হলুদ শহরের প্রেম পর্ব-০৬

0
73

#হলুদ_শহরের_প্রেম – [০৬]
লাবিবা ওয়াহিদ

–“বুইড়া হয়ে গেছিস অথচ এখনো গায়ের রক্ত গরম? এত পশ্চাতে চুলকানি হলে নিষিদ্ধ পল্লিতে না গিয়ে ভদ্র ঘরের মেয়েদের বাজে ইঙ্গিত দিলি কেন? যেটার এত অহংকার সেটা না থাকলে কী করবি?”

জয়নাল স্যারের গা জুড়ে অসহ্য ব্যথা। তার ওপর সুপ্তের মুখে বাজে কথার পাশাপাশি ‘তুই’ সম্বোধনে মনে হচ্ছে কেউ যেন তার গায়ে অদৃশ্য জ্বলন্ত কাঁটা ফুটাছে। শিক্ষকতার এই জীবনে কেউ কোনোদিন তাকে এইভাবে কথা বলেনি৷ ছোটো থেকে বৃদ্ধ সকলেই তাকে “স্যার” ডেকে সালাম দিয়ে যথেষ্ট সম্মান দিয়েছে। বহু বছর ধরে সম্মান পাওয়া লোক হঠাৎ অসম্মানের মুখোমুখি হলে যেমন লাগে তেমনই অনুভব হচ্ছে তার। নিতান্তই শিক্ষকের সম্মান ভীষণ উঁচুতে যা জয়নাল নিজ দোষে খুইয়েছে। সে তবুও ব্যথাতুর গলায় সুপ্তকে হুমকি দেওয়ার চেষ্টা করলো। কিন্তু এতে বিশেষ লাভ হলো না। উলটো গালে শক্ত এক চড় পড়ল তার। এই চড়টা দীপক মেরেছে। সুপ্ত তাতে তাচ্ছিল্যের সাথে হাসলো।

জয়নালের চারপাশে কিছু লোক দাঁড়িয়ে। সুপ্ত জয়নালের মুখোমুখি হাঁটু গেড়ে বসে বাঁকা হেসে বলল,
–“ভাগ্যিস আমার বাপ আমাকে আইন হাতে তুলে নিতে বারণ করেছে। নয়তো বিশ্বাস কর, তুই এতক্ষণে নির্ঘাত তিন হাত নিচে কবরে থাকতি। কিন্তু না, এত সহজে তোকে মারব না। যার মনে পাপের জন্য বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই তাকে তো সহজ মৃত্যু দিয়ে স্বাধীন করে দিলে চলবে না। চোখ খুলে শুধু দেখতে থাক এই সুপ্ত তোর সাথে ঠিক কী কী করতে পারে!”

জয়নাল মার খেয়েও দমলো না। সেও গলা উঁচু করে বলার চেষ্টা করল,
–“আমারও নেতাদের সাথে কম পরিচিতি নেই সুপ্ত। একটা মেয়ের জন্য এভাবে তোমরা বাপ-ছেলে মিলে আমাকে হেনস্তা করে যাচ্ছ, এত সহজে তোমাদের ছাড়ব না! সামনে না তোমার ইলেকশন? সংসদ সদস্য হবে তাই না? এখন তোমার এই অত্যাচারের কথা যদি আমি সবার সামনে ফাঁস করে দিই তখন তোমার কী হাল হবে ভেবে দেখেছ?”

বলেই জয়নাল হাসতে শুরু করলো! সুপ্ত ছোটো চোখে জয়নালের দিকে নীরবে চেয়ে রইলো। জয়নাল যেন যুদ্ধ জয় করতে নিচ্ছে। সে সুপ্তের মুখে অস্থির ভাবটা দেখতে চায়। সেটা দেখতে পেলেই জয়নালের জয় হবে।

সুপ্ত আচমকা জয়নালের সমস্ত পরিকল্পনায় জল ঢেলে হাসলো। সেই হাসি দেখে জয়নালের হাসি উবে গেল। সুপ্ত জয়নালের বাম গালে জমাট বাঁধা রক্তে আলতো করে ছুঁয়ে গলা খাদে নামিয়ে বলল,

–“সুপ্তকে এত সহজ ভাবিস না। আমি বোয়াল শিকার করি। তুই তো সেখানে সামান্য পুঁটিমাছ। আর একটাও কথা বললে তোর পশ্চাতের এমন হাল করব যে দ্বিতীয় বিয়ের শখ মিটে যাবে।”
বলেই সুপ্ত জোরে চেপে দিলো জয়নালের গাল। জয়নাল ব্যথায় আর্তনাদ করে উঠলো।

স্কুল গেটের বাইরে মিডিয়ার লোকদের দেখা যাচ্ছে। মিডিয়ার লোকেদের থেকে কিছুটা দূরত্বে দুটো পুলিশের গাড়ি। চাপা গুঞ্জনের মাঝে হঠাৎ-ই কয়েকজন পুলিশ জয়নালকে হাতকড়া পরিয়ে স্কুল থেকে বাইরে নিয়ে এলো। জয়নাল আহত। চারপাশে খবর ছড়ানো হয়েছে জয়নালের অসভ্যতামির কারণে স্কুলের বাইরেই গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছিল সে।

অতঃপর আহত জয়নালকে স্কুলের ভেতর নিয়ে গিয়েছিল কিছুটা চিকিৎসার জন্য। কিন্তু চিকিৎসার বদলে যে ভেতরে কী কাণ্ড তার সাথে ঘটেছে সেটা তো আর কেউ জানে না। চাপা গুঞ্জন এবার ভালো রকমে প্রকাশ পেলো। সব রিপোর্টার’রা ক্যামেরা নিয়ে জয়নালদের ঘিরে ধরল। সেই সুযোগে সুপ্ত, দীপককে নিয়ে সবার চোখে ধুলো দিয়ে চুপচাপ বেরিয়ে গেলো।

দীপক সুপ্তের পাশাপাশি হাঁটতে হাঁটতে বলল,
–“ওই শু*রের বাচ্চাকে ছেড়ে দিলি কেন এত সহজে? যদি এর কোনো ভাবে বেইল হয়ে যায়?”

সুপ্ত দীপকের কথায় হাসলো। আকাশে একপলক চোখ বুলিয়ে বলল,
–“সহজ কোনোকিছুই না দীপক। জানিস না, সমস্যাকে জটিল করতে আমি কত ভালোবাসি?”

দীপক বোধ হয় বুঝল সুপ্তের কথার মর্ম। পরমুহূর্তে নিজের ওপরই বিরক্ত হলো। সে কী করে ভুলে গেলো সুপ্তকে? এই ছেলে তো কঠিন ঝাল লঙ্কা। যেই তাকে ঘাটতে যাবে তারই চোখের জল, নাকের জল এক হবে।

———————-
লাঞ্চের সময়ে ক্যান্টিনে নিপুণ মুখ ভার করে কোনোরকমে কিছু একটা খেয়ে নিলো। গলা দিয়ে খাবার তো দূর, পানিও নামতে চাইছে না। একরাশ অস্বস্তিবোধ, ভীতি তাকে ঘিরে রেখেছে। মিনহাজ সাহেব স্কুলের কমিটি। তিনি কী করবেন ওই লোকের সাথে জানে না। তবে নিপুণকে যে ওই জয়নাল সহজে ছাড়বে না এটা বোঝা যায়। এর আগেও এরকম একটা ঘটনা ঘটেছিল নিপুণের সাথে। নিপুণ সেই লোককে রিজেক্ট করায় সে নিপুণকে নিয়ে আজেবাজে কথা এলাকাজুড়ে ছড়িয়েছে।

ঠিক এই কারণেই নিপুণ ছয় মাস আগে সেই স্থান ত্যাগ করেছে। এখন আবার একই ঘটনা। নিপুণ কেন এত পালিয়ে বেড়াবে ভেবে নিজের কাছেই প্রতিজ্ঞা করেছিল এবার যত যাই হয়ে যাক সে এলাকা ছাড়বে না। নিপুণ শেষ নিঃশ্বাস অবধি লড়বে। কিন্তু নিপুণ তার কথা রাখতে পারছে না। বারবার কেন যেন ভেঙে পড়ছে।

নিপুণের এখন দুশ্চিন্তা নিশাতকে নিয়ে। স্কুলে কেউ কিছু বলবে না তো? নিপুণ যে চায় না তার ভাই তাকে নিয়ে খারাপ চিন্তা নিজের মধ্যে পুষুক। এখন এমন একটা অবস্থা, এসএসসি পরীক্ষা সামনে। চাইলেও সে স্কুল চেঞ্জ করতে পারবে না। নানাবিধ দুশ্চিন্তায় নিপুণের মাথা টনটন করে ওঠে ব্যথায়। তবে সেটা কেউ-ই বাইরে থেকে নিপুণকে দেখে বুঝতে পারছে না।

নিপুণ হালকা-পাতলা খাবার খেয়ে উঠতেই তার ইমার্জেন্সি ডাক পড়ল। সে অন্যমনস্ক হয়ে ক্যান্টিন থেকে বেরিয়ে গেলো। ডেস্কের কাছে আসতেই রিয়া আজকের ব্রেকিং নিউজ সম্পর্কে জানালো। এই খবর শুনে নিপুণ আঁতকে ওঠে। স্কুল, টিচারের নাম অনুযায়ী এ তো আজকেরই ঘটনা।

নিপুণের তৎক্ষণাৎ মাথায় আসলো সে মিনহাজ সাহেবকে নিজের নাম বলেছে। ভয় যেন হুঁ হুঁ করে বেড়ে যায়। এসির মধ্যেও নিপুণের কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম দেখা দিলো। রিয়া ধাক্কালো নিপুণকে। নিপুণ চমকে হুঁশে ফিরতেই রিয়া বলল,
–“কী হলো নিপুণ? কাজটা তাড়াতাড়ি শেষ করো।”

নিপুণ গলা খাদে নামিয়ে বলল,
–“মেয়েটার কী নাম বলেছে?”

রিয়া ভ্রু কুচকে বলল,
–“কোন মেয়ে?”
–“স্যার যার সাথে..”

–“সেই বিষয়ে তোমাকে অলরেডি ডিটেইল দেওয়া হয়েছে। ফাস্ট নিপুণ, আমিও ডেস্কে যাই।”

নিপুণ কোনোরকমে ডেস্কে বসল। পিসি ওপেন হতে হতে সে একবার ডিটেইলে নজর বুলালো। কোথাও তার নাম দেওয়া নেই দেখতেই নিপুণ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো। শক্ত মনে সে রিপোর্ট কমপ্লিট করলো। রিপোর্টের কোথাও তার নাম নেই। জয়নালের গণধোলাই, গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া সব সে লিখেছে। নিপুণ লেখাটা শেষ করতেই রিয়া আরেকটি রিপোর্ট দিলো। সেখানের শিরোনাম— ঘটনাস্থলে নাকি সুপ্তকেও দেখা গিয়েছে। এটা দেখে নিপুণ চমকে যায়। কী ভেবে নিজের ফোন চেক করতেই দেখলো সুপ্তের ম্যাসেজ। মেসেজে লিখা—
–“কখন বের হবে অফিস থেকে?”

নিপুণের ভ্রু কুচকে যায়। কী ভেবে উত্তর দেয়,
–“সেটা আপনার না জানলেও চলবে।”

পরপর আবারও সুপ্তের মেসেজ।
–“এজ ইওর উইশ, নিপুণ। আমি আছি, তোমার জন্য। সবসময়।”

নিপুণের ভেতরটা কেমন যেন নড়ে গেল শেষের কথাগুলোতে। সুপ্ত যেভাবে নির্দ্বিধায় এই আশ্বাসবাণী দিলো, আদৌ কী সবকিছু এতটা সহজ? সুপ্ত যা চাইছে তা কী ঠিক? সুপ্ত আবেগী হতে পারে কিন্তু নিপুণ তো আবেগী নয়। তবুও এই মানসিক ব্যাধিতে নিপুণের খুব আবেগী হতে ইচ্ছে করলো, খুব। হয়তো সে ক্লান্ত, তাই। কিন্তু নিপুণ তার এই ধ্বংসাত্মক ইচ্ছেকে একদমই সায় দিলো না। সে নিজের কাজে পুণরায় মনোনিবেশ করলো।

——————-
কারাগারের একপাশে শিক ধরে বসে আছে জয়নাল। কতবার যে চেঁচিয়ে বলেছে তালা খুলে দিতে, অথচ কেউ তার কথা শুনলোই না। একজন শিক্ষক হয়ে পুলিশের থেকে এরকম হয়রানি, তার উপর পুরো দুনিয়া তাকে এভাবে দেখেছে ভাবতেই তার লজ্জায় গায়ে কাঁটা দিচ্ছে। এই মুখ সে কীভাবে, কোথায় লুকাবে? যেই চোখে একসময়ে সম্মান দেখত সেই চোখে আজ তাচ্ছিল্য, ঘৃণা দেখছে।

জয়নালের এই অসহায় সময়ে সুপ্ত আপেলে কামড় বসাতে বসাতে তআর সামনে এলো। জয়নাল তার উপস্থিতি টের পেতেই ঘাড় বাঁকিয়ে তাকালো। তৎক্ষণাৎ জয়নালের চোখ জোড়া গরম হয়ে যায়। সুপ্ত হালকা হেসে বলল,
–“গেস্টের কী লাগবে? চা নাকি কফি?”

সুপ্তের এহেম মশকরা জয়নালের আগুনে ঘি ঢালার মতোই হলো। সে ভীষণ তেজের সাথে উঠে দাঁড়ায়। সুপ্তকে উঁচু গলায় কিছু বলতে চাইলে সুপ্ত এবার হেসে হেসেই খুব গম্ভীর গলায় বলল,
–“আরেকবার যদি আমাকে উঁচু গলায় কিছু বলতে আসিস তোর জিভ আমি টেনে ছিঁড়ে ফেলব। তাই, সাবধান।”

জয়নাল দমে গেল সুপ্তের এহেম হুমকিতে। সে সুপ্তের ব্যাপারে আগেও শুনেছে। এই ছেলে সাধারণভাবে চলাফেরা করলেও ভয়াবহ মানসিকতার। কেউ না জানলেও জয়নাল বেশ জানে সুপ্ত কোথায় কী অকাজ করে বেরিয়েছে। জিভ টেনে ছেঁড়া নিয়ে যে সুপ্ত মশকরা করেনি সেটাও জানে। তাই মনে মনে ছক কষলো। এখন সে কিছুই বলবে না সুপ্তকে। তার স্ত্রী আসুক। স্ত্রীর ভাই বেশ বড়ো নেতা। তাকে দিয়েই সুপ্তের একটা হেস্তনেস্ত করে ছাড়বে।

সুপ্ত যেন জয়নালের মুখ-ভঙ্গি দেখেই বুঝে নিলো জয়নালের পরিকল্পনা। সুপ্ত তা বুঝে জয়নালের কিছুটা কাছাকাছি গিয়ে বলল,
–“স্বপ্ন দেখা ভালো। তবে তা বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই গুটি উলটে যাওয়া খুব কষ্টের। এন্ড, ইয়্যু উইল ফিল ইট সুন।”

জয়নাল চমকে যায় সুপ্তের এ কথা শুনে। কী বোঝাতে চাচ্ছে সে? সুপ্ত সহসা কিছু বলল না। জয়নালের জেলের বাইরে পায়চারী করে সে আপেলটা শেষ করলো। আর সঙ্গে জয়নালের গায়েও জ্বালা ধরিয়ে দিলো।

নিপুণ নিজের বাড়ির সামনে আসতেই দেখল নিশাত গেটের সামনে হেঁটে বেড়াচ্ছে। কেমন অস্থির দেখাচ্ছে তাকে। নিপুণ এতে কিছুটা চিন্তিত হয়। হঠাৎ নিশাতের তার বোনের দিকে নজর যেতেই মুখের অস্থির ভাব কমে এলো। চোখ-মুখে কিছুটা স্বস্তি ফুটিয়ে এগিয়ে এলো বোনের কাছে। নিশাত হাসি-মুখে বলল,
–“তুমি আসছ আপা? তোমার ফোন বন্ধ কেন? জানো কত ভয় পেয়ে গেছি?”

ওহ। নিশাতের অস্থিরতার কারণ তবে নিপুণ ছিল। নিপুণ তার শুকনো মুখে হাসি ফোটালো। নিশাতের গাল টেনে বলল,
–“চার্জ ছিল না। এজন্যই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তুই এখানে, এভাবে?”

নিশাতের মুখে এবার মেঘ জমলো। বোনকে আপাদমস্তক পরখ করে বলল,
–“ওই টাকমাথায় তোমার কোনো ক্ষতি করেনি তো আপা?”

টাক মাথা? নিশাত কী জয়নাল স্যারের কথা বলছে? মুহূর্তেই নিশাতের মুখজুড়ে কেমন লাল আভা ছড়াতে লাগলো। ভীষণ রেগে যাচ্ছে সে। নিশাত থেমে আবারও রাগি গলায় বলল,
–“আমি ক্লাসে ছিলাম, জানতাম না যে এই চরিত্রহীনটা তোমার সাথে খারাপ আচরণ করেছে। আগে জানলে এর টাকমাথা আমি আজ ফাটিয়েই ছাড়তাম।”

নিপুণ মন ভরে দেখে নিলো তার ভাইটাকে। ভাইটা তার কবে বড়ো হয়ে গেলো যে আজ বড়ো বোনের ছায়া হতে চাচ্ছে? ভাইয়েরা কী এমনই প্রত্যেক বোনকে নিয়ে সেন্সিটিভ? নিপুণ প্রাণচঞ্চল হেসে বলল,
–“পুলিশে ধরে নিয়ে গিয়েছে। যা করার ওরাই করবে।”

–“ধরিয়েছে কে জানো? সুপ্ত ভাই। এই সুপ্ত ভাইয়াটা না, জিনিয়াস। এত ভালো মানুষ সে। মাঝেমধ্যে ভীষণ ওনার মতো হতে ইচ্ছে করে।”

এ কথা শুনে নিপুণ দমে গেলো। নিশাত গেটের ভেতর থেকে একটা ফ্ল্যাক্স এনে বলল,
–“তুমি ভেতরে যাও আপা। আমি টং থেকে চা আনি। তোমার আর চা বানাতে হবে না। আজকে নিশ্চয়ই তুমি ক্লান্ত।”

নিপুণ হাসলো। বলল,
–“টাকা নিয়ে যা।”

নিশাতের কাছে কিছু টাকা ছিল। তবুও সে নিপুণের থেকে নেওয়ার জন্য দাঁড়ালো। নিপুণ ব্যাগ থেকে টাকা বের করে সেটা নিশাতের হাতে ধরিয়ে দিলো। নিশাতকে বলল,
–“তাড়াতাড়ি ফিরবি।”

নিশাত মাথা নাড়িয়ে চলে গেলো। নিপুণ বাড়ি ফিরতেই ফোনে একটা মেসেজ এলো তার। সুপ্ত পাঠিয়েছে। লিখেছে—
–“নিপুণ, তোমার সুন্দর হাসিকে আমি কখনো দুঃখ পেতে দিব না। শুধু তুমি আমার হয়ে যাও। দেখবে সবকিছু সুন্দর; তোমার মতো।”

নিপুণ তখন ভাবলো, হাসিদের দুঃখ বলে কী কিছু আছে? নাকি এটা ভ্রমের ছন্দ?

চলবে—