শ্রাবণের মধ্যদুপুর পর্ব-৬১+৬২+৬৩

0
33

শ্রাবণের মধ্যদুপুর
৬১

দুইদিন পর ফেরে নিম্মি। দুই দিনেই সাধনার হাল খারাপ। হেলাল যথেষ্ট চেষ্টা করছে কিন্তু স্ত্রীর অপরিপক্কতা, শাশুড়ির রুক্ষমূর্তি তাকে বারবার বিচলিত করে তুলছে। এই বাড়িতে একমাত্র এই নিম্মি মেয়েটাকেই তার একান্ত আপন মনে হয়। দেখলেই মনের ভেতর শান্তি অনুভূত হয়।

• ভাবী আসছেন, আমি তাইলে একটু কামে যাই, হেলাল হাফ ছেড়ে বাঁচে

• কি বলো? মাত্রই আসছে, তুমি মেয়ে ধরো আমি রান্না বসাই, মায়ের আজ মাথা ব্যথা, আরেক মহারানী তো ঘরের বাইরে পা রাখবেন না সাধনা বলে

• আমার কাছে দাও, ভাই আপনি যান

• মুখ,হাত তো ধুয়ে নিবা

• হ্যাঁ হ্যাঁ আমি একেবারে কাপড় বদলে আসি

ভাত খেতে বসে নিম্মি দেখে সুমনা আসেনি। সালেহার কপালে টাইগার বামের তীব্র মেনথলের গন্ধ আসছে। ভাত মুখে নিয়েই সালেহা বলেন,

• এরম পাইনসা রান্না কি মুখে দেওয়া যায়? আর এইটা কি হোটেল? আসলাম, গেলাম?

• আমি রানছি মা বলে সাধনা

• পরীক্ষা শুরু হয়েছে ফুপু

• তাইলে বাড়ি থেইকা পরীক্ষা দিয়া আসো, রোজ রোজ ভাড়া আমার পোলার পকেট থেকেই তো যায়

• মা ভাবী আমার দেখভালের জন্য চলে আসছে, আমার জন্য রাত জাগছে, তুমি এমন করো কেন?

• বাচ্চা তোর, তুই পালবি এত সঙ্গী সাথী নিয়া আমরা পালি নাই, তোর বাপ মইরা যাওনের পর….

কথা শেষ করার আগেই চিৎকার শোনা যায় বুচির মায়ের।
• আম্মা… আম্মা…. সুমনা বুজান…

• সুমনা?

ভাত ফেলে সবাই ছোটে। সুমনা অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে তার ঘরের সামনে। আরো ফ্যাকাসে লাগছে মুখটা। নিম্মি সুমনার হাতে পালস খোঁজে, খুব ধীরগতির। বাকিটা সে বুঝতে পারেনা। কিন্তু মেয়েটার অবস্থা এবার বেশি খারাপ। সবুজকে বারবার ফোন করেও পাওয়া যায় না। হেলাল দ্রুত ভ্যান ভাড়া করে আনে। তাতেই সুমনাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওর রক্ত লাগে, খুব নিয়মিত না কিন্তু লাগে। সালেহা, সবুজ সবাই ভুলে গেছে ওর কথা। সবুজের দুই বিয়ে, বাড়ির নতুন অংশের কাজ,ব্যবসা সবকিছু মিলিয়ে মেয়েটা চরম অবহেলিত।

রুগ্ন মেয়েটার চোখের কোল ঘেসে জল গড়িয়ে যায়। নিম্মির কোলে মাথা রাখা সুমনার, সাথে হেলাল আছে। ভ্যান ওয়ালা আর কাউকে উঠতে নিষেধ করে। দ্রুত যেতে পারবে না তাহলে। হাসপাতালের ইমার্জেন্সি থেকে ভর্তি লিখে দেয়। নিম্মি কোন এক অজানা কারনে রিফাতকে কল করে। সাথে সাথেই ছুটে আসে রিফাত। রক্ত প্রয়োজন ছিলো, জোগাড় হয়। নাজিমুদ্দিন এসেছিলেন, মেয়েকে এভাবে হাসপাতালে রাখতে মন সায় না দিলেও রাখতে হলো, রিফাত দ্রুত ছাত্রদের ব্লাড গ্রুপ জানিয়ে ফোন করলো। মেডিকেল কলেজে কিছু পরিচিত ছাত্র ছিলো তারা সাথে সাথেই চলে এসেছে। নিম্মিকে ওয়ার্ডের বাইরে বসার জায়গা খুঁজে দেয় রিফাত। নিজে দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে।

•আমার সব প্রয়োজনে কিভাবে আপনি ঠিক সময়ে পৌঁছে যান?

• তা তো জানিনা, কফি খাবে?

•হাসপাতালের কফি?

•রাস্তা পার হলে চা পেতে পারি, আনবো?

•না চলেন আমিও যাবো

•এত রাতে?

•হুম

খুব ব্যস্ত মহাসড়ক। সে দিক দিয়ে ট্রাক, বাস আসছে সেদিকে দাঁড়ায় রিফাত। হাত না ধরেও যত্ন করে রাস্তা পার করায়। নিম্মির প্রথম মনে হলো কেউ তাকে বাঁচাতে চায়? কেউ তার যত্ন নিতে চায়? সে যে একটা মানুষ, তাকে যে কেউ চাইতে পারে, যত্নে রাখতে পারে, এই ধারণাটাই মরে গেছে। সেই মরা গাছে আবার জল ঢালে রিফাত। রাস্তার আলো আধারিতে মুখটা দেখার চেষ্টা করে নিম্মি। চোখদুটো তারই দিকে তাকিয়ে! খানিকটা সামনে গিয়ে একটা চায়ের দোকান পেলো, রাত অনেক, কিন্তু মানুষের অভাব নেই, হাইওয়ের গাড়িঘোড়া চালক, হাসপাতালের রোগী স্বজন। এখানে মনে হয় ঘুম তাড়াতেই সবাই হাজির!

শ্রাবণের মধ্যদুপুর
৬২

পরদিন সকালে মিলি, সবুজ, সালেহা ছুটে আসে। সবুজ নাটোর গিয়েছিলো, মাছের খাবার পাইকারি আনতে। ওর সাথে ওমানে কাজ করত সেই ব্যবসায়ী। সে ব্যবসা বন্ধ করে আবার বিদেশ যাবে। তাই মালামাল কম দামে ছেড়ে দিচ্ছে। সবুজ বিয়ের প্রোগ্রামের জন্য জমানো সব টাকা দিয়ে বিপুল পরিমাণ খাবার কিনে এনেছে। গোয়ালের পিছনে একটা দোচালা টিনের ঘর উঠিয়েছে, মেঝে খানিকটা উঁচু করেছে মাটি দিয়ে তারপর খাবারের বস্তা সাজিয়ে রেখেছে, আজ বেড়া দেওয়া হচ্ছে। সে ফোনের দিকে তাকানোর অবস্থায় ছিলো না, রাতে বাড়ি এসে সব শুনে অবাক। মিলিকে ভর্ৎসনা করে কেন তাকে একটা মেসেজ করেনি। নিম্মি সুমনার কাছেই বসে ছিলো। সবাইকে দেখে নিম্মি মুখ হাত ধুতে গেল। সবুজ কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলে বাইরে তাকিয়ে দেখে নিম্মি আর রিফাত পাশাপাশি দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছে। দুজনেই ভীষণ ক্লান্ত। সবুজ বাইরে এসে ধন্যবাদ জানায় রিফাতকে, রিফাতের পরিচয়ে সিট পেতে সুবিধা হয়েছে, রক্ত দিয়েছে তার ছাত্ররা। হেলাল রাতে থাকতে চাইছিল, এদিকে সাধনা একা বাচ্চা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে, তাই তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় নিম্মি। নিম্মি আর রিফাত ছিলো সারারাত হাসপাতালে। সবুজ রিফাতের চোখে নিম্মির জন্য যে অপরিসীম মায়া দেখে, তার বুকের ভেতর অজানা এক আশংকা দানা বাধে!

ডাক্তার রাউন্ডে এসে অনেক বকেন সালেহাকে। নিয়মিত রক্ত দিতে হবে এখন সুমনাকে। সাথে খাবারের বিধিনিষেধ আছে। একটা অপারেশন লাগতে পারে। মেয়ের খেয়াল না রাখার জন্য ভর্ৎসনা করেন এবং যে কয়দিন ভর্তি রাখা প্রয়োজন রাখতে বলে চলে যান।

সালেহার মন পড়ে আছে রিফাত আর নিম্মিতে। দুজন বারান্দায় দাঁড়িয়ে কাগজের কাপে চা খাচ্ছিলো। কোন বিকার নেই নিম্মির! একটা পরপুরুষ…. কিন্তু কিছু বলার আগেই নাজিমুদ্দিন চলে আসেন। বাধ্য হয়ে মেয়েকে জড়িয়ে নাকি কান্না শুরু করেন সালেহা। নার্সরা ওয়ার্ড থেকে বের করে দেয় তাকে। সবুজ বিরক্তি নিয়ে মায়ের দিকে তাকিয়ে। মিলি পাশে দাড়িয়ে।

• ভালোই জুটি বাইন্ধা খাড়ায় আছ, মাইয়াডা আমার শ্যাষ হইয়া গেল

• আপনি যে ইঙ্গিত করতে যাচ্ছেন, তারাই আপনার মেয়ের জীবন বাঁচিয়েছে বলে মিলি

• জীবন বাঁচানোর মালিক আল্লাহ

সবুজের ইঙ্গিতে মিলি চুপ করে। নিম্মিকে এতদিন দেখছে সে, মেয়েটার মধ্যে ন্যুনতম অশালীন আচরণ দেখেনি। হ্যাঁ তারা সতীন একে অপরকে পছন্দ নাই করতে পারে, কিন্তু বাজে কথা বলা মিলির ভালো লাগে না। সালেহার নাটক দেখতে বিরক্ত হয়ে গেছে সে।

নাজিমুদ্দিন মেয়েকে বাসায় চলে যেতে বলেন। রিফাত আর নিম্মি পাশাপাশি হেটে নামে সিড়ি বেয়ে, তারপর আলাদা রিকশা নেয়। উপর থেকে সব দেখে সবুজ। কি লাভ এটুকুই বা বাদ দিয়ে?

হাসপাতালের সীমানা পার হয়ে খানিক দূরে গিয়ে রিফাতের রিকশা নিম্মির রিকশার সামনে এসে থামে। আঁতকে ওঠে নিম্মি। রিফাত রিকশা থেকে নেমে নিম্মিকে নামতে অনুরোধ করে। ভীষণ ক্লান্ত নিম্মির আর বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হওয়ার শক্তি নেই। তাছাড়া মানুষটা কাল রাতে অনেক ছুটাছুটি করেছে। রিফাত রিকশা ভাড়া দিয়ে দেয়। একটা সিএনজি ভাড়া করে রিফাত, নিম্মিকে উঠতে বলে। শহরের বাইরে একটা রিসোর্টে নিয়ে যায়। এখানকার বেশ দুর্নাম আছে! কিন্তু নিম্মির ভয় করেনা, অদ্ভুত একটা ভরসা, বিশ্বাস জন্মেছে। রিফাত কাকে যেন ফোন করে। একটা আলাদা কটেজ দেওয়া হয় তাদের তবে রিফাত কটেজের বাইরের ছোট্ট সুইমিং পুলের সামনে পানিতে পা ডুবিয়ে বসে পড়ে। নিম্মি শুরুতে খুব অস্বস্তিতে পড়লেও এখন হাসি ফোটে তার মুখে।

• ভয় পেও না কটেজ নিয়েছি তোমার খারাপ লাগলে ঘুমাতে পারবে। আমি বাইরেই ঠিক আছি

• কি দরকার ছিলো এভাবে এখানে আসার? বাবা বাসায় আমাকে না পেলে কি হবে?

• বলবে আমার সাথে ছিলে

• সেটা আমার জন্য সহজ না

• তোমার জন্য যা যা কঠিন এতদিন করে এসেছ, এর চেয়ে আর কঠিন কিছু তোমার সামনে যদি আসে তবে আমি ঢাল হয়ে দাড়াবো, এমন কোন ঢাল না যে সামান্যতেই ভেঙে পড়ে যাবে, আমার দেহে যতক্ষণ প্রাণ আছে আমি সেই ঢাল হয়ে থাকবো
নিম্মি পানিতে পা ডুবায়। ঠান্ডা পানিতে পা ডুবাতে ভালো লাগছে। দুই রকমের জ্যুস এলো।

• এখানে বিল কম আসার কথা না

• বিল নিয়ে ভেবো না, ঐ যে রামিম, যে কটেজ খুলে দিলো আমার ছাত্র

• এখানকার স্টাফ?

• হুম

• কোথায় আপনার ছাত্র নেই?

• আমি আর কি এমন শিক্ষকতা করেছি? কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলে সারা পৃথিবীতে আমার ছাত্র থাকতো

• তাহলে ব্যাংকের চাকরি নিলেন কেন?

• সারা বাংলাদেশে আমার গ্রাহক যাতে থাকে বলে রিফাত,
হেসে ফেলে নিম্মি।

• বিদেশে নেই?

• আছে তো! রেমিট্যান্স আসে

• হুম, এবার এত আয়োজন যার জন্য সেটা বলেন

• যদি বলি তোমাকে চোখ ভরে দেখার জন্য

• এটা পাপ

• তাহলে আমার পাপ বন্ধ করার ব্যবস্থা করো

• আমি কি করবো?

• সিদ্ধান্ত তোমাকেই নিতে হবে, তোমার উপর তোমার শ্বশুর বাড়ি এখনই অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে গেছে, দিন যাবে আর তুমি ঐ পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠবে

• তাহলে কি করবো?

• বের হয়ে আসো

• কিন্তু

• কোন কিন্তু না

• আমাকে একটু সময় দেন, অন্তত বাবাকে কি বলবো….

কথা শেষ হওয়ার আগেই প্রবল বেগে কটেজের দরজা দিয়ে সবুজ প্রবেশ করে, দুজনকে পিছন থেকে এক সাথে ধাক্কা দিয়ে পানিতে ফেলে দেয়! সেই সাথে অকথ্য ভাষায় গালাগালির তুবড়ি ছোটায়। রিফাতের ছাত্র কোনমতে সিকিউরিটি ডেকে পরিস্থিতি সামলায়। দুজনকে জোর করে কটেজে পাঠায়। দুটো বাথরোব দিয়ে যায়। কড়া রোদ আছে। কাপড় শুকাতে বেশি সময় লাগবেনা। বলে কাপড় বদলে ভেজা কাপড় তাকে দিতে বলে। নিম্মি লজ্জায়, অপমানে ভেজা কাপড়েই বাড়ি যেতে উদ্যত হয়। রামিম বোঝায়, রিসোর্টে তার পরিচিত কেউ যদি এভাবে দেখে ফেলে খুব বদনাম হবে আর তার চাকরি নিয়েও সমস্যা হতে পারে।

শ্রাবণের মধ্যদুপুর
৬৩

বাথরোব গায়ে জড়িয়ে নিম্মি অঝোরে কাঁদতে লাগলো। রিফাত কটেজের বাইরে বসে রইলো। এই চাঞ্চল্য ক্ষনিকের। আবার সবকিছু আগের মতো হয়ে গেল। কফি আর হালকা নাস্তা দিয়ে গেল রামিম। নিম্মি রিফাতকে ভেতরে ডাকলো। এভাবে বাইরে বসে থাকাটা অস্বস্তিকর।

• কিছু খেয়ে নিন, রাতে তো তেমন কিছু খাননি
রিফাত কিছু বলেনা। চুপচাপ কফিতে চুমুক দেয়।

মাথায় রক্ত চড়ে গিয়েছিল তার, মনে হয়েছিল যাদের সুমনাকে রক্ত দিতে আসতে অনুরোধ করেছে, টাকা অব্দি দিয়েছে, তাদের নিষেধ করে দিতে। তারপর ভাবে জীবনে একবার হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হয়ে নিম্মির জীবন ছারখার করেছে, এবার জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা নিরপরাধ মেয়েটাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারেনা। সুমনার পরিবার তো মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছেই। সে অন্তত তাতে অংশ নিতে পারেনা। কপালের শিরা দপদপ করছে। নিম্মির ডাক এলো তখন, রামিম বললো, নিম্মি ভেতরে ডাকে। সাদা বাথ রোব জড়িয়ে, চুল সাদা তোয়ালে মুড়ে রাখা শ্যামলা বরণ মেয়েটাকে দেখে আজ আবার প্রেমে পড়ে গেল রিফাত। নিম্মি মাথা নিচু করে আছে।

নিম্মি রিফাতের সামনে বসে হাটু গেড়ে, একটা হাতে হাত রাখে। নিম্মির চুলের ভেজা গন্ধ নাকে আসে রিফাতের বুকের ভেতরটা আবার হুহু করে ওঠে।ঘরে কেউ নেই! কিন্তু এতখানি বিশ্বাস নিয়ে তার সামনে বসে থাকা মেয়েটাকে পূর্ণ মর্যাদা দিয়ে নিজের করে না পাওয়া পর্যন্ত সে ছোঁবে না! নিম্মি বলে,

• আমি ভীষণ লজ্জিত।

• তুমি কেন লজ্জিত? তোমাকে এভাবে এনে বিপদে আমি ফেলেছি, লজ্জা তো আমার পাওয়া উচিত

• না…. আপনাকে আমি ডেকেছি, যদি কোন অধিকার না থাকে আপনার তাহলে তো আমারও কোন অধিকার নেই আপনাকে সারারাত জাগিয়ে, রক্ত,ওষুধপত্রের জন্য দৌড়াতে বাধ্য করার, অধিকার চাইলে দিতেও হয়

• তুমি অধিকার দিতে চাও?

• হুম

• তাহলে তালাক দিয়ে আমাকে বিয়ে করো

নিম্মি তাকায় পূর্ণ দৃষ্টিতে। রিফাত সবুজকে তালাক দিতে বলার কথা বলেনি, বরং তাকে বলেছে তালাক দিতে, বিয়ে নিজে করতে চায়নি, তাকেই বলেছে বিয়ে করতে! কি অদ্ভুত সব কথা! আইনত মেয়েরা তালাক দিতে পারে? সব আইন জানা নেই নিম্মির। বিয়ের প্রস্তাব তো মেয়েপক্ষ দিতে পারে না…. সে ডুবে গেল গভীর চিন্তায়। রিফাত তাকিয়ে আছে বিধ্বস্ত মেয়েটার দিকে। কি অপেক্ষা করছে বাড়িতে সহজেই অনুমেয়।

চলবে।