তুমিই আমার প্রিয় নেশা পর্ব-১০

0
889

#তুমিই_আমার_প্রিয়_নেশা
#পর্ব:10
#Suraiya_Aayat

” কোথায় নিয়ে আসলেন এটা ?” অবাক হয়ে বলল নূর ৷
” ডেভিল ভিলা আফু সোনা ৷” কথাটা বলে নূরের দিকে একটা মিষ্টি হাসি দিতেই নূরের প্রান যাই যাই অবস্থা ৷ এতোদিন হনটেড ভিলা নাম শুনেছে কিন্তু ডেভিল ভিলার নাম কখনো শোনেনি নূর ৷ নূর শুকনো একটা ঢোক গিলে বলল
” কি বলছেন এসব ! ডেভিল ভিলা সেটা আবার কি ?”

আয়াশ ওর হাতের ঘড়িটা খুলে পকেটে রাখতে রাখতে রাখতে বলল
” আমি ডেভিল, আর আমার বাসা মানে ডেভিলের বাসা তাই ডেভিল ভিলা ৷ এজ সিম্পল এজ মি ৷”

নূর কথাটা শুনে ভ্রূ কোঁচকালো, অবাক হওয়া কন্ঠে বলল
” আপনি সিপ্পল ? এটা আমাকে মানতে হবে ? আপনি কি জানেন আপনার মাঝে কত প্যাচ আছে?”
অনর্গল কথাগুলো বলে আয়াশের দিকে তাকাতেই দেখলো আয়াশ ওর দিকে কপাল কুচকে বিরক্ত ভাব নিয়ে তাকিয়ে আছে ৷ ছেলেরা রেগে আছে কি বিরক্ত হয়ে আছে তা বোঝার খুব একটা ভালো দিক আছে সেটা হলো কপালের ভাঁজ ৷ ছেলেদের মতো মেয়েদের কপালের চামড়ার ভাঁজ আসে না বার্ধক্য ব্যাতীত এবং কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া ৷ ছেলেরা রেগে গেলে তাদের কপালে ভাঁজ পড়ে না, তাদের চোখ মুখের অবস্থা দেখলেই বোঝা যায় , তবে বিরক্ত হলে বিরক্তি তাদের মুখে স্পষ্ট বোঝা যায় ৷কপালের ভাজ দেখে যা তীব্র বিরক্তিকে প্রকাশ করে ৷ নূর ও আয়াশের ভাবভঙ্গি গুলো ভালো ভাবেই লক্ষ করে বেশ , আসলে মানুষটাকে বুঝে উঠতে পারে না তো তাই যতটুকু সম্ভব ততটা বোঝার চেষ্টা থেকে নিজেকে বিরত রাখে না ৷ আয়াশের কপালে বিরক্তির ভাঁজ স্পষ্ট ৷ নূরের বিষয়টা বেশ মজা লাগলো কারন ও আয়াশকে ওর কথাতে রাগাতে পারবে জানে কিন্তু কখনো যে বিরক্ত করতে পারবে সেটা কখনো ভাবেনি নূর ৷ আয়াশ বিরক্তি ভাব নিয়ে বলল
” একটু বেশিই বলে ফেলছো না আফু সোনা ?”
হঠাৎ নূরের মাথাটা একটু টাল দিতেই নূর কয়েক কদম পিছিয়ে গিয়ে বলল
” বেশি বলি আর কম বলি আমি এখানে যাবো না হূ ৷” কথাটা বলতে বলতে ওর যাথাটা আরুকটাঘুরতে লাগলো , মাথার চক্করে আর আয়াশের ভয়ে নূর আরো কয়েক কদম পিছিয়ে যেতে গেলেই আয়াশ ওর হাতটা ধরে ওর কাছে টেনে এনে একেবারে কোলে তুলে নিলো , নূর যেন হাওয়াতে ভাসছে ৷ আয়াশ কোলে তুলে নিয়ে হাটতে লাগলো, নূর শক্ত করে জামার কলারটা চেপে ধরে আছে, আয়াশের শরীর থেকে অপূর্ব এক সুবাশ ভেসে আসছে,শরীরের মাঝে আছে একরাশ শীতলতা আর সুগগ্ধ অনুভূতি যা আয়াশের এতো কাছে না আসলে নূর জানতেই পারতো না , আয়াশের চোখের দিকে তাকালো নূর , হালকা বাদামী চোখগুলো লেন্সবিহীন , হালকা কোকড়ানো চুলগুলোতে থাকা ক্ষনিক প্যাচগুলো দেখে নূরের মাঝে প্রবল ইচ্ছা জাগছে তা ছড়িয়ে দেওয়ার , নিজের সুপ্ত বাসনা কে পূরন করার জন্য নুর হাতটা আয়াশের মাথার দিকে তুলতে গেয়েও পারলো না, শরীরে হঠাৎ করেই শক্তি পাচ্ছে না ৷ কালো রঙের শার্টটা সাদা চামড়ার উজ্জ্বলতাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে তা নূরের চোখে ধরেছে বেশ ৷ এককথায় চোখ ধাঁধানো এক রহস্যময় পুরুষ, নূর এতো গভীরভাবে কখনো কাউকে পর্যবেক্ষন করেনি আর না কারোর এতো কাছে এসেছে, আয়াশই হয়তো ওর জীবনের সেই প্রথম এবং শেষ পুরুষ ৷ আয়াশের মাঝে মগ্ন থাকতে গিয়ে নূর এতখন খেয়াল ই করেনি যে আয়াশ কখন বাসার মধ্যে ঢুকে গেছে ৷ হঠাৎ আয়াশ বলল
“কাজল চোখের নারীর এইভাবে কোন ডেভিল পুরুষের দিকে তাকানো মানা না হলে যে ডেভিলটাও মায়ায় পড়ে নিজের রুপ পরিবর্তন করে নিতে বাধ্য হবে ৷ ”
কথাটা বলে আয়াশ নুরকে বিছানার ওপর বসিয়ে দিলো, নূর এখনও আয়াশের জামার কলার ছাড়েনি, হাত দিয়ে আকড়ে ধরে রেখেছে আয়াশকে ৷ নূরের চোখ জোড়া ঘুমে ঢুলু ঢুলু হয়ে আসছে যেন কেউ হাই ডোজের ঘীমের ঔষুধ খাইয়ে দিয়েছে ৷ নূর হালকা পিটপিট করে তাকিয়ে এক আবেগ মিশ্রিত কন্ঠে বলল
” দেখান না নিজের আসল রুপটা ! মুখোশধারী মানুষেরা যে বড্ড কুৎসিত হয় ৷” অন্যমনস্ক হয়ে কথা গুলো বলল নূর ৷ তারপর হঠাৎ আয়াশ ওর হাতে থাকা গাড়ির চাবিটা দিয়ে নূরের পেটে আচড় দিয়ে বলল
” ডেভিলরা ডেভিলই হয় ৷ তাদেরকে মুখোশ পরেই বেশ লাগে ৷”
হঠাৎ পেটে আঁচড় পেতেই নূরের হোস ফিরে আসলো , বুজে আৎঅ চোখগুলো বড়ো বড়ো করে তাকালো ৷ চমকে গিয়ে আয়াশের শার্ট ছেড়ে দিলো ৷ বুঝতে পারলো যে কোন এক প্রকার ঘোরেই কথাগুলো বলছে আয়াশ ৷ নূর সরে যেতেই আয়াশ বলল
” সরে গেলে যে , কেটে গেল এই ঘোর !” নূর কিছু বলল না,শক্ত করে নিজের মাথাটা চেপে ধরলো,আয়াশ নূরকে পুনরায় কোলে তুলে নিয়ে সিঁড়ি বেয়ে নামতে লাগলো ৷ ইতিমধ্যেই নূরের শরীরের মাঝে বিপরীত পতিক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে , হাত পা অবশ হয়ে আসছে শরীর নেতিয়ে পড়েছে কয়েক মিনিটের মধ্যেই , আয়াশ সিঁড়ি দিয়ে নামছে নূরকে কোলে নিয়ে , নূরের মাথার ভিতর সবটা ভনভন করে ঘুরছে ৷ আধোঁ আধোঁ কন্ঠে বলল
” আমার এমন হচ্ছে কেন ? কি হচ্ছে আমার সাথে ৷”
আয়াশ হাটতে হাটতে বলল
” আজ মেরেই ফেলবো তোমাকে শুধু ওয়েট করো ৷ আমাকে মিথ্যা বলার শাস্তি এটা ৷ ”
নূর কাঁপা কাঁপা হাতে আয়াশকে শক্ত করে ধরলো যাতে আয়াশ ওকে ছেড়ে না দেই ৷ নূরের মাথাটা আপনাআপনিই অয়াশের বুকে গিয়ে পড়লো,আধো আধো গলায় নূর বলল
” প্লিজ মারবেন না আমাকে , আমি বাঁচতে চাই ‌৷”
কথাটা বলে ওর চোখ বুজে আসতে নিলেই আয়াশ নূরকে জলের মধ্যে ছুড়ে ফেলে দিলো নিমেশেই ৷ নূরের শরীরে শক্তি নেই যে ও সাঁতার কাটবে তবুও জলের মধ্যে হাত পা ঝাপটে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলো ,মুখ থেকে কোন আওয়াজ ও ভেসে আসছে না ৷ নূর সুইমিং পুলের জলের মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছে, আয়াশ পুলের ধারে পকেটে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আর নূরকে ডুবে যেতে দেখছে, এতখনে নিশ্চয়ই জল খেয়ে নূরের পেট ফুলে ঢোল ৷ আয়াশের কন্ঠস্বর নূরের কানে কতোটা গেল আয়াশ জানেনা তবুও আয়াশ উচ্চস্বরে বলল
” ডোন্ট ডেয়ার টু বি আ লাই পারসন ৷ আমাকে মিথ্যা বলার শাস্তি এটা , আমাকে মিথ্যা নেশাতে জড়াবেনা আফু সোনা, তাহলে রেজাল্ট এমনই হবে ৷”

___

” আর কতোদিন এভাবে নিজেকে ঘরবন্দি করে রাখবেন ভাইয়া ! আপনার শরীরের জোর ও কমে এলো , তা নিজের সম্পত্তির ব্যাপারে কি সাদ্ধান্ত নিলেন?” খানিকটা আলস্যময় ভঙ্গীতে কথাটি বললো আয়াশের মামা মুজিবর সাহেব ৷
আয়াশের বাবা তেহেরাত সাহেব তিনি নিজের গায়ে শালটা আরো খানিকটা টেনে নিয়ে বলল
“ভাববো ! ভাববো কখনো, যদি সময় হয় ‌৷”
ওনার এমন কথা শুনে তেহেরাত সাহেব নিজে একটা বাঁকা হাসি হেসে তাচ্ছিল্যর সুরে বললেন
” দেখেন এভাবেই যদি প্রিয়ন্তীর মতো আপনার ও শেষ সময় চলে আসে তাহলে তো হাওয়াই মিঠায়ের মতো মিশে যাবে !”
তেহেরাত সাহেব তিনি আর চোখটা খানিকটা সরু করে বললেন
” এসব ভবিষ্যৎ নিয়ে দেখছি তোমার অনেক অভিঞ্জতা মুজিবর ৷”
তেহেরাত সাহেবের এমন কথা শুনে মুজিবর সাহেব খানিকটা ভড়কে গেলেন, গলা পরিষ্কার করে কথা পাল্টে বললেন
” এই কদিন খুব ব্যাস্ত ছিলাম , সম্পত্তি সব কিছু আমার নামে হবে সেই কাজের সূত্রেই একটু রংপুর গিয়েছিলাম ৷ ভালো উকিল দিয়ে সব বন্দোবস্ত করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কোন ভুল না হয়, তাতে আমার ছেলে মেয়েদের ই ভবিষ্যৎ খারাপ হবে ৷”

তেহেরাত সাহেব চেয়ারে আরাম করে হেলান দিয়ে বসলেন , তার পর গাঢ় কন্ঠে বললেন
” প্রিয়ন্তী মারা গেল কত বছর তোমার মনে আছে মুজিবর ?”
মুজিবর সাহেব তিনি একটা সিগারেট ধরিয়ে লম্বা শ্বাসে তার ধোঁয়া টেনে বললেন
“হবে হয়তো 8-9 বছর ৷”
তেহেরাত সাহেব তিনি বিষাক্ত সিগারেটের ধোঁয়া হাত দিয়ে বাতাস থেকে সরানোর বৃথা চেষ্টা করে বললেন
” দশ বছর ! দশ বছর হলো সে আমাদের মাঝে নেই ৷”

মুজিবর সাহেব ধোঁয়া ছেড়ে বললেন
“আজ প্রিয়ন্তি বেঁচে থাকলে পৈতৃক সম্পত্তির 30 শতাংশ অংশ তাকে দিতে হতো ৷”
তেহেরাত সাহেব মুচকি হেসে বললেন
” তোমার কি মনে হয় যে সে নিতো ?”
উনি সিগারেটটা ট্রে তে ফেলে বললেন
” লোভ কার না থাকেন বলুন তো ! যাই হোক যে নেই সে নেই ! তার কথা টেনে মন খারাপ না করায় শ্রেয় ৷ সামনের মাসের প্রথম সপ্তাহের শুরুর দিকেই, ওই তো 3 তারিখে সব কিছু বাবা আমার নামে লিখিয়ে দেবেন, তাই সেদিন আপনাদের সবার উপস্থিতি কাম্য ৷ ”

” জ্বি যাওয়ার চেষ্টা করবো ৷”

” আয়াশ নাকি তার ভাইয়ের হবু বউকে বিয়ে করেছে শুনলাম !” খানিকটা খারাপ ভঙ্গিতে বললেন ৷

” জ্বি , ঠিক শুনেছো ৷”

উনি চেয়ার থেকে উঠতে উঠতে বললেন
” সমস্যা নেই, খানদানী বংশের ছেলে, চরিত্রে দোষ থাকবে এটাই স্বাভাবিক ৷ আমার ছেলে এই তো কিছু দিন আগেই আরেকটা বিয়ে করলো, মেয়েরা সিলেটের জমিদার বংশের , অনেক কিছু পাবে আমার ছেলে ৷ যাই হোক প্রয়োজনে আয়াশ আরো কয়েকটা বিয়ে করুক সমস্যা নেই ৷”
তেহেরাত সাহেব নির্লিপ্ত ভাবে বললেন
” আয়াশের স্ত্রী খুবই সাধারন পরিবারের ! তবে তার শরীরেও খানদানী বংশের রক্ত আছে এটুকু বলতে পারি ৷”
উনি ভ্রু কুচকে বললেন
” কিভাবে !”

উনিও মুজিবর সাহেবের কথা উপেক্ষা করলেন যেমনটা মুজিবর সাহেব কিছুখন আগে ওনার কথা উপেক্ষা করেছিলেন ৷ উনিও উপেক্ষা করে বললেন
” বিয়েতে তো আসলেনা, তবে আমি না গেলেও ওরা সেদিন যাবে ৷ বৌমা আমার মাশাআল্লাহ , চোখ ধাঁধানো ৷”
মুজিবর সাহেব বুঝলেন যে উনিও কথাটা উপেক্ষা করে গেলেন তাই মুচকি হেসে বললেন
” আজ আসি !”

উনি চলে যেতেই তেহেরাত সাহেব ওনির স্ত্রীর ছবির দিকে তাকালেন আর বললেন
” আর যাই হোক কাপুরুষের মতো চরিত্র নিয়ে আমার ছেলে বড়ো হয়নি ৷ সে ভালোবাসে ! ভালোবাসতে জানে ! আর পাঁচ জনের মতো ঢাক ঢোল পিটিয়ে সে ভালোবাসতে জানে না , সে যে নিরবে ভালোবাসে , যে ভালোবাসাতে কষ্ট বেশি আর সেই কষ্টটা সে নিরবে একা সহ্য করে যায় ৷
বুঝলেতো প্রিয়ন্তি তোমার ছেলেটার হাজারো রাসায়নিক সমীকরন মেলানোর ক্ষমতা থাকলেও ভালোবাসার সমীকরনটা সে বড্ড জটিল দৃষ্টিতে দেখে তাই তো ভালোবাসা বুঝেও বোঝে না !”

____

“জুম ইন,,,,,,জুম আউট,,,,,, ড্যাম ! আফু সোনা এত মিস্টেক কেন করো বলোতো ? ”
ল্যাপটপে সিসিটিভি ফুটেজ চেক করতে লাগলো আয়াশ ৷ ওর ঘরে অনেক জায়গায় সিসিটিভি লাগানো আছে যেটা আয়াশ ছাড়া দ্বিতীয়জন কেউ জানে না ৷ কিছু আছে সিসিটিভি , আর বেশ কয়েকটা আছে যেগুলো খুব কম ডেসিবেলের শব্দকেও আয়ত্ত করে নেই ৷ আর যার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত নূরের ওপর লক্ষ রাখে আয়াশ ৷ কালে নূরকে কল করার পর যখন নূরের ফোন বন্ধ বলে তৎক্ষনাত আয়াশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে লাগে ৷ সব কথা ও শুনেছে আর দেখেছে, তাছাড়া আলাদা ভাবে নূর কার সাথে কি কথা বলে ফোনে সব আয়াশের কাছে রেকর্ড করা থাকে , ও একজন সায়েন্টিস্ট তাই এইসব কাজ ওর কাছে কোন ব্যাপার না,খুব ইজিলি নজর রাখে নূরের ওপর ৷
ল্যাপটপ থেকে চোখ সরিয়ে নূরের দিকে তাকালো আয়াশ , মেয়েটার চোখ মুখের অবস্থা এখন স্বাভাবিক, কিছুখন আগে আয়াশ যখন পুল থেকে তুলে আনে তখন শরীরের অবস্থা ছিলো খারাপ , চোখ উল্টে আসছিলো, শরীরে জল প্রবেশ করাতে পেটে প্রচুর জল ছিলো ,শ্বাস আটকে আসছিলো , আয়াশ সঠিক ট্রিটমেন্টে আবার ওকে স্বাভাবিক অবস্থায় আনে তারপর সঠিক মেডিসিন দিয়ে দেই যাতে দ্রুত আরোগ্য লাভ করে ৷
আয়াশ ল্যাপটপটা পাশে রেখে নূরের কাছে গেল, নুরকে একটা নিষ্পাপ শিশুর মতো লাগছে অনেকটাই ভোরে প্রথম ফোঁটা ফুলের মতো ৷ আয়াশ নুরের গালে আলতো করে ঠোঁট ছুঁইয়ে বললো
” তোমার পানিশমেন্ট তো তখনই শুরু হবে যখন তোমার জ্ঞান ফিরবে ৷ এতোদিন আমি নিজে থেকে তোমার কাছে গিয়ে তোমাকে ভালোবেসেছি আর আজ তুমি নিজে আমাকে কাছে টেনে নিয়ে নিজের মতো করে ভালোবাসবে আর এটাই হবে তোমার পানিশমেন্ট ৷ বুঝলে আফুসোনা !”

#চলবে,,,, Suraiya Aayat