সংসার সমরাঙ্গন পর্ব-২০

0
9

#সংসার_সমরাঙ্গন (২০)
রূপন্তি রাহমান (ছদ্মনাম)

এক এক করে ছয়টা কিমা পরোটা বানিয়ে রেখেছে তনয়া। গরম গরম পরোটার মনমাতানো গন্ধে পুরো রান্নাঘর ভরে গেছে। পাশে একটা চেয়ার টেনে বসেছে রূপা। গল্পে মেতে আছে দুজনেই। তনয়া হাতের কাজ চালিয়ে গেলেও মন দিচ্ছে কথোপকথনে।

রায়তা বানানোর জন্য সে ফ্রিজ খুলে শসা, টকদই, আর অন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ বের করল। কাটিং বোর্ডে শসা রাখতেই ঠান্ডা স্পর্শে একটু শিরশির করে উঠল তার আঙুল। ছুরি হাতে নিয়ে শসা কুচোতে কুচোতে রূপার দিকে তাকিয়ে বলল,

‘মা না হয় ডাকতে নিষেধ করেছে বয়স বেড়ে যাবে বলে। আদর, স্নেহ করতো তো? নাকি সেখানেও বয়স বাড়ার আশঙ্কা ছিলো?’

‘সতীনের মেয়েকে যতটুকু স্নেহ করলে বাহিরের দুনিয়া ভালো বলে আখ্যা দিবে ততটুকু।’

‘লোক দেখানো ভালোবাসা?’

‘হয়তো!’

‘আঙ্কেল কিছু বলতো না?’

‘বাবা! বাবা তো আমার থেকেও নেই। কথায় আছে না, মা ম*র*লে বাপ তাঐ। নামেই বাবা আচরণে তাঐ। এই যে আমার আটমাস চলছে কয়দিন বাবা ফোন দিয়ে খবর নিয়েছে? কয়দিন দেখতে এসেছে? বিয়ে দিয়ে কেবল মাথা থেকে বোঝা নামিয়েছে। অথচ মা বেঁচে থাকা কালীন তিনিই আমাকে চোখে হারাতেন। মানুষ বদলে যায় আপু।খুব দ্রুতই বদলে যায়। সেজন্য আম্মা কিছু বললেও তেমন খারাপ লাগে না। সেই অনুভূতিই আমার নেই।’

তনয়া অবাক চোখে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে থাকে। যেন এখনো বিস্ময় কাটছে না। বয়স কতই বা হবে? অথচ কী শক্ত মন! কত সহজে আবেগকে সামলে নিয়েছে, বাস্তবতার সাথে মানিয়ে নিয়েছে নিজেকে। নেই কোনো অভিযোগ, নেই কান্নার ঢল— শুধু গভীর এক শূন্যতা, মেনে নেওয়ার অনুচ্চারিত আর্তনাদ। আহা, মেয়ে মানুষ! জন্ম থেকেই বুঝি সহ্য করাই তার নিয়তি!

রূপার মোবাইল বাজতেই তনয়ার ভাবনাচ্ছেদ হয়। র‍্যাকে রাখা ফোনটা হাতে নিতেই দেখল, তপু ভিডিও কল দিয়েছে। মুহূর্তেই রূপার ঠোঁটের কোণে লাজুক হাসি খেলে যায়, চোখে অদ্ভুত এক দীপ্তি। সেই অভিব্যক্তি তনয়ার নজর এড়ায় না। মিটিমিটি তাকিয়ে সেও হাসল খানিক, যেন এক অলিখিত ভাষায় রূপার আনন্দ ভাগ করে নিল। ভালোবাসার স্পর্শ যে শুধু চোখেই ধরা পড়ে, তা যেন ওদের দু’জনের মুখ দেখলেই বোঝা যায়।

‘আমার কলিজাটা কি করছে?’

ভিডিও কল স্পিকারে লাউড থাকায় তনয়ার সামনেই ভেসে আসে তপুর আহ্লাদী সম্বোধন। মুহূর্তেই লজ্জায় গাল টকটকে লাল হয়ে ওঠে রূপার। হঠাৎই যেন গলার কাছে শব্দ আটকে যায়— না বলতে পারছে কিছু, না বুঝিয়ে উঠতে পারছে। তনয়ার দুষ্টু হাসিটা চোখে পড়তেই আরও অস্বস্তিতে পড়ে যায় সে। কী করবে বুঝে না পেয়ে চুল কানে গোঁজার বাহানায় হাতের আড়ালে মুখ লুকায়। কখনো ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে আবার চোখ নামিয়ে নেয়। হাতের আঙুল গুলিয়ে যায়, মন যেন কাঁপতে থাকে। বৃথাই সে নজর এড়ানোর চেষ্টা করে— কারণ তার লজ্জা ইতিমধ্যেই চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে, চোখে-মুখে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে তার না বলা অনুভূতি!

‘ব্যাপার কি আজ আমার কলিজা একটু বেশিই লজ্জা পাচ্ছে! এতো লাল নীল হওয়ার কারণ জানতে পারি ম্যাডাম?’

ছোঁ মেরে রূপার হাত থেকে মোবাইল নিয়ে নিলো তনয়া।

‘কলিজা বলে যে ডাকলি কলিজা কোথায় থাকে জানিস?’

তপু আচমকা স্ক্রিনে তনয়াকে দেখে ভড়কে যায়। মুহূর্ত আগেও যে স্বস্তিতে ছিল, এক ঝটকায় সে ভাব উধাও! মুখে হাসি জমাট বাঁধতে চায়, কিন্তু চোখে ধরা পড়ে সামান্য অস্বস্তি। রূপার সঙ্গে নির্ভারভাবে কথা বলছিল, এখন মনে হচ্ছে যেন কোনো অপরাধে ধরা পড়ে গেছে। ভ্রু একটু কুঁচকে আসে, গলার স্বর স্বাভাবিক রাখতে চায়, কিন্তু কেমন জানি কণ্ঠ আটকে আসে।

‘ এ মা তুই? দেখে তো মনে হচ্ছে রান্নাঘর। তুই রান্নাঘরে করছিস টা কী?’

‘একদম কথা ঘুরাবি না ভাইয়া। যা জানতে চাইছি তার জবাব দে।’

তপু আড়ষ্ট হয়। গলার কাছে কিছু একটা দলা পাকিয়ে ওঠে। কথা বলতে গিয়েও থেমে যায়। বোনের কড়া দৃষ্টির সামনে সে আরও সংকুচিত হয়ে পড়ে, মনে হয় মাটি ফেটে গেলে তাতে মিশে যেতে পারত!

‘তোর জবাব দেওয়া লাগবে না। আমিই বলছি। বুকের গভীরে, পাঁজরের কঠিন আবরণের আড়ালে থাকে। সেখানে রাখতে পেরেছিস মেয়েটাকে?’

‘সেখানে রাখা কি আদৌও সম্ভব?’

‘বুকের ভেতরেই রাখতে হবে আমার কথার মিনিং কিন্তু এমনটা না। ভাবির এমন অবস্থায় তোর ঠিক কোথায় থাকার কথা ছিলো?’

‘দেখ আমি জানি রূপার এই সময় আমার ওর পাশে থাকা দরকার। কিন্তু এটা ভুলে গেলে চলবে পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটা আমি। তাই চাইলেও অনেক কিছু করা সম্ভব না।’

‘উপার্জন কি দেশে থেকে করা যায় না? একটা বার চিন্তা কর, বাসায় তোর গর্ভবতী বউ আর অসুস্থ মা। হঠাৎ করে মাঝরাতে তোর বউয়ের লেবার পেইন উঠলে মা কি করবে? কোথায় যাবে? শুধু এখনকার জন্য না সব সময়ের জন্য তোর ওদের পাশে থাকা জরুরি। দেশে চলে আয় ভাইয়া। দরকার হলে দিনমজুরের কাজ করবি তাও সবার চোখের সামনে থাকবি। ছোট্ট এই জীবনে বাবাকে দেখে তৃপ্ত হয়নি মন। তোর সন্তানেরও যেন এমনটা না হয়।’

‘আল্লাহ ভরসা। আর তুই তো আছিস। তাই না?’

তনয়া সরু চোখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে ফিক করে হেসে দেয়।

‘নে তোর কলিজার সাথে কথা বল।’

বলেই মোবাইল রূপার কাছে দিয়ে দিলো সে। দু’টো পরোটা আলাদা একটা প্লেটে নিয়ে পুনরায় বলল,

‘খেতে খেতে কথা বলো। আমি মায়ের জন্য নিয়ে যাচ্ছি।’

_________________

আলো নিভিয়ে কাথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছেন নাজমা বেগম। প্লেট হাতে দরজা কাছে এসে দাঁড়ায় তনয়া। আলো জ্বালায় সে। বার কয়েক ডেকেও সাড়া পেলো না। আলো নিভিয়ে দেয় সে।

রুম আবারও অন্ধকার হয়ে যায়। তনয়া চলে গেছে ভেবে নাজমা বেগম নড়েচড়ে উঠলেন। মাথা থেকে কাঁথা সরিয়ে এপাশ ফিরতেই তনয়া আবার আলো জ্বালিয়ে দেয়। তিনি থতমত খেয়ে যান। ধরা পড়েও যেন পড়তে চান না তিনি। ঘুমের বাহানায় চোখ বন্ধ করতে চাইলে তনয়া বাঁধ সাধে।

‘একদম না আম্মা।’

নাজমা বেগম চোখ বন্ধ করতে পারলেন না। তনয়া এগিয়ে এলো।

‘একটু উঠে বসবে মা?’

তিনি হাই তুললেন। মিটিমিটি চোখে চেয়ে জবাব দেন, ‘আমি ঘুমাবো এখন।’

‘একটু পরে ঘুমাও!’ তনয়ার স্বরে কাকুতি। কেমন মায়া মায়া চোখে তাকিয়ে আছে।

মেয়ের চোখের মায়া আর মিনুতি উপেক্ষা করতে পারলে না তিনি। গম্ভীর মুখে উঠে বসলেন। তনয়া মুখোমুখি বসলো। এক টুকরো পরোটা নাজমা বেগমের মুখের সামনে ধরতেই তিনি মুখ ঘুরিয়ে নিলেন।

‘রেগে আছো আমার উপর?’

তিনি জবাব দিলেন না। তনয়ার মুখটা মলিন হয়।

‘তুমি না জানতে চেয়েছিলে কেন আমি চলে এসেছি? আজ এক টুকরো ঘটনা বলি?’

তনয়ার চোখে চোখ রাখেন তিনি। তনয়া চোখের ইশারায় খেতে বলল।

‘তুমি খাও আমি বলি।’

তিনি পরোটার টুকরোটা মুখে নিতেই তনয়া পোড়া হাতটা চোখের সামনে ধরে।

‘হাতটায় যখন ফুটন্ত তেল পড়লো আমার শ্বাশুড়ি সামনে ছিলো। কিন্তু আমি তার সহানুভূতি পাইনি। কাছে এসে দেখার বদলে উল্টো করেছিলেন ভর্ৎসনা। অথচ আমি সারাদিন কাজ করেছি। খাওয়ার সময় টুকু বাদ দিয়ে জিরোবার ফুরসত পাইনি।’

নাজমা বেগম চমকে উঠলেন। ব্যতিব্যস্ত হয়ে বললেন,

‘আমায় কিছু বললি না কেন? এতোটা অমানবিক তারা?’

তনয়ার চোখের কোণে জল জমেছে। ধরে এসেছে গলা। কথাগুলো যেন কণ্ঠনালীতেই আটকে গেছে।

‘কি বলবো তোমায় আম্মা? তুমিও কি আমার শ্বাশুড়ির আরেকটা প্রতিচ্ছবি নও?’

‘আমি তোর শ্বাশুড়ির প্রতিচ্ছবি?’

‘আলবাৎ! তোমরা প্রত্যেকটা শ্বাশুড়ি এক। তোমাদের সকলের আচরণ একরকম। ছেলের বউকে অত্যাচার করে তোমরা পৈশাচিক আনন্দ পাও।’

‘তুই রূপা কে ডাক। ডেকে জিজ্ঞেস কর আমি ওকে অত্যাচার করি কিনা।’

‘কাউকে ডাকার দরকার নেই মা। অত্যাচার কেবল শারীরিক হয় না মানসিকও হয়।’

প্লেটটা দূরে সরিয়ে নাজমা বেগমের কোলে মাথা রাখে তনয়া। গলার সুর নরম হয়ে আসে।

‘মা ম’রা মেয়ে কে ছেলের বউ করেছো। একটু মাতৃস্নেহ দাও। একটা গর্ভবতী মেয়ে ঠিক কতটা শারীরিক আর মানসিক ধকল সহ্য করে তা হয়তো বলার প্রয়োজন নেই তোমাকে। তারপরও তুমি কি একটু স্বস্তি দিচ্ছো?’

নাজমা বেগম জবাব দিতে পারলেন না। তনয়া ফের বলল,

‘তোমরা মনে করো ছেলের বউ এনেছি তারমানে চব্বিশ ঘন্টাই কাজ করবে। সংসারের সকল কাজের দায়িত্ব তার। বিশ্রাম না নিলেও চলবেৃ। আমি চাই না আমার শ্বাশুড়ির রূপটা তোমার মাঝে প্রতিফলিত হউক।’

তনয়া মাথা উঁচিয়ে তার মায়ের দিকে চাইলো। অনুরোধের সুর টানে গলায়।

‘ভেঙে দাও না মা যুগ যুগ ধরে চলে আসা শ্বাশুড়িদের এসব নিয়ম। মা হয়ে উঠো না ছেলের বউয়ের। নিয়মের বাইরে গিয়ে একটু ব্যতিক্রম শ্বাশুড়ি হও। আজ তুমি ভালো শ্বাশুড়ি হবে। পরদিন তোমাকে দেখে আরেকজন ভালো শ্বাশুড়ি হওয়ার চেষ্টা করবে।

নাজমা বেগম উত্তর করলেন না। তনয়ার হাতের পোড়া ক্ষতে ভাঁজ পড়া ঠোঁটের মাতৃস্নেহ এঁকে দিলেন কেবল।

______________________

রাতের শহর ভারী হয়ে আছে সারা দিনের গরমে। বাতাসে ধুলোর গন্ধ, গাড়ির কালো ধোঁয়া আর মানুষের ক্লান্তির ছাপ লেগে আছে। রাস্তাগুলো এখনো জীবন্ত—কোথাও হেডলাইটের আলোয় ঝলসে ওঠা অ্যাসফাল্ট।

শীতের পর এই গরমটা যেন একেবারে আচমকা এসে চেপে বসেছে। বাতাস নেই, গাছের পাতাগুলোও নড়ছে না। ঘামের একটা সরু ধারা গড়িয়ে পড়ল তার কপাল বেয়ে। দূরে রাস্তার ল্যাম্পপোস্টের নিচে কুকুরটা গুটিয়ে শুয়ে আছে, গরমে সেও যেন নড়তে চাইছে না।

দূরে আকাশে মেঘের স্তর জমেছে, মাঝে মাঝে বিদ্যুতের তারে ঝুলে থাকা কাকগুলো ডানা ঝাপটে ওঠে। গরমে হাঁসফাঁস করা শহর যেন অপেক্ষা করছে—এক পশলা বৃষ্টি নামবে কি না, এই অনিশ্চয়তার মাঝে দুলতে থাকা রাতের জন্য।

তনয়া গরমে ব্যাকুল হয়ে ঘরের ভেতর হাঁটাহাঁটি করছিল। বাতাস যেন থমকে আছে, জানালার ফাঁক দিয়ে আসা উষ্ণ হাওয়া শুধু আরও অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে। শেষে সে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াল।

তনয়া বারান্দার রেলিঙে হাত রাখলো। ঘামে ভেজা তালুতে ধাতব শীতলতা লাগে। ফুস করে নিঃশ্বাস ছাড়লো সে। আচমকা নজর গেলো তার অদূরে। কেউ একটা দাঁড়িয়ে আছে। এতোরাতে কে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে ভাবতে ভাবতে তার বুকের ভেতরটায় মোচড় দিয়ে ওঠে। খুব করে সে অনুভব করতে পারে মানুষটা তার পরিচিত। খুব পরিচিত। যার ছোঁয়া তার রন্ধ্রে রন্ধ্রে। তনয়া বিলম্ব করলো না তড়িঘড়ি করে রুমে গিয়ে কল করলো মাহমুদের নম্বরে।

বহুদিন পরে মোবাইল স্ক্রিনে তনয়ার নাম ভাসতেই ঠোঁটের কোণে হাসি ফোটে মাহমুদের। কে’টে যাওয়ার ভয়ে চটজলদি কল রিসিভ করে সে।

‘তুমি কি বাসার নিচে?’

‘হুম।’

‘এতো রাতে এখানে কি করছো?’

‘উত্তর কি তোমার অজানা?’

তনয়া চুপ করে যায়।

‘কেমন আছো তনয়া?’ মাহমুদের কন্ঠে আকুলতা।

‘বাসায় ফিরে যাও মাহমুদ।’

‘তৃষ্ণার্ত বুক আজ উত্তপ্ত মরুভূমির ন্যায়। উত্তপ্ততা কমানোর জন্য যে বৃষ্টি প্রয়োজন।’

‘মরুভূমিতে কেবল বালি ঝড় হয়। সেই বালির নিচেই চাপা পড়ে যায় হাজারো অনিশ্চিত ভবিষ্যত। উত্তপ্ততা কমানোর জন্য বিকল্প পদ্ধতি খোঁজে নাও ‘

‘আমার জীবনে বিকল্প পদ্ধতির কোনো স্থান নেই। একটাই অপশন। তনয়া, তনয়া এবং তনয়া।’

‘পাগলামি ছাড়ো। আর বাসায় ফিরে যাও।’

‘ফিরে যাওয়ার জন্য তো আসিনি। একটা পলক হলেও আমি দেখবো।’

‘এক পলক দেখার কিছুই নেই। তোমার জীবনের সমস্ত কিছুর প্রয়োজন আমি মিটিয়ে দিয়েছি। এবার শুধু অফিশিয়ালি,,,,,,,

‘একজীবনে কি সব প্রয়োজন মিটে?’

‘কিছু কিছু ক্ষেত্রে মিটে।’

মাহমুদ শব্দযোগে হাসে। যে হাসির প্রতিটা পরতে পরতে হতাশা আর আফসোস।

‘মানুষের বয়সও একটা সময় থমকে যায়। কিন্তু পৃথিবীর আয়ু বাড়তে থাকে। আমার সেই থমকে যাওয়া বয়সেও আমি তোমাকে চাই।’

#চলবে