শেহরোজ পর্ব-১২

0
315

#শেহরোজ — ১২
#ইসরাত_জাহান_দ্যুতি
***

“আমার দখলদার হওয়া এত সোজা?” পালটা প্রশ্ন ছুঁড়ে শাজ আড়চোখে তাকাল।

মুচকি হাসল শেহরোজ। ফিসফিসিয়ে এক ভাবনাতীত জবাব দিলো‚ “তোমাকে ডেট করার সুযোগটা দাও তবে! দেখাতে পারব তখন‚ সোজা না কঠিন।”

কপালে চাপড় দিতে গিয়েও অন্যদের কথা খেয়াল করে থেমে গেল শাজ। উঠতে‚ বসতে এই লোক সমানে ফ্লার্ট করে যাচ্ছে তার সঙ্গে। আর এখন খেতে বসেই প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বসল! বিড়বিড় করে উঠল‚ “এমন ফাজিল লোকের পাল্লায় আমাকে কেন ফেললে‚ মাবুদ?”

“আমার শিকার হতে।” উত্তর দিলো শেহরোজ আগের সুরেই।

এর জবাব আর দিতে পারল না শাজ পিয়ালের দিকে চোখ পড়তেই৷ খেতে খেতে সে এতক্ষণ ওদের দেখছিল পুলিশের মতো নজর লাগিয়ে। চোখাচোখি হতেই ভ্রু নাচাল। অর্থাৎ জিজ্ঞেস করল‚ “কী চলছে‚ হুঁ?”

“লাইন মারতে চাইছে তোমার বন্ধু” ‚ শেহরোজকে বৃদ্ধা আঙুলে দেখিয়ে জবাব দিলো শাজ নিঃশব্দে ঠোঁট নেড়ে।

শেহরোজ তা দেখল। দুষ্টুমিটা মুখে রেখেই ভাত চিবুতে চিবুতে বোবাদের ইশারায় হাতটা বুকের বাঁ পাশে রাখল পিয়ালকে দেখিয়ে৷ যার অর্থ ‚ “দয়া করো।”

পিয়াল তাতে কপট রাগী মুখ করে কাচের গ্লাসটা চেপে ধরল ওকে দেখিয়ে — বোঝালো ‚ “মাথা ফাটিয়ে দেবো একদম।”

দুজনের ইশারা ভঙ্গি দেখে হাসতে থাকল শাজ মিটমিটিয়ে। এর মাঝেই উঠে পড়লেন মতিন সাহেব। সকাল সকাল গিয়ে দোকানে বসতে হয় তাকে। কার এক্সেসরিজ আর মোটর পার্টসের বিশাল ব্যবসা তার। পড়াশোনার ফাঁকে পিয়ালকেও সময় দিতে হয় সেখানে৷ যেমন আজও যাবে সে বাবার সঙ্গেই৷ তাই বাবার নাশতা শেষ হওয়া মাত্রই সেও দ্রুত পানি খেয়ে উঠে পড়ল৷ বাপ ছেলের খাওয়া শেষ হতে দেখে ঝুমাও আর বসল না৷ কারণ‚ একটু পর দুজনই তাকে এ-কাজে ও-কাজে ডাকাডাকি শুরু করে দেবে। টেবিল ছেড়ে যাওয়ার আগে সে শাজকে জানিয়ে গেল ‚ “তোর চাচা কল করেছিল কাল। আমাকে বলেছে, তোকে যেন গাড়ি ছাড়া বের হতে না দেই। ড্রাইভারকে ফোন করে নিতে বলেছে তোকে।”

“আরে এ ব্যাপারে তো আমি বলেই দিয়েছি আগে।” শাজ বিরক্তির সঙ্গে বলল‚ “কোনো গাড়ি ফাড়ি নিয়ে আমি চলতে ফিরতে পারব না।”

ভ্রুক্ষেপ করল না ঝুমা তার কথা৷ যেন শুনতেই পায়নি তেমন ভাব নিয়ে চলে গেল ঘরে। খেতে খেতে শেহরোজ বলল তাকে‚ “তোমার চাচার কথা শোনা উচিত‚ শাজ৷ গতকাল যে বিপদটা গেছে তারপরেও একা যাতায়াত করা তোমার জন্য রিস্কি। আমি এখনো বলে ওঠার সময়টা পাইনি আন্টিকে৷ তবে আজই জানাব।”

“আমি আসলে কাউকে বোঝাতে পারি না ওই গাড়িতে আমার সাফোকেশন হয়।” দাঁতে দাঁত চিবিয়ে বলল শাজ‚ “আর ওই ড্রাইভারকেও আমার অসহ্য লাগে।”

“কারণ?” কৌতূহল চোখে তাকাল শেহরোজ।

“আগে এক মন্ত্রীর মেয়ের ড্রাইভারি করত লোকটা৷ সেই মেয়ে গাড়িতে তার বয়ফ্রেন্ড নিয়ে যেসব ফূর্তি করত, সেটাই আবার আমাকে সে শোনাত। কয়েকবার বারণ করেছিলাম ধমক দিয়ে৷ অসভ্য লোক তখন হে হে করে হাসত। পরদিন আবার যা তাই-ই। কাকুকে জানালে কাকু চাকরি থেকে বের করে দিয়েছিল৷ তাতে বেঁচেই গিয়েছিলাম। আবার কেন তাকে চাকরি দিয়েছে কে জানে!”

“বাট এ কারণে সাফোকেশন হবে কেন?”

খাওয়াটা বন্ধ হয়ে গেল শাজের৷ রাগে, বিরক্তিতে কুঁচকে থাকা মুখটাও কেমন মলিন হতে শুরু করল। প্লেটের মাঝে কতক্ষণ উদাসীন চোখে চেয়ে থেকে ধরে আসা গলায় বলল‚ “গাড়িটা আব্বু গিফট করেছিল আম্মুকে। আমাকে নিয়ে আম্মুর ওই গাড়িতে ঘুরে বেড়ানোর অনেক স্মৃতি আছে৷ আর…” কণ্ঠ রোধ হয়ে এলো তারপর। কান্নাটুকু গিলে বলল, “ওই গাড়িটাতে করেই আম্মুর নিথর, রক্তমাখা শরীরটা হসপিটাল নিয়ে গিয়েছিল আঙ্কেল, আন্টি। আমি ছিলাম ড্রাইভারের পাশের সিটে আঙ্কেলের কোলে বসে। গাড়িটাতে উঠলেই দিনটার স্মৃতি তাজা হয়ে ওঠে। মানতেই পারি না তখন আমার আম্মু আর নেই।”

বাইরে থেকে সহনশীলতা দেখালেও আদতে মেয়েটা ছিন্নবৃন্ত ফুলের মতো। আর বৃন্তহীন ফুল সুবাস ছড়ালেও ধীরে ধীরে মাধুর্য হারায়।

কিছু জিজ্ঞেস করতে চাইছিল শেহরোজ। কিন্তু সময়টা ঠিক নয়। তাই সান্ত্বনার স্পর্শে শাজের হাতটা ছুঁলো ‚ “আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর বান্দাকে তাঁর কাছে নিয়ে গেলে আমাদের অভিযোগ করার অধিকার নেই‚ হুকুম নেই। একদিন আমাদেরও নিয়ে যাবেন তিনি। মৃত্যুই আমাদের ফাইনাল ডেসটিনেশন। তাই তা নিজের জন্য এবং আপনজনের জন্যও গ্রহণ করতে হবে‚ মেনে নিতে হবে। বরং তুমি তোমার আম্মুর জন্য যত কষ্ট পাচ্ছ তার রুহের কষ্ট ততই বাড়ছে। শাজ‚ তুমি না চাইতেও তার রুহের কষ্ট বাড়িয়ে দিচ্ছ তা কি কখনো ভাবোনি?”

শেষ কথাটাই ভেজা চোখে তাকাল শাজ। এ কথা জানলেও নিজেকে সামলাতে পারে না সে৷ “কী করব আমি?” কাঁদতে কাঁদতে বলল‚ “আম্মুর কষ্ট আমি চাই না৷

“এই যে গাড়িটা তার শেষ বিদায়ের সময়টাকে স্মরণ করায় তোমাকে। আর তখন তুমি মন থেকে মানতে চাও না তোমার আম্মুর মৃত্যুটা। দেন ইউ ফিল সাফোকেটেড ডিউ টু এক্সেস প্রেসার। এটাই আগে সলভ্ করতে হবে‚ শাজ৷ গাড়িটাকে তোমার সহজভাবে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে৷ যে চেষ্টা আগে তুমি কখনো করোনি।”

কথাগুলো আগেও শাজকে বুঝিয়েছে তার সকল কাছের মানুষ। কিন্তু পারেনি শাজ এই চেষ্টাটা করতে। আজও পারবে না — এই বিশ্বাস থেকেই খাবার প্লেটটা ঠেলে সরিয়ে নীরবে চোখের পানি ঝরাতে থাকল। শেহরোজ তা ধরতে পারল কিনা কে জানে! তার ছুঁয়ে রাখা হাতটাকে একটু শক্তভাবে চেপে ধরে বলল‚ “এই চেষ্টাতে আমি তোমার পাশে থাকলে অখুশি হবে না নিশ্চয়ই?”

একবার তাকাল শাজ ওর ধরে রাখা হাতটার দিকে‚ তারপর ওর চোখে। সে সময় চোখের পলক ফেলে শেহরোজ মুচকি হাসল — সে হাসি যে ভরসার তা বুঝতে পেরে শাজ জোরপূর্বকই একটুখানি হাসি ফোটালো মুখে।

কলিংবেলটা বেজে উঠল এমন সময়েই। ঝুমা আন্টি ব্যস্ত দেখে শাজ উঠে গিয়ে দরজাটা খুলল। একটি ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। শাজ কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই ছেলেটি শাজের ফ্ল্যাট দেখিয়ে বলল‚ “ম্যাডাম‚ এই বাসার মালিকের একটি পার্সেল এসেছে। কিন্তু কেউ মনে হয় বাসায় নেই। আপনি কাইন্ডলি রিসিভ করে রাখবেন?”

হিয়ারিং এইড মেশিন ছাড়া শাজের দাদী কানে শুনতে পান না৷ হয়তো খোলা আছে সেটা। তাই কলিংবেল শুনতে পাননি। কিন্তু শাজ অবাক হলো। না বলে কে ওকে কীসের পার্সেল পাঠাল? কথাটা ভাবতে ভাবতেই বলল‚ “বাসার মালিক আমিই৷ কে পাঠিয়েছে পার্সেল?”

ছেলেটি দরজার সামনে থেকে সিঁড়ির কাছে চলে গেল। ফিরে এলো হাতে একটি পাখির খাঁচা সমেত। শাজের সামনে সেই খাঁচাটি ধরতেই ভেতরে থাকা পাখিটি শাজকে চমকে দিয়ে কর্কশ গলায় স্পষ্ট বলে উঠল‚ “আসসালামু আলাইকুম, ইয়া আমিরা।”

“ওমা!” বিস্ময়ে শাজের চোখদুটো কোটর ছেড়ে বেরিয়ে আসার উপক্রম। উত্তেজনায় চেঁচিয়ে উঠল‚ “এটা কী? কাকাতুয়া! কে পাঠালো?”

“ইয়া আমিরা, আই অ্যাম বুস্তানি।” শাজের কথা শুনে নিজের মতোই পাখিটা আওড়ে উঠল আবারও।

বিস্ময়াভিভূত হয়ে শাজ চেয়ে রইল পাখিটার দিকে। ধবধবে সাদা আকর্ষণীয় পালক, শক্তিশালী কালো রঙা ঠোঁট আর মাথায় হলুদ রঙের ঝুঁটি — যেটা এই মুহূর্তে দারুণ প্রসারিত হচ্ছে।

ছেলেটি হাসতে হাসতে বলল‚ “প্রায় সারাটা পথই এই দুটো কথা বলতে বলতে এসেছে এটা।”

“কিন্তু কে পাঠিয়েছে?” প্রশ্নটা শাজ জিজ্ঞেস করতেই শেহরোজ এসে হাজির হলো দরজায়।

একটা কাগজ বের করে দিলো ছেলেটি। শাজ কাগজটা হাতে নিলে শেহরোজ মুগ্ধ কণ্ঠে “আরে মাশা আল্লাহ মাশা আল্লাহ” বলতে বলতে পাখিটির কাছে এগিয়ে গেল। জিজ্ঞেস করল শাজকে‚ “এটা কি তোমার‚ শাজ?”

“এই মুহূর্তে তো সেটাই বলতে হচ্ছে।” কাগজটা দেখে জবাব দিলো শাজ।

পাখিটি মূলত শাজকে জন্মদিনের উপহারস্বরূপ পাঠিয়েছেন শাজের চাচা খালিদ উসমান তার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মাধ্যমে৷ যে ব্যক্তি গত পরশু দেশে এসেছে মালয়েশিয়া থেকে।

পাখিটিকে নিয়ে শাজ আর শেহরোজ ঘরে ফিরল। ঝুমা স্বামী‚ ছেলেকে গুছিয়ে দিয়ে আসতেই খাবার টেবিলে পাখিটি দেখে একরকম ছুটে এলো‚ “ওরে ওরে চলে আসছে পাখিটা?”

“এটা আসার কথা জানতে না-কি তুমি?” সরু চোখে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল শাজ।

“জানব না কেন?” চোখে-মুখে কৃত্রিম অহমিকা ফুটিয়ে বলল ঝুমা‚ “খালিদ ভাইকে তো আমিই বলে দিয়েছিলাম গিফটে এরকম কিছু একটা পাঠায় যেন।”

“যতসব ধাপ্পাবাজ পাবলিক”, তাচ্ছিল্যের সঙ্গে বলে মুখ বাঁকাল শাজ। “নিজে কী দিতে পারো সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি।”

“এরোই চোখ উল্টাইন্না ফকিন্নি!” হেঁড়ে গলায় বলে উঠল ঝুমা‚ “এত্তহন কি তাইলে আমার জেফত খাইলি? মইত্তার ন্যাংটা কালের উড়ালপক্ষী চুমকি মুটকি আইসা রানছে তর লিজ্ঞা? তুই রেনি রেনি ছ, আই তরে পুন্দে লাত্থি মাইরা আম্রিকা পাডাই না দিলে আইও ঝুমা শেখ ন!”

শেহরোজ আহাম্মকের মতো চেয়ে ছিল। তার কথাগুলোর কিছুই না বুঝতে পেরে আমতা-আমতা করে শেষমেশ বলে উঠল‚ “মানে… আন্টি‚ একটু আগেও তো কথা লাইনেই ছিল। এখন মনে হয় কথা ডিরেইলড হয়ে গেছে। যদি আবার একটু লাইনে ফিরতেন।”

এক ঝটকায় ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাল ঝুমা কটমট চোখে। তা দেখে কাঁচুমাচু মুখ করে হাসল শেহরোজ‚ “একটু বুঝতে আমার সু্বিধা হতো আরকি… তাই বলছিলাম৷ ঠিক আছে‚ সমস্যা নেই৷ কন্টিনিউ প্লিজ।”

“সে কন্টিনিউ করলেই যেন আমি দাঁড়িয়ে শুনছি? ঠেঁটা, ছ্যাঁচ্চড় মহিলা!” মুখ ঝামটি দিয়ে শাজ বলল। পাখিটা নিয়ে চলে যেতে উদ্যতও হলো৷ ঝুমা শেখ আবারও চেঁচিয়ে জবাব দিতে যাবে তখনই শেহরোজ শাজকে পিছু ডাকল‚ “আগেই যেয়ো না‚ শাজ। দাঁড়াও।”

শাজ দরজার কাছে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল। শেহরোজকে দেখল ঘরে যেতে৷ ঝুমাকে তখন বলল‚ “উনি আমার সঙ্গে আমার গাড়ি করে যেতে চাইছে৷ তোমার কোনো আপত্তি আছে?”

ভ্রু কুঁচকে জবাব দিলো ঝুমা‚ “গাড়ি তোর‚ যাবি তুই। আমি আপত্তি করতে যাব কেন?”

“কারণ আপত্তি করলে আমি যাব না।” পাখিটার দিকে নির্বিকার দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বলল শাজ।

ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটে উঠল ঝুমার। শাজের আড়ালেই হেসে নিলো সন্তুষ্টির হাসি, পরিতৃপ্তির হাসি। তারপর নকল আম্ভরিক গলায় জানাল‚ “আপত্তি নেই। বরং ওই খাচ্চর ড্রাইভারের বদলে রোজই দৈনিক এগিয়ে দিয়ে আসলে নিশ্চিন্ত হতাম। দেখি‚ বলে দেখব ওকে কী বলে। একটা মাস নিজের ঘরে দেখছি। সম্ভ্রান্ত, সুশীল পরিবারের সুযোগ্য ছেলেই ও। ওকে বিশ্বাস করতে পারি আমি।”

শেষ দুই বাক্য শাজের বুকে যে মিষ্টি অনুভূতির হিল্লোল তুলল— তা ঝুমা শেখ দেখল না‚ জানল না।

শেহরোজ বেরিয়ে এলো ঘর থেকে। হাতে একটি বেটা হাউজ ওর। ছোটো অ্যাকোয়ারিয়াম বলে যাকে। তার মাঝে লাল আর নীল রঙের দুটো ফাইটার ফিশ৷ এই অ্যাকোয়ারিয়ামটিতে স্বচ্ছ ফাইবার দিয়ে পার্টিশন করা। এবং প্রতিটি পার্টিশনের গা দিয়ে একটি করে স্লাইডিং টুকরো লাগানো। এই টুকরোটি রঙিন ফাইবার দিয়ে তৈরি বিধায় অ্যাকোয়ারিয়ামের ভেতর থাকা একটি ফাইটার ফিশ অন্য ফাইটার ফিশ দেখতে পায় না। মাঝে মাঝে এই স্লাইডিংটি সরিয়ে দিলে একটি আরেকটিকে দেখতে পায় আর অমনি মারামারি করার জন্য রাগে গায়ের পাখনাগুলো উদ্ধতভাবে মেলে ধরে। সে সময়ই এই মাছগুলোকে দেখতে ভীষণ চমৎকার লাগে।

অ্যাকোয়ারিয়ামটি সরাসরি শাজের দিকে বাড়িয়ে দিলো শেহরোজ, “আন্টি আর পিয়ালের জন্য তোমার সঙ্গে মাত্র দুদিনেই সুন্দর একটি ফ্রেন্ডলি রিলেশনশিপ হয়েছে আমার। এই পারপাসেই এই গিফটটা তোমাকে দিচ্ছি। ডোন্ট সে নো।”

আরও একবার বিস্ময়বিমূঢ় দেখালো শাজকে৷ মাছগুলোকে দেখতে দেখতে সেই বিমূঢ়তা নিয়েই বলল সে‚ “মে বি স্ট্র্যাটিজিক্যালি।” শেহরোজের দিকে তাকাল তারপর‚ “বাট অ্যাকচুয়ালি দিজ ইজ মাই বার্থডে প্রেজেন্ট, রাইট? অ্যান্ড আই অ্যাম ডেফিনেটলি রাইট।”

বাঁকা হাসল শেহরোজ। “অর মে বি ইট’স আ প্রপোজাল টু বি মাই ডোনা”‚ নিম্নস্বরে বলেই চোখ মারল শাজকে।

#নোট__ ডোনা অর্থ ‘প্রেয়সী’।
আজকের পর্ব ছোটো জানি। কিন্তু এটা বলে প্লিজ আফসোস বা অভিযোগ করবেন না কেউ। এমন মন্তব্য দেখতে খারাপ লাগে আসলে। বড়ো যেদিন করা সম্ভব হয় না সেদিন আমার কোনো সমস্যার কারণেই সম্ভব হয় না। এটা আশা করি আমার বুঝদার পাঠক বুঝবে।