হিমাদ্রিণী পর্ব-১৮

0
2

#হিমাদ্রিণী – ১৮
লেখনীতে – আয্যাহ সূচনা

সারা পথ মনন এবং মোহের ব্যাপারে ভেবেছে মাশুক। মননের দ্বিধা তার মধ্যে জাগ্রত এক টুকরো অনুভূতি। দীর্ঘস্থায়ী হবেতো? বিচ্ছেদের এক অপ্রত্যাশিত দহন মাশুকের হৃদয়েও ঢেউ তোলে। আতঙ্ক শরীর ঠাণ্ডা করে দিলো। সিঁড়ি বেয়ে চলতে চলতে অন্যের অনুভব করলো, তার হৃদযন্ত্র ভার হয়ে উঠছে। বাড়ির দরজায় পৌঁছে হাতঘড়ির দিকে তাকায়, রাত ঠিক আটটা পঁয়তাল্লিশ। দরজা খোলার সাথে সাথে কয়েক কদম ভেতরে এসে আনমনা হয়ে বলে ওঠে,

-“হেমা কোথায়? ওর জ্বর কমেছে তো? কিছু খেয়েছে? আজ ফিরতে অনেক দেরি হয়ে গেল আমার…”

রিমা দরজা খুলেছিলো। মাশুকের এমন চিন্তিত কন্ঠ শুনে বললো,

-“ঘরে ঢুকেই বউয়ের খোঁজ করছো, তোমার বাবা মা-ও আছেন কিন্তু”

মাশুক ঘরের উদ্দেশ্যে পা বাড়িয়েও থেমে গেলো। ঘুরে কিছুটা এগিয়ে এলো রিমার দিকে। তার সাথে কথাবার্তা শুরু থেকেই কম বলে মাশুক। দেবর- ভাবির ঠাট্টা মশকরা তার পছন্দ নয় একদমই। তবে আজকাল ঠাট্টা মশকরা দূরে থাকুক ভালো ব্যবহারটা পর্যন্ত করতে পারছে না।

মাশুক জবাব দিলো,

-“সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবনীতে আমার বাবা মা সুস্থ এবং বোধশক্তি সম্পন্ন। যে অসুস্থ তার চিন্তা করছি”

-“বউ পাগল হচ্ছো দিনদিন”

-“তাহলে কার জন্য পাগল হওয়া উচিত আপনার মতে?”

রিমা কপাল কুঁচকে ফেলে। রূঢ় গলায় বলে উঠে,

-“ মাশুক আজকাল তুমি বেয়াদবি করো।আমি তোমার বড় ভুলে যাবেনা। যদিও আগে থেকেই বেয়াদব ছিলে, এখন মুখে বুলি ফুটেছে।”

মাশুক স্পষ্ট জবাব দিলো,

-“আমি বাধ্য হচ্ছি কঠোর হতে। আপনার সাথে আমার কোনো শত্রুতা নেই। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে আপনি হেমার সাথে বিনা কারণে শত্রুর মত সম্পর্ক গড়ে তুলছেন।”

-“আমি তোমার ভালো চাই তাই বলছি।”

-“ আমার ভালো চাইলে আমার স্ত্রীকে মেনে নিতেন। আমি ওর সাথে সুখী সেটা দেখার পরও কেনো মানতে পারছেন না? এটা কেমন ভালো চাওয়া ভাবি?”

মাশুকের প্রতিটি বাক্যের সামনে রিমাকে যেনো বারবার নীরবতার দেয়ালে আছড়ে পড়তে হয়।চুপ বনে যায়, কিছু বলার থাকেনা। তবু সে পিছপা হয় না। তার মনে এখনও ক্ষীণ আশা আছে, হয়তো একদিন হেমা আর মাশুকের সম্পর্কের বন্ধন আলগা হবে।

রিমাকে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মাশুক বললো,

-“আপনি নিজের যত্ন নিন। টেনশন ফ্রি থাকুন।”

বলে প্রস্থান করে সেখান থেকে। হন্তদন্ত পায়েই এগিয়ে গেলো। কেমন যেনো আনচান অনুভব করছে। হৃদযন্ত্রে শান্তি পাচ্ছে না। ভেড়ানো দরজা খুলে ঢুকে দেখলো হেমার নীরব কায়া। চোখ বুঁজে ঘুমের রাজ্যে তার অবস্থান। মাশুক ব্যাগ রাখে, হাতঘড়ি খুলে এক পা ভাঁজ করে বসলো। হেমার কপালে হাত রেখে ঠাণ্ডা সুরে ডাকলো,

-“হেমা…”

হেলদোল নেই কোনো। গভীর নিদ্রায় সে। জ্বর কিছুটা কম। মাশুক কিছু সময় কপালে হাত বুলিয়ে ফ্রেশ হতে চলে যায়।

হাত মুখ ধুয়ে বের হয়ে দেখলো হেমার চোখজোড়া পিটপিট করছে। মাশুক তোয়ালে পাশে রেখে ভালোভাবে লক্ষ্য করলো তাকে। মুখ অব্দি কম্বল টেনে আছে। চোখের পাপড়ি কাঁপছে। ঘুমের অভিনয় নয়তো?

মাশুক বললো, -“অভিনয়টা সুন্দর হচ্ছে হেমা। ক্যারি ওন”

হেমা এবার কম্বলে পুরো মুখটাই ঢেকে নিলো। মাশুক বুঝে উঠতে পারলো না এমন করার কারণ। কয়েক পা এগিয়ে আসে তার দিকে। বলে,

-“কি হয়েছে আপনার শুনি? লুকোচুরি খেলা হচ্ছে কেনো?”

হেমা হুট করেই উঠে বসে। জমিনে থাকা স্যান্ডেল পায়ে দিয়ে ঘর থেকে বিনাবাক্যে বেরিয়ে গেলো। বোকার মত চেয়ে রইলো মাশুক। ঘোল খাওয়াচ্ছে তাকে? নাকি রেগে আছে? নাকি লজ্জায়? না সংকোচ? সেও পিছু নিলো। দেখলো বাবা মায়ের ঘরে গিয়ে ঘাপটি মেরেছে হেমা। তার আর অনুমতির প্রয়োজন হয়নি। মাশুক চারিপাশ দেখে ঘরে গিয়ে দাঁড়ায়। শান্তা বেগমের পাশে বসে থাকা বিরস হেমার মুখ দেখে প্রশ্ন ছুড়লো,

-“ওর কি হয়েছে মা?”

শান্তা বেগম উল্টো প্রশ্ন করে বসলেন,

-“কি হবে? ঠিকঠাকই তো আছে। জ্বরও কমে গেছে”

মাশুক এখানে কথা বাড়ালো না। হেমাকে কি ডাকবে? নাহ থাক! মায়ের সামনে খারাপ দেখায়। হেমার মুখ দেখে বোঝা হয়ে গেছে সে আসবেও না। মাশুক কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে চলে গেলো। ভাবনায় মগ্ন হয়ে কিচেনে পা বাড়ায়।

কফির ছুতোয় মেয়েটাকে ডাকা যাবে। বাড়ি এলো কিন্তু কথা বলা হলো না। শরীর কেমন প্রশ্ন করাও হলো না। ভনিতা শুরু করেছে। মাশুক এক কাপ কফি বেশি তৈরি করলো। মুখটা গোমরা করে রেখেছে।

সারাদিনের ক্লান্তি শেষে হেমা মেডিসিনের মতই প্রয়োজন। হোক সে অবুঝ। সবকিছু বুঝতে হবে এমন কোনো কথা নেই। সেই মেডিসিনকে কাছে ডাকতে কফি নিয়ে মায়ের ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করে,

-“হেমা, কফি করেছি। খাবে?”

হেমা মুখ ফিরিয়ে নিলো। তার ভঙ্গিতে কোনো বাচ্চামো নেই। একজন স্বাভাবিক নারী যেরূপ রেগে থাকে ঠিক তেমনই। বিষয়টা আরো ভাবালো মাশুককে। ছলনা করে অভিমান, ইচ্ছেকৃত রেগে থাকা সেসবই মাশুক বুঝে। মুখ দেখে মন পড়তে শিখে গেছে হেমার। আজ তার মুখ মলিন। বিষয়টা গুরুতর।

মাশুক পূনরায় প্রশ্ন করে, -“এসো কফি খাবে।’

হেমা শান্তা বেগমের দিকে চাইলো। নরম স্বাভাবিক গলায় বললো,

-“আমি কফি খাবো না নতুন মা। আমি কি একটু তোমার কাছে ঘুমাতে পারি?”

অদ্ভুত বৈকি! কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে হেমার এই পরিবর্তন মোটেও প্রত্যাশিত না মাশুকের কাছে। নাহ! এটা অভিমান নয়; অন্তর বারবার বলছে এই রাগের অন্তরালে গভীরতর কারণ আছে। মাশুকের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় এই আভাসকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে উপলব্ধি করছে। হেমার দিকে তাকিয়ে দেখলো তার রক্তশূন্য, নিষ্প্রাণ মুখশ্রী। দৃষ্টি মাশুকের ওপর এসে স্থির হতে চাইছে আবার দ্রুত সরে যাচ্ছে। মুহূর্তেই মাশুক ফিরে যায় ঘরের ভেতরে।

মাশুক স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে, কোমরে দু’হাত রেখে চারপাশে অস্থির দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর যেন নিজেই নিজের সাথে বোঝাপড়া করলো। প্রশ্ন করলো নিজেকেই,

-“কেনো এভাবে উতলা হয়ে উঠছি আমি? কোথায় গেলো আমার সেই ধৈর্য, সেই সংযম?’

গুরুত্বহীন চালচলন, যেকোনো পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক ও নির্লিপ্ত থাকা তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে পড়ে। হেমার ক্ষেত্রে তার এই বৈশিষ্ট্য আর খাটছে না। নিজেকে ভিন্ন রূপে দেখছে আয়নায়।

-“অল্প সময়ের উপেক্ষাও সহ্য করতে পারছিস না!”

রাতের নিস্তব্ধতায় খাবারের ডাক পড়তেই মাশুক ধীরপায়ে টেবিলে এসে বসলো। এতক্ষণ অব্দি ঠিক আগের মতই নিজের ঘরে একাকী শুয়ে ছিলো। টেবিলের ঠিক কেন্দ্রে বসে আছে হেমা।জহির সাহেব এবং শান্তা বেগমের মধ্যে জায়গাটা বেছে নিয়েছে। নিশ্চয়ই মাশুকের কাছ থেকে বাঁচতে। চুপচাপ, নির্ভার চাহনিতে যেন অব্যক্ত কিছু আছে। জহির সাহেব মমতামাখা হাতে পরম যত্নে মাছের মাথাটা তুলে দিলেন দুই বধূর পাতে।যেন কেউ অপূর্ণ, অমর্যাদা অনুভব না করে। হেমা নিরুৎসাহ মুখে নীরব হাত বাড়িয়ে দিলো ভাতের প্লেটে। চোখের কোণে অনাদৃত বিষাদ। জহির সাহেব হেমার উদ্দেশ্যে বললেন,

-“খেয়ে নাও মা, না খেলে শরীর যে আরও অসুস্থ হয়ে পড়বে।”

-“ ভালো লাগছে না। অন্যকিছু খাবো।”

মাশুক সবাইকে পিছনে ফেলে দ্রুত প্রশ্ন করলো,

-“কি খাবে? গোশত দিবো?”

হেমা জহির সাহেবের দিকে চাইলো। বললো,

-“ আমাকে গোশত দাও। লেগ পিস খাবো।”

মাশুকের গলায় ভাত যেন বিঁধে রইলো। তার নজর থেমে আছে হেমার শান্ত অথচ নির্লিপ্ত মুখের দিকে। নিজেকে কোথাও যেন অপ্রয়োজনীয় মনে হলো।তার কাছে চাইলে কি সে দিতো না? কেন এড়িয়ে চলছে হেমা? অপরাধটা কি?

মৃদুল হুট করে প্রশ্ন করে,

-“আদৌ সুস্থ হবেতো? নাকি সারাজীবন এভাবেই চলবে?”

এক যন্ত্রণা কি কোনোভাবে কম ছিলো ,যে তার ভাইও এসে জুড়ে বসলো। মাশুক রিমার দিকে তাকালো। দুজনের মিলিত পরিকল্পনা স্পষ্ট বোঝা যায়। জহির সাহেব মাশুকের দিকে একবার তাকিয়ে মৃদুলের উদ্দেশ্যে বললেন,

-“খাওয়ার সময় এত কথার দরকার নেই।”

মৃদুল বললো,

-“এই একটা কারণে আমাদের মধ্যে সম্পর্কে দুরত্ব আসছে বাবা। আপনি কি লক্ষ্য করেছেন? যে যার মতো থাকে। কেউ কারো ধার ধারে না।”

মাশুক নরম গলায় জবাব দিলো,

-“আগেও এমনই ছিলো ভাইয়া। এখানে দোষ আমারই বেশি। আমি নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলাম এবং রেখেছি।”

মৃদুল তাচ্ছিল্যের স্বরে বললো,

-“আমাদের সাথে আরো দুরত্ব হয়েছে এই মেয়ের কারণে।”

মাশুক তড়িঘড়ি অবশিষ্ট খাবার গিলে, দ্রুত হাত ধুয়ে নির্জন ঘরে ফিরে গেলো। তর্ক করার জো নেই আপাতত। অন্তরটা ক্ষতবিক্ষত হলেও আপাতত নিজেকে সংযত রাখাই তার প্রয়োজন। মস্তিষ্কের উদ্রেকিত স্রোতকে সামলাতে এক চিলতে প্রশান্তির খোঁজে নিজেকে একাকী ঘরের বাতি নিভিয়ে বারান্দায় গিয়ে বসে।

বারান্দার নিস্তব্ধতায় কখন ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে গেছে, তার হিসেব নেই মাশুকের। সে ছিলো জীবনের জটিল গাণিতিক অঙ্কে বিভোর।ভেবেছে শুরু থেকে সবটা। মধ্যে শান্তনুর সাথে আলাপচারিতায় ঘড়ির কাঁটা বারো ছুঁইয়ে ফেলে।

ঘরে ফিরেই আলো জ্বালাতেই চোখে পড়লো এক নারীমূর্তি।নিঃশব্দে কোণায় কম্বল মুড়িয়ে গুটিসুটি হয়ে শুয়ে আছে। মাশুক বিস্ময়ে এগিয়ে গেলো দ্রুত পায়ে। হেমা কখন এলো?

হেমার পাশে বসে ডেকে বললো,

-“জেগে আছো?”

হেমা নির্বাক,নিরুত্তর। মাশুক ফের প্রশ্ন করে,

-“তোমার কি বেশি খারাপ লাগছে?”

হেমার দেহে সামান্য নড়চড় দেখা গেলেও এখনও সে নীরব। উল্টো ঘুরে শুয়ে থাকা হেমার দিকে সামান্য ঝুঁকে প্রশ্ন করলো,

-“আমার সাথে কথা না বলার কারণটা কি জানতে পারি? কোনো অন্যায় করেছি আমি? তোমাকে কষ্ট দিয়েছি?”

মাশুকের তিলে তিলে গড়ে তোলা ধৈর্যের দুর্গ যেন মুহূর্তেই ভেঙে পড়েছে।জবাব না পেয়ে মুখের রেখাগুলো কঠিন হয়ে উঠলো তার। হঠাৎই হেমার বাহু ধরে তাকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে দেয়। প্রখর গভীর এবং কণ্ঠ রাগে ভারী।বলে উঠলো,

-“সমস্যা কি, হেমা? কখন বাড়ি ফিরেছি, তখন থেকে এড়িয়ে যাচ্ছো আমাকে। আমি কথা বললে কোন জবাব দিচ্ছো না। কতবার বলেছি, মনে রাগ, কষ্ট যাই থাকবে সেটি সরাসরি বলতে।অভিমান রাখতে চাইলে সেটাও বলবে! অভিনয় করার কোনো প্রয়োজন নেই। আই ক্যান রিড ইউর ফেস! বিষয়টা গুরুতর কিছু, তাই না? কী লুকাচ্ছো বলো আমাকে?”

মাশুক জানত যে কোনো জবাব আসবে না। একপলকে হেমাকে টেনে বুকে জড়িয়ে নিলো জোরপূর্বক।মূর্তির ন্যায় হয়ে আছে হেমা। অধিকার খাটালো নিজের সাথে মিশিয়ে রেখে। কঠিন আদেশের সুরে বলল,

-“শান্ত হয়ে শুয়ে থাকবে, বুঝেছো? তোমার এই যন্ত্রণা আমি কিছুতেই আর সহ্য করবো না বলে দিচ্ছি! সন্ধ্যা থেকে নাটক দেখছি তোমার। এসব কৌশল আমার সহ্যের সীমা পেরিয়ে গেছে। আমি ফিরলে আমার পাশে থাকা তোমার জন্য বাধ্যতামূলক,কোনো টালবাহানা চলবে না। তোমার ইচ্ছে থাকুক আর না থাকুক,আমার এতে কিছু যায় আসেনা।…. আমাকে পেয়েছো কি তোমরা? যে যেভাবে পারছো চড়াও হচ্ছো আমার উপর! এভাবে চলতে থাকলে আমিই মানসিক ভারসাম্য হারাবো। আমাকে শান্তি দাও, প্লিজ!”

মাশুক ধীরে চশমাটা খুলে চোখ বুজলো। বক্ষস্থলে আগলে রাখা হেমার উপস্থিতি হৃদয়ের অতল ছুঁয়েছে। আজকের এ সংস্পর্শ গভীরতর। ঝড় শেষে প্রকৃতি যেমন সৌন্দর্য ছড়ায়, তেমনি এই দূরত্বের পর সান্নিধ্য প্রশান্তিদায়ক। হেমার চুলের মুগ্ধকর সুবাসে আশ্রয় খুঁজে পেলো। মস্তিষ্ক শান্ত হয়ে আসে,সাথে চোখ ভার।

মিনিট দশেক পর মৃদু কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রশ্ন এলো,

-“আমাকে আমার বাবা মায়ের কাছে যেতে দিচ্ছো না। নিজের কাছে আটকে রেখেছো জোর করে। আমিতো তাদের কাছে যেতে চাই।… তুমিও কি ওই খারাপ লোকগুলোর মতো? আমাকে মেরে ফেলবে?”

চলবে….