দুষ্ট ছাত্রীর রোমান্টিক প্যারা পর্ব-১৩ এবং শেষ পর্ব

0
1140

গল্পঃ দুষ্ট ছাত্রীর রোমান্টিক প্যারা
পর্বঃ ১৩ { Last Part }
লেখকঃ দুষ্ট ছেলে

তারপর নিরব ফোন কেটে সেখান থেকে চলে যায় তার বাসায় গিয়ে দেখে সবাই এক সাথে বসে কথা বলছে তার আম্মুর রুমে তখন নিরব মনে মনে বললো।

নিরবঃ সবাই যেহেতু আছে এক সাথে তাহলে এখনি বলার সময়,,,।

তারপর আর কিছু না ভেবে নিরব সেই রুমে চলে যায় সবার সামনে তখনি নিরব এর আম্মু দেখে জিজ্ঞেস করলো।

নিরবের আম্মুঃ তুই আসছিস বাবা।

নিরবঃ হুম আম্মু আসছি।

নিরবের আম্মুঃ আয় বসে পড় এখানে ।

নিরবঃ হুম বসছি।

তখন নিরব বসার পর সুলতানার আম্মু জিজ্ঞেস করলো।

সুলতানার আম্মুঃ কোথায় গিয়েছিলে বাবা।

নিরবঃ এইতো কিছু বন্ধুদের সাথে দেখা করতে।

সুলতানার আম্মুঃ ও আচ্ছা সকালে কিছু খেয়েছিলে ।

নিরবঃ হুম খেয়েছি। আন্টি আমি সুলতানা কে কিছু কথা জিজ্ঞেস করতে চাই আপনাদের সবার সামনে।

সুলতানার আম্মুঃ ঠিক আছে বলো।

তখন নিরব এর আম্মু বললো।

নিরবের আম্মুঃ কি জিজ্ঞেস করবি।

নিরবঃ কিছু কথা জিজ্ঞেস করবো এমনি।

তখন নিরব সুলতানা কে জিজ্ঞেস করলো।

নিরবঃ সুলতানা একটা কথা জিজ্ঞেস করি উওর দিবে

তখন সুলতানা বললো।

সুলতানাঃ হুম বলো কি বলবে।

নিরবঃ মিথ্যা কথা বলবে না যা বলবো সত্যি উওর দিতে হবে সবার সামনে।

তখন নিরবের আম্মু বললো।

নিরবের আম্মুঃ কি বলছিস তুই কি বলবে সত্যি কথা কিছুই বুঝতে পারছি না ।

নিরবঃ চুপ করে থাকো সব যেনে যাবে।

নিরবের আম্মুঃ ঠিক আছে।

তখন নিরব তাকিয়ে দেখে সুলতানা কিছুটা ঘাবড়ে গেছে হয়তো বুঝতে পারছে কিছুটা তখন নিরব বললো।

নিরবঃ কি হলো বলো উওর দিবে।

সুলতানা চুপ করে রইলো তখন সুলতানার আম্মু বললো।

সুলতানার আম্মুঃ তকে কি জিজ্ঞেস করছে বল।

তখন সুলতানা বাধ্য হয়ে বললো।

সুলতানাঃ হুম বলো কি বলতে হবে।

সুলতানাঃ হুম বলছি। আচ্ছা তুমি সত্যি করে বলো তো তুমি কাউকে ভালবাসো কি না। তোমার বয়ফ্রেন্ড আছে । থাকলে বলো তুমি যদি ভালবেসে থাকো কাউকে আমি হেল্প করবো তোমায় এবং তার সাথে মিলিয়ে দিবো।

সুলতানা এটা শুনে চুপ করে রইলো।
সবাই নিরব এর কথা শুনে অবাক হয়ে গেছে
তখন নিরব এর আম্মু বললো।

নিরবের আম্মুঃ কি বলছিস তুই এইসব মাথা খারাপ হয়ে গেছে তর।

নিরবঃ চুপ করো আম্মু এটা আমার জীবনের ব্যাপার আমি যাকে নিয়ে বাকিটা জীবন কাটাবো ভালবেসে আগলে রাখবো সে যদি অন্য কাউকে ভালবাসে তাহলে তাকে আমি যতই ভালবাসা দেই না কেন সে সুখী হতে পারবে না আমার সাথে। তাই আমি জিজ্ঞেস করছি।

তখন নিরব এর আম্মু চুপ করে রইলো আর তখন নিরব সুলতানার দিকে তাকিয়ে দেখে সে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে চুপ করে তখন নিরব বললো।

নিরবঃ কি হলো সুলতানা বলো সত্যি কথা বলো তোমাকে কেউ কিছু বলবে না আর যদি মিথ্যা বলো তাহলে সেটা তুমি সারাজীবন আফসোস করবে।
না পারবে নিজে সুখী হতে । আর না দিবে কাউকে সুখী হতে দুটি জীবন তখন ভেঙে যাবে। সত্যি কাউকে ভালবাসলে বলে ফেলো৷।

তখন সুলতানা আসতে আসতে বললো।

সুলতানাঃ হুম আমি একজনকে ভালবাসি।

নিরব তো আগেই যানে তাই সে অবাক হয়নি । সুলতানার আম্মু নিরব এর আম্মু সবাই অবাক হয়ে যায় এটা শুনে তখন সুলতানার আম্মু বললো।

সুলতানার আম্মুঃ ভালবাসি কি বলছিস তুই এইগুলা ।

সুলতানাঃ হুম আমি একজনকে ভালবাসি আমাদের রিলেশন এক বছর হয়েছে এবং আমরা লুকিয়ে বিয়ে করে নিছি।

এটা শুনে আরো অবাক হয়ে গেছে সবাই তখন নিরব এর আম্মু বললো।

নিরবের আম্মুঃ কি বলছে এইগুলা সুলতানা।

তখন সুলতানার আম্মু রেগে গিয়ে চড় দিলো আর বললো।

সুলতানার আম্মুঃ ছি তুই এটা করতে পারলি আমার মেয়ে হয়ে ছি।

এইবলে আবার সুলতানা কে মারতে যাবে তখন নিরব বললো।

নিরবঃ দাড়ান আন্টি আর মারবেন না সব দোষ শুধু সুলতানার না আপনার ও আছে । আপনি বিয়ে ঠিক করার আগে একবার জিজ্ঞেস করেছেন তার কাউকে পছন্দ আছে কি না।

সুলতানার আম্মুঃ আমায় না বললে কি করে যানবো।

নিরবঃ মা আর মেয়ের সম্পর্ক কেমন যানেন বেস্ট ফ্রেন্ড এর মতো আপনি তো তাকে কাছেই রাখতেন না আমি শুনেছি আপনি নাকি সুলতানা কে অতিরিক্ত প্রয়োজন ছাড়া বেশি কথা বলতেন না সত্যি।

তখন সুলতানার আম্মু চুপ করে রইলো তখন নিরব এর আম্মু বললো।

নিরবের আম্মুঃ কি বলছিস তুই আর তুই কি করে যানলি।

নিরবঃ আংকেল সেদিন আমায় বলছে সুলতানা আসার পর আমায় ফোন করে জিজ্ঞেস করছিলো তারা গিয়েছে কি না তখন কথায় কথায় বলে দিছে।

তখন নিরব এর আম্মু চুপ করে রইলো আর নিরব তখন সুলতানার আম্মু কে বললো।

নিরবঃ মা মেয়ের সম্পর্ক এমন থাকবে কেন আন্টি সুলতানা তো আপনার মেয়ে তাহলে প্রয়োজন এর সময় কেন আছে সুলতানা কে একটু ঢেকে ফ্রী টাইমে কথা বলতে পারেন না নাকি সারাদিন বেস্থ থাকেন আপনি যদি তার সাথে কথা বলতেন ফ্রী হতেন তাহলে সব কিছু বলতো কিন্তু এখন বলতে পারেনি ভয়ে যখন মেয়ে শশুর বাড়ি যাবে তখনি বাড়িতে অনুভব করতে পারবেন তা ছাড়া আপনি আর বুঝতে পারবেন না

সুলতানার আম্মু চুপ করে রইলো তখন নিরব সুলতানা কে বললো।

নিরবঃ আচ্ছা সুলতানা তোমার আম্মুর কথা থাক তুমি বলো তুমি তাহলে সেদিন তোমার বয়ফ্রেন্ড কে এইগুলা কথা বলে আসছো কেন,,,,,,,,,,,,,,,( আপনারা তো যানেন তাই আর বললাম না) ।

সুলতানাঃ আসলে কিছু দিন আগে আম্মুর হার্টে সমস্যা হয়েছে ডাক্তার বলছে কোনো অতিরিক্ত চিন্তা না করতে আর বেশি যাতে পেসার নে দেওয়া হয় সব সময় খুশি থাকতে তাকে খুশি রাখতে যখন আম্মু বললো তখন আর না করতে পারলাম না যদি আমার এই কথা শুনে কিছু হতো তাই ভয়ে বলতে পারিনি।

নিরবঃ বাহহহ দেখলেন আপনার প্রতি কতটুকু ভালবাসা তার মনে নিজের ভালবাসা কে মেরে ফেলেছে আপনার খুশির জন্য।

তখন নিরব এর আম্মু বলে উঠলো।

নিরবের আম্মুঃ ছি তুই এমন হলি কবে থেকে নিজের মেয়ের সঙ্গে এমন কথা না বলে কি থাকিস।

তখন নিরব বললো।

নিরবঃ আম্মু তুমি কিন্তু বিয়ের জন্য আমার মত নাও নি আমার কি কাউকে পছন্দ থাকতে পারে না।

নিরবের আম্মুঃ সরি বাবা বুঝতে পারছি কারো মনের বিরুদ্ধে যাওয়া ঠিক না বিয়ের জন্য দুই পরিবার এর শুধু রাজি থাকতে হয় না তার সাথে দুজনের মনের মিল থাকতে হয়।

নিরবঃ হুম এইতো বুঝতে পারছো।

তখন সুলতানার আম্মু সুলতানা কে বললো।

সুলতানার আম্মুঃ আমার ভুল হয়েছে মারে ক্ষমা করে দিস।

তখন সুলতানা বললো।

সুলতানাঃ ছি আম্মু তুমি কেন খমা চাইছো মা কখনো মেয়ের কাছে খমা চায় মা যতই কিছু করুক সেটা তার সন্তান এর ভালো।

তখন সুলতানার আম্মু সুলতানা কে জরিয়ে দরলো কিছুখন পর ছেড়ে দিয়ে বলে।

সুলতানার আম্মুঃ তুই যে ছেলে কে লুকিয়ে বিয়ে করেছিস তাকে বলিস আসতে তার পরিবার নিয়ে।

সুলতানা তখন অনেক খুশি হলো আর বললো।

সুলতানাঃ ঠিক আছে আম্মু।

তখন সুলতানার আম্মু নিরব এর আম্মু কে বলে।

সুলতানার আম্মুঃ সরি বান্ধবী তর ছেলের সঙ্গে বিয়ে হলো না আমার মেয়ের তুই আরেকটা মেয়ে দেখে বিয়ে দেহ।

নিরবের আম্মুঃ এখন আরেকটা মেয়ে কোথায় পাই।

তখন নিরব বললো।

নিরবঃ আছে আম্মু আমি তাকে ভালবাসি রহিম চাচার মেয়ে তানিয়া।

তখন নিরব এর আম্মু বললো।

নিরব এর আম্মুঃ কিন্তু তারা কি রাজি হবে।

নিরবঃ হুম সবাই রাজি আছে এখন তুমি কথা বলে দেখতে পারো।

নিরবের আম্মুঃ ঠিক আছে আজ রাতে গিয়ে কথা বলবো।

নিরব এটা শুনে খুব খুশি হলো তখন নিরব এর ফোনটা বেজে উঠলো তারপর নিরব রুম থেকে এসে ফোনটা নিয়ে দেখে সুমন তখন ফোন রিসিভ করার পর সুমন বললো।

সুমনঃ ভাই তারপর কি খবর।

নিরবঃ খবর একেবারে ভালো তোমার ছবি ভিডিও কিছু লাগে নি বিয়ে ভাঙ্গতে সুলতানা সত্যি কথা বলে দিয়েছে আমি জিজ্ঞেস করছি পরে আর তোমাকে ভালবাসে বলছে তার আম্মু রাজি আজ তোমাকে ফোন করে বলবে তোমার আব্বু আম্মু কে নিয়ে আসতে।

সুমনঃ সত্যি ভাই এটা বলছে।

নিরবঃ হুম।

সুমনঃ ওহ ভাই আমার যে কি আনন্দ হচ্ছে বলে বুঝতে পারবো না। কিন্তু ভাই সেদিন আমায় এই কথা গুলো বললো কেন।

নিরবঃ তার আম্মু হার্টের রুগি তাই বলতে সাহস পায়নি তাই তোমাকে বলছে. না করছে।

সুমনঃ আমি বুঝতে পারছি সে মিথ্যা কথা বলছে তার চোখ আমায় বলছে। ভাই সুলতানা কল দিয়েছে আমায় প্লিজ একটু কাটুন ফোনটা। কথা বলি। তারপর আমি আবার কল দিচ্ছি

নিরবঃ ঠিক আছে ভাই।

তারপর নিরব ফোন কেটে দিলো আর তার রুমে চলে গেলো রুমে যাওয়ার পর তানিয়া কল দিলো নিরব ফোন রিসিভ করে বললো।

নিরবঃ কি বলো।

তানিয়াঃ বিয়ে ভাঙ্গছো।

নিরবঃ নাহ জোর করে বিয়ে দিবে আমায় বলছে।

তানিয়াঃ তাহলে আমিও এখনি ফাঁসি দিচ্ছি আপেল খেতে খেতে।

নিরবঃ এই না না না এমন করো না বিয়ে ভেঙে দিয়েছি।

তানিয়াঃ শয়তান তাহলে মিথ্যা কথা বলো কেন।

নিরবঃ সরি আম্মু আজ রাতে যাবে তোমার বাসায় কথা বলতে।

তখন তানিয়া খুশি হয়ে বললো।

তানিয়াঃ সত্যি।

নিরবঃ হুম সত্যি। আচ্ছা ফাঁসি দিতে গেলে আপেল খেতে হয় কেন তোমার।

তানিয়াঃ যদি পরে খিদে পায় তখন আপেল পাবো কোথায়।

নিরবঃ শয়তান মাইয়া মরার পর আবার খিদে পায়।

তখনি দেখে নিরব এর আম্মু তার ঘরে আসছে তখন নিরব বললো।

নিরবঃ আচ্ছা ফোনটা রাখো আম্মু আসছে দেখি কি বলে।

তারপর ফোন কেটে দেয় আর নিরব এর আম্মু কাছে এসে বলে।

নিরবের আম্মুঃ সুলতানারা চলে যাবে এখনি ছেলেরা নাকি আজ বিকেলে আসবে তাদের বাসায় তাই এখনি চলে যাবে একটু কষ্ট করে একটা গাড়ি নিয়ে আয় তো।

নিরবঃ ঠিক আছে তুমি যাও।

তারপর নিরব এর আম্মু চলে গেলো আর সুলতানা তখন নিরব এর রুমে এসে বললো।

সুলতানাঃ আমি ধন্যবাদ দিলেও এটা কম বলা হবে যানি এটা কি করে শুধ করবো আজ অনেক বড় উপকার করলে আমার।

নিরবঃ হুম কিছু দেওয়া লাগবে না বিয়ের পর ট্রিট দিও শুধু তাহলেই হবে।

সুলতানাঃ হুম তা অবশ্যই দিবো ধন্যবাদ আমায় মিলেয়ে দেওয়ার জন্য আমার মনের মানুষ টির সাথে।

নিরবঃ হুম আর আমি আমার মনের মানুষ কে পেয়েছি।

সুলতানাঃ কে সেটা ওইযে পিচ্চি মেয়েটা ছাত্রী যে।

নিরবঃ হুম।

তখনি সুলতানা কে ডাকলো পাশের রুমে থেকে সুলতানা চলে গেলো নিরব তখন উঠে বাহিরে চলে গেলো একটা সিএনজি নিয়ে আসলো গিয়ে। তারপর সুলতানারা দুপুরের খাবার খেয়ে সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলো আর বলে গেলো সবাই কে যেতে।

তারপর চলে গেলো তারা যাওয়ার পর নিরব তার রুমে চলে যায় বিকেলে আর পড়াতে যায়নি সন্ধ্যায় তার আম্মু আব্বু নিরব গেলো তানিয়ার বাসায়।।

যাওয়ার পর তানিয়ার আম্মু আব্বুর সাথে কথা হলো বিয়ে আরো এক বছর পর হবে আপাতত কাবিন করে রাখবে বললো তাই আজি কাজি নিয়ে আসলো আর কাবিন করে রাখলো তখন তানিয়া তার আম্মু কে বললো।

তানিয়াঃ আম্মু আমরা একটু আসছি কথা বলে

তানিয়ার আম্মুঃ ঠিক আছে।

তারপর নিরব কে নিয়ে তানিয়া তার রুমে চলে যায় যাওয়ার পর নিরব বলে।

নিরবঃ আমার কিছু কথা আছে তোমাকে কি শর্ত দিবো

তানিয়াঃ ঠিক আছে বলো কি শর্ত সব রাজি।

নিরবঃ আজকের পর থেকে আর এমন পাগলামি করতে পারবে না লেখা পড়ায় মন দিতে হবে অমোনোযগী হওয়া যাবে না সামনের পরিক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে হবে ঠিক মতো খাবার খেতে হবে এত রাত জেগে থাকতে পারবে না আমাদের কথা রাত ১০ পযন্ত হবে তার বেশি রাত হওয়া যাবে না এবং আর বেশি কিস করতে পারবে না।

তানিয়া এইগুলা শুনে অবাক হয়ে গেছে তখন বললো।

তানিয়াঃ তাহলে আমি থাকবে কি করে।

নিরবঃ বিয়ের আগ পযন্ত এমনি চলবে বিয়ের পর তুমি যত রোমাঞ্চ করতে পারো কিস করতে পারো বাধা দিবো না কিন্তু এখন কিস করলে একবার তার আর বেশি না মনে থাকবে।

তানিয়াঃ তার মনে আর এত কিস করতে পারবো।

নিরবঃ নাহ।

তানিয়াঃ ঠিক আছে আমি সব কিছু রাজি আছি কিন্তু আমার তিনটা শর্ত আছে এখন।

নিরবঃ বলো কি শর্ত।

তানিয়াঃ প্রথম শর্ত ভুলেও কোনো মেয়ের সাথে কথা বলতে পারবে না কোনো মেয়ের দিকে তাকাতে পারবে না।

নিরবঃ ঠিক আছে পরের শর্ত।

তানিয়াঃ প্রতিদিন সকালে আমায় নিয়ে যাবে ইস্কুলে এবং নিয়ে আসবে সকালে যাওয়ার সময় কিস করতে দিবে আর রাতে এসে দিবে তাহলে আর লাগবে কিছু লাগবে না।

নিরবঃ ঠিক আছে পরের শর্ত।

তানিয়াঃ দাড়াও বলছি।

তখন তানিয়া গিয়ে তার রুমের দরজা বন্ধ করে দিলো তখন নিরব বললো।

নিরবঃ কি হলো দরজা বন্ধ করলে কেন।

তখন নিরব কে খাটে ধাক্কা দিয়ে ফেলে বললো।

তানিয়াঃ এখন আমি রোমাঞ্চ করবো কোনো বাধা দেওয়া যাবে না।

নিরবঃ এই না এখন না বিয়ের পর প্লিজ এমন কিছু করো না।

তানিয়াঃ তোমার কোনো কথা আমি শুনবো না এখন আদর নিয়ে নিতে হবে চুপ একদম।

এইবলে তানিয়া নিরব এর বুকে উঠে বসে ওড়না ফেলে দিয়ে নিরব এর ঠোঁট গুলো তার দখলে নিয়ে কিস করতে লাগলো কিছুখন পর পাগলের মতো কিস করতে লাগলো তানিয়া একপর্যায়ে দুজনেই কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলে আর বিয়ের আগে বাসার,,,,,।

নাহ আর বলা যাবে না হয়েছে।

লজ্জা লাগে।।

বাকিটা,,,,,,, ইতিহাস।

সমাপ্ত,,,,,।