#সংসার_সমরাঙ্গন (০৮)
রূপন্তি রাহমান (ছদ্মনাম)
বিয়ে বাড়ির আনন্দে চারপাশ সরগরম। অতিথিদের আনাগোনা আর হৈ-হুল্লোড়ে জমজমাট হয়ে উঠেছে পুরো বাড়ি। বরপক্ষের লোকজন একের পর এক এসে ভিড় জমাচ্ছে। তবে এই আনন্দের মধ্যেও নাজমা বেগমের মুখে চিন্তার ছাপ স্পষ্ট।
বরযাত্রীর সংখ্যা তিনশো হওয়ার কথা থাকলেও এসে গেছে পাঁচশোর বেশি। নিজেদের আত্মীয়স্বজন তো আছেই। খাবারে ঘাটতি পড়েছে। এই ঘাটতি মেটানোই এখন তার সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা। এভাবে অতিথিদের অভ্যর্থনায় অপমানিত হওয়ার ভয় তার মাথায় যেন বাজ পড়ার মতো নেমে এসেছে। শঙ্কায় হাত মুঠো করে বসে আছেন তিনি, মাথায় ঘুরছে শুধু একটাই প্রশ্ন—কীভাবে সামলাবেন এই পরিস্থিতি?
‘আম্মা সবকিছু এখন কিভাবে সামলাবো? এতো মানুষ।’
তপুর কথা শুনে তিনি যেন ভেতর থেকে ভেঙে পড়লেন। কপালের ভাঁজ গভীর হলো, চোখের কোণে উদ্বেগের ছাপ স্পষ্ট হয়ে উঠল। চিন্তার ভারে যেন তার সমগ্র অস্তিত্বই ভারী হয়ে উঠল—কাঁধের ওপর এক অদৃশ্য বোঝার চাপ যেন ক্রমশ বাড়তে লাগল।
তার মুখের রং ধীরে ধীরে বিবর্ণ হয়ে এল, যেন শরীর থেকে সমস্ত রক্ত সরে গেছে। ঠোঁট শুকিয়ে এল, চোখের দৃষ্টি অন্যমনস্ক।
‘আমার উপর সমস্ত দায়িত্ব চেপে দিয়ে তোর বাবা শান্তিতে ঘুমিয়ে আছে কবরে। বেঁচে থাকলে আমার কাছ অব্দি এই দুশ্চিন্তা আসতেই দিতেন না।’
বলতে বলতে চোখে জল জমে নাজমা বেগমের। তপুর ভেতরটা হু হু করে উঠে। দায়িত্ববান ভাই আর ছেলে হিসেবে সবটা কিভাবে সামলাবে সেই চিন্তার ভাঁজে নুয়ে পড়ে সে।
‘ঢাকাতে হলে কোনো সমস্যা ছিলো না। কমিউনিটি সেন্টারের লোকজন ম্যানেজ করে নিতো কোনো রেস্টুরেন্ট থেকে। গ্রামের বাড়ি এখানে তো তেমন কোনো ব্যবস্থাও নেই। এজন্যই বলেছিলাম ঢাকাতে সমস্ত আয়োজন করতে।’
কেমন অসহায়ের মতো তাকালেন নাজমা বেগম। কাতর স্বরে বলেন,
“তোর চাচা-ফুফুরা কি আমায় ছেড়ে কথা বলতো? এমনিতেই বলে, তাদের ভাইকে শহরে নিয়ে গিয়ে আলাদা করে ফেলেছি। এখন ভাই নেই, তাই তার সন্তানদেরও দূরে সরিয়ে দিচ্ছি! আমার আর বাপের বাড়ির মানুষদের দোষের তো শেষ নেই, কিন্তু বিপদের সময় বাপের বাড়ির মানুষ ছাড়া কাউকে পাশে পাই না। আর দেখিস, একটু পর খাবার কম হওয়ার জন্যও কথা শুনতে হবে!”
তার কণ্ঠে অসহায়ত্বের চেয়ে ক্ষোভই ছিল বেশি।
‘আম্মা?’
নাজমা বেগম তাকাতেই তপু ইতস্তত করে। আমতা আমতা করে জানায়,
‘সদরে আমার বন্ধুর মামার একটা রেস্টুরেন্ট আছে। বড়সড় আর ভালোই চলে। তোমায় না জানিয়ে আমি একটা কাজ করে ফেলেছি।’
‘কি কাজ?’
‘আমি আমার দুই বন্ধুকে সেখানে পাঠিয়েছি। ওর মামা বলেছে লিস্ট অনুযায়ী খাবার কম থাকলে অন্য জায়গা থেকে ম্যানেজ করে দিবে। আশেপাশে আরো রেস্টুরেন্ট আছে।’
‘টাকা?’
‘ছোট মামা।’
তপ্ত শ্বাস ফেলেন তিনি,
‘কতক্ষণ লাগবে?’
‘একঘন্টা তো লাগবেই।’
‘এতোক্ষণ?’
ঠিক তখনই বাইরে হট্টগোল শোনা গেল। নাজমা বেগম আর তপু দৌড়ে এলো উঠানে। দেখলো যা হওয়ার ছিল তা-ই হয়ে গেছে। কোনোভাবে বরপক্ষের কানে চলে গেছে খাবার ঘাটতির কথা।
এক কথা দুই কথা থেকে বরপক্ষ ও কনেপক্ষের কয়েকজন তর্কে জড়িয়েছে। কেউ চড়া গলায় বলল, ‘ফকির নাকি? মেয়ে দিবে অথচ কিপ্টামি? ছেলেপক্ষকে সমাদর করতে না পারলে মেয়ে বিয়ে দিতে চায় কেন?’
ওপাশ থেকে জবাব এল, ‘আপনারাই বা তিনশো জন আসার কথা বলে হাভাতের মতো গোষ্ঠী সুদ্ধ এসেছেন কেন? জীবনে ভালোমন্দ খাননি? আগের বলে দিতেন। তাহলে পুরো গোষ্ঠীর জন্য আয়োজন করে রাখতাম।’
কথার লড়াই ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। বরপক্ষের একজন রাগে বলল, ‘ছেলে বিয়ে করাতে এসেছি। অপমানিত হতে নয়।’
তবুও উত্তেজনা কাটছে না। আশপাশে ফিসফাস চলছে, কেউ বিরক্ত মুখে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে। দূরে কুকুর ঘেউ ঘেউ করে উঠল—এই অশান্তির যেন পূর্বাভাস!
মান সম্মানের দিকে চেয়ে তপু এগিয়ে যায়। অনুনয় করে।
‘ওদের হয়ে আমি ক্ষমা চাচ্ছি। আপনারা আর একটু অপেক্ষা করুন। আমরা খাবারের বন্দোবস্ত করে ফেলেছি।’
ভীড়ের মাঝে কোথা থেকে ছুটে আসলেন মেহেরুন্নেসা। চোখজোড়া ঈষৎ লাল। ফুলে উঠেছে কপালের শিরা। ক্রোধানলে উত্তাল তিনি। হুঙ্কার দিয়ে ওঠেন।
‘আমরা হাভাতে? আমরা গোষ্ঠী সুদ্ধ এসেছি?এতোবড় অপমান আমাদের? আমার বাপের বাড়ির মানুষদের? আপ্যায়ন করার সামর্থ্য আপনাদের নেই, আগে বললেই পারতেন আমরা টাকা পাঠিয়ে দিতাম। বাপের বাড়িতে আমার মানসম্মান সব শেষ হয়ে গেলো। ছেলেকে আমি এখানে বিয়েই করাবো না।’
নাজমা বেগম চটে গেলেন আরো কয়েকগুন। মান সম্মানের খাতিরে এতোক্ষণ সব সহ্য করলেও এবার যেন বাঁধ ভেঙেছে ধৈর্য্যের।
‘আমাদের সামর্থ্য ঠিকই আছে। আপনাদের বিবেকবুদ্ধি নেই। নিজের ভুল স্বীকার করতে শিখুন।’
তনয়ার ছোট মামা ছুটে এলো। নাজমা বেগম কে বাঁধা দিয়ে বলে,
‘আপা চুপ কর। তোর মেয়ের বিয়ে আজকে। মাথা ঠান্ডা রাখ। যা হওয়ার হয়ে গেছে।’
ঝামেলার কথা শুনে খালেকুজ্জামান ছুটে এলেন। মূখ্য দুইজন মানুষের কথা কাটাকাটি মানে লঙ্কাকাণ্ড বেঁধে যাবে।
‘সংযত হও মাহমুদের মা। যত যাই বলো দোষ আমাদেরই। আমরা এতজন মানুষ বাড়তি আসবো এটা আগেই বলা দরকার ছিলো। তারপরও তারা চুপচাপ ব্যবস্থা করছে। এটাকে নিয়ে এতো কাহিনি করার তো দরকার নেই।’
তিনি এসে দাঁড়ালেন নাজমা বেগমের সামনে। নত স্বরে বলেন,
‘জানি আপনার জন্য চাপ হয়ে যাচ্ছে। মহিলা মানুষ হয়ে এতোটুকু এগিয়ে এনেছেন এটাই বা কয়জন পারে? সবার হয়ে আমি ক্ষমা চাচ্ছি।’
হঠাৎ করেই ঝামেলা একদম শান্ত হয়ে গিয়েছিল। মিনিট ত্রিশের মাথায় খাবারের বন্দোবস্ত আর তার কিছুক্ষণ পরে সম্পন্ন হয় বিবাহ। এরপরে একটা কথাও বলেননি মেহেরুন্নেসা। মনে চাপা রাগ নিয়ে কেবল সবটা দেখেছেন আর মনে মনে ফুঁসেছেন।
বিদায় বেলা সবার শেষে যখন তনয়ার মামা তনয়ার হাতটা খালেকুজ্জামানের হাতে দিয়ে বলেন,
‘আমার ভাগ্নিটা এতিম বেয়াই। বাপের বড্ড আদরের ছিলো সে। দুলাভাইয়ের মৃত্যুর শোক মেয়েটা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি। আপনার হাতে তুলে দিলাম। নিজের মেয়ের মতো রাখবেন।’
‘আমি বেঁচে আছি তো বেয়াই। আমি বেঁচে থাকতে আমার মেয়ে আবার এতিম হয় কিভাবে?’
খালেকুজ্জামানের কথা শুনে দরজার চৌকাঠ থেকেই মুখে আঁচল গুঁজে কেঁদে উঠেন নাজমা বেগম।
মেয়ে বিদায় আশেপাশের অনেক মানুষই দেখতে এসেছে। ফুলে ফুলে সজ্জিত গাড়িটাকে ঘিরেই দাঁড়িয়ে আছে সকলে। সেই ভীড় ঠেলেই কোনো একজন গ্রামের প্রবীণ মহিলা বলে উঠেন,
‘হউর ডা মনে হয় ভালায়ে। হরি ডা সুবিধার না। পোলার বিয়ার দিন কোন মায় আইয়ে? বাপ ম*রা মাইয়াডারে মনে হয় শান্তি দিতো না।’
হাজারো কোলাহলের মাঝে মেহেরুন্নেসার কানে ঠিকই পৌঁছে যায় কথাখানি। জ্বলন্ত অগ্নি লাভার ন্যায় জ্বলে উঠেন তিনি। ভীড় ঠেলে কন্ঠস্বরের মালিক কে খুঁজলেন। তবে পেলেন না। বুঝার চেষ্টা চালালেন কে বলতে পারে। তবুও বুঝে উঠতে পারলেন না এতো মানুষের ভীড়ে কে হতে পারে। তবে সেই প্রবীণ মহিলার কথাই তিনি অক্ষুণ্ণ রেখেছেন। হাতে আর ভাতে মা*র*তে পারলেও কথার যাঁতাকলে পিষ্ট করে চলেছেন প্রতিনিয়ত। সেই অপমানের শোধ তুলে চলেছেন প্রতি মুহূর্তে।
________________
‘আমার বাপের বাড়ির মানুষকে একবেলা খাওয়াতে লুঙ্গি খুলে যায়। তাদের আবার বড় বড় কথা। বড়োলোক গিরি দেখাতে আসে আমাকে। সেদিনের কথা কিছু ভুলিনি আমি। কাপড় দিছে কতগুলো ফিনফিনে ত্যানা। হাবভাবে মনে হয় কোনো নবাবের বেটি।’
মুনিরার চুলে তেল দিতে দিতে পুরোনো কথা মনে করে নিজের সমস্ত রাগ উগলান মেহেরুন্নেসা।
‘বাপ আর ছেলের মাথাটা একেবারে চিবিয়ে খেয়েছে এই মেয়ে। এতোগুলো কথা বললো আমাকে। দুজনের একজনও কিছু বললো না। আমি উচিত কিছু বললে ছেলের সাথে বুড়োটাও তেড়ে আসে। গন্ডারের চামড়া। বিয়ের দিনই তো লাগেনি। আমি হলে বিয়ে না করে উঠে চলে আসতাম। এতো অপমান সহ্য করতাম না।’
এরপর দুঃখী দুঃখী গলায় পুনরায় বলেন,
‘ছেলেটারই বা কি দোষ। আগেই তো আমার ছেলেটাকে হাত করে নিয়েছে।’
চুলে একটু জোরে টান দিতেই ‘আহ্!’ করে আর্তনাদ করে উঠে মুনিরা।
‘আহ্! আম্মা আমার চুলের কি দোষ?’
‘চুপ থাক।’
মুনিরা চুপ হয়ে যায়। চুলে তেল দেওয়া শেষ হতেই তিনি বলেন,
‘যা দেখে আয় তো তোর ভাই আর তার বউ কি করে।’
দরজা থেকে মাথা বের করে উঁকি দিলো। কেউ আছে কিনা দেখার জন্য। সোফায় বসে মাহমুদ ল্যাপটপে কাজ করছে। পানি খাওয়ার বাহানায় মুনিরা ডাইনিংয়ে যায়। ডাইনিং থেকে মাহমুদের রুমের সবকিছু স্পষ্ট দেখা যায়। চোরা চোখে মাহমুদের রুমে নজর বুলায় সে। তনয়া গভীর নিদ্রা আচ্ছন্ন। নিঃশব্দে ফিরে আসে মুনিরা।
‘তোমার গুণোধর বউমা আরামসে ঘুমোচ্ছে। আর তোমার ছেলে বসে বসে ল্যাপটপে কাজ করছে।’
মেহেরুন্নেসা মনে মনে কিছু একটা ভেবে ফন্দি আঁটেন । কুটিল হেসে বলেন,
‘ফ্রিজে আতপ চালের গুঁড়ো আছে। সেগুলো বের কর গিয়ে।’
মুনিরা নাক মুখ কুঁচকে জবাব দেয়।
‘পারবো না আমি।’
মেহেরুন্নেসা রাগী চোখে তাকাতেই মুনিরা মুখ বাঁকিয়ে বিড়বিড় করতে করতে গেলো।
_________________
কাজ করতে করতে আচমকা চোখের সামনে গরম গরম চিতই পিঠা দেখে বেশ অবাক হয় মাহমুদ। খুশিতে চোখজোড়া চকচক করে উঠে তার। তনয়া বানিয়েছে ভেবেই বলে ফেললো,
‘তুমি কি করে বুঝলে তনয়া আমার যে খুব করে চিতই পিঠা খেতে মন চেয়েছে?’
মাথা উঁচিয়ে মেহেরুন্নেসাকে দেখে বিস্মিত হয় সে। সাথে সাথে নীরব হয়ে যায়।
‘ওহ্! তুমি?’
মন ভুলানোর জন্য পুনরায় বলে,
‘কখন বানালে এসব? দেখতে তো বেশ লাগছে।’
মাহমুদের পাশে বসেন তিনি। পরম মমতায় হাত বুলিয়ে দেন পিঠে মাথায়। মাহমুদ মুচকি হাসলো।
‘ অন্যকেউ বুঝতে না পারলেও মায়েরা সন্তানের মুখ দেখলেই সব বুঝতে পারে। এখানেই বাকিদের সাথে মায়ের পার্থক্য। কিন্তু বিয়ের পর ছেলেরা সবার আগে মাকেই ভুলে যায়।’
কাকে উদ্দেশ্য করে কথাটা বলেছেন মাহমুদ আঁচ করতে পারে। তনয়ার ঘুম থেকে উঠার সময় হয়েছে। শুনে ফেললেই তর্ক বিতর্ক হবে। কথা আর বাড়তে দিলো না সে। ল্যাপটপ সরিয়ে পিঠা মুখে দেয়।
‘মজা হয়েছে আম্মা।’
মেহেরুন্নেসা আঁড়চোখে একবার মাহমুদের রুমের দিকে তাকায়। তনয়ার সাড়াশব্দ না পেয়ে তিনি যেন সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে গেলেন মাহমুদের কান ভাঙানোর। ছেলের আরো একটু কাছে গিয়ে বসলেন। আদুরে স্বরে বলেন,
‘আমি তোর মনের অবস্থা বুঝি।’
খাওয়া থামিয়ে মেহেরুন্নেসার দিকে তাকালো মাহমুদ। কথার অর্থোদ্ধার করতে পারলো না সে।
‘আজকাল তোর বউ তোর কথার কোনো দামই দেয় না। যা খুশি তা-ই করে। তোকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়! দেখলি না, দিনকে দিন মাথার ওপর উঠছে। তোর উপর ছুলী ঘুরাতে চায়, আর তুই কিছু বলিস না!”
তিনি শাড়ির আঁচল ঠিক করতে করতে দীর্ঘশ্বাস ফেললেন।
‘বউ যদি বউয়ের জায়গায় থাকে, তাহলে সংসার সুখের হয়। আর যদি স্বামীর ওপর মাথা চড়িয়ে বসে, তাহলে সেই সংসার টেকে না। আমি তোকে আগে থেকেই সাবধান করছিলাম, কিন্তু তুই তো বউয়ের কথাতেই বেশি কান দিস। এখন যা হওয়ার তাই তো হচ্ছে।’
মাহমুদ চুপচাপ শুনছিল। মেহেরুন্নেসা আবার বলতে শুরু করলেন,
‘ছেলেকে আমি এই জন্য বড় করিনি যে, বউয়ের কথায় উঠবস করবে। পুরুষ মানুষ চায় নম্র স্বভাবের বউ। কিন্তু তোর বউ দিনকে দিন লাগাম ছাড়া হয়ে যাচ্ছে।’
মাহমুদ কিছু বলতে যাবে তার আগেই তিনি যেন বিস্ফোরণ ঘটালেন,
‘তুই না সেদিন কিছু একটা বললি?’
‘কবে?’
‘তনয়ার সাথে যে সংসার করবি না। দেখ বাবা তুই যা করার কর। আমি তোর সাথে আছি।’
এতোক্ষণ চুপচাপ শুনলেও মাহমুদ এবার চুপ থাকলো না। সবসময় চুপ থাকা যায় না। প্রতিটা সম্পর্কের একটা গন্ডি থাকে। সেই গন্ডি পার হলেই বাঁধে বিপত্তি। হাতের পিঠাখানা রেখে দিলো প্লেটে।
‘আমি তো সেদিন আমার কথা সম্পূর্ণ করিনি আম্মা। এটাও বলিনি আমি তনয়াকে ছেড়ে দিবো। এমনও তো হতে পারে যে আমি বলতে চেয়েছি, তনয়া কে নিয়ে আমি আলাদা সংসার পাততে চাই।’
#চলবে