সাঝের প্রণয়ডোর পর্ব-০৭

0
1

#সাঝের_প্রণয়ডোর
#সাদিয়া_সুলতানা_মনি
#পর্ব_০৭

আশিয়ান তার ভাবনার জগত থেকে বের হয়ে ফোন লাগায় তার একমাত্র বেস্টফ্রেন্ডকে। ফোনটা রিসিভ হলে আশিয়ান হড়বড়িয়ে বলতে শুরু করে–

—দোস্ত এই হায়া তো সেই আগের হায়া নাই রে। এ তো পুরাই এটম বম। এরে আমি সামলাবো কি করে সারাজীবন? জানিস একটু হাত ধরে কাছে গিয়েছিলাম তাতেই রেগে আমার পায়ে এমন পাড়া দিয়েছে খুঁড়িয়ে হাঁটতে হচ্ছে আমায় এখন।

ফোনের অপর পাশের ব্যক্তিটি আশিয়ানের এমন অসহায়ের মতো বলা কথাগুলো শুনে উচ্চস্বরে হেঁসে দেয়। বন্ধুর এমন
ব্যঙ্গাত্নক হাসি শুনে আশিয়ানের মেজাজ আর মন দু’টোই খারাপ হয়ে যায়। আশিয়ান দাঁত কিড়মিড়িয়ে বলে–

—আমি এখানে আমার কষ্টের কথা বলছি আর তুই হাসছিস? এই তুই আমার বেস্টফ্রেন্ড?

ব্যক্তিটি আশিয়ানের সব কথা শুনে ঠিকই কিন্তু নিজের হাসির জন্য কোন উত্তর দিতে পারে না। আশিয়ান এবার রেগে বলে–

—আমি ফোন রাখছি। তোর সাথে আর কোন কথা নেই আর তুইও আমাকে ফোন দিবি না।

কথাটা বলে আশিয়ান ফোন কাটতে যাবে তখনই ব্যক্তিটি বলে–

—শুন আশিয়ান কাটিস না ফোন। আচ্ছা আমি আর হাসবো না।

কথাটা বলতে বলতে আবারও হেসে দেয় ব্যক্তিটি। আশিয়ান তো এবার রেগে আগুন। সে চিৎকার করে বলে–

—আফিফফফফ। থামবি তুই?

আফিফ বুঝতে পারে তার বন্ধু ভীষণ ক্ষেপে গিয়েছে এখন না থামলে হয়ত পরে তার কপালে কঠিন মার আছে। আফিফ বহু কষ্টে নিজের বাকি হাসি টুকু গিলে নেয়। তারপর স্বভাবসুলভ গম্ভীর হয়ে বলে–

—তো তুই কি মনে করেছিলি ও’ আগের মতো তোর আগে পিছে ঘুরবে প্রেম করার জন্য?

আফিফের গম্ভীর গলায় করা প্রশ্নটা আশিয়ানকে অনুতাপের সাগরে পতিত করে। আশিয়ান বেলকনিতে রাখা কাউচে বসে পড়ে, তারপর বলে–

—আগের মতো না হোক কিন্তু নতুন করে আমরা সবটা শুরু করতে পারি তো?

—এতই সহজ? পাঁচ বছর আগে তোর করা কাজটা ভুলে গিয়ে গতকাল অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে তোর সাথে হওয়া বিয়ে টাকে মেনে নেওয়া এতই সহজ মনে করছিস? আচ্ছা তুইই বল,, তুই যদি হায়া’র জায়গায় থাকতি তাহলে পারতি এত সহজে ভুলে যেতে?

আফিফের এই প্রশ্নের কোন উত্তর দিতে পারে না আশিয়ান। আশিয়ান ভাবে, আফিফ ভুল তো কিছু বলেনি। হায়া’র জায়গায় থাকলে সে কখনোই এত সহজে সব ভুলে যেতে পারতো না।

এদিকে আশিয়ানের নিস্তব্ধতাই আফিফের উত্তর দিয়ে দেয়। আফিফ আবারও বলা শুরু করে–

—তুই বড্ড অধৈর্য হয়ে পরিস আশিয়ান। অতীতে অধৈর্য হয়ে কোন কিছু না ভেবেই একটা বাজে কাজ করে ফেলেছিলি। এবং এটার মাশুল তোর পুরো ফ্যামিলি সহ হায়া’কেও দিতে হয়েছে। যেখানে তারা সম্পূর্ণ নির্দোষ ছিলো। আর এবারও একই কাজ করছিস। শুন, হায়া’র সাথে ফারাবির বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো, কিন্তু হয়েছে তোর সাথে। হায়া আর ফারাবির বিয়েটা অনেক আগে থেকেই ঠিক করা ছিলো। আমার যতটুকু মনে হচ্ছে হায়া মনে মনে ফারাবিকে ভালোবাসতে শুরু করেছিলো।

আফিফের এই কথাটা শুনে আশিয়ানের বুকে একটা চাপ পরে। সত্যিই কি হায়া ফারাবিকে ভালোবাসতে শুরু করেছিলো? তাই হবে। নাহলে যে যতবার হায়া আর ফারাবিকে একসাথে দেখে ততবারই হায়া একদম শান্ত ও মিষ্টিভাষী থাকত। কিন্তু আশিয়ানের ক্ষেত্রে তার বিপরীত। কথাগুলো ভাবতে ভাবতে আশিয়ান অনুভব করে এক অজানা ভয় তাঁকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরছে।

সে আফিফের কথায় মন দেয়া আফিফ বলে–

—যদি ভালোবেসেও থাকে তাহলে এখন আর কিছু করার নেই। হায়া’কে ভুলতে হবে ফারাবিকে। এর জন্য তাঁকে কিছুটা সময় দেওয়া অত্যাবশ্যক। আর তোর উচিত হবে ধৈর্য ধরে হায়া’কে এই সময়টুকু দেওয়া। সর্বোপরি তোদের সম্পর্কটা দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য সময় লাগবে। তুই তোর কাজগুলো দিয়ে হায়া’কে বুঝানোর চেষ্টা করবি তুই অতীতের কাজগুলোর জন্য অনুতপ্ত। বর্তমানে তুই তোর স্ত্রীকে প্রচন্ড ভালোবাসিস এবং তার সাথেই সারাজীবন থাকতে চাস। ছোট ছোট যত্ন নে। জানিস তো নারীদের নিজের বশ করার মাধ্যমগুলো হলে তার যত্ন নেওয়া এবং ভালোবাসা। বুঝতে পেরেছিস?

—হুম।

আশিয়ান মনোযোগ দিয়ে আফিফের পুরোটা লেকচার শুনে। আফিফের আরো কিছু কথা বলে ফোন কেটে দেয়।আফিফ ফোন কেটে দেওয়ার পরও আশিয়ান সেখানেই বসে থাকে।আফিফের কথাগুলো আশিয়ানকে অনেক কিছু ভাবতে বাধ্য করে। আসলেই সে সবকিছুতে বড্ড তাড়াহুড়ো করে। সে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে এবার আর কোন কিছুতে তাড়াহুড়ো। সম্পর্কটাকে স্থায়ী করার জন্য যথেষ্ট সময় দেওয়া প্রয়োজন এবং সে দিবে সময়।

তার এসব ভাবনার মাঝেই সে রুম থেকে আওয়াজ পায়। আশিয়ান তড়িঘড়ি করে রুমে এসে দেখে হায়া ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে এসেছে আর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল আঁচড়াচ্ছে। আশিয়ান আস্তে ধীরে হায়া’র কাছে এগিয়ে যায়। হায়া আয়নার মাধ্যমে পেছনে দাঁড়ানো আশিয়ানকে দেখে কিন্তু কোন রিয়েক্ট করে না। নিজের মতো চুলের জট খুলতে থাকে। শরীর খারাপ থাকায় মাথাটাও আঁচড়াতে ইচ্ছে করছে না হায়া’র কিন্তু মাথা না আঁচড়ালে তার ভালোও লাগে না।

হঠাৎ হায়া অনুভব করে আশিয়ান তার হাতে থাকা চিরুনিতে হাত দিয়েছে। সে আয়না তাকালে দেখতে পায় আশিয়ান তার হাত থেকে চিরুনিটা নিজের হাতে নেওয়ার জন্য হাত বাড়িয়েছে। হায়া আশিয়ানের দিকে ফিরে বলে–

—সমস্যা কি? দেখছেন না আমি আঁচড়াচ্ছি। আপনি অন্যটা নেন নিজের চুল আচড়ানোর জন্য।

আশিয়ান হায়া’র কথার কোন জবাব দেয় না। উল্টো সে হায়া’র হাত থেকে চিরুনি টা জোড় করে নিজের হাতে তুলে নেয়। তারপর হায়া’কে ড্রেসিংটেবিলের সামনে রাখা টুলে বসিয়ে নিজেই হায়া’র মাথা আচড়িয়ে দিতে থাকে। হায়া তাকে মানা করলেও আশিয়ান শুনে না। যেহেতু হায়া’র শরীর খারাপ লাগছিলো তাই হায়া বেশি একটা রিয়েক্ট করে না। আশিয়ান সময় নিয়ে হায়া’র কোকড়ানো চুল গুলোর জট ছাড়িয়ে চুল বেঁধে দেয়।

চুল আঁচড়ানো শেষ হলে আয়নায় তাকিয়ে হায়া’র চোখে চোখ রেখে বলে–

—আমি পাঁচ মিনিটে ফ্রেশ হয়ে আসছি। তুমি বসো। আমি আসলে পরে তারপর দু’জন একসাথে যাবো।

হায়া তার কথা শুনে তো ঠিকই কিন্তু করে তার উল্টোটা। আশিয়ান ওয়াশরুমে চলে যেতেই হায়া একা একাই রুম থেকে বের হয়ে আসে। তারপর সিড়ি দিয়ে নিচে নেমে আসে। নিচে এসে সে একদম অবাক হয়ে যায়। কারণ তার বাবা-মা আর ভাইয়েরা এসেছে।

হায়া’র ইচ্ছে করে দৌড়ে গিয়ে বাবার বুকে ঝাঁপিয়ে পরতে, কিন্তু প্রচন্ড অভিমানের কারণে তা করতে পারে না। সিঁড়ির কাছে দাঁড়িয়ে থাকে। জাভিয়ান আবরারের সাথে কথা বলতে বলতে নজর যায় সিঁড়ির কাছে দাঁড়িয়ে থাকা তার আরেকটা জানকে। সে কথা বলা থামিয়ে তাকিয়ে থাকে হায়া’র দিকে।

হুট করে কথা বলা থামিয়ে দেওয়ায় সকলে জাভিয়ানের দিকে তাকালে দেখতে পায় সে এক ধ্যাণে তাকিয়ে আছে।জাভিয়ানের চাহনি লক্ষ্য করে বাকিরাও সেদিকে তাকালে হায়া’র দেখা পায়। জায়িন হায়া’কে দেখা মাত্র দৌড়ে এসে বোনকে নিজের সাথে আগলে নেয়। হায়াও ভাইকে জড়িয়ে ধরে। এখন আবার কান্না পাচ্ছে তার। ছিচকাদুনী লাগছে নিজেকে তাঁর।

ভাইয়ের বুকে মাথা রেখে হায়া যখন নাক টানতে ব্যস্ত তখনই সে তার মাথায় কারো কোমল হাতের স্পর্শ অনুভব করে। মাথা উঠিয়ে তাকালে হায়া পরপর তার বাবা-মা আর বড় দা’ভাইকে নিজের সামনে উপস্থিত পায়।

জাভিয়ান ধড়া গলায় বলে–

—আমার প্রিন্সেস কি এখনো অভিমান করে আছে তার পাপার সাথে? পাপার বুকে আসবে না সে?

বাবা পাগলী হায়া বুঝি আর নিজেকে আঁটকে রাখতে পারে। ভাইয়ের বুক থেকে সরে এসে বাবার বুকে ঝাঁপিয়ে পরে। সেই সাথে এতক্ষণ ধরে আটকে রাখা কান্নাটাও বের হয়ে আসে। বাবার বুকে মাথা রেখে অল্প শব্দ করে কাঁদতে থাকে হায়া।

জাভিয়ান হায়া’র চুলের উপর হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলে–

—কাঁদে না মা। পাপা আর আম্মু যা করেছি তা তোমার ভালোর জন্যই করেছি। আজ হয়ত তোমার কাছে কাজটাকে খারাপ মনে হতে পারে। কিন্তু যেদিন তুমি মা হবে সেদিন বুঝবে বাবা-মা কখনো সন্তানের খারাপ চায় না।

কথাগুলো বলতে বলতে তার চোখের কোণ বেয়েও অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। উপস্থিত সকলে জানে জাভিয়ান আর হায়া একে অপরের জন্য কতটা পাগল। তাই তারা বাবা-মেয়ের এমন কাঁদায় একটু আবেগী হয়ে পরে।

জাভিয়ান বুক থেকে মেয়ের মাথা তুলে হায়া’র কপালের মাঝখানে স্নেহের পরশ দেয় তখনই সে বুঝতে পারে মেয়ের শরীর স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশিই উষ্ণ। জাভিয়ান হায়া’র গালে-কপালে হাত দিয়ে চেক করলে বুঝতে পারে হালকা পাতলা জ্বর এসেছে হায়া’র। মুহূর্তেই জাভিয়ান অস্থির হয়ে পরে। মেয়ের গালে হাত রেখে বলে–

—মা তোমার তো দেখি জ্বর শরীরে। জ্বর আসলো কখন?

জাভিয়ানের কথা শুনে সকলেই অবাক হয়ে যায়। জাভিয়ান হায়া’কে এনে সোফায় তার পাশে বসিয়ে দেয়। হানিয়াও মেয়ের পাশে বসে তাঁকে বুকে আগলে নেয়। সকলে একের পর এক প্রশ্ন করে হায়া’র মাথা খারাপ করে ফেলছে।

স্পর্শ হায়া’র মাথায়,, শরীরে হাত বুলিয়ে বলে–

—আমি তখন তোদের ডেকে আসলাম তখনও তো আশিয়ান আমায় কিছু বললো না। হ্যা রে মা তোর কি বেশি খারাপ লাগছে? এই জাহান (জাহানকে উদ্দেশ্য করে বলে) আব্বা হায়া’কে একটু চেক করে দেখ না জ্বর কি বেশি নাকি? হসপিটালাইজড করা লাগবে নাকি?

জাহান ফুফুর নির্দেশ মতো বসা থেকে উঠে এসে বোনের সামনে মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসে। তারপর চোখ ও পালস রেট চেক করতে থাকে।

এদিকে স্পর্শের কথা শুনে আবরার রাগে গজগজ করতে করতে বলে–

—দায়িত্বহীন ছেলে একটা। নিশ্চয়ই ও জানেও না হায়া’র জ্বর এসেছে যে তাই তোমায় কিছু বলেনি।

আবরারের কথা শুনে হানিয়া বলে–

—ভাই হায়া’কে কিছুদিনের জন্য আমরা নিয়ে যাচ্ছি আজ।

সকলের এত এত কথা শুনে হায়া বিরক্ত হয়ে জোরে বলে উঠে–

—থামবে তোমরা? আমায় বলতে তো দাও।

সকলে শান্ত হয়ে যায় হায়া’র কথায়। হায়া মায়ের বুকের থেকে মাথা উঠিয়ে বলে–

—কাল এত ভারী শাড়ি আর ব্রাইডাল সাজে অস্বস্তি হচ্ছিলো বলে রাত দু’টোর দিকে শাওয়ার নিয়েছিলাম। আশিয়ান ভাই মানা করেছিলো কিন্তু আমি জোর করেই শাওয়ারটা নেই। ঘুমানোর আগ পর্যন্ত তেমন খারাপ লাগেনি। ঘুমানোর পরেই হয়ত জ্বরটা এসেছে। আর আম্মু (হানিয়ার দিকে ফিরে বলে) তুমি তো জানােই আমার জ্বর আসলে অবস্থা কতটা খারাপ হয়ে যায়। বিছানা থেকে উঠা আমার জন্য কষ্টের হয়ে পরে,, সেখানে আজ আমি তোমাদের মাঝে বসে আছি। তাহলে বুঝো কতটা ভালো ট্রিটমেন্ট পেয়েছি আমি। সবটাই কিন্তু আশিয়ান ভাই করেছে। তাই বাবাই (আবরারের দিকে তাকিয়ে বলে) না জেনে শুধু শুধু আশিয়ান ভাইকে দোষারোপ করো না।

দীর্ঘ একটা বক্তব্য শেষ করে থামে হায়া। হাঁপিয়ে উঠেছে সে। এদিকে সকলে হা করে তার কথা শুনে। হায়া’র কথা শেষ হলে হানিয়া অবাক চোখে জাভিয়ানের দিকে তাকায়। দেখতে পায় জাভিয়ানও তার দিকেই তাকিয়ে আছে,,ঠোঁটের কোণে এক চিলতে স্বস্তিদায়ক হাসি ঝুলছে। জাভিয়ানের চোখ যেনো হানিয়াকে বলছে–

—দেখো বলেছিলাম না আশিয়ানই সঠিক পাত্র আমাদের রাজকন্যার জন্য।

হানিয়ার মাতৃহৃদয় চিন্তামুক্ত হয়। তারও ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে। তাদের থেকে অদূরে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তির ওষ্ঠেও তৃপ্তির ছোঁয়া দেখা দেয়। বিড়বিড়িয়ে বলে–

—আমার আদুরে পুতুলবউ! তোকে এমন পাগলকরা ভালোবাসায় ভাসাবো যে তুই উন্মাদ হয়ে শুধুই আমায় চাইবি! আমার স্পর্শ, আমার উপস্থিতি ছাড়া এক মুহূর্তও থাকতে পারবি না—দিশাহারা হয়ে হারিয়ে যাবি আমার মাঝে।
এই আশিয়ান মির্জার উন্মাদনায় ভরপুর ভালোবাসা নিতে প্রস্তত তো তুমি পুতুলবউ?

দোতলার করিডর থেকে নিচে ড্রয়িংরুমের পুরো ঘটনা প্রত্যক্ষ করে আশিয়ান। হায়া’র কাজটা তাঁকে আর একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় নিজের ভুলটাকে।

শব্দসংখ্যা~১৫৭৭
~চলবে?

[ভুলক্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। হ্যাপি রিডিং মাই লাভিং রিডার্স 🤍]