অনুভবে তুমি পর্ব-২৮

0
647

#অনুভবে_তুমি
#পর্ব_২৮
#মুমতাহিনা_জান্নাত_মৌ

ইভান পাগলের মতো খুঁজে বেড়াচ্ছে অতশীকে।সে এমন কোনো জায়গা বাকি রাখলো না।শুভ্র,অয়ন,আর দিশানও সাথে ছিলো ইভানের।ওরা ইভান কে সাহস যোগাতে লাগলো।আর বলতে লাগলো স্যার!ডোন্ট ওরি!আমরা আছি তো।ঠিক খুঁজে পাবো সবাইকে।

অতশীদের খুঁজতে গিয়ে হঠাৎ সপ্তম দিনের মাথায় ইভান রা জংগলের ভিতর একটা আস্তানা খুঁজে পেলো।আস্তানা টা একদম গভীর জংগলের মধ্যে ছিলো।মাটি খুঁড়ে সুরঙ্গের মতো করা হয়েছে।
ইভান তার বন্দুক বের করে হাতে নিলো আর সাহস করে সেই সুরঙ্গের মধ্যে চলে গেলো।
শুভ্র,দিশান আর নীলয় পিছে পিছে আসতে লাগলো।

ইভান হঠাৎ খেয়াল করলো সুরঙ্গের মধ্যে অনেকগুলো কুটুরি।ইভানের আর বুঝতে দেরী হলো না যে এটা সন্ত্রাসী দের গোপন আস্তানা।
ইভান সেজন্য সবাইকে রেডি হতে বললো।কারণ সন্ত্রাসী রা যেকোন মুহুর্তে পালটা আক্রমন করতে পারে।
শুভ্র,দিশান আর নিলয় সেই কথা শুনে দুই হাতে দুই টা বন্ধুক নিলো।
তারা কিছুদূর এগোতেই হঠাৎ কে যেনো তাদের উপর একটা গুলি ছুঁড়ে মারলো।গুলিটি ইভানের একদম পাশ দিয়ে চলে গেলো।যা দেখে ইভান নিজেও গুলি ছুঁড়তে লাগলো।
গুলির শব্দ শুনে এক এক করে আরো অনেক সন্ত্রাসী বের হয়ে এলো।
মুহুর্তের মধ্যে তুমুল একটা লড়াই শুরু হয়ে গেলো।দিশান,শুভ্র আর নীলয় ও থামিয়ে থাকলো না।তারা তাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করতে লাগলো।

হঠাৎ ইভান সন্ত্রাসী গুলোর মধ্যে তানিমের সেই তিন পলাতক খুনী জয়,সানি আর রুদ্রকে দেখতে পেলো।ইভান এতোক্ষনে বুঝতে পারলো এটা কার আস্তানা।

জয়,সানি আর রুদ্র ইভানদের দেখামাত্র সাথে সাথে পালিয়ে যেতে ধরলো।
কিন্তু ওরা পালিয়ে যাওয়ার আগেই ইভান তাদের তিনজনের পায়েই গুলি করলো।সেজন্য তারা বেশি দূর এগোতে পারলো না।
ইভান তখন ওদের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো,অয়ন কে তাহলে তোমরাই এনেছো?অয়ন কোথায়?

এদিকে সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া গুলি থেকে হঠাৎ একটা গুলি ইভানের হাতে লাগলো।আর সাথে সাথে ইভানের হাত থেকে বন্দুক টি পড়ে গেলো।তখন কয়েকজন সন্ত্রাসী ইভান কে ঘিরে ধরলো।

ইভান কে এরকম অবস্থায় দেখে দিশান,শুভ্র আর নীলয় এগিয়ে এসে সবাইকে বাধা দিতে ধরলো।আর ইভানের হাতে একটা বন্দুক দিয়ে দিলো।ইভান বন্দুক হাতে পাওয়া মাত্র আবার অনবরত গুলি ছুঁড়তে লাগলো।

হঠাৎ সবাইকে অবাক করে দিয়ে অয়ন সামনে এসে দাঁড়ালো। আর বললো,স্টপ!স্টপ!

ইভান অয়ন কে এরকম সুস্থ,সবল অবস্থায় দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো। শুধু ইভান না,নীলয় শুভ্র আর দিশানও অবাক!
অয়ন তখন বললো, আমার পারমিশন ব্যতীত কেনো আক্রমণ করেছো ওদের?

তখন একজন সন্ত্রাসী বললো,বস কি বলছেন এসব?এরা তো সি আই ডির লোক।আমাদের ধরতে এসেছে।

হঠাৎ অয়ন খেয়াল করলো ইভানের হাতে বন্দুক লেগেছে।সেজন্য সে সাথে সাথে একজন কে হুকুম দিলো তাড়াতাড়ি ইভানের হাতের গুলি বের করতে।

কিন্তু ইভান তার শরীরে কাউকে হাত দিতে দিলো না।সে বললো,আমাকে নিয়ে ভাবতে হবে না কাউকে।তার আগে বল, তুই এখনো এই গ্যাং এর হয়ে কাজ করছিস?তুই এখনো সন্ত্রাসীগিরি ছাড়িস নি তাহলে?

অয়ন তখন বললো, বহুদিনের পেশা কি সহজে ছাড়া যায় নাকি?

ইভান অয়নের কথা শুনে রাগে কটমট করতে লাগলো।এই সন্ত্রাসী কে সেদিন সে নিজের হাতে বাঁচাতে চেয়েছিলো?এতোকিছুর পরও অয়ন ভালো হলো না।
ইভান তখন বললো, তুই নিশ্চয় জানিস পুরো পুলিশ ডিপার্টমেন্ট তোকে খুঁজে বেড়াচ্ছে।
আর এই মুহুর্তে আমিও তোকে ধরে নিয়ে যেতে পারি।

অয়ন সেই কথা শুনে হাসতে হাসতে বললো,তুই তো নিজেই এখন বিপদের মধ্যে আছিস?তুই আমাকে কি করে ধরে নিয়ে যাবি?আমার লোক কতজন এখানে দেখেছিস?
ইভান তখন বললো, তুই চাচ্ছিস টা কি অয়ন?

অয়ন তখন বললো, কি আর চাইবো?আমার জীবন তো শেষ হয়েই গেছে।এতোদিন মা আর বোন যাতে না জানে সেজন্য লুকিয়ে অপরাধ চালিয়ে গেছি।এখন তো সবাই জানে আমি একজন সন্ত্রাসী। সেজন্য প্রকাশ্যেই এখন অপরাধ করতে চাই।
ইভান তখন বললো অতশীদের তাহলে তুই এনেছিস?
–হ্যাঁ আমি আনতে বলেছি।জয় আর সানি গিয়ে নিয়ে এসেছে।আমার মা, বোন আর বউ এর নিরাপত্তার জন্য তো আমাকেই ভাবতে হবে।

ইভান তখন বললো যেখানে তুই নিজেই অনিরাপত্তার মধ্যে বসবাস করছিস সেখানে কি করে ওদের নিরাপত্তা দিবি?
–সেটা আমাকেই ভাবতে দে।তার আগে বল তুই এখন কি চাচ্ছিস?আমার গোপন আস্তানা তো দেখেই নিলি।আমাদের কে ধরে দিবি?না সবকিছু গোপন রাখবি?

ইভান তখন অয়নের কাঁধে হাত দিয়ে বললো, আমি তোকে বাঁচাতে চাই।বিশ্বাস কর অয়ন।শুধু তুই না।তোর মতো যারা যারা এই অপরাধের স্বীকার হয়েছে সবাইকে মুক্ত করতে চাই।যদি তুই চাস।

অয়ন তখন বললো, এটা জীবনেও সম্ভব না।আইন কখনোই আমাদের ক্ষমা করবে না।তুই মিথ্যা বলছিস।

ইভান তখন বললো, তুই যদি আমাকে একটু হেল্প করিস আর আমাকে বিশ্বাস করিস তাহলে আমি তোদের কে বাঁচানোর চেষ্টা করবো।
অয়ন সেই কথা শুনে বললো, ভিতরে আয়।
ইভান কে যাওয়া দেখে নীলয়,দিশান আর শুভ্রও এগিয়ে আসলো।
অয়ন তখন বললো তোমরা থাকো।আমি শুধু ইভানের সাথে কথা বলতে চাই।
ইভান সেই কথা শুনে বললো, নো প্রবলেম।ওরা আমার বিশ্বস্ত।ওদের কেও আসতে দে।

অয়ন সবাইকে নিয়ে গোপন একটা কামরায় গেলো।ইভান কামরায় যেতেই জিজ্ঞেস করলো সেদিন তাহলে তোকে জয় আর সানিই এনেছে?
–হ্যাঁ।ওরা ভেবেছে আমাকে সি আই ডির লোকেরা ধরে ফেলেছে।এখন নিশ্চয় জেলে পুরে দিবে।আর জেলে যাওয়া মানে আমার ফাঁসি কনফার্ম!
–ওরা দুইজন তো তোর শত্রু ছিলো।
–হ্যাঁ ছিলো।কিন্তু আমার বিপদ দেখে সাহায্য করতে এসেছে।শুধু ওরা না,এখানে যাদের কে দেখছিস সবাই এখন আমার দলে এসেছে।এরা আর কেউ লিডারের হয়ে কাজ করে না।আমাদের সবার এখন একটাই প্লান লিডার কে খুঁজে বের করে ওনার পুরো গ্যাং কে শেষ করা।আর ওনার দেহকে ১০০ টুকরা করা।শালার জন্য আজ আমরা নরমাল লাইফে ফিরতে পারছি না।সবার চোখে আজ আমরা অপরাধী।

ইভান তখন বললো, তোদের সবাইকে তো ব্লাকমেল করা হয়েছে।তোরা ব্লাকমেলের স্বীকার হয়ে অপরাধ করেছিস।নিজের ইচ্ছায় তো করিস নি।তোরা সবাই যদি তোদের অপরাধ স্বীকার করিস আমি নিশ্চিত তোদের ক্ষমা করে দেওয়া হবে।

–ইমপসিবল!এটা কখনোই সম্ভব না।

ইভান তখন বললো কেনো সম্ভব নয়?তোরা সবাই আমাকে হেল্প কর তোদের লিডার কে ধরতে।যে এসব অসহায় ছেলেদের সন্ত্রাসী বানিয়ে দিয়েছে তার বিচার অবশ্যই হবে।
উনি ধরা পরার পর তোরা নিজেরাই আইনের কাছে আত্নসমর্পণ করবি।তোদের দোষ স্বিকার করবি।

অয়ন কি যেনো ভাবতে লাগলো। তারপর ইভানের কথায় রাজি হয়ে গেলো।
অয়ন তখন বললো, তাহলে আমাদের ফাস্ট প্লান হলো অফিসার আকরাম কে ধরে দেওয়া।কারণ ওর হাত আছে আমাদের লিডারের সাথে।

ইভান সেই কথা শুনে বললো, আমি ওকে আগেই সন্দেহের তালিকায় রেখেছি।

অয়ন আর তার দলের লোকেরা পুরোপুরি ইভান কে বিশ্বাস করলো।তারা সবাই মিলে বিভিন্ন ধরনের প্লান করলো।

ইভান যখন শুভ্র, দিশান আর নীলয় কে নিয়ে চলে যেতে ধরলো হঠাৎ অয়ন ইভানের হাত ধরে বললো, ধন্যবাদ ইভান।আমার অনুপস্থিতিতে আমার পরিবারের খেয়াল রাখার জন্য।তুই যে এতো তাড়াতাড়ি আমাকে শত্রু থেকে বন্ধু করে নিবি আমি ভাবতেও পারি নি।

ইভান সেই কথা শুনে বললো, আমি কখনোই অন্যায় কে সমর্থন করি নি।আজও করছি না।আমার মনে হয়েছে যে তোদের দ্বারা কেউ এসব অন্যায় করাচ্ছে।সেজন্য সবার আগে আসল অপরাধী কে খুঁজে বের করতে হবে।এজন্য সবার আগে তোর পাশে দাঁড়ানো উচিত।

হঠাৎ অয়ন বললো, তুই কি অতশীকে ভালোবাসিস?না ওদের তোদের বাড়িতে রাখার জন্য বিয়ে করতে চেয়েছিস?
ইভান অয়নের কথা শুনে একটু লজ্জাই পেলো।কারন তার সামনে শুভ্র,নীলয় আর দিশান দাঁড়িয়ে আছে।ইভান কে চুপচাপ থাকা দেখে অয়ন বললো,তুই চাইলে বিয়ে টা করতেই পারিস।আমার কোনো আপত্তি নাই।

ইভান এবারও চুপ করে রইলো।

তখন শুভ্র এগিয়ে এসে বললো, অয়ন ভাইয়া বিয়ে টা তাড়াতাড়িই দিয়ে দিন।স্যার যে আপনার বোন কে এতো ভালোবাসে আপনি ভাবতেও পারবেন না।আমরা নিজের চোখে দেখেছি।
দিশান তখন এগিয়ে এসে বললো,স্যার আপনার বোন কে খুঁজে না পেয়ে কেঁদেছে।আমি এর আগে স্যার কে কখনোই কাঁদতে দেখি নি।এতো শক্ত একজন মানুষ এতোটা দূর্বল হয়ে যাবে সত্যি অবিশ্বাস্য!
নীলয় তখন এগিয়ে এসে বললো, আমি আর চুপ থাকি কেনো?আমিও কিছু বলি।আমাদের ইভান স্যার অতশীকে খুঁজে না পেয়ে এই কয় দিন যে টেনশনের মধ্যে কাটিয়েছে ওনার সাথে না থাকলে সত্যি জানতে পারতাম না।আপনি তাড়াতাড়ি বিয়ের ব্যবস্থা টা করেই ফেলেন।

ইভান তখন বললো, কি শুরু করলা তোমরা?এটা আমার দায়িত্ব ছিলো।এতোগুলো লোক কোথায় গেলো?কে নিয়ে গেলো সেটা জানা আমার ডিউটির মধ্যে পড়ে।সেজন্য খুঁজেছি।তাছাড়া তোমরা মনে হয় ভুলে গেছো ওদের সাথে আমার বোনও ছিলো।

হঠাৎ অয়নের আম্মু আর দাদী এলো।আর এসেই ইভানের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলো।যে তারা ইভান কে ভুল বুঝেছে।
মৌরিও দৌঁড়ে এসে জড়িয়ে ধরলো তার ভাইকে আর বললো,ভাইয়া আমরা সবাই ভেবেছিলাম তুমি অয়ন কে ধরার জন্য আমাদের ও বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলে।আমরা ভাবতেও পারি নি তুমি অয়ন কে বাঁচানোর ট্রাই করবে।
ইভান সেই কথা শুনে বললো তোরা তো একটিবার আমাকে জিজ্ঞেস করতে পারতিস।কিন্তু তোরা সেটা না করে বাবার কথা শোনামাত্র চলে গেছিস।যদি অন্য কেউ তোদের ক্ষতি করতো তখন কি হতো?

হঠাৎ মৌরির চোখ গেলো ইভানের হাতের দিকে।ইভানের হাতে ব্যান্ডেজ দেখে বললো,কি হয়েছে ভাইয়া তোমার?
–না কিছু না।তার আগে আমার প্রশ্নের উত্তর দে।

মৌরি তখন বললো,আমরা তো বাবার কথা শুনে আসি নি এখানে?
অয়ন আমার ফোনে মেসেজ পাঠিয়েছিলো সেটা দেখে আমরা বাসায় চলে গেছি সবাই।তারপর জয়, সানি আর রুদ্র গিয়ে নিয়ে এসেছে আমাদের।

–তাহলে অতশীদের বাসার দরজা ভাংলো কে?

–বলতে পারলাম না।

ইভান বুঝতে পারলো এটা অয়নের লিডারেরই কাজ হবে।উনি হয় তো এদের কে ধরার জন্য সন্ত্রাসী পাঠায়ছিলেন।
ইভান চারদিকে অতশীকে খুঁজতে লাগলো।কিন্তু দেখতে পেলো না।সবাই এখানে, ও তাহলে কোথায়?

অয়ন তখন ইভানের কাঁধে হাত দিয়ে বললো, ইভান আমার প্রশ্নের উত্তর তো দিলি না?

–কোন প্রশ্নের?

–ওই যে তখন বললাম।

–মনে নেই আমার।আমরা যাই এখন।অনেক কাজ আছে আমাদের।ইভান অয়নের প্রশ্ন এড়িয়ে যেতে চাইলো।

অয়ন তখন বললো,অতশীকে নিয়ে যা ইভান।এই মুহুর্তে ও তোর কাছেই ভালো নিরাপদে থাকবে।তোর বোনকেও নিয়ে যেতে পারিস যদি সে যায়।

মৌরি তখন বললো আমি যাবো না কোথাও।আপনার সাথেই থাকতে চাই।

অয়ন তখন বললো এখানে থাকলে অনেক রিস্ক আছে মৌরি।
তুমি তোমার ভাই এর সাথেই চলে যাও।
–যাবো না আমি।আপনি প্লিজ জোর করবেন না আমাকে।
অয়নের আম্মু আর দাদীও যেতে চাইলো না।অয়ন তখন বললো ইভান তাহলে তুই শুধু অতশীকে নিয়ে যা।এরা আমার এখানেই থাক।

এই বলে অয়ন ইভানের হাত ধরে বললো, বোন টাকে আমার ভালো রাখিস।এখন তুই ওর একমাত্র গার্ডিয়ান। ওর এই অধম ভাই থাকা না থাকা সমান কথা।
অয়ন এই বলে অতশীকে ডাকতে লাগলো।
অতশী রুমের মধ্যেই ছিলো।সে তার ভাই এর ডাক শুনে রুম থেকে বের হয়ে এলো।

অয়ন তখন অতশীকে ইভানের হাতে দিয়ে বললো,ইভানের সাথে চলে যা অতশী।সারাজীবন এর জন্য ওর হাতে তুলে দিলাম।আজ থেকে ওই তোর খেয়াল রাখবে।

অতশী সেই কথা শুনে বললো, আমি যাবো না কোথাও।আমিও তোমাদের সাথেই থাকবো।তোমরা সবাই এখানে থাকবে আর আমি একা একা ওখানে থাকবো?

মৌরি তখন বললো বিয়ের পর সব মেয়েরাই তো তাদের স্বামীর বাড়ি থাকে।তেমনি তুমিও থাকবে।যেমন আমি আছি এখন।

–মানে?অতশী কিছুই বুঝতে পারলো না।

মৌরি তখন বললো ইভান ভাইয়ার সাথে তোমার বিয়ে ঠিক করা হয়েছে।সেজন্য তুমি এখন ভাইয়ার সাথে চলে যাও।

–মানে কি?তোমরা কেউ থাকবে না?আম্মু, দাদী তোমরা যাবে না?

অতশীর দাদী তখন বললো, না আমরা আর যাবো না।আমরা অয়নের সাথেই থাকবো।এই মুহুর্তে ইভানের বাসায় এতো মানুষের ভীড় করা ঠিক হবে না।তুই বউ হিসেবে থাকবি এতে কারো কিছু বলার থাকবে না।

#চলবে,