#শিরোনামহীন_অনুভূতি
#রুহানিয়া_ইমরোজ
#পর্বসংখ্যাঃ১৪
ফজরের আজানের ধ্বনির শব্দে মুখরিত চারপাশ। সুমধুর শব্দ কানে আসতেই আড়মোড়া ভেঙে শোয়া থেকে উঠে কিছুক্ষণ থম মেরে বিছানাতেই বসে রইল ফারজানা । কাল রাতে ঠিকঠাকমতো ঘুম হয়নি বেচারির। প্রিমার সাথে কথা বলার পর থেকে মনটা আনচান করছে উপরন্তু আবার এক অযাচিত প্রস্তাব রক্ষার্থে তাকে ছুটতে হবে শ্রীমঙ্গল।
মনের দুশ্চিন্তা গুলোকে দূর করতে ওযু শেষে জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজে দাঁড়াল ফারজানা। মোনাজাতে এসে অজান্তেই ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠল। ক্রন্দনরত স্বরে খোদাতায়ালার কাছে আর্জি জানালো,
–” হে মাবুদ, মেয়েটার জীবনে আর কোনো বালা-মুসিবত দিয়ো না। বাচ্চা মেয়েটা ছোটো বেলা থেকেই অনাদারে বড় হয়েছে। ওর জীবনে সুখকর মুহূর্তের চেয়ে দুঃখের স্মৃতি বেশি। শেষপর্যন্ত যখন একটু সুখের সন্ধান দিয়েছো তখন সেটা আর ছিনিয়ে নিয়ো না। এবার না-হয় অন্যায়কারীদের শাস্তি দিয়ো খোদা…. ”
নামাজ শেষে ফোলা চোখমুখ নিয়ে উঠে দাঁড়াল ফারজানা। একবার ঘড়ির দিকে দৃষ্টিপাত করে দেখল কেবল পাঁচটা পনেরো বাজে। তাকে পিক আপ করতে গাড়ি আসবে সাতটায়। খুব একটা সময় নেই বিধায় আলমারি থেকে লাগেজ নামিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে ফেলল ফারজানা। কাজের তালে ভাবতে লাগলো সেই বিভীষিকাময় দিনের কথা।
আরশিয়ানের সাথে পাকাপোক্ত কথোপকথন হওয়ার পর প্রিমা নিরেট কন্ঠে ফারজানাকে বলেছিল,
–” আমি এই সম্পর্কটাকে একটা সুযোগ দিতে চাই। খোদাতায়ালা বোধহয় এবার আমার কপালে একটু সুখ রেখেছেন। খুব সম্ভবত জীবনে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে সংযুক্ত হওয়া নতুন অধ্যায়টা সুখের পায়রা হিসেবে ধরা দিবে। আমি শেষপর্যন্ত দেখতে চাই বুবু।”
ফারজানা কিছুক্ষণ নিশ্চুপ থেকে প্রিমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলেছিল,
–” তোর সিধান্তে আমার কোনো দ্বিমত নেই শুধু এতটুকু বলতে চাই জীবনটা কেবল নিছক আশায় ব্যয় করে দিস না। সংসার জীবন মানেই এডজাস্টমেন্ট তবে সেটা যেনো একতরফা না হয়ে যায়। আত্মসম্মান বিকিয়ে সংসার করতে হবে না। তোর বুবু এখনো বেঁচে আছে। তার কুটিরের দরজা আজীবন তোর জন্য খোলা। ”
কাঙ্গাল মেয়েটা অল্প আহ্লাদেই একদম তার বুকের সাথে মিশে গেছিল। নিজেকে ভীষণ শক্তপোক্ত প্রমাণ করতে চাইলেও প্রিমা আদতেই কেবল একটা হাওয়াই মিঠাই সরুপ। নিজেকে ম্যাচিউরড প্রমাণ করতে চাইলেও বাস্তবিক অর্থে সে কেবলই একটা ছোট্ট নাদান বাচ্চা। যাকে একটু আদর ভালোবাসা দিলে সহজেই গলে যায়। তার অনুপস্থিততে ফারজানা একা একা থাকছে বিধায় রোজ তিনবেলা ফোন করে হাজারটা সতর্ক বার্তা শোনায়। অফিসের লাঞ্চ টাইমে সুড়সুড় করে তার কাছে এসে থাবা মেরে টিফিন নিজের আয়ত্তে নিয়ে নেয়।
প্রিমার পাগলামি গুলো মনে পড়তেই আনমনে হেসে ফেলল ফারজানা। টিফিনবক্সে নুডলস গুলো ঢালতেই আচমকা তার ফোনটা বেজে উঠল। উঁকি দিতেই দেখল স্ক্রিনে আননোন নম্বর ভাসছে। ফোনটা রিসিভ না করে ঝটপট টিফিন বক্সটা হ্যান্ড ব্যাগে নিয়ে আরেকহাতে লাগেজ ধরে হেঁটে চলল গন্তব্যের দিকে।
কুয়াশা আছন্ন সকাল। ফারজানা গলির মোড়ে আসতেই দেখলো সেই চেনাপরিচিত টয়োটা রুমিওন গাড়িটা দাঁড়িয়ে আছে। কপালে ভাঁজ ফেলে সামনে এগোতে নিলেই ভেতর থেকে ড্রাইভিং সিটের দরজা খুলে বেরিয়ে আসলো ইশতিরাজ। ফারজানা একটু হকচকিয়ে উঠল কিন্তু ইশতিরাজ ভাবলেশহীন ভঙ্গিতে এগিয়ে এসে তার হাতের ব্যাগ প্যাকেজ গুলো নিয়ে নির্লিপ্ত সুরে বলল,
–” নিজের ওজন বুঝে ব্যাগ প্যাকেজ ক্যারি করা উচিত।”
ফারজানা বিরক্তি ভরা কন্ঠে বলল,
–” নিজের এবিলিটি বুঝে মানুষের সাথে তর্কে জড়ানো উচিত। ”
ইশতিরাজ সামনে হাঁটতে হাঁটতে ভ্রু উঁচিয়ে বলল,
–” আপনি আমাকে লুজার বললেন নাকি ? ”
ফারজানা গাড়ির দিকে এগোতে এগোতে ভাবলেশহীন কন্ঠে শুধাল,
–” আপনার ব্রেইনের পাশাপাশি শ্রবণশক্তিতে ও সমস্যা দেখা দিয়েছে নাকি? ”
ইশতিরাজ চোখমুখ খিঁচিয়ে বলল,
–” আই সোয়্যার মিস ব্যাটারি এবার আমি নিজের উপর হওয়া সকল নির্যাতনের বদলা নিবো। ”
ফারজানা ঠোঁটে ঠোঁট চেপে হাসি আঁটকে বলে,
–” আই সোয়্যার মিস্টার দুঃখের ঠেলাগাড়ি এবার যেনো আপনি সর্বশ্রেষ্ঠ নির্যাতিত পুরুষ হিসেবে নোবেল পান এমন পদক্ষেপ নিবো আমি৷ ”
ইশতিরাজ চোখমুখ খিঁচিয়ে অপমানটা হজম করে নিয়ে হিসহিসিয়ে বলল,
–” গাড়ির ফ্রন্ট সিটটা আপনার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। ”
কথাটুকু বলে প্রলম্বিত একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বেচারা এগিয়ে গেলো লাগেজ গুলো জায়গামতো রাখতে। অন্যদিকে ফারজানা এগিয়ে গেলো গাড়ির দিকে। ফ্রন্ট সিটের দরজা খুলে ভেতরে উঁকি দিতেই তার মনের ভেতরটা প্রশান্তিতে ছেয়ে গেলো।
গাড়ির ব্যাকসিটের একপাশে জড়সড়ভাবে বসে আছে আরশিয়ান। তার কোলে মাথা রেখে পুরো সিট দখল করে শুয়ে আছে প্রিমা। আরশিয়ান তার কাশ্মীরি শালটা প্রিমার ঘুমন্ত শরীরের উপর ব্ল্যাঙ্কেটের মতো জড়িয়ে দিয়েছে। ফারজানাকে তাকিয়ে থাকতে দেখে আরশিয়ান অপ্রস্তুত ভঙ্গিতে ধীর স্বরে বলল,
–” কালকে সারারাত উনি একটুও ঘুমাতে পারেননি। শী নিডস রেস্ট দ্যাটস হোয়াই….
গতকালের মেসেজটা প্রিমাকে পুরোটাই এলোমেলো করে দিয়েছিল।সারাটা রাত এক ফোঁটাও ঘুমাতে পারেনি বেচারি।প্রিমার অস্থিরতা দেখে আরশিয়ান ও সারা রাত জেগে ছিলো। শেষপর্যন্ত প্রিমা অতিষ্ঠ হয়ে রাত তিনটার দিকে স্লিপিং পিলস নিয়ে একটু ঘুমিয়েছে৷ ওর ছটফটানি দেখে আরশিয়ান ও আর বাঁধা দেয়নি।
আরশিয়ানের কথায় আলতো হেসে ফ্রন্ট সিটে উঠে বসে ফারজানা। ধীর স্বরে বলে,
–” সমস্যা নেই। ”
দুষ্টু ইশতিরাজ ড্রাইভিং সিটে উঠে বসতে বসতে ধীর স্বরে বলল,
–” কী বলিস বন্ধু! ভাবিকে সারারাত জাগিয়ে রেখেছিলি? তুই এতটা হার্টলেস আগে বুঝিনি। আহারে বেচারি পিচ্চি ভাবিটা আমার। ”
ডাবল মিনিং কথাটার মানে বুঝে দাঁতে দাঁত পিষল আরশিয়ান। ধীর স্বরে চাপা হুশিয়ারি দিয়ে বলল,
–” কিপ ইয়্যোর মাউথ শাট ইশতিরাজ। সামান্য আওয়াজ ও যদি তোর মুখ থেকে বের হয় তাহলে তুই একটা বোকা চন্দ্র। ”
কথার আড়ালে লুকিয়ে থাকা গালিটা ধরতে পেরে মুখে আঁধার নামলো ইশতিরাজের। সেলিব্রিটি হওয়ার পরও কোথাও একফোঁটা মানসম্মান মিলছে না । সে দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে গাড়ি স্টার্ট দিলো।
_
শ্রীমঙ্গল চায়ের রাজধানী নামে খ্যাত। ঢাকা থেকে এই স্থানের দূরত্ব প্রায় দু’শ কিলোমিটার। সবুজ সমারোহের বিশালতায় সহজেই ভারাক্রান্ত মন চনমনে হয়ে উঠে। প্রায় পাঁচ ঘন্টা ড্রাইভ করে অবশেষে রিসোর্টের শ্রীমঙ্গল পৌঁছাল তারা। পথিমধ্যে একবারও গাড়ি থামানো হয়নি। পুরোটা রাস্তা তাজরিয়ান, মেহরিমা এবং প্রিমা ঘুমিয়ে কাটিয়েছে। আরশিয়ান সামলেছে প্রিমাকে। ফারজানা হয়েছিল ইশতিরাজের নিরব সঙ্গী।
গাড়ি রিসোর্টের ভাঙাচোরা রাস্তায় আসতেই ইশতিরাজ হুশিয়ারি দিয়ে বলল,
–” রোলারকোস্টার রাইডের জন্য সবাই প্রস্তুত হও।”
চারপাশে ঘন অরণ্য থাকায় বেশিরভাগ জায়গায় মেঠোপথ রয়েছে। ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে রাস্তার দশা বেহাল। ইশতিরাজ গাড়িটা মেঠোপথে নামিয়ে আনতেই জোরদার ঝাঁকুনি খেলো সবাই। ঘুমন্ত তাজরিয়ান এবং মেহরিমা সজোরে ধাক্কা খেলো সামনের সিটের সাথে। আরশিয়ান আগেই প্রিমাকে নিজের সাথে জড়িয়ে রেখেছিল বিধায় সে ব্যথা পায়নি কিন্তু আকস্মিক এমন হওয়ায় বেচারির ঘুম উবে গেছে। ভয়ার্ত চোখে পিটপিটিয়ে দেখছে আরশিয়ানের শান্ত মুখাবয়ব।
গাড়ির ঝাঁকুনিতে মোটামুটি সকলেই সজাগ হয়ে গেছে। নিস্তব্ধতা ভেঙে এবার ট্যুরের আমেজ ফিরে এসেছে গাড়িতে। তাজরিয়ান ব্যথাপ্রাপ্ত স্থানটা ডলে আফসোস নিয়ে বলে,
–” শেষমেশ এই ছিলো তোমার মনে রাজ ভাই?”
ইশতিরাজ ভাব নিয়ে বলে,
–” আমি হুশিয়ারি দিয়েছিলাম বাছাধন কিন্তু তুমি বউয়ের সঙ্গ পেয়ে প্রশান্তির ঘুমে মগ্ন ছিলে। ”
ইশতিরাজের কথা শুনে তাজরিয়ান বাঁকা হাসলো। মেহরিমার দিকে একটু এগিয়ে গিয়ে ওর নির্মেদ কোমড় টা জড়িয়ে ধরলো অতঃপর হামি তুলে ভাবলেশহীন গলায় বলল,
–” সিঙ্গেল মানুষদের ব্যাচেলার লাইফের দুঃখের কথা ভেবে তাদের দু’চারটা ভুল ক্ষমা করাই যায়। তোমাকে মাফ করে দেওয়া হলো রাজ ভাই। প্লিজ ডোন্ট ক্রাই। ”
তাজরিয়ানের সুক্ষ্ম খোঁচাটা ধরতে পেরে ইশতিরাজ এবার দুঃখ অনুভব করল। কোন কুক্ষণে যে এই কাপলদের সাথে ট্যুরে এসেছিল কে জানে। ঘুম থেকে উঠার পর মাথাটা হালকা ঝিমঝিম করছিল বিধায় আরশিয়ানের বাহু বন্ধনে লেপ্টে ছিল প্রিমা।পুরোপুরি হুঁশে ফিরতেই ছিটকে সরে এলো সে। আরশিয়ান ভ্রু কুঁচকে শুধাল ,
–” শরীর ঠিকাছে? ”
প্রিমা ইতস্তত করে সল্প শব্দে বলল,
–” হুঁ। ”
আরশিয়ান আর কথা বাড়ালো না। এদিকে প্রিমা ফারজানাকে পেয়ে রাজ্যের কথা জুড়ে বসলো। ফারজানাও তাল মিলালো তার সাথে। প্রায় পনেরো মিনিট পর রিসোর্টের ভেতর প্রবেশ করল তারা। গাড়িটা পার্কি এরিয়ায় রেখে সকলেই এগিয়ে গেলো রিসিপশনের দিকে। শুরুতেই তাদের ওয়েলকাম ড্রিংকস হিসেবে দেওয়া হলো লেবুর শরবত। রিফ্রেশিং ড্রিংকস পেয়ে জার্নির ক্লান্তিটা এক নিমিষেই দূর হয়ে গেলো সবার।
পুরো রিসোর্টটা আগেই বুকিং দেওয়া ছিলো বিধায় কোনোরুপ ফর্মালিটিস ছাড়াই রুমের চাবি নিয়ে নিজেদের ঘরের দিকে এগিয়ে গেলো সবাই। পুরো রিসোর্টটা বাহারি রকমের ফুল দিয়ে চমৎকার ভাবে সাজানো। এই রিসোর্টে টোটাল চারটা ঘর, একটা অফিস রুম এবং একটা ছোটখাটো রেস্তোরাঁ রয়েছে। চারটা ঘরের মধ্যে দু’টো কাপলদের এবং বাকি দুটো ইশতিরাজ এবং ফারজানা কে দেওয়া হয়েছে। রিসোর্টের ঘরগুলো দেখতে কিছুটা একতলা বিশিষ্ট বাড়ির মতো ৷ প্রত্যেকটা রুমের আবার নিজেস্ব নামও রয়েছে।
রিসিপশন থেকে রুমের দূরত্ব বেশ খানিকটা। শীতকাল হলেও হুটহাট বৃষ্টি হওয়ার ফলে রাস্তা কিছুটা পিচ্ছিল। প্রথম সারিতে ছিলো প্রিমা এবং আরশিয়ান। তাদের পেছনে গল্প করতে করতে আসছিল ফারজানা এবং মেহরিমা। দু’জনের জুটি বেশ মিলেছে। তাদের পেছনে হেঁটে আসছিল ইশতিরাজ এবং তাজরিয়ান।
সামান্য এগোতেই কাদাযুক্ত জায়গা পা পিছলে আকস্মিক পড়ে যেতে নেয় প্রিমা। আরশিয়ান তৎক্ষনাৎ তাকে আঁকড়ে ধরে। প্রিমা বেশ ভয় পেয়ে খামচে ধরে আরশিয়ানের হুডির আস্তিন। ধীরে ধীরে চোখ মেলে তাকাতেই দেখে আরশিয়ান অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার চোখের দিকে। পেছন থেকে এই সিনেম্যাটিক দৃশ্য দেখে তাজরিয়ান শিষ বাজিয়ে উঠে। দুষ্টুমি করে ইশতিরাজ গলা ছেড়ে গান ধরে,
–❝চোখে চোখ যেই পড়েছে, antenna ঠিক নড়েছে
হৃদয়ের connection-এ তরতাজা signal
আজকাল হঠাৎ করে বুকে প্রেম-ফানুস ওড়ে
তোকে মন দিয়ে এবার বদলেছে দিনকাল❞
আরশিয়ান ঘোর থেকে বেরিয়ে এসে প্রিমাকে সাবধানে দাঁড় করাল কিন্তু বিধিবাম ঘটনার আকস্মিকতায় বেচারির জুতা ছিঁড়ে গেছে।আরশিয়ান আর উপায়ন্তর না পেয়ে এক ঝটকায় কোলে তুলে নিলো তাকে। এহেনও কান্ডে পেছন থেকে বেশ হৈ-হুল্লোড়ের শব্দ পাওয়া গেলো কিন্তু আরশিয়ান ওসবের তোয়াক্কা করলো না। প্রিমা হকচকিয়ে উঠে বলল,
–” সবার সামনে এভাবে কোলে নিয়েছেন কেনো। ”
আরশিয়ান ভাবলেশহীন কন্ঠে জবাব দিলো,
–” আপনার সেল্ফ ব্যালেন্সের কারিশমা দেখে। আর একটু হলে দুজনকেই গড়াগড়ি করতে হতো নোংরা পানিতে। ”
প্রিমা মুখ ভার করে রইল। মিনিট খানেকের মাঝে সকলে উপস্থিত হলো নিজেদের রুমে। লম্বা জার্নি করে আসায় কেউই আর ঘুরতে বেরোলো না উল্টো দুপুরের খাবার খেয়ে সারাটা বিকেল ঘুমিয়ে কাটালো সবাই।
চলবে?