগরা করে আমাকে ঝারছিস?

দমলো উজ্জ্বল তবে বেশি না। মূলত ঐ রুপা’কে নিয়েই তাদের মাঝে ঝগরা লেগেছে আবার। হিমু’র উপর আপাতত বেজায় চড়ে আছে উজ্জ্বল। ঠিক কতটা ছেঁচড়া হলে একটা ছেলে এমন আচরণ করে? এত লাঞ্ছনা, বঞ্চনা কিছুই যেন গায়ে মাখে না। ঐ রুপা ও আবার এক কাঠি উপরে। ইদানিং মিষ্টি মিষ্টি মুখে হিমু’কে দিয়ে কাজ হাসিল করে নিচ্ছে। এটা নিয়েই মূলত ঝগরাটা লেগেছে।

উজ্জ্বল বিরস মুখে জানালো,

— সামনের মাস থেকে ফাইনাল শুরু। গ্রুপে দেখস নি?

— দেখেছি। আমি তো আজকে বাসায় এলাম। আগামী কাল আসব ভার্সিটিতে।

— আগে জামাই এর সেবা কর। কালকে যেই মারামারি করলো পূর্ণ ভাই…..

কথাটা শেষ করতে না করতেই মৃত্তিকা ছটফটিয়ে উঠলো। উদিগ্ন হয়ে জিজ্ঞেস করলো,

— কার সাথে লেগেছিলো?

— সাফারাত মির্জা।

— সাফারাত মির্জা?

— হ্যাঁ। আরে ঐ নেতা শোয়েব মির্জা’র পোলা।

মৃত্তিকা চিনলো না। তবে সাফারাত নামটা চেনা লাগলো তার নিকট। শুধু জিজ্ঞেস করলো,

— কারণ জানিস উজ্জ্বল?

— উউউ না রে। তা তো জানি না। ক্যান ভাই বলে নাই?

মৃত্তিকা চমকালো। তবুও বললো,

— আমি আসলে জিজ্ঞেস ই করি নি।

টুকটাক কথা বলে ফোন রাখলো মৃত্তিকা। ওয়াসরুমে ঢুকে মুখে পানি দিয়ে বের হলো রুম থেকে। ড্রয়িং রুমে যেতে যেতে ডাকতে লাগলো,

— বাবা? বাবা….

কথা আটকালো সামনে তাকিয়ে। পূর্ণ’র ভেজা কপালে থাকা ছোট্ট পট্টি’টা মৃন্ময় হাওলাদার খুলে চেঞ্জ করয়ে দিচ্ছেন। মৃত্তিকা’র ডাকে দুইজনই এদিকে তাকালো। পূর্ণ একটু বেশিই গভীর ভাবে তাকালো। শাড়ী নেই পরণে তার মৃত্ত’র। ঢোলা টিশার্ট সাথে নরম কাপড়ের ফুলের ছাপা’র প্যান্ট। কোঁকড়ানো চুলগুলোতে বেণী করা। এই তো শ্যামা মৃত্ত। মৃন্ময় হাওলাদার না থাকলে নিশ্চিত কান্ড ঘটাতো পূর্ণ। এতটুকু ভরসা ওর নিজের উপর আছে। বউ দেখলেই মন চায় আদর করতে। একদম নিজের কোলে বসিয়ে রাখতে।
মৃন্ময় হাওলাদার হাসি মুখে জিজ্ঞেস করলেন,

— ঘুম ভেঙেছে আম্মা?

— আমি কখন ঘুমালাম আব্বু? ডাকলে না কেন?

কথা বলতে বলতেই এগিয়ে এলো বাবা’র নিকট। তখনই মিঠি হলুদ রঙের দুধ সামনে রেখে বললো,

— মামা এই যে দুধ।

মৃন্ময় হাওলাদার সেটা পূর্ণ’র হাতে দিয়ে বললো,

— খেয়ে নাও এটা। ডিনার শেষে মেডিসিন নিবে পূর্ণ।

মৃত্তিকা ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে না বুঝে জিজ্ঞেস করলো,

— কিসের মেডিসিন?

মিঠি ফটর ফটর করে বললো,

— দুলাভাই এর তো জ্বর জ্বর আপা সাথে মাথা ব্যাথা। তাই মামা ঔষধ আনালো।

ওর কথা শুনে মৃত্তিকা’র কেমন লাগলো। বাবা খেতে তাড়া দিতেই আর ভাবা হলো না।

খাওয়া শেষে মৃত্তিকা’কে নিজের কাছে ডাকলো মৃন্ময় হাওলাদার। মৃত্তিকা যেতেই উনি দুই হাত নিজের মুঠোয় নিলেন। মৃত্তিকা হাসলো। জানে বাবা কিছু বলবে এখন। হাসি মুখেই বললো,

— কি বলবে আব্বু।

— আম্মা। আমি যেটা বলব আমি জানি আমার আম্মা সেটা বুঝবে।

— কি?

কিছুটা কৌতুহল মৃত্তিকা’র কন্ঠে। মৃন্ময় হাওলাদার মেয়েকে কাছে টানলেন। বললেন,

— আপনি যেমন পূর্ণ’র দায়িত্ব ঠিক তেমনই পূর্ণ ও আপনার দায়িত্ব আম্মা। তিনি যেমন আপনার খেয়াল রাখেন আপনিও তেমন তার খেয়াল রাখবেন। এটাই নিয়ে। ব্যালেন্স করে চলা জানতে হবে আম্মা। এই যে পূর্ণ অসুস্থ আপনার উচিত ছিলো তার সাহায্য করা। তার কাছে থেকে তার ব্যাথা বুঝা। দূরে থাকলেই দূরত্ব বাড়বে আম্মা। কাছে থেকে জানার চেষ্টা করুন। আগ্রহ প্রকাশ করুন। এখনই সময় তাকে বুঝে নেয়ার আম্মা।
বাবা তার আম্মা থেকে আশা রাখছে তার আম্মা এরপর থেকে আর অবহেলা করবে না।

টলমলে চোখে বাবা’কে দেখলো মৃত্তিকা। মৃন্ময় হাওলাদার জানেন তার নরম মনা মেয়েকে। কপালে চুমু খেয়ে বললেন,

— আমার আম্মা বুঝবে আমি জানতাম।

মৃত্তিকা উঠে রুমে হাটা দিলো। অনুশোচনায় দগ্ধ তার তনু মন। সে কি পূর্ণ’কে এতটাই অবহেলা করলো?

এদিকে রুমে বসে ছটফট করে যাচ্ছে পূর্ণ। শশুড় বাড়ীতেও কি না বউ নেই তার। এটা কেমন কথা। ঠিক সময় মতো বাবা’র কল এলো। বাবা কি করছে জিজ্ঞেস করতেই পূর্ণ গম্ভীর কণ্ঠে বললো,

— এসব কেমন কথা আব্বু? শশুর বাড়ী আমি আর এদিকে বউ নেই আমার। কেমন লাগে বলো? তুমি তো আছো বউ নিয়ে শান্তিতে। যত অশান্তি আমার। এখনই তোমার বেয়াইকে কল কর। বলো আমাকে আমার বউ দিতে। শরীর ম্যাচম্যাচ করে আমার বউহীনা।

পূর্ণ’র বাবা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বললেন,

— তোর মা সব শুনেছে। লাউডে ছিলো। এখন চোখ রাঙাচ্ছে আমাকে। আমি নাকি তোর মুখের লাগাম খুলেছি। শান্তিহীনা আমি আছি রে বাপ।

দরজায় মৃত্তিকা’কে দেখতেই পূর্ণ বললো,

— বউ এসেছে আমার আব্বু। সংসার বড় করতে হবে আমার। রাখি এখন। তুমি তোমার বউ এর মন ঠিক করো। উপদেশ আমার তরফ থেকে, দুটো চুমু খাও।

কথাটা বলেই কল কাটলো। তখনই কেউ ঝাপ্টে তার বুকে আছড়ে পড়লো।

#চলবে……