সংসার পর্ব-১০

0
20

#সংসার
পর্ব ১০
ধারাবাহিক গল্প
নাহিদ ফারজানা সোমা

” তোমার বোন তো তার ছেলেপিলেদের ডানার তলায় রাখে । একশো পার্সেন্ট খাঁটি মা। তার মেয়ে তবে মরলো কেন? ”

নোমান গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে উঠলো, ” আমার বোনকে নিয়ে একটা শব্দ উচ্চারণ করবে না তমা। কতোটা নিচ তুমি, আমার মরা ভাগ্নিকে নিয়ে
ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করো। তুমি মানুষ না অন্য কিছু? ”

“আমি পিশাচ, হয়েছে? খুশি? তোমাদের দেব দেবী সমৃদ্ধ পরিবারে আমি এক পিশাচিনী। কোনো কথা বোঝার চেষ্টা না করে হাউহাউ করে উঠো কেনো? চিৎকার ছাড়া আর কি পারো? আমি বুঝাতে চেয়েছি মা কুইচ্চা মুরগির মতো ছানাপোনাদের নিয়ে ঘরে বসে থাকলেই বাচ্চারা সেইফ থাকে, তা নয়। ডেঙ্গুতে তোমার ভাগ্নি মরলো কেন? তার মা স্কুলে যাওয়ার আগে হাতে পায়ে ওডোমস ঘষে দিতো না? ওর মা কি স্কুলে মশা আছে কিনা খোঁজ খবর নিয়েছিলো? স্কুল অথোরিটির সাথে কথা বলেছিলো? কিছুই করেনি। আর আমি, খারাপ মা, আমি ইরফান-আয়মানের স্কুল অথোরিটির সাথে কথা বলেছি, গার্জিয়ানদের সাথে কথা বলে ওদের স্কুলের চারপাশ পরিস্কার করার ব্যবস্থা নিয়েছি, নিয়মিত মশার ওষুধ দেওয়া কনফার্ম করেছি, ক্লাসে ক্লাসে পোস্টার লাগানোর ব্যবস্হা করেছি। তোমরা হলে অপদার্থ পরিবার, সবটাতে নেগেটিভিটি। ”

নোমান চিবিয়ে চিবিয়ে বললো,” ইরফান -আয়মানের স্কুলে তুমি যে বিপ্লব ঘটিয়েছো, তা রাজেশ্বরী মরার পরে। ও মরে যাওয়ার পরে ছেলেদের জন্য দুশ্চিন্তায় তুমি এসব করেছো। ”

“তবু তো করেছি। তুমি কি এই স্টেপ নিয়েছো? ইরফান-আয়মান তো তোমারও ছেলে। ”

ঝগড়ার উৎপত্তি তমার বিদেশ ট্যুর নিয়ে। সে তার কয়েকজন বন্ধুর সাথে একমাস বাইরে এনজয় করবে। মেন্টাল রিফ্রেশমেন্টের জন্য। ভারতের চারটা স্টেট, ভুটান, মালদ্বীপ। গত বছরে আনন্দ ভ্রমণ ছিলো সুইজারল্যান্ড আর নরওয়েতে। তার আগের বছর সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ায়। এইসব ট্যুরে স্বামী-সন্তানেরা বাদ। শুধু বন্ধুরা। স্কুল,কলেজ বা ভার্সিটি লাইফের বন্ধুরা। ভার্সিটির বন্ধুরা মিলে গেলে তিন চারজন পুরুষ বন্ধুও থাকে। যদিও তমার চরিত্রের প্রবলেম নেই, খুব ভালো করেই জানে নোমান।

” বন্ধুদের সাথে বছরে পনেরো দিন বা একমাস সময় কাটাই, তোমাদের সাথে বাকি এগারো মাস। তাও গায়ে জ্বালা ধরে কেনো?”

“আমাদের সাথে যে এগারো মাস সময় দয়া করে কাটাও, সেই এগারো মাসের মধ্যে কয় ঘন্টা সময় শুধু আমাদেরই জন্য বরাদ্দ থাকে? মানে, তোমার দুই ছেলে, স্বামী আর শ্বশুর শাশুড়ির জন্য ? ”

“শ্বশুর শাশুড়িকে সময় দিতো তো আমি বাধ্য নই। আমি আমার বাপ-মা -ভাই বোনদের ঠিকই সময় দিই।”

“আমার বাপ-মা’কে সময় দিতে তুমি বাধ্য নও কেন? তারা-আমরা মিলে এক পরিবার। তাদের বাড়িতে আমরা থাকি। তারাই আমাদের ছেলেদের দেখাশোনা করেছে বাচ্চাদের জন্ম থেকে। তোমার সাথে কখনো খারাপ ব্যবহার করেনি । তোমার অনেক বেয়াদবি, উচ্ছৃঙ্খলাতেও তারা চুপ থেকেছে। আমরা যে সারাদিন অফিস করি, তুমি যে অফিসের পরও এই পার্টি ঐ পার্টি করে রাত দশটা এগারোটায় বাড়ি ফিরো, বলতে গেলে প্রায়ই, আমরা যে সবসময় রেডিমেড খাবার পাই, তৈরি বিছানা পাই, তা আমার বাপ -মা’র জন্য ই। তুমি তাদের থেকে উপকার নিবে, সেটা তোমার ন্যায্য পাওনা। তোমার বাচ্চাদেরকে দাদা-দাদি মানুষ করে দিবে, সেটা দাদা দাদির কর্তব্য। কিন্তু তাদের পাশে যেয়ে একটু বসবে, গল্প করবে, তাদের খাওয়ার সময় জাস্ট একটু খেয়াল রাখবে, এটা তোমার কর্তব্য না। কি মজার অংক! ”

“নোমান, তোমার বাবাকে এখন ইরফান -আয়মানকে স্কুলে নিয়ে যেতে হয়না। ওরা বড় হয়ে গেছে, কাজেই তোমার মা’কে ওদের দেখভাল করতে হয়না। ”

” ও। তাই এখন তাদের কোনো দাম নেই। এখন কি তাদের এসব করার কথা? তাদের সাথে শুধুই তোমার স্বার্থের সম্পর্ক ? আচ্ছা, তাদের কথা বাদ দাও। তুমি যে বাসায় রাতটুকু ছাড়া থাকো না বললেই চলে, ইরফান -আয়মানের উপরে এর প্রভাব পড়ে না? ওরা কতো মনোকষ্টে ভুগে, জানো?”

“লুক, ওরা বড় হয়ে গেছে এখন। সারাক্ষণ মায়ের পাহারাদারির দরকার নেই। আমি চাইনা, আমার ছেলেরা তোমাদের তিন ভাই বোনের মতো অপদার্থ হোক। আর তোমাদের এই অথর্ব হওয়ার জন্য দায়ী তোমার মা।আমি ছেলেদের ননীগোপাল বানাবো না। ”

“বসো। কলম -কাগজ নাও। পয়েন্টগুলো লিস্ট করো, কোন্ দিক থেকে আমরা তিন ভাই বোন অপদার্থ। আর কি কি কারণে তুমি অলরাউন্ডার। লিস্ট করো। শোনো, নিজেকে এতো বড় ভেবো না। আমি, আমার বাপ-মা, বোনেরা, বোনজামাইরা, কাজিন ব্রাদার সিস্টার্স কেউ তোমার আর তোমার ফ্যামিলির চেয়ে গুণে, কাজে কর্মে অন্ততঃ ছোটো না। তুমি আমাকে বা আমার ফ্যামিলিকে ছোট করে আর একটা কথা বলবে না। আমিতো তোমার বা তোমার ফ্যামিলি সম্পর্কে সামনে -পিছে কোনো মন্দ কথা বলিনা? তোমাদের খারাপ সাইড নাই? অনেক আছে। কিন্তু এসব নিয়ে ভাবা,কথা বলা আমার রুচিতে বাধে।”

তমা-নোমান দম্পতির এই সংলাপ প্রায় প্রতিদিনের।

নিশাতের কানে টুকটাক কথা বাতাসে ভেসে ভেসে আসছিলো। নোমান -তমা দু”জনেই গলা চড়িয়ে কথা বলে। কাজেই অনেক দিনই অনেক কথা তিনি শুনতে পেয়েছেন। এগুলো নিয়ে মাথা ঘামান না নিশাত, স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া নিজেরা সামলে নিবে। ঝগড়ার জন্য তাঁদের আচরণ দায়ী না হলেই হলো। ছেলে বা মেয়েদের দাম্পত্য জীবনে কখনোই প্রবেশ করতে চান না নিশাত। নাজমুল সাহেবও নয়।

তবে অবসাদটা একটু বেড়ে গেলো। সন্ধ্যা হবো হবো করছে। বাইরে হালকা আলো, লালচে আকাশ। পাখিরা ঝাঁকে ঝাঁকে বাড়ি ফিরছে। শিশুদের কলরব শোনা যাচ্ছে না। সামনে একটা ছোট্ট মাঠ আছে। বাচ্চারা খেলে ওখানে। মাগরিবের আজানের আগ দিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। এই সময়টায় সবচেয়ে কষ্ট হয় নিশাতের। সবাই বাড়ি ফিরে আসে, তুই কেনো ফিরিস না রাজ?

কয়েকদিন হলো বাড়ি ফিরেছেন নিশাত -নাজমুল। সাড়ে তিন মাস তিতিরের বাসায় কাটিয়ে। আর কতোদিন থাকবেন? নিজের সংসার আছে না? তিতির চেম্বার ছেড়ে দিয়েছে, চাকরিও ছেড়ে দিবে। সবার নিষেধ স্বত্বেও রেজিগনেশন লেটার পাঠিয়ে দিয়েছে। অফিস সেটা মঞ্জুর করে নি। তিতিরকে অনুরোধ করছে বারবার রেজিগনেশন লেটার উইথড্র করার জন্য।

আসিফ একদম চুপচাপ হয়ে গেছে। শুকিয়ে ও গিয়েছে অনেকটা। নিশাত জোরজার করে আসিফকে খাওয়াতেন। শাশুড়ির জোরাজোরিতে আসিফ খেতো। এখন সেই দায়িত্ব নিয়েছে আরিয়ান। বাবা -মা ‘কে বারবার অনুরোধ করেও না খাওয়াতে পারলে কিংবা তারা অস্বাভাবিক চুপচাপ হয়ে থাকলে বুবুনের নার্ভাস ব্রেক ডাউন হয়। তখন সে চেয়ার উল্টে ফেলে লাথি দিয়ে, জিনিসপত্র ভাঙচুর করে, দেওয়ালে দমাদ্দম মাথা ঠুকতে থাকে। বড় ছেলের এইসব আচরণে তটস্থ হয়ে আসিফ -তিতির ইচ্ছার বিরুদ্ধে খায়, টিভির সামনে শূন্য চোখে বসে থাকে।

ছোট্ট তুতুনকে অনেকটা স্বাভাবিক করেছে পাশের ফ্ল্যাটের মেরিনা আর তার স্বামী,ছেলে মেয়েরা। নিশাতের অনুপস্থিতিতে ময়না খালা অনেক আদর যত্ন করে তুতুনকে গোসল করায়। তারপরই তুতুন চলে যায় মেরিনা আন্টির বাসায়। দুপুরে আন্টি, সুপ্তি আপু, সূর্য ভাইয়ার সাথে খাওয়া দাওয়া করে তুতুন। তারপরে একঘন্টা কার্টুন দেখে হোমওয়ার্ক করে। না বুঝলে আন্টি,আংকেল বা ভাইয়া আপুরা বুঝিয়ে দেয়। তারপরে শুরু হয় আনন্দ যজ্ঞ। বড় হল রুমে ভার্সিটি পড়ুয়া সূর্য, সুপ্তি, সামনের বাসার ক্লাস এইটের ছাত্র দায়মান সবাই মিলে চুটিয়ে ক্রিকেট খেলে, নইলে ক্যারম অথবা লুডো।সবটাতে প্রত্যেকবার ফার্স্ট হয় তুতুন। সূর্য ভাইয়া ওর নাম দিয়েছে চ্যাম্পিয়ন। সূর্য ভাইয়া তুতুনকে মাথায় বসিয়ে আফ্রিকান নাচ দেয়,হেসে কুটিপাটি হয় তুতুন। মা আগে যেমন হাসিখুশি ছিলো, তার চেয়েও বেশি হাসিখুশি মেরিনা আন্টি। সন্ধ্যায় কি যে মজার মজার নাস্তা বানিয়ে দেন তুতুনকে। কি আদর করে যে খাওয়ান! পেট টাপুর টুপুর ভরে যায়। ওদের বাসায় কাজ করে যে ছোট্ট কমলা আপু, তার সাথে লুকোচুরি খেলে তুতুন। আংকেল -আন্টি, নইলে সূর্য ভাইয়া -আপু প্রায়ই তুতুনকে চাইনিজে নিয়ে খাওয়ান, নইলে পার্কে নিয়ে ফুটবল খেলেন। রাতেও ওরা বারবার তুতুনের তত্ত্ব তালাশ নিয়ে যান। স্কুলে যাওয়ার আগে বড় বাক্স ভরে তুতুনের পছন্দের টিফিন। আন্টির রান্না ময়না খালার চেয়ে অনেক ভালো, মায়ের চেয়ে ভালোতো বটেই। মা’কে অবশ্য রান্নাঘরে কেউ ঢুকতে দেয় না।
রাতে তুতুন বড় ভাইয়ার কাছে ঘুমায়। ভাইয়া তুতুনের চুলে বিলি কেটে দেয়, পিঠে ঘাড়ে হাত বুলিয়ে দেয় তুতুন না ঘুমানো পর্যন্ত। কি আরাম! কি আরাম! তবে সেদিন যখন তুতুন উদাত্ত গলায় “কাজলা দিদি ” কবিতাটা মুখস্থ করতে গিয়েছিলো, ভাইয়া ওর ঘর থেকে উড়ে এসে তুতুনের মুখ চেপে ধরলো, ফিসফিস করে বললো,” আস্তে পড়্ তুতুন, মা যেনো শুনতে না পায়।” শোনো কথা। চিৎকার না করে তুতুন ছড়া মুখস্থ করতে পারে না। পরের দিনই মিস ” কাজলা দিদি ” ধরবেন। ভাইয়া তখন মা’কে কিসব বুঝিয়ে শুনিয়ে তুতুনকে মেরিনা আন্টির বাসায় রেখে আসলো। ওখানে চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে তুতুন ছড়াটা মুখস্থ করলো। না বুঝে তুতুন সাহেব কিছু মুখস্থ করে না। সেদিন স্কুলে না যাওয়ায় মিস কি বুঝিয়েছেন তা শোনা হয়নি তুতুনের। এদিকে ভাইয়া, সুপ্তি আপু, সূর্য ভাইয়া সবাই তুতুনকে অংক বুঝালো, বিজ্ঞান বুঝালো, ইংরেজি পড়ালো, কিন্তু ছড়াটা কেউ বুঝিয়ে দিলোনা। ছড়া বুঝাতে সবার গাইগুঁই, মায়ের কাছে বুঝতে যেতেও বাধা।বাসার মিস ও আসেন নি আজ। শেষ পর্যন্ত মেরিনা আন্টি খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে বললেন, মা যেমন বুঝাতেন, অতো সুন্দর না হলেও সুন্দর। কিন্তু ছড়াটা আত্মস্থ হওয়ার পরে তুতুন মনমরা হয়ে গেলো। জিজ্ঞেস করলো, ” ছেলেটার বড় বোনটাতো মরে যায় নি,না আন্টি? হারিয়ে গেছে শুধু। ”

“না বাবাই। মরে গেছে দিদিটা।”

” কোথাও তো মরে যাওয়ার কথা লিখেনি আন্টি। ”

“লিখেনি বাবাই, কিন্তু বুঝিয়ে দিয়েছে।

খাবার খেতে আসি যখন,
দিদি বলে ডাকি তখন
তুমি কেনো আঁচল দিয়ে
মুখটি তখন ঢাকো? ”

” বাবুটার মা তখন মুখ ঢাকে?”

“হ্যাঁ ময়না। এই যে সূর্য ভাইয়া তোমার পছন্দের চকলেট নিয়ে এসেছে।”

“মুখ ঢাকে কেনো? মুখ ঢেকে কাঁদে ? ”

“হ্যাঁ বাবাই।”

” আমার মা শুধু খাবার সময় না, সবসময় কাঁদে। আমার আপু আর কোনোদিন আসবে না, না আন্টি? ”

মেরিনা তুতুনকে বুকে জড়িয়ে ধরেন, সূর্য তুতুনকে মাথায় তুলে বিচিত্র ভাবে নাচতে থাকে, সুপ্তি তুতুনের পড়ার ব্যাগ গুছিয়ে দেয়, সূর্যের আনা চকলেট খাওয়াতে ব্যর্থ হয়, সূর্য -সুপ্তির বাবা হৈ হৈ করে বলেন, “শিগগিরই সবাই রেডি হও। পাঁচ মিনিট সময় মাত্র। সুপ্তি, বুবুনকেও ডেকে আন্। আমরা এখন তুতুন বাবার অনারে বাইরে খেতে যাবো। তারপরে লং ড্রাইভ। আমি ফোনে আসিফ ভাই -তিতির ভাবিকে বলে দিচ্ছি। ”

তুতুন রাজি হয়না। তার নাকি পেট ব্যথা করছে।

রাতে বুবুন যখন তুতুনের মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়াবে, তখন কান্নাভেজা গলায় তুতুন বললো,”ভাইয়া, জানালাটা বন্ধ করে দাও। চাঁদটাকে দেখলে আমার কান্না লাগছে। আপুর কথা মনে হচ্ছে। ”

” দূর বোকা। কান্না আসবে কেন? ঐ বাবুটারতো একটাই বোন ছিলো, কাজলা, ও মরে যাওয়ার পর থেকে বাবুটার আর বোন নেই। শুধু বোন কেন, ভাইও নেই, বাবাও নেই। আর সেখানে তোর আরেকটা বোন আছে, ভাই আছে, বাবা-মা আছে, নানাভাই -বুবু আছে, চাঁদ দেখলে তোর মন খারাপ হবে কেনো? ”

” জানালাটা বন্ধ করো ভাইয়া। ফুলের গন্ধ আসছে। চাঁদ দেখে আর ফুলের গন্ধে আমার খুব আপুর কথা মনে হচ্ছে ভাইয়া। ”

পরদিন থেকে তুতুন ঠিক হয়ে গেলো বটে, তবে লুম্বিনীকে সে অসম্ভব বিরক্ত করতে লাগলো। বাসায় থাকলে একটু পরপর চুমু খাওয়া, জিভ দিয়ে গাল চেটে দেওয়া, জাপটে ধরা, যে কোনো ভালো খাবারের ভাগ এনে বোনের মুখে জোর করে ঢুকানো, লুম্বিনীর জীবনটাকে অতিষ্ঠ করে ফেললো তুতুন।

চলবে।