স্বপ্ন জুড়ে তুমি পর্ব-০৪

0
66

#স্বপ্ন_জুড়ে_তুমি
#পর্ব_৪
#সামসুন_নাহার

“এটা আমার ব্যক্তিগত ফোন নাম্বার। তাই এই নাম্বারে কোনো ছুটির আর্জি হবে না।যদি একান্তই ছুটির প্রয়োজন হয় তবে ক্লাসে যে ফোন নাম্বার দিয়েছি সেটায় কল করুন। ধন্যবাদ।”

সাইদুর রহমান ব্যবসার কাজে চট্টগ্রামে গেছে।তাই প্রিয়শা ও আদিল ঘুরতে যাওয়ার প্লান করলো।তাই প্রিয়শা ফোন করেছিল ফাইয়াজের কাছে ছুটি নেওয়ার জন্য।প্রিয়শা ছুটির কথা বলতেই ফাইয়াজ উপরক্ত কথাটি বলল।প্রিয়শা বলল,

“এই নাম্বারে যখন কল দিয়ে ফেলেছি তাই এখানে ছুটি চাচ্ছি স্যার।”

ফোনের অপাশ থেকে গম্ভীর কন্ঠে ভেসে উঠলো,

“আমি তো বললাম।এই নাম্বারে কোনো ছুটি মঞ্জুর হবে না।ছুটির দরকার হলে অন্য নাম্বারে কল করুন।”

“আমার কাছে ওই নাম্বার নেই। ওই নাম্বার থাকলে ওই নাম্বারে কল দিতাম। যদি আপনার নাম্বার দিতেন তাহলে ওই নাম্বারে কল দিতে পারতাম।”

ফাইয়াজ মজা নেওয়ার জন্য হেসে বলল,

“স্যরি আমি পারব না দিতে। যখন নাম্বার দিয়েছিলাম তখন কই ছিলেন আপনি।এখন আপনার প্রয়োজন আপনি ম্যানেজ করুন।”

ফাইয়াজের কথা শুনে প্রিয়শার রাগ উঠলো। ফাইয়াজ সবসময় প্রিয়শাকে রাগিয়ে দেয়।প্রিয়শা রাগ্বত স্বরে বলল,

“তোমার ফোন নাম্বার তুমি ভর্তা করে খাও।লাগবে না তোমার ফোন নাম্বার। ভালো করে ছুটি চাচ্ছি তো হচ্ছে না।আবার অন্য নাম্বারে কল দিয়ে ছুটি নিতে হবে।যতসব। ”

ফাইয়াজ কিছুটা মিথ্যে অবাক হওয়ার ভান করে বলল,

“এতক্ষণ তো সুন্দর স্যার স্যার করলে আবার শেষে আসে এইরকম কেনো করলে সাদিয়া।আমি তো এতক্ষণ তোমাকে সুন্দর করে আপনি করে সম্মোধন করলাম।তাই তোমার উচিত আমার সাথেও সুন্দর করে কথা বলা।”

প্রিয়শা ঝাঁঝালো কণ্ঠে বলল,

“কিসের সুন্দর করে কথা বলব।যদি এই নাম্বার থেকে ছুটি মঞ্জুর না হয় তবে ফোনের অপাশের ব্যক্তিও কোনো আমার স্যার না।”

প্রিয়শার রাগ্বত স্বর শুনে ফাইয়াজ হেসে বলল,

“এইভাবে বলতে নেই।এইভাবে কথা বললে কিন্তু ছুটি দিব না।ভালো করে স্যরি বলো তাহলে ছুটি দিব।”

“ভালো করে বলবোও না।আর ছুটিও নিব না।লাগবে না তোমার ছুটি।তোমার ছুটি তুমি নেও।”

“ঠিক আছে দেখা যাবে।তাহলে কালকের শাস্তির জন্য প্রস্তুত হও।”

ফাইয়াজের কথা শুনে প্রিয়শার মেজাজ খিটখিটে হলো।প্রিয়শা আর কোনো কথা না বলে ফোন কেটে দিল।

…………………………

বড় একটি কৃষ্ণচূড়ার গাছ।যার শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে আছে মাঠ জুড়ে।যদিও এখন গাছে ফুল নেই তবুও পাতারা নিজের সৌন্দর্য উজাড় করে দিয়েছে।গাছের নিচে বসার জায়গা।পাশে কয়েকটা ফুচকার ও খাবারের স্টল।পাশেই আছে একটি সুন্দর নদী।যা আপন গতিতে নিজ নিয়মে ভেসে যাচ্ছে।কিছু দূরে চারপাশে ঘিরে আছে আরো কয়েকটি দোকান।দেখতে ছোটখাটো একধরনের বাজার।চারদিকে মনোমুগ্ধকর পরিবেশ।বাতাস খেলা করছে পরিবেশ জুড়ে।

প্রিয়শা আজ আদিলকে নিয়ে এই জায়গায় ঘুরতে এসেছে।এই জায়গা প্রিয়শার খুব পছন্দের।প্রিয়শার জায়গাটা এত পছন্দের যে প্রিয়শা নিজের মন ভালো করতে এখানে আসে।প্রিয়শা একটা ফুচকার স্টলে গিয়ে ফুচকাওয়ালাকে সালাম দিয়ে বলল,

“মামা আমাদের দুই প্লেট ফুচকা। ”

ফুচকাওয়ালা হাসি দিয়ে ফুচকা বানাতে মন দিল।তখন প্রিয়শার পাশ থেকে কেউ একজন বলল,

“মামা আমাদের জন্যও দুই প্লেট ফুচকা।”

প্রিয়শা কন্ঠ অনুসরণ করে পিছনে ঘুরে ফাইয়াজকে দেখলো।ফাইয়াজকে একমুহূর্তে এখানে দেখে প্রিয়শার পুরনো স্মৃতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো।

এই ফুচকার দোকানে তাদের পরিচয় হয়েছিল।তারপর বন্ধুত্ব তারপর ধীরে ধীরে প্রণয়ে আকৃষ্ট হয় দুইজনেই।দশ মাস সুন্দর প্রণয়ের দিন যাচ্ছিল দুইজনের।কিন্তু হঠাৎ করে কেমন করে যেন সবকিছু কালো মেঘের ন্যায় ঝাপসা হয়ে গেল।আগে ফাইয়াজ ঠিক মত সময় দিত।
কিন্তু হঠাৎ করে ফাইয়াজ সময় দেওয়া কম করল।প্রিয়শা কোনোকিছু জিজ্ঞেস করলে হেয়ালি করে কথা বলত।এভাবে চলার পরও ফাইয়াজ হঠাৎ করে বিশদিন না বিশদিন হবে না এখন বাইশ দিন আগে পুরোপুরি কথা বলা বন্ধ করে দিল।প্রিয়শা অনেক যোগাযোগ করার চেষ্টা করে বৃথা হয়।প্রিয়শা জানে না তাদের সম্পর্ক এখন কোন পর্যায়ে আছে।আর কেনই বা ফাইয়াজ কথা বলা বন্ধ করল।

সেদিন ক্লাসে নতুন স্যার হিসেবে ফাইয়াজকে দেখে প্রিয়শা খুশি হয়েছিল।কিন্তু অভিমানের জোরে তা প্রকাশ করেনি।কিন্তু এখন ফাইয়াজকে এখানে দেখে প্রিয়শা অবাক হলো।কিন্তু মনে প্রশ্ন জাগলো ফাইয়াজ একা তাহলে দুই প্লেট ফুচকা অর্ডার দিল কেন।প্রিয়শার ভাবনার মাঝেই একটা সুন্দর মেয়ে এসে হাসিমুখে ফাইয়াজের পাশে দাঁড়িয়ে বলল,

“তুমি তাহলে এই জায়গাটার কথা বলছিলে।জায়গাটা অনেক সুন্দর। আমার অনেক পছন্দ হয়েছে।আমরা মাঝে মাঝেই এখানে আসবো কিন্তু।কোনো বারণ শুনবো না।”

ফাইয়াজ মেয়েটির কথায় হেসে বলল,

“অবশ্যই নিয়ে আসবো।যখন আসতে চাইবে তখন নিয়ে আসবো।তুমি আসতে চাইবে আর আমি নিয়ে আসবো না তা কখনো হয় নাকি।”

ফাইয়াজ ও মেয়েটার হাসিমুখে কথা শুনে প্রিয়শার মনে কষ্ট অনুভব হলো।মনে হচ্ছে কেউ অনেক জোড়ে আঘাত করছে আর প্রিয়শা সেটা সহ্য করতে পারছে না।চারপাশ মনে হয় ঘুরছে।নেত্রদ্বয়ে অশ্রু টলমল করছে।কখন যে গড়িয়ে পড়বে ঠিক নেই।প্রিয়শার মনে প্রশ্ন জাগলো আচ্ছা এই মেয়েটির জন্য ফাইয়াজ তাকে ছেড়ে যাইনি তো। হবে হয়তো মেয়েটি দেখতে তার চেয়ে সুন্দর।প্রিয়শা নিজের কষ্ট লুকাতে ফুচকাওয়ালাকে বলল,

“মামা আমার ফুচকায় বেশি করে ঝাল দিবেন।”

প্রিয়শার কথায় ফাইয়াজ তাকালো প্রিয়শার দিকে।প্রিয়শাকে কিছু বলবে তখন ফুচকাওয়ালা প্রিয়শাকে ফুচকা দিল।প্রিয়শা খাওয়া শুরু করে দিল তখন আদিল প্রিয়শাকে বলল,

“আপি তুমি ঝাল দিয়ে খাচ্ছো কেনো।তুমি তো ঝাল খেতে পারো না।”

প্রিয়শা খেতে খেতে বলল,

“বেশি কথা বলিস না।নিজে খাওয়া শুরু কর।আমার খাওয়া তোকে দেখতে হবে না।”

প্রিয়শা খেতে খেতে অনুভব করলো সে আবেগের বসে যে ঝাল খাচ্ছিল সেটা ক্রমশ বাড়ছে।ঝাল লাগা শুরু হয়েছে।নাক দিয়েও পানি বের হওয়া শুরু করছে।প্রিয়শা তবুও জেদের বসে খাচ্ছে।কিন্তু কিছুক্ষণ পর জিহবায় এত ঝাল লাগা শুরু করল যে সে ফুচকা রেখে নিজের ব্যাগে পানি খোঁজা শুরু করল।কিন্তু কোথাও পেল না।পানি না পেয়ে শোশাতে শোশাতে বলল,

“আদিল আমার ব্যাগে যে পানি ছিল।পানি কই গেল।”

“খেয়ে নিছি আমি।”

প্রিয়শা আর কি করবে।প্রিয়শা পানি পানি বলে চেচাতে লাগলো।তখন সামনে হঠাৎ করে পানির বোতল ধরায় পানির বোতল নিয়ে খাওয়া শুরু। পানি খাওয়া শেষ করে পানির মালিককে অর্থাৎ ফাইয়াজকে দেখে প্রিয়শা অবাক হলো।ফাইয়াজ কন্ঠে দুষ্টুমি মিশিয়ে বলল,

“যেই জিনিস খেতে পারো না।সেই জিনিস খেতে যাও কেনো।”

প্রিয়শা ঝাঁঝালো কণ্ঠে বলল,

“আমার ইচ্ছে আমি যা ইচ্ছে খাবো।কারো কাছ থেকে পারমিশন নিতে হবে নাকি।”

“প্রয়োজন হলে….”

ফাইয়াজের কথার মাঝে আদিল বলল,

“ভাইয়া আপনি এখানে।”

ফাইয়াজ আদিলের দিকে তাকালো। আন্দাজের ওপর ভিত্তি করে বলল,

“তুমি আদিল।প্রিয়শার ভাই।কিন্তু আমাকে চিনলে কেমন করে।”

আদিল হেসে বলল,

“আপুর মোবাইলে আপনার ছবি দেখেছি।আপনাকে এখানে দেখে ভালো লাগলো।”

আদিলের কথায় ফাইয়াজ হাসলো।আদিল ফাইয়াজের পাশে দাঁড়ানো মেয়েটিকে দেখিয়ে বলল,

“কে ভাইয়া।”

ফাইয়াজ হেসে বলল,

“আমার বোন ফিজা।”

ফিজার দিকে তাকিয়ে আবার বলল,

“আর ফিজা এই হলো আদিল।প্রিয়শার ছোট ভাই।”

আদিল, ফাইয়াজ ও ফিজা কথা বলতে লাগলো।আর এইদিকে প্রিয়শা থ হয়ে গেছে।তার কানে আর কোনো কথা ঢুকছে না।শুধুই এটাই বেজে যাচ্ছে যে ফাইয়াজের পাশে মেয়েটি ফাইয়াজের বোন।আর সে কিনা উল্টা-পাল্টা ভাবছিল। প্রিয়শা লজ্জায় মাথা নিচু করলো।কান গরম হয়ে গেল।প্রিয়শা সেখানে না দাঁড়িয়ে নদীর পাশে দৌড়ে চলে গেল।প্রিয়শার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আদিল বলল,

“আপুর আবার কি হলো।কই গেল এখানে।”

ফাইয়াজ আপনমনে হাসলো কেনো প্রিয়শা দৌড়ে পালালো। ফাইয়াজ আদিলকে বলল,

“আদিল তুমি এখানে থাকো।আমি প্রিয়শাকে নিয়ে আসতেছি।”

নদীর ধারে মনোমুগ্ধকর পরিবেশ।চারদিকে নিম্নগতিতে বাতাশ বইছে।দেখতে চমৎকার লাগছে।এখানে এসে প্রিয়শা তার লজ্জা নিবারণ করছে।হঠাৎ করে প্রিয়শার নাকে কড়া পারফিউমের গন্ধ আসলো।প্রিয়শা বুঝতে পারল কে এসেছে কিন্তু প্রিয়শা পিছনে ঘুরে দেখলো না।ওইরকম দাঁড়িয়ে থাকলো।

ফাইয়াজ দূরত্ব ঘুছিয়ে প্রিয়শার কানের কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বলল,

“কি ভেবেছিলে প্রিয়।”

প্রিয়শা ভয় পেয়ে পিছনে সরে যেতেই ফাইয়াজের বুকে ধাক্কা খেল।পরক্ষণেই নিজেকে সরিয়ে নিয়ে বুকে থু থু দিল।প্রিয়াশাকে দেখে ফাইয়াজ উচ্চস্বরে হাসলো। সেই হাসির দিকে প্রিয়শা তাকিয়ে রইলো। কিন্তু বেশিক্ষণ প্রশয় দিল না নিজের মনকে।চোখ সরিয়ে নিল।ফাইয়াজ হাসতে হাসতে বলল,

“ভয় পেলে প্রিয়।এত ভয় তোমার।তবে সমস্যা নেই তোমার সব ভয় দূর করার জন্য আমি আছি।”

প্রিয়শা আমতা আমতা করে বলল,

“কিসের ভয় পাবো।আমি কোনো ভয় পাইনি।”

“তাহলে কি হয়েছিল তোমার।”

“কিছু না।”

ফাইয়াজ দুষ্টুমির স্বরে বলল,

“ফিজাকে দেখে কি ভেবেছিলে প্রিয়।ভেবেছিলে যে…”

ফাইয়াজের কথার মাঝেই প্রিয়শা ঝাঁঝালো কণ্ঠে বলল,

“আমি কিছু মনে করিনি।আর কি’বা মনে করবো।তোমার বোনকে নিয়ে তুমি আসতেও পারো।আর কে প্রিয়। আমাকে ভার্সিটিতে যেমন সাদিয়া বলে ডাকছিলে তেমন সাদিয়া বলে ডাকবে।আর কখনো প্রিয় বলে ডাকবে না।”

ফাইয়াজ নমনীয় কন্ঠে বলল,

“কিন্তু প্রিয় আমি তোমাকে সবসময় প্রিয় বলেই ডাকবো। তোমার নামের মত তুমিও আমার প্রিয়।”

“বললাম তো ডাকবে না।”

“তোমার কথায় হবে নাকি।”

“হুম হবে।”

তারপর চুপ সবকিছু।এই সুন্দর পরিবেশে দুইজন দুই ভাবনা নিয়ে মগ্ন হয়ে আছে। মনের ভিতর হাজার কথা জমিয়ে থাকলেও বের হচ্ছে না।কিন্তু একজনকে তো কথা বলতে হবেই নাহলে এই নিরবতা ঘুচবে না।ফাইয়াজ নিরবতা ভেঙ্গে গলার মধ্যে নমনীয়তা বজায় রেখে বলল,

“প্রিয় আমি জানি তুমি আমার উপর অনেক অভিমান করে আছো।হয়তো এই অভিমান সহজে ভাঙ্গবে না।এত সহজে ভাঙ্গার কথাও না।তবে বিশ্বাস করো আমার কাছে এটা সঠিক মনে হয়েছে তাই করেছি।”

ফাইয়াজ লম্বা একটা নিশ্বাস ফেলে আবার বলল,

“জানি এই কথাগুলো শুনতে তোমার ভালো লাগছে না।তবে এই কথাগুলো তোমাকে শুনতেই হবে।নাহলে এই মান অভিমান কখনো শেষ হবে না।আমার পরিবারে অনেক ঝামেলা চলছিল।পারিবারিক ঝামেলা খুবই খারাপ একটা জিনিস। মাথা সবসময় খারাপ হয়ে থাকত।অকারনে সবার সাথে কঠিন স্বরে কথা বলতাম।আর তাই আমি চাইনি সেই সময় তোমার সাথে কথা বলতে যদি তোমাকে রাগের মাথায় কিছু বলে ফেলি। সেই জন্য তোমার সাথে কথা বন্ধ করেছিলাম।”

প্রিয়শা এতক্ষণ মনোযোগ দিয়ে শুনছিল সবকিছু ।প্রিয়শা বলল,

“কি এমন পারিবারিক ঝামেলা চলছিল যে কথা বন্ধ করার প্রয়োজন পরলো। ”

“সেই কারনটা আমি তোমাকে বলব না।তুমি জেনে নিও।কিন্তু প্রিয় বিশ্বাস করো আমি মানুষটা আগের মতই আছি।আগে যেমন ছিলাম এখনো তেমন আছি।”

প্রিয়শা ফাইয়াজের কথার উত্তর না দিয়ে বলল,

“ওইদিকে ওরা অপেক্ষা করছে এবার আমাদের যাওয়া উচিত।”

প্রিয়শা ফাইয়াজের কথার উত্তর শোনার আগেই সেখান থেকে প্রস্থান করলো। ”

ফাইয়াজ একদৃষ্টিতে নদীর দিকে তাকিয়ে আছে। প্রিয়শার এই অভিমান কবে ভাঙ্গবে আর তাদের কবে মিল হবে।

#চলবে………………….

(ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন, ধন্যবাদ)