সাজিয়েছি এক ফালি সুখ পর্ব-০৬

0
91

#সাজিয়েছি_এক_ফালি_সুখ
#লেখনীতে – #kazi_Meherin_Nesa
#পর্ব – ০৬

কয়েকদিন পর এক শুক্রবারে জারার বাড়িতে আসে আবরার, ওকে দেখে সবাই অবাক কারণ ও যে সত্যিই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে একটা ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে আসবে সেটা জারার বাবা এবং সৎ মা ভাবেনি। প্রথমে আনোয়ার সাহেবের কেমন সন্দেহ হলো, তাই উনি বিভিন্ন কথার মাধ্যমে আবরারকে পরীক্ষা করার চেষ্টা করেছেন কিন্তু আবরার একদম তৈরি হয়েই এসেছে এখানে তাই জারার বাবার প্রতিটা প্রশ্নের যুক্তিসম্মত জবাব দিয়েছে। অনেকক্ষণ কথাবার্তা শেষে আবরারকে পছন্দ হয়েছে আনোয়ার সাহেবের। এবার হাসনা বেগম হুট করে বলে উঠলেন…

‘ আমাদের মেয়ে একটু কড়া স্বভাবের। হুটহাট অনেকসময় মুখের ওপর কথা বলে দেয়। তাতে তোমার কোনো সমস্যা নেই তো?’

‘ সমস্যার কিছু নেই আন্টি, পরিস্থিতি বিবেচনায় আমিও বেশ কড়া স্বভাবের। আমাদের দুজনের এ ব্যাপারে মিল আছে ‘

‘ সেটা তো তোমাদের ব্যাপার বাবা, মেয়েদের ভুলত্রুটি নিয়ে কথা তো মায়েদের শুনতে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে। আমি সৎ মা বলে হয়তো দোষ আরো বেশি আসবে আমার ওপর, যেহেতু এতগুলো বছরেও জারার স্বভাব বদলাতে পারিনি ‘

‘ আহহা, তুমি এখন আবার এসব কথা কেনো তুলছো? পরের ব্যাপার পরে দেখা যাবে। ওদের দুজনের মনের মিলটাই আসল, অন্যকিছু বাদ দাও ‘

‘ হ্যাঁ আঙ্কেল, আপনি ঠিক বলেছেন। তবে, আন্টি আপনি এসব নিয়ে এতো ভাববেন না। আমার মা এতো ওল্ড ফ্যাশন্ড নয়, উনি আপনাকে অন্তত ফোন তার পুত্রবধূর ব্যাপারে নালিশ করবে না ‘

হাসিমুখে উত্তর দিলো আবরার, চুপ হয়ে গেলেন হাসনা বেগম। এমনিতেই জারার বিয়ে হয়ে যাওয়ায় ওনার উদ্দেশ্য সফল হবেনা বলে ওনার মনক্ষুন্ন হয়েছে, তার ওপর আবরারের কথা শুনে উনি আরো বিরক্ত হলেন কারণ উনি বুঝে গেছেন জারা এই ছেলের বাড়িতে গিয়ে ভালোই থাকবে! রান্নাঘরে জারা দুপুরের খাবারের প্রস্তুতি নিচ্ছে, ওর বান্ধবীও এসেছে আজ। এলিনা মাঝে মাঝে সবার ঘুরে উঁকি দিয়ে আসছে আর জারাকে রান্নায় সাহায্য করছে…

‘ জারা, তুই ওনাকে বিয়ে করছিস? আচ্ছা ওনার কথা বাদ দেই, তুই যে সত্যিই বিয়ে করছিস এটাই তো আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না ‘

‘ তুই আর কি বিশ্বাস করবি, আমি নিজেই এখনো বিয়ের জন্য মন থেকে প্রস্তুত নই কিন্তু আমার কিছু করার নেই’

‘ আহা , এখন আর এতো ভেবে লাভ কি? এমনিতে আবরার সাহেব দেখতে সুন্দর আছে তবে আমার মনে হয় ওই ভাড়া করা ছেলেটাই ঠিক ছিলো ‘

‘ কেনো?’

‘ উনি তোর ইনভেস্টর ছিলো, এখন তোর হাসবেন্ড হয়ে যাবে। তুইই সবসময় বলে এসেছিস কাজ আর ব্যক্তিগত জীবন আলাদা রাখা উচিত। তাহলে এখন কি হবে? উনি যদি বিয়ের পর তোর কাজে বাঁধা দেয়?’

‘ উনি এমন কিছুই করবে না, আমার কথা হয়েছে ওনার সঙ্গে। আর আমি সব ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, অচেনা ছেলেকে বিয়ে করার চাইতে আমার আবরারকে বিয়ে করাটাই সেফ হবে ‘

এলিনা জানে জারা সবসময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়, এবারও বান্ধবীর সিদ্ধান্তে ওর ভরসা আছে। দুপুরে আবরার জারার বাড়িতে লাঞ্চ করে, এই ফাঁকে জারার পরিবারের সঙ্গে আরও অনেক বিষয়ে কথা হয় ওর। লাঞ্চ শেষে আবরার বাড়ি ফিরবে, জারা ওকে এগিয়ে দিতে বাড়ির বাইরে আসে….

‘ থ্যাংক ইউ, সবটা সুন্দরভাবে সামলে নেওয়ার জন্যে। বাবা যে এতো প্রশ্ন করবে আমি ধারণা করিনি ‘

‘ ইটস ওকে, উনি ওনার আদরের মেয়েকে একটা অচেনা ছেলের হাতে তুলে দেওয়ার আগে আমাকে পরীক্ষা করে বাবা হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন। এ থেকে বোঝা যায় উনি ওনার মেয়েকে অনেক ভালোবাসেন ‘

‘ আবরার, বাবা আপনাকে হয়তো সন্দেহ হয়েছে তাই এতো প্রশ্ন করেছে। উনি আমাকে আদৌ ভালোবাসে কিনা সে ব্যাপারে সন্দেহ আছে ‘

‘ একজন বাবার তার মেয়ের প্রতি ভালোবাসা কখনো ফিকে হয় না জারা, বোন আমারও আছে। ছোটো থেকে দেখেছি আব্বু সবসময় আমার আপুর প্রতি কতোটা কনসার্ন। এমনকি এখনও আব্বুর আপুর প্রতি ভালোবাসা কমেনি’

তাচ্ছিল্যের হাসি হাসলো জারা…

‘ পৃথিবীর সব বাবা আপনার বাবার মতো হয় না আবরার, বাবা যদি সত্যিই আমার কথা ভাবতো তাহলে… যাই হোক, এসব কথার এখন আলোচনা না করাই শ্রেয়!’

আবরার বুঝলো এই ধরনের কথা এখন জারার সামনে বলা উচিত হয়নি!

‘ জারা, আমি আপনাকে আঘাত করতে চাইনি। আসলে আপনি যেভাবে বললেন যে আপনার বাবা..’

‘ বাদ দিন আবরার, ওসব কথা পুরোনো হয়ে গেছে। এসব নিয়ে আমি আর ভাবিনা ‘

‘ হুমম! আচ্ছা, আমি আমার বাড়িতে কথা বলে আপনাকে জানাবো। আশা করছি আমাদের দুই পরিবার শীঘ্রই একসঙ্গে কথা বলবে ‘

‘ জ্বি!’

আবরার বিদায় জানিয়ে গেটের বাইরে যেতে যাচ্ছিলো, কি একটা ভেবে আবারও ও ঘুরে এলো জারার কাছে…

‘ কি হয়েছে? কিছু ফেলে গেছেন নাকি?’

‘ একটা জিনিস দিতে ভুলে গেছি ‘

আবরার পকেট থেকে একটা রিং বক্স বের করলো, এরপর রিংটা বের করে জারার হাতে পড়িয়ে দিয়ে বললো…

‘ আমি জানি আপনি এনগেজমেন্টের ঝামেলায় যেতে চাইবেন না, তাই এখনি দিয়ে দিলাম ‘

‘ এসবের প্রয়োজন ছিলো না ‘

‘ প্রয়োজন আছে কি নেই সেটা না হয় আমাকেই বুঝতে দিন! রিং পছন্দ হয়েছে?’

‘ হুম, সুন্দর ‘

‘ যাক, আমার কষ্ট বিফলে যায়নি ‘

‘ আপনি এটার ডিজাইন করেছেন?’

‘ ইয়াহ! ওকে, নাও আই হ্যাভ টু গো। শীঘ্রই আবার দেখা হচ্ছে ‘

এবার বিদায় জানিয়েই চলে গেলো আবরার, জারা ভেতরে এলো। ওর বাবা তখন বসার ঘরেই আছে, মেয়েকে উদ্দেশ্য করে তিনি বললেন…

‘ তোমার পছন্দ যে এতো ভালো হবে সেটা আমি এক্সপেক্ট করিনি ‘

‘ তুমি যাদের আমার জন্যে পছন্দ করেছিলে তাদের থেকে আমার পছন্দ ভালো এটা মানছো তাহলে?’

‘ হ্যাঁ, মানলাম। এবার বিয়েটা হয়ে গেলেই আমি চিন্তামুক্ত হবো ‘

বাবার কথা শুনে কিছু বললো না জারা, আবরারকে নিয়ে কারো কোনো সন্দেহ হয়নি ভেবে হাফ ছেড়ে বেঁচেছে ও। ওদিকে, বাড়ি ফিরেই আবরার সোজা ওর মায়ের কাছে আসে। ওর মা রান্নাঘরে কাজ করছিলো, ছেলেকে দেখেই উনি বলে উঠলেন…

‘ বন্ধের দিন তো তুই পড়ে পড়ে ঘুমাস, আজ সকালেই কোথায় গেছিলি?’

‘ একটা দরকারি কাজ ছিলো, আম্মু তোমার সঙ্গে কিছু কথা আছে ‘

‘ হ্যাঁ, বল.. ও হ্যাঁ, তোর আব্বু বলছিলো আয়েশার শ্বশুরবাড়িতে ফলমূল পাঠাবে। এবার গরম গেলো, ওরা এসেছিলো বলে ও বাড়িতে কিছু পাঠানো হয়নি ‘

‘ আম্মু, ফল তুমি পরেও পাঠাতে পারবে। আগে আমার কথা শোনো। আমার হবু শ্বশুরবাড়িতে যেতে হবে তোমাদের। তুমি একটু আব্বুর সাথে কথা বলে নিও তো ‘

ছেলের কথা শুনে অবাক চোখে তাকালেন আবরারের মা…

‘ হবু শ্বশুর বাড়ি?’

‘ হুমম! বিয়ের পাকা কথা বলার জন্যে, আমি আজ ওনাদের সঙ্গে দেখা করে এসেছি ‘

‘ কি বলছিস! এতকিছু করে ফেললি তুই আমাকে না জানিয়েই? সবকিছুর একটা প্রস্তুতি আছে তো নাকি? আর মেয়েটা কে, কেমন আমরা কিছুই জানিনা’

‘ ওর সঙ্গে আমি তোমাদের দেখা করিয়ে দেবো, তুমি একটু আব্বুর সঙ্গে কথা বলো। প্লিজ, আম্মু ‘

‘ আচ্ছা বাবা, বলবো তোর আব্বুকে। এতদিন তো বিয়ের কথা বললেই পালিয়ে যেতি এখন নিজেই যখন এতো আগ্রহ দেখাচ্ছিস, আমাদের কোনো আপত্তি নেই ‘

রাতের খাবারের পর জারার বান্ধবী বাড়ি গেলো কিছুক্ষণ আগে, ও যাওয়ার পর রান্নাঘরের সবকিছু জারাই গুছিয়েছে। এরপর রুমে এসে ফ্রেশ হয়েই টানটান হয়ে শুয়ে পড়লো বিছানায়। আজ সারাদিন বাড়িতে খাটাখাটনি করে বেশ ক্লান্ত হয়ে গেছে মেয়েটা। কিছুক্ষন শুয়ে থাকার পর হাতটা তুললো জারা, অনামিকা আঙুলে আবরারের পড়ানো আংটিটা ড্রিম লাইটের আলোতে মৃদু আলোতেও জ্বলজ্বল করছে। আবরার নিজে ডিজাইন করেছে আংটিটা? জুয়েলারী ডিজাইনার হিসেবে একটা আংটি ডিজাইন করা তেমন বড়সড় বিষয় নাই হতে পারে তবে এই ব্যাপারটা জারার মন ছুঁয়ে গেছে!
_____________________________

জারার কাছে একটা বড় অর্ডার এসেছে, ক্লায়েন্ট ওর রেগুলার কাস্টমার তাই তার বিষয়ে বিশেষ যত্নশীল জারা! কাগজে প্রয়োজনীয় সবকিছু লিখে সেক্রেটারির হাতে দিয়ে বললো…

‘ মিসেস শিকদার আমাদের স্পেশাল ক্লায়েন্ট, ওনার অর্ডারের সব জিনিস যেনো ভালো হয়। ফেব্রিকস গুলো অর্ডার করার সময় ভালোভাবে দেখে নেবেন, দাম ম্যাটার করে না’

‘ আপনি চিন্তা করবেন না, আমি দেখেশুনেই অর্ডার করবো ‘

কথার ফাঁকে হঠাৎ সেক্রেটারি নিশার চোখ পড়লো জারার আঙ্গুলের দিকে…

‘ ম্যাডাম, আপনার আঙ্গুল কি এটা এনগেজমেন্ট রিং? অভিনন্দন ম্যাডাম ‘

‘ থ্যাংক ইউ ‘

‘ বিয়েতে কিন্তু দাওয়াত দিতে ভুলবেন না ‘

সেক্রেটারির কথার উত্তরস্বরূপ স্মিত হাসলো জারা, যে শুনছে সেই এই বিয়ের জন্যে উত্তেজিত শুধু জারাই খুশি হতে পারছে না। অবশ্য আর পাঁচটা মেয়ের মতো বিয়েটা তো আর জারা মন থেকে করছে না! ওদিকে, আবরারের আজ দুপুরে একটা মিটিং আছে। লাঞ্চ শেষে মিটিংয়ের জন্যেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলো, সেক্রেটারি ইমরান সব গুছিয়ে দিয়ে বলে…

‘ স্যার, যদি কিছু মনে না করেন একটা কথা বলবো?’

‘ বলুন ‘

‘ আপনার মনে হচ্ছে না এই বিয়েটা করা রি’স্ক হয়ে যাচ্ছে? মানে, আপনারও ইমেজের একটা ব্যাপার আছে। ছয়মাস পর আপনার ওয়াইফ চলে গেলে লোকে কি বলবে? এখন তো ডিভোর্স হলেই দোষ ছেলেদের ঘাড়ে এসে পড়ে ‘

‘ রি’স্ক তো হচ্ছেই, তবুও আমি রি’স্ক নেবো। ভবিষ্যতে কি হবে তা ভেবে আমি বর্তমান নষ্ট করতে চাইনা। জারা ভীষণ জেদি, আমি বিয়ে না করলে ও যেকোনো একটা ছেলেকে বিয়ে করে নেবে। সেটা আমি হতে দেবো না ‘

আবরার যেকোনো মূল্যেই জারাকে পেতে চায় তা ওর কথায় স্পষ্ট, তাই বসের কথার পৃষ্ঠে আর কিছু বলার সাহস পেলো না সেক্রেটারি ইমরান। এক সপ্তাহ পর…আজ জারাকে আবরার ওর বাসায় নিয়ে যাচ্ছে, ড্রাইভ করতে করতে এক নজর জারাকে দেখেই আবরার প্রশ্ন করলো…

‘ আর ইউ নার্ভাস?’

‘ নার্ভাস হওয়ার কি আছে?’

‘ আপনাকে দেখে নার্ভাস মনে হচ্ছে। আমার আব্বু আম্মু আপনাকে তেমন প্রশ্ন করবে না, তাই এতো চিন্তা করবেন না ‘

‘ আপনি কিভাবে জানলেন কিছু জিজ্ঞাসা করবে না? আপনি তাদের বলে রেখেছেন নাকি আমাকে কিছু না জিজ্ঞাসা করতে?’

‘ তেমন কিছুনা, তবে আমার মা বাবাকে আমি চিনি। তারা আপনাকে ভয় দেখানোর মতো কিছুই করবে না, সো রিল্যাক্স ‘

‘ আপনি আমাকে আরো নার্ভাস করে দিচ্ছেন, চুপচাপ ড্রাইভ করুন ‘

‘ ওকে! তবে একটা কথা, আব্বু আম্মুর সামনে আবার আমাকে আপনি করে বলবেন না যেনো। সবাই জানে আমরা প্রেম করছি, প্রেমিক প্রেমিকা একে অপরকে আপনি বলে সম্বোধন করেনা ‘

‘ ঠিক আছে!’

জারার আঙ্গুলে আংটিটা দেখে আবরার মনে মনে বেশ খুশি হলো…

‘ রিং এখনও পড়েই আছেন দেখছি, আমি ভেবেছিলাম খুলে রাখবেন ‘

‘ ওহ, এটা..মনে ছিলো না। পরে খুলে রাখবো ‘

‘ খুলে রাখার জন্যে তো এতো কষ্ট করে এটা ডিজাইন করিনি মিস. জারা। এটা পড়ে থাকবেন সবসময়। আপনার তো আবার আমার কথা মনে পড়ে বলে মনে হয় না, মাঝে মাঝে এটার দিকে যখন নজর যাবে তখনই আপনার আমার কথা মনে পড়বে ‘

আবরারের দিকে একনজর তাকালো জারা, লোকটাকে যতো দেখছে ততোই অবাক হচ্ছে। মাঝে মাঝে জারার মনে হয় আবরারের মতো একটা পুরুষ ওর জীবনে কিভাবে চলে এলো? আবরারই কি ওর ভাগ্যে লিখা ছিলো? এসব ভাবতে ভাবতেই আবরারের বাসায় এসে পৌঁছালো। বসার ঘরে, সবাই বসেছে। আবরারের বাবা কিছুক্ষণ জারাকে পরখ করে দেখে নিলেন। ওর বাবার চাহনি দেখে জারা এবার সত্যিই নার্ভাস ফিল করছে, তা দেখে আবরার ওর বাবাকে বললো…

‘ আব্বু? তুমি ওকে এভাবে ভয় দেখাচ্ছো কেনো?’

ছেলের কথায় পাত্তা না দিয়ে নওয়াজ সাহেব প্রশ্ন করলেন…

‘ তোমার সঙ্গে আমার ছেলের সম্পর্ক কতদিনের?’

‘ কয়েক মাস হবে, আঙ্কেল ‘

‘ কয়েক মাস? কিন্তু আবরারের মাঝে তো ইদানিং পরিবর্তন দেখছি। যাই হোক, শুনলাম তোমার বাবার নাকি আমার ছেলেকে পছন্দ হয়েছে। উনি আমাদের সম্পর্কে তো সব নিশ্চয়ই শুনেছেন। সব শোনার পর ওনার কি অভিমত?’

এবার আবরারের বাবার সঙ্গে জারার কিছু প্রশ্ন উত্তর পর্ব চললো, আবরারকে যেমন জারার বাবা পরখ করেছে ঠিক একই কাজ আবরারের বাবাও করেছে। শুধু পার্থক্য এটাই যে নওয়াজ সাহেবের কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে জারা নার্ভাস হয়ে যাচ্ছিলো!

চলবে…

[ভুলত্রুটি ক্ষমা সুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন…!!]