শিরোনাম পর্ব-০৯

0
74

#শিরোনাম
#পর্বসংখ্যা_০৯
#মুসফিরাত_জান্নাত

হুট করেই চোখ ভর্তি আঁধার অশ্রু আসতে চাইলো।মুখে বোবা হাসি ফুটায় সে।সে খেয়ালও করেনি পাশে তার মা নেই।তবে অন্য কেও ঠিকই দাঁড়িয়ে আছে।জেরিন চেনে তাকে।লোকটাও জেরিনকে চেনে।মেয়েটি অতি পরিচিত তার।তাই তো পরিচিতার মনে চাপা বেদনায় নির্ভার হয়ে জবাব দেওয়ার দ্বায়িত্ব লুফে নেয়।জেরিনের সুরে সুর মিলিয়ে উদাস গলায় বলে,

“সৃষ্টিকর্তার পরিকল্পনা বোঝা বড়ই দায়।মাঝে মধ্যে না হারিয়েও হারানো হয়ে যায়।আবার চিরতরে হারিয়ে গিয়েছে জেনেও ফের পাওয়া হয়ে যায়।আসলেই অদ্ভুত!”

কথাটা বলেই সুক্ষ্ম হাসি ছড়িয়ে দেয় খোঁচা দাঁড়িতে আবৃত সুচারু মুখশ্রীতে।সুঠাম দেহী পুরুষটিকে দেখে জেরিন চমকায়,

“আপনি?”

ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালো পুরুষটি।ঘাড় দুলিয়ে বললো,

“হ্যাঁ আমি।ওয়াসীর মির্জা।তোমার খারাপ মুহুর্তে উদয় হলাম।খারাপ সময়ে খারাপ মানুষ সঙ্গ দেয়।জানো তো?”

তার সহজ স্বীকারোক্তিতে আচমকা শক্ত হয়ে গেলো জেরিন।চোখ মুখ গম্ভীর করে কঠোর হয়ে বললো,

“আপনাকে কতবার বলেছি তুমি সম্বোধন করবেন না।তাও তুমি তুমি করেন কেনো?আমি কি আপনার আপন ছোট বোন লাগি?মেয়েদের সম্মান দিতে জানেন না?”

রাগের বশে “আমি কি আপনার বউ?” কথাটুকু বলতে নিয়েও গিলে ফেললো সে।সে জানে বাকি কথাটা বললে ভীষণ উপভোগ করবে লোকটা।গা জ্বালা হাসি দিয়ে বলবে, ‘হলে মন্দ হতো না’।ভীষণ নির্লজ্জ, বদমায়েশ, ঠোঁট কা’টা, গুণ্ডা প্রকৃতির লোক এই ওয়াসীর মির্জা।পেশায় একজন রাজনীতিবিদ।বর্তমানে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আছে।যে চেয়ারের দাপটে পুরো উপজেলা চষে বেড়ায় সে।উপরে ভালো মানুষের মুখোশ পড়ে তলে তলে দুর্নিতি,সুদ-ঘুষ, অন্যায়, অবিচারে লিপ্ত থাকার খবর রটে আছে।এলাকার সকল মানুষ তাঁর ভয়ে তটস্থ থাকে।কোথাও একটা গাছের পাতা ঝরে পড়ার খবরও যেনো তার দৃষ্টির আড়ালে নয়।তারপর এককালে জেরিনকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলো এই লোক।যা ভাবতেই শরীর রি রি করে জেরিনের।এ লোককে দেখলেও তাই ঘৃনা জাগে।খারাপ লোকজনকে যত ছোট করেই গালি দেওয়া হোক না কেনো, সেটাকে আরো বিশ্রীরকম ব্যাখ্যা দিয়ে নিজের স্বপক্ষে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে তারা।এজন্য নিজেকে সংযত করলো সে।তার কঠোর কণ্ঠে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার ভাণ করলো ওয়াসীর।মেকি সুরে বললো,

“দুঃখিত ম্যাডাম।পেশাগত কারণে সবাইকে তুই তুকারি করে অসম্মান জানিয়ে অভ্যাস তো।সম্মান দিতে মনে থাকে না।”

“রাজনীতি করলেই সবাইকে অসম্মান করতে হবে এটা কোন সংবিধানে লেখা রয়েছে?নিজের স্বভাবের দোষ অযথা পেশার উপর বর্তাচ্ছেন কেনো?আপনাদের মতো লোকেদের জন্যই এই পেশাকে অনেক লোকে ঘৃণা করে।”

জেরিনের কাঠ কণ্ঠের কথায় এবার সত্যি সত্যি চুপসে গেলো ওয়াসীর।সে থমথমে কণ্ঠে মাথা ঝাঁকিয়ে বললো,

“আপনার সাথে আমি কোনো আর্গুমেন্টে যেতে চাচ্ছি না।”

ব্যপারটা মেনে নিলো জেরিনও।চুপ হয়ে গেলো সে।কিছু সময় নিরবতা চললো দুজনের মাঝে।জেরিনই আবার মুখ খুললো,

“এখানে কি প্রয়োজনে?”

এবারে একটু হালকা অনুভব করলো ওয়াসীর।হাসলো কিঞ্চিৎ।

“যাক, এতোটা অবজ্ঞাও করোনি।…”

বলতে নিতেই দাঁত দিয়ে জিভ কা’টলো সে।বড় কোনো ভুল শুধরানোর ভাণ করে বললো,

“সরি সরি।করেননি।আপনার খারাপ সময়ে এই অধমকে প্রয়োজন ভাববেন ভেবেছিলাম।কিন্তু আপনি প্রয়োজন মনে করেননি।বিচারে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সহ অন্যদের ডাকলেও আমাকে ডাকেননি।তাই বলে যে আপনার সাহায্য করবো না তা তো নয়।আপনার স্বামীর সর্বোচ্চ শাস্তি প্রাপ্তি সুনিশ্চিত করতে কিন্তু এই অধমই সাহায্য করেছে জেনে রাখবেন।আপনি যাদের শরণাপন্ন হয়েছিলেন তাদের কেও নয়।”

ওয়াসীর এর কথা বলার ভাব ভঙ্গিমায় ভীষণ অস্বস্তি হচ্ছিলো তার।সে ইতস্তত করে বললো,

“আসলে এমন ছোট খাট ব্যপারে আপনাকে বিরক্ত করতে চাইনি।”

ওয়াসীর জবাব দিলো না।হালকা হাসলো কেবল।জেরিন সুক্ষ্ম নজরে পরোখ করলো ওয়াসীরকে।চেহায়ায় গাম্ভীর্যতা এসেছে।খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি চোয়াল আবৃত করে রেখেছে।পরনে আদ্দির কাজকরা সাদা পাঞ্জাবি আর ধবধবে চোস্ত পায়জামা।শরীরে একটু মেদ নেই।দেহের গড়ন বলন ও বেশ ভুষায় নিজেকে
রাজনৈতিক নেতা হিসেবে প্রকাশ করার পুরোটা মিশে রয়েছে বলে মনে হলো জেরিনের।চুলের কায়দাও নজরকাড়া।তাকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে ঠোঁট টিপলো ওয়াসীর।

“কি দেখছেন এভাবে?”

জেরিনের সম্বিত ফিরে।সে অপ্রস্তুত হয়ে বলে,

“না তেমন কিছু না।”

কথাটা বলে থামলো সে।ওয়াসীর এর অবিশ্বাস্য ভঙ্গিতে ‘ওও’ বললো। বিপরীতে ব্যাখ্যা দিতে সাতপাঁচ না ভেবে সে বলে,

“আপনাকে পাক্কা রাজনৈতিক নেতাদের মতো দেখাচ্ছে।বেশ ভুষা পার্ফেক্ট।”

কথার পিঠে দারুণ ব্যাঙ্গ করে ওয়াসীর বললো,

“তাই দেখছিলেন কোথাও খুঁত আছে নাকি?”

খোঁচা যুক্ত প্রশ্নটা হজম করলো জেরিন।কোনো জবাব দিলো না।ওয়াসীর আরও একটু ব্যাঙ্গ করে বললো,

“ও ভুল বললাম।আপনার কাছে তো আদ্যোপান্ত পুরো আমিটাই খুঁতে ভরা। নিখুঁত কিছু আছে কিনা তাই দেখছিলেন বুঝি?”

জেরিন জবাব দেয় না।ওয়াসীর এর মাঝে কি যেনো পরিবর্তন খুঁজে পাচ্ছে সে।যা বিভ্রান্ত করছে তাকে।অবিশ্বাসী করে তুলছে।লোকটার আচরণ অভিব্যক্তিতে আগের ভাব ভঙ্গিমা নেই।ওকে এখানে দেখে জেরিন ভেবেছিলো জুবায়ের এর সাথে বিচ্ছেদ এর সুযোগ নিয়ে ও লম্পটামি করতে এসেছে।অশোভন আচরণ করবে।তার প্রতি নিজের দূর্বলতা প্রকাশ করার চেষ্টা করবে।কিন্তু ওয়াসীর এর আচরণ সম্পূর্ণ বিপরীত।তাকে দেখে মনে হচ্ছে জেরিনের প্রতি কোনো কস্মিনকালেও সে দুর্বল ছিলো না।কথায় না ফুটালেও আচরণে খানিকটা অবজ্ঞার ভাব মিশে আছে।যা অপ্রস্তুত করে তুলেছে জেরিনকে।হাঁসফাঁস লাগছে তার।নিজ ভাবনার ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটায় নিজেকে ধাতস্থ করতে সময় লাগছে।এমন সময় তাকে রক্ষা করতেই যেনো সেখানে জেরিনের মা ও ভাইয়ের আগমন হলো।ওয়াসীরকে দেখে আলাপ জুড়ে দিলো জেরিনের ভাই কমল।জেরিনের মায়ের সাথেও কুশল বিনিময় করলো ওয়াসীর।সুযোগ বুঝে বিদায় নিতে জেরিন বললো,

“আপনি হয়তো নিজস্ব কোনো প্রয়োজনে এখানে এসেছেন।আপনাকে আর বিরক্ত না করি।থাকুন আসছি।”

কথাটা বলে মা ও ভাইকে নিয়ে গট গট করে প্রস্থান করলো সে।তার সুকৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা ধরতে পারলো ওয়াসীর।স্থির চোখে তাদের যাত্রা দেখে বিপরীতে পথ ধরলো সে।এখানে মূলত আজ নিজস্ব কাজেই এসেছিলো।পথিমধ্যে কমলের সাথে সাক্ষাৎ হলে জুবায়ের এর রায় এর খবর পায়।আর জেরিনকে দেখতে পেয়ে তার কাছে আসে।ফলে বহুদিন পর পুরোনো দুই মুখের মুখোমুখি দর্শন হয়।
_______
চারিদিকের লালাভ আলেয়া বিলীন হচ্ছে সায়াহ্নের ধূসরতায়।ঘনিয়ে আসছে মাগরিব ওয়াক্ত।থমথমে এক সন্ধ্যা।বন্দী দরজায় ঠকঠক আওয়াজ হলো।আরও একটি বার শাশুড়ি মায়ের ডাক পড়লো,

“কনা, দরজাটা খোলো মা।”

নরম কণ্ঠ।কনা দরজা খোলে না।এদের কণ্ঠ শুনতেই গা জ্বলে ওঠে তার।মা ডাক শুনে বমি আসে।এদের সান্নিধ্যে এ বাড়ি থাকা তার নিকট গলায় ফুটে থাকা কাঁ’টার মতো।সে ওগলাতেও চাইছে না আবার গিলতেও পারছে না।চোখের য’ন্ত্রণা হয়ে এরা বিঁ’ধে আছে তার জীবনে।এদের জ্বা’লাতন করবে বলে এ বাড়ি থেকে নিজেই জ্ব’লছে।যতটা না নিপীড়ন করতে পারছে তারচেয়ে অধিক য’ন্ত্রণা ভোগ করছে এদের মুখ দর্শনে। এদের গায়ের গন্ধেও কেমন বদ বদ ভাব।জালিমের র’ক্ত বইছে শরীরে।কনা এক মাসেই হাঁপিয়ে উঠেছে এদের মুখ দেখে।জুবায়ের এর চুড়ান্ত রায় হওয়ার আগ অবধি যদিও তাকে মান্য করে চলতো এরা।সে যতটুকু শা:স্তিমূলক নির্যাতন করতে চেয়েছে সবটা মাথা পেতে নিয়েছে।এতোদিনে জুবায়ের এর সঞ্চিত টাকা পয়সার খোঁজ বের করে সব দানের নামে বিলিয়ে দিয়েছে সে।বাড়ির কাজের লোক দূর করে সব কাজের দ্বায়িত্ব মনোয়ারার উপর বর্তে দিয়েছে।কনা সত্যি কোনো কাজ করতো না।এক গ্লাস পানি লাগলেও তা মনোয়ারা ঢেলে খাওয়াতো।জিনাতকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে সে।আর মনোয়ারাকে কাজের মেয়ে হিসেবে ব্যবহার করছে।এ নিয়ে গ্রামে কানাঘুষা চলছিলো।সেসবকে পরোয়া না করে নিজের সিদ্ধান্তে অটল থেকেছে সে।দানের নামে জুবায়ের এর বৈধ বা অবৈধভাবে অর্জিত সঞ্চিত সম্পদ বিলিয়ে দিচ্ছে।জুবায়ের এর অনুপস্থিতির সুযোগ লুফে নিয়ে কে কোথায় তার কোন সম্পদের অন্যায় করছে সেদিকে নজর দিচ্ছে না সে।কেও ইনফর্ম করলেও গায়ে লাগাচ্ছে না।বরং তার ভাব তালে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে সেও যেনো চায় এগুলো হওয়া কর্ম।জুবায়ের এর ন্যায় বা অন্যায়ে গড়া সব সম্পদ ধ্বংস হয়ে সে দেউলিয়া হোক।মানতে ক’ষ্ট হলেও উপরে এসব মেনে নিচ্ছিলেন মনোয়ারা।মানতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি।মেয়ের জামাই বা নিজের আত্মীয়কে গোপনে এগিয়ে দিয়ে সেগুলোর হেফাজত করাচ্ছিলেন অবশ্য।কনা একা মেয়ে কিই বা করতে পারবে?কিন্তু সে যে এরকমভাবে জুবায়ের এর পক্ষে উকিল দাঁড়ানো ঠেকিয়ে দিবে তা বুঝতে পারেননি মনোয়ারারা।যখন সত্যি এক্ষেত্রে নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে জুবায়ের এর শা’স্তি প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সাহায্য করলো সে। তখনই তার উপর নরম থাকার অর্থ খুঁজে পেলো না কেও।জুবায়ের এর চুড়ান্ত রায় ঘোষণার পরপরই কনাকে দোষারোপ করতে শুরু করে মনোয়ারাসহ সবাই।জেরিনের উপরের সকল তিক্ততা এবার কনার উপর বর্তায়।জিনাত রায়ের পর তেড়ে এ বাড়ি আসে।তারপর মা মেয়ে মিলে কনার উপর অকথ্য ভাষায় আক্রমণ চালায়।সোজা আঙুলে যখন ঘি ওঠেনি।কনা যখন তাদের পক্ষে এতোদিনেও আসেনি।তখন আঙুল বাঁকা করে ঘি তুলতে চায়।এতেই হিতে বিপরীত ঘটে।কনার প্রতিবাদ চুড়ান্ত হলে এক পর্যায়ে গায়ের জোরে প্রতিবেশীকে সঙ্গী করে ধরে বেঁধে কনাকে ঘরবন্দী করে রাখে তারা। জিনাত ফুঁসে উঠে মা’কে যুক্তি দেয় কনা ভালো হওয়ার আগ অবধি ওভাবেই আটকে রাখতে।মা মেয়ে মিলে এটাকেই সঠিক সিদ্ধান্ত ভেবে নিয়েছিলো। ফলে নিশ্চিন্ত ছিলো তারা।দুপুর থেকে সন্ধ্যা অবধি কোনো উদ্বিগ্নতা দেখা যায়নি তাদের মাঝে।অত্যাচা’রীরা অ’ত্যাচারের সুযোগ পেয়ে দীর্ঘ দিন পর স্বস্তি পাচ্ছিলো।এক প্রস্তর হেসে নিয়েছিলো কনাকে এভাবে সোজা করা যাবে ভেবে।ঠিক এমন সময় মুরাদের আগমন হয় এ বাড়ি।সম্পর্কে জিনাতের স্বামী সে।এখানে এসে মা মেয়ের এমন অপরিনামদর্শী কাজের খবর শুনে আঁতকে ওঠে সে।
বিকেল থেকে কনা ঘরবন্দী ও নিরব শুনে অশনি কিছুর সংকেত খুঁজে পায়।বিচলিত হয়ে বলে,

“তোমাদের কি মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে?এমনি জিনাত হাত ফস্কে গিয়ে জুবায়ের এর সাত বছরের সাজা হইলো।এর মধ্যে কনা ভাবিও আমাদের বিপক্ষে।ওকে ঘরবন্দী রাখার পরিণাম বোঝো?”

স্বামীর প্রশ্নে জিনাতেরও যেনো ভ’য় হয়।মুরাদ মাথায় হাত চালিয়ে বলে,

“এতোক্ষনে ও চুপচাপ বলে খুশি হয়েছো নির্বোধের মতো? ঝড় আসার আগে পরিবেশ শান্তই থাকে।নারী নির্যাতনের কেইস খাওয়ার পায়তারা করে ফেলেছো তা বুঝো?ও নিশ্চিত ট্রিপল নাইনে কল দিয়েছে।তাছাড়া এসব মেনে চুপ থাকার মেয়ে কনা ভাবিও নয়।ভাইয়ের সাথে নিজেরাও জেলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হও এখন!”

তাচ্ছিল্য করে শেষ বাক্য বললো মুরাদ।এতক্ষণে যেনো মেয়ের জামাই এর বিচলিত হওয়ার কারণ বুঝতে পারলেন মূর্খ মনোয়ারা।সে সাতপাঁচ না ভেবেই মেয়ের কুবুদ্ধি শুনেছিলো।এখন এমন পরিণাম পেতে হচ্ছে ভেবে ঘাম ছুটে যায় তার।বিচলিত হয়ে কাঁপা পায়ে হন্তদন্ত করে এগিয়ে যায় সে কনার ঘরে।বাইরের সিটকিনি খুলে দরজা খুলতে যেয়েই শক খায়।কনা ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে রেখেছে। কিছু একটা যে ঘটতে যাচ্ছে তা বুঝতে আর বাকি থাকে না কারোর।নরম হয়ে কনাকে ডেকেও লাভ হলো না।সে ঘরের দরজা খোলেনি।কারাগারের দরজা খুলবে বলেই কি?

চলবে