হৃদয়স্পর্শী মায়াবিনী পর্ব-০৭

0
139

#হৃদয়স্পর্শী_মায়াবিনী
#নুসাইবা_ইসলাম_হুর (মিমি)
#পর্বঃ৭

আচমকা মাথা ঘুরে চোখের সামনে সব কিছু অন্ধকার হয়ে আসলো। ফারিসতা মাথায় হাত দিয়ে চোখমুখ খিঁচে বন্ধ করে ফেললো। মাথা ঘোরার সাথে অনুভব করলো কোমরে চিনচিন ব্যথা তার মানে দীর্ঘসময় ধরে এই চেয়ারে ও বসা ভাবতে ফারিসতা চোখ খুলে চকিত দৃষ্টিতে থাই গ্লাস ভেদ করে বাহিরে তাকিয়ে বুঝে উঠতে চাইলো কতটা সময় পেরিয়ে গিয়েছে। বাহিরে তপ্ত রোদের আলোয় বুঝতে সক্ষম হলো দুপুর হয়ে গিয়েছে। সকালের সেই গুড়িগুড়ি বৃষ্টি থেমে গিয়ে এখন তীব্র রোদে সব ফেটে পড়ছে। তার মানে এতো সময় ধরে ও এখানে আছে ভাবতে ফারিতার চোখ কপালে উঠে গেলো। ফারিসতা দিক বেদিক ভুলে তড়িঘড়ি করে সামনে এগোতে নিলে আবার চোখের সামনে সবকিছু অন্ধকার হয়ে আসলো। আচমকা শরীরের সব শক্তি যেনো ফুরিয়ে গেলো যে সামনে কদম ফেলবে তো দূরের কথা নিজের শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতেই হিমশিম খাচ্ছে। অনেক চেষ্টা করেও নিজের শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সক্ষম হলো না। আচমকা শরীরের ভাড় ছেড়ে দিতে যেই পড়ে যেতে নিবে তার আগে কেউ ধরে ফেললো।

কথা বলতে বলতে পাপন আর মাহিম দরজা ভেদ করে রুমে প্রবেশ করতে দুজনের চোখ কপালে উঠে গেলো। রুমে প্রবেশ করে এমন বিস্ময়কর কিছু দেখে হতভম্ব হয়ে গেলো দুজন। দুজন এক সাথে সামনে তাকাচ্ছে আবার একে অপরের দিকে তাকিয়ে বুঝে উঠতে চাইলো ওরা কি সত্যি দেখছে নাকি ভুল দেখছে। ওদের থেকে কিছুটা দূরে তাজের বাহুডোরে একটা মেয়েকে দেখে দুজন যেনো আকাশ থেকে পড়লো। শুধু এতেই শেষ না যখন মেয়েটার চেহারা স্পষ্ট হলো তখন দুজনের চোখ গোল গোল হয়ে গেলো যেনো আরেকটু হলে চোখের কোটর থেকে চোখ বেরিয়ে আসবে।

এদিকে ফারিসতাকে পড়ে যেতে দেখে আচমকা তাজ ওকে বাহুডোরে আগলে নিলো। ফারিসতাকে বাহুডোরে আগলে নেওয়ার সাথে সাথে থমকালো তাজের হার্টবিট। আচমকা এমন হওয়াতে চমকালো তাজ। ও কেনো এই মেয়েকে পড়া থেকে এভাবে বাঁচালো? ও তো কোনো কিছুই পরোয়া করে না তাহলে আজ হঠাৎ কি হলো ভাবতে তাজ তাকালো ফারিসতার দুর্বল মুখশ্রীতে। সবার আগে চোখ যেয়ে ঠেকলো কপালের কোনের সেই ব্যান্ডেজের দিকে যেটা ওর দেওয়া আঘাতের চিহ্ন। তারপর চোখ যেয়ে ঠেকলো মৃদু কাঁপতে থাকা চোখের ঘনো পাপড়ির উপরে। তাজ একে একে ফারিসতার পুরো মুখ নিখুঁত ভাবে অবলোকন কছিলো তখন চোখ যেয়ে থমকালো ভ্রুর পাশে লালচে তিলটার দিকে।

দীর্ঘসময় একি ভাবে বসে থাকার জন্য হঠাৎ ওঠার সাথে সাথে ফারিসতার মাথা ঘুরে উঠেছিলো যার জন্য শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলো। আস্তে আস্তে মাথা ঘোরার রেশ কাটতে ফারিসতা পিটপিট করে চোখ খুলতে বুকের ভিতর ধক করে উঠলো। তাজকে এভাবে ওর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে আচমকা বুকের ভিতর ধক করে উঠলো। সাথে ও তাজের বাহুডোরে আছে খেয়াল হতে পুরো শরীর কাটা দিয়ে উঠলো। কানের কাছে ভেসে আসলো মৃদু হার্টবিটের শব্দ। ফারিসতা চোখমুখ খিঁচে তাজকে ধাক্কা দিয়ে নিজের থেকে ছাড়িয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বড় বড় করে নিঃশ্বাস নিতে লাগলো।

আচমকা ফারিসতার ধাক্কায় ঘোর থেকে বের হলো তাজ। হঠাৎ করে কেমন ঘোরের মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছে ভাবতে তাজের মাথা এলোমেলো ঠেকলো। পরক্ষণে সব ভাবনা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে তাজ পাশে থাকা পানির বোতলটা ফারিসতার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে রাশভারী কণ্ঠে শুধালো,

দীর্ঘসময় একি ভাবে বসে থেকে হঠাৎ ওঠার জন্য শরীরে পোশ্চারাল হাইপোটেনশানের ইফেক্ট পড়েছে। চোখমুখে পানি দেও ঠিক হয়ে যাবে…

লাগবে না থতমত গলায় কথাটা বলে ফারিসতা পিছু ঘুরে হাঁটা দিলো। সাব্বিরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সমন দাঁত কটমট করে সাব্বিরের দিকে তাকিয়ে মনে মনে শুধালো সবকিছু তোর জন্য হয়েছে। একবার শুধু তোরে বাগে পাই চান্দু তারপর দেখাবো মজা।

ফারিসতাকে যেতে দেখে তাজ চোখের ইশারায় আরফিকে জানান দিলো ওর সাথে যেতে। তাজের ইশারা পেয়ে এতক্ষণের অবাকতা কাটিয়ে আরফি ফারিতার সাথে গেলো। ফারিসতা কেবিন থেকে বেরিয়ে চারেদিকে চোখ বুলিয়ে ভাবতে লাগলো কোন দিকে গেলে মেইন ডোর পাবে তখন পিছ থেকে আরফি বলে উঠলো আমার পিছে আসো এ বলে ডান দিকে হাঁটা দিলো। ফারিসতা ও কোনো বাক্য বিলম্ব না করে আরফির পিছু পিছু গেলো। যদিও আরফিকে দেখে ওর খুব রাগ লাগছে কিন্তু এখান থেকে আগে বের হতে হবে তাই চুপচাপ আরফির পিছু পিছু যেতে ক্লাব থেকে বের হয়ে মেইন রোডে পৌঁছালো। মেইন রোডের কাছে আসতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো ফারিসতা।

আরফি একটা গড়ির কাছে যেয়ে ফারিসতার উদ্দেশ্যে বলে উঠলো, এই মেয়ে এই গাড়িতে ওঠো পৌঁছে দিয়ে আসবো।

আরফির কথায় ফারিসতা চোখ পাকিয়ে আরফির দিকে তাকিয়ে খ্যাক করে বলে উঠলো লাগবে না।

হঠাৎ ফারিসতাকে এমন খ্যাক করে উঠতে দেখে ভড়কালো আরফি। মনে মনে শুধালো এই মেয়ে তাজের চেয়ে কোনো অংশে কম না। আরফি নিজেকে সামলে বলে উঠলো,

মেয়ে মানুষের এতো রাগ ভালো না। মেয়ে মানুষ নরম হবে ছেলেদের সাথে কেনো লড়তে যাও? তোমার ভাগ্য ভালো তাজ এবারের জন্য ছেড়ে দিয়েছে তোমায়। এবার কথা না বাড়িয়ে চুপচাপ গাড়িতে ওঠো।

আরফির কথায় ধাও ধাও করে মাথা জ্বলে উঠলো ফারিসতা। ফারিসতা তেড়ে আরফির সামনে যেয়ে বৃদ্ধাঙ্গুল তাক করে আরফিকে শাসিয়ে বলে উঠলো,

একদম জ্ঞান দিতে আসবেন আমায়। মেয়ে মানুষ নরম হবে যাতে আপনাদের মতো গুন্ডারা মেয়েদের হ্যাড়াস করবে আর সেটা মুখ বুজে সয়ে যাবে এটাইতো চান? আপনাদের ওই তাজ ফাজকে আমি ফারিসতা ভয় পাই না।

হঠাৎ ফারিসতা এমন তেড়ে আসায় ধড়ফড়িয়ে উঠলো আরফি। ওতো ভালোয় ভালোয় কথাগুলো বলেছে আর মেয়ে ওকে শাসাচ্ছে সেই কথার পৃষ্ঠে। এই মেয়ের সাহস আছে বলতে হবে। যেখানে ওদের ভয়ে সবাই চুপসে থাকে সেখানে এই মেয়ে সাব্বিরকে তো মেরেছেই সাথে এখন ওকে শাসাচ্ছে। অথচ সেদিন দুটো ধমক দিয়েছিলো তাতে এই মেয়ের জ্ঞান হারানোর মতো অবস্থা হয়েছিলো। সেদিনের দেখা সেই ভিতু মেয়েটা যে এতটা ডেঞ্জারাস হতে পারে কল্পনাও করেনি। কথাগুলো ভেবে আরফি ফারিসতার উদ্দেশ্যে বলে উঠলো,

দেখো মেয়ে….

আর কিছু বলার আগে ফারিসতা আরফিকে থামিয়ে দিয়ে বলে উঠলো, ভুলে যাইনি আপনি সেদিন আমাকে দুই দুইটা ধমক দিয়েছেন। আমি মোটেও ইচ্ছুক নই আপনার কথা শোনার এ বলে আরফিকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে একটা রিক্সায় উঠে চলে গেলো।

আরফি ফারিসতার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে বলল, এতো দেখি তাজের চেয়েও এক ধাপ এগিয়ে।

এদিকে তাজ বসে আছে আর ওর দিকে বাঁকা চোখে তাকিয়ে মাহিম বলে উঠলো, মামা এই মেয়ে এখানে কেনো? তার মানে সত্যি তোর এই মেয়েকে ভালো লেগেছে? সিরিয়াসলি? তাহলে অবশেষে আমরা ভাবীর দেখা পেলাম।

মাহিমের কথা শেষ হতে না হতে পপন কাঁদো কাঁদো ফেইস করে বলে উঠলো, ভেবেছিলাম এই মেয়েকে পটাবো তা নিয়ে এই কয়দিন কত কল্পনা ঝল্পনা করলাম সব কিছু বৃথা গেলো। যাকগে তোর এই মেয়ে পছন্দ হয়েছে মানে এই মেয়ে তোর। অবশেষে আমাদের রগচটা বন্ধু আমাদের ভাবী আনার ব্যবস্থা করছে ভাবতেই খুশি খুশি লাগছে।

মাহিম আর পাপনের কথোপকথন শুনে তাজ দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠলো এক লাইন বেশি বোঝার জন্য দুটোর কানের নিচে দিবো এখন। দুইটা গাধা পালি, তোরাতো এক লাইন না দশ লাইন বেশি বুঝস।

তাজের কথা গায়ে না মেখে পাপন বলে উঠলো কথা ঘুরিয়ে লাভ নেই মামা। অবশেষে ভাবির দেখা পেলাম এই খুশিতে আজ ঝাকানাকা পার্টি হবে।

ওই মেয়ে যদি ভাবি হয় তাহলে খুশি হওয়া তো দূরের কথা উল্টো জীবন বরবাদ হয়ে যাবে পাশ থেকে বলে উঠলো সাব্বির।

সাব্বিরের কথায় মাহিম আর পাপন এক সাথে সাব্বিরের দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকিয়ে বলে উঠলো, মানে?

ফারিসতা কি কি করেছে শুরু থেকে সবটা খুলে বলতে মাহিম আর পাপন এক সাথে হো হো করে হেঁসে উঠে তাজের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো একদম খাপে খাপ। তোর জন্য ওই মেয়েই পারফেক্ট। আমাদের ভাবী হিসেবে ওই মেয়েকে ১০০% গ্রহণ করে ফেলেছি।

মাহিম আর পাপনের দিকে দাঁত কটমট করে তাকিয়ে তাজ বলে উঠলো আমি ওখানে আসলে কিন্তু দাঁত একটাও মুখে থাকবে না।

তাজের হুমকিতে মাহিম আর পাপন দ্রুত মুখে হাত দিয়ে ফেললো। বলা যায় না কখন আবার সত্যি সত্যি এসে দাঁত গুলোর অক্কা পাইয়ে দেয়।

****
ফারিসতা বাসায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় দুইটা বেজে গেলো৷ ফারিসতা লিফট থেকে তড়িঘড়ি করে বের হয়ে দরজায় তালা দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো। এতক্ষণ মনে মনে এই ভয় পাচ্ছিলো ফারজানা বেগম বাসায় ওর আগে এসে পড়লে এক গাদা বকুনি খাওয়া লাগবে। ইতিমধ্যে ওর অবস্থা বেহাল। দুই হাতের কব্জি লাল হয়ে আছে যেটা সবার আগে ফারজানা বেগমের থেকে লুকাতে হবে। তিনি যদি কোনো রকমে জানতে পারে ও আবারো ছেলেদের সাথে ঝামেলা করেছে তাহলে ওর আর রক্ষা নেই ভাবতে ফারিসতা দ্রুত তালা খুলে বাসায় প্রবেশ করে শাওয়ার নিয়ে ফুল হাতার জামা পড়ে নিয়েছে হাতের দাগ লুকোনোর জন্য। এই গরমের ভিতরে ফুল হাতার জামা পড়ে মনে হচ্ছে আগুনের ভিতর ঝাপ দিয়েছে। কিন্তু কিছু করার নেই তাই আপাতত গরমটা হজম করে নিলো।

ফারিসতার ভাবনার মাঝে ওর ফোন বেজে উঠলো। ফারিসতা ফোন রিসিভ করতে কেউ ঝাঁজালো কণ্ঠে বলে উঠলো এতক্ষণে তোর ফোন রিসিভ করার সময় হলো? সকাল থেকে ফোন করতে করতে আমার জানটা বেড়িয়ে গেছে। আজ প্রথম ক্লাস ভার্সিটিতে যাওয়ার কথা বলেও কেনে আসছ নাই? আসবি না ভালো কথা সেটা আমাকে জানাবি না? তুই জানোস আজ এই অচেনা ভার্সিটিতে একা গিয়ে আমার কি নাজেহাল অবস্থা হয়েছে?

ফোন রিসিভ করতে রাশফিয়ার এক নাগালে এতো এতো ঝাড়ি খেয়ে ফারিসতা চোখমুখ কুঁচকে বলে উঠলো,

বইন থাম একটু আমাকে কিছু বলার সুযোগ দে আগে।

ঝাঁজালো কণ্ঠে রাশফিয়া ফের বলে উঠলো, কি বলার সুযোগ দিবো তোকে? তুই আসবি না এটা আমাকে জানাবি না? আজকের দিনটা আমার কেমন এতিমের মতো কেটেছে তুই জানস?

বইন তোর নাকে ধরি আগে আমাকে কিছু বলার সুযোগ দে। আজ ভার্সিটিতে যাওয়ার জন্য বের হয়েছি মাঝ রাস্তা বেজেছে বিপত্তি। এই কিছুক্ষণ আগে আমি বাসায় ফিরলাম।

ফারিসতার এবারের কথায় রাশফিয়া রাগ ভুলে বিচলিত হয়ে বলে উঠলো,

তুই ঠিক আছিস ফারু? রাস্তয় কি হয়েছে? এক্সিডেন্ট করেছিস? আন্টিতো এখন অফিসে বাসায় একা তুই? তোর বাসার ঠিকানা দে আমি এখনি আসছি।

রাশফিয়াকে এমন উল্টা পাল্টা বকতে দেখে ফারিসতা ধমকে বলে উঠলো, চুপ থাক খালি এক লাই বেশি বুঝে। এক্সিডেন্ট করতে যাবো কোন দুঃখে? ঘটেছে অন্য ঘটনা।

ফারিসতা এক্সিডেন্ট করেনি শুনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে রাশফিয়া বলে উঠলো ভয় পাইয়ে দিয়েছিলি আমায়। বল এবার কি হয়েছে।

এতকিছু ফোনে বলা যাবে না বিকেলে দেখা করছি তোর সাথে তখন বলবো এখন ফোন রাখ খিদায় আমার পেটের ভিতর ইদুর দৌড়াচ্ছে আগে কিছু খেয়ে নেই।

রাশফিয়া আচ্ছা বলে ফোন রাখতে স্মিত হাসলো ফারিসতা। ওর মায়ের পরে এই একটা মেয়ে যে ওর সবচেয়ে আপন। যেই মেয়েটা ওকে ওর মায়ের মতো নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবাসে। ফারিসতারা যখন ঢাকা ছেড়ে সিলেটে পারি জমিয়েছিলো তখন সেই স্কুল থেকে রাশফিয়ার সাথে ওর পরিচয়। ফ্রেন্ড থেকে বেস্ট ফ্রেন্ড আর এখন যেনো একে অপরের প্রাণ। দু’জনেই বেশ ভালো স্টুডেন্ট হওয়ায় জন্য দু’জনেই এক সাথে ডাবিতে চান্স পেলো। ফারিসতার সাথে ওর মা ও চলে আসলো ঢাকা। আর রাশফিয়া উঠলো হোস্টেলে। ওদের যেহেতু জয়েন ফ্যামিলি তাই ওকে একাই পারি জমাতে হলো সেলেট থেকে ঢাকা। এইতো সপ্তাহখানেক হলো ওরা ঢাকা আসলো। এর ভিতরে ভার্সিটির সব কিছু গোছগাছ করতে করতে রাশফিয়াকে ওদের বাসায় আনার এখনো সুযোগ হয়ে ওঠেনি তাই রাশফিয়া ওর বাসার ঠিকানা এখনো জানেনা। কথাগুলো ভেবে স্মিত হেঁসে ফারিসতা খেতে চলে গেলো।

#চলবে?

ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
হ্যাপি রিডিং….🥰