হৃদয়ে লাগিল দোলা পর্ব-৪০ এবং শেষ পর্ব

0
290

#হৃদয়ে_লাগিল_দোলা 🫶
#নুসাইবা_জান্নাত_আরহা
#পর্ব৪০ [অন্তিম মুহুর্ত]

-‘ কি করছো শাশুড়ি আম্মু?

সপ্তবর্ষী এক বাচ্চার মুখে পরিচিত সেই ‘শাশুড়ি আম্মু’ ডাকটা শুনে থমকে গেলাম আমি। আড়চোখে মেয়েটার দিকে ফিরে চাইলাম একবার। মেয়েটা আর কেউ নয় আমার একমাত্র ভাইয়ের মেয়ে ‘আলিশা খান’।

নিজের মেয়ের মুখে এমন কথা শুনে পাশে থাকা আয়ুশী ভাবি চোখ পাকিয়ে তাকায় ওর দিকে। মায়ের এমন চাহনি দেখে ভয়ে চুপসে যায় আলিশা। যে পথ দিয়ে এসেছিল তাই সে পথ ধরেই চলে যায় আবার। ওর যাওয়ার পানে একপলক চেয়ে পুনরায় নিজের কাজে মনোযোগ দিলাম। বেলা গড়িয়ে দুপুর হতে চলল তবুও রান্না এখনো একভাগও শেষ হয়নি। হাত চালিয়ে রান্নাটা সেরে ছেলেমেয়েগুলোকে তো আবার খাবার দিতে হবে! তাছাড়াও আজ উইকেন্ড ডে বলে বাড়ির পুরুষরাও বাড়িতে রয়েছে!

আমার কাজে ব্যাঘাত ঘটিয়ে আয়ুশী ভাবি বলে উঠল

-‘ কিছু মনে করো না মেহরুন। ছোট মানুষ তো তাই ভুলভাল বলে ফেলছে। ঘরে গিয়ে ওকে আচ্ছা করে বকে দিব আমি।

আয়ুশী ভাবির কথায় সূক্ষ্ম হাসলাম আমি। পুরোনো স্মৃতি আবারও মনে পড়ে যায় আমার! চোখের নিমেষেই কতোগুলা বছর কেটে গেল! ভাবতেই চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। একসময় আমি, রিশতা আর অরনী মিলে ডেয়ার খেলতে গিয়ে এই কাণ্ড বাঁধিয়েছিলাম। ভাবতেই আবারও অধরের কোণে এক চিলতে হাসি ফুটে ওঠে। কেউ যে আলিশাকে এসব শিখিয়ে দিয়েছে তা বুঝতে বেগ পেতে হয়না আমার, কেননা এ পথ আমিও পাড়ি দিয়ে এসেছি।

..

সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে বেশ অনেক কিছুর পরিবর্তন ঘটেছে। চোখের নিমেষে গরিয়েছে বেশ অনেক খানি বছর! এখন আমি আর সেই আগের মতো কিশোরী বা তরুণী নই, তারুণ্যের খোলস ছেড়েছি সেই কবেই! যদিও যথাযথ যত্নের দরুন দেখলে মনে হয় এখনও সেই আগের মতোই রয়েছি! তবে বর্তমানে আমি জমজ পুত্র-কন্যার জননী। আদ্রিশ আর আমার বিয়ের কয়েকবছর ঘুরতেই, যেদিন কনসিভ করেছিলাম সেইদিন আদ্রিশ আমায় কোলে নিয়ে পুরো ছাঁদে দৌঁড়ে বেরিয়েছিল। আদ্রিশের স্বপ্ন ছিল পুরো একটা ফুটবল টিম বানানোর, যেন যেদিকে তাকায় সেদিকেই আমাদের ছানাপোনারা নজরে পড়ে! তবে রিপোর্টে যখন দেখে গর্ভে দুটি ভ্রুণের অস্তিত্ব তখন থেকেই তার মুখটা কেমন পাংশুটে হয়ে যায়। আমায় নিয়ে নানান শঙ্কায় জর্জরিত হয়ে ওঠে আদ্রিশের মন! এমনকি তাকে আমার পুরো প্রেগন্যান্সির সময়টায় পাশে পেয়েছিলাম! বাসায় যতটুক সময় সে থাকত আমায় সাহায্য করত সাথে মা, মামনি আর আয়ুশী ভাবি তো রয়েছেই। একটা মেয়ে তো ঠিক এমনটাই চায়।

ওদিকে আহির আর রিশতার গ্রাজুয়েশন কম্পিলিট হওয়ার পরপরই বাড়িতে ওদের ব্যাপারে সব জানাই। বলাবাহুল্য রিশতা আর আহির উভয়েই ‘খুলনা ইউনিভার্সিটি’ থেকে ইংরেজি ডিপার্টমেন্টে পড়েছে। বর্তমানে দুজনেই এখন ইংরেজি ডিপার্টমেন্টের টিচার। পরবর্তীতে অবশ্য শত নাটকীয়তার পর ওদের ভালোবাসা পূর্ণতা পেয়েছিল। এজন্য রিশতা কৃতজ্ঞতায় আমায় জড়িয়ে ধরে অনেক কেঁদেছিল সেদিন। ওদের বিয়ের দিন তো রিশতা ‘কালা চাশমা’ গানে কালো রঙের সানগ্লাস পরে ধুমিয়ে নেচেছিল। আমি তখন নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা! আদ্রিশ ছুটি নিয়েছিল আমার দেখভালের জন্য। ওদের বিয়ের পাঠ চুকতেই, সেরাতে লেবার পেইন ওঠে, অবস্থা বেগতিক দেখে আদ্রিশ তড়িঘড়ি করে এম্বুলেন্সে কল দেয়। এম্বুলেন্স আসতেই আমায় কোলে করে নিয়ে দ্রুত হসপিটালে রওয়ানা দেয়।

সবার চোখেমুখে চিন্তার ছাপ! আদ্রিশ ততক্ষণে আমার সাথে সাথে নিজেও অপারেশন থিয়েটারে চলে এসেছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটানুযায়ী সাধারণত ওটিতে ডাক্তার-রোগী ব্যতিত অন্যকারো প্রবেশ নিষিদ্ধ তবে আদ্রিশের ক্ষেত্রে ভিন্ন চিত্র! কারণ ডাক্তার হওয়ার সুবাদে এবং ফ্রেন্ডের হসপিটাল হওয়ায় তার অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশের সুযোগ হয়েছে।

অপারেশনের পুরোটা সময় সে আমার পাশে থেকে আমায় সাহস জুগিয়েছে। ফলে তার কারণে আমি ভীত মনে সাহস সঞ্চয় করতে সক্ষম হয়েছি। অবশেষে শত কষ্ট, শত ব্যথার পর দুনিয়ার আলো দেখে দুটি ছোট্ট প্রাণ! আদ্রিশ আর কাল বিলম্ব না করে বাচ্চার কানের কাছে মুখ নিয়ে আযান দিয়ে দেয়। পরবর্তীতে বাচ্চাদের ব্লাড টেস্ট করানো হয় কেননা কাজিন-কাজিন বিয়ে করলে সাধারণত ভবিষ্যত বংশধরের থ্যালাসেমিয়া হওয়ার চান্স থাকে। যদিও আমাদের বংশের কারো থ্যালাসেমিয়া নেই তবুও আদ্রিশ এ বিষয়ে কোনো রিস্ক নিতে চায়না এজন্য টেস্ট করিয়ে নেয়। যদিও ওদের কারো থ্যালাসেমিয়া ধরা পড়েনি।

অপারেশনের পর কেবিনে দেওয়া হয় আমায়। ক্লান্ত শরীরে চোখ বুঁজে শুয়ে ছিলাম, এমন সময় আদ্রিশ এসে আলতোভাবে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়। ওর অস্তিত্ব টের পেতেই চোখ মেলে চাইলাম। আদ্রিশ এবার আমার একটা হাত নিজের বুকে আগলে নিয়ে করুণ সুরে বলে,

-‘ বউ আমার অনেক কষ্ট পেয়েছে, তুমি যখন চিৎকার করে কাঁদছিলে তখন মনে হচ্ছিল কেউ যেন আমার কলিজা ছিড়ে নিয়ে যাচ্ছে! অনেক হয়েছে আমার আর কোনো বাচ্চাকাচ্চা লাগবেনা, আমার শুধু তোমাকেই চাই! তোমায় হারাতে চাইনা আমি কোনোভাবেই।

এতোটুকু বলতে বলতেই আদ্রিশের চোখে অশ্রু চলে আসে। এই প্রথম আদ্রিশকে কাঁদতে দেখে, আমি নিজেও দূর্বল হয়ে পড়লাম। ফলে আলতো হাতে তাকে জড়িয়ে ধরে, মাথার চুলে বিলি কেটে দিলাম। খানিক সময় পর ক্লান্ত গলায় বললাম

-‘ তোমার না ফুটবল টিম বানানোর ইচ্ছে ছিল তবে?

-‘ মাফ চাই, দোয়াও চাই! যে ভয় পেয়েছি তাতে করে ফুটবল টিম বানানো আর ঘুণাক্ষরেও উচ্চারণ করব না আমি! আগে আমার বউ তারপর দুনিয়ার সব।

আদ্রিশের কথায় স্বস্তি ফিরে পেলাম। কষ্ট হলেও এই কষ্টের মাঝে আনন্দ অনুভুত হয়! জামাই আমায় বড় ভালোবাসে তবে আমিও কি কম ভালোবাসি নাকি! সেই ছোট থেকে মনপ্রাণ দিয়ে এই মানুষটাকে ভালোবেসেছি। হঠাৎ কিছু মনে পড়তেই চট করে বললাম

-‘ আচ্ছা আমাদের ছানাপোনারা কই? ওদের দেখছিনা যে!

আমার বলা শেষ হওয়ার পূর্বেই নার্স এসে দিয়ে যায় ওদের। একটা বাচ্চা আমার কোলে আরেকটা বাচ্চা আদ্রিশের কোলে। ছেলে-মেয়ে দুটোর চেহারা হয়েছে একেবারে বাবার মতোন। প্রেগন্যান্সির সময়টায় এসব নিয়েই আমার আর আদ্রিশের মাঝে দুষ্ট-মিষ্টি ঝগড়া হতো! বাচ্চা দুটোর কপালে চু’মু খেয়ে বললাম

-‘ ওদের নাম কি রাখবে, বাচ্চার বাবা?

আদ্রিশ মুচকি হেসে বলল

-‘ ভাবছি, ছেলের নাম ‘আবিয়াদ খান আদ্র’ আর মেয়ের নাম ‘মেহারিশা মেহজাবিন খান’ রাখব। এখন বলো তোমার কি অভিমত?

-‘ আপনি যাহা বলিয়াছেন উহাই যথার্থ জনাব!

হেসে ফেললাম দুজনেই। ছানাদুটোর কপালে ভালোবাসার পরশ এঁকে দিয়ে আরও একদফা হাসলাম।

..

রান্না করতে করতে এসব ভাবছিলাম এতোক্ষণ যাবত। আগে তো মা, মামনি মিলে রান্না করত, তবে তাঁরা বয়সের ভারে কাঁবু হয়ে পড়েছেন বিধায় হেঁশেলটা বর্তমানে আমি আর আয়ুশী ভাবিই সামলাই। রান্নার ফাঁকে বরাবরের ন্যায় এবারও পেছন থেকে এসে জড়িয়ে ধরে আদ্রিশ। ওর অস্তিত্ব টের পেতেই মুচকি হাসলাম। বয়স হলেও লোকটার মাঝে কোনো পরিবর্তন হয়নি। আশপাশে সতর্ক দৃষ্টি নিক্ষেপ করে দেখে নিলাম একবার। রান্নাঘর ছেড়ে আয়ুশী ভাবি কখন বেরিয়েছে খেয়াল নেই। ভাগ্যিস কেউ নেই এখানে, নইলে লজ্জায় পড়তে হতো আমায়।

-‘ এভাবে হুটহাট জড়িয়ে ধরবেনা, ছেলেমেয়ে বড় হচ্ছে, এসব দেখলে কি ভাব্বে বলো তো?

-‘ চিল বেবি, জাস্ট জড়িয়েই ধরেছি! অন্যকিছু তো আর করছিনা যে ওরা দেখলে সমস্যা। আর তাছাড়াও দেখলে দেখবে, আই ডোন্ট কেয়ার! কারণ আমি আমার বউকে জড়িয়ে ধরেছি, পরনারীকে নয়।

এতোবছর ধরে এই মানুষটার লাগামহীন কথাবার্তায় আমি অভ্যস্থ হয়ে গিয়েছি। তাই তেমন রিয়াক্ট না করে বললাম

-‘ আমায় অনেক ভালোবাসো তাইনা?

আদ্রিশ এবার আমায় নিজের দিকে ফিরিয়ে কোমড় জড়িয়ে ধরে।

-‘ “থালা বাটি কম্বল,
তুমিই আমার সম্বল।”

বত্রিশ পাটি দাঁত কেলিয়ে বলে ওঠে আদ্রিশ। অধরের কোণে তার লেপ্টে রয়েছে মুচকি হাসি। আমি নিজেও হেসে ফেললাম এবার। মানুষটা ভীষণ রসিক। ওর আগের নিরামিষ রূপ দেখলে কে বলবে এই মানুষটার পেটে পেটে এতো আমিষ আর রসিকতা ছিল। যদিও ডায়রি পড়ে কিছুটা আন্দাজ করতে পেরেছিলাম তবে এতোটাও না। আলগোছে আদ্রিশের চুলে ভাঁজে হাত বুলিয়ে দিয়ে গালটা টেনে দিলাম। তা দেখে আদ্রিশ দুষ্ট হেসে বলল

-‘ আমার বউ দেখি আজ রোমান্টিক মুডে আছে, তো একটু..

আদ্রিশকে থামিয়ে বললাম

-‘ তুমি আর ভালো হলে না!

-‘ আমি ভালো হতেও চাইনা। তোমার কাছে অভদ্র প্রেমিক পুরুষ হয়েই থাকতে চাই। আর শোন মেহুপাখি, আমি ভালো হলে কিন্তু দুই দুইটা জমজ বাচ্চা হতো না আমাদের!

আদ্রিশের কথায় পাত্তা না দিয়ে রান্নায় মন দিলাম, ভাগ্যিস চুলোর আঁচ কমিয়ে রেখেছিলাম নয়তো পুড়ে সব কয়লা হয়ে যেত। আদ্রিশ আরও কিছু সময় থেকে আমায় টুকটাক সাহায্য করল নয়তো একটু আধটু জ্বালালো। যদিও এসব আমি খুব উপভোগ করি। এই মানুষটার জন্যই আজ এতো সুখি। বলাবাহুল্য, আমি পরবর্তীতে কেমিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং এ পড়েছি। গ্রাজুয়েশনের পর রিচার্স শুরু করে দেই। এমনই এক সন্ধ্যেয় আমি আর আদ্রিশ দুজনের যৌথ প্রচেষ্টায় এক যুগান্তকারী ঔষধ আবিষ্কার করায় আমাদের জাতীয় পর্যায়ে সম্মাননা দেওয়া হয়। আর আদ্রিশও কার্ডিওলজিস্ট হিসেবে বেশ নামকরা!

রান্না শেষ হতেই ড্রয়িং রুমে চলে এলাম। বেশ অনেকদিন পর বাসায় আজ রিশতা, অরনীরা এসেছে। অরনীর একটাই ছেলে, নাম অরণ্য। রিশতা আর আহিরের দুইটা মেয়ে, নাম আহি, রিশা। আর আলভি ভাইয়ার মেয়ে আলিশা আর ছেলে আয়ুশ। ওদের সবার মধ্যে বেশ ভাব। সবাই মিলে গোল হয়ে বসে টিভি দেখছে আর খেলাধুলা করছে। মা-বাবা, চাচ্চু-মামনিরাও ড্রয়িং রুমে বসে আছে ওদের সাথে। বার্ধক্যে উপনীত হলেও তাদের মাঝে বাচ্চাসুলভ আচরণ পরিলক্ষিত। মানুষের বয়সটা তো এমনই!

আমায় ড্রয়িংরুমে দেখতেই আদ্রিশ টেনে নিয়ে তার পাশে সোফায় বসিয়ে দেয়। মাথা ব্যাথা করছিল বলে আদ্রিশের কাঁধে মাথা রাখলাম। আদ্রিশ বুঝতে পেরে আমার মাথায় আলতো করে ম্যাসেজ করে দেয় আর হাতের আঙুলগুলো ফুটিয়ে দেয়। এতে ভীষণ আরামবোধ করলাম। বাচ্চারাও ছুটে চলে এলো আমার কাছে। পরম মমতায় আগলে নিলাম ওদের।

খেলতে গিয়ে আলিশা পড়ে গিয়ে পায়ের কিছুটা অংশ ছিলে যায়। ফলে সে চিৎকার করে কেঁদে ওঠে। আমরা যাওয়ার পূর্বেই আদ্র এসে ধরে ফেলে ওকে৷ ফার্স্ট এইড বক্সটা এনে ওর পায়ের ছিলে যাওয়া অংশটায় মলম লাগিয়ে দেয়। চোখের জল মুছিয়ে দিয়ে যত্ন করে সোফায় বসিয়ে দেয়। এরপর বেশ শাসনের সুরে আদ্র বলে

-‘ তুই আর মানুষ হলি না রে আলু! একটু দেখে শুনে চলতে পারিস না? ব্লাইন্ড লেডি কোথাকার!

আয়ুশী ভাবি এবার মুচকি হেসে আদ্রের মাথায় হাত বুলিয়ে বলল

-‘ ভাগ্যিস তুমি ছিলে নয়তো আমার মেয়েটার যে কি হতো!

আদ্র এবার চুল ঠিক করে ভাব নিয়ে আদ্রিশের পাশে এসে বলল

-‘ দেখতে হবেনা কার ছেলে? আমার ডাক্তার বাবার মতোই একদিন নামকরা ডাক্তার হবো আমি! কি বলো বাবা?

ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে আদ্রিশ বলল

-‘ অবশ্যই মাই লিটেল প্রিন্স!

পাশ থেকে মেহারিশা বলে উঠল

-‘ আর আমি মাম্মামের মতো ইঞ্জিনিয়ার হবো।

উপস্থিত সবাই ওদের বাহবা দেয়। তবে আমি আলিশা-আদ্র এর দিকে পলকহীনভাবে চেয়ে রইলাম যেন ওরা একজোড়া লাভ বার্ড! ছেলে আমার একদম আদ্রিশের কার্বন কপি! আমার আর আদ্রিশের জীবনের #হৃদয়ে_লাগিল_দোলা গল্পটা সমাপ্তির প্রায় দ্বারপ্রান্তে। তবে কি আমার আর আদ্রিশের মতোই আলিশা-আদ্রের জীবনেও #হৃদয়ে_লাগিল_দোলা এর পুনরাবৃত্তি ঘটতে চলেছে!

————————★সমাপ্ত★———————-