হৃদস্পর্শে প্রেমসায়রে পর্ব-০৩

0
62

#হৃদস্পর্শে_প্রেমসায়রে
#রক্তিমা(লেখনীতে)
৩.
খোশ-আলাপে কলরিত ড্রয়িং রুম হঠাৎই নিশ্চুপ হয়ে গেল।তাতে ভেসে আসলো নুপুরের সুক্ষ রিনরিন আওয়াজ।সোনালি রঙে মোড়ানো নববধূ ধীর পায়ে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামছে।তার পাশে রয়েছে মিনি আর তন্দ্রা।তারা হাসি হাসি মুখে থাকলেও লজ্জায় কুন্ঠিত ত্রয়ী।গোল্ডেনের সাথে হালকা গোলাপি মিশেল চুড়ি ভর্তি হাত পেটের সামনে এনে রাখা।সর্বশেষ সিঁড়ি পার করে নিচে নামতেই সুপ্তের মা অর্থাৎ ত্রয়ীর শাশুড়ী মা মিসেস সুহৃদ রেহনেওয়াজ ত্রয়ীর সামনে এসে দাঁড়ায়।ভদ্রমহিলা হালকা আকাশি বর্ণের শাড়ি পরেছেন।ত্রয়ীর থুঁতনি ধরে লজ্জায় নুয়ানো মুখশ্রী সামান্য উঁচু করে একপ্রস্তর হেসে মাশাল্লাহ শব্দখানা উচ্চারণ করেন তিনি।বিনিময়ে একটা অকৃত্রিম মিষ্টি হাসি ফুটে ত্রয়ীর মুখে।মিসেস সুহৃদ ত্রয়ীকে একহাতে আগলে নিলে ত্রয়ী মুগ্ধ হয়ে শাশুড়ীর দিকে ফিরে চায়।শাশুড়ীর গায়ের সাদা রঙ পেয়েছে সুপ্ত তবে চেহারা বেশির ভাগ মিলে ওর শ্যাম বর্ণের শশুরের সাথে।
মিসেস সুহৃদ ত্রয়ীকে আগলে নিয়ে বর ও বধূর জন্য নির্ধারিত আসনে এসে দাড়ায়।তারপর ত্রয়ীকে সেখানে বসিয়ে সকলের সামনে ত্রয়ীর পরিচয় করিয়ে দেয়।যদিও এতক্ষণে সকলের কাছে স্পষ্ট উনিই মিসেস সুপ্ত রেহনেওয়াজ।

এত এত মানুষকে ছাড়িয়ে ত্রয়ীর দৃষ্টি একটা মুখকেই খুঁজছে।তবে চোখের সম্মুখে কিছুতেই পরছে না সেই সুদর্শন মুখ।কাঙ্ক্ষিত মুখটিকে না পাওয়ায় ত্রয়ীর বাঁকানো ভ্রুজোড়া আরো বেঁকে গেছে।যখন ত্রয়ী প্রায় আশাহত তখনি ড্রয়িং রুমের এককোনায় কাঙ্ক্ষিত মুখটিকে দেখতে পেয়ে আপনা আপনি ওষ্ঠ চিরে হাসি বেরিয়ে আসে তার।যেমন করে শিশু তার হারানো খেলনা পুনরায় খুঁজে পেলে চোখমুখ উজ্জ্বল করে হাসে ঠিক তেমনি।তবে উজ্জ্বল মুখশ্রী কালো হতে সময় নেয় না।সুপ্তের থেকে কিছুটা দূরেই বেলা দাড়িয়ে আর সুপ্তের দিকের তাকিয়ে আছে বেলার চোখজোড়া।সুপ্ত তার দিকে পিঠ ফিরে দাড়িয়ে কারো সাথে কথা বলছে।মুহুর্তেই ত্রয়ীর হাস্যজ্জ্বল মুখে রাগের আভাস ফুটে উঠে।

“আচ্ছা ভাই তোর বউ ওখানে একা একা বসে আছে আর তুই এখানে আমার সাথে দাড়িয়ে কথা বলছিস!”

রিক্তের কথায় ত্রয়ীর দিকে ফিরে চায় সুপ্ত।এতক্ষণ ত্রয়ীকেই ত্রয়ীর নজর বাঁচিয়ে দেখছিলো ও।সুপ্ত দূর থেকে দেখেও বুঝেছে মেয়েটা আজকেও কোন মেকআপ করেনি।কেবল লম্বা লম্বা পাপড়ি ঘেরা চোখ ভর্তি কাজল,ঠোঁটে ম্যাট লিপস্টিক,কানটানা ঝুমকা আর তার দীঘল চুলের বেনিতে বেলিফুলের মালা পেছানো।ব্যাস এতেই সকলের নজরে নিজের জন্য মুগ্ধতা তৈরি করার জন্য যথেষ্ট ত্রয়ী।ত্রয়ীর মুখশ্রীতে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ করে সে।কিন্তু গেস্ট এসে কথা বলতেই মুখে ফুটে উঠছে সৌজন্যমূলক হাসি।ত্রয়ীর থেকে মুখ ফিরিয়ে রিক্তকে বলে,

-আমাকে সবাই চেনে কিছুক্ষণ ওকেই দেখুক।

-বেক্কলের মতো কথা বলিস না।যা তুইও যা!

রিক্ত একপ্রকার জোর করেই সুপ্তকে ত্রয়ীর ওখানে পাঠিয়ে দেয়।সুপ্তকে আসতে দেখেই মিসেস সুহৃদ বলে উঠেন,

-তোকেই খুঁজছিলাম।কোথায় ছিলি এতক্ষণ?

-এখানেই।

জবাব দিয়ে ত্রয়ীর সাথে কিছুটা দূরত্ব রেখে বসে পরে সে।একপলক ত্রয়ীর দিকে তাকিয়ে দেখে হাতের চুড়ির দিকে তাকিয়ে আছে সে।থমথমে সুন্দর মুখশ্রীতে নাকের পাথরের নাক ফুলটা জ্বলজ্বল করছে।সুপ্ত ওর দিকে তাকিয়ে সুপ্ত দুষ্টু হেসে বললো,

-মিস করছিলে আমায়?

ত্রয়ী এবার ঘাড় বাকিয়ে সুপ্তের পানে চায়।কাজলে ডুবানো হরিণ চোখ দুটিকে অবলোকন করে সুপ্তের মনে হলো কেউ তার হৃদপিণ্ড বরাবর বাণ ছুড়লো!যেমন গহীন বনে মৃগয়ায় রাজা হরিণকে বিদ্ধ করে তীর দিয়ে তেমনি ত্রয়ী তার চক্ষু দিয়ে সুপ্তের হৃদয়কে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করলো।
সুপ্তকে সেই অনুভূতি জোয়ারে বিদ্ধ রেখেই ত্রয়ী বললো,

-আপনাকে মিস করা ও দেখার জন্য অনেকেই আছে।

নিষ্প্রভ গলায় কথাটা বলে ত্রয়ী সোজা তাকায়।তার উত্তর শুনে সুপ্ত তার অনুভূতিকে পজ করে রেখে ভ্রু কুঁচকায়।ত্রয়ী এবার সামনে তাকিয়েই বলে,

-আমি আপনার অফিশিয়ালি ম্যারিড ওয়াইফ,প্রেয়সী নই যে অলটাইম আপনাকে মিস করব।

এবার কথা বলার ধরন পাল্টেছে ত্রয়ীর।কন্ঠ হয়েছে কঠোর।সুপ্ত কিছু বলতে যাবে তখনই একজন গেস্ট এসে পরে সেখানে।ত্রয়ী নিজের থমথমে মুখকে আড়াল করে হাস্যজ্জ্বল মুখোশ পরে নেয়।সালাম দিয়ে ভালো মন্দ জিজ্ঞেস করে।তারপর কথা শেষে ভদ্রমহিলা বলে উঠেন,

-বেস্ট উইশেস ফর ম্যারেজ মিস্টার সুপ্ত এন্ড মিসেস…

ত্রয়ীর নাম হয়ত ভদ্রমহিলার জানা নেই।তাই বাক্যের মাঝখানে সে আটকে যায়।তখনি সুপ্তের ভরাট কন্ঠস্বর ভেসে আসে,

-মিসেস ত্রয়ী সুপ্ত রেহনেওয়াজ।

-ও ইয়াহ ইয়াহ। এন্ড মিসেস ত্রয়ী সুপ্ত রেহনেওয়াজ।

ভদ্রমহিলাটি কথাটুকু বলে প্রস্থান করতেই ত্রয়ী সুপ্তের পানে ফিরে চায়।সুপ্ত সোজা তাকিয়ে থেকেই বলে,

-অর্ধাঙ্গিনীকেই প্রেয়সী হিসেবে হৃদয়ে স্থান দেবে বলেই শুদ্ধ পুরুষ বিবাহের পূর্বে কোন মেয়ের প্রতি আগ্রহ দেখায় না।এন্ড দ্যাটস হোয়াট আই ডিড!

কথাখান কর্ণগোচর হওয়ার পরেই সুপ্তের দিকে তাকিয়ে ত্রয়ী চোখের পলক ফেলে।অল্প-স্বল্প মুগ্ধতায়!

দিবসের দ্বিপ্রহর শুরুর পথে প্রায়।ড্রয়িং রুমটাতে তেমন একটা লোকজন নেই এখন।ত্রয়ীর আশেপাশেও মুরব্বিদের ভীড় নেই।ত্রয়ী হঠাৎ আসন থেকে দাঁড়ায়।প্রায় টানা দু’ঘন্টা বসে থাকায় কোমড় টনটন করছিল এতক্ষণ।ত্রয়ীকে কেউ কিছু বলছে বা দেখে সে নিজের মতে হেঁটে বেলার সামনে এসে দাড়ায়।বেলা হঠাৎ তার সামনে ত্রয়ীকে দাড়িয়ে থাকতে দেখে কিছুটা ভরকায়।প্রথম কথোপকথন ত্রয়ীই শুরু করে। বুকে দুহাত গুঁজে মুখে একরাশ হাসি ফুটিয়ে প্রশ্ন বোধক চেহারা করে বলে উঠে,

-বেলা?

-হ্যা।

-কেমন আছো বেলা?

ত্রয়ীকে এভাবে জিজ্ঞেস করতে দেখে বেলা ভ্রু কুঁচকে বলে উঠে,

-ভালো।হোয়াট এবাউট ইউ ত্রয়ী?

ত্রয়ী ওর নাম ধরে ডাকার মুহুর্তের জন্যই যেন অপেক্ষা করছিস।সে ভ্রূকুটি করে হাতের আঙুল দিয়ে বেলার দিকে ইশারা করে বলে উঠে,

-তুমি সুপ্তের থেকে বড়ো?

ত্রয়ীর প্রশ্নে বিরক্তবোধ করে। এমনিতেই তো তার সুখ আসতো গিলে খেয়ে আছে এই মেয়ে তার উপর এসব উলটাপাল্টা প্রশ্ন!সুপ্তের মাঝে ও বসার জায়গায় এই মেয়ের বসা হয়েছে দেখে তার হৃদপিন্ড জ্বলে যাচ্ছে।বেলা গা ঝাড়া দিয়ে বলে,

-অবশ্যই আমি ছোট উনার থেকে।কি যা তা প্রশ্ন!

বেলার আচরণে ত্রয়ীর মস্তিষ্কে যেন বহ্নি শিখা জ্বলতে শুরু করে।কৃত্রিম হাসিতে ছেঁয়ে থাকা মুখশ্রী কঠোর হয়ে আসে।শক্ত কন্ঠে খানিক জোরালো ভাবেই সে বেলাকে বলে উঠে
,
-মিনি,তন্দ্রা,বর্ণ ওরা সবাই আমাকে ভাবি ডাকে।তুমি আমাকে ভাবি ডাকার প্রয়োজন বোধ করছো না?

বেলা কিছু বলার আগেই ত্রয়ী ফের বলে,

-যাই হোক তোমার মুখে ভাবি ডাক শোনার জন্য মরে যাচ্ছি না আমি।এটা বলো কালকে রাতে তুমি আর উনি আলিঙ্গনরত অবস্থায় কি করছিলে?

ত্রয়ীর কথায় তড়াক করে চায় বেলা।সে ত্রয়ীর মুখে এরকম কথা একদমই আশা করেনি।
বেলা কিছু বলবে তার আগেই ত্রয়ী মুখে মেকি হাসি ফুটিয়ে বলে উঠে,

-আবার এটা বলো না যে কাজিনকে জড়িয়ে ধরে বিয়ের শুভেচ্ছা জানাচ্ছিলে!

বেলা মুহুর্তের মাঝেই যেন হাতে আকাশের চাঁদ পেয়ে গেছে।মনে মনে শয়তানি হাসি হাসে সে।ত্রয়ীকে মনে মনে বোকা মেয়ে সম্মোধন করে উপহাসও করে সে।তারপর মাথা নিচুতে রেখেই বলে উঠে,

-উই লাভ ইচ আদার!

বাক্যখানা শ্রবণ করার পর ত্রয়ীর মুখের কোন পরিবর্তন না হলেও জুড়তে থাকা হৃদয়টা আবার পুনরায় ভেঙে যায়।বেলা কোনা চোখে ত্রয়ীর দিকে চায়। ত্রয়ী কোন কথা না বলে বেলার সামনে থেকে প্রস্থান করে।খুব বড়ো ছড়ো তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে উঠে তার মন।তারপর পুনরায় আগের জায়গায় গিয়ে ধপ করে বসে পরে সে।

সে বসতেই মিনি এসে বসে ওর পাশে।মজা করে বলে উঠে,

-ভাইয়াকে মিস করছো ভাবি?

ত্রয়ী কিছু না বলে উপরে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস নেয়।তারপর তন্দ্রার দিকে তাকিয়ে বলে,

-একটা কথা কি জানো, যারা অভিনয় করে পর্দায় শুধু তাদেরকেই পুরষ্কার দেওয়া হয় কিন্তু যারা বাস্তব জীবনে অভিনয় করে তাদেরকে আমরা চিনতেও পারি না।কিন্তু তারা সেই সব অভিনেতাদের থেকে কোন অংশে কম নয়।

তন্দ্রা ত্রয়ীর এই কথা বলার উদ্দেশ্য কি অনুধাবন করতে পারে না তবে কথাগুলো যথার্থ বলে বড়োসড়ো একটা হুম বলে।

বাড়ির বাপাশে অনেকটা জায়গা নিয়ে গার্ডেন।ওখানেই দাড়িয়ে ফোনকলে কথা শেষ করে সুপ্ত সবে ফোন স্কল করছিলো কারো আসার শব্দ ভেসে আসে ওর কানে।চোখ তুলে দেখে বেলা গুটি গুটি পায়ে এদিকেই আসছে।সুপ্তের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে সে।কৃষ্ণ বর্ণের কোর্টের মাঝ থেকে শুভ্র রঙটা উঁকি দিয়ে সুদর্শন পুরুষটিকে আরো সুর্দশন দিয়েছে।বেলা কাছে এসে বলে উঠে,

-সুপ্ত আপনি..

-ভাইয়া বলে সম্মোধন কর নয়ত কথা বলিস না।

সুপ্তের সোজাসাপ্টা বারণে বেলার মুখ কালো হয়ে আসে।কিন্তু সুপ্তের সাথে সে কথা না বলে থাকতে পারবে না।তাই অনিচ্ছা সত্বেও ভাইয়া বলে সম্মোধন করে কথা শুরু করে।
কোন কিছুর জবাব দেওয়ার আগে সুপ্ত বলে,

-তোকে আমি কখনো বলেছি আমার তোকে ভালো লাগে কিংবা আমি তোকে ভালো বাসি।

বেলা অতি কষ্টের সহিত দুপাশে মাথা নাড়ায়।বেলার ঋনাত্মক প্রতিক্রিয়া পাওয়ার পর সুপ্ত আলগোছে বাঁকা হাসে।বেলা তারপর বলে,

-কিন্তু হঠাৎ এই প্রশ্ন কেন সুপ্ত..ভাইয়া?

কথা শেষ হতেই নুপুরের আওয়াজে সুপ্ত সামনে আর বেলা পেছনে ফিরে চায়।ত্রয়ী ওদের সামনে আসতেই বেলা চলে যায়।তবে নিক্ষেপ করে চায় বিষাক্ত দৃষ্টি।এমনিতেই সে সুপ্তের সাথে কথা বলার তেমন সুযোগ পায় না আর এখন তো কথা বলার মাঝে বিঘ্ন ঘটানের মানুষও হাজির।
বেলা চলে যেতেই ত্রয়ী বলে উঠে,

-আপনাদের প্রেমালাপে বিঘ্ন ঘটানোর কোন ইচ্ছে ছিল না।কিন্তু মা আমাকে দিয়ে আপনাকে ডেকে পাঠিয়েছেন।

কথাটুকু শেষ করে ত্রয়ী এক পলক সুপ্তের দিকে চোখ তুলে চায়।সুপ্ত ওর দিকেই দেখছিলো।সেভাবে তাকিয়েই সুপ্ত বলে উঠে,

-তুমি বলেছিলে না প্রমাণ চাও।নেই নাও প্রমাণ।

কথাখান বলে সুপ্ত হাতে ধরে রাখা মোবাইল ফোন টা ত্রয়ীর দিকে বাড়িয়ে দেয়।রেকর্ড করবে বলেই সুপ্ত বেলাকে প্রশ্নটা জিজ্ঞেস করেছিল।ত্রয়ী ফোন দিয়ে মোবাইলের স্কিনের দিকে দৃষ্টি দিতেই তার উপর সুপ্তের দৃষ্টি বর্ষিত হয়।মুখশ্রী জুড়ে বিচরণ করছে সুপ্তের দুটি চোখ।থুতনি থেকে শুরু করে কপালের টিপ সব খুটিয়ে দেখছে সে।এখনও কপালে ছোট একটা লাল টিপ পরেছে ত্রয়ী তবে সকালের তুলনায় বড়।সকালেরটা এর চেয়ে আরো ক্ষুদ্রাকৃতির ছিল।সুপ্ত হঠাৎ করে খেয়াল করলো মাঝখান দিয়ে করা সিঁথিতে টিকলি মিসিং।টিকলি পড়লে মেয়েটাকে কেমন দেখাতো ভাবতেই সুপ্ত হঠাৎই ত্রয়ীর কপালে লাল একটা মাঝারি সাইজের বিন্দু।সুপ্ত সুক্ষ্ম নজরে তাকিয়ে দেখলো সেটা ত্রয়ীর কপালে বিচরণ করতে করতে স্থির হয়ে গেল।ঠিক সেই মুহুর্তে তার থেকে পুরো এক হাত দূরত্বে দাড়ানো ত্রয়ীর কোমড়ে হাত রেখে নিজের দিকে টেনে আনে সুপ্ত।
আকস্মিক ঘটনায় ত্রয়ীর হাত থেকে সুপ্তের মোবাইল হাত থেকে সোজা ভূমির দিকে পতিত হয়।আচমকা এমন হওয়ায় ত্রয়ী ভারসাম্য বজায় রাখতে সুপ্তের গলার দিকটায় সজোীে খামচে ধরে।তার এক সেকেন্ডের মাথায় ড্রয়িং রুম থেকে গার্ডেন আসার দরজার পাশে রাখা ফুলদানি বিকট শব্দে ভেঙে যায়।অস্বাভাবিক আকার ধারণ করে ত্রয়ীর দুটি নেত্র।ভাঙা ফুলদানিটার দিকে তাকিয়ে সুপ্ত অনুধাবন করে এই নিক্ষিপ্ত গুলি ছিল ত্রয়ীকে প্রানে মারার জন্য।গম্ভীর মুখে ত্রয়ীর কোমড়ে থাকা হাত দিয়ে কোমড়ে অজান্তেই জোরে চেপে ধরে সুপ্ত।সুক্ষ্ম ব্যাথায় আর ভয়ে চোখ খিঁচে নেয় ত্রয়ী।

চলবে..