#হৃদয়_মাঝে_হঠাৎ_তুমি
#সানা_শেখ
#পর্ব_7
[কার্টেসি ব্যতীত কপি করা নিষিদ্ধ]
রাত প্রায় এগারো টা বেজে গেছে। আলভীর ঘুম আসছে না আজ এখনো। শোয়া থেকে উঠে বসে। হাতের ফোন টা পাশে রেখে বেড থেকে নেমে দাড়ায়। এগিয়ে গিয়ে আলমারির সামনে দাঁড়ায় । আলমারি খুলে ভেতর থেকে সিগারেটের প্যাকেট বের করে। দুটো সিগারেট আর লাইটার টা হাতে নিয়ে বেলকনির দিকে আগায় নিঃশব্দে। কয়েক কদম এগিয়ে গিয়ে দাঁড়িয়ে যায়। ঘুরে দাঁড়িয়ে রুমের ডোর খুলে রুম থেকে বেরিয়ে আসে। লাইটার আর সিগারেট দুটো প্যান্টের পকেটে ভরে নেয়। যদি কেউ সামনে চলে আসে বলা তো যায় না।
সিঁড়ি বেয়ে ছাদে উঠতে উঠতে ভাবে, ও ড্রইং রুম থেকে চলে আসার পর কি কথা হয়েছে সকলের মধ্যে? সকলের রিয়াকশন কেমন ছিল? বিশেষ করে মায়ার? সবাই নিশ্চই অনেক বেশিই অবাক হয়েছে, সাথে শকড। সকালে এই বিষয় টা নিয়ে সবাই ওকে হাজার টা প্রশ্ন করবে। হঠাৎ মত পরিবর্তন করার কারণ জানতে চাইবে। তখন এতো গুলো প্রশ্নের সম্মুখীন যেন না হতে হয় তাই দ্রুত নিজের রুমে এসে ডোর লক করে দিয়েছিল। ভেবেছিল কেউ এসে হয়তো ওকে ডাকবে কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় কেউ ওকে ডাকেনি আর না ওর রুমের ডোর নক করেছে। সবাই কি স্বাভাবিক ভাবে নিয়েছে? নাকি অন্য কোন কারণে চুপ করে রয়েছে?
ছাদের কাছাকাছি আসতেই পকেট থেকে সিগারেট বের করে ধরাতে ধরাতে ছাদে উঠে আসে। তখনই ওর কানে ভেসে আসে কোন এক মেয়ের গলায় বিষাদ মিশ্রিত গান।
“না জানি কোন অপরাধে
দিলা এমন জীবন।
আমারে পু ড়াইতে তোমার
এতো আয়োজন,
আমারে ডুবাইতে তোমার
এতো আয়োজন।
ও..ও….
আমারে ডুবাইতে তোমার
এতো আয়োজন।
সুখে থাকার সপ্ন দিলা
সুখ তো দিলানা।
কত সুখে আছি বেঁচে
খবর নিলা না বিধি
খবর নিলানা।”
আলভী মনোযোগ দিয়ে শোনে গান টা। কন্ঠস্বর পরিচিত, এটা মায়ার গলার স্বর। মায়া এত রাতে ছাদে কি করছে? আবার এভাবে গলা ছেড়ে গান গাইছে!
অন্ধকার রাতে ছাদে টিমটিমে আলোর একটি লাইট জ্ব’লছে। যেদিক থেকে গলার স্বর ভেসে আসলো সেদিকেই তাঁকিয়ে আছে আলভী। ছাদের কার্নিশে রেলিং ধরে উল্টো ঘুরে দাঁড়িয়ে আছে মায়া। আলভী মায়ার দিকে এগিয়ে না গিয়ে একটু দূরে দাঁড়িয়ে সিগারেট খেতে শুরু করে।
কলেজে ভর্তি হওয়ার পর বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে সিগারেট খেতে শুরু করেছিল। সেই অভ্যাস এখনো রয়ে গেছে। কিছুতেই খাওয়া বন্ধ করতে পারে না। তবে আগের চেয়ে অনেক কমিয়ে ফেলেছে খাওয়া।
অন্ধকার আকাশ পানে হাত বাড়ায় মায়া। যোজন যোজন দূর থেকে যেন ছুঁতে চায় ওই তারা গুলোকে। ছুঁতে পারে না তারা গুলো , হাত গুটিয়ে নেয়।
আকাশ পানে তাকিয়ে ধীর মলিন স্বরে বির বির করে বলে,
_ আল্লাহ আমার সাথে এমন কেন করছো তুমি? আমি কি বিশাল কোন পাপ করে ফেলেছি? তুমি এত কষ্ট কেন দাও আমাকে?
একটু থেমে লম্বা শ্বাস টেনে নেয়।
_ তুমি কেন ফিরে এলে? দূরে ছিলে সেটাই তো ভালো ছিল। স্বপ্নে তোমার সাথে সংসার করতাম। কল্পনায় তোমায় দেখতাম , ভাবতাম সেটাই আমার জন্য ভালো ছিল। আমাকে এক আকাশ সম যন্ত্রণা দেওয়ার জন্য কেন ফিরে এলে? আর কত পোড়াবে আমাকে? দূরেই থাকতে, কোন দিন সামনে না আসতে। তোমার অপেক্ষাতেই নাহয় এক জীবন পাড় করে দিতাম। তুমি ফিরে এলে আমার সাথে সংসার করার জন্য না। তালাক দেওয়ার জন্য। কি মনে করে আবার বলছো তালাক দেবে না। আমাকে কষ্ট দেওয়া কি শেষ হয়নি? আরো যন্ত্রণা দেওয়া বাকি রয়ে গেছে? রাগ কমেনি তোমার? তিলে তিলে কষ্ট যন্ত্রণা দেওয়ার চেয়ে একে বারে মে রে ফেললেই তো পারো তোমরা সবাই। আর কত সহ্য করব আমি? সব দোষ কি শুধুই আমার? কারো কোন দোষ নেই? তোমার কি দোষ ছিল না? সব সময় আমরা মেয়েরাই কেন সাফার করব? এই সমাজ সব সময় কেন মেয়েদের দোষ দেখে? তুমি জানো কি? আমার সহপাঠীরা বাদেও কলেজের শিক্ষক পর্যন্ত আমাকে নিয়ে মজা নিতো। আমাকে কথা শোনাতো। নয় বছর বয়স থেকে আমি কি কি সহ্য করেছি তা তোমার আর এই পরিবারের ধারণার বাইরে। আমি আর সহ্য করতে পারছি না এসব, সহ্য করতে পারবো না আর। হাঁপিয়ে গেছি এখন। তোমার উদ্দেশ্যে কি? তুমি কি চাও জানি না। তুমি তখন ড্রইং রুমে যা বললে তা কেন বলেছো তাও বুঝতে পারছি না। ক্লিয়ার করে বলোনি কিছু। আমি এখন মুক্তি চাই এসব থেকে। বিশেষ করে তোমার কাছ থেকে মুক্তি চাই। আমি চাই না তোমার বউ হয়ে থাকতে। আমাকে মুক্তি দিয়ে দাও তুমি।
কথা গুলো বলতে বলতে দু চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ে পানি। সব কিছু এখন অসহ্য লাগে। শুয়ে থেকেও ঘুম আসছিল না। রুমে থাকতে দম বন্ধ হয়ে আসছিল তাই ছাদে উঠে এসেছে। রাতে এই বাড়ির কেউ ছাদে আসে না। মায়া মাঝে মধ্যেই রাতে এসে ছাদে বসে থাকে। দূর আকাশ পানে তাকিয়ে অর্ধেক রাত পাড় করে দেয়। গলা ছেড়ে গান গায়, ফোনে গান শোনে। একা একা কথা বলে। এই সব ওর নিত্য দিনের সঙ্গী।
বির বির করে আবার বলে,
_ মুক্তি চাই আমি। বিয়ে, সংসার সখ মিটে গেছে আমার। একটা রাত ভালো ভাবে ঘুমোতে চাই। একটা দিন চোখের পানি না ফেলে বাঁচতে চাই। আমাকে কষ্ট যন্ত্রণা দেওয়ার কথা ভেবে সময় নষ্ট না করে পছন্দ মত মেয়ে খুঁজে বিয়ে করে নিজের জীবন গুছিয়ে নিলেই তো পারো।
_ এত রাতে ছাদে দাঁড়িয়ে বির বির কি বলছো?
হঠাৎ পুরুষালি গম্ভীর গলার স্বর শুনে ভয়ে চমকে ওঠে মায়া। তড়িৎ গতিতে পেছন ফিরে তাকায় । ওর সামনেই দাঁড়িয়ে আছে লম্বা চওড়া বলিষ্ঠ গড়নের একজন পুরুষ মানুষ। মায়া কাপা গলায় বলে,
_ কে?
_ আমি।
মায়া বুঝতে পারে এটা আলভী। আলভী এত রাতে ছাদে কেন এসেছে?
মায়া দ্রুত আলভীর সামনে থেকে সরে যায়। দ্রুত পায়ে এগিয়ে যায় সিঁড়ির দিকে। পেছন পেছন আলভী এগিয়ে যেতে যেতে বলে,
_ মায়া দাড়াও তোমার সাথে কথা আছে আমার। আমার কথা শোনো , দাঁড়াও।
মায়া দৌড়ে সিঁড়ি বেয়ে নেমে যায়। আলভী দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখে মায়ার পালিয়ে যাওয়া। ওর কথা গুলো তো শুনে যাবে নাকি? সিগারেট খাওয়া শেষ হচ্ছিল না তাই দূরে দাঁড়িয়ে ছিল এতক্ষণ। কথা বলার জন্য এগিয়ে আসতেই পালিয়ে গেল।
মায়া সোজা রুমে এসে ডোর লক করে দেয় ভেতর থেকে। ফ্লোরে বসে জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিতে শুরু করে। ওর পুরো শরীর থরথর করে কাপছে। একে তো হঠাৎ কথা বলায় ভয় পেয়ে গেছে তার উপর ওটা আলভী। নিজের হাত পায়ের দিকে তাকায় , অস্বাভাবিক ভাবে কাপছে হাত দুটো। পানি খাওয়া প্রয়োজন। দৌড়ে এসে এখন দাঁড়ানোর শক্তিও পাচ্ছে না। হামাগুড়ি দিয়েই পানির কাছে এগিয়ে যায়। কাঁপতে থাকা হাতেই পানির গ্লাস শক্ত করে চেপে ধরে পানি খায় পুরোটা। গ্লাস বেডের উপর রেখে বেডের সাথে হেলান দিয়ে বসে।
আলভী সামনে আসলেই এমন কেন হয়?
আলভী হেঁটে এগিয়ে গিয়ে রেলিং এর উপর বসে দ্বিতীয় সিগারেট টা ধরায়। মায়ার গলার স্বর শুনেই বুঝতে পেরেছিল হঠাৎ কথা বলায় মায়া ভয় পেয়ে গেছে। এভাবে হঠাৎ কথা বলা উচিত হয়নি।
কিন্তু বির বির করে কি বলছিল?
সিগারেটের বিষাক্ত ধোঁয়া খোলা আকাশের দিকে উড়িয়ে দেয়। মায়ার সাথে কথা বলতে হবে। ডাইনিং টেবিলে আর সোফায় মায়ার চোখ মুখের দিকে খেয়াল করেছিল। মায়ার চোখে মুখে স্পষ্ট রাগ দেখা যাচ্ছিল। মায়া ওর উপর রেগে আছে হয়তো। আর রেগে থাকাটাই স্বাভাবিক।
সিগারেট শেষ করে রেলিং এর উপর থেকে নেমে দাড়ায়। দুই হাত পকেটে গুঁজে সিঁড়ির দিকে এগিয়ে যায় আস্তে আস্তে শিস বাজাতে বাজাতে।
করিডোরে আসতেই ওর সামনে পড়ে আলতাফ মাহমুদ। ওনাকে দেখেই আলভীর পা দুটো থেমে যায়। আলতাফ মাহমুদ এর পা দুটোও থেমে গেছে। অবাক হয়ে বলেন,
_ তুমি এখনো ঘুমাওনি? ওদিকে কোথায় গিয়েছিলে?
আলভী কথা বলে না। সিগারেট খেয়েছে একটু আগেই, এখন কথা বললেই আলতাফ মাহমুদ বুঝতে পেরে যাবেন।
_ ছাদে গিয়েছিলে নাকি?
আলভী মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বলে।
_ আজকে ঘুম পায়নি? তখন তো কাউকে কিছু বলতে না দিয়েই রুমে এসে ডোর লক করে দিলে। এখন না ঘুমিয়ে ছাদে কি করতে গিয়েছিলে?
আলভী এবারেও চুপ করে রইলো। এভাবে চুপ চাপ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বিরক্তিতে কপাল ভ্রু কুঁচকে যায় আলতাফ মাহমুদ এর। এই ছেলে টা এমন কেন হয়েছে? কিছু জিজ্ঞেস করলে উত্তর দেয় না। কেউ কিছু জিজ্ঞেস করবে বলে আগেই কে টে পড়ে সেখান থেকে। এই ছেলে নিজেকে কি মনে করে? আমেরিকার প্রেসিডেন্ট? চলন বলন দেখলে তাই মনে হয়।
_ কথা বলছো না কেন? মুখে কুলুপ এঁটেছো? কথা আছে তোমার সাথে নিচে চলো।
আলভী ওর বাবা কে ক্রস করে নিজের রুমের দিকে এগিয়ে যায়। তারপর বলে,
_ তোমাদের সকলের যত কথা আছে, প্রশ্ন আছে সেসব আগামী কাল সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শুনবো , আর উত্তর দেবো। এখন অনেক রাত হয়েছে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ো।
_ আমি এখনই কথা বলতে চাই।
_ সকালে।
বলেই নিজের রুমে ঢুকে যায়। ডোর লক করে ফোস করে শ্বাস ছারে। ভাগ্য ভালো গন্ধ পায়নি।
ওয়াশরুমে প্রবেশ করে। ফ্রেস হয়ে কুলি করে রুমে এসে শুয়ে পড়ে।
________________
পরের দিন ভোরে অন্ধকার অন্ধকার থাকতে থাকতেই ঘুম থেকে ওঠে আলভী। ফ্রেস হয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় জগিং করার জন্য।
জগিং করে ছয়টার সময় বাড়িতে ফিরে আসে। ড্রইং রুমে এসে দেখে ওর বাবা আর শশুর সোফায় বসে কিছু একটা নিয়ে কথা বলছে।
আলভী কে দেখেই আলতাফ মাহমুদ সোফায় বসতে বলে।
_ শাওয়ার নিয়ে ফ্রেস হয়ে আসি। ঘামে শরীর ভিজে গেছে।
_ না আগে কথা বলবে তার পর ফ্রেস হতে যাবে।
_ জাস্ট দশ মিনিট লাগবে ফ্রেস হতে। যাবো আর আসবো। তোমরা দুজন নিজেদের কথা শেষ করো ততক্ষণে।
বাবা কে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে সিঁড়ির দিকে এগিয়ে যায় আলভী।
ফ্রেস হয়ে পনেরো মিনিট পর রুম থেকে বেরিয়ে আসে আলভী। ড্রইং রুমে এসে দেখে বাড়ির সবাই উপস্থিত হয়ে গেছে। শুধু মায়া আর মানতাসা নেই।
আলভী সিঙ্গেল সোফায় বসে।
আলতাফ মাহমুদ বলেন,
_ কি চাইছো তুমি?
_ কি?
_ গত কাল রাতে কি বললে , ক্লিয়ার করে বলো।
_ বলেছি আমি মায়া কে তা/লাক দেবো না।
_ দেবে না সেটা তো বুঝতে পেরেছি। কেন দেবে না সেটা খোলাশা করো। সম্পর্ক টা তো এভাবে ঝুলিয়ে রাখার কোন মানে হয় না। হয় সংসার করো নয়তো মুক্তি দিয়ে দাও।
_ আমি মায়ার সাথেই সংসার করবো।
রাতে আলভীর কথা শুনে সবাই যতটা না অবাক হয়েছিল এখন যেন তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি অবাক হয়েছে। রাতে আলতাফ মাহমুদ বলেছিলেন আলভী তা/লাক দিলেই মায়া কে অন্য জায়গায় বিয়ে দেবেন। ছেলে আগেই দেখে রেখেছে, মানে সব কিছু আগেই পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন । এখন শুধু দুজনের
তা/লাক হওয়া বাকি। আলভী মায়া কে এখন তা/লাক দেবে না, সংসার ও করবে না। অন্য কোথাও বিয়েও হতে দেবে না। সারা জীবন এভাবেই ঝুলিয়ে রাখবে। সবাই ভেবেছিল আলভী সব কিছু জেনে নিজের রাগ আর জেদের কারণে অমন কথা বলেছে। কিন্তু এখন তো দেখছে অন্য কিছুই। নাহার বেগম বলেন,
_ কি বললি তুই? আবার বল।
_ বলেছি আমি মায়া কে তা/লাক দেবো না। ওর সাথেই সংসার করবো, বাকি জীবন কা টা বো।
নাহার বেগমের কুচকে যাওয়া গাল দুটো ফুলে ওঠে। ওষ্ঠদয় প্রসারিত হয়। চোখে মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। ঐশী রহমান এর চোখে মুখেও খুশির ঝিলিক দেখা যায়। মেহবুবা মেহের এর চোখে মুখেও একই রকম হাসি। তার মেয়ের এলোমেলো জীবন টা এবার বোধহয় গুছিয়ে উঠবে।
মাহির বলে,
_ তুই তো মায়া কে তা/লাক দেওয়ার জন্যই দেশে এসেছিস। তাহলে এখন তা/লাক না দিয়ে সংসার করতে চাইছিস কেন? কিছু প্ল্যান করিসনি তো?
মাহিরের কথা শুনে সবাই ওর দিকে তাকায়। আলভী বড় ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বলে,
_ এসব কি বলছো ভাইয়া? কিসের প্ল্যান করবো? মানুষের মন পরিবর্তন হতে কতক্ষন?
আলতাফ মাহমুদ বলেন,
_ তোমার মন পরিবর্তন হলো কেন হঠাৎ? আগে তো খুব হম্বি তম্বি করেছিলে। এখন তাহলে এমন সিদ্ধান্ত কেন? তোমার কথা বার্তা আমার কাছে স্বাভাবিক লাগছে না। নিশ্চই কোন গড়বড় আছে। তুমি কি চাইছো? তোমার মনে কি চলছে ক্লিয়ার করে বলো।
_ আমার মনে একটা ভাবনাই চলছে বিয়ে করেছি এখন সংসার করবো। তারপর তোমাদের দশ বারোটা নাতি নাতনী উপহার দেবো। ব্যাস তাছাড়া আর কিছুই না।
সকলের চোখ যেন কোটর থেকে বেরিয়ে আসবে। চোখ দুটো বড় বড় করে আলভীর দিকে তাকিয়ে আছে সবাই। আলভী বলছে এসব কথা? এই ছেলের শরীরে জ্বীন বা ভূ ত ভর করেনি তো? জ্বীন বা ভূ তই এসব কথা বলছে নিশ্চই। না হলে তো এসব কথা ওর মুখ দিয়ে বের হওয়ার কথা নয়। হঠাৎ করে এই ছেলের হয়েছে কি?
চলবে…………….