#স্বপ্নে_দেখা_রাজকন্যা
#১৯তম_পর্ব
“নাহ! আমি এখন চিংকিকে বাস্তবে দেখছি! ও স্বপ্ন থেকে বেরিয়ে বাস্তবে আমাকে দেখা দিচ্ছে। যেখানেই যাচ্ছি আমি শুধু ওকেই দেখছি”
পাভেল ল্যাপটপ থেকে চোখ সরিয়ে পূর্ণদৃষ্টিতে তাকালো তার দিকে। জাওয়াদ দু হাতে মাথা চেপে রেখেছে। প্রতিনিয়ত এক মানসিক যন্ত্রণার শিকার হচ্ছে সে। খাওয়া দাওয়া নেই, ঘুম নেই। রাত জাগার ক্লান্তি তার চোখে মুখে লেপ্টে আছে। চোখ লাল হয়ে আছে তার। মাথাব্যথা নামক নতুন রোগের শিকার হয়েছে। আগে এই মাথাব্যথা কালেভাদ্রে হত, এখন সারাটাক্ষণ মনে হয় মাথায় কেউ হাতুড়ি পেটাচ্ছে। সব কিছুর উৎস দীপশিখা। দীপশিখাকে সবখানে দেখার অসুখ হয়েছে তার। মারাত্মক অসুখ। প্রথমে ব্যপারটা হ্যালুসিনেশন ভেবে গা লাগাচ্ছিলো না। কিন্তু ব্যপারটা হ্যালুসিনেশন পর্যায় ছাড়িয়ে গেছে। সে যেকোনো মেয়ের মধ্যে দীপশিখাকে দেখে। হুট করে তাকালেই চোখ ধাঁধিয়ে যায়। সেই মুখশ্রী, সেই হাসি। মাঝে মধ্যেই তার কণ্ঠ কানে বাজে। মিষ্টি কন্ঠ, জাওয়াদ হা করে তাকিয়ে রয়। মিনিট পাঁচেক পর মস্তিষ্ক কাজ করা শুরু হয়, না এসব কেবলই তার ভ্রম। ভ্রমখানা এতোই মাত্রা ছাড়িয়েছে যে গতকাল একটা মেয়ের হাত ধরে ফেলেছিলো সে। একটুর জন্য মার খাওয়া থেকে বেঁচেছে। স্বপ্ন এখন স্বপ্নে সীমাবদ্ধ নয়, বাস্তবেও হানা দিতে শুরু করেছে। এর থেকে তো স্বপ্নই ভালো ছিলো। পাভেল সব শুনে বিরস স্বরে বললো,
“এখন আমি যা বলবো তোর তাতে বিশ্বাস হবে না। তাই বলি পাগলের ডাক্তার দেখা। পাবনার ডাক্তার ছাড়া কেউ তোকে সমাধান দিতে পারবে না”
জাওয়াদ কিড়মিড়িয়ে চোখে তাকালো তার দিকে। পাভেল তার উপেক্ষা করে বললো,
“তাকিয়ে লাভ নেই। আমি ভয় পাই না”
“আমার বোনকে বিয়ে করবি না?”
পাভেলের হাত থামলো। ল্যাপটপ ছেড়ে গা এলিয়ে দিলো চেয়ারে। হতাশ স্বরে বললো,
“এই এক কারণে তোর পাগলামি সহ্য করছি। নেহাৎ তোর বোন তোর মত না, একারণেই আমাকে নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরানোর সুযোগ পাচ্ছিস। নয়তো আমি বুড়ো আঙ্গুল ধরিয়ে দিতাম তোকে”
“কোথায় আমি আমার সমস্যা বলতে এসেছি আর তুই?”
পাভেল হতাশ স্বরে বললো,
“তোর কোনো সমস্যাই নেই, যা সমস্যা তোর নিজস্ব তৈরি। বলেছিলাম, দীপশিখাকে বিয়ে করে ফেল। শুনিস নি। এখন বোঝ ঠেলা”
“নিজের স্বার্থে মেয়েটিকে ঠকাবো? বিয়ে কি সামান্য একটা ব্যাপার? সারাজীবন কাউকে ঠকানোর মতো বুকের পাটা আমার নেই”
“এখন আমি যদি বলি তুই ওর প্রেমে পড়েছিস তুই বিশ্বাস করবি না”
পাভেলের কথায় মেজাজ তরতর করে বেড়ে গেলো, কারোর প্রেমে পড়া কি এতো সহজ? মুগ্ধতা কাজ করতে হয়। কাউকে দেখলে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে হতে হয়। হৃদয় থমকে যেতে হয়। তবেই না প্রেম হয়। কই কখনো চিংকির প্রতি এতো অলীক মুগ্ধতা তো কাজ করে নি। তার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে হয়, তাকে দেখতে ইচ্ছে হয়—ব্যপারগুলোকে অভ্যাসজনিত সমস্যাও বলা যেতে পারে। ফলে বিরস স্বরে উত্তর দিলো জাওয়াদ,
“চুপ করবি তুই? মেয়েটি যদি একটু রাগ দেখাতো তাও……”
জাওয়াদের ধমক শুনে পাভেল তাচ্ছিল্যভরে বললো,
“দেখেছিস বলেছিলাম। এককাজ কর, পায়ে ধরে ক্ষমা চা। অনুতপ্ত হৃদয় মস্তিষ্ককে কাবু করে ফেলেছে তোর। সবার কাছে ভালোর তালিকায় থাকা জাওয়াদ হামিদ কিনা প্রেমিকার কাছে নেহায়াত হীনব্যক্তিতে পরিণত হয়েছে। তোর হৃদয় মানতে পারছে না। ওর নীরবতা তোকে আরোও কুড়ে খাচ্ছে। তাই এসব ঝামেলা”
জাওয়াদের রাগ বাড়লো। সে উঠে দাঁড়ালো। পাভেলের কাছে প্রেম ছাড়া আর কোনো সমাধান নেই। যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই পাভেল বললো,
“শুনলি না তো গরীবের কথা বাসি হলে ফলে। বলছি, জং ধরা মস্তিষ্কটা পরিষ্কার কর। দেখবি মনের আর্তনাদ সে শুনতে পাবে”
জাওয়াদ গা করলো না। লিফটের ভেতরেও একটি মেয়েকে দেখে থমকালো। পরমুহূর্তেই মস্তিষ্ক সিগন্যাল দিলো, ভ্রম। এখানে দীপশিখা আসবে কি করে? মনে মনে আওড়ালো,
“তুমি কি আমাকে মুক্তি দিবে না চিংকি?”
*****
ফেব্রুয়ারি মাস শেষ হয়ে যাবে। আবহাওয়ার রুপ অনেক বদলে গেছে। এই শীত, এই গরম। এখন যেমন আকাশে মেঘ করে এসেছে। বিকেলের লালচে রঙ্গ কালো মেঘের ছায়ায় ঢেকে গেছে। বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে দীপশিখা। খোলা চুল। মৃদু সমীরণের দোলায় উড়ছে। চোখগুলো শুষ্ক। পরিপাটি দীপশিখা এখন সম্পূর্ণ এলোমেলো। তার পরণে গতকালের জামা। এখনো গোসল করে নি। সকালে খাওয়া হয় নি। ঘুম ভেঙ্গেছিলো দুপুরে। কিন্তু ঘর থেকে বের হতে ইচ্ছে করছিলো না। ভিডিওগুলো সব অর্ধেক অর্ধেক এডিট করে রেখেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যায় না। বই পড়ে না। বিগত দু সপ্তাহ সে ভার্সিটিতেও যাচ্ছে না। শরীরখানা কেমন নিস্তেজ লাগছে। অবশ্য শরীরের কি দোষ? মনখানাই দূর্বল হয়ে আছে। যখন মনে হয় সুখগুলো চোরাবালির টানে কোথাও হারিয়ে গেছে হৃদয় হুহু করে উঠে। জাওয়াদ নামক মানুষটি তাকে শূন্যতা দিয়েছে। এতোটা বিশ্রী সেই শূন্যতা, যাকে পূরণ করা হয়তো যাবে না। অথচ মানুষটি তার জীবনে আসার আগে তো সব ঠিক ছিলো। কোনো ফাঁকা জায়গা ছিল না। ছিল না কোনো আক্ষেপ। সব কিছু ঠেলেঠুলে নিজের জন্য এতো বিশাল জায়গা করে ফেলেছিলো লোকটি যে এখন যখন সে নেই তার সেই শূন্যতা গিলে খাচ্ছে। কেন এই মানুষগুলো আমাদের জীবনে আসে? ক্ষণিকের জন্য মিথ্যে আশা দিয়ে সব ছাড়খার করে দিয়ে চলে যায়। অথচ পাছে পড়ে থাকে একটা ভগ্ন হৃদয় আর ছিন্নভিন্ন বিশ্বাস। বই উপন্যাস থেকে ভালোবাসতে শিখে নি চিংকি। চিংকি ভালোবাসতে শিখেছে নিজের অপূর্ণতা থেকে। সে কোনো সুন্দর রমনী নয় যে কোনো পুরুষের হৃদয় নাড়িয়ে দিবে। সে কখনো কোনো পুরুষের স্বপ্নের রাজকন্যা হবে না সে জানে। কিন্তু……কিন্তু ভালোবাসা তো সৌন্দর্য্যের দাস নয়। ভালোবাসার রঙ্গে মলিন ফুলটাও পুনর্জীবন পায়। তাহলে চিংকি এমন ভালোবাসা কেনো পেতে পারে না। সে কেন প্রতিটা সময় হেরে যাবে?
“আসবো চিংকি মা?”
দীপশিখা ক্লান্ত চোখে তাকালো। বাবা দাঁড়িয়ে আছে। হাতে প্লেট। প্লেটে পাউরুটির মত কিছু দেখা যাচ্ছে। নিশ্চয়ই বাবা তার জন্য স্যান্ডউইচ বানিয়েছে। বাবার স্যান্ডউইচ খুব পছন্দ চিংকির। হয়তো সে তাকে খাওয়ানোর জন্য নিয়ে এসেছে। মেয়ের খাওয়া দাওয়ায় অবহেলা তার ভালো লাগছে না। দীপশিখা মাথা নাড়িয়ে বললো,
“আসো বাবা”
“তোমার জন্য আমি চিজ স্যান্ডউইচ বানিয়েছি। টমাটো স্যুপ বানাতাম কিন্তু নিরু এতো চিৎকার করতে শুরু করলো। তার ধারণা আমি তার রান্নাঘরের বারোটা বাজাচ্ছি। তোমার মাকে চটিয়ে লাভ নেই। সে এখন তার বোনেদের ফোন করছে। সামনের মাসের মধ্যে তোমার জন্য পাত্র বাছাই পরিকল্পনা শুরু করবেন”
দীপশিখা দীর্ঘশ্বাস ফেললো। সে জানে নিজের মা’র জেদ। নীরুপমা কবির বিয়ে ভাঙ্গাটাকে নিজের অহমিকার দেওয়ালে চিরের মতো দেখছেন। মহিলা সর্বদা খুব পার্ফেকশন পছন্দ করেন। তার জীবনে ব্যর্থতা নামক শব্দ সে পছন্দ করে না। দীপশিখা খুব আস্তে বললো,
“আমি বিয়ে করতে চাচ্ছি না বাবা”
“কেন মা?”
“কারণ আমি ওই মানুষটিকে ভুলতে পারছি না। তার সাথে কাটানো মুহূর্ত, তার কন্ঠ, তার দৃষ্টি, তার কোমলতা, তার বিশ্বাসঘাতকতা। আমি কিছুই ভুলতে পারছি না। আচ্ছা বাবা? প্রেমে এতো কষ্ট কেন?”
দীপশিখার চোখ টলমল করছে। মোস্তফা তার গালে হাত রাখতেই, নোনাজলের রেখা গড়িয়ে পড়লো। মেয়েকে কাঁদতে দেখা খুবই কষ্টকর। ভেতরটা উথালপাতাল করে উঠলো যেন। মোস্তফা খুব আলতো হাতে তার অশ্রু মুছে দিল। মৃদু স্বরে বললো,
“মা রে, প্রেম হচ্ছে আবেগের ষড়ঋতু; এখন তোমার মনে আবেগের মেঘপতন হচ্ছে। একটা সময় তুষারপাত হবে। আবার নতুনকুড়ি জন্মাবে। ডালপালা ছড়াবে। হয়তো ফুলের নামটা ভিন্ন হবে। কিন্তু প্রণয়পুষ্প ঠিক লালিত হবে”
“না বাবা, আমি আর কখনো প্রেমে পড়তে পারবো না। দুবার যে কষ্ট সহ্য করেছি, তৃতীয়বার একই কষ্ট সহ্য করার মত শক্তি আমার নেই”
মোস্তফা হাসলেন। মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললেন,
“আমরা খুব অদ্ভুত, যে মানুষটা আমাদের ছাড়খার করে দেয়। তাকে স্মরণ করে আমরা নিজেদের প্রতিনিয়ত পুড়াই। অথচ সেই মানুষটির কি কিচ্ছু যায় আসছে? উত্তর হল না। সে আমাদের গল্পে, আমার পৃথিবীতে কোথাও নেই। অথচ কিছু জঞ্জাল স্মৃতির বোঝায় আমরা নিজেকে নষ্ট করি। নিজের থেকেও তাকে গুরুত্ব দেই যার কাছে আমাদের প্রাধান্য নেই। এই যে তুমি দু সপ্তাহ নিজেকে আটকে রেখেছো এই বদ্ধ ঘরে তুমি কি সত্যি ভালো আছো? না, আরও পুড়াচ্ছো নিজেকে। আরোও নিবিড়ভাবে সেই স্মৃতিগুলোকে আঁকড়ে ধরছো। ভুলতে না চাইলে, ভুলতে পারবে না চিংকি মা”
“আমি এই বদ্ধ জগৎ থেকে বের হই তবে স্মৃতির তাড়া থেকে রেহাই পাব?”
“হ্যা, পাবে। কালকে তুমি ভার্সিটি যাবে। তোমার কাজ শুরু করবে। নতুন মানুষের সাথে দেখা করবে। যে তোমাকে আঘাত করেছে তাকেই যদি তোমার জীবনের কেন্দ্রবিন্দু বানিয়ে রাখো তাহলে তুমি নিজেকেই পুড়াবে। কেউ আমাদের ভালো নাই বাসতে পারে, তবে সেটার জন্য আমাদের জীবন থেমে যেতে পারে না”
চিংকি হাত দিয়ে মুখ ঢাকলো। হুহু করে কেঁদে উঠলো। মোস্তফা তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। স্যান্ডউইচটা ঠান্ডা হয়ে গেছে। আবার গরম করতে হবে।
*****
কলিগদের মধ্যে হুট করে মেজবান খাবার হিরিক উঠেছে। অফিস শেষে দলবদ্ধ হয়ে তাই এসেছে মেজবান খেতে। জায়গাটা চিংকির টিউশনের বাসার খুব কাছে। এক গলি পরেই বাসাটা। একবার চিংকির সাথে এখানে আসা হয়েছিলো। জাওয়াদের আসার ইচ্ছে ছিলো না। কিন্তু ইনচার্জ বগলদাবা করে এনেছে। চিংকির জন্য এই জায়গাগুলো খুব পরিচিত হয়ে গেছে জাওয়াদের। ফলে প্রচুর অস্বস্তিবোধ হচ্ছে। রেস্টুরেন্টে কোনো বড় টেবিল ফাঁকা নেই। ফলে তাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে বাহিরে। বড় টেবিল ফাঁকা হলেই ভেতর থেকে খবর দিবে। জাওয়াদ একটা সিগারেট ধরালো। আজকাল সিগারেট খাওয়ার একটা বাজে অভ্যাস হয়ে গেছে। মস্তিষ্কজুড়ে শুধু চিংকির ঘোর। কোনো কিছুতেই মন বসে না। হুটহাট চিংকির সাথে কথা বলতে ইচ্ছে হয়, ভ্রমে নয় সত্যি সত্যি তাকে দেখতে ইচ্ছে করে, তার কণ্ঠ, তার হাসি সব কিছুই মস্তিষ্ককে বাজে ভাবে দখল করে রেখেছে। এই যেমন সামনে একটি মেয়ে হেটে যাচ্ছে জাওয়াদের মনে হচ্ছে এটা চিংকি। কিন্তু সে জানে এটা চিংকি নয়, তার ভ্রম। হুট করেই থমকালো সে। না মেয়েটি সত্যি চিংকি। জাওয়াদ ছুটে গেলো। হাত ধরলো তার। মেয়েটি অবাক চোখে তাকালো। মেয়েটি সত্যি চিংকি। অথচ তার দৃষ্টিতে সেই আগের চাহনী নেই। বড্ড অপরিচিত এই চাহনী। এমন দৃষ্টিতে চিংকি আগেও কখনো তাকে দেখে নি। চিংকি তার হাত ছাড়িয়ে নিয়ে খুব ধীর স্বরে বললো,
“কিছু বলবেন?”
জাওয়াদের ঘোর কাটলো। অপ্রস্তুত হয়ে গেলো সে। অথচ ভ্রমে চিংকিকে দেখলে না জানে কত কথা কণ্ঠে এসে ঠাঁই পায়। বিব্রতবোধ করলো জাওয়াদ। হৃদস্পন্দন বেড়ে গেলো। অনেক শব্দ হাতড়ে মাথা চুলকে শুধালো,
“কেমন আছো?”
চিংকি খুব স্বাভাবিক স্বরে বললো,
“ভালো তবে এভাবে রাস্তায় হাত ধরবেন না। আসছি”
বলেই চিংকি যাবার জন্য তৎপর হলো। জাওয়াদের বুক ধকপক করছে। চিংকির এমন না উদাসীন, শীতল মনোভাব তাকে ভেতর থেকেই খুব দূর্বল করে ফেললো। হীনমন্যভাবটা বাড়লো। ফলে খানিকটা অপরাধী স্বরে বললো,
“তুমি আমাকে খুব ঘৃণা কর তাই না?”
“আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে। আমি নিজের ব্যক্তিগত পৃথিবীর মানুষ ছাড়া কারো প্রতি রাগ, ঘৃণা, অভিমাণ পুষে রাখতে পারি না। আর আপনি আমার পৃথিবীর কেউ নন জাওয়াদ সাহেব, তাই আমার আপনার প্রতি ঘৃণা, রাগ, অভিমান, অভিযোগ কিছুই নেই। আশাকরি, আপনি আপনার উত্তর পেয়েছেন। আর একটা কথা জাওয়াদ সাহেব, আমি চাই না আপনার এবং আমার দেখা হোক। ব্যপারটা আমার জন্য বিরক্তিকর…………
চলবে
মুশফিকা রহমান মৈথি