ছদ্মবেশে লুকানো ভালোবাস পর্ব-১৪

0
1280

#ছদ্মবেশে_লুকানো_ভালোবাস
#মৌমি_দত্ত
#পর্ব_১৪

আজকে আজাদ গ্রুপের সাথে ডিল বলেই একটু চাপে আছে ইনায়াত আর আফিম। আফিম চেয়ারে চোখ বন্ধ করে বসে আছে। তখনই পিয়ন এসে বললো
– স্যার নিচে ওদের গাড়ি চলে এসছে।
আফিম উঠে দাঁড়িয়ে নিজের কোটের হাতা ঠিক করলো। ইনায়াতের দিকে আড়চোখে তাকিয়ে দেখলো ইনায়াত বারবার চোখ বন্ধ করছে আর খুলছে। আফিমের মাথায় প্রশ্ন ঘুরপাক খেলো,,
– ইনায়াত কি অসুস্থ?? আমি একনার জিজ্ঞেস করি??
কিন্তু পরমুহুর্তেই নিজেই নিজেকে শাসিয়ে ডেকে উঠলো,,
– ইনায়াত!! লেটস গো!!
ইনায়াত আফিমে ডাক শুনে তড়াক করে লাফিয়ে উঠে পড়লো। হাতে ফাইলগুলো নিয়ে রুম থেকে বের হয়ে এলো। নিচে এসে স্পন্দন আজাদ,, তার পিএ কামালকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলো আফিম আর ইনায়াত। আফিম এগিয়ে গেলো।
– হ্যালো মিস্টার স্পন্দন আজাদ!! আমি আফিম আহসান।
– হ্যালো!!
স্পন্দন অস্থির ভাবে কোনমতে আফিমের সাথে হাত মিলিয়ে এগিয়ে গেলো ইনায়াতের দিকে।
– হ্যালো বেবি সিস্টার!!
একটা ফুলের তোড়া এগিয়ে দিয়ে বললো,,,
– এটা তোমার জন্য!!
পুরো তোড়াটার বাউন্ডারি ফুল দিয়ে এবং মাঝখান ভর্তি সব চকলেট দিয়ে সাজানো একটা তোরা। ইনায়াত অবাক হয়ে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে রইলো স্পন্দনের দিকে৷ স্পন্দন নিজের ভুল বুঝতে পেরে বললো,,
– আসলে,, তুমি আমার বোনের মতোই দেখতে অনেকটা। তাই নাও প্লিজ!!
ইনায়াত একবার আফিমের দিকে তাকালো। আফিম ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে। অনেকটাই দূরে থাকায় বেচারা আফিম কোন কথা শুনতে পায়নি। শুধুই দেখেছে স্পন্দনকে বুকে দিতে। ইনায়াতের ভালো লাগলো স্পন্দনের কথা বলার ধরন। তার ভাই থাকলে সেও হয়তো এভাবেই চকলেটস নিয়ে আসতো তার জন্য ভেবেই হাসিমুখে স্পন্দনের হাত থেকে বুকেটা নিয়ে নিলো। আফিমের রাগ এবার সপ্তম আসমানে। আফিম দ্রুত পায়ে হেঁটে এসে ইনায়াতের হাত চেপে ধরে ভিতরে হাঁটা দিলো। স্পন্দন প্রথমে অবাক হলেও পরে রেগে গেলো।
– এই ছেলে কোন সাহসে আমার বোনের হাত এভাবে চেপে ধরে। আমার বোনেএ হাত এটা!! বাজারের মুলা তরকারি না।
মৃদু স্বরেই বললো কথাগুলো। কামাল তাড়াতাড়ি দৌড়ে এসে বললো,,
– স্যার,, শান্তি!! বোন এখনো জানেনা বোন আপনার বোন হয়। তাই শান্তি!!
কামালের এমন কথা শুনে বোকা বনে তাকালো স্পন্দন কামালের দিকে। কি বুঝলো না বুঝলো তা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে মাথা ঝাঁকিয়ে হ্যাঁ জানিয়ে অনুসরন করলো আফিমকে।
.
.
দিনগুলো কেটে যাচ্ছে নিজের মতো। জানলার ধারে বসে সময় কিভাবে কেটে যায় তা দেখার সময় শুধু একজনেরই আছে। ইরশাদ সাহেব ইদানীং খাওয়াদাওয়া করেন না। জানলার ধারে একদৃষ্টিতে বাইরের দিকে তাকিয়ে থাকেন। তাহজিব খুব চিন্তায় আছে এখন। কি করা যায় এই ভদ্রলোককে নিয়ে?? এভাবে চললে এখানেই পঁচে গলে যাবে উনি মরে। আজকেও খাওয়ানো গেলো না তাকে জোড় করে। ইরশাদের রুমের দরজা যেভাবে নিঃশব্দে খুলেছিলো তাহজিব। সেভাবেই নিঃশব্দে টেনে দিলো। নিচে নেমে এলো সিড়ি বেয়ে। রান্নাঘর থেকে খাবারের বাটি এনে রাখছে রুহি ডাইনিং টেবিলে। কিভাবে যেন ১০ দিন হয়ে গেছে এই মেয়েকে চিনবার। নেয়েটা এখন প্রায় সময় এখানেই থাকে। নিজ হাতে রান্না করে খাওয়ায় তাহজিবকে। যে তাহজিব আগে অগোছালো ছিলো। সে তাহজিবকে খুঁজে পাওয়া যায় না। ব্রেকফাস্ট,, লাঞ্চও ডিনার সময়মতো করে সে এখন। রুহি তার কাপড় প্রেস করে রাখে। রুম গুছিয়ে রাখে। ঘুম না হলে অনেকদিন রাতে নিজে বসে থেকে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়। সকালে ঘুম থেকে ডেকে দেওয়ার কাজও এই মেয়ে করে। আরভিদ সাহেব ১০ দিনের জন্য কোন এক মিশনে গেছিলেন। তাই রুহির এখানে আসা যাওয়াটাও যেন আরো সহজ হয়ে গেছে। এতোদিনে রুহির সাথে সময় খুব হাসি খুশী আর ভালোই কেটেছে তাহজিবের। কিন্তু ইনায়াত?? তার চিন্তা এখনো তাড়া করে তাহজিবকে?? মেয়েটা এমন কোথায় আছে যে মেয়েটার খোঁজ পেলো না তাহজিব?? মেয়েটাকে এখনো ভালোবাসে। কিন্তু এদিকে রুহি তাহজিবের মাঝে জায়গা করে নিতে না পারলেও,,, তাহজিবের জীবনটা সুন্দর করে দিয়েছে না চাইতেই। কিন্তু এই মেয়েকে কোন ভাবে যে রাজী করানো সম্ভব হচ্ছে না তাহজিবের পক্ষে। তাহজিব এতোদিনে এটুকু বুঝে গেছে যে রুহি এই রোগটা নিয়ে মন থেকে খুব কষ্টে আছে। তাই সে এতো চঞ্চলতা নিয়ে থাকে। যাতে তার চঞ্চলতায় সবার চোখ আটকে যায়,, কেও যেন গভীরটা না জানে। আর রুহি যে আসলেই বাস্তববাদী এবং সত্যিই তাহজিব কে ভালোবাসে। তাও জানা হয়ে গেছে তাহজিবের। আকর্ষন নাহয় তাহজিব কাটিয়ে দিতো। কিন্তু এই ভালোবাসা কিভাবে ভাঙ্গবে?? সেও তো একজনকে ভালোবেসে পাচ্ছে না।
– কি ভাবছো??
রুহির গলার স্বর শুনে ভাবনার জগতের জাল চিড়ে বের হয়ে এলো তাহজিব। মৃদু হেসে রুহির হাত টেনে একটা চেয়ারে বসালো নিজের পাশে।
– কিছু না। চলো খেয়ে নিই। তোমার কিন্তু অনেকদিন স্কুল মিস যাচ্ছে।
রুহি তাচ্ছিল্য হাসলো। উঠে দাঁড়িয়ে জাবার বেড়ে দিতে লাগলো তাহজিবের প্লেইটে। হঠাৎই মাথায় তীব্র যন্ত্রনা বোধ করলো রুহি। ঘাবড়ে গেলো সে খুব। এখন তাহজিবের সামনে অসুস্থ হতে চায় না সে। তাহজিব এমনিই ইনায়াতকে নিয়ে চিন্তায় থাকে। এর উপর সে যখন রুহিকে নিয়েও চিন্তায় পড়ে যায় তা ভালো লাগে না রুহির।
তাহজিবকে কোনমতে খাবার বেড়ে দিয়ে রুহি সড়ে আসতে চাইছিলো। কিন্তু তা হলো না। চলে আসার সময়েই তাহজিবের চোখে পড়লো নাক বেয়ে পড়তে থাকা রক্তের ধারা। তাহজিব দ্রুত চেয়ার ঠেলে উঠে রুহির কাছে এসে রুহির কাঁধ চেপে ধরলো। রুহি ভয় পেয়ে গেলো। কি মিথ্যা বলবে এবার তাই ভাববার জন্য এদিক ওদিক তাকাতে লাগলো। কিন্তু তাহজিব সেই সুযোগ দিলেই তো।
– আসিফ?? আসিফ?? এক্ষুনি আরভিদের সাহেবের বাসায় যা। আলমারি ঘেটে রুহির যতো ফাইলপত্র পাবি নিয়ে আসবি।
আসিফকে ডেকে নির্দেশনা দিয়েই রুহিকে কোলে তুলে নিলো তাহজিব।
– আনিইইই!! আমি হাসপাতালে যাবো না। নামাও আমাকে,,, আমি যাবো না।
রুহি হাত পা ছুটাছুটি করতে লাগলো। তাহজিব পাত্তা দিলো না। ইদানীং রুহির শরীর খারাপের বিষয়টা সে অনেক লক্ষ্য করেছে। শুধু হাতেনাতে ধরার জন্য চুপ ছিলো। রুহি যখন দেখলো কোনভাবেই তাহজিব থামছে না। তখনই রুহি বলে উঠলো,,,
– আচ্ছা!! আমি চেঞ্জ করে আসি?? প্লিজ??
তাহজিব বাঁকা হেসে রুহির দিকে তাকালো।
– চেঞ্জের নাম করে রুমের দরজা আটকে বসে থাকার পদ্ধতি পুরোনো হয়ে গেছে। হাসপাতালে ভর্তি হতেই হবে। ইদানীং তোমার শরীর ও ভালো নেই তেমন। এর উপর ছোটাছুটি কমে না।
আসিফ এদের কথার মাঝেই মৃদু হেসে বের হয়ে পড়লো। ইদানীং ভালোই লাগে তার রুহিকে। তাহজিবকে ভালোর দিকে অনেকটা পালটে দিয়েছে রুহি তাহজিবের অজান্তেই। ইনায়াত তো তাহজিবকে ভালোবাসে না। তাহজিব ইনায়াতকে ভালোবাসে। তাই তাহজিবের প্রতি এতো চিন্তা ইনায়াত কখনোই করতে পারতো না বলে বিশ্বাস করে আসিফ। তাহজিব যেমন ইনায়াতকে ভালোবাসে বলে সব করতে পারে। রুহিও তেমনি তাহজিবকে ভালোবাসে বলে সব করতে পারে।
.
.
– এনিথিং সিরিয়াস ডক্টর??
– রুহি?? তুমি একটু বাইরে বসবে??
রুহি তাহজিবের দিকে তাকালো। তাহজিব অপ্রস্তুত হাসলো।
– একটু বাইরে বসো। প্লিজ?? আমি এক্ষুনি আসছি।
রুহি মুচকি হেসে বাইরে চলে এলো চেম্বারের। একটু আগেই তাহজিবের সাথে হাসপাতালে এসেছে সে। আসিফ তাদের বাসায় সব ফাইল নিয়ে এসছে। ডাক্তারের কাছে তা জমা দিতেই ডাক্তার কিছু প্রশ্ন করলেন। রুহি সবগুলোর উত্তর দিলো। এরপরেই ডাক্তারের মুখ থমথমে হয়ে গেলো।
রুহি বাইরে এসে দেখলো আসিফ মাথা নিচু করে বসে আছে। রুহি সোজা হেঁটে আসিফের পাশে এসে বসলো।
– ডাক্তার কি বলেছে বোন??
– আমি বেশিদিন নেই।
আসিফ ঝট করে মাথা তুলে তাকালো রুহির দিকে। রুহি হেসে ফেললো,,
– আমার সামনে বলেনি। কিন্তু এটাই বলবে আমি জানি।
রুহিকে রেগে কিছু বলতে যাচ্ছিলো তখনই রুহির মোবাইলে কল এলো। রুহি কলটা রিসিভ করলো।
– হ্যালো!!
——
– হ্যাঁ,,,, কেন??
——
– তুই শিউর??
——
– আচ্ছা আমি আগে একবার চেক করে দেখি। লিংক পাঠা!!
——
– থ্যাংক্স দোস্ত!! বাই
রুহি ফোনটা কেটে দিলো। আসিফ চিন্তিত মুখে তাকিয়ে রইলো রুহির দিকে। মেয়েটা এতো গাছাড়া স্বভাবের কেন বুঝে পাচ্ছে না আসিফ। তখনই রুহির মোবাইল টুং করে আওয়াজ হলো। রুহি কোন একটা ছবি জুম করে খুঁটিয়ে দেখলো বেশ কিছু সময়। তারপর চোখ বন্ধ করে মাথা চেপে ধরলো। আসিফ ঝটকা খেলো।
– বোন? খারাপ লাগছে তোমার??
রুহি তাচ্ছিল্য হেসে মাথা থেকে হাত নামিয়ে ফেললো।
– আমার মতো ইনায়াত আপু খেয়াল রাখবে তো উনার?? তুমি দেখে রাখবে তো উনাকে??
আসিফ বুঝলো না হঠাৎ এই কথার কারণ কি??
– হঠাৎ এসব কি বলছো রুহি?? তুমি আছো তো!! তুমি থাকবে। দেখবে স্যার তোমাকে ভালোবাসবে!!
তাহজিব তখনই থমথমে মুখে এসে দাঁড়ালো এলোমেলো পায়ে রুহির কাছে। রুহির সামনেই মেঝেতে ধপ করে বসে পড়লো। রুহি জানতো এমন কিছুই হবে। আসিফ ছুটে গিয়ে ধরলো তাহজিবকে। তাহজিবের হুশ ফিরলো সে কি করছে। তাহজিব দ্রুত নিজেকে সামলে উঠে দাঁড়ালো। রুহি উঠে এগিয়ে এলো।
– বাসায় চলুন। আজকের দিনটা আপনি কোথাও যাবেন না। কাল থেকে আটকাবো না প্রমিজ।
রুহি এই বলেই পিছন ফিরতে চাইলেই তাহজিব হাত ধরে আটকে দিলো। রুহিকে নিয়ে বসালো চেয়ারে। রুহির সামনে মাটিতে বসলো তাহজিব।
– রুহি?? আমি এখন যা বলবো তা মন দিয়ে শুনবে। একটা কথাও বলবে না। ওকে??
রুহি মিষ্টি হাসলো। তাহজিব শুকনো ঢোক গিলে বললো,,
– আমি যদি তোমাকে মেনেও নিই। সমাজ তো মানবে না। তোমার অনেক সুন্দর একটা ভবিষ্যত হতে পারবে তুমি চাইলেই। আমার মতো মাফিয়ার না হয়ে তুমি কোন ভালো মানুষের স্ত্রী হতে পারবে। ভেবে দেখেছো ব্যাপারটা?? কেন জেদ করছো রুহি?? আমি ইনায়াতকে ভালোবাসি। ওকে পেলেও বাসি,,, না পেলেও ভালোবাসি আর বাসবো। আমি আর কাওকে নিজের সাথে জড়াতে চাই না,, পারবো না আমি। প্লিজ জেদ ছাড়ো। বিদেশে যেতে রাজী হয়ে যাও। তোমার অবস্থা ভালো না রুহি। তবে ইমিডিয়েট ব্যবস্থা নিলে তুমি অনেক দ্রুত ভালো হয়ে যাবে। প্লিজ রুহি?? আমাকে ভালোবাসার দাবী করো যখন,, আমার এই ইচ্ছেটাও পুরণ করো।
আসিফ অবিশ্বাস্য চোখে তাকিয়ে আছে তাহজিবের দিকে। তাহজিব এমন নিষ্ঠুর কি করে হতে পারে?? এই ১০ টা দিন কি মায়ায় বাঁধেনি তাহজিবকে?? রুহি তাচ্ছিল্য ভরে হাসলো। চোখ বন্ধ করে নিলো। টুপ করে গড়িয়ে পড়লো এতোক্ষন ধরে রাখা চোখের জল। রুহি চোখ খুলে হাসলো মিষ্টি করে।
– যাবো!! চিকিৎসাও করাবো। তবে তোমার আর ইনায়াত আপির বিয়ের জন্য।
তাহজিব বুঝলো না রুহির কথার অর্থ। ইনায়াত কোথায় তাই তো জানা নেই তাহজিবের। তাহলে বিয়ে কিভাবে সম্ভব?? রুহি তাহজিবের অবস্থাটা বুঝলো।
– আমার ফেসবুক ফ্রেন্ডসদের ইনায়াত আপুর ছবি দিয়ে খুঁজতে বলেছিলাম। একটু আগেই একজন কল করে জানালো তাকে খুঁজে পাওয়া গেছে।
তাহজিবের চোখ খুশীতে জ্বলজ্বল করে উঠলো।
– সত্যি?? কোথায় আমার ইনায়াত?? কেমন আছে??
রুহি মিষ্টি করে হেসে তাহজিবের দুই গালে হাত রেখে কপালে চুমু খেলো চোখ বন্ধ করে। তাহজিবও চোখ বন্ধ করে ফেললো। রুহি তাহজিবকে সড়িয়ে উঠে দাঁড়ালো। নিজের হোয়াটসঅ্যাপ থেকে আসিফের নাম্বারে সেই ছবিটা দিলো যেখানে আফিমের বার্থডে পার্টিতে শাড়ি পড়া ইনায়াতকে দেখা যাচ্ছে। আফিমের সব ডিটেইলসও দিয়ে দিলো আসিফকে।
– আসিফ ভাই!! বাবার ফিরতে সময় আছে। আমি বিদেশ যেতে রাজি। তবে বাবাকে নিয়ে না। তাই তুমি ব্যবস্থা করো। ব্যবস্থা হলে জানিয়ে দিও।
এই বলেই রুহি চলে আসছিলো। তাহজিব হন্তদন্ত হয়ে উঠে দাঁড়ালো।
– কোথায় যাচ্ছো রুহি??
– আমার পথে,,,
তাহজিবের এতোক্ষনে হুশ হলো সে কি ব্যবহারটাই না করেছে ইনায়াতের কথা শুনে। তাহজিব অস্থির হয়ে ভাবতে লাগলো রুহিকে কি বলে আটকাবে।
– তুমি একা থাকতে পারবে না। তুমি অসুস্থ!!
রুহি তাকালো না তাহজিবের দিকে। না তাকিয়েই বললো,,
– বাবাকে প্রায়ই এখানে সেখানে যেতে হয়। আমাকে একা থাকা শিখে নিতে হয়েছে,, আর একাই থাকতে হবে।
রুহি এক পা আগালো। তখনই তাহজিব আবারও বলে উঠলো,,,
– আমার কি হবে?? আমার খাওয়াদাওয়া,, ঘুম,,, ঘর গুছানো,, খেয়াল রাখা??
রুহি এবার ফিরে তাকালো। মৃদু হেসে বললো,,
– এই সবগুলো কাজ এখন নতুন কেও করে দেবে। নতুন হবে তার কাজের ধরন। এতো নতুনের মাঝে পুরান অভ্যেস তুমি ঠিক ভুলে যাবে। নিজের খেয়াল রেখো।
রুহি বের হয়ে এলো চোখের সীমানা ছাড়িয়ে। তাহজিব চেয়ারে বসে পড়লো। একদিকে ইনায়াতের খোঁজ পাবার আনন্দ আর অন্যদিকে রুহির জন্য চিন্তা।

ওহ ভাইরে ভাই!! রুহিই হবে তাহজিবের নায়িকা। একটু সবুর শুধু!! পিলিজ!! আর ইরশাদের পার্টও আসবে। শান্তি করেন পিলিজ!!

চলবে,,,