শেষ থেকে শুরু পর্ব-০৭

0
715

#শেষ_থেকে_শুরু
#পর্ব_৭
লেখিকা #Sabihatul_Sabha

এতিম খানায় আজ বিশাল আয়োজন চলছে, চলছে বস্তুিতে মিষ্টি বিতরণ।
জবা কে সাথে নিয়ে এসেছে কুলসুম বেগম।
জবা নিজ হাতে খাবারের প্লেটে খাবার তুলে দিল এতিম ছোট ছোট বাচ্চাদের। এদের মুখের দিকে তাকালে কেমন অসহায় লাগে জবার, ছলছল চোখে তাকিয়ে রইলো বাচ্চাদের মুখের দিকে। ভালো খাবার পেয়ে পেট ভরে খাচ্ছে মুখে কি মিষ্টি হাসি। আজ যেনো হাসি সরছেই না বাচ্চাদের।

জবা একটা বাচ্চার গালে হাত রাখতেই বাচ্চাটার চোখ ছলছল করে উঠলো। হঠাৎ কি হলো জানা নেই বাচ্চাটা ” মা” বলে কেঁদে উঠলো।
জবাও বাচ্চাটাকে বুকে জড়িয়ে নিলো। বয়স কত হবে.? তিন কি চার বছর এমন!

আজ এতিমখানায় কুলসুম বেগম, সফিক সাহেব আর সাথে অভ্র, জবা সাথে তাদের সহকর্মীরা এসেছে। সফিক সাহেবের জবাকে একদম পছন্দ না, কিন্তু কেন পছন্দ না.? এই উত্তর উনারও জানা নেই। উনিও কি আসিফের মৃত্যুর জন্য জবাকে দোষী মনে করেন.? নাকি অন্য কিছু..? সফিক সাহেব গম্ভীর মুখে তাকালেন জবার দিকে।

জবা বাচ্চাটাকে কোলে বসিয়ে নিজ হাতে খাইয়ে দিচ্ছে। মুখে কি স্নিগ্ধ মিষ্টি হাসি। জবার গালে একটা তিলে উনার চোখ আটকালো উনি নিজের অজান্তেই বলে উঠলেন” এই মেয়ের দিকে তাকালেই আমার চোখে মায়ার মুখটা ভেসে উঠে! মায়ার গালেও ত এমন তিল ছিল! ওর চুল,ওর গায়ের রং, ওর হাসি,তাকানো,সবকিছু এত কিভাবে মিলে যায়.? মনে হয় আমার সামনে মায়া হাসি হাসি মুখে দাঁড়িয়ে আছে সেই একই চেহারা!

সফিক সাহেব কে এভাবে মায়ার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে কুলসুম বেগম সফিক সাহেবের সামনে এসে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে বলে উঠলো, ‘ এভাবে কি দেখছো.? সব সময় মাথায় আর চোখে রেখো সে বাড়ির বউ! উল্টা পাল্টা মাথায় কখনো আনবে না!’
সফিক সাহেব কুলসুম বেগম কে বড় ভাবি নয় বোনের মতো মানেন তাও মুখে বিশ্রী হাসি ফুটিয়ে বলে উঠলেন,’ কিন্তু তুমি ত ওকে মানোনা হঠাৎ এমন কি হলো তোমার.? নাকি মাথায় অন্য কিছু ঘুরছে.?’
সফিক সাহেবের এমন হাসি ঘা জ্বলে উঠলো কুলসুম বেগমের।
সফিক সাহেব ফের তাকালেন জবার দিকে ” এই মেয়ের মধ্যে কিছু ত একটা আছে! কি বলো ত.?”
কুলসুম বেগম ধরা কন্ঠে বলে উঠলেন ” মায়া! মায়ার প্রতিচ্ছবি ”
অবাক হয়ে তাকালেন সফিক সাহেব, তাহলে কি এটা ভ্রম নয় উনার.? উনি যা দেখেন কুলসুম বেগম ও তাই দেখেন.? তাহলে কি এই মেয়ে মায়ার কেউ.? মায়ার মেয়ে.?? নিজের ভাবনায় নিজেই চমকে উঠলেন।

জবা বাচ্চাটার সম্পর্কে জানার জন্য এখানকার পুরনো লোককে জিজ্ঞেস করলেন। জানা গেল ডাস্টবিনের ভেতর তিন দিনের একটা বাচ্চা পাওয়া যায় আর এটাই সেই বাচ্চা। যার বাবা মার অনেক খুজ করেও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। বাচ্চারা দেখতে এতো কিউট আর মিশুক জবার ইচ্ছে করছে না ওকে রেখে আসতে।

” আমি প্রতি সপ্তাহে দুই দিন ওকে বাড়িতে নিয়ে আসবো এখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে বাড়িতে ফিরতে হবে চলুন।”

জবা পেছন ফিরে দেখলো অভ্র দাঁড়িয়ে।
জবা মাথায় শাড়ির আঁচল টানতে চাইলে অভ্র বলে উঠলো, ‘ আমার সামনে অন্তত এতো অভিনয় করতে হবে না চলুন!’
” অভিনয়!.?”
অভ্র তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলে উঠলো , ‘ তাহলে কি রিয়েল.?”
জবা বাচ্চাটাকে বসিয়ে উঠে দাঁড়ালো। ঠোঁটের কোনে হাসি ঝুলিয়ে, ঘোমটা টেনে ভদ্র মেয়ের মতো বলে উঠলো, ‘ দেবর মশাই আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে! ”

অভ্র পকেটে হাত ঢুকিয়ে জবার দিকে তাকিয়ে বিরবির করে বলে উঠলো, ‘ শ্লার একেই বলে কপাল! কোনো এক সময় যাকে বউ বানানোর স্বপ্ন দেখেছি আর আজ তার দেবর হয়ে গেছি! লোকে বলে বাবা হতে গিয়ে মামা হয়ে গেছি আর আমি ‘ স্বামী হতে চেয়ে দেবর!’

নিজের ভাবনার উপর নিজেই হেঁসে উঠলো অভ্র। ছয় বছরে ত সবকিছু অতীত হয়ে গেছে!
জবা মাথা নিচু করে অভ্রের পাশ কাটিয়ে যেতে নিলে অভ্র বলে উঠলো, ‘ এতো ভালো অভিনয় কিভাবে করো.? অন্তত আমার সামনে এইসব করার প্রয়োজন নেই, আম্মু,চাচ্চু চলে গেছে। তুমি আমি ছাড়া আর কেউ নেই। ‘
জবা ইনোসেন্ট মুখ করে চোখ তুলে অভ্রর দিকে তাকালো। অভ্র হাসলো এই মেয়ে এতো ইনোসেন্ট কিভাবে সাজে ইয়ার.? ওর এই মুখের দিকে তাকালে একটা পাঠর হৃদয়ের লোকও গলে যাবে সেটা কি ও জানে.? নিশ্চয়ই জানে তাই ত খুব সহজে দুর্বল করে নিতে পারে সবাই কে যেমন আয়ান কে করে নিয়েছে।

‘ আপনি কি বলছেন আমি বুঝতে পারছি না! ‘
অভ্র আশেপাশে তাকিয়ে বললো, ‘ চলো বাহিরে ওইদিক টায়!’
জবা নিচের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো, ‘ আমি এখন বাড়িতে যাব!’
অভ্র শান্ত চোখে জবার দিকে তাকিয়ে বাহিরে চলে গেলো। পিছুপিছু জবাও গেলো।

পুকুর পাড়ে দুইজন বসে আছে। অভ্র একটা জিনিস খেয়াল করলো জবাকে দেখে মনে হচ্ছে না সে এখানে নতুন এসেছে, মনে হচ্ছে এখানকার সবকিছু খুব ভালো করে জবার চেনা। কোথায় কি আছে চোখ বন্ধ করে জবা বলে দিতে পারবে৷ এতটা পরিবর্তন কিভাবে সম্ভব.? ছয় বছর কম নয়! ছয় বছরে এতোকিছু পরিবর্তন হতেই পারে, মানুষ ত সেকেন্ডে সেকেন্ডে পরিবর্তন হয়!

অভ্র কথা শুরু করলো, ‘ কেমন আছো..? ‘
জবার মুখের কোনো পরিবর্তন হলো না। তবে ঠোঁটের কোনে তাচ্ছিল্যের হাসি ঝুলিয়ে রেখেছে।

‘ উত্তর দিলে না.?’
জবার কাটকাট জবাব’ দেখতেই ত পাচ্ছেন’!
” তুমি এখানে কেন.?”
‘ এইগুলো খুবই কমন প্রশ্ন কঠিন কিছু করেন!’
‘ তোমার কাছে কমন মনে হচ্ছে.? ‘
‘ তা নয়তো কি.? আপনি জানেন আমি এখানে কেন! তারপর ও জিজ্ঞেস করছেন হাস্যকর নয়? ‘
অভ্র জবার মুখের দিকে তাকিয়ে বললো, ‘ সবটা সত্যি তোমার পরিচয় কেন বলছো না..?’
‘ আপনার জন্য বসে ছিলাম! ‘
‘ আমি মজা করছি না বা মজার মুডে নেই রক্তজবা!’
‘ আমাদের এখন বাড়ি যাওয়া উচিত! ‘
‘ অথচ আমার কোনো প্রশ্নের উত্তর পাইনি’
‘ এইগুলোও প্রশ্ন ছিল.?’
‘ জবা আমার সবকিছু জানতে ইচ্ছে হচ্ছে! কিন্তু কিভাবে শুরু করবো.? এই ছয় বছরে নিশ্চয়ই সবকিছু পাল্টে গেছে, কি হয়ে ছিল.? আর তুমি এখানে.? আসিফ ভাই, সবকিছু আমার এলোমেলো লাগে হিসাব মেলে না!’
‘ তেমন কিছুই হয়নি শুধু মনে করুন আপনি আমাকে চিনেন না, আমিও আপনাকে চিনিনা। আমাদের মধ্যে শুধু একটাই সম্পর্ক ভাবি আর দেবর শেষ… ‘

অভ্র কপাল স্লাইড করতে করতে বললো, ‘ আর যদি সত্যিটা সবাই কে বলে দেই.?’
জবা অভ্রের চোখের দিকে তাকিয়ে বললো, ‘ আমি জানি আপনি কিছুই বলবেন না!’

অভ্র জবার হঠাৎ রেগে যাওয়া জ্বলজ্বল চোখগুলোর দিকে তাকিয়ে রইলো। আমি সবকিছু জেনেই ছাড়বো জবা! তুমি নিজেই বলতে বাধ্য হবে।

________________

জবা বাড়িতে ঢুকতেই বাড়ির পরিবেশ একটু অন্য রকম লাগলো। একটু সামনে যেতেই দেখলো একজন ভদ্রমহিলা সোফায় বসে আছে।
জবার পিছু পিছু অভ্র বাড়িতে ঢুকলো। জবার পাশ কাটিয়ে এমন ভাবে গেলো জেনো কেউ কাউকে চিনেনই না বা এখানে কেউ আছে কিনা অভ্র জানেও না।

ভদ্রমহিলা অভ্রের দিকে তাকিয়ে বললো,’ অভ্র না.? মাশাল্লাহ কতো বড় হয়ে গেছো.?’
অভ্র হাল্কা হেসে বললো, ‘ কেমন আছেন খালামুনি.?’
~ এই ত আলহামদুলিল্লাহ, তুমি কেমন আছো অভ্র.? ‘
~ আলহামদুলিল্লাহ ভালো।
অভ্র সিঁড়ি দিয়ে উঠার সময় কেউ একজন দৌড়ে সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় চোখাচোখি হলো। মেয়েটা অভ্র কে দেখে থেমে গেলো ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বললো,’ আপনি কি আয়ানের বন্ধু.? ওকে একটা কথা বলে দিবেন মৌরি চলে এসেছে ওর শান্তি হারাম আর হ্যা ওর পাশের ড্রয়ারে একটা চিরকুট রেখে এসেছি।’

অভ্র বিরক্তিকর মুখে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে হনহন করে উঠে গেলো।
মৌরি ঠোঁট উল্টে বলে উঠলো, ‘ আয়ানের বন্ধু দেখি ওর থেকে ও নাক উঁচু! ‘

জবা ড্রয়িং রুমের দরজায় দাঁড়িয়ে সবকিছু চোখে নোট করে নিলো।

শায়েলা সিদ্দিকী জবাকে দেখে এগিয়ে আসলেন। হেঁসে পরিচয় করিয়ে দিলেন উনার ছোটো বোন হানার সাথে।
জবা হানার দিকে কিছু সময় তাকিয়ে রইলো। হানা জবার দিকে তাকিয়ে ভীতু চোখে একবার শায়েলার দিকে তাকালো। শায়েলা চোখের ইশারায় কিছু বুঝালো। হানা হেঁসে জবার মাথায় হাত বুলিয়ে বলে উঠলো, ‘ মাশাল্লাহ, মাশাল্লাহ আমাদের আসিফের নজর ত চাঁদের দিকে গিয়েছে। এতো সুন্দর স্নিগ্ধ মেয়ে আমি এর আগে কখনো দেখিনি। দেখো আমার মেয়ে মৌরি।
জবা মৌরির সাথে পরিচিত হতে চাইলে মৌরি তেমন আগ্রহ দেখালো না। মোবাইল নিয়ে ব্যাস্থ হয়ে পরলো৷

শায়েলা সিদ্দিকী কে জবা হেল্প করতে চাইলে শায়েলা সিদ্দিকী নিষেধ করলেন। বাড়িতে এতো এতো কাজের মহিলা থাকতে জবা রান্না ঘরে আসলে কুলসুম বেগম রেগে যাবেন। উনি কোনো ভাবেই রিস্ক নিতে চাননা জবার প্রেগন্যান্সির বিষয়। এই বাচ্চা যেভাবেই হোক দুনিয়ার আলো দেখাতেই হবে। এতে কুলসুম বেগমের কিসের প্লান.?

শায়েলা সিদ্দিকী জবাকে বলে দিলো হানা আজ রাত থেকে কাল সকালে চলে যাবে আর মৌরির পরীক্ষা শেষ তাই কয়েকদিন থাকবে। তোমার আরেকটা ননদ ভাবতে পারো বেলীর মতো।
জবা আঁড়চোখে বেলীকে খুঁজলো চারপাশে।
বেলী আয়ানের সাথে বাহিরে বস্তিতে গিয়ে ছিল এখনো আসেনি।

___________

রাতে বেলী একা বাসায় আসতেই ওর সামনে দাঁড়ালো কুলসুম বেগম।
বেলী ভয়ে চুপসে গেলো।
কুলসুম বেগম শার্লিন বেগম কে বলে উঠলো, ‘ কেমন শিক্ষা দিয়েছো মেয়েকে.? কিভাবে একটা চৌধুরী বাড়ির মেয়ে চলা ফেরা করে তাই জানে না। বড়দের কথা ত একদম শুনেনা। আমাদের বংশের মেয়েদের এমন চলাফেরা দেখলে ঠেংভেঙে দিত!’

বেলী একবার মায়ের দিকে তাকিয়ে কুলসুম বেগমের দিকে তাকিয়ে বিরবির করে বলে উঠলো “তাই ত ভাবি আপনার এখনো ঠেং আছে কেন!? ”
কুলসুম বেগম রাগে হুংকার করে বলে উঠলো, ‘ কি বললে!.?’
ভয়ে জবা দুই হাতে মুখ চেপে ধরলো। এটা সে কি করে দিল.? এই মুখ যেখানে সেখানে সামলাতে পারে না বলে কবে যে ফাঁশির রশিতে ঝুলে যায়! আজকে বুঝি সেই ফাঁশিতে ঝুলার দিন..???

__________

আয়ানের গাড়ির সাথে এসে ধাক্কা খেলো একটা গাড়ি।
আয়ান গাড়ি থামিয়ে ফোনে কথা বলছিল।

ভয়ে ভয়ে তাকালো জবা আরেকটু হলেই এক্সিডেন্ট করে বসতো। ধরা আজই খেতো লম্বা একটা শ্বাস নিয়ে বুকে হাত দিল। তবে অন্য গাড়ির সাথে ধাক্কা খেয়েছে কে জানে গাড়ির মালিক কেমন! অনেক কষ্টে দুইতলার বারান্দা দিয়ে অভ্রর ব্যালকনি টপকে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে বের হয়ে এসেছে।

আয়ান মোবাইল পকেটে রেখে গিয়ে গাড়ির গ্লাসে থাপ্পড় দিয়ে গ্লাস নামতে বললো।

জবা গাড়ির বাহিরে তাকিয়ে থমকে গেলো৷ একটা থেকে বাঁচতে না বাঁচতে আরেক ঝামেলা সামনে। জলদি মাস্ক আর ক্যাপ পড়ে নিলো৷

” গাড়ি চালাতে না পারলে বের কেন হন.?”
” এখানে আমার দোষ কোথায়.? আপনি গাড়ি সাইড করে রাখবেন না”
” আমি ত সাইডেই রেখে ছিলাম নিজে অপরাধ করে আমার দোষ দিচ্ছেন! ”
” আমার জলদি ছিল, আমার আম্মু হসপিটালে ভর্তি আছে আমাকে যেতে হবে।”
” এভাবে কিভাবে যাবেন.? ভুল করেছেন ক্ষতি পূরণ দিয়ে যাবেন!”
” আপনার গাড়ির ত কিছুই হয়নি ক্ষতি পূরণ কেন দিব.?”
” আপনি নেমে দেখুন! ”
জবা এখবন নামলেই ধরা পরবে তাই বলে উঠলো, ‘ ঠিক আছে ক্ষতি পূরণ কত বলুন আমি বাসায় গিয়ে পাঠিয়ে দিব!”
” আপাতত আপনাকে শুধু আপনার মায়ের জন্য ছেড়ে দিচ্ছি আগে হসপিটাল যান তবে নাম্বার আর আপনার মাস্ক খুলুন একটা ছবি তুলে রাখবো যেনো দেখলেই চিনতে পারি আমি একজন পুলিশ অফিসার আপনাকে বের করা তেমন কিছু না। ”
মাস্ক খুলার কথা শুনতেই ভয়ে জমে গেলো জবা!
” কি হলো জলদি খুলুন! আর আপনার আম্মু কোন হসপিটালে ভর্তি নাম বলুন!”

” বাঁশ! বাঁশ! বাঁশ জবা আজ খুব ভালো করেই বাঁশ খেতে যাচ্ছে ”

চলবে,
ভুলত্রুটি মার্জনীয়।