শ্রাবণধারা পর্ব-০১

0
329

“শ্রাবণধারা”
পর্ব- ০১
(নূর নাফিসা)

আষাঢ়ে বৃষ্টি। ঘনবেগের বাতাসে বইছে প্লাবন। চেয়ারম্যানের টিনকাঠের ঘরটার বারান্দা ঝটকা হাওয়ায় বারবার সিক্ত হয়ে উঠছে। বাড়ির পেছনে পশ্চিমের জমিটা ভরাট করে সেখানে উত্তরের গোয়াল ঘরটা স্থানান্তর করা হয়েছিলো মাস খানেক আগে। সেই উত্তরাংশে পাকা ভবন নির্মাণের কাজ ধরা হয়েছে। বৃষ্টির প্রতুলতার কারণে কাজ বন্ধ রাখা আছে তিনদিন যাবত। এই ধারা শেষ হওয়ার যেন নামই নেই। পারভীন বারবার দরজা খুলে বৃষ্টির গতি দেখছে। মেয়েটা স্কুলে। ছুটির সময় হয়ে গেছে। গত দুদিন বাড়িতে ছুটি কাটালেও আজ সকালে বৃষ্টির বেগ কিছু কম থাকায় স্কুলে যেতে আগ্রহী হয়েছে অর্পা। ঘরে বসে বসে বড্ড বিরক্ত হয়ে পড়ছিলো। আফজাল হোসেন তো কোনো প্রয়োজনেও মেয়েকে ছাড়তে চায় না বৃষ্টি বাদলায়। তবুও জেদ করে গেলো। মায়েরও চিন্তা হচ্ছে। ছেলে দুইটাও বাড়ি নেই যে একটু পাঠাবে তাকে নিয়ে আসার জন্য। মেয়েটা আজ জ্বর বাঁধাবে নিশ্চিত। বৃষ্টিতে ভিজলেই জ্বর চলে আসে। তবুও কথা শোনানো যায় না। কি হয় দুচারদিন স্কুল মিস করলে?
এরইমধ্যে বড় ছেলে ইফতেখার দিপু চলে আসে মোটরসাইকেলে চড়ে। শার্ট প্যান্ট ভিজে লেপ্টে আছে শরীরের সাথে। শ্যামকালো গায়ের রঙ কেমন ফ্যাকাসে সাদাভ হয়ে আছে। নিশ্চিত অনেক্ক্ষণ যাবত ভিজছে। মাকে দরজায় দেখতেই জিজ্ঞেস করে,
“এখানে দাঁড়িয়ে আছো কেন?”
“অর্পার জন্য চিন্তা হচ্ছিলো। মেয়েটা বৃষ্টিতে ভিজলেই জ্বর চলে আসে। এখন তো চিন্তা আমার আরো বাড়লো। তোর এই অবস্থা কেন? কতক্ষণ যাবত ভিজেছিস?”
“অনেক্ক্ষণ। ইচ্ছে করছিলো একটু ভিজি। অনেক দিন পর ভেজা হলো।”
“হ্যাঁ, ভালো। সব একত্রে পড়ে থাক বিছানায়। আরেকটা তো আছেই খেলার পাগল।”
ইফতেখার নামতে গিয়েও নামেনি মোটরসাইকেল হতে। পুনরায় স্টার্ট করে বললো,
“অর্পা আসেনি, না? যাই, নিয়ে আসি।”
“তোর যেতে হবে না। পোশাক পাল্টা ঘরে এসে।”
“আসছি। বেশিক্ষণ লাগবে না।”
আধ ভাঙা কাদামাক্ত রাস্তা। এই রাস্তার কাজটাও শীঘ্রই ধরার কথা ছিলো। টানা বৃষ্টি সব স্থগিত করে রেখেছে। মিনিট পাঁচেকের মধ্যে অর্পার স্কুলে এসে পড়েছে ইফতেখার। স্কুল ছুটি হয়ে গেছে অনেক্ক্ষণ। বেশিরভাগই চলে গেছে, কেউ ভিজে। কেউবা ছাতা মাথায় চড়িয়ে। বারান্দায় কিছু সংখ্যক দাঁড়িয়ে আছে বৃষ্টি থামা কিংবা কমে আসার অপেক্ষায়। অর্পা বান্ধবীদের সাথে বারান্দায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাত বাড়িয়ে রেখেছে বাইরে। আছড়ে পড়া বৃষ্টির পানি হাতে জমা করে দুষ্টুমি করছে। একে অপরের দিকে ছিটিয়ে দিয়ে বারান্দায় ছোটাছুটি করছে। বারান্দার সংলগ্নে মোটরসাইকেল এসে থামতেই দুষ্টুমি বাদ দিয়ে ছুটে আসে অর্পা।
“আরে ভাইয়া! আমাকে নিতে এসেছো?”
ইফতেখার তার দিকে পর্যবেক্ষণ করে বলে,
“ভিজেই তো গেছো। অযথা সময় নষ্ট করছিলে কেন? গেইটে দাঁড়িয়ে একটা রিকশা ডেকে চলে যেতে পারতে।”
“এমনি একটু সময় কাটাচ্ছিলাম।”
মিনমিনে গলায় বলে অর্পা। ইফতেখার জিজ্ঞেস করে,
“রিকশা ডাকবো? নাহয় মোটরসাইকেলেই উঠে বসো। সেই তো ভিজেছোই। দ্রুত যাওয়া হবে।”
ভাইয়ের পিছু বসে যায় অর্পা। ইফতেখার কোনোরকম সময় নষ্ট না করে রওনা হয় বাড়ি পথে৷ বাজারে এসে দেখে বিরাট জ্যাম। আধভাঙ্গা রাস্তা হওয়ায় খুব সাবধানে চলতে হচ্ছে রিকশা ওয়ালাদের। এলোমেলো স্তরে পুরো রাস্তা দখল করে ধীরে ধীরে এগুচ্ছে। ইফতেখারও ফাঁকে ফাঁকেই মোটর সাইকেল নিয়ে ঢুকে পড়ছে। সুযোগে সুযোগে এগিয়ে যাচ্ছে জট এড়িয়ে। ঘন চলাচলে রাস্তা খুব বেশি কাদামাক্ত হওয়ায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে যাচ্ছে। এক হাতে ভাইয়ের কাঁধ চেপে রেখে অন্যহাতে নাক ঢেকেছে অর্পা। কতক্ষণে বের হওয়া যাবে, তা-ই দেখছে সামনের দিকে। ইফতেখার আরেকটা রিকশা টপকে যেতেই হঠাৎ রিকশা হতে এক যাত্রীর থুতু এসে পড়লো ইফতেখারের গায়ে।
“আল্লাহ! এ কি করলাম!”
সাথে সাথেই লজ্জায়, অপরাধবোধে মুখ ঢেকে ফেলেছে যাত্রী। অর্পা ক্ষিপ্ত হয় তার প্রতি।
“চোখ নেই নাকি! ফালতু!”
ইফতেখারের গা কিঞ্চিৎ ঘিনঘিন লাগলেও ক্ষিপ্ততা আসেনি একদমই। একবার নিজের শার্টে তাকিয়েই আবার পথ চলতে ব্যস্ত হয়েছে। কোনোরকম প্রতিক্রিয়া জানায়নি। বরং অর্পাকে চুপ থাকতে বললো। দোষ খুঁজতে গেলে নিজেকেই আগে দেখতে হবে। কেননা, যাত্রী তো আর জানে না হুট করে মোটরসাইকেল চলে আসবে ধীর চলা রাস্তায়। অন্যথায় কান পর্যন্ত পৌঁছেছে অনুতপ্ততা প্রকাশ। সব মিলে গুরুতর কোনো ব্যাপার নয়। পথের শেষটা পর্যন্ত বৃষ্টির পানিতে থুতুর কোনো চিহ্ন রয়ে যায়নি পোশাকে। বাড়ি পর্যন্ত আসতে আসতে অর্পাও ভিজে একাকার। চটজলদি পোশাক পাল্টানোর তাড়া পারভীনের। কিছুক্ষণ পর বাড়িতে পড়ানোর জন্য শিক্ষক এলেই পড়তে বসতে হয় অর্পাকে। চলে যাওয়ার আগে পারভীনকে ডাকা হয় পরীকে দিয়ে। অর্পার পড়াশোনা খুব একটা এগুচ্ছে না জানিয়ে যায় মাস্টার। আরও চাপ দিতে হবে বাসায়। সামনেই পরীক্ষা।
এদিকে মাস্টার যেতে না যেতেই চেয়ারম্যান বাড়িতে দুই গলার চিৎকার চেচামেচি। এক হচ্ছে পরী, আরেক বকুল কাকা। বকুল কাকা গরুর ঘাস দিতে গিয়ে পিছলে পড়ে একেবারে গোয়াল সীমানা ছেড়ে ঢালু বেয়ে নিচু জমিতে চলে গেছে। তা রান্নাঘরের জানালা দিয়ে দেখেছে পরী। হাসতে হাসতে যেন লুটিয়ে যাচ্ছিলো। সাথে হৈ হৈ করছিলো আনন্দে। তা দেখে বড্ড ক্ষেপেছে বকুল কাকা। ইচ্ছেমতো বকাবকি করে যাচ্ছে পরীকে। পরীও বেশ চাপাটে। একটা কথা ছাড় দিচ্ছে না। যত হেয় করা যায় একে অপরকে, ততই করছে। পারভীন এসে ধমক দিচ্ছে পরীকে।
“একটা থাপ্পড় দিবো ধরে। বাপের বয়সী লোকের সাথে কেমন ঝগড়া করোস!”
“ওই বেডাই তো আগে ঝগড়া লাগতে আইছে।”
“তুই হাসলি ক্যা?”
“পড়ছে, আমি দেখছি। হাসি আইছে। তাইলে হাসতাম না?”
“না, হাসবি না।”
“উহ! খালি আমারে বকে। বেডায়ও তো মাইয়ার সমান বেডির লগে ঝগড়া করতে আইছে। কই, তারে তো কিছু কইলেন না।”
“তোর এই ঠমকানো স্বভাবটা আমার একদম ভাল্লাগে না। যা তো এখান থেকে।”
“হু, যাইতাছি। কাজ ফুরায় গেলেই পরীরে উড়ায় দেয়। আবার দরকারে সবার আগে এই পরীরেই আকাশ হতে নামান লাগে।”
বৃষ্টি কমলে ক্লাব হতে বের হোন এলাকার বর্তমান চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন। রিকশায় বড় ছাতা মাথার উপর ধরে পাশে বসেছে খালিদ হাসান। খালিদ অর্পার ফুপাতো ভাই। মামার ডান হাত, বাম হাত হয়ে সবসময় সাথে চলে সে। চেয়ারম্যান হুকুম করা মাত্র তা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বাস্তবায়নের বন্দোবস্ত বেশিরভাগই হয় তার মাধ্যমে। রাস্তার উন্নয়নে কাজ করার বেপারেই ক্লাবে আলোচনা চলছিলো এলাকার মেম্বারদের নিয়ে। বৃষ্টির দিন ভারি দুর্ঘটনা চেপে যাচ্ছে পথে ঘাটে। গাড়ি উল্টে যাচ্ছে বাঁকে বাঁকে। দুর্ঘটনার শিকার জনগনের গালি দূর হতে সবার আগে চেয়ারম্যানের উপরই যে পড়ে, তা না শুনলেও বুঝেন তিনি। নির্বাচনের আগে কথাও দিয়েছিলেন রাস্তা ঠিক করার কাজ আগে করবেন তিনি। এদিকে বাড়ি নির্মাণ কাজ ধরে ফেলেছে। তাই ইউনিয়ন জুড়ে কানাপাচড়া চলছে, রাস্তার টাকা বাড়িতে ঢেলেছে। তবে কি বাড়ির উপর দিয়েই সাধারণের চলাচল করা উচিত কিনা! এই ধরনের কিছু কথা আগে পিছে এসেছে কানে। নিতান্তই মন্দ ব্যাপার। গত পাঁচ বছরও তো সে-ই চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করলো, তখন কি তার পাকা বাড়ি ছিলো? মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ। ধীরে ধীরে উন্নয়ন তাদের সয় না। একত্রে সব চাই। অথচ এই চাওয়ারই কোনো শেষ নেই। বাড়ি ফিরেছে সন্ধ্যায়। ইফতেখার সন্ধ্যা জুড়েই ঠান্ডায় জমে ঘুমাচ্ছে কাথা মুড়ি দিয়ে। পারভীন এসে গায়ে হাত দিয়ে দেখে গিয়েছিলেন, জ্বর টর কিছু নেই। ভিজেছে বলেই শরীরটা একটু ঝিমিয়ে গেছে হয়তো। মেয়েটা হাঁচি দিচ্ছে একটু পরপর। আফজাল হোসেন বাড়ি এসে মেয়ের হাচি শুনতেই একের পর এক হুকুম চালিয়ে যাচ্ছেন,
আদা চা করে দাও।
হাতে পায়ে সরিষার তেল দাও।
ডাক্তার ডাকবো নাকি?
সর্দি লাগলো ক্যামনে?
ভিজতে দিলা ক্যা?
মাত্রাতিরিক্ত মাথা খারাপ করায় ক্রমশই বিরক্ত হয়ে যায় পারভীন। তবুও অব্যক্ত থেকে যায় বিরক্তি। মেয়ে পাগল বাবা। অল্পতেই স্ত্রীর উপর গলা উঁচু করেন মেয়ের কিছু হলে। চাপা বিরক্তি নিয়ে সরিষার তেলে রসুন ছেড়ে দিয়েছে পারভীন। পরী এসে দাঁড়িয়ে আছে পাশে। বাটিতে তেল তুলে দিলেই গরম তেল নিয়ে চেয়ারম্যান কাকার ঘরে যায় পরী।
“কাকা, আপায় কিন্তু পড়ে না ঠিকঠাক। অথচ সামনের সপ্তায় পরীক্ষা। মাস্টারে কইয়া গেলো।”
আফজাল হোসেন কিছু বলার আগেই ভ্রু কুচকে অর্পা বলে,
“তোকে কে বললো পণ্ডিতি করতে? যা বলছি এখান থেকে!”
আফজাল হোসেন মেয়েকে থামায়,
“আহা! আম্মা, তুমি শিক্ষিত মেয়ে হইয়া যদি ঠমকাও তাইলে কেমন হয়? শান্ত হও। পরী, তুই যা। সময়মত পড়বো নে।”
“উল্টাইবো পইড়া।”
অস্পষ্ট বিড়বিড় করতে করতে চলে যায় পরী। কেউই শুনেনি তার উক্তি। আফজাল হোসেন মেয়েকে পড়ালেখায় মনযোগী হওয়ার জন্য ভালো জ্ঞান দিতে দিতে হাতে পায়ে গরম তেল ঘষে দিচ্ছেন। প্রায়ই এমন আহ্লাদ ব্যক্ত করার সময় জমে উঠে বাবামেয়ের মধ্যে। তখন যত প্রয়োজন আর অভিযোগ প্রকাশ করতে একদমই ভুল করে না অর্পা। শিশুকাল থেকেই এইরকম আহ্লাদ পেয়ে অভ্যস্ত।
ঘুমঘুম চোখে তাকিয়ে পরীকে জানালা বন্ধ করতে দেখেছে ইফতেখার। জড়ানো গলাতেই বলে,
“মাকে আদা চা করতে বলিস তো পরী।”
“বকুল কাকা মইরা গেছে।”
ভ্রু জোড়ায় সুক্ষ্ম ভাজ ফেলে ঝটপট উঠে বসে ইফতেখার।
“কিহ! কখন? কিভাবে মারা গেলো?”
“আপনে ভুল হুনছেন ভাইজান। মইরা গেছে তা তো কই নাই। পইড়া গেছে পিছলা খাইয়া। এক্কেরে বেধড়ক পড়া। গোয়াল ঘর হতে পটল ক্ষেতে পটল তুলতে গেছে।”
বিরক্তি জাগ্রত হয় ইফতেখারের চেহারায়।
“আমি তোকে কি বলছি?”
“হুনছি। আদা চা করতে কইছেন। আম্মায় ডেক ভইরা চা করছে। আপনে স্বপ্নে থাইকাই কইছেন নাকি জাইজ্ঞা কইছেন, বুঝার জন্যে অন্য কথা কইলাম। আপনের ঘুমটা পুরাপুরি ভাঙ্গাইলাম। সন্ধ্যা হইয়া গেছে। বাইরে গিয়া একটু দেইক্ষা আসেন। আসলে আপনে যা হুনছিলেন, তা-ও ঠিকই হুনছিলেন।”
ক্রুদ্ধ চোখে তার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে ইফতেখার। তার মুখের পরিবর্তন দেখেই প্রস্থানের পা বাড়িয়ে নিয়েছিলো পরী। তবুও যেতে যেতে কথা শেষ করে গেলো। এই বাড়ির কাউকেই সে এমনিতে ভয় পায় না। তবে রাগলে ভয় পেতে এক সেকেন্ড সময় লাগে না। এখনো লাগেনি। শেষ দেখার চোখ জোড়ায় বুকে ধড়ফড় উঠে গেছে। রান্নাঘরে এসে ফিসফিসিয়ে বলে,
“আম্মা, বড় ভাইজান চা দিতে কইলো।”
“ওইযে, চা। দিয়া আয়।”
“আমি পারতাম না। মাফ করেন। যেই রাগা রাগছে আমার উপর!”
“ক্যা? কি করলি আবার?”
“আধা ঘুমে থাইক্কা চা চাইছে। আমি পুরা ঘুম ভাঙায় দিছি। এইটাই আমার দোষ।”
“ঢং না দেখাইয়া ডাকার আগে চা নিয়া যা।”
“আমি পারতাম না। আমার ভয় লাগতাছে। আমি আবার সামনে গেলে নিশ্চিত কিছু একটা ছুঁইড়া মারবো।”
“কবে না জানি আমিই তোরে মাইরা ফালাই! এইসব ঢং দেখার জন্য কাজে রাখছি?”
“হু, মারবেনই তো। আমি হইলাম কামের বেডি। আপনেরা মালিক। দোষ করলে আর না করলে, মাইর দেওয়াটা আপনাগো অন্তত দোষের কিছু হইতো না।”
চোখের উপর আঁচল চেপে দিয়ে মেঝেতে বসে যায় পরী। একটা কিছু বললে চোখের পানি নাকের পানি সব এক করে আবেগ ঝারতে আসে। প্রচুর পরিমাণে বিরক্ত হয় তখন পারভীন। এখনো হচ্ছে। ইচ্ছে করছে সত্যিই মেরে বসুক। এতোদিন যাবত কাজ করছে, কে মেরেছে তাকে আজ অব্দি?
মাছ ভাজাটা হয়ে এলেই চুলা বন্ধ করে কাপে চা ঢেলে নেয় পারভীন। হু হু করতে করতে আঁচল সরিয়ে আবার এদিকেও উঁকি দেয় পরী। আপাতত বড় ভাইজানের ঘরে চা দেওয়া হতে তার বেঁচে যাওয়া চাই কোনোভাবে।
.
.
.
চলবে