#শেষ_থেকে_শুরু
#পর্ব_৬
লেখিকা #Sabihatul_Sabha
গোধূলির শেষ বিকেলে হাঁটুতে মুখ গুঁজে বসে আছে জবা।
জানালা দিয়ে বাহিরে তাকালো জবা। জানালার পাশে পেয়ারা গাছে কোথায় থেকে উড়ে এসে একটা কাক বসেছে।
শেষ বিকেলে তৃষ্ণার্ত কাক ডাকতে শুরু করলো। কুচকুচে কালো কাকটা ডাকতে ডাকতে এক পর্যায়ে ক্লান্ত হয়ে এক ডাল থেকে অন্য ডালে বসে এদিক ওদিক দেখতে লাগলো৷
সন্ধ্যার আগমুহূর্তে কাক ডাকা অশুভ কিছু বলে মানে সবাই।
খট করে দরজা খুলে কেউ রুমে প্রবেশ করলো। জবা শুনলো সেই শব্দ তবে মাথা তুলে তাকালো না।
” জবা! ”
জবা হাঁটু থেকে থুতনি উঠিয়ে ঘার বাঁকা করে তাকালো।
শায়েলা সিদ্দিকী মিষ্টি হেঁসে জবার দিকে একটা শাড়ি এগিয়ে দিয়ে বললো,’ কাপড়টা চেঞ্জ করে নাও”
গোলাপি ফুলের কাজের মধ্যে একটা শাড়ি শায়েলা সিদ্দিকীর হাতে।
শায়েলা সিদ্দিকী জবার তাকানোর মানে বুঝলেন। জবার বিছানার পাশে বসতে বসতে বলে উঠলো, ‘ ভয় নেই বড় ভাবি নিজে আমাকে দিয়ে পাঠিয়েছেন।’
জবা সন্দিহান দৃষ্টিতে তাকালো শায়েলা সিদ্দিকীর দিকে। মহিলাটা কি আসলেই এতো ভালো.? নাকি সবটা ছলনার আড়ালের রুপ.? অতি ভদ্রতা! ভালো মানুষির মাঝে যে আসল সত্যি লুকিয়ে থাকে,থাকে মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর রুপ!
” আমি এটাতেই ঠিক আছি”
” বড় ভাবি বলেছে আজ থেকে তুমি আর সাদা শাড়ি পড়বে না আর তোমার রুম ও চেঞ্জ করা হয়েছে ”
জবা কোনো প্রতিত্তোরে করলো না।
শায়েলা সিদ্দিকী খুঁজে পেলেন না আর কি বলবেন.? জবার কোনো আগ্রহ পেলেন না উনার প্রতি! একজন আগ্রহ না দেখালে কি কথা দীর্ঘ করা যায়.?
জবা বাড়ির কারো সাথেই ফ্রী নয়! সবার দিকে কেমন শুধু তাকিয়ে থাকে। এই তাকানোতে আসলে কি লুকিয়ে থাকে.? মানুষ কে পড়তে চায়.? নাকি বুঝতে চায়.? আসলেই কি মানুষ কে পড়া যায়.?
শায়েলা সিদ্দিকী শাড়িটা রেখে জবার মাথায় হাত রেখে বললেন,’ মন খারাপ.? ‘
জবা মিষ্টি হাসলো। এতোক্ষণ মেঘে ডাকা মুখটায় এই হাসিটা চমৎকার দেখালো। এই মুখে মেঘ মানায় না, সব সময় চাঁদের মতো জ্বলজ্বল করবে হাসি।
” যার মন নেই তার মন খারাপ হয়.?’
এমন প্রশ্নে হকচকিয়ে গেলেন শায়েলা সিদ্দিকী। মন নেই!..?
” মন ছাড়া মানুষ থাকে নাকি মেয়ে.? আমরা এই পৃথিবীর বিষাদ দিয়ে মন কে আড়াল করে রাখি, মেঘ দিয়ে ঢেকে রাখি, সবার একটা সুন্দর মন থাকে। ”
জবা খোলা চুল গুলো হাত খোঁপা করে বললো,’ সব মন কি মন হয়.?’
এতো কঠিন কথা বুঝে না শায়েলা সিদ্দিকী। উনি সরল সহজ মানুষ এতো শান্ত কন্ঠের কঠিন কথা বুঝেন না।
~ নিজেকে এভাবে কঠিন একটা ধাঁধার মধ্যে গুলিয়ে ফেলছো সহজ হওয়ার চেষ্টা করো মা।
” মা!” শব্দটা শুনতেই মহুয়ার বুক ভার হয়ে আসলো। উদাসীন চোখে বাহিরে তাকালো।
______________
কুলসুম বেগম গভীর চিন্তায় হাত কচলাচ্ছেন। একবার ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ফাইল হাতে নিলেন।
কাউকে কল দিয়ে রাগী কন্ঠে হুংকার দিয়ে উঠলেন,’ আমার গুছানো ফাইলের মধ্যে দুইটা কোথায়? ‘
ওপাশের কারো কথা শুনে রেগে কুলসুম বেগম মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লেন মনে হলো মাথার উপর আকাশ ভেঙে পড়েছে।
এতো বড় ভুল কিভাবে হলো.? কিভাবে এতো বড় ভুল করে বসলো! এখন কি হবে.? কার হাতে পরেছে এই ফাইল.? এতো বছর পর কি আবার সব কিছু নতুন করে শুরু হবে.? ভয়ে কিঞ্চিৎ কেঁপে উঠল কুলসুম বেগমের বুক।
জবা কে রুম দেওয়া হয়েছে দুইতলার দক্ষিণ পাশের সবচেয়ে শেষের রুমটা।
রুমটার চারপাশ একবার চোখ বুলিয়ে নিল জবা।
লতিকা খুব সুন্দর করে রুমটা গুছিয়ে গেছেন৷ রুমে প্রয়োজনীয় সবকিছু আছে। একটা আলমারি, ড্রেসিং টেবিল,একটা ছোট টোল, বইয়ের বক্স, বিছানা।
জবা জানালার পর্দা সরিয়ে নিচে তাকালো। জানালা দিয়ে গেইট দেখা যায় জবার চোখে পড়লো ঘামার্ত একটা মুখ। হাতে কিছু একটা নিয়ে গেইট দিয়ে ভেতরে আসছে।
শার্লিন বেগম বসে বসে সিরিয়াল দেখছেন। সারাদিন একের পর এক হিন্দি সিরিয়াল দেখবেন আর ভিলেন চরিত্র গুলোকে গালাগালি করবেন তবে শেষে নিজেই সেই চরিত্রে অভিনয় করতে শুরু করেন।
বেলী মায়ের পাশে বসে বললো,’ আম্মু আব্বু কবে আসবে.?’
‘ দেখ দেখ বেলী আজ আমার মেয়ের শাশুড়ী এমন হলে দেখিয়ে দিতাম আর সাথের বোনটা দেখ মনে হয় কালনাগিনী! ‘
বেলী হতাশ কন্ঠে বললো,’ আম্মু আমি কি জিজ্ঞেস করে ছিলাম.? কি উত্তর দিলে.?’
শার্লিন বেগম টানটান উত্তেজনা নিয়ে বললেন,’ দাঁড়া না একটু ত দেখতে দিবি। বেচারি মেয়েটার উপর এতো অত্যাচার করছে কিভাবে সহ্য করে এইসব!.?’
~ অন্য কারো দুঃখ দেখে কষ্ট লাগে আম্মু.? অথচ ঘরের মানুষের দুঃখ দেখে মজা পাও.? তোমার আর তাদের মধ্যে পার্থক্য কোথায়.? এখানে মনে হতে পারে শুধু একটা চরিত্রে অভিনয় করছে অথচ এইগুলো শুধু সিরিয়ালে নয় বাস্তব জীবনে ঘটছে। বাস্তব ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এইসব তৈরি হচ্ছে অথচ আমরা ঘর দেখি না সিরিয়ালে দেখে চোখের জল ফেলি!’
শার্লিন বেগম টিভি থেকে চোখ সরিয়ে কখন মেয়ের ছলছল চোখের দিকে তাকিয়ে ছিলেন নিজের হয়তো জানা নেই। চোখের সামনে জেনো নিজেকে ওই চরিত্রে দেখতে পেলেন। উনিও ত জবার সাথে এমনটাই করেন! তাহলে কি সিনেমার থেকেও বাস্তব জীবনের গল্প বেশি কষ্ট দায়ক.? তাহলে আমরা অন্যের কষ্টে কষ্ট কেন পাই না.?
মা মেয়ের কথার মাঝেই অভ্র বাড়ি ফিরলো। অভ্রের হাতে কিছু একটা ছিলো বেলী অভ্রের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো, ‘ ভাই কখন আসলে.? ‘
অভ্র বিনিময়ে কোনো উত্তর দিলো না চুপচাপ চলে গেলো নিজের রুমে।
” আল্লাহ এমন একটা গুমড়া মুখোকে আমি কিভাবে মন দিয়ে বসেছি!.? লোকে ঠিক বলে ডাক্তার মানেই কসাই,তারা ভালোবাসা, মন বুঝে না। তবে আমি বেলীও কম নই পাথরে কিভাবে ফুল ফোটাতে হয় খুব ভালো করেই জানা আছে! এক কাপ কফি নিয়ে পিছুপিছু যাই!
__________
ব্যাগ থেকে নিজের মোবাইল বের করে সতর্ক চোখে চারপাশে আরও একবার তাকায় মহুয়া কনো গোপন ক্যামেরা নেই ত আবার.? এই বাড়িতে সবই সম্ভব রান্না ঘরে রাখা গেলে ঘরেও রাখা যাবে!
জবা কাউকে কল দিয়ে বলে উঠলো, ‘ কাজ হয়েছে.? ‘
~ জ্বি ম্যাডাম ফাইল আমার কাছে।
জবার ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটে উঠে, ‘ গুড! ‘
~ ম্যাম এখন কি জমা দিয়ে দিব.?
জবার মুখের রং বদলে যায়! চোখে মুখে প্রতিশোধ, রাগ ফুটে উঠে, ‘ নাহ্ তুমি নিজের কাছে রেখে দাও আমি আসছি। কিছু শাস্তি নিজের হাতে দিতে হয়! কিছু বিচার নিজে করতে হয়!”
~ আমি কি বাড়ির সামনে আসবো.?’
জবা কিছু একটা ভেবে বললো,’ নাহ্ তুমি অফিসের পেছনে রেস্টুরেন্টে চলে আসো।’
ফোন কেটে জবা টেনশনে পড়ে যায় এখন কিভাবে বের হবে.? রাতের রান্না রয়েছে। এতোদিন সমস্যা ছিল না রুমের ভেতর দিয়ে দরজা দিয়ে জানালার গ্রিল খুলে বের হয়ে যেত এখন কিভাবে বের হবে.?
জবা বারান্দায় গিয়ে নিচে তাকালো পাইপ বেয়ে নামতে হবে।
সাদা শাড়ি পাল্টে একটা টপস, জিন্স সাথে ক্যাপ আর মাক্স পরে নিলো।
বারান্দায় এসে অন্ধকারে পাশের ব্যালকনির দিকে তাকালো। জবার পাশের ব্যালকনি থেকে টুংটাং গিটারের শব্দ আসছে। কে গিটার বাজায়.? খুব পরিচিত নয় তবে সুরটা জবার চেনা। কেউ গুণগুণ করে গিটারের সাথে সুর তুলছে..
” কি ছিলে আমার.? বলো না তুমি…
আছি ত আগেরি মতো! এখনো আমি….”
জবার হৃদয় থমকায় কিছু সময়ের জন্য মায়া ভরা দৃষ্টিতে তাকায় ব্যালকনিতে বসে থাকা আবছা ছায়াটার দিকে।
ফিসফিস করে বলে উঠে ” এই বংশের কাউকে ছাড়বো না আমি! প্রয়োজন হলে তোমাকেও না’
জবা খুব সহজে পাইপ বেয়ে নিচে নেমে গেলো। নামার সময় পাইপের সাথে লেগে ঠাসস করে নিচে পরলো। বাগানে এই সন্ধ্যায় এমন শব্দ পেয়ে হাতের গিটারের সুর বন্ধ হয়ে গেলো অভ্রর। পেছন ফিরে তাকালো শব্দ হওয়া জায়গার দিকে….
___________
লতিকা সবকিছু রেডি করে রাখলো। কুলসুম বেগম নিষেধ করেছেন জবা রান্না ঘরে আসতে হবে না। এই বাড়িতে নতুন সদস্য আসতে চলেছে সেই খুশিতে মসজিদে জিলাপি দেওয়া হবে৷ আশপাশের গরিব মানুষদের মিষ্টি দেওয়া হবে। বাড়িতে এতিমদের জন্য খাবারের আয়োজন করা হবে।
এতোদিন যেই মেয়েকে একটা ঘরে বন্দী করে রাখা হয়েছে আজ তার সন্তান আসবে শুনে! উঁহু তার সন্তান নয় এই সন্তান ত কুলসুম বেগমের ছেলের। জমিদারের রক্ত এই সন্তানের শরীরে সেই জন্যই ত এতো আয়োজন। বাচ্চা হওয়ার পর জবা কে সরিয়ে ফেলবে কুলসুম বেগম। শুধু মাত্র এই সন্তানের জন্য, এই বাড়ির নতুন সদস্যর জন্য জবাকে সবার সামনে ছেলের বউ বলে পরিচয় দিবেন কুলসুম বেগম। আসলে উনার মাথায় চলছে টা কি.?
বাড়ির সামনে কুকুর দেখে ভয়ে গাছের পেছনে লুকিয়ে আছে জবা।
কুকুর ঘ্যাউঘ্যাউ করে জবার পিছু পিছু গাছের পেছনে এসে হাজির। জবা এক চিৎকার দিয়ে চোখ বন্ধ করে দৌড়তে শুরু করলো। যত যাই হোক কুকুর দেখলে হুশ থাকে না জবার। যমের থেকেও বেশি ভয় পায় কুকুর কে।
সামনে কাউকে দেখে তার শার্ট খামচে ধরে বলে উঠলো, ‘ প্লিজ প্লিজ হেল্প!’
অভ্র থমথমে মুখে বলে উঠলো, ‘ করছেন কি! শার্ট ছাড়ুন!’
জবা মাথা ঝাকিয়ে বলে উঠলো, ‘ না! না আগে কুকুরটা কে দূরে সরান প্লিজ!’
অভ্র জবার পেছনে তাকালো। দূরে একটা কালো কুকুর দাঁড়িয়ে আছে তাকিয়ে আছে ড্যাবড্যাব করে ওদের দিকে।
” আপনার আর আমার থেকে অনেকটা দূরে কুকুর আপনি প্লিজ সরে দাঁড়ান! ‘
জবা পেছন ফিরে তাকালো কুকুর ল্যাজ নেড়ে চলে যাচ্ছে।
জবা ঝটপট অভ্র কে ছেড়ে দিলো। চোখ তুলে সরি বলার আগেই মুখ বন্ধ হয়ে গেলো। ভয়ে থরথর করে কেঁপে উঠল শরীর। চোখের কালো চশমাটা হাত দিয়ে ভালো করে দিয়ে উল্লো দিকে হাঁটতে শুরু করলো।
অভ্র একবারের জন্য ও তাকালো না জবার দিকে। শার্টের হাতা ঠিক করে নিজেও উল্টো দিকে হাটতে শুরু করলো।
জবা জানে অভ্র ওকে চিনতে পারবে না। এমন গেটআপ জবার সেটা হয়তো জবা নিজেও খুলে খুলে পাট পাট করে দেখালেও বিশ্বাস আসবে না অভ্র ! সবসময় সাদামাটা থাকা মেয়েটার আজ পরিনতি এমন কেন.? নিজের উপর হাসতে শুরু করলো জবা।
দেখা যায় আয়ানের অবস্থা খারাপ। সেই যে শুনেছে জবা প্রেগন্যান্ট তারপর থেকে বেচারার খাওয়া দাওয়া সব বন্ধ। কাজেও কোনো মন নেই। একজন কে ত বিনা দোষে জেলে পুরে দিয়েছে। সেই কখন থেকে ঘ্যানঘ্যান করার জন্য আরেক চোর কে ছেড়ে দিয়েছে। কি হচ্ছে.? কি করছে.? আয়ান ত এমন নয়! নিজের মন আর নিজের উপর যথেষ্ট সে কন্ট্রোল রাখতে পারে অথচ আজকাল ওর মন আর চোখ কোনোটাই ওর কথা শুনছে না। মন বলে আসিফের বাচ্চা আর আমার বাচ্চার মধ্যে পার্থক্য কি.? বাবা আর চাচা ত একই! আসিফের বাচ্চা মানে আমার বাচ্চা! আমার কোনো সমস্যা নেই। চোখ বলে জবার হাসি হাসি মুখটা একবার দেখতে। কি একটা অবস্থা শুধু হাসি নয়, জবা কাঁদলে কেমন লাগে.? মন খারাপ করলে কেমন লাগে.? খিলখিল করে হাসলে কেমন লাগে.? আয়ান এইসব ভাবতে ভাবতে ক্লান্ত, কল্পনায় কতরকম বানিয়ে নিচ্ছে। আচ্ছা দুইদিন পর কি লোকে ওকে পাগল বলবে.? বলবে দেখো পুলিশ অফিসার আয়ান চৌধুরী ভাবি পাগল থুক্কো ভাবি নয় বউ হবে, বিয়ে হয়নি হবে, বউ পাগল হয়ে গেছে। অফিসেও বউ কে সামনে বসিয়ে রাখছে।
________
জবা রুমে এসে শায়েলা সিদ্দিকীর দেওয়া শাড়িটা পড়ে নিলো।
গোলাপি শাড়ি, চুল বিনুনি করা, সাজগোছ বিহিন একটা নারীকে এতোটা আকর্ষণীয় লাগে.? জবার দিকে তাকিয়ে আজ হয়তো আয়ান এক দুই বার হার্ট মিস করবে।
জবা দরজা খুলে বের হলো রান্না ঘরের উদ্দেশ্যে।
সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় দেখলো সবাই ড্রয়িং রুমে।
অভ্র কফি হাতে সোফা থেকে উঠে উপরের দিকে তাকাতেই থমকে গেলো সাথে সাথে চোখ সরিয়ে অন্য দিকে ঘুরে গেলো। বিষয়টা দূর থেকে খেয়াল করলো শায়েলা সিদ্দিকী। সবার অগোচরে হাসি ফুটে উঠলো উনার ঠোঁটের কোনে!
চলবে..
ভুলত্রুটি মার্জনীয়।