রাখি আগলে তোমায় অনুরাগে পর্ব-১৮

0
552

#রাখি_আগলে_তোমায়_অনুরাগে💕
#written_by_Liza
#১৮তম_পর্ব

উষ্মী ইন্সিয়ার কাছে কোনো উওর না পেয়ে বিছানায় ধপ করে বসে পরে, উষ্মী ভাবছে
“ইন্সিয়া রীধী আর আরাশকে সহ্য করতে পারছে না। তার মানে আমার সন্দেহ কী সত্যি হতে চলেছে?”

ইন্সিয়া বারান্দায় আনমনে দাড়িয়ে আছে,আরাশকে ফোনে না পেয়ে ইহান সোজা আরাশের বাসায় চলে যায়, সেখানেও আরাশ নেই। ইহান আরাশের আপু অরীনকে বলে ইন্সিয়ার কথা। অরীন ইহানের কথা শুনে ইহানকে বলে

“আচ্ছা এই ব্যপার? আরাশ এমনিতেও অবাধ্য৷ এখন একটু শিক্ষা হোক”

ইহানকে অরীন বলে আবারো “আরাশ মনে হয় ক্যাফেই আছে, গিয়ে দেখ। ওখানে হতে পারে”

ইহান অরীনের কথামতো সোজা ক্যাফেই রওনা দেয়,আরাশ ক্যাফে বসে একের পর এক বিয়ারের গ্লাস খালি করছে। ওয়েটার এসে আরাশকে বলে “স্যার আর খেয়েন না বেশিই হয়ে যাচ্ছে৷ পরে কন্ট্রোল করতে পারবেন না নিজেকে”

আরাশ ওয়েটারের কথায় চুপচাপ মাথায় হাত দিয়ে ঝুকে বসে আছে। ওয়েটার আরাশের সামনে থেকে বিয়ার সরিয়ে নেয়।
ইহান এসে পরেছে ততক্ষণে, ইহান আরাশকে এই অবস্তাই দেখে ঘাবড়ে যায় রীতিমতো। ইহান আরাশকে এসে বলে “আমি সারাদুনিয়া খুঁজে বেড়ায় তোকে,আর তুই এখানে এসে ড্রিংক করছিস? কি হয়েছে তোর?”

আরাশ ইহানের দিকে তাকাতেই ইহান দু পা পিছিয়ে যায়, আরাশের চোখ লাল হয়ে আছে। মনে হচ্ছে এক্ষুনি কেউকে আরাশ খুন করবে। আরাশ ইহানকে কিছু না বলে টেবিলে আঙ্গুল দিয়ে সার্কেল আঁকছে। ইহান ভয়ে ভয়ে আরাশের পাশে বসে আরাশের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলে “কি হয়েছে দোস্ত? আমাকে বল”

আরাশ ইহানের হাত সরিয়ে দিয়ে গম্ভীর স্বরে বলে “কিছু না। একা থাকতে দে। আমার ব্যপারে এত বুঝতে আসিস না।আমি একটা ক্রিমিনাল।”

ইহানের তৎক্ষনাৎ রাগ বেড়ে যায় আরাশের এই কথা শুনে “মানে কি বলতে চাইছিস তুই? কে বলেছে তোকে ক্রিমিনাল?”

কেউ না। যা তো বিরক্ত করিস না (আরাশ)
তোকে না নিয়ে আমি উঠছি না (ইহান)
ইহান আরাশকে টেনে তুলে, আরাশ দাড়ানোর মতো অবস্তায় নেয়,আরাশ ঢুলছে। আরাশের হ্যাংওভার হচ্ছে। ইহান আরাশকে কোনোভাবে নিয়ে গাড়িতে বসালো। আরাশ গাড়ির ভেতর হ্যাংওভার অবস্তায় বলেই যাচ্ছে “আমি একটা ক্রিমিনাল”

ইহান ড্রাইভ করছে আর আরাশের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে, ইহানের বুঝতে বাকি নেই আর আরাশকে ইন্সিয়া ক্রিমিনাল বলেছে। ইহানের প্রচন্ড রাগ হচ্ছে নিজের উপর, ইহান মনে মনে বলছে “সরি রে আরাশ। আমার জন্য তোকে এতকিছু শুনতে হলো। সরি আরাশ”

ইহান ড্রাইভ করে সোজা বাড়ি নিয়ে গেলো আরাশকে। রাজু আরাশকে এমন অবস্তায় দেখে দৌড়ে এসে ইহানকে জিজ্ঞেস করছিলো “ইহান ভাইয়া ইহান ভাইয়া,আরাশ ভাইয়ার কি হইছে?”

তোর আরাশ ভাইয়া একটু ঘুমাবে, ওর ঘুম পাচ্ছে,তুই এক কাজ কর ভাইয়ার জন্য লেবুর শরবত নিয়ে আয়। (ইহান)

ইহানের কথা শুনে রাজু দৌড়ে গিয়ে মুনিয়া খালার থেকে লেবুর শরবত বানিয়ে নিয়ে আসে, আরাশকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে ইহান আরাশের জুতো, শার্ট খুলে দেয়।

ধরেন ইহান ভাই আনছি (রাজু)
দে এদিকে (ইহান)

লেবুর শরবত গুলো আরাশকে জোর করে ইহান খাইয়ে দেয়, আরাশ দাঁত চোখ মুখ খিচিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ে।৷ রাজু ইহানের দিকে ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে আছে। রাজু কখনো আরাশকে এমন অবস্তায় দেখেনি। ইহান রাজুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে “আজ তোর আরাশ ভাইয়া বেশি খেয়ে ফেলেছে ড্রিংক্স,তাই এমন অবস্তা। আর খেতে দিস না ওকে কেমন? নজর রাখবি। এই নে আমার নাম্বার, বাড়ি ল্যান্ড লাইন নাম্বার থেকে আমাকে কল দিস প্রয়োজন হলে।”

রাজু চুপচাপ আরাশের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,ইহান অরীনকে সব বুঝিয়ে দিয়ে চলে যায়।

এদিকে অরীন ইন্সিয়াকে ফোন দেয়, ইন্সিয়া ফোন রিসিভ করে হ্যালো বলতেই অরীন জিজ্ঞেস করে “ইন্সু আরাশের কি হয়েছে? সে এমন বেহাল অবস্তা কেন?”

ইন্সিয়া কিছু বুঝতে না পেরে পুণরায় জিজ্ঞেস করে অরীনকে “মানে আপু বুঝলাম না। কি বেহাল। কি হয়েছে?”

আরাশ অতিরিক্ত ড্রিংকস করে সেন্স হারিয়েছে, (অরীন)

ওহ্, উনি তো আগেও ড্রিংক করতো তাই আজো করেছে বোধহয়।কিছুই তো হয়নি এমন। উনার খবর আমার চেয়ে উনার এসিস্ট্যান্ট রীধী ভালো জানবে আপু। তাকে একটিবার জিজ্ঞেস করুন (ইন্সিয়া)

আচ্ছা রাখছি। পরে কথা হবে ইন্সু এই কথাটি বলে অরীন ফোন রেখে দেয়,অরীন জানে ইন্সিয়া কিছু একটা লুকোচ্ছে তার কাছ থেকে। অরীন তবুও ইন্সিয়াকে এতটা জোর দিয়ে কিছু বলে নি কারণ অরীন চায় না ইন্সিয়া আরাশকে আর ঘৃণা করুক।

ইহান বাড়ি এসে উষ্মীকে ফোন করে সব বলে দেয়, উষ্মী এসব শুনে ইন্সিয়ার উপর ফুলে আছে, ইন্সিয়া রুমে এসে আয়নায় চুল ঠিক করছে, উষ্মী ইন্সিয়ার দিকে তাকিয়ে অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছে। ইন্সিয়া ব্যাপারটা খেয়াল করে উষ্মীকে বলে “কি জিজুর সাথে ঝগড়া নাকি?”

উষ্মী কোনো উওর না দিয়ে চুপ করে আছে,ইন্সিয়া উষ্মীর পাশে বসে বলে “কি হলো উওর দিচ্ছিস না কেন? জিজুর সাথে ঝগড়া?আজ না তোরা দেখা করলি? তাহলে মুখ গোমড়া করে আছিস কেন?”

উষ্মী দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে “আমি জানতাম ইন্সু তুই সরল শান্ত মেয়ে,কিন্তু তুই যে এত অহংকারী হয়ে যাবি ভাবতে পারিনি রে”

ইন্সিয়া উষ্মীর কথায় ভ্রু কুচকে বলে “মানে কি বলতে চাইছিস?”

উষ্মী এবার মুখ খোলে তারপর বলতে থাকে “তুই কি রে ইন্সু? তুই একটা মানুষকে উপরের অবস্তান থেকে জার্জ করে বলে দিলি সে ক্রিমিনাল? তুই আরাশকে কতটা চিনিস? কি ভাবিস নিজেকে?”

শোন উনার কথা মাঝখানে আনবি না। আমি জিজুর কথা বলতে আসছি মাঝখানে উনাকে টানছিস কেন (ইন্সিয়া)

আমি টানছিনা যাস্ট বললাম ক্রিমিনাল কোন যুক্তিতে বললি? তোকে কিডন্যাপ করেছে সে? নাকি তোর সাথে খারাপ কিছু করেছে? (উষ্মী)

ইন্সিয়া কথার উওর না দিয়ে চলে যেতেই উষ্মী বলে উঠে “খুব পস্তাবি তোর এইসবের জন্য। না জেনে কেউকে এসব বলা ঠিক না।”

ইন্সিয়া কথাগুলো শুনেও না শুনার ভান ধরে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।

তিনদিন পার হয়ে গেলো…

আজ উষ্মীর গায়ে হলুদ ঘরে মেহমানের সমাগম।এক এক করে সবাই আসতে লাগলো। উষ্মীকে মেহেদি পরিয়ে দিচ্ছে ইন্সিয়া। এদিকে ইহান আরাশকে ফোন করে বলছে “দোস্ত সাদা পাঞ্জাবি পড়বি, তুই আর আমি একই কালারের”

নারে আমি থাকতে পারবো না। আমার জরুরি কাজ পড়েছে,আমি আসতে পারবো না। (আরাশ)

তুই আমার সাথে এটা করতে পারিস না আরাশ। তুই আমার বেস্টফ্রেন্ড,তুই’ই যদি আমার কোনো স্পেশাল ডে তে না থাকিস তাহলে আমার এসব আনন্দ উল্লাস একনিমিষে মাটি (ইহান)

প্লিজ দোস্ত আমাকে একটু বুঝার চেষ্টা কর। আমি যদি পারতাম ঠিকই এটেন্ড করতাম (আরাশ)

লাস্ট একটা কথা শুনে রাখ,তুই যদি না আসিস তাহলে গায়ে হলুদ হবে না। (ইহান)

আরাশ কিছু বলার আগেই ইহান ফোন কেটে দিলো,আরাশ চাইছেনা ইন্সিয়ার মুখোমুখি দাড়াতে। আরাশ চায় না নিজের মুখ ইন্সিয়াকে দেখাতে,সে নিজেকে প্রমিস করেছে। সে প্রমিজ ব্রেক করতে পারবে না।
সন্ধ্যা হয়ে এসেছে…

আরাশ সেই পার্কে গিয়ে খোলা গাছতলায় বসে আছে একা, এদিকে ইহান আরাশকে ফোনে পাচ্ছে না। ইহান উষ্মীকে ফোন দিয়ে বলে ” আরাশ এখনো আসে নি,গায়ে হলুদ ছোয়ানো হবে না যতক্ষন না আরাশ আসে, আপনি অপেক্ষা করতে পারবেন তো উষ্মী?আরাশ না আসলে আমি গায়ে হলুদ ছোয়াবো না।”

উষ্মী গম্ভীর স্বরে ইহানকে বলে “আমি অপেক্ষা করতে রাজি, আরাশ ভাইয়াকে খুঁজে বের করুন। সে ছাড়া সবকিছুই অসম্পূর্ণ”

ইহান স্বস্তির শ্বাস নিয়ে ফোন রেখে দেয়, এদিকে উষ্মীর বাড়ির লোককে সবাই জিজ্ঞেস করছে কানাঘুষো করছে
“এ কেমন বিয়েগো বাপু বুঝিনা, এখনো ছেলের বাড়ি থেকে হলুদের বাটি ও আসে নি। ছেলের বাড়ির লোকজন কি এ বিয়েতে মত নেয় নাকি?”

উষ্মীর মা আশপাশে কথাগুলো শুনে চলে যায়,উষ্মীর মা উষ্মীর রুমে এসে উষ্মীকে বলে “এসব কি শুনছি আমি? আর কতক্ষন হলুদের জন্য অপেক্ষা করতে হবে? বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলো,তারা কি আসছে?”

এইতো মা আরেকটু তারা আসছে গাড়িতে (উষ্মী)
উষ্মী এভাবে স্বান্তনা দিয়ে একেরপর সবার মুখ বন্ধ করাচ্ছে। ইন্সিয়া বুঝতে পেরেছে উষ্মী মিথ্যা বলছে,ইন্সিয়া এসে উষ্মীকে বলে “কি ব্যাপার হলুদ আসবে কবে বল তো?”

উষ্মী ইন্সিয়ার দিকে তাকিয়ে বলে “আরাশ না আসলে ইহানের আজ গায়ে হলুদ হবে না, আর গায়ের হলুদ এ বাড়িতে না আসলে বাবার মান সম্মান শেষ,লোকে কথা রটাবে। তাই দোয়া করছি আরাশ ভাইয়াকে যেনো ইহান পেয়ে যায়”

ইন্সিয়া ঢোক গিয়ে মৃদুস্বরে বলে “মিস্টার আরাশ কোথায়?”

জানিনা পাওয়া যাচ্ছে না,হয়তো আরাশ ভাইয়া চাই না এই ফাংশনে সে থাকুক (উষ্মী)

উষ্মীর কথায় ইন্সিয়ার মনে পড়ে সেদিনের কথা,ইন্সিয়া সেদিন বলেছিলো আরাশকে, যেনো আরাশের মুখ আর না দেখায়। ইন্সিয়ার সব মনে পরতেই জোরে জোরে শ্বাস নেয় ইন্সিয়া। ইন্সিয়া মনে মনে ভাবছে “তার মানে সত্যিই কি আরাশ আর সামনে আসবে না? তাহলে তো উষ্মীর বিয়ে ভেস্তে যাবে,যে করে হোক আরাশকে খুজে বের কর‍তে হবে”

উষ্মী ইন্সিয়াকে ঝাকুনি দিয়ে জিজ্ঞেস করে “কি ভাবছিস এত?” ইন্সিয়া তথমথ খেয়ে বলে “নাহ কিছুনা”।

ইহান আরাশকে সেই পার্কে গিয়ে খুজে পায়,আরাশ একলা বসে আছে নদী দেখছে। চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার, ইহান গিয়ে আরাশের কাঁধে হাত রাখতেই আরাশ পেছন ফিরে দেখে ইহান দাড়িয়ে আছে।
ইহান আরাশকে জোর করে বাড়িতে নিয়ে যায়।
অলরেডি ইহানের বাড়িতে অরীন, রাজু সবাই চলে এসেছে। ইহান আরাশকে টানতে টানতে উপরে নিয়ে যায়, আরাশকে দেখে ইহান বলে “এই তোর ইম্পর্ট্যান্ট কাজ তাই না?”

আরাশ ইহানের দিকে তাকিয়ে বলে “আমি তোর বিয়েতে থাকতে চাইনা।”

কিন্তু কেন? (ইহান)

এমনিই, আমার এসব ভীড় ভালো লাগে না, একা থাকতে চাই (আরাশ)

অরীন এসে ইহানের রুমের দরজায় সামনে দাড়ায় আর বলে “আরাশ রেডি হয়ে নিচে আয় জলদি।”

আরাশ অরীনের কথা শুনে ইহানের দিকে তাকাতেই ইহান মুচকি হেসে চোখ টিপ মেরে বলে

“লাভ নেই দোস্ত অরীন আপু সব জানে,আমি আগেই বলে দিয়েছি। এবার তাড়াতাড়ি জলদি চেঞ্জ করে আয়। গায়ে হলুদ ছোয়াবো এরপর উষ্মীর বাড়িতে পাঠাবো। এই সন্ধ্যায় উষ্মী বেচারিকে গোসল করতে হবে।শুধু মাত্র তোর জন্য।”

আরাশ উষ্মীর কথা ভেবে চেঞ্জ হতে চলে যায়, চেঞ্জ হয়ে আরাশ নিচে এসে অরীনের পাশে বসে,অরীন আরাশের কোলে মেয়েকে দিয়ে বলে “ওর সাথে থাক,মন ভালো হয়ে যাবে”

আরাশকে দেখে অরীনের মেয়ে আরিয়া ফিক করে হেসে দেয়, মামা ভাগ্নী দুষ্টুমি করছে, অরীন ইহানের গায়ে হলুদ ছুঁইয়ে দেয়, হলুদের পর্ব শেষ হওয়ার পর হলুদের বাটি নিয়ে রাজু,অরীন মুনিয়া খালার মেয়ে মিশু ও ইহানের পরিবার থেকে ইহানের কাজিন যায় উষ্মীর বাড়িতে।

উষ্মীর বাড়িতে হলুদের বাটি নিয়ে যাওয়ার পর সবাই ঘিরে ধরে তাদের। ইন্সিয়া বারান্দা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখছে আরাশ এসেছে কি-না, ইন্সিয়া আরাশকে দেখতে না পেয়ে কিছুটা অন্যমনস্ক হয়ে পড়ে, অরীন এসে ইন্সিয়ার মাথায় হাত দিয়ে বলে “সে আসে নি।”
ইন্সিয়া ভয়ে তোতলাতে থাকে আর বলতে থাকে “অরী অরী অরীন আপু আপনি, আসুন বসুন। কার কথা বলছিলেন বুঝিনি”

অরীন এক গাল হেসে বলে ” ঐ যে সে? যাকে তুমি উঁকি দিয়ে খুঁজছিলে বারান্দা থেকে”

ইন্সিয়া ঢোক গিলে অরীনকে বসিয়ে বলে “আপু বসুন আমি ঠান্ডা আনছি”

অরীন ইন্সিয়ার কান্ড দেখে হেসে বলে “ইন্সু রানি প্রেমের হাওয়া গায়ে লেগেছে। সামথিং সামথিং।তুমি নিজেই আরাশের জন্য উতলা হয়ে উঠবে,হি হি হি”

চলবে..