#শিরোনামহীন_অনুভূতি
#রুহানিয়া_ইমরোজ
#পর্বসংখ্যাঃ০৫
চৌধুরী গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এর সামনে দাঁড়িয়ে আছে প্রিমা। ফারজানা সিএনজির ভাড়া মেটাতে ব্যস্ত। প্রিমা বুক ভরে শ্বাস নিয়ে ভাবাবেগে শূন্য দৃষ্টিতে তাকাল বিশাল আভিজাত্যপূর্ণ নেইম-প্লেটটার দিকে।
নিয়তির কথা জানা নেই তবে চেষ্টা করতে দোষ কোথায়? প্রথমদিকে খানিকটা অস্থির লাগলেও সময়ের তোপে সেটা ক্ষীণ হয়ে আসলো। প্রিমা এবং ফারজানা একত্রে প্রবেশ করল অফিসের ভেতর। ভেতরে প্রবেশ করতেই ফারজানা সিঁড়ির দিকে পা বাড়িয়ে বলল,
–” লিফটের সিক্স নম্বর বাটন প্রেস করবি। এরপর সোজা ৭০৩ নম্বর রুমে যাবি.. ওখানেই সমস্ত ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। কোয়েশ্চন গতানুগতিক ধারার হবে না। একটু বুদ্ধি খাঁটিয়ে উত্তর দিস। অপরপক্ষ ভুল হলেও তর্কে জড়াস না কেমন? অল দ্যা বেস্ট মাই লাড্ডু। ”
প্রিমা চোখমুখ কুঁচকে তাকাল। ফারজানা কথাগুলো বলেই হাওয়া। বেচারির ক্লাস্ট্রোফোবিয়া আছে তাই সে লিফটে যাতায়াত এড়িয়ে চলে। ফারজানার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বিড়বিড়িয়ে বলল,
–” ন্যাকা আহ্লাদ। ”
অফিস আওয়ার শুরু হবে আরও ঘন্টাখানেক পর। সকল এমপ্লয়ি এখনো উপস্থিত হয়নি। নিচের রিসেপশনিস্টের ডেস্ক এবং কিউবিকল গুলো ফাঁকা পড়ে আছে। মাঝেমধ্যে কিছু স্টাফদের দেখা যাচ্ছে যারা আপাতত ফ্লোর ক্লিন করতে ব্যস্ত। প্রিমা নজর ঘুরিয়ে সবকিছু দেখল অতঃপর লিফটের বাটনে প্রেস করল। লিফট সাত তলায় আছে, আসতে কিছুক্ষণ সময় লাগবে কিছুটা। প্রিমা বিরক্ত মুখে অপেক্ষা করতে লাগলো লিফটের জন্য।
অপেক্ষারত প্রিমা ঘাড় ঘুরিয়ে বেশ ভালোমতো আশপাশের আভিজাত্যপূর্ণ পরিবেশ অবলোকন করছিল আকস্মিক খেয়াল করল অফিসের ভারিক্কি কাঁচের দরজা ঠেলে একজন লম্বাটে সুদর্শন পুরুষ প্রবেশ করছে। পরনে তার ফর্মাল স্যুট। স্লিভদুটো কনুই পর্যন্ত গুটিয়ে রাখা। এক হাতের ভাঁজে কালো ব্লেজার অবস্থান করছে। হাতটা ভাঁজ করে রাখায় বলিষ্ঠ হাতের মাংপেশি গুলো শার্ট ভেদ করে বেরিয়ে আসতে চাইছে যেনো । তামাটে বর্ণের দীর্ঘদেহী এই পুরুষ কে দেখলে যে কেউ নায়ক আখ্যা দিতে বাধ্য তবে প্রিমার ওসবে আগ্রহ নেই। স্বাভাবিক চোখে একবার তাকিয়ে সাহসা দৃষ্টি ফিরিয়ে লিফটের দিকে তাকাল সে।
লম্বায় ছ’ফিট দুই ইঞ্চি উচ্চতার সৌষ্ঠব দেহাবয়বের মালিক আরশিয়ান ইসফার চৌধুরী হাজারো নারীর সপ্নের পুরুষ। নেইম, ফেম, এট্র্যাক্টিভ লুক, ঠান্ডা মেজাজ ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় সে মিস্টার পার্ফেক্ট বলে খ্যাত। সত্যিকার অর্থে বাস্তবতা যে ভিন্ন। দেশের প্রথম সারির ফেমাস কোম্পানি গুলোর মধ্যে চৌধুরী গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ অন্যতম । এই বিশাল কোম্পানির দায়িত্বে থাকা মানুষ কখনোই স্বচ্ছ কিংবা নির্মল চিন্তাধারার মানুষ হতে পারে না। আরশিয়ানও তার বিপরীত নয়।
দীপ্ত পায়ে এগিয়ে এসে লিফটের পাশে দাঁড়াল আরশিয়ান। অফিসের এন্ট্রান্সে প্রবেশের পথে প্রিমার নির্বিকার দৃষ্টি লক্ষ্য করেছে সে। পরক্ষনে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যপারটাও তার দৃষ্টির আড়াল হয়নি। কৌতূহল বশত প্রিমার মাথা থেকে পা পর্যন্ত স্ক্যান করতেই তার ভ্রু জোড়া কুঁচকে গেলো। মেয়েটা বেশ লম্বা, আনুমানিক পাঁচ ফিট পাঁচ ইঞ্চি তো হবেই।
লিফট গ্রাউন্ড ফ্লোরে এসে থামতেই ভাবনার জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে আসলো আরশিয়ান। দুজনে লিফটে উঠে বাটন প্রেস করতে গেলে আকস্মিক একে-অপরের আঙ্গুলের সাথে মৃদু ধাক্কা লাগলো। দুজনে ছিটকে সরিয়ে নিলো হাত। কিছুক্ষণ পরে আরশিয়ান গম্ভীর স্বরে বলল,
–” দুঃখিত। ”
প্রিমা প্রত্যুত্তর না দিয়ে অপর কর্ণারে গিয়ে দাঁড়াল।আরশিয়ান ভ্রু কুঁচকে একবার প্রিমার দিকে তাকিয়ে দৃষ্টি সরিয়ে লিফটের মিনি স্ক্রিনের দিকে তাকাল। প্রিমার দৃষ্টি নিবদ্ধ আরশিয়ানের পায়ের দিকে। হাতের মুঠোয় ছোট্ট একটা পিন শক্ত করে চেপে ধরে রেখেছে সে। পুনরায় আরশিয়ান তাকে ছোঁয়ার চেষ্টা করে ডিরেক্ট চোখ বরাবর চালিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
সেরকম কিছুই হলোনা উল্টো লিফট থামার সাথে সাথে আরশিয়ান বেরিয়ে এসে পুনরায় নম্র কন্ঠে বলল,
–” আমি খুবই দুঃখিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটির জন্য। আকস্মিকভাবে ঘটনাটা ঘটে যাওয়ায় আমি বেশ বিব্রত। আশা রাখছি আপনি আমায় ভুল বুঝবেন না। ”
কথাগুলো বলে আর কোনো দিকে তাকাল না আরশিয়ান। সোজা হেঁটে তার জন্য বরাদ্দকৃত কেবিনে প্রবেশ করল। এদিকে প্রিমা থম মেরে দাঁড়িয়ে থেকে আরশিয়ানের প্রস্থানের পানে তাকাল। সিইও নেম প্লেট সংযুক্ত দরজাটা ঠেলে তাকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেখে প্রিমা আনমনে বলে উঠলো,
–” সাচ অ্যা জেন্টলম্যান বাট চাকরিটা খুব সম্ভব ফুড়ুৎ।
_
ইন্টারভিউ রুমে বসে আছে প্রিমা। নার্ভাসনেসের ছিটেফোঁটাও তার মাঝে নেই। বেশ অনঢ় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সামনে বসা তিনজন বিচারকের দিকে। একজন কোম্পানির ম্যানেজার, দু’জন সিনিয়র এমপ্লয়ি তার ইন্টারভিউ নিচ্ছেন। রুমে ঢুকে ইন্ট্রোডাকশন দেওয়ার শুরুতেই তাকে বিভ্রান্ত করার জন্য নির্ভুল ভাবে পুরো ইন্টারভিউটা ইংরেজিতে শেষ করার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া হয়।
প্রিমা মনে মনে হাসে পরক্ষণে কথা শুরু করতেই বিচারকরা যেনো হুমড়ি খান। প্রিমার ইংলিশ একসেন্ট বেশ নিখুঁত। আমেরিকান একসেন্টের সাথে একদম মিলে যায়। তার গুছানো কথাবার্তা বেশ পছন্দ হয় উনাদের। কিছু বুদ্ধি ভিত্তিক প্রশ্নের জবাবে প্রিমা বেশ ভালো পার্ফরম্যান্স দেখায়। এডুকেশনাল যোগ্যতার দিক দিয়ে পিছিয়ে থাকলেও দক্ষতায় বেশ এগিয়ে প্রিমা।
আরশিয়ান তার কেবিনে বসে পুরো ইন্টারভিউ এর বিষয়টা তদারকি করছিল। প্রিমা বেরিয়ে যেতেই আরশিয়ান অফিসের টেলিফোনে কল করে বলল,
–” ইন্টারভিউ এখানেই সমাপ্ত ঘোষণা করুন। আমরা আমাদের ডিসায়ারেবল ক্যান্ডিডেট পেয়ে গিয়েছি। আগামী দশ মিনিটের মধ্যে সকলকে মিটিং রুমে উপস্থিত থাকতে বলুন। ইট’স আর্জেন্ট। ”
ম্যানেজার থতমত খেয়ে ফোন রাখলেন। অফিসের নতুন বসটা বেশ প্যারাদায়ক। এতদিন আরামে আয়েশে দিন কাটালেও আরশিয়ানের আসার পর উনারা পড়েছেন বিপাকে। ঈদের পর বিশাল একটা পার্টিতে আরশিয়ান কে কোম্পানির সিইও ঘোষণা করা হয়।প্রথমে ভেবেছিলেন প্রাপ্তবয়স্ক হলেও নতুন মানুষ কতটাই আর বুঝবে? এখন দেখা যাচ্ছে তাদের অভিজ্ঞতাকে সমানে টক্কর দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এই ছেলে।
মিটিং রুমে সকল এমপ্লয়ি উপস্থিত হতেই আরশিয়ান চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে সকলের উদ্দেশ্যে বলল,
–” স্যরি গাইজ্। আচমকা কাজের মধ্যে ডেকে আপনাদের মনোযোগ ক্ষুন্ন করার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত আমি। তবে আপনাদের কিছু বিষয় জানাতে এখানে সমবেত করা হয়েছে। ”
কথাগুলো শেষ করে ডেস্কের উপর থাকা পানির বোতল থেকে অল্প একটু পানি খেলো আরশিয়ান। মেয়েরা মুগ্ধ দৃষ্টিতে দৃশ্যটুকু অবলোকন করল৷ সেদিকে তোয়াক্কা না করে আরশিয়ান বলতে শুরু করল,
–” অফিসের রুলসে আমি বেশকিছু পরিবর্তন এনেছি। আমাদের ড্রেস কোড পরিবর্তন করা হবে। মেয়েদের ক্ষেত্রে ফর্মাল স্যুট পাল্টে সামঞ্জস্যতা বজায় রাখতে ল্যাভেন্ডর কালার শাড়ি হবে ফাইনাল ড্রেস কোড । অফিস আওয়ারের আধঘন্টা পূর্বে প্রত্যেককে উপস্থিত হতে হবে। এটা কর্মক্ষেত্র সুতারাং সর্বত্র পিন ড্রপ সাইলেন্ট বজায় থাকবে। প্রয়োজনে নিচু স্বরে বাক্য আদানপ্রদান করার অনুমতি আছে তবে অহেতুক কথা বললে গসিপ করলে, কাজে গাফেলতি করলে সাথে সাথে চাকরি খোয়াতে হবে। রুলস আর রুলস, ফলো না করলে রিজাইন লেটার জমা দিয়ে অফিস ত্যাগ করবেন। আমরা কোনো অধম প্রাণীকে এমপ্লয়ি হিসেবে রাখতে চাইনা৷ ধন্যবাদ। ”
আরশিয়ান যতটা শান্ত ঠিক তার দ্বিগুণ কঠোর এই বিষয়টা খুব ভালোমতো বুঝল উপস্থিত সবাই। শান্ত স্বরে বলা তীক্ষ্ণ কথাগুলো শুনে সকলের ঘাম ছুটে গিয়েছে রীতিমতো। ম্যানেজার সাহেব তার বাড়ন্ত ভুঁড়িতে হাত রেখে আফসোসের সুরে বিড়বিড়িয়ে বললেন,
–” স্যরি মাই লাভ, এবার তোমার ভ্যানিস হওয়ার সময় এসেছে৷ জাঁদরেল বসের কড়া নজরদারি থেকে তোমাকে বাঁচাতে পারলাম না। মাফ করে দিয়ো এই অপারগ বান্দাকে। রিটায়ার্ডের পর পুনরায় দেখা হবে কেমন? ”
উনার পাশে বসা একজন জুনিয়র এমপ্লয়ি ভুলবশত কথাগুলো শুনে ফেলে। হাসি আটকাতে বেচারা মুখে হাত দিয়ে বসে থাকে। ম্যানেজার সাহেব বিষয়টা বুঝতে পেরে জ্বলন্ত চোখে তাকালে বেচারা ফিক করে হেসে দেয়। মিটিং সেখানেই সমাপ্ত হয়। সকলে ব্যস্ত হয়ে পড়ে যে যার কাজে।
সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত নেমেছে। প্রিমা বেলকনিতে বসে অমাবস্যার সৌন্দর্য উপভোগ করতে ব্যস্ত। আকস্মিক তার ফোনটা শব্দ করে বেজে উঠে। ফোনটা হাতে নিতেই দেখে স্ক্রিনে একটা মেসেজ জ্বলজ্বল করছে যাতে লেখা,
–” কংগ্রাচুলেশনস মিস অধরা ইসলাম প্রিমা। চৌধুরী গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিতে আপনাকে স্বাগতম। আপনাকে একটি কনফার্মেশন লেটার মেইল করা হয়েছে কাইন্ডলি চেক করে আপনার কাঙ্ক্ষিত উত্তর জানাবেন। ধন্যবাদ। ”
আচমকা অপ্রত্যাশিত কিছু পাওয়ায় প্রিমার অধর কোণে হাসির রেখা ফুটে উঠলো। চোখের সামনে ভেসে উঠল ফর্মাল স্যুটে আবৃত এক সুদর্শন পুরুষের দুর্ধর্ষ চাহুনি। হুট করে এমন টা কেনো হলো? প্রিমা মাথা ঝাঁকাল। আনন্দের খবরটা দিতে ছুটে গেলো ফারাজানার কাছে।
_
চৌধুরী বাড়ির গার্ডেন এরিয়ায় বিশাল আয়োজন চলছে। বহুদিন পর দেশে ফেরাতে তাজরিয়ানের বন্ধুরা সকলেই বাসায় হানা দিয়েছে। সবাই মিলে সিধান্ত নিয়েছে যে, আজ ছোটোখাটো একটা পিকনিক হবে। আরশিয়ান অনুপস্থিত তাই দ্রুত তাকে উপস্থিত হওয়ার তাগাদা দেওয়া হয়েছে। আরশিয়ান প্রস্তাব নাকচ করে জানিয়েছে আজ রাতে সে বাসায় ফিরবে না। তারও ফ্রেন্ডস’দের সাথে গেট টুগেদার আছে।
সকলেই গোল করে নিজ নিজ আসনে বসেছে। আড্ডার মাঝে তৌকির চৌধুরী আচমকা আহ্লাদী স্বরে বললেন,
–” তাজ দাদু ভাই? তোমাদের বিয়ের অনুষ্ঠান কবে করবে? ”
তাজরিয়ান নাকমুখ কুঁচকে শুধায়,
–” বিয়ে তো হয়েই গিয়েছে। আবার কিসের অনুষ্ঠান? তোমার গোশত পোলাও খেতে মন চাইলে বলো বেস্ট রেস্টুরেন্ট থেকে অর্ডার করে আনিয়ে দিচ্ছি। অহেতুক আমাকে বলির পাঠা বানাতে চাইছ কেনো? ”
তাজরিয়ানের জবাবে তৌকির চৌধুরী মুখটা থমথমে হয়ে গেলো। তাজওয়ার চৌধুরী ছেলেকে ধমকে বললেন,
–” আত্মীয় স্বজনদের জানাতে হবেনা? সমাজে আমাদের একটা মানসম্মান আছে সেটা রক্ষা করতে হবেনা? চৌধুরী বাড়ির ছেলেরা লুকিয়ে বিয়ে করে না কখনো। সকলকে জানিয়ে, দাওয়াত দিয়ে অতঃপর যে কোনো অনুষ্ঠান করা হয়। তুমি সামাজিকতার কী বুঝো? ”
তাজরিয়ান ফোনটা হাতে নিয়ে কিছু একটা করে তাজওয়ার চৌধুরীর দিকে তাকিয়ে বলল,
–” আমি ওসব নষ্ট সমাজের বাড়তি ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিই না। তোমাদের আনুষ্ঠানিকতা করার ইচ্ছে থাকলে করো কিন্তু আমি বা মেহু কেউই উপস্থিত থাকবো না। বহু সাধনার বউ আমার, ওসব জেলাস লোকজনের ফালতু হিংসে আর বদ নজরের কারণে নিজেদের মধ্যে ঝামেলা পাকাতে ইচ্ছুক নই আমি। ”
তাজরিয়ানের কথায় মেহরিমার মুখটা ছোটো হয়ে আসলো। তার কতো শখ ছিলো টুকটুকে বউ সাজার অথচ এই খাটাশ লোকটার জন্য কিছুই পূরণ হবেনা। খাওয়াদাওয়া শেষে আড্ডা চলল বেশকিছু সময়। বড়রা ছোটদের স্পেস দিয়ে উঠে চলে যান। রাতভর আড্ডা দেয় তাজরিয়ান এবং তার বন্ধুরা। আচমকা তাজরিয়ানের এক বন্ধু হাসতে হাসতে শুধায়,
–” চাচা কবে হচ্ছি ব্রাদার? ”
তাজরিয়ান একটা বিশ্রী গালি দিয়ে মুখ বাকিয়ে বলল,
–” এক্সাম শুরু হলোনা, কোয়েশ্চন পেপার পেলাম না অথচ জিগাইতাছে এ প্লাস রেজাল্ট আসবে কি-না । দূর হ হ্লার্পুত! ”
চলবে?