এক ফালি রোদ্দুর পর্ব-১৯

0
1054

#এক_ফালি_রোদ্দুর🧡
#লেখনীতে:#তানজিল_মীম🧡
#পর্ব:১৯

“ভার্সিটি ঢুকতেই ধারাম করে ধাক্কা খেলাম আমি একটা ছেলের সাথে’!!হুট করে এমনটা হওয়াতে তাল সামলাতে না পেরে ঠাস করে পড়ে গেলাম আমি নিচে,মুহূর্তেই মেজাজ বিগড়ে গেল আমার কোনো রকম নিচ থেকে উঠে সামনের ছেলেটির দিকে তাকিয়ে বলে উঠলাম আমিঃ

—-“এই যে মিস্টার কানা চোখে দেখেন না নাকি….

—-“সরি মিস আমি খেয়াল করি নি আসলে একটু তাড়াই ছিলাম তো তাই…

“বলেই ছেলেটি পাশ কাটিয়ে চলে গেল আমার,ছেলেটির কাজে আমি তো চরম অবাক,

—-“কি এমন তাড়া যে সামনে কেউ আসছে তার দিকেও খেয়াল নেই,নিশ্চয়ই বউ পলাইছে,,

“এসব ভেবে কিছুক্ষন চুপ করে দাঁড়িয়ে থেকে ছেলেটির যাওয়ার পানে তাকিয়ে রইলাম আমি!’তারপর চটজলদি হাঁটতে শুরু করলাম আমার ক্লাসের দিকে,

—“ছেলেটিকে দেখে তো মনে হলো না এর আগে আমাদের ভার্সিটিতে দেখেছি বলে,যাক গে ছেলেটিকে দেখে আমার কি কাজ,,

“এসব ভাবতে ভাবতে হেঁটে চলেছি আমি,এমন সময় পিছন থেকে চিরচেনা দুটো ভয়েস ভেসে আসলো কানে…

—-“ওই তানজুর বাচ্চা…

“এমন আহামরিভাবে নিজের নাম শুনে পিছন ঘুরে তাকালাম আমি,সামনেই শিফা আর রুহিকে দেখে খুশি হয়ে দৌড়ে চলে গেলাম ওদের সামনে, যাগগে আমি একা লেট করিনি ওরাও করছে তাইলে….

“আমি দৌড়ে গিয়ে দুটোকে ঝাপটে ধরে বললামঃ

—-“তোরাও দেরি করে আসছোস আমি তো ভাবছিলাম আমি একাই লেট করে আসছি…

—-“আর বলিস না সব ওই শিফার জন্য হইছে,ঘুম থেকে উঠছিলই না…

—-“নিশ্চিয়ই কাল সারারাত আহান ভাইয়ার সাথে চ্যাটিং এ ব্যস্ত ছিল রুহি, তাই মহারানী ঘুম থেকে উঠতে পারে নাই…

“আমার কথা শুনে চোখ বড় বড় করে তাকালো শিফা’!!তারপর বললো সেঃ

—-“তুই বুঝলি কেমনে…😳

“শিফার কথা শুনে আমিও হাসতে হাসতে বলে উঠলামঃ

—-“ঠিক ধরেছিলাম…

—-”হইছে এখন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তো আরো দেরি হচ্ছে চল তাড়াতাড়ি…

—“হুম ঠিক বলেছিস তানজু চল..(রুহি)

“তারপর আমরা তিনজন একসাথে চলে গেলাম ক্লাসে…..

______________

“ভার্সিটি শেষে….

“ভার্সিটির গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছি আমি!’প্রচন্ড বিরক্ত লাগছে আমার,কারন আমার গাড়ি আসে নি এখনও,আর রুহি শিফা তাদের গাড়ি এসে পড়াতে চলে গেছে,ভার্সিটি পুরো ফাঁকা সবাই চলে গেছে,একরাশ বিরক্তমাখা মুখ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি আমি বাসায় ফোন করছি তাও কেউ ধরছে না!’ সহ্যের সীমা ভেঙে যাচ্ছে আমার তাই রাগান্বিত ফেস নিয়ে সামনে এগোলাম আমি উদ্দেশ্য হচ্ছে কোনো রিকশা পাওয়া!হর্ঠাৎ একটা গাড়ি এসে থামলো আমার সামনে,শুরুতে একটু ঘাবড়ে গেলেও পরক্ষনেই গাড়ির ভিতরে রিয়াদ ভাইয়াকে দেখে অবাক হলাম আমি’!!একরাশ বিষ্ময় নিয়ে বলে উঠলামঃ

—-“ভাইয়া তুমি….

—-“হ্যাঁ আমি তোকে নিতে এসেছি তাড়াতাড়ি গাড়িতে উঠ,

“রিয়াদ ভাইয়ার এবারের কথা শুনে আরো চমকে উঠলাম আমি’!!অবাক হয়ে বললামঃ

—-“তুমি আমায় নিতে এসেছো…

—-“হুম,তোর ড্রাইভার যে গাড়ি করে আসছিল সেই গাড়িটা মাঝপথে খারাপ হয়ে যায়, আর ড্রাইভার ফোন করে বলে খালামনিকে, তুই তো জানিস এই টাইমে দিহান বাসায় থাকে না তাই খালামনি আমায় বললো তোকে আনতে এখন আয় তাড়াতাড়ি….

“রিয়াদ ভাইয়ার কথা শুনে আমিও আর বেশি কিছু না ভেবে তাড়াতাড়ি বসে পরলাম গাড়িতে,তারপর গাড়ির ব্লেট লাগাতে লাগাতে বলে উঠলামঃ

—-“তুমি চিনে আসলে কিভাবে ভাইয়া…

—-“আর বলিস না অনেক খুঁজে চুজে লোকজনকে জিজ্ঞেস করে তারপর আসলাম তাই এত দেরি তুই নিশ্চয়ই এতক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলি…

—-“তা একটু ছিলাম, আমি তো বিরক্ত হয়ে রিকশা করে বাড়ি ফেরার কথা ভাবছিলাম,কিন্তু তার আগেই তুমি এসে হাজির…

—-“সরি…

—-“ইট’স ওকে ভাইয়া তুমি যে চিনে আসতে পেরেছো সেটাই অনেক…

—-“এত বছরে পুরো ঢাকা শহরই চেঞ্জ হয়ে গেছে…

—-“হুম সময়ের সাথে সাথে সব পাল্টে গেছে…

—-“হুম…

—-“এখন তাহলে যাওয়া যাক ভাইয়া…

“তানজুর কথা শুনে রিয়াদ তাড়াতাড়ি গাড়ি চালাতে শুরু করল,কথার তালে তালে সে ভুলেই গেছে গাড়ি স্ট্যার্ট দিতে,,

“গাড়ি স্ট্যার্ট দিতেই গাড়ি চলতে শুরু করল তার আপন গতিতে….

“ব্যস্ত শহরের ব্যস্ত রাস্তা দিয়ে এগিয়ে চলেছে রিয়াদ-তানজু’!!গাড়ি চালাতে চালাতেই বলে উঠল রিয়াদঃ

—-“তা কেমন কাটলো সারাদিন…

—-“হুম মোটামুটি, কি বলবো বলো আমাদের ক্লাসে একটা স্যার আছে ননস্টপ বকবক করতেই থাকে,আর আমিও বোরিং হয়ে ওনার বক বক শুনতে থাকি….

—-“পড়াশোনা করতে ভালো লাগে না বুঝি…

—-“একটা সত্যি কথা বলবো ভাইয়া…

—-“হুম বল…

—-“একদমই ভালো লাগে না পড়াশোনা…

—–“তাহলে কি ভালো লাগে তোর…

—-“কি ভালো লাগে…

—-৳হুম..

—-“এই ধরো,সারাদিন ঘুরবো ফিরবো,সিনেমা দেখতে যাবো,ভালো ভালো খাবার খাওয়া,সাথে তুলতুলে নরম বিছানায় সারাদিন ঘুমিয়ে থাকবো সাথে টিভি আর মোবাইল গুতাবো…

—-“এমনটা করলে তো তুই অলস হয়ে যাবি…

—–“না অলস কেন হবো…

—-“মানুষ কাজ না করতে করতে একটা সময় অলস হয়ে যায়….

—-“আমায় একটা কথা বলো ভাইয় এই পড়াশোনা করে কি হবে সেই তো বিয়ে হবে তারপর ৫-১০টা ছেলে মেয়ে হবে, তারপর স্বামী-সন্তানদের নিয়ে সংসার করতে হবে তারপর নাতিপুতি হবে তারপর ধুম করে একদিন মরে যাবো তাহলে মাঝখানে এই পড়াশোনা করে কি লাভ….

“রিয়াদ তানজুর কথা শুনে চোখ তার রসগোল্লা,চোখ বড় বড় করে বললো সেঃ

—-“তোর ৫-১০ ছেলে মেয়ে চাই…

—-“৫,১০টায় হবে না আমি তো পুরো একটা ক্রিকেট টিম তৈরি করবো,যাতে লোকে আমায় দেখলে বলে…

“ওই দেখো বাংলাদেশ টিমের মা যাচ্ছে…😎

“আমার কথা শুনে ভাইয়া কাশতে শুরু করলো’!!যা দেখে বলে উঠলাম আমিঃ

—-“তোমার আবার কি হলো, এই নেও পানি খাও…(পানির বোতলটা এগিয়ে দিয়ে)

“মাঝপথে গাড়ি থামিয়ে দিয়ে পানি খেল রিয়াদ ভাইয়া,তারপর বললোঃ

—-“লাইক সিরিয়াসলি তানজু এই ভাবিস সারাদিন…

—-“ওই একটু-আধটু.. 😁

—-“তোর একটু আধটু বের করছি আমি আজকেই আমি গিয়ে খালুকে বলবো তোর এই কথাগুলো….

“রিয়াদ ভাইয়ার কথা শুনে আমি ঘাবড়ে গিয়ে বললামঃ

—-“এই না না ভাইয়া এমন করো না,আমার কি দোষ তুমি তো জিজ্ঞেস করলে…

—-“আমি তোকে এসব জিজ্ঞেস করছি…

—-“ঠিক আছে যাও আমি আর কোনো কথা বলবো না তুমি প্লিজ আব্বুকে এসব বলো না….(ঠোঁটে আঙুল দিয়ে)

“তানজুর কাজে রিয়াদ হাসলো’!!তারপর হাসতে হাসতেই আবার গাড়ি ড্রাইভ করতে শুরু করল সে’!!

“নেমে আসলো কিছুক্ষনের নীরবতা….

“তানজুকে এভাবে চুপ থাকতে দেখে রিয়াদের ভালো লাগছে না’!!তাই নীরবতার শিকল ছিঁড়ে বললো সেঃ

—-“কোথাও ঘুরতে যাবি,তোর তো ঘুরাঘুরি ভালো লাগে যাবি কোথাও….

“রিয়াদ ভাইয়ার কথা শুনে আমি অবাক হয়ে বললামঃ

—-“ঘুরতে যাবে তুমি…..

—-“হুম…

“মুহূর্তেই মনটা খুশি হয়ে গেল আমার উওেজিত কন্ঠ নিয়ে বলে উঠলাম আমিঃ

—-“একটা জায়গায় মেলা হচ্ছে যাবে সেখানে…

—-“মেলায় ঠিক আছে চল…

—-“তাহলে গাড়ি ঘুরাও ভাইয়া…

“আমার কথা মতো রিয়াদ ভাইয়াও গাড়ি ঘুরালো,তারপর বাড়ির পথ ছেড়ে আমরা চললাম মেলার উদ্দেশ্যে…

______________________________________

________________________

||

“বেশকিছুক্ষন পর….

“আমাদের গাড়ি এসে থামলো একটা মেলার সামনে,আমিও খুশি হয়ে নেমে পরলাম গাড়ি থেকে!’তারপর আমি আর রিয়াদ ভাইয়া ঢুকে পরলাম মেলার ভিতর…

“রং বেরঙের দোকান-পাট,সাথে বিভিন্ন মানুষজন,নাগদোলা সহ আরো নানা পদের জিনিস আছে এখানে যাতে খুব আকর্ষনীয় লাগছে জায়গাটা,তবে মেলায় দিনের বেলার চেয়ে রাতে বেশি ভালো লাগে….

“আমি আর রিয়াদ ভাইয়া পাশাপাশি হেঁটে চললাম একটার পর একটা দোকানে,নানা ধরনের জিনিসপএে ঘেরা পুরো মেলা,হর্ঠাৎই চোখ আটকে গেল আমার অনেকগুলো চুড়ির দিকে’ আমি চুরি গুলো হাতে নিয়ে নাড়াতে লাগলাম সাথে হাতে পড়েও দেখতে লাগলাম….

.
.
.

“এদিকে রিয়াদ মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে তানজু দিকে, হলুদ জর্জেট থ্রি-পিচ,সাথে চুলগুলো খোলা,হাতে মুঠো ভর্তি হলুদ কাঁচের চুড়ি আর চোখে কাজল!’ অল্প সাজেই খুব আকর্ষণীয় লাগছে তানজুকে রিয়াদের কাছে,আনমনেই মুচকি হাসলো রিয়াদ,,

.

“পর পর অনেক গুলো চুড়ি ট্রাই করলাম আমি, তারপর অনেকগুলো চুড়ি কিনে নিলাম,চুড়ি আমার বরাবরই খুব পছন্দের তাই মেলায় আসলেই আর কিছু কিনি বা না কিনি চুড়ি আমি কিনবোই…

“দোকানদারকে টাকা দিয়ে চলে আসলাম আমি রিয়াদ ভাইয়ার সামনে’!!তারপর বললামঃ

—-“চল তাহলে যাওয়া যাক আরো ভিতরে…

“তানজুর কথায় রিয়াদ পাত্তা না দিয়ে বলে উঠলঃ

—-“তুই কি শাড়ি পড়িস তানজু…

“রিয়াদ ভাইয়ার মুখে এমন কথা শুনে হকচকিয়ে উঠলাম আমি,তারপর বললামঃ

—-“শাড়ি…

—-“হুম,পরিস তুই…

—-“তেমন একটা পড়ি না ভাইয়া তবে একবার পরেছিলাম ভার্সিটির নবীন বরন অনুষ্ঠানে,কিন্তু শাড়ি দিয়ে কি হবে ভাইয়া…

—-“কিছুই হবে না চল আমার সাথে…

“বলেই সামনের একটা দোকানের দিকে পা বাড়ালো রিয়াদ ভাইয়া!’আমি রিয়াদ ভাইয়ার কাজে অবাক হলাম খুব,তারপরও বেশি কিছু না ভেবে চুপচাপ চললাম রিয়াদ ভাইয়ার পিছন পিছন….

“রিয়াদ গিয়ে দাঁড়ালো একটা শাড়ির দোকানের সামনে,রঙ বেরঙের শাড়ি রয়েছে সেখানে,

“পাশেই একটা পুতুলকে শাড়ি পড়িয়ে রাখা হয়েছে,রিয়াদ সেই পুতুলটার শাড়ি দেখেই চোখ আঁটকে যায়,কল্পনায় সেই পুতুলের সাথে তানজুকে কল্পনা করে সে,কেন যেন তানজুকে শাড়িতে দেখতে কেমন লাগে এটা খুব জানতে ইচ্ছে করছে রিয়াদের,তাই তো এখানে নিয়ে আসা….

“রিয়াদ দোকানদারের সামনে গিয়ে বললোঃ

—-“এই শাড়িটার কিছু ভিন্ন কোয়ালিটির দেখান…

“দোকানদার রিয়াদের দেখানো শাড়িটার দিকে তাকিয়ে বললোঃ

—-“আপনি জামদানী শাড়ি নিবেন একটু অপেক্ষা করুন আমি এক্ষুনি দেখাচ্ছি…

“বলেই দোকানদার শাড়ি খুঁজতে শুরু করল!’কিছুক্ষনের মধ্যেই শাড়ি বের করলেন দোকানদার,রিয়াদও একটা একটা করে শাড়ি দেখতে লাগলো….

“রিয়াদ ভাইয়ার কাজ দেখে আমি অবাক হয়ে বললামঃ

—-“শাড়ি দিয়ে কি করবা….

—-“আমি শাড়ি পরবো…

—-“কি…😳

—-“তোর মাথা শাড়ি দিয়ে কি করে মানুষ…

—-“পড়ে…

—-“তাহলে এত বকবক করছিস কেন?

—-“না মানে তুমি শাড়ি কিনবে তাই আর কি…

—-“থাম তুই আমায় শাড়ি দেখতে দে…

“হর্ঠাৎই রিয়াদের চোখ আঁটকে যায় একটা লাল টুকটকে জামদানী শাড়ির দিকে,রিয়াদ তানজুর দিকে শাড়িটা এগিয়ে দিয়ে বললোঃ

—-“শাড়িটা কেমন…

“তানজু কিছু বলার আগেই দোকানদার বলে উঠলঃ

—-“আপনার চয়েজ তো খুব সুন্দর ভাইয়া ভাবিকে খুব সুন্দর লাগবে শাড়িটাতে…

“দোকানদারের কথা শুনে রিয়াদ তানজু দুজনেরই চোখ বড় বড় হয়ে গেল!’তানজু তো অবাক হয়ে বলে উঠলঃ

—-“ওই মিয়া কি সব বলছেন…

—-“কি বলেছি ভাবি…

—-“ওই মিয়া ভাবি বলা বন্ধ করুন আমরা হাজবেন্ড ওয়াইফ নই,,,

“তানজুর কথা শুনে দোকানদার অবাক হয়ে বললোঃ

—-“আপনারা হাসবেন্ড ওয়াইফ নন…

—-“না…

“দোকানদার কিছুটা অসস্তিতে পড়ে গেল হয়তো ভুল জায়গায় ভুল কিছু বলে ফেলেছে সে তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে বললো দোকানদারঃ

—-“না মানে ভাইয়া যেভাবে আপনার জন্য শাড়ি চয়েজ করছিল তাই…

—-“ওই মিয়া কেউ শাড়ি চয়েজ করে দিলেই জামাই হয়ে যায় নাকি…

“এই নিয়ে আমার দোকানদারের মধ্যে তুমুলবেগে কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে গেল….

“রিয়াদ তো এদের কান্ড দেখে হাসি পাচ্ছে খুব, কিন্তু তারপরও যথাসম্ভব হাসি থামিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো সে…..

,,

“পাক্কা আধ ঘন্টা ঝগড়া করে অবশেষে লাল টুকটেক জামদানী শাড়িটা কিনে তানজুকে নিয়ে বের হলো রিয়াদ…,বাহিরে এসেই উচ্চস্বরে হেঁসে দিল রিয়াদ,,কারন পুরো ঘটনাটায় খুব মজা পেয়েছে রিয়াদ,

“রিয়াদ ভাইয়ার হাসি দেখে আমার রাগ হচ্ছে,একটা রাগী লুক তাকিয়ে আছি আমি রিয়াদ ভাইয়ার দিকে……
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
#চলবে……