সে আমার অর্ধাঙ্গিনী পর্ব-০৫

0
38

গল্প : সে আমার অর্ধাঙ্গিনী
পর্ব: – ৫
লেখক রিহান অরণ্য

আমার মাথায় হাত দিয়ে যখন বুঝতে পারলো আমার অনেক জ্বর তখন একজন বললো এই ধরতো ওরে একটু
তখন ২ জনে ধরে আমার মাথায় পানি দিলো এক জন গেঞ্জি খুলে মাথার পানি মুছে দিলো, আরেক জন কারে জানি ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করতে লাগলো আর কয়দিন লাগবে, ছেলেটা অসুস্থ, এমন অবস্থায় যদি আমরা ওরে বন্ধ ঘরে রেখে দেই তাইলে সমস্যা হতে পারে, ওর মেডিসিন ব্যবস্থা করেন,
যা করার দূত করেন,, ওরা আমার জন্য এন্টিবায়োটিক ঔষধ নিয়ে এসেছে সাথে খাবার ও নিয়ে এসে আমাকে দিলো

আমি একটু সুস্থ হয়ে ওদের কে জিজ্ঞেস করলাম আমাকে কি আপনারা মে* রে ফেলবেন নাকি ছেরে দিবেন,তখন ওরা একজন আরেক জনের মূখের দিকে ইশারা করে বলতে বললো, তখন এক জন আমাকে বললো তোমাকে মারবো না,
যদি আমাদের কথা শুনো, আমি বললাম শুনবো কি করতে হবে বলেন,তারা বললো এখন না, এখোনো কিছু বলে নাই ওরা, ওরা যে খাবার আনলো সেই খাবার খেয়ে ঔষধ খেয়ে
শুয়ে আছি একটু পর ওদের ফোনে কল আসলো আমাকে নিয়ে কথা বলতেছে,

ওদের কথা আমি মনোযোগ দিয়ে শুনছিলাম, ওরা রাগ দেখিয়ে কথা বলছে, মেয়ে রাজি হবে নাকি না হবে এতোকিছু আমাদের দেখে লাব নাই এটা ওর বাপের সমস্যা, তুই টাকা লো, আর টাকা না দিলে এই সব ছেড়ে চলে আসি টাকা কেমনে নিতে হবে সেইটা ভালো জানি, আজের মধ্যে টাকা না দিলে বাকি তে আর কাজ করবো না, ছেলেরে ছেড়ে দিবো,

ওদের কথা শুনে বুঝতে পারলাম, যেহেতু মেয়ে রাজি না বলছে তাইলে লুবনা ডিভোর্স জন্য রাজি হবে না মনে হয়, দেখি কি আছে আমার কপালে,

ওনারা একটু পর পর ফোনে কথা বলে আর রাগারাগি করে
ওদের মনে ও কিছু টেনশন কাজ করছে ওদের কথা শুনে বুঝতে পারলাম,, আর ওরা বার বার আমাকে বুঝাতে থাকে যে মেয়ের আশেপাশে যেন না আসি সোজা বাড়ি চলে যাইতে, আমি বললাম ঠিক আছে আপনারা যা বলবেন তাই হবে, আমাকে এখন অন্য রুমে নিয়ে গেছে ওখানে বিছানা ও আছে, সাথে টয়লেট ও, আগে যে রুমে রাখছে ওটায় এখন দিন না রাত বুঝতাম না,

আমি একটু পর পর টয়লেট ভিতরে গিয়ে বুঝার চেষ্টা করতাম এখন দিন না রাত,কারণ রুমে লাইট নাই দিন না রাত বুঝা যায় না, টয়লেট ভিতরে গেলে গ্লাস দিকে তাকালে একটু একটু আলো দেখা যাইতো,

আমি এক জন কে জিজ্ঞেস করলাম আজকে কি বার,ওনি বললো বৃহস্পতিবার, আমি আমার বাড়ির কথা চিন্তা করতে লাগলাম আমার খুজ না পেয়ে ওদের কি অবস্থা, এই সব ভেবেই কান্না শুরু করে দিলাম, এক জন বললো কান্না করবি না আজকে হয়তো তরে ছেড়ে দিবে কিন্তু আমরা যা বলছি তাই করিস,, আজকে লোক আসবে এখানে তরে যদি কোথাও সই দিতে বলে সই দিয়ে দিবি আর বলবি ভুল হয়ে গেছে আর কোন দিন এই দিকে আসবি না, আমি বললাম ঠিক আছে আপনারা যা বলছেন তাই হবে,

সময় যাচ্ছে না, কখন আমি মুক্তি পাবো, সেই চিন্তায় বসে আছি,, রাতে এক জন এসে বললো ওরা কিন্তু আসতেছে কিছুক্ষণ মধ্যে চলে আসবে আসলে তুই পায়ে ধরে ক্ষমা চাইবি, এই বলে রুমে তালা দিয়ে আমাকে আটকিয়ে চলে গেছে,

কিছুক্ষণ পর কারা যেন আসলো শব্দ শুনতে পাচ্ছি, আনি ফ্লোরে শুয়ে দরজাটার নিচে কান পেতে শুয়ে আছি যাতে ওদের কথা শুনতে পারি, অনেক মানুষের কথা শুনা যাচ্ছে মহিলা মানুষ ও আছে,
কেউ একজন জিজ্ঞেস করলো সে কই, ওরা বললো রুমে আটকিয়ে রাখছি, তখন বললো ঠিক আছে আটকিয়ে রাখ,

আর তোমাদের কাজ শেষ গাড়ি আছে তোমারা আমাদের সাথে চলে যাইয়ো, তখন ওদের মধ্যে একজন বললো ছেলেটা কে কি করবো তখন কে যানি বললো সেই টা আমারা দেখবো তোমাদের কাজ শেষ তোমরা চলে যাইয়ো,

এই কথা শুনে আমার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে, আমার মনে হয় এখানেই জীবন শে*ষ , কথা স্টাইল শুনে মনে হচ্ছে লুবনার বাবা এসেছে আর ওনি এই কথা গুলো বলছে, আরেক জন মহিলা কন্ঠে বলতেছে এই সপ্তাহে লুবনার বিয়ে দিয়ে দিবো জামাই কে আসতে বলছি, আর বিয়ে হয়ে গেলে সানি লুবনা কে খুজে পাবে না আর সানির থেকে ডিভোর্স লেটার সই নিয়ে তার পর ওর মারে খবর দিয়ে এনে ওনার হাতে তুলে দিবো এতো দিন ওরে আটকিয়ে রাখবা,
যে হুতো আমার নাম নিছে তার মানে এটা লুবনার আম্মু, সব কিছু তাইলে ওদের প্ল্যান মতোই হয়েছে,
আমার সাথে এতোদিন যারা ছিলো তারা বলতেছে ছেলটা অসুখ এখনই ওর মারে খবর দিয়ে ওনার হাতে ছেলেকে দিয়ে দেন,লুবনার আব্বু বললো না, ওয় খুব চালাক আর সাহসী কোন বছর কি হয়ছে না হয়ছে সোইটার জন্য এতদূর চলে এসেছে, ওরে এখন ছেড়ে দিলে লুবনার বিয়ে হবে না, আর লুবনা কে এই বিষয়ে কিছু বলাও যাবে না কারণ লুবনার এমনিতে যার সাথে বিয়ে দিবো তারে পছন্দ না,
আর সানির কথা বললে যদি সে বলে সানি কই ওরে ডিভোর্স দিবো ওর ঠিকানা কইতে পাইলাম নানান কথা বলবে, সুযোগ খুজবে বিয়ে না করার জন্য,

আরেক জন বললো এখন ছেলটা অসুস্থ এতোদিন আটকিয়ে রাখলে যদি কিছু হয়,লুবনার আব্বু বললো কিছু হলে টয়লেট টানকি ভিতরের ফেলে দিবি পরে যা হবার হবে,
এই সব শুনে আমার হাত পা কাঁপা শুরু করলো, ওদের যেহেতু আমাকে মে*রে ফেলার প্ল্যান নেই তাইলে আমাকে শক্ত থাকতে হবে,

একটু পর তারা সবাই চলে যাবে এতোদিন আমার সাথে যারা ছিলো তারা ও চলে যাবে এখানে এক জন কে দায়িত্ব দিয়ে গেছে, বলে গেছে তালা যেন না খুলে,জানালা দিয়ে খাবার দিবে আর কোন সমস্যা হলে যেন ফোন দেয়,

আমার কাপড়চোপড় ব্যগ টা রেখে ফোন লেপটপ সব ওরা নিয়ে গেছে, যাবার আগে এতোদিন যারা আমার সাথে ছিলো তাদের একজন জামাকাপড় দিবার সময় একটা চাবি দিছে চোখের ইশারা দিয়ে,আমি ওনার দিকে তাকিয়ে ছিলাম কিছু বলার ছিলোনা আমার,

সবাই চলে গেছে, কারো কোন শব্দ পাচ্ছি না, টয়লেটর গ্লাসের কাছে গিয়ে দেখি অন্ধকার, এখনো রাত সকাল হয়নি,
আনাকে দেখার কারে রেখে গেছে, তাকে ও দেখলাম না, একা একা শুয়ে কান্না করছি, কিন্তু আমাকে শক্ত থাকতে হবে, আর চাবিটা কোনজায়গায় সেটা খুজতে হবে, এখন কিছু করা যাবে না,যারে রেখে গেছে সে কখন আসে কখন যায় সেইটা মার্ক করতে হবে,তাই এইবার মন শক্ত করলাম,
___________________________________

এই মূহুর্তে আমার কাহিনী গুলো ব্রেক দিয়ে, বাহিরে কি হয়েছিলো সেই কাহিনী গুলো বলছি তার পর আসবো আবার এই জায়গায়,

বাহিরে কি হয়েছে সেইটা আমি জানি না, আমার বন্ধু ( যারে আমার সাথে নিয়ে এসেছিলাম তার কথা গুলো আমি শেয়ার করছি,
_________________________________________

আমার ফোন বন্ধ থাকার কারণে বাড়িতে সবাই পা*গলের মতো হয়ে গেছে, মা আমার বন্ধুর ( রানা ) কাছে জিজ্ঞেস করলো সানি কই, ওর ফোন বন্ধ কেন তুই ওরে রেখে কেন চলে আসলে, ওই খানে সে কি করে, রানা বললো ওর নাকি কি কাজ আছে সেই জন্য আমাকে পাঠিয়ে দিছে, আম্মু যখন রানা কে চাপ দিতে শুরু করলো রানা তখন সত্যি টা বলে দিছে, যে ওর বউ নাকি ওইখানে থাকে, আম্মু বললো ওর বউ কইথেকে আসলো কি আজগুবি কথা, রানা বললো সত্যি বলছি ওর নাকি বউ গাউছিয়া থাকার সময় নাকি বিয়ে করছে, বউের নাম লুবনা, আম্মুর আর বুঝতে বাকি রইলো না,
এখন শুরু করছে কান্না ওরা আমার পোলারে মে*রে ফেলেছে
আমারে নিয়ে চল ওই যায়গায়, এইবার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে গেছে আমার বিয়ার খবর, সবাই বলা বলি করতে লাগলো কবে হলো এসব কিছুই জানলাম না, এখন কান্না কাটি না করে আগে ওই জায়গায় যেতে হবে,

সবাই খুঁজ নিতে শুরু করলো চিটাগং কারো কোন আত্মীয় আছে কি না, অবশেষে ২ জন কে পাইলো, এক জন পাশের বাড়ির ভাবির ভাই আর তার বউ থাকে চিটাগং, আরেক জন বিজিবি তে জব করে আমার বোনের বান্ধবীর দুলাভাই,
ওদের ফোন নাম্বার আর ঠিকানা নিয়ে আমার ২ বন্ধু আম্মু এলাকার এক জন বড় ভাই আর আমার চাচাতো ভাইয়ের বউ, মোট ৫ জন একটা গাড়ি নিয়ে চিটাগং সেই ঠিকানা মতো চলে আসলো, একটা হোটেলে উঠে তারা যাদের নাম্বার নিয়ে এসেছিলো ওদের ফোন দিলো ওরা ও আসলো,আসার সময় থানায় জিডি করে এসেছে,

এখন সবাই এক সাথে হয়ে রানার থেকে ঠিকানা চাইলো, কিন্তুু রানা শুধু হসপিটাল টা চিনে লুবনার বাসা চিনে না,

সবাই হসপিটাল এসে গেইটের সামনে এসে দাঁড়ালো, লুবনার জন্য, আমার মা লুবনা কে চিনে না, রানা এক নজর দেখছে সে ও নাকি চেহেরাটা ভুলে গেছে, লুবনা ওদের সামনে দিয়ে ওর চেম্বার গেছে ওরা টের পায়নি,
অনেক্ক্ষণ অপেক্ষা করে যখন লুবনা কে পায়নি তখন তারা গেলো লুবনার চেম্বারে, গিয়ে দেখে লুবনা চেম্বারে বসে আছে, এখন ওর সাথে কথা বলতে হলে রোগি সেজে যেতে হবে, তাই আম্মু গেলো, টুকেন নিলো নাম্বার ৯ এখন ও ৬ জন বাকি আছে, ৬ জন রোগি দেখা শেষ হলে আম্মু যাবে, সবাই বসে আছে,

যখন টুকেন নাম্বার ৯ আসলো আম্মু গেলো, আম্মু যখন বোরকা মুখোশ খুললো লুবনা চিনে ফেলছে, লুবনা বলে আন্টি আপনি এখানে কিভাবে, আম্মু বললো এইসব পরে আগে বলো আমার ছেলে কই, লুবনা বললো কি বলেন আন্টি আপনার ছেলের খবর আমি কেমনে জানবো,
আন্টি আপনি একটু বাহিরে বসেন আমি বের হচ্ছি, লুবনা
ডিউটি থেকে ছুটি নিয়ে আম্মুর সাথে দেখা করলো, লুবনা বললো আন্টি আমাদের বাসায় চলেন, আম্মু বললো আগে বলেো আমার ছেলে কই লুবনা বার বার বলতে লাগলো আমি তো আপনার ছেলের খবর জানি না, রানা তখন বললো আমার আম্মু কে সানি এখানে এসে লুবনা কে তার পরিচয় দেয়নি, তখন লুবনা বললো সানি কি আমার সামনে এসেছিলে,রানা বললো হা রোগী সেজে, লুবনা বললো কখোই না,আমার সামনে আসলে আমি ওরে চিনতাম,
আম্মু বললো হাসপাতালে দাড়িয়ে এতো কথা বলতে পারবো না তুমি চলো আমাদের সাথে হোটেলে, লুবনা বললো আন্টি হোটেলে কেন আমার বাসায় চলেন,আম্মু বললো না সাথে অনেক লোক আছে, লুবনা পিছনে তাকিয়ে দেখে অনেক মানুষ, লুবনা জিজ্ঞেস করলো ওরা সবাই কি আপনার সাথের আম্মু বললো হা,তখন লুবনা বললো তাইলে নিশ্চয়ই কিছু একটা হয়েছে, আচ্ছা চলেন হোটেলে,

লুবনাকে নিয়ে আম্মু হোটেলে গেছে, তখন রানা সব কিছু খুলে বললো, লুবনা আম্মুর হাত ধরে বললো আন্টি আমি এসবের কিছুই জানি না, আর সানি এতো সাহস নিয়ে আমাকে খুজে বের করে কেন সে আমার সামনে এসে পরিচয় দিলো না, ওর যেমন কষ্ট হয়েছে আমার ও হয়ছে, আমি মেয়ে মানুষ প্রকাশ করতে পারিনি, ওই দিন ভাইয়ার সাথে চলে আসার পর থেকে আমার জীবনে কেমন জানি একটা পরিবর্তন এসেছে আমি যতো বড় হয়েছি ততো আপনাদের কে মিস করছি ঠিকানা যানি না কিছু ন, শুধু কান্না করে দোয়া করতাম, আজকে বুঝলাম আমার দোয়া কবুল হয়েছে এই সব বলে লুবনা কান্না শুরু করে দিছে,

সবাই লুবনার কান্না থামিয়ে, আমাকে খুজে বার করার জন্য বলছে,লুবনা জানতে চাইলো এখানে এসে আমি কার কার সাথে যোগাযোগ করছি, রানা বললো আমি তেমন কাউকে চিনি না,তবে একদিন ফোনে বলতে শুনলাম আন্টি আমি বের হচ্ছি আপনি আসেন,
লুবনা বললো তাইলে কোন মহিলা, তার মানে আমার মার সাথে হয়তো,আম্মুও কিছু দিন রুমের দরজা লাগিয়ে কার সাথে যানি কথা বলতো, এইবার বুঝতে পারছি,আন্টি আমাকে যেতে দিন আমি এক ঘন্টা পর আাবার আসবো বিশ্বাস রাখেন আমি আসবো বাসার গিয়ে,আর সানির নাম্বার টা দেন আমি আমার আম্মুর ফোন চেক করবো,

আমার নাম্বার নিয়ে লুবনা বাসায় গেলো,বাসায় গিয়ে লুবনার আম্মুর ফোন চেক করে দেখে আমার নাম্বারের অনেক বার কথা হয়েছে,

লুবনা এক ঘন্টা পর বোরকা পরে হোটেলে গেলো আম্মুর কাছে,,

সানির যে লুবনার আম্মুর সাথে কন্টাক্ট ছিলো সেইটা, লুবনা প্রমান পেয়েছে, লুবনা সবাই কে উদ্দেশ্য করে বললো সানি কে আমার পরিবারের লোকেরা কিছু একটা করছে, সে জন্য আমার বিয়ে ৩ মাস পরে হবার কথা থাকলে ও তারা এই সপ্তাহে বিয়ের কাজ শেষ করবে বলে ছেলেকে দেশে আসার জন্য বলছে,এখন কেমনে কি করলে কি হবে আপনারা সিদ্ধান্ত নেন,আমি হেল্প করবো আপনাদের, তবে যা করার ৩/৪ দিনের মধ্যে করতে হবে আর আমার পরিবার কেউ যেন না যানে তাইলে আমাকে আটকিয়ে রাখবে, এখন সবাই সিদ্ধান্ত নিলো পুলিশ সাহায্য নিবে, লুবনা বললো পুলিশ সাহায্য নিলে হয়তো আপনারা আপনাদের ছেলে কে পাবেন কিন্তু আমি আর আপনাদের কে পাবো না,কারন আইনের মাধ্যমে আমাকে আপনাদের থেকে আালাদা কেরে দিবে,
আপনারা ২ টা দিন সময় দিন আমি চেষ্টা করে দেখি,

সবাই বললো এখানে সময় দিবার মতো।এখন পরিস্থিতি নেই, যা করার তারাতারি করতে হবে,
এই দিকে লুবনার যার সাথে বিয়ে হবে সে কাল রাতে দেশে এসেছে, লুবনা এটা নিয়ে চিন্তিত কথা ছিলো ১ সপ্তাহে পরে আসবে কিন্তুু তার আগেই চলে আসলো,

পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে কোন দিক খুজে পাচ্ছে না কেউ

লুবনা বললো আমি রাতে আবার আসবো, যদি আমি না আসি আর আমার ফোন বন্ধ থাকে তাইলে আপনারা পুলিশ নিয়ে যাবেন, এই কথা বলে লুবনা চলে গেছে,

লুবনা বাসায় গিয়ে দেখে তার আম্মু বাসায় তার বোন আর তার বাবা গেছে মার্কেটে, লুবনা তার আম্মুর রুমে ডুকতেই আলমারিতে লক লাগিয়ে দিছে,যে আলমারি কোন দিন লক থাকেনা আজকে আমাকে দেখে কেন লক করলো কোন কারণ আছে, কিন্তু কি কারন সেইটা খুজে বার করতে হবে,

লুবনার আম্মু কে জিজ্ঞেস করলো আম্মু আমাকে তো বিয়ে দিয়ে দিবা, ছেলে তো দেশে চলে এসেছে, লুবনার আম্মু বলে হা সব ঠিক ঠাক, তুমি তো আমার সুখের জন্য সব কিছু করো তাইনা, লুবনার আম্মু বললো হা, হঠাৎ এই কথা কেন লুবনা,
তখন লুবনা বললো আম্মু, এক জনের বুক খালি করে তোমার মেয়ের সুখ চাও কেমন মা তুমি,

লুবনার মা এই কথা শুনে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো কার বুক খালি করলাম আমি, লুবনা বললো মা অনেক নাটক হয়েছে আর না, সানি কই সেইটা বলো, না হয় ওর মা এই বাসায় পুলিশ নিয়ে আসবে, লুবনার মা বললো কোন সানি আর কিসের কথা বলতাছোত, লুবনা বললো মা মিথ্যা বলে পার পাবা না, তোমার ফোনে সব চেক করা শেষ কবে কতো মিনিট সানির সাথে কথা বলছো, তুমি যদি না বলো সানি কই তাহলে আমি এই বিয়ে করবো না,

এইবার লুবনার মা চুপ হয়ে গেছে, তখন লুবনা বললো মা তোমরা যা করছো সব আমার সুখের জন্য করছো তাইনা কিন্তুু তুমি কি যানো তোমরা তোমার মেয়ে কে বিধবা করে দিছো, তুমি সেটা না মানলে যখন পুলিশ আসবে তখন সব কিছু বের হবে আর আমি হবো বিধবা ডঃ লুবনা, সবাই আমাকে এই নামে চিনবে,
এখন আর তোমরা চাইলে ও কাউকে আটকাতে পারবে না

_______________________________________________

সকল পাঠকদের উদ্দেশ্য করে বলতে চাই, আপনা সবাই কমেন করে যাবেন আপনাদের সবার কমেন্ট আমি দেখি, কেউ যদি আমার সাথে কথা বলতে চায় তাইলে কমেন্ট লিখবেন, লেখক রিপলে প্লিজ,,

যাদের সময় কাটেনা তারা চাইলে আমার লেখা আরেকটি গল্প আছে ওটা পরতে পারেন, গল্পের নাম, রিমুর জয়, আরো আছে লাগলে বলবেন লিংক দিবো,

আরেকটি কথা অনেকেই বলছে আইডিতে কেন গল্প দেইনা,
কারণ হলো আমি নিজেকে প্রকাশ করতে চাইনা,
,ধন্যবাদ সবাই কে,