সংসার নাকি সম্মান পর্ব-২+৩

0
4

#সংসার_নাকি_সম্মান
#পর্ব_০২_এবং_০৩
#অনন্যা_অসমি

চোখে-মুখে পানির হালকা অস্তিত্ব অনুভব হতেই নড়েচড়ে উঠল উজান। কিছুসময় পর আলো চোখে পড়লে আর ঘুমিয়ে থাকতে পারল না সে। পিটপিট করে চোখ খুলে ধীরেসুস্থে উঠে বসল। কিছুসময় লাগল তার ঘুম সম্পূর্ণরুপে কেটে যেতে। কুটকাট শব্দে সামনে থাকাতেই সে যেন স্তব্ধ হয়ে গেল।

ভেজা চুল, সিঁথির সিঁদুর খানিকটা লেপ্টে আছে কপালে, শাড়ির আঁচলের একাংশ মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। মুগ্ধ নয়নে সম্মুখে থাকা রমণীর দিকে তাকিয়ে রইল উজান, তার মনে হচ্ছে যেন কোন অপ্সরা তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।

” এভাবে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছেন কেন? ভুত দেখলেন নাকি সাত সকালে?”

” হ্যাঁ। এইযে আমার সামনেই দাঁড়িয়ে আছে।” বলে মিটমিট করে হাসল উজান।

আনন্দি ভেংচি কেটে বলল, ” তাহলে তাকিয়ে আছেন কেন? চোখ বন্ধ করে রাখুন। নাহলে ভুত ঘাড় ম’টকে দেবে।” কথাটি বলে পুনরায় ভেংচি কেটে দরজা খুলে বেরিয়ে গেল সে।

উজান হাসল, কিছুসময় পর হতাশাভরা নিঃশ্বাস ত্যাগ করল সে। কারণ কালকেই যে তাকে চলে যেতে হবে।

সকালে নাস্তা একসাথেই করল সকলে। বাসনকোসন রান্নাঘরে রেখে অন্যকাজে হাত দেবে সেসময় উজান সোফায় বসা অবস্থাই আনন্দিকে ডাকল। দু’জনে যেন কিছু নিয়ে কথা বলল এবং তাদের রুমে প্রবেশ করল।

কিছুসময় পর উজান হাতে কিছু একটা নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। শর্মিলা মল্লিক প্রথম থেকেই সব লক্ষ্য করছিলেন। এবার তিনি জানতে চাইলেন,

” কোথায় যাচ্ছো উজান?”

মূহুর্তেই উওর দিল না সে। রয়েসয়ে বলল,

” একটু কাজ আছে মা। কাল চলে যাওয়ার আগে শেষ করা জরুরি। বেশি সময় লাগবে না চলে আসব। দরজা বন্ধ করে দাও আনন্দি।”

হাসিমুখে স্বামীকে বিদায় দিল আনন্দি।

সূর্য তখন ধীরে ধীরে মাথার উপর উঠছে। আনন্দি শাশুড়ীর কথা অনুযায়ী রান্না করছে। শর্মিলা মল্লিক মাঝেমাঝে এসে সব পরখ করে দেখেন।

বেলের শব্দে আনন্দি রান্নাঘর থেকে উঁকি দিয়ে দেখল শর্মিলা মল্লিকই উঠে গিয়েছেন দরজা খোলার জন্য। তাই আপাতত সেদিকে মনোযোগ না দিয়ে তরকারিতে মশলাপাতি দেওয়ায় মনোযোগ দিল সে।

বসারঘর থেকে নতুন কন্ঠস্বর শুনতে পেল আনন্দি। কে হতে পারে ভাবতে ভাবতে শর্মিলা মল্লিক রান্নাঘরে এসে উপস্থিত হলেন। সংক্ষেপে জানিয়ে গেলেন,

” আমার এককালের বান্ধবী, ছোট বোনের মতো সাথে তার মেয়ে এসেছে। সম্পর্কে একপ্রকার তোমার মাসি শাশুড়ী হবেন। দ্রুত চা-নাস্তার ব্যবস্থা করো। তাদের সামনে ঘোমটা দিয়ে যাবে এবং প্রণাম জানাবে।”

আনন্দিও বাধ্যমেয়ের মতো বিনাবাক্য মাথা নাড়াল।

কিছুসময়ের মধ্যে চা তৈরি করে কয়েক পদের নাস্তা ট্রে-তে সাজিয়ে বসার ঘরে এলো সে।

” কেমন আছো মা?”

” ভালো আছি আন্টি। আপনার শরীর স্বাস্থ্য ভালো আছে?”

” বেশ আছে মা। শুনলাম উজান কাল ফিরে যাবে, তাই দেখতে এলাম। বসো না দাঁড়িয়ে আছো কেন?”

আনন্দি দ্বিধায় পড়ে গেল। আড়চোখে শর্মিলা মল্লিকের মুখভাব পরখ করে বুঝল তিনি বর্তমানে এখানে তার উপস্থিতি চান না। আনন্দিও সুকৌশলে বিষয়টা এড়িয়ে পুনরায় রান্নাঘরের দিকে পা বাড়ল। যেতে যেতে তার কানে এলো সুনন্দা মাসি তার শাশুড়ীকে বলছেন,

” এখনই মেয়েকেটাকে রান্নার কাজে লাগিয়ে দিয়েছ। আরো কিছুদিন পর রান্নার ভারটা দিতে, অন্তত উজান চলে যাওয়া পর্যন্ত। নতুন বউ, সাজগোছ করে স্বামীর আশেপাশে থাকাটাই তো মানাই। তারউপর তোমার ছেলে বেশিরভাগ সময় থাকে বাইরে।”

শাশুড়ীর উওর শোনার জন্য হাঁটার গতি কমিয়ে দিল আনন্দি।

” নতুন বউ বলে কি সারাদিন স্বামীর সাথে লেগে থাকবে? তুমি যে কি বলো না গো সুনন্দা। আর বাড়িটা এখন তারও। সারাদিন সাজগোছ করে পটের বিবি সেজে বসে থাকলে তো সংসার চলবে না। আমিই বা আর কতদিন হাল টানব।”

শাশুড়ীর কথায় মনভারী হয়ে গেল আনন্দির। না সংসারের কাজ করতে হচ্ছে বলে নয়। রান্নাবান্না, ঘরদোর পরিষ্কার এসব সংসারিক কাজে সে আগে থেকেই পটু। এসব সে নিজের বাড়িতেও করেছে, তার কাছে নতুন নয়। কিন্তু তার মনভারী হওয়ার কারণ শর্মিলার কথার ধরণ।

” কি করছ?”

ভাতের মাড় ফেলছিল আনন্দি। আচমকা পেছন থেকে কারো কণ্ঠ শুনে চমকে উঠল সে। ফলে গরম মাড় কিছুটা তার হাতে এসে পড়ল। দ্রুত পাত্রটা সরিয়ে রেখে হাতখানা পানিতে চুবিয়ে রাখল সে।

” সামান্য মাড়ও ফেলতে পারো না দেখছি।” বিদ্রুপ করে বসল সে। পানি থেকে হাত উঠিয়ে তোয়ালে দিয়ে মোছার সময় মানুষটা দিকে তাকল আনন্দি। মেয়েটার নাম সুনয়না, সুনন্দা মাসীর মেয়ে। দেখে আনন্দি অনুমান করল তার বয়সী কিংবা কয়েক বছরের ছোট হতে পারে৷

” তোমার কি কিছু লাগবে?”

” না, দেখতে এলাম তুমি কি করছ।”

কথার মাঝে সুনয়না আনন্দির ক্লিপ দিয়ে আটকানো চুলগুলো খুলে দিল। থতমত খেয়ে গেল সে। সুনয়না সেদিকে পাত্তা না দিয়ে তার চুলগুলো নেড়েচেড়ে দেখল কিছুক্ষণ।

” চুলগুলো কি আসলেই স্ট্রেট নাকি বিয়ের সময় করিয়েছ?”

আনন্দি কয়েক সেকেন্ড চুপ রইল। চুলগুলো পুনরায় গোঁছা করে ক্লিপ দিয়ে আটকে বলল,

” না আমার চুল এরকমই।”

” ভালো তবে অনেক পাতলা। আমার চুল দেখো কি ঘন।”

কাজের ফাঁকে দেখল সে। আসলেই সুনয়নার চুল ঘন তবে তার মতে সোজা নয় বেশ খানিকটা কোঁকড়ানো। কাজ করতে করতেই আনন্দি উওর দিল,

” যেমনই হোক আমার ঈশ্বর আমাকে যেমন তৈরি করেছেন আমি তাতেই সন্তুষ্ট।”

সুনয়নার খানিকটা মনঃক্ষুণ্ন হলো বটে তবে কথা বন্ধ হলো না তার। কথা চালিয়ে গেল সে এবং এক পর্যায়ে আনন্দি অনুভব করল মেয়েটা সব কিছুতেই নিজের সাথে তার তুলনা করছে। এর কারণ কিছুক্ষণের মধ্যেই তার কাছে জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গেল।

উজানের সাথে পূর্বে তার বিয়ের কথাবার্তা উঠেছিল একবার। দু’দিক দিয়েই প্রায় হবে হবে ভাব কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়ে উঠেনি উজানের বাবা প্রমিত মল্লিকের জন্য। তিনি চাননি আত্নীয়দের মধ্যে নতুন কোন সম্পর্ক তৈরি হোক। ওনার মতে আত্মীয়ের মধ্যে নতুন করে সম্পর্ক করার কিছু নেই। বরং নতুন সম্পর্ক করতে গিয়ে পুরানোটাই নাকি নষ্ট হয়ে যায়।

আনন্দি সব শুনল কিন্তু বিপরীতে কোন উওর দিল না। মনকে বোঝাল,

” বিয়ের কথা হয়েছিল, বিয়ে তো আর হয়নি। আর এটা তো স্বাভাবিক বরং এতে অস্বাভাবিক কোন কিছুই নেই।”

রান্নার শেষ সময়টা অব্দি সুনয়না আনন্দির সাথে রান্নাঘরেই ছিল। বেশিভাগ সময় সুনয়নাই কথা বলে গিয়েছে। আনন্দির মন সায় দিলে মাঝে সাঝে হু হা করেছে শুধু।

রান্না শেষে গোছগাছ করছিল আনন্দি। পুনরায় বেল বেজে উঠল, এবার সুনয়না ছুটে গেল দরজা খোলার জন্য। তার এই ছুটে যাওয়া যেন আনন্দির একদমই পছন্দ হলোনা।

#পর্ব_০৩

” কেমন আছো উজান দা?”

” আরে সুনয়না যে, কেমন আছো? হঠাৎ আমাদের বাড়িতে যে?”

” কেন আমি কি আসতে পারি না? তোমার সাথে নতুন সম্পর্ক তৈরি না হোক পুরনো সম্পর্ক তো আছে। নাকি নতুন বউ এসেছে বলে এখন আমার এই বাড়িতে যাতায়াত বারণ?” অভিমান করেছে এমন ভাব করে বলল সে।

উজান লজ্জায় পড়ে গেল।

” আরে আমি তা কখন বললাম? আমার বিয়ের সাথে তোমার এ বাড়িতে আসা-যাওয়ার ব্যঘাত হওয়ার তো কোন কারণ নেই।”

ভেতরে প্রবেশ করে সুনন্দা মাসীর সাথে কিছুসময় কথা বলে রুমে যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়াল উজান। যাওয়ার আগে আনন্দিকেও তার সাথে যাওয়ার জন্য বলল। আনন্দি এতো সময় ধরে এই সুযোগটাই খুঁজছিল৷ তবে সুনয়নার হাবভাব আনন্দির মোটেও সুবিধার লাগছে না। ফলে সময় অপচয় না করে দ্রুত পায়ে উজানের পেছন পেছনে রুমে ঢুকে দরজা আটকে দিল সে। এতে সুনয়নার মনে হলো তার মুখের উপরই কেউ দরজা লাগিয়ে দিয়েছে। মুখ বাঁকিয়ে খোঁ’চা দিয়ে বলল,

” তোমার বউমার কান্ড দেখেছ? উজান দা’কে মনে হয় হাত করেই নিল। দেখো গিয়ে দরজা বন্ধ করে কোন দুনিয়ার শলাপরামর্শ করছে নাকি তোমার থেকে আলাদা করে ফেলতে চাইছে।”

” চুপ কর নয়না। কিসব বাজে বকছিস? শুধু শুধু দিদির মনে বিষ ভরছিস কেন?” বেশ বিরক্তি নিয়ে মেয়েকে বললেন সুনন্দা দেবী। মেয়েটাও হয়েছে একেবারে হতচ্ছাড়া বাপের মতো, সবসময় মানুষের পেছনে লেগেই থাকবে।

” কি হলো দরজা বন্ধ করলে কেন?”

” ও কিছু না। কাজ হয়েছে?” শেষের কথাটা কিছুটা অস্থির কন্ঠেই বলল আনন্দি৷

হাতে থাকা একটা প্যাকেট উজান তার দিকে বাড়িয়ে দিল।

” হুম, এখানে আছে সবকিছু। সাবধানে রেখো।”

তার কথার শেষে আনন্দির চোখেমুখে একধরনের খুশির ঝলক ফুটে উঠল। উজান দেখল তবে কোনরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাল না। চুপচাপ কাপড়চোপড় নিয়ে বাথরুমে চলে গেল।

দুপুরের খাবারের সময় যেহেতু হয়ে গিয়েছে শর্মিলা মল্লিক সুনন্দা দেবী এবং সুনয়নাকে না খাইয়ে বাড়ি যেতে দেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।

” শর্মিলাদি এসবের কোন দরকার নেই।”

” চুপ করো তো। বাড়িতে তো এখন কেউও নেই, দাদাও দুপুরে বাড়িতে আসেন না। আমাদের সাথে দুপুরের খাবারটা সেড়ে ফেলো, আজ না হয় সবাই একসাথে বসে গল্প করতে করতে খেলাম। প্রায় সময় তো আমি একা একাই সময় কাটাই।”

” হ্যাঁ আন্টি খেয়ে যান, আপনারা এসেছেন বলে যত্ন করে রান্না করেছি। না খেয়ে চলে গেলে আমার অনেক খারাপ লাগবে।” তরকারির বাটিটা টেবিলে রেখে বলল আনন্দি।

সুনয়না তার স্বভাব অনুযায়ী খোঁচা দিয়ে বলল,

” তা যত্ন করে কি মুখে তোলার উপযোগী রান্না করেছ নাকি ডাস্টবিনে যাবে সেরকম রান্না করেছ?”

আনন্দি অল্প সময়ের মধ্যেই সুনয়নার স্বভাব বুঝতে পেরে গিয়েছে তাই সে ভড়কে না গিয়ে হাসি মুখেই বলল,

” তুমি তো প্রায় পুরোটা সময় রান্নাঘরে ছিলে। তুমি তো নিজের চোখেই দেখেছ আমি কী কী রান্না করেছি। এখন যদি রান্না খারাপও হয়ে থাকে তবে এটা বলা যেতে পারে আমি ভুল করছি দেখেও তুমি ইচ্ছে করে ভুলটা সুধরে দাওনি। ঠিক বলছি না?”

আনন্দির মিষ্টি মিষ্টি কথার মাধ্যমে শক্তপোক্ত যুক্তির বিপরীতে কিছু বলার মতো পেল না সুনয়না।

সবকিছু টেবিলে রাখতে রাখতেই উজান এসে উপস্থিত হলো।

” বসো বাবা, তোমার জন্যই আমরা অপেক্ষা করছিলাম। বউমা সুনন্দাকে দিয়ে পরিবেশনা শুরু করো।”

আনন্দিও মাথা নাড়িয়ে সুনন্দা দেবীর পাতে খাবার বেড়ে দিতে লাগল। তবে এর মাঝে সুনয়না আরেকটা কান্ড ঘটিয়ে বসল। আনন্দি ভাতের পাত্রটা রাখতেই সুনয়না তা হাতে নিল। সবাই ভাবল হয়ত সে নিজের পাতে নেবে কিন্তু আনন্দির বুঝতে দেরি হলো না তার মনোভাব। সঙ্গে সঙ্গে তাকে আটকে দিল, বাকিরা তাকিয়ে রইল দু’জনের দিকে। আনন্দি বড় একটা হাসি ঝুলিয়ে সুনয়নার হাত থেকে চামচটা কেড়ে নিল। তার দু’ কাঁধে হাত রেখে জোড় করে পুনরায় চেয়ারে বসিয়ে দিল।

” তুমি এ বাড়ির মেহমান সুনয়না। তুমি নিজের হাতে খাবার বেড়ে নিলে তা ভালো দেখায় না। তুমি হলে মেহমান, বাড়ির মানুষের দায়িত্ব তোমাকে আদর-আপন্যায়ন করে খাওয়ানোর। সেখানে তুমি কষ্ট করে কেন কাজ করবে? এই নাও, খাও খাও৷ আর কিছু প্রয়োজন হলে আমাকে বলো কেমন? ভুলেও কোন কিছুতে হাত দেওয়ার চিন্তা করবে না।”

নিচু হয়ে সুনয়নার কানে নিচুস্বরে বলল,

” মেহমান, মেহমানের মতো থাকো তবেই সম্মান পাবে। মেহমান হয়ে ঘরের মানুষ হওয়া চেষ্টা করো না। বিশেষ করে উজানের ক্ষেত্রে তো একদমই নয়।”

আনন্দির দিকে কটমট করে তাকাল সুনয়না।

” আরে বসে আছো কেন? খাও খাও। মা আপনিও নিন।”

একে একে সবার পাতে খাবার বেড়ে দিয়ে নিজেও বসে পড়ল। শর্মিলা মল্লিক কিছু একটা বলতে গিয়েও যেন বললেন না। আনন্দি তা খেয়াল করলেও কিছু বলল না।
.
.

উজান নিজের কর্মস্থলে ফিরে গিয়েছে সপ্তাহখানেক হতে চলেছে। আয়নায় শেষবারের মতোন নিজেকে দেখে নিল আনন্দি। কথায় আছে না যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যে হয়৷ তার ক্ষেত্রেও হলো তাই। রুমে থেকে বেরিয়ে চৌকাঠ পর্যন্তও পৌঁছতে পারেনি সে, তার পূর্বেই শর্মিল্লার গম্ভীর কন্ঠস্বর শোনা গেল।

” কোথায় যাচ্ছো বউমা?”

শুকনো ঢোক গিলল আনন্দি। কাঁধে ঝুলে থাকা ব্যাগটা আরো শক্ত করে চেপে ধরল। এখন কি জবাব দেবে সে? একা আধো পরিস্থিতি সামলাতে পারবে তো? আজ যে বড় ধরণের একটা ঝামেলা হবে সেটা ঠিকই অনুভব করতে পারছে।

চলবে……