শান্তি সমাবেশ পর্ব-২৬

0
762

#শান্তি_সমাবেশ
#সাইয়্যারা_খান
#পর্বঃ২৬

পূর্ণ চমকালো। চমকানোটা বাড়লো মৃত্তিকা’র চোখে পানি দেখে। হঠাৎ এভাবে মন খারাপের কারণ খুঁজে পেলো না। উঁচু করে নিজের সাথে মেশালো। একদম বুক বরাবর তুলে নিলো। টুপ করে নাকে চুমু বসিয়ে বেডে বসলো। মৃত্তিকা তাকালো পূর্ণ’র দিকে কিন্তু চোখে চোখ রাখলো না। আলতো হাতে কপালের ব্যান্ডেজটা ছুঁয়ে দিতেই পূর্ণ ওর হাত ধরলো। হাতে ঠোঁট বুলাতে বুলাতে জিজ্ঞেস করলো,

— চোখের পানি’র কারণ টা কি আমি?

মৃত্তিকা’র টলমল করা চোখটা বন্ধ হলো তাতেই গড়িয়ে পরলো অশ্রু কণা। নাক টেনে মাথা নিচু করে বললো,

— আমি আপনার খেয়াল রাখি নি।

— আমি সুযোগ ই দেই নি মৃত্ত।

— আমার কিছু করা উচিত ছিলো।

— করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করতে দেই নি আপনাকে আমি।

— আপনি….

— হুস। আর না কথা। আফসোস করে কাজ নেই মৃত্ত। আমার আদরের শত্রু না হয়ে যায় আপনার এই আফসোস।

মৃত্তিকা একপলক তাকিয়ে চোখ নামিয়ে নিলো। পূর্ণ বুঝে তার পূর্ণ্যময়ী’র আকুলতা। সেটাকে প্রাধান্য দিয়েই মৃত্তিকা’কে বেডে বসিয়ে মাথা রাখে সোজা তার কোলে৷ আলস ভঙ্গিতে বলে,

— নিন চুল টেনে দিন।

–কেন?

— কেন আবার? আমার সেবা করতে।

মৃত্তিকা ততক্ষণে চুলে হাত দিয়েছে। বেশ সিল্কি পূর্ণ’র চুল। মৃত্তিকা যেন নিজেই আরাম পেলো। ধীরে ধীরে তার অনুশোচনা কমলো। কিছুটা ঘোরের মাঝেই প্রকাশ করতে লাগলো নিজেকে,

— আব্বু’কে ও এভাবে দেই আমি। তার অনেক ভালোলাগে। কিন্তু আব্বু যখন আমাকে বিলি কেটে দেয় তখন বেশি ভালোলাগে। একদম ঘুম চলে আসে।

মৃত্তিকা’র কথা দ্বারা ই প্রকাশ পায় কতটা বাবা পাগল সে। তার কথা শুরু এবং শেষ দুটোই তার বাবা’তে সমাপ্ত হয়। পূর্ণ চুলের ভাজে থাকা মৃত্তিকা’র হাতদুটো ধরলো। স্থান দিলো তাদের নিজের গালে। মৃত্তিকা মৃদু শব্দে জানালো,

— গাল তো গরম লাগছে। জ্বর আছে এখনও।

— মেডিসিন নিলাম তো। এখন আপনি নামক মেডিসিন দরকার আমার।
.
মৃন্ময় হাওলাদার বারান্দায় দাঁড়িয়ে। খোলা আকাশের পানে তার সূচালো তীক্ষ্ণ নজর। জোয়ান ভাবটা এখনও বিদ্যমান তার দেহে। সুপুরুষ বুঝি একেই বলে। চুলে পাক ধরে নি, না ধরেছে মুখে থাকা চাপ দাঁড়িতে। না পেট বেড়েছে, না চামড়া ঝুলেছে। নিজেকে যথেষ্ট পরিপাটি এবং ফিট রাখেন তিনি। এর পেছনে অবশ্য কারণ ও আছে। হাল তো ছেড়ে দিয়েছিলেন নিজের যত্নের সেই কবেই। কার জন্য নিজেকে গুছিয়ে রাখবে? দেখার সেই প্রেয়সী কি আছে? সে তো সুদূরপ্রসারী। শুধু মাত্র তার জীবনের অতিব গুরুত্বপূর্ন একটা অধ্যায় যাকে ছাড়া মৃন্ময় হাওলাদার অসম্পূর্ণ। যাকে বিহীন তার কাহিনি অসম্পূর্ণ। কানে যেন আজও সেই চিকন শ্যামকণ্যা’র গলার সুরটা বাড়ি খায় যখনই সে ডেকে উঠতো,”মৃন্ময়”।
একমুহূর্তের জন্য চমকালেন মৃন্ময় হাওলাদার। মনে হলো এই তো ডাকলো তার প্রেয়সী। আজ যেন সেই “মৃন্ময়” ডাকটা বুকে বিঁধে তার। গলার কাটা এই “মৃন্ময়” ডাক। বুকে বিঁধানো সূল এই “মৃন্ময়” ডাক।
প্রেয়সীর জন্য নিজের হাল ছেড়ে দিলেও ধরে রেখেছেন তার আরেক শ্যামকণ্যার জন্য। যে ছোট্ট কন্ঠে বলতো, ” মাই বাবা এভারগ্রীণ”। আনমনে হাসেন মৃন্ময় হাওলাদার। জীবনটা আজ ভিন্ন হলে ক্ষতি হতো বুঝি?

হঠাৎ দরজায় নক হওয়াতে ঘুরে দাঁড়ান তিনি। মিঠি দাঁড়িয়ে বাইরে। ফিনফিনে শরীরে এমন ভাবে ওরণা জড়িয়েছে যেন চাদর জড়ানো। কফি হাতে অনুমতি চাইলো,

— মামা আসব?

— আয়।

পা টিপে টিপে কাছে এসে এক কাপ এগিয়ে দিয়ে নিজের টা ধরতে বললো। মৃন্ময় হাওলাদার নিতেই মিঠি রুমে গিয়ে ফেরত এলো চাদর নিয়ে। পেছন থেকে তার গায়ে দিয়ে বললো,

— ঠান্ডা কত। চাদর ছাড়া কিভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন?

— জানতাম আমাদের মিঠি আসবে। তোর আপা তো তোর ভরসায় ই আমাকে রেখে গিয়েছে।

দীর্ঘ শ্বাস ফেললো মিঠি। সম্মুখে দাঁড়ানো এই সুদর্শন পুরুষটাকে ভালোবাসে সে। ছোট থেকে বাবা’র আদর না পেলেও পেয়েছে এই পুরুষটার আদর। পরিবারহীনা মিঠি পরিবার পেয়েছে মৃত্তিকা নামক মেয়েটা থেকে। নামটাও তার মৃত্তিকা’র রাখা। ছোট বেলায় গোলুমোলু হওয়ার দরুন মৃত্তিকা তাকে মিঠি বলে ডাকতো সেই থেকে নামটা যেন ওকে জড়িয়ে নিলো।
এত এত ভালোবাসা’র পরেও আজ যেন পরিস্থিতি ভিন্ন। ভিন্ন সব অনুভূতি। সব যেন আজ ফিঁকে মনে হয়। যাকে সে ছোট থেকে মামা ডেকে, ভালোবেসে আসছে তার প্রতি চেয়েও খারাপ লাগাতে ব্যার্থ মিঠি। তার অদেখা রুপটা যেন হঠাৎ সম্মুখে আসায় ঘাবড়ে গিয়েছিলো সে। নিজেকে সামলে আজ সামনাসামনি হয়েছে মৃন্ময় হাওলাদারের।

________________

আজ এখান থেকে সোজা ভার্সিটি যাবে মৃত্তিকা। ওর না জানতে অবশ্য পরিকল্পনা ভিন্ন। এ বাসায় আর ফিরা হবে না তার। একেবারে ওখান থেকে পূর্ণ নিয়ে যাবে। মৃন্ময় হাওলাদার জানেন একথা। মূলত পরামর্শটা ও তারই। এছাড়া মৃত্তিকা’কে পাঠানো যাবে না। খাবার খেতে খেতে মৃত্তিকা বাবা’র সাথে আলাপ জুড়েছে। পূর্ণ দেখে মৃত্তিকা’র উৎফুল্লতা যেটা ওর বাসায় থাকা কালীন ছিলো ন। তাহলে কি সে তার মৃত্ত’কে সুখী রাখতে ব্যার্থ?
এহেন চিন্তা আসাতে সাথে সাথেই তা ঝেড়ে ফেললো পূর্ণ। একদিনে কতটুকুই বা সামলাতো তার মৃত্ত? হুট করে এতকিছু হলে মানতেও সময় প্রয়োজন। নিজেকে সান্ত্বনা দিয়ে খেতে মনোযোগ দিলো সে।

বাসা থেকে বের হওয়ার সময়ও মৃন্ময় হাওলাদার মেয়েকে বুকে জড়িয়ে আদর দিলেন। সংসারের প্রতি মনোযোগী হওয়ার কথা বুঝালেন। একজন বাবা কিভাবে একজন মায়ের দায়িত্ব পালন করে তাও কি না এতটা সুনিপুণ ভাবে তা মৃন্ময় হাওলাদার’কে দেখে বুঝা উচিত। মৃত্তিকা বাবা’র মুখে হাত দিয়ে হেসে বললো,

— বিকেলেই তো আসব। এখন ভার্সিটি যাচ্ছি।

গলা চিবিয়ে কান্না গিলেন মৃন্ময় হাওলাদার। মেয়েটা জানে না তার যে আজ আর আগের নীড়ে ফেরা হবে না। তাকে তার বাবা নিজ হাতে নতুন নীড় খুঁজে দিয়েছেন। আলগোছে মেয়ের কপালে চুমু খেয়ে সরে গেলেন তখনই পূর্ণ জড়িয়ে ধরলো তাকে। সান্ত্বনা সহিত জানালো,

–নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে খেয়াল রাখব আব্বু।

— জানি।

— চিন্তা করবেন না। আঘাত আগে পূর্ণ’কে ধ্বংস করবে তারপর তার মৃত্ত’কে।

— আল্লাহ আমার দুই সন্তান’কেই ওই আঘাত থেকে রক্ষা করুক।

পূর্ণ মৃত্তিকার হাত ধরে বিদায় নিলো। মিঠি বিমূর্ত ভাবে বিদায় দিলো। চোখ টলমলে তার। মৃন্ময় হাওলাদার কিছু বলার আগেই দৌড়ে চলে গেল মিঠি। তিনি ও কিছু বললেন না। মন চাইলো না কিছু বলতে। অফিসে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে গেলেন বাসা থেকে। আজ ফিরতে ও মন চাইবে না এই নীড়ে যেখানে তার মেয়ে’কে পাওয়া যাবে না।
.
মৃত্তিকা’কে ভার্সিটি থেকে একটু দূরে নামিয়ে পূর্ণ বললো,

— এখান থেকে রিক্সা নিয়ে যাবেন। আর কাউকে কিছু জানানোর দরকার নেই।

— কিছুদিন পর তো জানবেই।

এ বিষয়ে কথা হয়েছে। তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান করা হবে কিন্তু পূর্ণ সময় চেয়েছে। নির্বাচনের আগে সে গোপন রাখতে চাইছে সবকিছু। নাহলে মৃত্তিকা’কে এভাবে খোলা ছাড়তে পারবে না সে। সেখানে এমন হলে ক্ষতি হবে মৃত্তিকা’র পড়াশোনার। সামনে পরিক্ষা একথা বলে মৃত্তিকা’কে আটকে রেখেছে পূর্ণ। নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার পর জানাবে তার মৃত্ত’কে।

কথাগুলো ভেবে হাত বাড়িয়ে মৃত্তিকা’র সিট বেল্ট’টা খুলে দিলো। কিছু বুঝে উঠার আগেই মৃত্তিকা’র স্থান হলো পূর্ণ’র কোলে। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে মায়াবী মুখটা দেখে নিলো পূর্ণ। আজকে হিজাব পড়ায় সৌন্দর্য বেড়েছে তার পূর্ণ্যময়ীর। মুখ বাড়িয়ে ওষ্ঠের ছোঁয়া দিলো ওষ্ঠে। মৃত্তিকা লজ্জায় মুখ ঘুরিয়ে নিলেও লাভ হলো না। পূর্ণ নিজের কাছাকাছি এনে মাখানো কন্ঠে জানালো,

— চুপচাপ চলে যান মৃত্ত। নিতে আসব আমি। বেশিক্ষণ এখানে থাকলে ভয়ংকর কান্ড ঘটাব আমি।

পরিস্থিতি বুঝার অপেক্ষা করলো না মৃত্তিকা। কোল থেকে নেমেই গাড়ী থেকে বেরিয়ে এলো। দমবন্ধকর একটা মুগ্ধতাময় আবহাওয়া ছিলো গাড়ীর ভেতর৷ জোরে শ্বাস টেনে গাড়ীর কাঁচে টোকা দিয়ে হাত নাড়িয়ে বিদায় জানালো। পূর্ণ তখন বেসামাল শ্বাস সামলাতে ব্যাস্ত। মৃত্তিকা’র দিকে তাকিয়ে শুধু বললো,

— খেয়াল রাখবেন নিজের।

— আপনিও।

কথাটা বলেই রিক্সায় চড়ে চলে গেল মৃত্তিকা। পূর্ণ ধীর গতিতে গাড়ি চালিয়ে পিছু নিলো। মৃত্তিকা গেট পেরিয়ে ভেতরে ঢুকলে পূর্ণ গাড়ী ঘুরালো। এই নারী তার সকল পরিকল্পনা ভেস্তে দিবে। তার সানিধ্যে কেন জানি সব ধূসর গোধূলি হয়ে উঠে পূর্ণ’র অথচ দুই দিন আগেও নিজেকে বেশ কড়া ভাবে শাসিয়ে রাখতো সে।
.
হিমু’কে মন খারাপ করে বসে থাকতে দেখে মৃত্তিকা এগিয়ে গেলো ক্যাফেটেরিয়া’তে। যেতেই দেখা মিললো উজ্জ্বলের। দীর্ঘ শ্বাস ফেলে মৃত্তিকা ওদের পাশে বসে বললো,

— ওর মন খারাপ কেন?

— তুই তো বিয়ে করে হানিমুন করছিস তাই বলে কি সবার মনে বারুদ লেগে তারাবাত্তি ফুটব?

মৃত্তিকা বিরক্ত হলো। উজ্জ্বলের পিঠে শক্তি দিয়ে একটা পাঞ্চ মে’রে বললো,

— চুপ থাক তুই। এই হিমু বল কি হয়েছে? রুপা আপু কিছু বলেছে?

হিমু চাইলো মুখ ফুটে কিছু বলতে কিন্তু তা বুঝি উজ্জ্বল হতে দেয়? কৌতুক মিশানো গলায় বললো,

— বা*ল ঐ রুপা টুপা কি করব? করসে তো এই হাঁদারাম। আন্টি অসুস্থ তাই মন খারাপ ওর।

মৃত্তিকা চকমকানো ভঙ্গিতে বললো,

— তাহলে তুই বাসায় যা। এখানে বসে মন খারাপ কেন করছিস?

উজ্জ্বল এবার মহা বিরক্ত হয়ে বললো,

— উই গেলে পরিক্ষা দিব কে? তোর না হওয়া সন্টুমন্টু?

মৃত্তিকা পাত্তা দিলো না উজ্জ্বল’কে। হিমু নীচু গলায় বললো,

— মা ঠিক আছে এখন। চল ক্লাসে।
____________________

শাজাহান খান আজকে সকলের সামনে ঘোষণা দিলেন পূর্ণ’কে তাদের দল থেকে মনোনয়নের পত্র দেয়া হবে৷ কেউ কেউ খুশি হলো আবার কারো কারো মুখ কালো হলো। পূর্ণ দেখলো সবটা তবে বাঁকা হাসলো ভিন্ন কিছু ভেবে। শাজাহান খান হাসি মুখে জানতে চাইলেন,

— তো পূর্ণ বলো যদি কিছু বলতে চাও।

— কথা যা দিয়েছেন সে অনুযায়ী কাজ হওয়াটাই যথেষ্ট আঙ্কেল। আর হ্যাঁ, আমার দলের ছেলেরা নির্বাচন চলাকালীন সময় আমার সাথেই থাকবে। কোন রুপ বাঁধা যাতে তাদের না দেয়া হয়। যে কোন ঝামেলা বাঁধলে তার দায়ভার আমি বা আমার দলের থাকবে না।

বেশ বিচক্ষণ পূর্ণ তা জানেন উপস্থিত সবাই। শুরুতেই নিজেকে ঝামেলাহীনভাবে সারিয়ে নিলো। শাজাহান খান সম্মতি জানালেন,

— ঠিক আছে। তাহলে তৈরী থেকো। আশা করি আমাদের জয় নিশ্চিত। জনগন তোমাকে চায় পূর্ণ। ভুল কোন সিদ্ধান্ত তুমি নিবে না এটাই আশা রাখছি।

— ইনশা আল্লাহ।

পার্টি অফিস থেকে বের হতেই মুখোমুখি হলো দুইদল। সাদা ধপধপে পাঞ্জাবী গায়ে দাঁড়িয়ে শোয়েব মির্জা। ভদ্রতা সহিত সালাম জানালো পূর্ণ। শোয়েব মির্জা হেসে উত্তর দিয়ে জড়িয়ে ধরতে নিলেই পূর্ণ সাইড কেটে চলে গেল। ব্যাপারটা গায়ে লাগলো শোয়েব মির্জা’র। মাহিন মিয়া’কে উদ্দেশ্য করে বললেন,

— বুঝলে মাহিন এই চুল আমি রোদে সাদা করি নি। সাফারাত’কে কল লাগাও। বলো এখনই পার্টি অফিসে আসতে। আর হ্যাঁ, এটাও জানাও তাকে যাতে এবার নির্বাচনে পাশে পাই আমি।

মাহিন মির্জা বাধ্য ভৃত্যের ন্যায় কাজ করলো। সাফারাত তার ঠিক দুই ঘন্টা পর অফিসে হাজির হলো। তার এহেন উদাসীন ভঙ্গি ও চালচলনে বেশ ক্ষেপেছেন শোয়েব মির্জা। চড়াও হওয়া গলায় ছেলেকে উদ্দেশ্য করে বললেন,

— সামনে নির্বাচন। জয়ী হই। একটা কেন দশটা নারীদেহ এনে দেব। আমার কথা শোনো সাফারাত।এবার জয়ী হতেই হবে।

নির্বিকার সাফারাত। শোয়েব মির্জা কঠর গলায় শপথ নিলেন,

— যেই পর্যন্ত না জয়ী হব ঐ পর্যন্ত আমিষ এবং নারী ত্যাগ করলাম আমি।

মাহিন মিয়া’র দিকে তাকিয়ে বললেন,

— পূর্ণ’কে কল দিয়ে জানাও তার সাথে সাক্ষাৎ করতে চাই।

সাফারাত তখনও নির্বাক। তার মস্তিকে চলছে ভিন্ন কিছু। ভয়ংকর পরিকল্পনা।

#চলবে…