সুগন্ধি ফুল পর্ব-১৭

0
1820

#সুগন্ধি_ফুল
#পর্ব_১৭ [বার্থডে স্পেশাল -১]
#জান্নাত_সুলতানা

[রোমান্টিক পর্ব, পড়তে না চাইলে স্কিপ করতে পারেন।]

-“আবরাজ তোমাকে ভালোবাসে না।”

ফিজা তৃণার কথায় হাসে। চমৎকার সেই হাসি। দারুণ লাগে তো মেয়ে টাকে হাসলে। আবরাজ এর সামনে ও নিশ্চয়ই মেয়ে টা এভাবে চমৎকার করে হাসে। আবরাজ কি তখন মুগ্ধ হয়? অবশ্যই হবে। এমন আগুন সুন্দরী বউ হয়েছে পর থেকে তো আবরাজ আর পরনারীর কাছে যায় না। তৃণার হিংসে হয়। ফিজা ফুল নেয়। কথা বলে না। সাদা সাদা কয়েকশো হবে একটা সাদা পলিথিনে নিয়েছে। সেটা একজন গার্ড এর হাতে রয়েছে। তৃণার কথায় জবাব দিলো,

-“জানি।”

-“ছেড়ে দাও ওকে।”

ফিজা গাড়ির দিকে হাঁটা ধরে। তৃণা পেছন পেছন হাঁটতে হাঁটতে বললো। ফিজা একবার তাকায় না মেয়ে টার দিকে। বরং হাঁটতে হাঁটতে শক্ত কণ্ঠে জানালো,

-“কখনো না।”

-“ফুল কেনো নিচ্ছো?”

ফিজা এবার দাঁড়ালো। গাড়ির কাছাকাছি চলে এসছে তারা। ফিজা ফুল গুলোর দিকে তাকিয়ে আবার তৃণার দিকে তাকালো। মুচকি হেঁসে বললো,

-“একটা স্পেশাল নাইট অ্যারেঞ্জ করে সারপ্রাইজ দিতে চাচ্ছি আমার হাসবেন্ড কে।”

-“হাসালে। আবরাজ খান কখনো তোমায় ছুঁয়ে দেখবে না।”

ফিজার দম ফাটা হাসি ফেলে। রাস্তা না হলে ঠিকই হেঁসে নিতো। তৃণা কি জানে আবরাজ খান ফিজা কে ঠিক কতোটা চায়? ধারণা আছে? মেয়ে টা সত্যি পাগল। ফিজা ঠোঁটের কোণায় হাসি ঝুলিয়ে বলে উঠলো,

-“আচ্ছা। তোমার নাম্বার টা দিয়ে যাবা?”

-“হোয়াই?”

তৃণার গা জ্বলছে রাগে। ফিজার হাসি মেয়ে টার কাঁটার মতো শরীর বিঁধছে। দাঁতে দাঁত চেপে প্রশ্ন করলো। ফিজা কনফিডেন্সে এর সাথে জানালো,

-“রাতে প্রমাণ পেয়ে যাবা ছুঁয়ে দেখছে কি-না।”

-“চ্যালেঞ্জ করছো?”

-“ধরে নাও।”

গাড়ির দরজা খুলে দাঁড়িয়ে আছে। পাশে একজন গার্ড। ফিজা ফিসফিস স্বরে বললো। তৃণা কিছু ভেবে বলে উঠলো,

-“ওকে ডান।”

ফিজা গাড়িতে বসে বাঁকা হাসে। তৃণার সামনে দিয়ে শাঁই শাঁই করে গাড়িটা চলে গেলো। এটা আবরাজ এর নতুন কার। যখন কিনেছিল তখন তৃণা জানতে চেয়েছিলে কার জন্য এটা তখন আবরাজ তাকে জানিয়েছিলো স্পেশাল কারোর জন্য।
স্পেশাল পারসন টা যে ফিজা তৃণা কল্পনা করে নি। জানলে তখনই আগুন লাগিয়ে দিতো গাড়িতে। আগুন শব্দ টা মাথায় আসতে তৃণার চোখ দু’টো উজ্জ্বল হলো। সাথে সাথে নিজের বাবা-র কাছে কল লাগালো।

———

-“কোথায় গিয়েছিলে তুমি?”

ফিজা বাড়িতে প্রবেশ করার সাথে সাথে ভেসে আসে গম্ভীর কণ্ঠে প্রশ্ন। আবরাজ বসে আছে লিভিং রুমে। গায়ে এখনো রাতের পোশাক। ফিজা এক গ্লাস পানি চাইলো একজন সার্ভেন্ট এর কাছে। তারপর আবরাজ এর পাশে গিয়ে বসলো। সব সময় এর তুলনায় আজ একটু গা ঘেঁষে বসলো। মিহি স্বরে জানালো,

-“একটু তো বাহিরে।”

সার্ভেন্ট পানি দিতে এসছে। আবরাজ হাত দিয়ে ইশারা করতে মহিলা চলে গেলো। আবরাজ বউয়ের পানি খাওয়া শেষ নিজে হাত থেকে পানির গ্লাস নামিয়ে সেন্টার টেবিলের উপর রাখলো। আলতো করে কাঁধ জড়িয়ে ধরে মোলায়েম স্বরে বলে উঠলো,

-“না বলে যাবা না। ভয় হয় আমার।”

ফিজা ভ্রু জোড়া কুঁচকে নিলো। এতো ভালো হলে কবে থেকে এই পুরুষ? কত সুন্দর নরম হয়ে কথা বলছে। যেন ভাজা মাছ টা উলটে খেতে জানে না। ফিজা স্পষ্ট ক্ষীণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো,

-“আপনি ভয় পান?”

-“তোমাকে নিয়ে হয়।”

আবরাজ বাচ্চাদের মতো বউ কে ঝাপটে জড়িয়ে ধরে মিনমিন করে বললো। ফিজা ফোঁস করে দম ছাড়ে। বললো,

-“যান ফ্রেশ হয়ে আসুন। নাশতা আমি বানাচ্ছি।”

-“যাবা না।”

-“পাগলামি করেন আবার।”

-“এটাই। যাবা না তুমি। রুমে এসো।”

আবরাজ স্থির কণ্ঠে বলে। ফিজা নাক মুখ কুঁচকে বলে উঠলো,

-“কি করবো আমি গিয়ে?”

-“আমাকে দেখবে।”

-“আপনার মতো অসভ্য নই আমি।”

বলতে বলতে ফিজা আবরাজ কে নিজের থেকে ছাড়িয়ে নেয়। আবরাজ নিজেও বউ কে ছেড়ে দিয়ে বউয়ের পেছন পেছন এলো।

-“যান ফ্রেশ হতে।”

আবরাজ ঘাড় নেড়ে ওয়াশ রুমে চলে গেলো। ফিজা আবরাজ এর কাপড় নামিয়ে বিছানায় রাখে। এরপর বিছানা গুছিয়ে রাখলো। আবরাজ ততক্ষণে বেরিয়ে এসছে। ফিজা বললো,

-“আপনি রেডি হয়ে নিন।”

-“বসো তুমি।”

আবরাজ টাওয়াল দিয়ে নিজের মুখ মুছতে মুছতে বলে। ফিজা বসলো বিছানায় পা তুলে। আবরাজ ফিজার সামনে রেডি হলো। ফিজা এদিক-ওদিক তাকিয়ে নিজের লজ্জা আড়াল করে। অথচ সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পুরুষ টার বিন্দু পরিমাণ লাজলজ্জা নেই।
আবরাজ নিজের চুল গুলো হাত দিয়ে এলোমেলো করে এসে ফিজার সামনে দাঁড়ালো। ঝুঁকে ফিজার হাত দু’টো মাথার ওপর রেখে বললো,

-“চুল ঠিক করে দাও।”

সিল্কি চুল। ঝরঝরে। এগুলো ছুলে ফিজার অদ্ভুত ফিলিংস কাজ করে। একটু টেনে দিতে ইচ্ছে করে। হাত বুলিয়ে দিতে মন চায়। ফিজা কখনো এসব ভেবে চুল টেনেও দিয়েছে বুঝতে পারে নি মেয়ে টা। গলায় চিনচিন ব্যাথার অস্তিত্ব টের পেয়ে চোখ বন্ধ করে দাঁত খিঁচে রইলো। বললো,

-“আবরাজ।”

-“সকালে না বলে বাহিরে যাওয়ার পানিশমেন্ট।”

আবরাজ ছেড়ে দিয়ে সেখানে আঙুল ছুঁয়ে দিতে দিতে বলে। ফিজা ব্যথায় চোখ মুখ অন্ধকার করে রেখেছে। আবরাজ এর সেদিকে খেয়াল নেই। সে লাল হওয়া ফিজার সেই গলায় তাকিয়ে আছে ঘোর লাগা দৃষ্টিতে। ফিজা ধাক্কা দিতে আবরাজ কয়েক কদম পিছিয়ে গেলো। ফিজা গলায় হাত দিয়ে চেপে ধরে দাঁতের জখম হওয়া জায়গা টা। কাটে নি। তবে দাঁতের সংঘর্ষে জ্বলছে এখন।
ফিজা বিরক্তি হয়ে বলে উঠলো,

-“খুব বাজে আপনি আবরাজ। এটা নিয়ে কিভাবে এখন আমি বাহিরে যাব।”

-“যাবে না। আমার সামনে থাকবে।”

আবরাজ এর কল আসে। ফিজার দিকে তাকিয়ে আবরাজ কল টা কেটে দিলো।
এরপর খুব তাড়া দেখিয়ে আবরাজ বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলো। ফিজা তেমন পাত্তা দিলো না। যেহেতু ওর মাথায় অন্য প্ল্যান ঘুরছে সেক্ষেত্রে আবরাজ বাহিরে থাকলে সব গুছিয়ে নিতে সুবিধা হবে।

——-

সাব্বির আবরাজ এর পেছন পেছন দৌড়াচ্ছে। আবরাজ হাঁটছে। একটা সুন্দর প্লেসে কিছু কালো পোশাক পরিহিত মানুষ দাঁড়িয়ে আছে বন্দুক হাতে। একজন লোক সেখানে নিচে পড়ে কাতরাচ্ছে। অথচ কেউ একটু দয়ামায়া দেখাচ্ছে না। দেখাবে কি! তারাই তো একটু আগে লোক টা কে গণধোলাই দিয়েছে। রিজন কি? আবরাজ খান এর সুগন্ধি ফুল এর দিকে নজর দিয়েছে। সাব্বির জানে এখন তার স্যার এটা কেও মেরে ফেলবে। কেনো যে এরা জেনেশুনে বাগের সাথে লাগতে আসে ভেবে পায় না সাব্বির। আবরাজ এসেই ছেলে টার সামনে দাঁড়াল। তারই লোক ছেলে টা। বিশ্বাস ঘাতক। ছেলে টা আবরাজ কে দেখে কোনো রকম চোখ দু’টো বন্ধ করে আবার খুলে। আবরাজ একজন গার্ড কে ইশারা করে কিছু বললো। গার্ড দু’জন এসে ছেলে টাকে ধরাধরি করে নিয়ে গেলো। সাব্বির অবাক হলো। হসপিটাল পাঠিয়েছে আবরাজ খান ছেলে টাকে? অবিশ্বাস্য। আবরাজ নিজের রিভলবার টা কোমড়ে গুঁজে সাব্বির এর কাঁধে হাত রাখে। বললো,

-“ওর বউ আছে। সেইজন্য বেঁচে গেলো।”

সাব্বির কিছু বুঝে না। ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে আবরাজ এর দিকে।

-“স্যার ম্যাম তৃণা ম্যাম এর সাথে দেখা করেছে।”

-“তৃণা এসেছিলো।”

আবরাজ সিগারেট এর ধোঁয়া উড়িয়ে বলে। সাব্বির সাথে সাথে জবাব দেয়,

-“ইয়েস স্যার।”

কিছু সময় চুপচাপ থাকে আবরাজ। সে সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে ফোনে কিছু একটা দেখছে আবার হাসছে। হাসতে হাসতে এক সময় আবরাজ বলে উঠলো,

-“মেয়ে টা বড়ো নির্লজ্জ সাব্বির।”

-“স্যার একটা বিহিত করা জরুরি। ম্যাম কে আপনার বিরুদ্ধে বলে।”

-“বলতে দাও। আমার সুগন্ধি ফুল আমাকে বিশ্বাস করে। দেখো না, আমার সব ইনফরমেশন কালেক্ট করলেও ওকে ছেড়ে আসার রিজন টা ছেড়ে গিয়েছে। চাইলে এটাও বেড় করতে পারতো।”

আবরাজ উজ্জ্বল মুখে বললো। সাব্বির তৎক্ষনাৎ গম্ভীর স্বরে বলে উঠলো,

-“আপনার কি উচিৎ নয় স্যার ম্যাম কে সব বলে দেওয়া!”

-“বলবো।”

সাব্বির আবরাজ এর কথায় অসন্তুষ্ট হলো। আবরাজ গাড়িতে বসে। সাব্বির সামনের সিটে বসবে। সাব্বির গাড়ির দরজা খুলে বসতে বসতে বিড়বিড় করে,

-“বলার জন্য আবার সময় টা না না পান।”

——-

মোটামুটি আবরাজ নিজের অনৈতিক কাজকর্ম প্রায় ছেড়ে দিয়েছে। সাব্বির নিজে তার সাক্ষী। মাফিয়া মানে কি খারাপ কাজ শুধু? ভালো কাজ কি হয় না তাদের দিয়ে? হয়। আবরাজ খান কে দিয়ে হয়। কত মেয়ে যে বারক্লাব থেকে নিজের ডলার দিয়ে কিনে ছাড়িয়ে এনেছে সাব্বির এর কাছে সব হিসাব রয়েছে। তারপর যার যার দেশে আবার পাঠিয়েছে। ফাতিহা কেও তো আবরাজ কিনেছিলো।
ফাতিহার কথা মনে পড়তে সাব্বির দৌড়ে বাড়ি ভেতর গেলো। আবরাজ অনেক আগেই বাড়িত চলে এসছে।

আবরাজ নিজের কক্ষে প্রবেশ করে দেখলো বিছানায় অসংখ্য গোলাপের পাপড়ি। নিচে ফ্লোরে কালো সাদা বেলুন। সুন্দর করে ডেকোরেট করা রুম টা। চারদিকে ভ্রু জোড়া কুঁচকে আবরাজ তাকিয়ে দেখে। বউ কোথায় তার? নাই কেনো? এসব দিয়ে কি হবে? বউ লাগবে তার।

-“সুগন্ধি ফুল!”

সাড়াশব্দ নেই। আবরাজ এর ভ্রু কুঁচকে এলো। ব্যালকনির দরজা চাপানো। কক্ষে মৃদু আলো আসছে সেটা দিয়ে। আবরাজ হাতের ব্লেজার রাখে সোফায়। এটা সব সময় বাসায় আসার পরপরই সার্ভেন্ট নিয়ে নিতো। তবে এটা ফিজার পছন্দ নয়। অগত্যা আবরাজ খান কি বউয়ের অপছন্দ হয় এমন কাজ করতে পারে? উঁহু। তাই বউ থাকলে বউয়ের কাছে দেয় নয়তো নিজে রুমে নিয়ে আসে।

ব্যালকনিতে ছিলো ফিজা। ফিনফিনে একটা সাদা শাড়ী জড়িয়েছে শরীরে। আবরাজ কোনো দিকে না তাকিয়ে বউয়ের দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলো। ঠোঁটে খয়েরী লিপস্টিক। এলোমেলো একটা খোঁপা বাঁধা। অল্পস্বল্প প্রসাধনী ব্যবহার করেছে মুখে। চমৎকার লাগছে ফিজা কে। আবরাজ এর ঘোর লেগে যায়। দুই কদম এগিয়ে গিয়ে ফিজার হাত টেনে বুকের কাছে নিলো। বাঁ পাশে হাত টা ঠেকিয়ে ফিজার চোখের দিকে তাকিয়ে ঘোর লাগা স্বরে বলে উঠলো,

-“দেখো তোমার নাম করছে না এটা।”

ফিজা হাসে। লজ্জা একটু নেই মেয়ে টার। আবরাজ ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে বলে উঠলো,

-“একটা লজ্জা পাওয়া উচিৎ তোমার সুগন্ধি ফুল।”

-“আমি লজ্জা পেলে আপনি নিজে কে কন্ট্রোল করতে পারবেন তো?”

ফিজা ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো। আবরাজ ঘোর লাগা দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে বললো,

-“তোমার জন্যে আমি কন্ট্রোলেস। প্লিজ একটু লজ্জা পাও বউ।”

“বউ” এই নিয়ে দুইবার আবরাজ ফিজা কে বউ বলে সম্মোধন করলো। একবার দেশে থাকতে আর আজ। ফিজা আবরাজ এর কথা এভয়ড করে বললো,

-“হেপ্পি বার্থডে টু ইউ আবরাজ খান।”

আবরাজ এতো সময় বউয়ের দিকে তাকিয়ে। একবার ও আশেপাশে দৃষ্টি বুলায় নি। অগত্যা কিছু নজরে আসে নি। আবরাজ এর ভাবান্তর ঘটেনা। ফিজা তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখে। আবরাজ জোর করে হাসার চেষ্টা করে বললো,

-“তুমি এসব কখন করলে?”

-“আপনি জানেন না?”

ফিজা উলটো প্রশ্ন করে। আবরাজ মনে মনে নিজে কে গালি দিলো। একটু চকমকানোর অভিনয় করা জরুরি ছিলো। এখন ধরা না পরলে হয়। আবরাজ মুখ গম্ভীর করে মূহুর্তে। বলে উঠলো,

-“না, আমি কিভাবে জানবো বাসায় ছিলাম না-কি আমি!”

-“আচ্ছা। আপনার চোখ অন্য কথা বলে। বাই দ্য ওয়ে কেক কাটুন।”

আবরাজ কেক কাটে। বউ কে কেক খাইয়ে দিতে গিয়ে বাঁধলো বিপত্তি। কি জ্বালা। বউয়ের খয়েরী রঙের লিপস্টিক রাঙানো ঠোঁট তাকে টানছে। একটু ছুঁয়ে দেওয়ার তীব্র ইচ্ছে কিছুতেই কন্ট্রোল করতে পারছে না আবরাজ খান। সম্পূর্ণ কেক ফিজার মুখের ভেতর দিয়ে সাথে সাথে নিজের মুখ এগিয়ে নিয়ে বউয়ের ঠোঁট চেপে ধরলো। ফিজা চোখ বড়ো বড়ো করে আবরাজ এর চোখের দিকে তাকিয়ে রইলো। আবরাজ নিজের কাজে ব্যাস্ত। বউয়ের থেকে রেসপন্স না পেয়ে আবরাজ বিরক্ত হলো না। নিজে বউ কে আদুরে স্পর্শ দিতে লাগলো। ফিজা শেষমেশ আবরাজ এর কাছে হার মেনে নিজেও রেসপন্স করলো। একে-অপরের হাতে জখম ওষ্ঠপুটের সেই অনুভূতির যা কেউ টের পেয়েও যেন পাত্তা দিলো না।

#চলবে….

[বাকিটা কাল। ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।]